শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৩৪৭
মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করা
৭৩৪৭। ইউনুস (রাহঃ)..... আমর ইবন শুয়ায়ব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা ও তিনি তার দাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করতে, বাণিজ্য পণ্য বিক্রি করতে এবং সালাত আদায়ের পূর্বে হালকাবন্দী হয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।

আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করাকে অপসন্দ করেন এবং তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।

অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন এবং তারা মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করাকে কোন ক্ষতিকর কাজ বলে মনে করেন না। তবে শর্ত হল পঠিত কবিতাটির বর্ণনা ও মসজিদ ব্যতীত অন্য জায়গায় আবৃত্তি করা যেন ক্ষতিকর না হয়। এ ব্যাপারে তারা নিম্নবর্ণিত বর্ণনাটি পেশ করেন। অন্য এক জায়গায়ও বর্ণনা করা হয়েছে যে, কবি হাসান (রাযিঃ)-এর জন্যে মসজিদে একটি মিম্বর তৈরী করা হয়েছিল যার উপর উপবিষ্ট হয়ে তিনি কবিতা আবৃত্তি করতেন। হাসসান (রাযিঃ) হতে আমরা অন্য একটি হাদীস বর্ণনা করেছি। একদিন হযরত উমর (রাযিঃ) হাসসান (রাযিঃ)-এর কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন, তিনি মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করছেন। তখন তিনি কবিকে ধমক দিলেন। হাসসান (রাযিঃ) হযরত উমর (রাযিঃ)-কে বলেন, “আমি এ মসজিদে আপনার থেকে উত্তম ব্যক্তির জন্যে কবিতা আবৃত্তি করতাম।” আর এ কবিতা আবৃত্তির ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবীদের সম্মুখে সংঘটিত হয়েছিল। তাদের কেউ এটাকে প্রত্যাখ্যান করেননি। এমনকি হযরত উমর (রাযিঃ)-ও এটাকে আর প্রতিহত করেননি।

এ অনুচ্ছেদের প্রথমে ইউনুস (রাহঃ)-এর বর্ণিত যে হাদীসটি আমরা উল্লেখ করেছি, তাতে এমন কবিতার কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক উদ্দেশ্য হতে পারে যা মসজিদে আবৃত্তি করা নিষিদ্ধ হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে কুরায়শগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দুর্নাম রটাত। আবার এতে এমন কবিতাও হতে পারে যেটার মাধ্যমে মহিলাদের রূপ ও লাবণ্য চর্চা করা হতাে এবং অর্থ সংগ্রহ করা হতাে। এ সম্বন্ধে কাবার চারদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীগণ কর্তৃক কবিতা আবৃত্তিকে যখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) অপসন্দ করেছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের মধ্য থেকে আনসারদের প্রতিউত্তরে কবিতা বর্ণনার অনুচ্ছেদে আমরা বর্ণনা করেছি। আবার এটা এমন কবিতাও হতে পারে যা মসজিদে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। যারা মসজিদে রয়েছে তাদের সকলে কিংবা তাদের অধিকাংশই কবিতায় এমনভাবে বিভাের হয়ে পড়ে যেমন ইব্ন আয়েশা (রাযিঃ) ও আবু উবায়দ (রাযিঃ) এটাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মন্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তােমাদের মধ্যে কেউ কবিতা দ্বারা পেটপূর্ণ করা হতে পুঁজ দ্বারা পেটপূর্ণ করাকে উত্তম বলে মনে করবে। এ সম্পর্কে অন্য জায়গায় আমরা বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেছি।

কাজেই এ হাদীসে যে কবিতার কথা বলা হয়েছে, তা হল বিশেষ করে নিষিদ্ধ কবিতার ব্যাপারে। যার মধ্যে আমাদের উল্লেখিত তিনটি দূষণীয় বস্তু বিদ্যমান থাকে। হাদীসের এরূপ অর্থ গ্রহণ করা হলে এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত ঐ হাদীসটির বিপরীত হবে না যেখানে বলা হয়েছে যে, মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করা মুবাহ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পর তার সাহাবীগণ এর উপর আমল করেছেন।

যদি কেউ বলেন যে, বিষয়টি যদি এরূপ হয়ে থাকে যেরূপ তুমি উল্লেখ করেছ, তাহলে মসজিদের কথা কেন বলা হল ? কেননা যে কবিতায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হয়েছে, যে কবিতায় নারীদের রূপচর্চা করা হয়েছে এবং যার দ্বারা অবৈধভাবে অর্থসংগ্রহ করা হয়ে থাকে, তা মসজিদ ব্যতীত অন্যান্য জায়গায়ও আবৃত্তি করা অপসন্দনীয়। যদি তুমি যা উল্লেখ করেছ ব্যাপারটি তাই হয়ে থাকে, তাহলে এখানে মসজিদের কথা উল্লেখ করার কি অর্থ থাকতে পারে ? উত্তরে বলা যায় যে, অধিকাংশ সময় একটি বিশেষ অর্থ উল্লেখপূর্বক কোন একটি বাক্য ব্যবহার করা হয় কিন্তু অর্থটির সাথেই বাক্যটি বিশেষভাবে জড়িত হয় না; বরং এটি প্রসঙ্গক্রমে প্রচলিত প্রথার একটি উল্লেখমাত্র। এটার একটি উদাহরণ হল আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন :وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ

“(বিবাহের ক্ষেত্রে তােমাদের জন্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে) তােমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে তুমি সংগত হয়েছ। তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যা, যারা তােমাদের অভিভাবকত্বে আছে, তবে যদি তাদের সাথে সংগত হয়ে থাক তাতে তােমাদের কোন অপরাধ নেই।” (সূরা ৪ : ২৩)

পালিত সন্তানের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যা পালকের অভিভাবকত্বে রয়েছে। এ অভিভাবকত্ব কথাটির এখানে কোন বিশেষত্ব নেই; কেননা পালকের অভিভাবকত্বে না থাকলেও এ কন্যার সাথে বিবাহ বৈধ নয়। তাই অভিভাবকত্বের কথাটি প্রসঙ্গক্রমে প্রচলিত প্রথার একটি উল্লেখমাত্র। আমরা কি লক্ষ্য করি নাই যে, যদি কন্যাটি তার থেকে বয়সে বড় হয়, তাহলেও সে তার জন্যে হারাম। যেমন তার অভিভাবকত্বে ছােট অবস্থায় থাকলে হারাম বলে গণ্য হয়ে থাকে। আল্লাহ্ তা'আলা শিকার সম্বন্ধেও বলেন :وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ

“তােমাদের মধ্যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা বধ করলে যা বধ করল তার বিনিময় হচ্ছে অনুরূপ গৃহপালিত
জন্তু।” (সূরা ৫ : ৯৫)

উলামায়ে কিরামের মধ্যে কিছুসংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া সকলে একমত যে, বিনিময় ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে ভুলক্রমে এটার বধও ইচ্ছাকৃতভাবে বধ করার ন্যায়। সুতরাং উপরােক্ত দুটো আয়াতে উল্লেখিত বিষয়টি বিশেষ হুকুমকে প্রমাণ করে না। অনুরূপভাবে আমরা যে মসজিদের মধ্যে নিষিদ্ধকৃত কবিতার আবৃত্তির কথা উল্লেখ করেছি, তাতে এ হুকুমের সাথে মসজিদের বিশেষত্বের কথা প্রমাণিত হয় না। অনুরূপভাবে মসজিদের মধ্যে যে বেচাকেনা নিষেধ করা হয়েছে। এটা হল এমন ধরনের বেচাকেনা যা সাধারণভাবে পরিলক্ষিত হয় কিংবা এটাকে সামাল দেয়া কষ্টকর মনে হয়, যেন মসজিদে বাজার লেগে গেছে। এরূপ হওয়াটা অত্যন্ত খারাপ। এটা ব্যতীত যদি এরূপ হয় যে, বেচাকেনা অনুভব করা যায় না, তাহলে এটা তত ক্ষতিকর নয়। আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এমন একটি বর্ণনা পেশ করব যা প্রমাণ করবে যে, যে কাজে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জিত হয় না, সে কাজ মসজিদে আঞ্জাম দেয়া মুবাহ বা অনুমতিপ্রাপ্ত।
بَابُ إِنْشَادِ الشِّعْرِ فِي الْمَسَاجِدِ
7347 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ تُنْشَدَ الْأَشْعَارُ فِي الْمَسْجِدِ , وَأَنْ يُبَاعَ فِيهِ السِّلَعُ وَأَنْ يَتَحَلَّقَ فِيهِ قَبْلَ الصَّلَاةِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى كَرَاهَةِ إِنْشَادِ الشِّعْرِ فِي الْمَسَاجِدِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَلَمْ يَرَوْا بِإِنْشَادِ الشِّعْرِ فِي الْمَسْجِدِ بَأْسًا إِذَا كَانَ ذَلِكَ الشِّعْرُ مِمَّا لَا بَأْسَ بِرِوَايَتِهِ وَإِنْشَادِهِ فِي غَيْرِ الْمَسْجِدِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , أَنَّهُ وَضَعَ لِحَسَّانٍ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ يَنْشُدُ عَلَيْهِ الشِّعْرَ وَبِمَا رَوَيْنَاهُ مَعَ ذَلِكَ مِنْ حَدِيثِ حَسَّانٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , حِينَ مَرَّ بِهِ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَهُوَ يَنْشُدُ الشِّعْرَ فِي الْمَسْجِدِ , فَزَجَرَهُ. فَقَالَ لَهُ حَسَّانٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ كُنْتُ أَنْشُدُ فِيهِ الشِّعْرَ لِمَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ وَذَلِكَ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ مِنْهُمْ أَحَدٌ , وَلَا أَنْكَرَهُ عَلَيْهِ أَيْضًا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَكَانَ حَدِيثُ يُونُسَ الَّذِي قَدْ بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ بِذَلِكَ الشِّعْرَ الَّذِي نَهَى عَنْهُ أَنْ يُنْشَدَ فِي الْمَسْجِدِ , هُوَ الشِّعْرُ الَّذِي كَانَتْ قُرَيْشٌ تَهْجُوهُ بِهِ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هُوَ مِنَ الشِّعْرِ الَّذِي تُؤَبَّنُ فِيهِ النِّسَاءُ , وَتُزْرَأُ فِيهِ الْأَمْوَالُ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي بَابِ رِوَايَةِ الشِّعْرِ مِنْ جَوَابِ الْأَنْصَارِ , مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِذَلِكَ حِينَ أَنْكَرَ عَلَيْهِمْ إِنْشَادَ الشِّعْرِ , حَوْلَ الْكَعْبَةِ. وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِذَلِكَ الشِّعْرَ الَّذِي يَغْلِبُ عَلَى الْمَسْجِدِ , حَتَّى يَكُونَ كُلُّ مَنْ فِيهِ أَوْ أَكْثَرُ مَنْ فِيهِ , مُتَشَاغِلًا بِذَلِكَ كَمَثَلِ مَا تَأَوَّلَ عَلَيْهِ ابْنُ عَائِشَةَ وَأَبُو عُبَيْدٍ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا , حَتَّى يُرِيَهُ , خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ عَنْهُمَا فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ. فَيَكُونُ الشِّعْرُ الْمَنْهِيُّ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , هُوَ خَاصٌّ مِنَ الشِّعْرِ وَهُوَ الَّذِي فِيهِ مَعْنًى مِنْ هَذِهِ الْمَعَانِي الثَّلَاثَةِ , الَّتِي ذَكَرْنَا , حَتَّى لَا يُضَادَّ ذَلِكَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِبَاحَةِ ذَلِكَ وَمَا عَمِلَ بِهِ أَصْحَابُهُ مِنْ بَعْدِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِذَا كَانَ كَمَا ذَكَرْتَ , فَلِمَ قَصَدَ إِلَى الْمَسْجِدِ؟ وَالَّذِي ذَكَرْتَ مِنَ الَّذِي هُجِيَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:359] وَالَّذِي أُبِّنَتْ فِيهِ النِّسَاءُ , وَرُزِئَتْ فِيهِ الْأَمْوَالُ , مَكْرُوهٌ فِي غَيْرِ الْمَسْجِدِ , وَلَوْ كَانَ كَمَا ذَكَرْتَ لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِهِ فِي الْمَسْجِدِ , مَعْنًى. قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجْرِي الْكَلَامُ كَثِيرًا , بِذِكْرِ مَعْنًى , فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ الْمَعْنَى بِذَلِكَ الْحُكْمِ الَّذِي جَرَى فِي ذَلِكَ الذِّكْرِ مَخْصُوصًا. مِنْ ذَلِكَ قَوْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ} [النساء: 23] . فَذَكَرَ الرَّبِيبَةَ الَّتِي قَدْ كَانَتْ فِي حِجْرِ رَبِيبِهَا , فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى خُصُوصِيَّتِهَا , لِأَنَّهَا كَانَتْ فِي حِجْرِهِ بِذَلِكَ الْحُكْمِ , وَأَخْرَجَهَا مِنْهُ إِذَا لَمْ تَكُنْ فِي حِجْرِهِ. أَلَا تَرَى أَنَّهَا لَوْ كَانَتْ أَسَنَّ مِنْهُ أَنَّهَا عَلَيْهِ حَرَامٌ , كَحُرْمَتِهَا لَوْ كَانَتْ صَغِيرَةً فِي حِجْرِهِ؟ وَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ أَيْضًا فِي الصَّيْدِ {وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ} [المائدة: 95] . فَأَجْمَعَتِ الْعُلَمَاءُ إِلَّا مَنْ شَذَّ مِنْهُمْ أَنَّ قَتْلَهُ إِيَّاهُ سَاهِيًا , كَذَلِكَ فِي وُجُوبِ الْجَزَاءِ. فَلَمْ يَكُنْ ذِكْرُهُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ يُوجِبُ خُصُوصَ الْحُكْمِ. فَكَذَلِكَ مَا رَوَيْنَا مِنْ ذِكْرِهِ الْمَسْجِدَ فِي الشِّعْرِ الْمَنْهِيِّ عَنْ رِوَايَتِهِ , لَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى خُصُوصِيَّةِ الْمَسْجِدِ بِذَلِكَ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنَ الْبَيْعِ فِي الْمَسْجِدِ , هُوَ الْبَيْعُ الَّذِي يَعُمُّهُ , أَوْ يَغْلِبُ عَلَيْهِ حَتَّى يَكُونَ كَالسُّوقِ , فَذَلِكَ مَكْرُوهٌ. فَأَمَّا مَا سِوَى ذَلِكَ فَلَا. قَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى إِبَاحَةِ الْعَمَلِ الَّذِي لَيْسَ مِنَ الْقُرَبِ فِي الْمَسْجِدِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৪৮
মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করা
৭৩৪৮। ফাহদ (রাহঃ)..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি-
তিনি বলেন, “হে কুরায়শ জাতি! তােমাদের মাঝে আল্লাহ্ তা'আলা এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন যার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা তােমাদের ঈমান পরীক্ষা করবেন। তিনি ধর্মের খাতিরে তােমাদেরকে বধ করবেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, সে লােকটি কি আমি ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) ? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'না'। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, সে লােকটি কি আমি ইয়া রাসূলাল্লাহু (ﷺ) ? রাসূলুল্লাহ বলেন, না, কিন্তু সে মসজিদে জুতা সেলাই করবে। বর্ণনাকারী বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে নিজ জুতা মুবারক অর্পণ করেছিলেন যেন তিনি তা সেলাই করে দেন। আমরা কি লক্ষ্য করি নাই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে মসজিদে জুতা সেলাই করতে নিষেধ করেননি; কিন্তু লােকজন যদি একত্রিত হয়ে মসজিদে জুতা সেলাই করতে লেগে যায়, তাহলে এটা হবে অত্যন্ত খারাপ। সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে কাজটি সাধারণভাবে মসজিদে করা অপসন্দনীয় কিন্তু তা ব্যতিক্রম হিসেবে করা অপসন্দনীয় নয়।

সুতরাং মসজিদে বেচাকেনা, কবিতা পাঠ এবং সালাত অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে হালকাবন্দী হয়ে বসা ইত্যাদি সাধারণভাবে হলে তা
অপসন্দনীয় বা অবৈধ কিন্তু সাধারণভাবে না হলে কিংবা তা ঠেকানাে মুশকিল না হলে তা অপসন্দনীয় বা অবৈধ নয়। আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত।
7348 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ , لَيَبْعَثَنَّ اللهُ عَلَيْكُمْ رَجُلًا , امْتَحَنَ اللهُ بِهِ الْإِيمَانَ , يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ عَلَى الدِّينِ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «لَا» . فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ «لَا، وَلَكِنَّهُ خَاصِفُ النَّعْلِ فِي الْمَسْجِدِ» . قَالَ: وَكَانَ قَدْ أَلْقَى إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا [ص:360] أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ خَصْفِ النَّعْلِ فِي الْمَسْجِدِ , وَأَنَّ النَّاسَ لَوِ اجْتَمَعُوا حَتَّى يَعُمُّوا الْمَسْجِدَ بِخَصْفِ النِّعَالِ , كَانَ ذَلِكَ مَكْرُوهًا. فَلَمَّا كَانَ مَا لَا يَعُمُّ الْمَسْجِدَ مِنْ هَذَا غَيْرُ مَكْرُوهٍ وَمَا يَعُمُّهُ مِنْهُ , أَوْ يَغْلِبُ عَلَيْهِ مَكْرُوهًا كَانَ ذَلِكَ فِي الْبَيْعِ , وَإِنْشَادُ الشِّعْرِ , وَالتَّحَلُّقُ فِيهِ قَبْلَ الصَّلَاةِ مِمَّا عَمَّهُ مِنْ ذَلِكَ فَهُوَ مَكْرُوهٌ , وَمَا لَمْ يَعُمَّهُ مِنْهُ , وَلَمْ يَغْلِبْ عَلَيْهِ , فَلَيْسَ بِمَكْرُوهٍ , وَاللهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান