শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৩৪৯
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৪৯। ইবরাহীম ইন মারক (রাহঃ)....আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুলামাসাহ ও মুনাবাযহ বিক্রি হতে নিষেধ করেছেন। (মুলামাসাহ এমন বিক্রিকে বলা হয় যেখানে ক্রেতা কোন জিনিসকে না দেখে শুধু স্পর্শ করে খরিদ করে থাকে। মুনাবাযহ বিক্রি এমন বিক্রিকে বলা হয় যেখানে ক্রেতা কোন একটি দ্রব্যের উপর অন্য একটি দ্রব্য নিক্ষেপ করে দেখা ব্যহত দ্রব্যটি ক্রয় করে থাকে)।
بَابُ شِرَاءِ الشَّيْءِ الْغَائِبِ
7349 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ بْنِ الْقَاسِمِ الْيَمَامِيُّ قَالَ: ثنا أَبِي عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُلَامَسَةِ وَالْمُنَابَذَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫১
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫০-৫১। ইউনুস (রাহঃ)....আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন -

ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া আল-মুযানী (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
7350 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

7351 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫১
empty
৭৩৫১।
7351 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৩
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫২-৫৩। ইউনুস (রাহঃ) পেশ করেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।

রাবী ইবন সুলায়মান আল-জ্বীযী ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যদি কোন ব্যক্তি কোন বস্তু দেখা ব্যতীত খরিদ করে, তাহলে তার এ বস্তুটি কোন-বেচা শুদ্ধ হবে না। তারা এ সম্পর্কে উপরােক্ত হাদীসটির নিম্নরূপ ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন, মুলামাসাহ হল এমন একটি বেচা-কেনা যেখানে ক্রেতা কোন একটি দ্রব্যকে না দেখে নিজ হাতে স্পর্শ করে খরিদ করে। তারা আরাে বলেন, মুনাবাযাহও এ ধরনের একটি বিক্রি, এখানে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে বলে, তুমি আমার কাছে তােমার কাপড়টি নিক্ষেপ কর, আমিও তােমার কাছে আমার কাপড়টি নিক্ষেপ করব এ শর্তে যে, প্রত্যেকটি দ্রব্যই তার অন্য সাথীর জন্য বিক্রিত পণ্য হিসিবে বিবেচিত হবে কিন্তু তাদের দু’জনের একজনও ক্রয়কৃত দ্রব্যটির প্রতি দৃষ্টি দেয়নি। হাদীসের উপরােক্ত ব্যাখ্যাটি যারা উপস্থাপন করেছেন, তাদের মধ্যে হযরত মালিক ইবন আনাস (রাহঃ) অন্যতম।
এ ব্যাপারে অন্য একদল আলিম তাদের বিরােধিতা করে বলেন, যে ব্যক্তি কোন অদৃষ্ট দ্রব্য ক্রয় করবে, তবে এ ক্রয়-বিক্রয় হবে বৈধ, তবে তার জন্যে দৃষ্টির ইখতিয়ার বিদ্যমান থাকবে। দ্রব্যটি দেখার পর সে ইচ্ছে করলে তা গ্রহণ করতে পারবে আর ইচ্ছে করলে তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারবে। তারা উপরােল্লেখিত প্রথম হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেন যে, নিষিদ্ধ মুলামাসাহ ক্রয়-বিক্রয় জাহিলিয়াতের যুগে প্রচলিত ছিল। তারা নিজেদের মধ্যে এরূপ বেচা-কেনা করত। তাদের দু' ব্যক্তি একটি কাপড় সম্বন্ধে সন্তুষ্ট চিত্তে সিদ্ধান্ত নিত যে, যদি ক্রেতা এ কাপড়টি স্পর্শ করে, তাহলে স্পর্শের মাধ্যমে সে ঐ বস্তুটির ক্রেতা হয়ে যাবে। আর প্রতিপক্ষের উপর ঐ দ্রব্যটি হস্তান্তর করা ওয়াজিব হয়ে পড়বে।
অনুরূপভাবে মুনাবাযাহ বিক্রির ক্ষেত্রেও তারা কোন একটি কাপড় বা এ ধরনের বস্তু সম্পর্কে এরূপ কথাবার্তা বলত। অতঃপর দ্রব্যটির মালিক এ দ্রব্যটি যার সাথে বিক্রির কথা বলা হয়েছিল, তার কাছে ঐ দ্রব্যটি নিক্ষেপ করামাত্র বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে যেত । এরপর এ বিক্রিকে ভঙ্গ করার অধিকার তার থাকত না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ ধরনের বিক্রি থেকে নিষেধ করেছেন এবং সকল ধরনের বিক্রিতে উভয় পক্ষের সম্মতির শর্ত আরােপ করেছেন এবং বলেছেন, ক্রেতা ও বিক্রেতা বেচাকেনা সম্পর্কে একে অন্য থেকে পৃথক না হওয়া পর্যন্ত ইখতিয়ার থাকবে।

সুতরাং একে অন্য থেকে পৃথক হওয়ার পূর্বে একে অন্যের প্রতি কাপড় নিক্ষেপণ ইখতিয়ারকে ভঙ্গ করতে পারে না। অতঃপর ক্রেতা বিক্রেতার এ পৃথক হওয়ার ধরন সম্পর্কে উলামায়ে কিরাম মতবিরােধ করেন। আর এ সম্বন্ধে আমি এ কিতাবের অন্য জায়গায় বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেছি। উপরােক্ত ব্যাখ্যা যারা সমর্থন করেছেন তাদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) অন্যতম। এ ব্যাপারে উলামায়ে কিরাম যখন বিরােধিতার আশ্রয় নিয়েছেন, তখন আমরা ইচ্ছে করলাম গবেষণার আশ্রয় নিতে যে, এ সম্পর্কে এ ছাড়া অন্য কোন হাদীস পাওয়া যায় কিনা,
যা উপরােক্ত দুইটি অভিমতের যে কোন একটিকে সমর্থন করবে। এ সম্পর্কে গবেষণার পর আমরা নিম্নবর্ণিত হাদীসটি খুঁজে পেলাম :
7352 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
7353 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا حَسَّانُ بْنُ غَالِبٍ، وَيَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيُّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا ابْتَاعَ مَا لَمْ يَرَهُ لَمْ يَجُزِ ابْتِيَاعُهُ إِيَّاهُ , وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى تَأْوِيلٍ تَأَوَّلُوهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. فَقَالَ: الْمُلَامَسَةُ مَا لَمَسَهُ مُشْتَرِيهِ بِيَدِهِ , مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهِ بِعَيْنِهِ. قَالُوا: وَالْمُنَابَذَةُ هِيَ: مِنْ هَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا وَهُوَ قَوْلُ الرَّجُلِ لِلرَّجُلِ انْبِذْ إِلَيَّ ثَوْبَكَ , وَأَنْبِذُ إِلَيْكَ ثَوْبِي عَلَى أَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَبِيعٌ لِصَاحِبِهِ مِنْ غَيْرِ نَظَرٍ مِنْ كُلِّ وَاحِدٍ مِنَ الْمُشْتَرِيَيْنِ إِلَى ثَوْبِ صَاحِبِهِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا التَّأْوِيلِ , مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ رَحِمَهُ اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنِ اشْتَرَى شَيْئًا غَائِبًا عَنْهُ , فَالْبَيْعُ جَائِزٌ , وَلَهُ فِيهِ خِيَارُ الرُّؤْيَةِ , إِنْ شَاءَ أَخَذَهُ , وَإِنْ شَاءَ تَرَكَهُ وَذَهَبُوا فِي تَأْوِيلِ الْحَدِيثِ. الْأَوَّلِ إِلَى أَنَّ الْمُلَامَسَةَ الْمَنْهِيَّ عَنْهَا فِيهِ هِيَ: بَيْعٌ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَتَبَايَعُونَهُ فِيمَا بَيْنَهُمْ فَكَانَ الرَّجُلَانِ يَتَرَاوَضَانِ عَلَى الثَّوْبِ , فَإِذَا لَمَسَهُ [ص:361] الْمُسَاوِمُ بِهِ , كَانَ بِذَلِكَ مُبْتَاعًا لَهُ , وَوَجَبَ عَلَى صَاحِبِهِ تَسْلِيمُهُ إِلَيْهِ. وَكَذَلِكَ الْمُنَابَذَةُ , كَانُوا أَيْضًا يَتَقَاوَلُونَ فِي الثَّوْبِ , وَفِيمَا أَشْبَهَهُ , ثُمَّ يَرْمِيهِ رَبُّهُ إِلَى الَّذِي قَاوَلَهُ عَلَيْهِ. فَيَكُونُ ذَلِكَ بَيْعًا مِنْهُ إِيَّاهُ ثَوْبَهُ , وَلَا يَكُونُ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ نَقْضُهُ. فَنَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ وَجَعَلَ الْحُكْمَ فِي الْبِيَاعَاتِ أَنْ لَا يَجِبَ إِلَّا بِالْمُعَاقَدَاتِ الْمُتَرَاضَى عَلَيْهَا. فَقَالَ: الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا. فَجَعَلَ إِلْقَاءَ أَحَدِهِمَا إِلَى صَاحِبِهِ الثَّوْبَ , قَبْلَ أَنْ يُفَارِقَهُ غَيْرَ قَاطِعٍ لِخِيَارِهِ. ثُمَّ اخْتَلَفَ النَّاسُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي كَيْفِيَّةِ تِلْكَ الْفُرْقَةِ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا التَّأْوِيلِ , أَبُو حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ أَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا سِوَى هَذَا الْحَدِيثِ مِنَ الْأَحَادِيثِ , هَلْ فِيهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَحَدِ الْقَوْلَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৩
empty
৭৩৫৩।
7353 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৪
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫৪। ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আস-সাইরাফী (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কালাে হওয়ার পূর্বে আঙুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং শস্যদানা শক্ত হওয়ার পূর্বে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।

এ হাদীসে বুঝা যায় যে, শস্যদানা তার খােসার মধ্যে শক্ত হওয়ার পর বিক্রি করা মুবাহ। কেননা যদি এটা মুবাহ হতাে তাহলে রাসূলুল্লাহ্ বলতেন যে, শস্যদানা যতক্ষণ পর্যন্ত তার খােসায় শক্ত ও শুকিয়ে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্রি শুদ্ধ হবে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার শক্ত হওয়ার শর্ত আরােপ করেছেন। তাতে বুঝা যায় যে, শক্ত হওয়ার পর বিক্রিটা শক্ত হওয়ার পূর্বের বিক্রি হতে ভিন্নরূপ। সুতরাং অবিক্রিত খােসার মধ্যে অদৃষ্ট শস্যদানা বিক্রি বৈধ হওয়ার কারণে ক্রেতা বিক্রেতার কাছে অদৃষ্ট বস্তুর বেচাকেনা বৈধ হিসেবে প্রমাণিত হয়। তবে শর্ত হল যে, ক্রেতা বিক্রেতা দুইজনেই বস্তুটির নির্ধারণের প্রতি ধাবমান বলে পরিলক্ষিত হতে হবে। যেমন খােসার মধ্যে অদৃষ্ট শস্যদানা নির্দিষ্ট শস্যদানার দিকে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই ধাবমান বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এ ধরনের বিষয় সম্পর্কে আমাদের কাছে উত্তম সিদ্ধান্ত হল এই যে, এ ধরনের হাদীসের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে অবগত হওয়ার পর যদি অন্য কোন সমর্থনপুষ্ট কিংবা বিরােধপূর্ণ হাদীস পাওয়া যায়, তা হলে সমর্থনপুষ্ট হাদীসকে গ্রহণ করতে হয়, বিরােধপূর্ণ হাদীস নয়।
7354 - فَإِذَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيُّ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْعِنَبِ حَتَّى يَسْوَدَّ , وَعَنْ بَيْعِ الْحَبِّ حَتَّى يَشْتَدَّ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى إِبَاحَةِ بَيْعِهِ بَعْدَمَا يَشْتَدُّ وَهُوَ فِي سُنْبُلِهِ , لِأَنَّهُ لَوْ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ كَذَلِكَ لَقَالَ حَتَّى يَشْتَدَّ وَيَبْرَأَ مِنْ سُنْبُلِهِ. فَلَمَّا جَعَلَ الْغَايَةَ فِي الْبَيْعِ الْمَنْهِيِّ عَنْهُ , هِيَ شِدَّتُهُ وَيُبُوسَتُهُ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْبَيْعَ بَعْدَ ذَلِكَ بِخِلَافِ مَا كَانَ عَلَيْهِ فِي الْبَدْءِ. فَلَمَّا جَازَ بَيْعُ الْحَبِّ الْمُغَيَّبِ فِي السُّنْبُلِ , الَّذِي لَمْ يَبِعْ , دَلَّ هَذَا عَلَى جَوَازِ بَيْعِ مَا لَا يَرَاهُ الْمُتَبَايِعَانِ , إِذَا كَانَا يَرْجِعَانِ مَعَهُ إِلَى مَعْلُومٍ , كَمَا يَرْجِعَانِ مِنَ الْحِنْطَةِ الْمَبِيعَةِ الْمُغَيَّبَةِ فِي السُّنْبُلِ إِلَى حِنْطَةٍ مَعْلُومَةٍ. وَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا فِي مِثْلِ هَذَا إِذْ كُنَّا قَدْ وَقَفْنَا عَلَى تَأْوِيلِ هَذَا الْحَدِيثِ , وَاحْتَمَلَ الْحَدِيثُ الْآخَرُ , مُوَافَقَتَهُ , أَوْ مُخَالَفَتَهُ أَنْ نَحْمِلَهُ عَلَى مُوَافَقَتِهِ , لَا عَلَى مُخَالَفَتِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৫৬
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫৫-৫৬। ইউনুস (রাহঃ) ..... ইবুন শিহাব (রাহঃ) হতে মুলামাসাহ ও মুনাবাযাহর ব্যাখ্যা সম্বন্ধে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের লােকেরা দ্রব্যের প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে এবং এগুলাে সম্বন্ধে সঠিক সংবাদ না নিয়ে বেচাকেনা করত। আর মুনাবাযাহ হল এই যে, আমাদের সম্প্রদায়ের লােকেরা পণ্যের প্রতি দৃষ্টি না করে এবং এগুলাে সম্বন্ধে সংবাদ না নিয়ে পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে পণ্য একে অন্যের কাছে নিক্ষেপ করত। আর এ ধরনের কাজ ছিল জুয়াখেলার অন্তর্ভুক্ত।


ইউনুস (রাহঃ) ….. রাবীয়া (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এরূপ বিক্রি ছিল জুয়া খেলার অন্তর্ভুক্ত। তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরূপ বিক্রিকে নিষেধ করেছেন।

এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী ইমাম যুহরী (রাহঃ) যে পণ্যের সংবাদ নেয়া হয়েছে, যদিও ক্রেতা নিজ চোখে দেখে নাই এরূপ পণ্যের কেনাবেচার অনুমতি দিয়েছেন। তাতে প্রমাণিত হয় যে, অদৃষ্ট দ্রব্যের কেনাবেচা বৈধ। যদি কেউ বলেন, এ অনুচ্ছেদের প্রথমে উল্লেখিত নিষিদ্ধ বিক্রির ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে তােমরা কেমন করে অদৃষ্ট বস্তুর কেনাবেচা বৈধ করলে, অথচ পণ্যটি হল অনির্দিষ্ট। তাকে উত্তরে বলা যায় যে, পণ্যটি প্রকৃতপক্ষে অনির্দিষ্ট নয়, কেননা যখন এটার সংবাদ নেয়া হয়েছে, তখন তা নির্দিষ্ট হিসেবে গণ্য। যেমন, গমকে তার খােসার মধ্যে বিক্রি করা। এটাও নির্দিষ্ট পণ্য হিসেবে গণ্য। এখানে অনির্দিষ্ট হল ক্রেতা ও বিক্রেতা, কিন্তু পণ্যটি প্রকৃতপক্ষে অনির্দিষ্ট নয়। যা প্রকৃতপক্ষে অনির্দিষ্ট, তার বেচাকেনা বৈধ নয়। যেমন কোন ব্যক্তি যদি নাম উল্লেখ করে খাদ্যের কিছু পরিমাণ অন্য ব্যক্তি হতে খরিদ করে, তাহলে এটা হবে অবৈধ। কেননা এই কিছু পরিমাণ নির্দিষ্ট নয় এবং নির্দিষ্ট হিসেবে গণ্য নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যদি কেউ নির্দিষ্ট খাদ্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাফী (পরিমাপের এককবিশেষ প্রায় পনের মণের সমান) কেনাবেচা করে, তাহলে এরূপ কেনাবেচা হবে বৈধ। কিন্তু যদি ক্রেতা ও বিক্রেতা ওযনের পরিমাণ না জানে, তাহলে এ ধরনের অজ্ঞতার জন্য বেচাকেনা বৈধ হবে । ক্রেতা ও বিক্রেতার ওযন সম্পর্কে জানা বিক্রির একটি অত্যাবশ্যক অঙ্গ হিসেবে গণ্য। এমন অদৃষ্ট বস্তুর বেচা-কেনা বৈধ হবে না যদি এর সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে সংবাদ না থাকে। এটাই হল এ অনুচ্ছেদে গবেষণার ফল। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।

আমাদের এ কিতাবের অন্য এক জায়গায় বর্ণনা করেছি যে, একদিন হযরত উসমান (রাযিঃ) ও হযরত তালহা (রাযিঃ) কূফায় অবস্থিত তাদের মালামাল কেনাবেচা করলেন। উসমান (রাযিঃ) বলেন, আমার ইখতিয়ার রয়েছে, কেননা আমি অদৃষ্ট বস্তু বিক্রি করেছি। তালহা (রাযিঃ) বলেন, আমার خيار রয়েছে, কেননা আমি অদৃষ্ট বস্তু খরিদ করেছি। তারা দু'জনই তখন জুবায়র ইব্‌ন মুতইম (রাযিঃ)-কে নিজেদের বিচারক মেনে নিলেন। তখন জুবায়র ইব্‌ন মুতইম (রাযিঃ) ফায়সালা করলেন যে, তালহা (রাযিঃ)-এর ইখতিয়ার আছে, উসমান (রাযিঃ)-এর নেই। এ তিনজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর অন্যান্য সাহাবীদের উপস্থিতিতে একমত হলেন যে, ক্রেতা ও বিক্রেতার ‘অদৃষ্ট’ বস্তুর বেচাকেনা বৈধ।
7355 - وَقَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ فِي تَفْسِيرِ الْمُلَامَسَةِ , وَالْمُنَابَذَةِ. قَالَ: " كَانَ الْقَوْمُ يَتَبَايَعُونَ السِّلَعَ , لَا يَنْظُرُونَ إِلَيْهَا , وَلَا يُخْبِرُونَ عَنْهَا. وَالْمُنَابَذَةُ: أَنْ يَتَنَابَذَ الْقَوْمُ السِّلَعَ , لَا يَنْظُرُونَ إِلَيْهَا , وَلَا يُخْبِرُونَ عَنْهَا , فَهَذَا مِنْ أَبْوَابِ الْقِمَارِ "
7356 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ: كَانَ هَذَا مِنْ أَبْوَابِ الْقِمَارِ , فَنَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " [ص:362] فَهَذَا الزُّهْرِيُّ وَهُوَ أَحَدُ مَنْ رُوِيَ عَنْهُ هَذَا الْحَدِيثُ قَدْ أَجَازَ لِلرَّجُلِ أَنْ يَشْتَرِيَ مَا قَدْ أُخْبِرَ عَنْهُ , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عَايَنَهُ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ ابْتِيَاعِ الْغَائِبِ. فَقَالَ قَائِلٌ: مِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى التَّأْوِيلِ الَّذِي قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ: مِنْ أَيْنَ أَجَزْتُمْ بَيْعَ الْغَائِبِ وَهُوَ مَجْهُولٌ؟ . قِيلَ لَهُ: مَا هُوَ بِمَجْهُولٍ فِي نَفْسِهِ , لِأَنَّهُ مَتَى رَجَعَ إِلَيْهِ , رَجَعَ إِلَى مَعْلُومٍ , فَهُوَ كَبَيْعِ الْحِنْطَةِ فِي سُنْبُلِهَا , الْمَرْجُوعِ مِنْهَا إِلَى حِنْطَةٍ مَعْلُومَةٍ. وَإِنَّمَا الْجَهْلُ فِي هَذَا هُوَ جَهْلُ الْبَائِعِ وَالْمُشْتَرِي , فَأَمَّا الْبَيْعُ فِي نَفْسِهِ فَغَيْرُ مَجْهُولٍ. وَإِنَّمَا الْمَجْهُولُ الَّذِي لَا يَجُوزُ بَيْعُهُ , هُوَ الْمَجْهُولُ فِي نَفْسِهِ الَّذِي لَا يَرْجِعُ مِنْهُ إِلَى مَعْلُومٍ , كَبَعْضِ طَعَامٍ غَيْرِ مُسَمًّى , بَاعَهُ رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ. فَذَلِكَ الْبَعْضُ , غَيْرُ مَعْلُومٍ , وَغَيْرُ مَرْجُوعٍ مِنْهُ إِلَى مَعْلُومٍ , فَالْعَقْدُ عَلَى ذَلِكَ غَيْرُ جَائِزٍ. وَقَدْ وَجَدْنَا الْبَيْعَ يَجُوزُ عَقْدُهُ عَلَى طَعَامٍ بِعَيْنِهِ عَلَى أَنَّهُ كَذَا وَكَذَا قَفِيزًا , وَالْبَائِعُ وَالْمُشْتَرِي , لَا يَعْلَمَانِ حَقِيقَةَ كَيْلِهِ. فَيَكُونُ مِنْ حُقُوقِ الْبَيْعِ وُجُوبُ الْكَيْلِ لِلْمُشْتَرِي عَلَى الْبَائِعِ , وَلَا يَكُونُ جَهْلُهُمَا بِهِ , وَيُوجِبُ وُقُوعَ الْبَيْعِ عَلَى كَيْلٍ مَجْهُولٍ , إِذَا كَانَا يَرْجِعَانِ مِنْ ذَلِكَ إِلَى كَيْلٍ مَعْلُومٍ. فَذَلِكَ الطَّعَامُ الْغَائِبُ إِذَا بِيعَ , وَالْمُشْتَرِي وَالْبَائِعُ بِهِ جَاهِلَانِ , لَا يَكُونُ جَهْلُهُمَا بِهِ يُوجِبُ وُقُوعَ الْعَقْدِ عَلَى شَيْءٍ مَجْهُولٍ , إِذَا كَانَا يَرْجِعَانِ مِنْهُ إِلَى طَعَامٍ مَعْلُومٍ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ رَوَيْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا أَنَّ عُثْمَانَ وَطَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا تَبَايَعَا مَالًا بِالْكُوفَةِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: لِي الْخِيَارُ , لِأَنِّي بِعْتُ مَا لَمْ أَرَ. وَقَالَ طَلْحَةُ: لِي الْخِيَارُ , لِأَنِّي ابْتَعْتُ مَا لَمْ أَرَ. فَحَكَّمَا رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , بَيْنَهُمَا جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ , فَقَضَى الْخِيَارَ لِطَلْحَةَ وَلَا خِيَارَ لِعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَاتَّفَقَ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَوَازِ بَيْعِ شَيْءٍ غَائِبٍ مِنْ بَائِعِهِ , وَعَنْ مُشْتَرِيهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৬
empty
৭৩৫৬।
7356 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৭
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫৭। ফাহদ (রাহঃ) ......... সালিম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবী, বনু আল-মুত্তালিব ইবন আব্দ মানাফের মিত্র, ইযদ শালুওয়াহ নামক স্থানের বাসিন্দা এক ব্যক্তি, আব্দুয়াই ইবন বুহায়না (রাযিঃ)-এর সাথে রীম নামক স্থানে অবস্থিত একটি যমীন কেনাবেচার জন্য গমন করেন। আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) তার থেকে যমীনটি ক্রয় করলেন এ শর্তে যে, আমরা যমীনটি দেখে
নিব। রীম মদীনা থেকে তিন মাইল দূরে একটি জায়গার নাম।

এখানে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবন বুহায়না (রাযিঃ) অদৃষ্ট বস্তু কেনাবেচা করলেন এবং এটাকে বৈধ বলে অভিমত পেশ করলেন।

যদি কেউ বলেন, এ বেচাকেনাটি বৈধ হয়েছিল, কেননা আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) ইখতিয়ারের শর্ত করেছিলেন। উত্তরে তাকে বলা যায়, এই ইখতিয়ারটি শর্ত হিসেবে আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর জন্যে কার্যকর ছিল না। যদি শর্ত হিসেবে কার্যকর হতাে তাহলে বিক্রিটাই বিনষ্ট হয়ে যেত।

আমরা কি লক্ষ্য করি নাই যে, কেউ যদি কারাে নিকট হতে একটি গােলাম কিংবা একটি যমীন অনির্দিষ্টকালের জন্যে خيار এর শর্তে খরিদ করে, তাহলে এ বিক্রিটা ফাসিদ বা বিনষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বর্ণিত হাদীসের মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে দেখার خيار আরােপ করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, যে خيار এর শর্ত করা হয়েছে , এ خيار এর কালে বেচাকেনা অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর এটা হল দেখার خيار যা তালহা (রাযিঃ) ও যুবায়র (রাযিঃ) গ্রহণ করেছেন এবং আমরাও তা উল্লেখ করেছি, তারা শর্তের خيار করেননি।
7357 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ " أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , رَكِبَ يَوْمًا مَعَ عَبْدِ اللهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ أَزْدِ شَنُوءَةَ , حَلِيفٌ لِبَنِي الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ وَهُوَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَرْضٍ لَهُ بِرِيمٍ. [ص:363] فَابْتَاعَهَا مِنْهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَلَى أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا وَرِيمٌ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى قَرِيبٍ مِنْ ثَلَاثِينَ مِيلًا فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , وَعَبْدُ اللهِ بْنُ بُحَيْنَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ قَدْ تَبَايَعَا مَا هُوَ غَائِبٌ عَنْهُمَا , وَرَأَيَا ذَلِكَ جَائِزًا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا جَازَ ذَلِكَ لِاشْتِرَاطِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , الْخِيَارَ. قِيلَ لَهُ: إِنَّ ذَلِكَ الْخِيَارَ لَمْ يَجِبْ لِابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ جِهَةِ الِاشْتِرَاطِ , وَلَوْ كَانَ مِنْ جِهَةِ الِاشْتِرَاطِ وَجَبَ , لَكَانَ الْبَيْعُ فَاسِدًا. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوِ اشْتَرَى مِنْ رَجُلٍ عَبْدًا , أَوْ أَرْضًا عَلَى أَنَّهُ بِالْخِيَارِ فِيهَا لَا إِلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ , أَنَّ الْبَيْعَ فَاسِدٌ. وَابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ لَمْ يَشْتَرِطْ خِيَارَ الرُّؤْيَةِ إِلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ ذَلِكَ الْخِيَارَ الَّذِي اشْتَرَطَهُ , هُوَ خِيَارٌ يَجِبُ لَهُ بِحَقِّ الْعَقْدِ وَهُوَ خِيَارُ الرُّؤْيَةِ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ طَلْحَةُ وَجُبَيْرٌ فِيمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُمَا , لَا خِيَارُ شَرْطٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৮
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫৮। ফাহদ (রাহঃ) ...... সালিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন বেচাকেনা করতাম তখন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের خيار থাকত যতক্ষণ না আমরা একে অন্য থেকে, পৃথক হতাম। আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) বলেন, একদিন উসমান (রাযিঃ) ও আমি বেচাকেনা করলাম, আমি আল-ওয়াদীতে অবস্থিত একটি বস্তুকে খায়বারে অবস্থিত তার একটি বস্তুর বিনিময়ে তার কাছে বিক্রয় করলাম।

বিক্রি করার পর আমি পশ্চাদগামী হতে লাগলাম । যেমন কোন ব্যক্তি পিছনের দিকে ফিরে যায় এ ভয়ে যে, আমরা পৃথক হওয়ার পূর্বেই হয়ত উসমান (রাযিঃ) বিক্রিটা নষ্ট করে দিতে পারেন।

এখানে উসমান (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) অদৃষ্ট বস্তুর বেচাকেনা করলেন এবং এটাকে বৈধ বলে গণ্য করেছেন। আর এ বিক্রিটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাহাবীদের চোখের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কেউ এটাকে খারাপ মনে করেননি এবং এটাকে কেউ প্রতিহতও করেননি।
7358 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: كُنَّا إِذَا تَبَايَعْنَا , كَانَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَّا بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقِ الْمُتَبَايِعَانِ. قَالَ: فَتَبَايَعْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ , فَبِعْتُهُ مَالًا لِي بِالْوَادِي , بِمَا لَهُ بِخَيْبَرَ. قَالَ: فَلَمَّا بَايَعْتُهُ , طَفِقْتُ أَنْكُصُ عَلَى عَقِبِي نَكْصَ الْقَهْقَرَى , خَشْيَةَ أَنْ يَتَرَادَنِيَ الْبَيْعَ عُثْمَانُ قَبْلَ أَنْ أُفَارِقَهُ " فَهَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ , وَعَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ قَدْ تَبَايَعَا مَا هُوَ غَائِبٌ عَنْهُمَا , وَرَأَيَا ذَلِكَ جَائِزًا , وَذَلِكَ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِمَا مُنْكِرٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৫৯
অদৃশ্য বস্তুর বেচাকেনা
৭৩৫৯। রাবী ইবুন সুলায়মান আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) …. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুই ধরনের বিক্রি হতে নিষেধ করেছেন। যদি এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির প্রতি মত কিংবা অমত প্রকাশ করা ব্যতীত বলে যে, তুমি আমার দিকে তােমার কাপড়টি নিক্ষেপ কর এবং আমিও তােমার দিকে আমার কাপড়টি নিক্ষেপ করব। অথবা কোন ব্যক্তি যদি অন্য এক ব্যক্তিকে মত কিংবা অমত প্রকাশ করা ব্যতীত বলে আমার জানােয়ারটি তােমার জানােয়ারের বিনিময়ে বিক্রি করলাম।

এ হাদীসে বুঝা যায়, বিক্রির ক্ষেত্রে উভয়ের মতামত অপরিহার্য। আবার এটাও বুঝা যায় যে, নিষিদ্ধকৃত ও মুনাবাযাহ যেটাকে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) মনে করেন, তার বিপক্ষে যেটা মনে করে সেটা নয়।
7359 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ انْبِذْ إِلَيَّ ثَوْبَكَ , وَأَنْبِذُ إِلَيْكَ ثَوْبِي مِنْ غَيْرِ أَنْ يَقْلِبَا أَوْ يَتَرَاضَيَا. وَيَقُولُ دَابَّتِي بِدَابَّتِكَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَقْلِبَا , أَوْ يَتَرَاضَيَا» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , إِجَارَةُ الْبَيْعِ بِالتَّرَاضِي , وَدَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْمُنَابَذَةَ الْمَنْهِيَّ عَنْهَا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مُخَالِفُهُ , وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান