শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৩৯৮
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৩৯৮। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) খলীফা হন তখন সদকা সম্বন্ধে আমর ইবন হাযম (রাযিঃ)-এর কাছে প্রেরিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর লিখিত কিতাবটি ও হযরত উমর (রাযিঃ)-এর লিখিত কিতাবটি খোজ করে বের করার জন্য মদীনায় দূত প্রেরণ করেন। সদকা সম্বন্ধে আমর ইবুন হাযম (রাযিঃ)-কে লিখিত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পত্রটি আমর ইবন হাযম (রাযিঃ)-এর বংশধরদের কাছে এবং সদকা সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কিতাবের ন্যায় হযরত উমর (রাযিঃ)-এর লিখিত কিতাবটি উমর (রাহঃ)-এর বংশধরদের কাছে পেলেন। তখন এগুলােকে আমরা লিপিবদ্ধ করে রাখলাম। বর্ণনাকারী আরাে বলেন, আমর (রাহঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, তিনি মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ)-এর বংশধরদের কাছে অনুরােধ করেন যাতে তারা ঐ দুই পত্রে যা কিছু আছে তাকে লিপিবদ্ধ করে দেন তখন কিতাবে যা আছে তা তার জন্যে লিপিবদ্ধ করা হল। আর তা হল : উটের সংখ্যা যখন নব্বইয়ের অধিক হয়, তখন একশ বিশ সংখ্যা পৌছা পর্যন্ত এগুলাের যাকাত হল। হিক্কাহ (চার বছর বয়স্ক উট শাবক)।

উটের সংখ্যা যখন একশ বিশে পৌঁছে, তখন এগুলাে থেকে দশের কম যেগুলাে অতিরিক্ত হবে, এগুলাের কোন যাকাত নেই। যখন উটের সংখ্যা একশ ত্রিশে পেীছে, তখন এগুলাের জন্যে একটি হিক্কাহ ও দুইটি বিনত লাবুন যাকাত হিসেবে প্রদান করতে হবে। আর তা হবে একশ চল্লিশ সংখ্যা পেীছা পর্যন্ত। যখন সংখ্যাটি একশ চল্লিশ পৌছবে, তখন এগুলাের মধ্যে যাকাত হবে দুইটি হিক্কাহ ও একটি বিনত লাবুন। আর তা একশ পঞ্চাশ সংখ্যা পৌছা পর্যন্ত। যখন সংখ্যাটি একশ পঞ্চাশ পোঁছবে, তখন এগুলাের জন্য যাকাত হবে তিনটি হিক্কাহ। পরবর্তীতে এভাবে হিসেব করতে হবে যতক্ষণ না তিনশ পর্যন্ত সংখ্যা পেীছে। যদি তিনশ পর্যন্ত সংখ্যা পোঁছে, তাহলে প্রতি পঞ্চাশের জন্য এক হিক্কাহ এবং প্রতি চল্লিশের জন্য একটি বিনত লাবুন যাকাত আদায় করতে হবে।

আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ হাদীসটি গ্রহণ করেছেন এবং তদানুযায়ী অভিমত পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, একশ বিশের অতিরিক্ত প্রতি পঞ্চাশে একটি হিক্কাহ এবং প্রতি চল্লিশে একটি বিনত লাবুন যাকাত আদায় করতে হবে। তার বিস্তারিত বর্ণনা হল নিম্নরূপ : একশ বিশের উপর যদি একটি উট বেশী হয় তাহলে তার জন্য একশ বিশ ব্যতীত অন্য হুকুম বর্তাবে। তাই প্রতি চল্লিশের জন্য একটি বিনতে লাবুন যাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে। তারা এরূপে হিসেব করতে থাকে যতক্ষণ উট বেড়ে একশ ত্রিশে পৌছে। একশ ত্রিশে পৌছলে একটি হিক্কাহ ও দুটো বিনত লাবুন যাকাত আদায় করতে হয়। তারা এভাবে হিসেব করতে থাকে যতক্ষণ না উটের সংখ্যা বেড়ে একশ চল্লিশে পৌছে। যখন মােট উটের সংখ্যা একশ চল্লিশ হয়, তখন এগুলাের জন্যে দুইটি হিক্কাহ ও একটি বিনত লাবুন যাকাত আদায় করতে হয়। এ ধারা চলবে একশ পঞ্চাশ পর্যন্ত। যখন উটের সংখ্যা একশ পঞ্চাশ হবে, তখন এগুলাের জন্য তিনটি হিক্কাহ যাকাত হিসেবে আদায় করতে হয়। এরপর তারা অনন্ত সংখ্যা পর্যন্ত হিসেব করতে থাকেন ও এ হিসেবে যাকাত ফরয বলে মনে করেন। এ বিষয়ে তারা নিম্নবর্ণিত দলীলটি পেশ করেছেন :
بَابُ فَرْضِ الزَّكَاةِ فِي الْإِبِلِ السَّائِمَةِ فِيمَا زَادَ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ
7398 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ هَرِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: لَمَّا اسْتُخْلِفَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَرْسَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ , يَلْتَمِسُ كِتَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فِي الصَّدَقَاتِ , وَكِتَابَ عُمَرَ. فَوَجَدَ عِنْدَ آلِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , كِتَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فِي الصَّدَقَاتِ. وَوَجَدَ عِنْدَ آلِ عُمَرَ كِتَابَ عُمَرَ فِي الصَّدَقَاتِ , مِثْلَ كِتَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُسِخَا. فَحَدَّثَنِي عَمْرٌو , أَنَّهُ طَلَبَ آلُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنْ يَنْسَخَهُ مَا فِي ذَيْنِكَ الْكِتَابَيْنِ , فَيَنْسَخَ لَهُ مَا فِي هَذَا الْكِتَابِ فَكَانَ مِمَّا فِي ذَلِكَ الْكِتَابِ «أَنَّ الْإِبِلَ إِذَا زَادَتْ عَلَى تِسْعِينَ وَاحِدَةً , فَفِيهَا حِقَّتَانِ طَرُوقَتَا الْفَحْلِ إِلَى أَنْ يَبْلُغَ عِشْرِينَ وَمِائَةً. فَإِذَا بَلَغَتِ الْإِبِلُ عِشْرِينَ وَمِائَةً , فَلَيْسَ فِيمَا زَادَ مِنْهَا دُونَ الْعَشْرِ شَيْءٌ. فَإِذَا بَلَغَتْ ثَلَاثِينَ وَمِائَةً , فَفِيهَا بِنْتَا لَبُونٍ وَحِقَّةٌ , إِلَى أَنْ تَبْلُغَ أَرْبَعِينَ وَمِائَةً. فَإِذَا كَانَتْ أَرْبَعِينَ وَمِائَةً , فَفِيهَا حِقَّتَانِ , وَابْنَةُ لَبُونٍ , إِلَى أَنْ تَبْلُغَ خَمْسِينَ وَمِائَةً. فَإِذَا كَانَتْ خَمْسِينَ وَمِائَةً , فَفِيهَا ثَلَاثُ حِقَاقٍ , ثُمَّ أَجْرَى الْفَرِيضَةَ كَذَلِكَ , حَتَّى يَبْلُغَ ثَلَاثَمِائَةٍ. فَإِذَا بَلَغَتْ ثَلَثَمِائَةٍ , فَفِيهَا مِنْ كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ , وَمِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ , بِنْتُ لَبُونٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ قَوْمٌ فَقَالُوا بِهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَا زَادَ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , فَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ , وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ , بِنْتُ لَبُونٍ. وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ , أَنَّهُ لَوْ زَادَتِ الْإِبِلُ بَعِيرًا وَاحِدًا , عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ , وَجَبَ بِزِيَادَةِ هَذَا الْبَعِيرِ حُكْمٌ ثَانٍ , غَيْرُ حُكْمِ الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ. [ص:374] فَوَجَبَ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ ثُمَّ يُجْرُونَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , حَتَّى تَبْلُغَ الزِّيَادَةُ تَمَامَ الْمِائَةِ وَالثَّلَاثِينَ , فَيَجْعَلُونَ فِيهَا حِقَّةً وَبِنْتَيْ لَبُونٍ. ثُمَّ يَكُونُ ذَلِكَ كَذَلِكَ , حَتَّى يَتَنَاهَى الزِّيَادَةُ إِلَى أَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ , فَإِذَا كَانَتْ أَرْبَعِينَ وَمِائَةً , كَانَ فِيهَا حِقَّتَانِ , وَبِنْتُ لَبُونٍ , إِلَى خَمْسِينَ وَمِائَةٍ. فَإِذَا كَانَتْ خَمْسِينَ وَمِائَةً , كَانَ فِيهَا ثَلَاثُ حِقَاقٍ , ثُمَّ يُجْرُونَ الْفَرْضَ فِي الزِّيَادَةِ عَلَى ذَلِكَ كَذَلِكَ , أَبَدًا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ مِنَ الْآثَارِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪০০
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৩৯৯-৭৪০০। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ). আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) খলীফা নির্বাচিত হন তখন হযরত আনাস (রাযিঃ)-কে বাহরায়নের দিকে প্রেরণ করেন এবং তার জন্য একটি পরিপত্র লিখে দেন। এটা হল ফরয সদকা যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলমানদের উপর ফরয ঘােষণা করেছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (ﷺ) -কে নির্দেশ প্রদান করেছেন। মু'মিনদের মধ্যে যাকে এ অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে বলা হবে, সে যেন তা আদায় করে। আর যার কাছে এর চেয়ে বেশী দিতে বলা হবে, সে যেন তা প্রদান না করে। আর এ পরিপত্রের মধ্যে ছিল যে, উটের সংখ্যা যদি একশ বিশ থেকে বেড়ে যায়, তাহলে প্রতি চল্লিশের জন্য একটি বিনতে লাবুন এবং প্রতি পঞ্চাশের জন্য একটি হিক্কাহ ।

আবু বাকরা (রাহঃ) হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন সাবিত আল-বানানী আমাকে সুমামা ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আনাস আল-আনসারী (রাহঃ)-এর কাছে প্রেরণ করেন এবং তাকে বলেন, তিনি যেন তার কাছে ঐ পরিপত্রটি প্রেরণ করেন যা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) হযরত আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ)-কে লিখে দিয়েছিলেন। যখন তিনি তাকে সদকা আদায় করার জন্য প্রেরণ করেছিলেন। হাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, তিনি তখন তা আমার কাছে অর্পণ করেন। এটার মধ্যে ছিল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সিলমােহর। আর এটার মধ্যে ছিল সদকা-এর যাবতীয় বিধান। অতঃপর তিনি ইবন মারযূকের হাদীসের ন্যায় বর্ণনা পেশ করেন।
7399 - بِمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي , عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ لَمَا اسْتُخْلِفَ , وَجَّهَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى الْبَحْرَيْنِ , فَكَتَبَ لَهُ هَذَا الْكِتَابَ: «هَذِهِ فَرِيضَةُ الصَّدَقَةِ , الَّتِي فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ , الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا رَسُولَهُ , فَمَنْ سُئِلَهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى وَجْهِهَا , فَلْيَعْلَمْهَا , وَمَنْ سُئِلَ فَوْقَهَا , فَلَا يُعْطِهِ. كَانَ فِي كِتَابِهِ ذَلِكَ , أَنَّ الْإِبِلَ إِذَا زَادَتْ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ , فَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ , وَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ»

7400 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَرْسَلَنِي ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ إِلَى ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَنَسِ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ; لِيَبْعَثَ إِلَيْهِ بِكِتَابِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , الَّذِي كَتَبَهُ ; لِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حِينَ بَعَثَهُ مُصَدِّقًا. قَالَ حَمَّادُ: فَدَفَعَهُ إِلَيَّ , فَإِذَا عَلَيْهِ خَاتَمُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِذَا فِيهِ ذِكْرُ فَرَائِضِ الصَّدَقَاتِ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ مَرْزُوقٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪০১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪০৩
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪০১-০৩। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আমর ইন হাযম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা ও তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইয়ামানবাসীদের উদ্দেশ্যে একটি পরিপত্র লিখে দেন তাতে ফরযসমূহ, সুন্নতসমূহ ও রক্ত মূল্যের বিধানসমূহ লিপিবদ্ধ ছিল। তিনি তা আমর ইবন হাযম (রাযিঃ)-এর সাথে প্রেরণ করেন। অতঃপর পরিপত্রে উল্লেখ করেন, একশ বিশের অধিক উটের সংখ্যা হলে তার যাকাত হবে অনুরূপ।

ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রাহঃ) …. আব্দুল্লাহ ইবন আবু বকর আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি সংবাদ দেন যে, এটা ছিল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর লেখনী, যা সদকা সম্বন্ধে আমর ইবন হাযম (রাযিঃ)-কে লিপিবদ্ধ করে দিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি উল্লেখ করেন, যদি উট সংখ্যা একশ বিশ থেকে বেড়ে যায়….

আহমদ ইবন দাউদ ইব্‌ন মুসা (রাহঃ) .. আব্দুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা এবং তিনি তার দাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমর ইবন হাযম (রাযিঃ)-এর জন্য উটের যাকাত সম্বন্ধে বিধিমালা লিপিবদ্ধ করেছেন। অতঃপর তিনি উল্লেখ করেন, যদি উটসংখ্যা একশ বিশের অতিরিক্ত হয়…
03 - 7401 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ بِكِتَابٍ , فِيهِ الْفَرَائِضُ وَالسُّنَنُ , وَالدِّيَاتُ , وَبَعَثَ بِهِ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , ثُمَّ ذَكَرَ فِيمَا زَادَ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ مِنَ الْإِبِلِ كَذَلِكَ أَيْضًا

حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْأَنْصَارِيِّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ هَذَا كِتَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمِ فِي الصَّدَقَاتِ. فَذَكَرَ فِيمَا زَادَ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , كَذَلِكَ أَيْضًا

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , فَرَائِضَ الْإِبِلِ , ثُمَّ ذَكَرَ فِيمَا زَادَ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , كَذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪০৪
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪০৪। ইউনুস (রাহঃ) ইবন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর দুই পুত্র সালেম ও আব্দুল্লাহ আমার কাছে ঐ পরিপত্রটি পড়ে শুনান যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সদকা সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করে দিয়েছিলেন এবং যা উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর বংশধরদের কাছে সংরক্ষিত ছিল। তখন আমি এটাকে হুবহু প্রতিলিপি করে সংরক্ষণ করে নিলাম। হযরত উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) যখন মদীনার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন, তখন তিনি আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর দুই পুত্র সালেম (রাহঃ) ও আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হতে এপরিপত্রটি লিপিবদ্ধ করে নেন ও তার অধীনস্থ কর্মচারীদেরকে সেই মুতাবিক আমল করার হুকুম দেন। অতঃপর তিনি বাকী হাদীসটি উল্লেখ করেন।

তারা বলেন, এই পরিপত্র মুতাবিক হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) আমল করেছেন। তারা এ সম্পর্কে নিম্নের বর্ণনাটিও পেশ করেন :
7404 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: نُسْخَةُ كِتَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كُتِبَ فِي الصَّدَقَةِ، وَهِيَ عِنْدَ آلِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَقْرَأَنِيهَا سَالِمٌ , وَعَبْدُ اللهِ , ابْنَا ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَوَعَيْتُهَا عَلَى وَجْهِهَا , وَهِيَ الَّذِي نَسَخَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللهُ مِنْ سَالِمٍ وَعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , إِلَى حِينِ أُمِّرَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَأَمَرَ عُمَّالَهُ بِالْعَمَلِ بِهَا , ثُمَّ ذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ قَالُوا: وَقَدْ عَمِلَ بِذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪০৫
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪০৫। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) .. আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এই পরিপত্রটি মুতাবিক আমল করতেন। এরপর তিনি উটের যাকাতের যাবতীয় বিধান উল্লেখ করেন। তার মধ্যে একটি বিধান হল উট সংখ্যা একশ বিশের অধিক হলে প্রতি চল্লিশে একটি বিনত লাবুন এবং প্রতি পঞ্চাশে একটি হিক্কাহ যাকাত হিসেবে প্রদান করতে হবে। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করেন এবং তারা বলেন একশ বিশটি উটের অধিক হলে উটের যাকাতের পদ্ধতি শুরু থেকে আরম্ভ করতে হয়। তাই প্রতি পাঁচটি উটের জন্য একটি বকরী যাকাত হিসেবে প্রদান করতে হবে যতক্ষণ না অতিরিক্ত উটের সংখ্যা পঁচিশে পৌছে। পঁচিশে পৌছলে একশত উনপঞ্চাশ পর্যন্ত বিনত মাখাস যাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে। যখন একশ পঞ্চাশে উন্নীত হবে তখন তিনটি হিক্কাহ প্রদান করতে হবে। অতঃপর যা অতিরিক্ত হবে পঞ্চাশের কম অতিরিক্তের জন্যে, যেরূপ
শুরুতে যাকাতের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এখানেও তদ্রুপ পদ্ধতি পালন করতে হবে। বর্ধিত উটের সংখ্যা পঞ্চাশ পূর্ণ হলে তাতে একটি হিক্কাহ যাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা নিম্নবর্ণিত দলীল পেশ করেন :
7405 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , كَانَ يَأْخُذُ عَلَى هَذَا الْكِتَابِ , فَذَكَرَ فَرَائِضَ الْإِبِلِ. وَفِيهَا ذِكْرٌ مِنْهَا أَنَّ مَا زَادَ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ , فَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ , وَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ " وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا زَادَ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ مِنَ الْإِبِلِ اسْتُؤْنِفَتْ فِيهِ الْفَرِيضَةُ. فَكَانَ فِي كُلِّ خَمْسٍ مِنْهَا شَاةٌ , حَتَّى تَتَنَاهَى الزِّيَادَةُ إِلَى خَمْسٍ وَعِشْرِينَ , فَيَكُونُ فِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ. فَإِذَا كَانَتْ خَمْسِينَ وَمِائَةً , فَفِيهَا ثَلَاثُ حِقَاقٍ , ثُمَّ كَذَلِكَ الزِّيَادَةُ , مَا كَانَ دُونَ الْخَمْسِينَ , فَفِيهَا فَرَائِضُ مُسْتَأْنَفَاتٌ عَلَى حُكْمِ أَوَّلِ فَرَائِضِ الْإِبِلِ , فَإِذَا كَمُلَتْ خَمْسِينَ , فَفِيهَا حِقَّةٌ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ مِنَ الْآثَارِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪০৭
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪০৬-০৭। সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) …. হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি একদিন কায়স ইবন সা'দ (রাহঃ)-কে বললাম, আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ)-এর পত্রটি আমাকে লিখে দাও, তখন তিনি এটাকে আমার জন্য একটি কাগজে লিখে দেন এবং আমার কাছে নিয়ে আসেন ও আমাকে সংবাদ দেন যে, তিনি এটাকে আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ)-এর কিতাব হতে গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাকে আরাে সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দাদা আমর ইবন হাযম (রাযিঃ)-কে লিখে দিয়েছিলেন। তার মধ্যে উটের যাকাতের যাবতীয় বিধান লিপিবদ্ধ ছিল। তার মধ্যে আরাে লিখিত ছিল যে, উটের সংখ্যা যদি নব্বই-এ পৌছে, তাহলে এগুলাের সংখ্যা একশ বিশে পৌছা পর্যন্ত যাকাত হবে দুই হিক্কাহ। যদি তার থেকে অধিক হয়, তাহলে প্রতি পঞ্চাশের জন্য যাকাত হবে এক হিক্কাহ। আর অতিরিক্তের জন্যে যাকাতের নির্ধরিত প্রাথমিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাই পঁচিশের কম উটের ক্ষেত্রে প্রতি পাঁচে একটি বকরী হিসেবে যাকাত নির্ধারিত হবে।


আবু বাকরা (রাহঃ) ......হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।

আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, উলামায়ে কিরাম যখন এ ব্যাপারে মতবিরােধ করেছেন তখন আমাদের জন্য গবেষণার আশ্রয় নেয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। যাতে আমরা এ তিনটি অভিমত হতে একটি বিশুদ্ধ অভিমত উদ্ভাবন করতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম এবং লক্ষ্য করলাম যে, একটি সীমানা নির্ধারিত রয়েছে যার থেকে উটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত উটের জন্য পূর্বের হুকুম থেকে ভিন্ন।
হুকুম হবে। আমরা উলামায়ে কিরামকে দেখেছি তারা পাঁচটি উটের জন্য একটি বকরী যাকাত হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এরপর তারা আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, পাঁচ থেকে নয় পর্যন্ত এরূপ হুকুম থাকবে। যদি একটি সংখ্যা বেড়ে যায়, তারা তার জন্য একটি স্বতন্ত্র হুকুম আরােপ করেন এবং তার যাকাত দুইটি বকরী বলে নির্ধারণ করেন।

অতঃপর তারা আমাদের কাছে বর্ণনা রেখেছেন যে চৌদ্দটা পর্যন্ত এরূপ হুকুম থাকবে। এরপর যদি একটি অতিরিক্ত হয়ে যায়। তারা তার জন্যে ভিন্ন হুকুম আরােপ করেন এবং তার যাকাত তিনটি বকরী বলে নির্ধারণ করেন। অতঃপর তারা আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে উনিশটি পর্যন্ত এরূপ হুকুম থাকবে। যখন উটের সংখ্যা বিশে পরিপূর্ণ হবে, তখন তারা চারটি বকরী যাকাত হিসেবে নির্ধারণ করেন। এরপর তারা একশ বিশের উপর উটের সংখ্যা বেড়ে গেলে তারা যাকাতের ভিন্নতর পদ্ধতি অবলম্বন করেন। যেমন তারা নির্দিষ্ট সীমানা পর্যন্ত এক নীতিতে যাকাত ওয়াজিব করেছিলেন। এ সীমানার উপরে যদি উটের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন প্রথম পদ্ধতি ছেড়ে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করেন। নব্বইকে সীমানা নির্ধারণের পর অতিরিক্ত উটের জন্য ভিন্নতর হুকুম আরােপ করায় প্রমাণিত হয় যে, বিশের বেশী হয়ে গেলে তার জন্য ভিন্নরূপ যাকাত ওয়াজিব হবে। হয়ত প্রথম পদ্ধতির অতিরিক্ত হবে কিংবা প্রথম পদ্ধতিটির বিপরীত হবে। উপরােক্ত বর্ণনার দ্বারা প্রথম অভিমতের ত্রুটি প্রমাণিত হয় এবং একশ বিশের অতিরিক্ত হলে হুকুমেরও ভিন্নতা প্রমাণিত হয়। অতঃপর আমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় অভিমতের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে এবং দেখতে পেলাম, যারা দ্বিতীয় মতের অধিকারী, তারা একশ বিশের উপর একটি উট বেশী হলে সমস্ত উটের হুকুম পরিবর্তন করে বিনত লাবুন যাকাত হিসেবে ধার্য করে। আর আমরা এটা এভাবে উল্লেখ করেছি যে, প্রতি চল্লিশে একটি বিনত লাবুন যাকাত দিতে হবে। সুতরাং এটা হবে তাদের বিরুদ্ধে ও তৃতীয় অভিমতের প্রবক্তাদের পক্ষে দলীল যে, আমরা লক্ষ্য করেছি উটের যাকাতের বিধি-বিধানে নির্ধারিত সীমার উপর একশ বিশের নীচে যা কিছু অতিরিক্ত হবে, এ অতিরিক্তের দ্বারা হুকুম পরিবর্তন হয়ে যায় । তাতে বুঝা যায় যাকাত ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে এ অতিরিক্ত সংখ্যারও অবদান রয়েছে। চব্বিশটি উটের ক্ষেত্রে চারটি বকরী যাকাত ওয়াজিব হয়। যদি এর থেকে একটিও অতিরিক্ত হয়ে যায়, তাহলে এগুলাের জন্য ওয়াজিব হবে একটি বিনত মাখাস। আর তা বজায় থাকবে পঁয়ত্রিশটি পর্যন্ত । যখনই একটি বৃদ্ধি পাবে তখন এগুলাের জন্য যাকাত ওয়াজিব হবে একটি বিনত লায়ূন। সুতরাং পঁচিশটির জন্য ওয়াজিব হয়েছিল একটি বিনত মাখাস, একটি অংশের জন্য নয়। অনুরূপভাবে বিনত লাবুন ওয়াজিব হয়েছিল সম্পূর্ণ ছত্রিশটির জন্যে, একটি অংশের জন্য নয়। অনুরূপভাবে উটের সমস্ত বিধানগুলােতে যাকাত ওয়াজিব হয়েছে যতক্ষণ না একশ বিশে পৌছে।

উল্লেখযােগ্য কোন কিছু অতিরিক্ত না হলে হুকুম পরিবর্তন হয় না, বরং উল্লেখ্যযােগ্য কিন্তু অতিরিক্ত হলেই হুকুম পরিবর্তন হয়। আমরা কি লক্ষ্য করি না যে, দশটি উটের জন্য দুইটি বকরী যাকাত দিতে হয়। যখন একটি উট বৃদ্ধি পায় তখন তার জন্যে কিছুই দিতে হয় না আর এ একটি বৃদ্ধি পাওয়াতে দশটির হুকুমের মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্তন ঘটেনি। তবে উটের সংখ্যা যখন পনের হয় তখন তিনটি বকরী যাকাত দিতে হয়। উটের এ সংখ্যা পূর্ণ হওয়ায় সবগুলাের জন্যেই তিনটি বকরী যাকাত হিসেবে আদায় করা ফরয হয়ে থাকে। পূর্বে উল্লেখিত একশ বিশের মধ্যে যদি কোন একটি উট বৃদ্ধি পায়, তাহলে সকলের মতে এ একটি উটের জন্য কিছুই দিতে হয় না। কেননা যারা পুনরায় হিসেব শুরুর কথা বলেন তারা এ একটি উটের জন্যে কিছুই ওয়াজিব মনে করেন না এবং হুকুমের মধ্যেও কোন প্রকার পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন না। আর দ্বিতীয় পক্ষের যারা পুনরায় হিসেব শুরুর কথা বলেন না, তারা একশ বিশের প্রতি চল্লিশের জন্য একটি বিনত লাবুন ওয়াজিব মনে করেন এবং অতিরিক্ত উটের জন্য কোন কিছু ওয়াজিব বলে মনে করেন না। এ কথা যখন প্রমাণিত হল যে, একশ বিশটি উটের সংখ্যার পূর্বে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার বিশেষ একটি পরিমাণ না হওয়া পর্যন্ত যাকাতের হুকুম পরিবর্তন হয় না। আর একশ বিশের উর্ধ্বে কোন একটি উট বর্ধিত হলে এর দ্বারা কোন কিছু ওয়াজিব হয় না, তাতে প্রমাণিত হয় যে, বিশেষ একটি অংশ না হওয়ার পূর্বে অন্যের ব্যাপারেও যাকাত ফরয হওয়ায় হুকুমটি পরিবর্তন হয় না। সুতরাং আমাদের উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা তৃতীয় পক্ষের অভিমত প্রতিষ্ঠিত হয়, আর এ পক্ষের
মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতেও এরূপ একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
7406 - بِمَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: قُلْتُ لِقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ: اكْتُبْ لِي كِتَابَ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فَكَتَبَهُ لِي فِي وَرَقَةٍ ثُمَّ جَاءَ بِهَا وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ أَخَذَهُ مِنْ كِتَابِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَأَخْبَرَنِي «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَهُ لِجَدِّهِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذِكْرِ مَا يُخْرَجُ مِنْ فَرَائِضِ الْإِبِلِ فَكَانَ فِيهِ» أَنَّهَا إِذَا بَلَغَتْ تِسْعِينَ , فَفِيهَا حِقَّتَانِ , إِلَى أَنْ تَبْلُغَ عِشْرِينَ وَمِائَةً. فَإِذَا كَانَتْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ , فَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ , فَمَا فَضَلَ فَإِنَّهُ يُعَادُ إِلَى أَوَّلِ فَرِيضَةِ الْإِبِلِ , فَمَا كَانَتْ أَقَلَّ مِنْ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ , فَفِيهِ الْغَنَمُ , فِي كُلِّ خَمْسِ ذَوْدٍ شَاةٌ "

7407 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ , وَجَبَ النَّظَرُ ; لِنَسْتَخْرِجَ مِنْ هَذِهِ الثَّلَاثَةِ الْأَقْوَالِ قَوْلًا صَحِيحًا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَرَأَيْنَاهُمْ جَمِيعًا , قَدْ جَعَلُوا الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةَ نِهَايَةً لِمَا وَجَبَ , فِيمَا زَادَ عَلَى التِّسْعِينَ. وَقَدْ رَأَيْتُ مَا جُعِلَ نِهَايَةً فِيمَا قَبْلَ ذَلِكَ , إِذَا زَادَتِ الْإِبِلُ عَلَيْهِ شَيْئًا , وَجَبَ بِزِيَادَتِهَا فَرْضُ غَيْرِ الْفَرْضِ الْأَوَّلِ. [ص:376] مِنْ ذَلِكَ: أَنَّا وَجَدْنَاهُمْ جَعَلُوا فِي خَمْسٍ مِنَ الْإِبِلِ شَاةً , ثُمَّ بَيَّنُوا لَنَا أَنَّ الْحُكْمَ كَذَلِكَ , فِيمَا زَادَ عَلَى الْخَمْسِ إِلَى تِسْعٍ. فَإِذَا زَادَتْ وَاحِدَةٌ , أَوْجَبُوا بِهَا حُكْمًا مُسْتَقْبَلًا فَجَعَلُوا فِيهَا شَاتَيْنِ. ثُمَّ بَيَّنُوا لَنَا أَنَّ الْحُكْمَ كَذَلِكَ , فِيمَا زَادَ إِلَى أَرْبَعَ عَشْرَةَ , فَإِذَا زَادَتْ وَاحِدَةٌ أَوْجَبُوا بِهَا حُكْمًا مُسْتَقْبَلًا فَجَعَلُوا فِيهَا ثَلَاثَ شِيَاهٍ. ثُمَّ بَيَّنُوا لَنَا أَنَّ الْحُكْمَ كَذَلِكَ , فِيمَا زَادَ إِلَى الْعِشْرِينَ , فَإِذَا كَانَتْ عِشْرِينَ , فَفِيهَا أَرْبَعُ شِيَاهٍ. ثُمَّ أَجْرُوا الْفَرْضَ كَذَلِكَ , فِيمَا زَادَ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ , كُلَّمَا أَوْجَبُوا شَيْئًا بَيَّنُوا أَنَّهُ الْوَاجِبُ فِيمَا أَوْجَبُوهُ فِيهِ , إِلَى نِهَايَةٍ مَعْلُومَةٍ. فَكُلُّ مَا زَادَ عَلَى تِلْكَ النِّهَايَةِ شَيْءٌ , انْتُقِضَ بِهِ الْفَرْضُ الْأَوَّلُ إِلَى غَيْرِهِ , أَوْ إِلَى زِيَادَةٍ عَلَيْهِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَكَانَتِ الْعِشْرُونَ وَالْمِائَةُ , قَدْ جَعَلُوهَا نِهَايَةً لَمَا أَوْجَبُوهُ فِي الزِّيَادَةِ عَلَى التِّسْعِينَ , ثَبَتَ أَنَّ مَا زَادَ عَلَى الْعِشْرِينَ , يَجِبُ بِهِ شَيْءٌ , إِمَّا زِيَادَةٌ عَلَى الْفَرْضِ الْأَوَّلِ , وَإِمَّا غَيْرُ ذَلِكَ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , فَسَادُ قَوْلِ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , وَثَبَتَ تَغَيُّرُ الْحُكْمِ بِزِيَادَةٍ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ. ثُمَّ نَظَرْنَا بَيْنَ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ وَالْمَقَالَةِ الثَّالِثَةِ. فَوَجَدْنَا الَّذِينَ يَذْهَبُونَ إِلَى الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ , يُوجِبُونَ بِزِيَادَةِ الْبَعِيرِ الْوَاحِدِ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , رَدَّ حُكْمِ جَمِيعِ الْإِبِلِ إِلَى مَا يَجِبُ فِيهِ بَنَاتُ اللَّبُونِ فِي قَوْلِهِمْ , وَهُوَ مَا ذَكَرْنَا عَنْهُمْ أَنَّ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتَ لَبُونٍ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الثَّالِثَةِ , أَنَّا رَأَيْنَا جَمِيعَ مَا يَزِيدُ عَلَى النِّهَايَاتِ الْمُسَمَّاةِ فِي فَرَائِضِ الْإِبِلِ , فِيمَا دُونَ الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , يَتَغَيَّرُ بِتِلْكَ الزِّيَادَةِ الْحُكْمُ , وَأَنَّ لِتِلْكَ الزِّيَادَةِ حِصَّةً , فِيمَا وَجَبَ بِهَا. مِنْ ذَلِكَ أَنَّ فِي أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ , أَرْبَعًا مِنَ الْغَنَمِ , فَإِذَا زَادَتْ وَاحِدَةٌ , كَانَ فِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ. فَإِذَا زَادَتْ وَاحِدَةٌ , فَفِيهَا بِنْتُ لَبُونٍ , فَكَانَتْ بِنْتُ الْمَخَاضِ وَاجِبَةً فِي الْخَمْسِ وَالْعِشْرِينَ , لَا فِي بَعْضِهَا. وَكَذَلِكَ بِنْتُ اللَّبُونِ وَاجِبَةٌ فِي السِّتَّةِ وَالثَّلَاثِينَ كُلِّهَا , لَا فِي بَعْضِهَا وَكَذَلِكَ سَائِرُ الْفُرُوضِ فِي الْإِبِلِ , حَتَّى تَتَنَاهَى إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ , لَا يَنْتَقِلُ الْفَرْضُ بِزِيَادَةٍ لَا شَيْءَ فِيهَا , بَلْ يَنْتَقِلُ بِزِيَادَةٍ فِيهَا شَيْءٌ. أَلَا تَرَى أَنَّ فِي عَشْرٍ مِنَ الْإِبِلِ شَاتَيْنِ , فَإِذَا زَادَتْ بَعِيرًا , فَلَا شَيْءَ فِيهِ , وَلَا تَتَغَيَّرُ زِيَادَتُهُ , حُكْمُ الْعَشَرَةِ الَّتِي كَانَتْ قَبْلَهُ. فَإِذَا كَانَتِ الْإِبِلُ خَمْسَ عَشْرَةَ , كَانَ فِيهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ , فَكَانَتِ الْفَرِيضَةُ وَاجِبَةً فِي الْبَعِيرِ الَّذِي كَمُلَ بِهِ مَا يَجِبُ فِيهِ ثَلَاثُ شِيَاهٍ وَفِيمَا قَبْلَهُ. [ص:377] فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ , وَكَانَتِ الْإِبِلُ إِذَا زَادَتْ بَعِيرًا وَاحِدًا عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةِ بَعِيرٍ فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّهُ لَا شَيْءَ فِي هَذَا الْبَعِيرِ ; لِأَنَّ الَّذِينَ أَوْجَبُوا اسْتِئْنَافَ الْفَرِيضَةِ , لَمْ يُوجِبُوا فِيهِ شَيْئًا , وَلَمْ يُغَيِّرُوا بِهِ حُكْمًا. وَالَّذِينَ لَمْ يُوجِبُوا اسْتِئْنَافَ الْفَرِيضَةِ مِنْ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ , جَعَلُوا فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ مِنَ الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , بِنْتَ لَبُونٍ , وَلَمْ يَجْعَلُوا فِي الْبَعِيرِ الزَّائِدِ عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ الْفَرْضَ فِيمَا قَبْلَ الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , لَا يَنْتَقِلُ إِلَّا بِمَا يَجِبُ فِيهِ جَزْءٌ مِنَ الْفَرْضِ الْوَاجِبِ بِهِ , وَكَانَ الْبَعِيرُ الزَّائِدُ عَلَى الْعِشْرِينَ وَالْمِائَةِ , لَا يَجِبُ فِيهِ شَيْءٌ مِنْ فَرْضٍ وَجَبَ بِهِ , ثَبَتَ أَنَّهُ غَيْرُ مُغَيِّرٍ فَرْضَ غَيْرِهِ , عَمَّا كَانَ عَلَيْهِ قَبْلَ حُدُوثِهِ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْمَقَالَةِ الثَّالِثَةِ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَيْهَا أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪০৮
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪০৮। ইসমাঈল ইবন ইসহাক ইবন সাহল আল-কূফী (রাহঃ) …. আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি উটের যাকাত ফরয হওয়ার বিধান সম্পর্কে বলেন, যখন উটের সংখ্যা নব্বই থেকে বৃদ্ধি পায়, তখন একশ বিশ পর্যন্ত দুই হিক্কা যাকাত হিসেবে প্রদান করতে হয়। যখন একশ বিশ পূর্ণ হয়ে যায়, তখন প্রতি পাঁচটির জন্য একটি বকরী হিসেবে যাকাত প্রদান করতে হয়। আবার যখন একশ পঁচিশ- এ পৌছে যায়, তখন উটের যাকাতের হিসেব পূর্ববৎ করতে হয়। আর যখন তার চেয়ে বেড়ে যায়, তখন প্রতি পঞ্চাশে একটি হিক্কা প্রদান করতে হয়। ইবরাহীম আন-নাখঈ (রাহঃ) হতেও এরূপ একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
7408 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ سَهْلٍ الْكُوفِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ , عَنْ خُصَيْفٍ , عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ , وَزِيَادُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ فِي فَرَائِضِ الْإِبِلِ: «إِذَا زَادَتْ عَلَى تِسْعِينَ , فَفِيهَا حِقَّتَانِ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ. فَإِذَا بَلَغَتِ الْعِشْرِينَ وَمِائَةً , اسْتُقْبِلَتِ الْفَرِيضَةُ بِالْغَنَمِ , فِي كُلِّ خَمْسٍ شَاةٌ , فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ , فَفَرَائِضُ الْإِبِلِ. فَإِذَا كَثُرَتِ الْإِبِلُ , فَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ» وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا , عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ رَحِمَهُ اللهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪০৯
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪০৯। আবু বাকরা (রাহঃ) ইবরাহীম আন-নাখঈ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উটের সংখ্যা যখন একশ বিশে পৌছে, তখন উটের যাকাতের বিধান প্রথম অবস্থায় ফিরে যায়। দ্বিতীয় পক্ষ যদি মাযহাবের পক্ষে দলীল প্রমাণ করার জন্য বলে যে, পরস্পর সংযুক্ত হাদীসগুলাে আমাদের অভিমতের পক্ষে সাক্ষ্য দান করে; আর আমাদের বিরােধীদের পক্ষে কোন সাক্ষ্য দান করে না। তাদেরকে তখন বলা যায়, অধিকাংশ হাদীসই তােমাদের পক্ষে এবং তােমাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে সাক্ষ্য প্রমাণ করেছে না। কেননা তােমাদের বিরুদ্ধে যদি এরূপ হাদীসগুলাের দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয়, তা তােমরা সংগত বলে মনে কর না। আর তােমাদের বিরুদ্ধে এরূপ দলীল গ্রহণকে তােমরা হাদীস সম্বন্ধে অজ্ঞতার পরিচয় বলে মনে কর । তার একটি উদাহরণ হল সুমামা ইবন আব্দুল্লাহ বর্ণিত হাদীসটি। একমাত্র আব্দুল্লাহ ইবনুল মুসান্না এ হাদীসটি সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন। আমরা অন্য কাউকে তা সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন বলে জানি, অথচ তােমরা আব্দুল্লাহ ইবন আল-মুসান্নাকে দলীল হিসেবে গ্রহণ কর না। তার পরে আসে হাম্মাদ ইবন সালামার কথা। গুণী মহলে তার মর্যাদা আব্দুল্লাহ ইবন আল-মুসান্না থেকে বেশী তথাপি তার বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয় না। তিনি এ হাদীসটিকে সুমামা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বর্ণনা করেন। আর তােমাদের নীতি অনুযায়ী এ হাদীসটি বিচ্ছিন্ন হিসেবে পরিগণিত এবং সনদ সহকারে পরিগণিত নয়। কেননা তােমরা অনেক সময় অসতর্কভাবে যিনি সংরক্ষণকারী নন তাকে সংরক্ষণকারী থেকে বেশী মর্যাদা প্রদান করে থাক।

আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ) হতে ইমাম যুহরী (রাহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি ইমাম যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন সুলায়মান ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ)। আর আমি ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, এ সুলায়মান ইবন দাউদ (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবুন দাউদ আল-হারানী (রাহঃ) তাদের সকলের কাছে দুর্বল। উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) হতে বর্ণনাকারী সুলায়মান ইবন দাউদ (রাহঃ) তাদের কাছে সুদৃঢ়। এ হাদীসটির দুর্বলতার সাক্ষ্য হল অন্য একটি তথ্য যে, ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে তার যে সব সঙ্গী ইলম হাসিল করেন তাদের মধ্যে যেমন ইউনুস ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) ও অন্যান্য যারা যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তারা তার থেকে একটি সহীফার মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন যা উমর (রাযিঃ)-এর বংশধরদের কাছে সংরক্ষিত ছিল। আমরা কি লক্ষ্য করি নাই যে, উটের যাকাতের যে বিধানটির তাঁর নিকট পাওয়া যায় তা হল আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাহঃ) কর্তৃক তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত? আর তারা সবাই ছিলেন ইমাম এবং শিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি এ সম্বন্ধে মৌনতা অবলম্বন করেন এবং এটাকে উমর (রাযিঃ)-এর সহীফার সাথে সম্পৃক্ত করেন। আর এটা দিয়েই তিনি জনগণের কাছে হাদীস বর্ণনা করেন, যা বর্ণনাকারী হতে বর্ণনাকারীর কাছে বর্ণিত নয়। এ ধরনের বর্ণনা আমাদের কাছে গ্রহণযােগ্য নয়।

যদি কেউ বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন আবু বকর হতে মামার (রাহঃ) যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তা সনদ সহকারে বর্ণিত হাদীস, এরমধ্যে কারাে কোন অভিযােগ নেই। উত্তরে বলা যায় যে, এ হাদীসটি সনদ সহকারে বর্ণিত হাদীস নয়। কেননা মামার এ হাদীসটিকে আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু বকর হতে বর্ণনা করেছেন যা তিনি তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তার দাদা হলেন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আবু বকর যিনি এবং তার পুত্র রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাথে এ পত্রটি লিখার পর সাক্ষাত করেন। কেননা তিনি দশম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইনতিকালের পূর্বে নাজরান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। আর এ হাদীস সম্বন্ধে আমাদের কাছে এরূপ কোন বর্ণনা নেই যে, মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম এ হাদীসটি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং এ হাদীসটির বিচ্ছিন্নতা এতে প্রমাণিত হয়। আর তােমরা বিচ্ছিন্ন হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ কর না। আরাে প্রমাণিত হল যে, এ অনুচ্ছেদে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এ সম্পর্ক যা কিছু বর্ণিত হয়েছে তা মুনকাতি বা বিচ্ছিন্ন। তােমরা এ অনুচ্ছেদ ব্যতীত অন্য জায়গায়ও বিচ্ছিন্ন হাদীস দ্বারা দলীল নেয়া তােমাদের প্রতিপক্ষের জন্য সংগত মনে কর না। তাহলে এ অনুচ্ছেদে এটা দিয়ে তােমরা কেমন করে দলীল পেশ করছ? যদি অন্য কোন এক জায়গায় বিচ্ছিন্নতাসম্পন্ন হাদীসকে কবুল করার জন্যে অন্তরায় হয়, তাহলে অন্যসব জায়গায়ও এ বিচ্ছিন্ন হাদীস গ্রহণে অন্তরায় হওয়া উচিত। আবার যদি কোন ক্ষেত্রে নির্ভরযােগ্য ব্যক্তির কারণে বিচ্ছিন্ন হাদীসকে গ্রহণ করতে হয়, তাহলে অন্যসব ক্ষেত্রেও তা গ্রহণ করা উচিত।

যদি কেউ বলেন, আমর ইবন হাযমের হাদীসটি বিভ্রান্তিমূলক ও বিরােধপূর্ণ। তাই বিভিন্ন দলের কারাে জন্যে এ হাদীসটি দলীল হওয়ার যােগ্য নয়; বরং অন্য বর্ণনাকারী থেকে এ অনুচ্ছেদে যা বর্ণিত হয়েছে, তা এ থেকে উত্তম । উত্তরে তাকে বলা যায় যে, আমর ইবন হাযমের হাদীসটি কেমন করে বিভ্রান্তিমূলক ও বিরােধপূর্ণ হতে পারে? কেননা কায়স ইবন সা'দ, আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, আর কায়সের বর্ণনা দলীল হিসেবে গ্রহণযােগ্য এবং তিনি হাদীসের হাফিয বা সংরক্ষণকারী। তবে যুহরীর হাদীস যা এ বর্ণনাটির বিপরীত, তা যুহরী থেকে এমন বর্ণনাকারীগণ বর্ণনা করেছেন তােমাদের কাছে বিদ্যমান তাদের দুর্বলতার জন্যে তাদের বর্ণনা তােমরা গ্রহণ কর না। আর মামারের হাদীস, তিনি তা আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আবু বকর হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, কিন্তু আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু বকর দৃঢ়তা ও গ্রহণযােগ্যতার ক্ষেত্রে কায়স ইবন সা'দের সমতুল্য নন।
7409 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، قَالَ: قَالَ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ: «إِذَا زَادَتِ الْإِبِلُ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ , رُدَّتْ إِلَى أَوَّلِ الْفَرْضِ» فَإِنِ احْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ لِمَذْهَبِهِمْ , فَقَالُوا: مَعْنَى الْآثَارِ الْمُتَّصِلَةِ شَاهِدَةٌ لِقَوْلِنَا , وَلَيْسَ ذَلِكَ مَعَ مُخَالِفِنَا. قِيلَ لَهُمْ: أَمَّا عَلَى مَذْهَبِكُمْ فَأَكْثَرُهَا لَا يَجِبُ لَكُمْ بِهِ الْحُجَّةُ عَلَى مُخَالِفِكُمْ ; لِأَنَّهُ لَوِ احْتَجَّ عَلَيْكُمْ بِمِثْلِ ذَلِكَ , لَمْ تُسَوِّغُوهُ إِيَّاهُ , وَلَجَعَلْتُمُوهُ بِاحْتِجَاجِهِ بِذَلِكَ عَلَيْكُمْ , جَاهِلًا بِالْحَدِيثِ. فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ حَدِيثَ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ , إِنَّمَا وَصَلَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُثَنَّى وَحْدَهُ , لَا نَعْلَمُ أَحَدًا وَصَلَهُ غَيْرَهُ. وَأَنْتُمْ لَا تَجْعَلُونَ عَبْدَ اللهِ بْنَ الْمُثَنَّى حُجَّةً. ثُمَّ قَدْ جَاءَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , وَقَدْرُهُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْعِلْمِ أَجَلُّ مِنْ قَدْرِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُثَنَّى , وَهُوَ مِمَّنْ يُحْتَجُّ بِهِ , فَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثُمَامَةَ مُنْقَطِعًا. فَكَانَ يَجِيءُ عَلَى أُصُولِكُمْ , أَنْ يَكُونَ هَذَا الْحَدِيثُ , يَجِبُ أَنْ يَدْخُلَ فِي مَعْنَى الْمُنْقَطِعِ , وَيَخْرُجَ مِنْ مَعْنَى [ص:378] الْمُتَّصِلِ ; لِأَنَّكُمْ تَذْهَبُونَ إِلَى أَنَّ زِيَادَةَ غَيْرِ الْحَافِظِ عَلَى الْحَافِظِ , غَيْرُ مُلْتَفَتٍ إِلَيْهَا. وَأَمَّا حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , فَإِنَّمَا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ. وَقَدْ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي دَاوُدَ , يَقُولُ: سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ هَذَا وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْحَرَّانِيُّ عِنْدَهُمْ , ضَعِيفَانِ جَمِيعًا. وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الَّذِي يَرْوِي عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عِنْدَهُمْ , ثَبْتٌ. وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى وَهَاءِ هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ أَصْحَابَ الزُّهْرِيِّ الْمَأْخُوذُ عِلْمُهُ عَنْهُمْ , مِثْلِ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ , وَمَنْ رَوَى عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي ذَلِكَ شَيْئًا , إِنَّمَا رَوَى عَنْهُ الصَّحِيفَةَ , الَّتِي عِنْدَ آلِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. أَفَتَرَى الزُّهْرِيَّ , يَكُونُ فَرَائِضُ الْإِبِلِ عِنْدَهُ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ , وَهُمْ جَمِيعًا أَئِمَّةٌ وَأَهْلُ عِلْمٍ مَأْخُوذٌ عَنْهُمْ فَيَسْكُتُ عَنْ ذَلِكَ , وَيَضْطَرُّهُ الْأَمْرُ إِلَى الرُّجُوعِ إِلَى صَحِيفَةِ عُمَرَ غَيْرِ مَرْوِيَّةٍ , فَيُحَدِّثُ النَّاسَ بِهَا؟ هَذَا عِنْدَنَا , مِمَّا لَا يَجُوزُ عَلَى مِثْلِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ حَدِيثَ مَعْمَرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , حَدِيثٌ مُتَّصِلٌ , لَا مَطْعَنَ لِأَحَدٍ فِيهِ. قِيلَ لَهُ: مَا هُوَ بِمُتَّصِلٍ ; لِأَنَّ مَعْمَرًا إِنَّمَا رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ , وَجَدُّهُ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , وَهُوَ لَمْ يَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا وُلِدَ إِلَّا بَعْدَ أَنْ كَتَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا الْكِتَابَ , لِأَبِيهِ ; لِأَنَّهُ إِنَّمَا وُلِدَ بِنَجْرَانَ , قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَةَ عَشْرٍ مِنَ الْهِجْرَةِ , وَلَمْ يَنْقُلْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِلَيْنَا أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ. فَقَدْ ثَبَتَ انْقِطَاعُ هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا , وَالْمُنْقَطِعُ أَنْتُمْ لَا تَحْتَجُّونَ بِهِ. فَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ كُلَّ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْبَابِ مُنْقَطِعٌ. فَإِنْ كُنْتُمْ لَا تُسَوِّغُونَ لِمُخَالِفِكُمُ الِاحْتِجَاجَ بِالْمُنْقَطِعِ , فِي غَيْرِ هَذَا الْبَابِ , فَلِمَ تَحْتَجُّونَ عَلَيْهِ , فِي هَذَا الْبَابِ؟ فَلَئِنْ وَجَبَ أَنْ يَكُونَ عَدَمُ الِاتِّصَالِ فِي مَوْضِعٍ مِنَ الْمَوَاضِعِ , يُزِيلُ قَبُولَ الْخَيْرِ , إِنَّهُ لَيَجِبُ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هُوَ , فِي كُلِّ الْمَوَاضِعِ. وَلَئِنْ وَجَبَ أَنْ يُقْبَلَ الْخَبَرُ , وَإِنْ لَمْ يَتَّصِلْ إِسْنَادُهُ ; لِثِقَةِ مَنْ صَمَدَ بِهِ إِلَيْهِ فِي بَابٍ وَاحِدٍ , إِنَّهُ لَيَجِبُ أَنْ يُقْبَلَ فِي كُلِّ الْأَبْوَابِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: أَمَّا حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , فَقَدِ اضْطَرَبَ وَاخْتُلِفَ فِيهِ , فَلَا حُجَّةَ فِيهِ لِوَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَاتِ , وَغَيْرُهُ مِمَّا رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ أَوْلَى مِنْهُ. قِيلَ لَهُ: وَمِنْ أَيْنَ اضْطَرَبَ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ؟ أَمَّا قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ , قَدْ رَوَاهُ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا عَنْهُ , وَقَيْسٌ , حُجَّةٌ حَافِظٌ. [ص:379] وَأَمَّا حَدِيثُ الزُّهْرِيِّ الَّذِي خَالَفَهُ , فَإِنَّمَا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , مَنْ لَا تَقْبَلُونَ أَنْتُمْ رِوَايَتَهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ ; لِضَعْفِهِ , عِنْدَكُمْ. وَأَمَّا حَدِيثُ مَعْمَرٍ , فَإِنَّمَا رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , وَعَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ لَيْسَ فِي الثَّبْتِ وَالْإِتْقَانِ كَقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৪১০
একশ বিশটির অধিক বিচরণকারী উটের যাকাত ধার্য প্রসঙ্গ
৭৪১০। ইমাম আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া ইবন উসমান (রাহঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ইবনুল ওয়াসীর (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আশ-শাফিঈ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমরা যখন কাউকে চারজনের কোন একজন থেকে হাদীস লিখতে দেখতাম যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু বকর অন্তর্ভুক্ত, তখন আমরা তাকে বিদ্রুপ করতাম। কেননা তারা হাদীস সম্বন্ধে গ্রহণযােগ্য জ্ঞান রাখে না। সুতরাং আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু বকর যখন হাদীস সংরক্ষণ ও হৃদয়ঙ্গম সম্পর্কে কায়সের সমতুল্য নন, তখন কায়সের বর্ণিত হাদীসটি আমাদের কাছে বিশেষভাবে গ্রহণযােগ্য। কায়স (রাহঃ) উল্লেখ করেছেন যে, আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ এ হাদীসটিকে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত।
7410 - وَلَقَدْ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ , قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ الْوَزِيرِ يَقُولُ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: «كُنَّا إِذَا رَأَيْنَا الرَّجُلَ يَكْتُبُ الْحَدِيثَ عَنْ وَاحِدٍ مِنْ أَرْبَعَةٍ , ذَكَرَ فِيهِمْ , عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ , سَخِرْنَا مِنْهُ ; لِأَنَّهُمْ كَانُوا , لَا يَعْرِفُونَ الْحَدِيثَ» فَلَمَّا لَمْ يُكَافِئْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , قَيْسًا , فِي الضَّبْطِ , وَالْحِفْظِ , صَارَ الْحَدِيثُ عِنْدَنَا , عَلَى مَا رَوَاهُ قَيْسٌ , لَا سِيَّمَا , وَقَدْ ذَكَرَ قَيْسٌ أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدٍ , كَتَبَهُ لَهُ , وَاللهُ أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান