শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৩৩৮
প্রথম রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠানাের পর মুসল্লী কি করবে
৭৩৩৮। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ).....আবু কিলাবা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি মালিক ইবন হুয়াইরিস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার সংগীদেরকে বলতেন, শােন, আমি কি তােমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাত কিরূপ ছিল তা দেখাব? আর এটা সালাতের সময় ছিল না। তখন তিনি দাঁড়ালেন, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর রুকূ করলেন এবং রুকূতেও কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন। এরপর রুকূ থেকে মাথা উঠালেন এবং কিছুক্ষণ সােজা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। অতঃপর সিজদা করলেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠালেন। উত্তমরূপে বসলেন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। এরপর সিজদা করলেন । বর্ণনাকারী আবু কিলাবা (রাহঃ) বলেন, এরপর তিনি আমাদের এই বৃদ্ধ অর্থাৎ আমর ইবন সালামা (রাহঃ)-এর ন্যায় সালাত আদায় করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আমর ইবন সালামা (রাহঃ)-কে এমন কিছু করতে দেখলাম যা তােমাদেরকে করতে দেখি নাই। তিনি যখন প্রথম সিজদা ও তৃতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন তখন বসতেন না, কিন্তু বসার ন্যায় সােজা হয়ে যেতেন অতঃপর দাড়িয়ে যেতেন।
بَابُ مَا يَفْعَلُهُ الْمُصَلِّي بَعْدَ رَفْعِهِ مِنَ السَّجْدَةِ الْأَخِيرَةِ مِنَ الرَّكْعَةِ الْأُولَى
7338 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ , أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ: " أَلَا أُرِيكُمْ كَيْفَ كَانَتْ صَلَاةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ وَإِنَّ ذَلِكَ لَفِي غَيْرِ حِينِ الصَّلَاةِ. فَقَامَ , فَأَمْكَنَ الْقِيَامَ , ثُمَّ رَكَعَ , فَأَمْكَنَ الرُّكُوعَ , ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَانْتَصَبَ قَائِمًا هُنَيْهَةً , ثُمَّ سَجَدَ , ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ , فَتَمَكَّنَ فِي الْجُلُوسِ , ثُمَّ انْتَظَرَ هُنَيْهَةً , ثُمَّ سَجَدَ. قَالَ أَبُو قِلَابَةَ: فَصَلَّى كَصَلَاةِ شَيْخِنَا هَذَا - يَعْنِي عَمْرَو بْنَ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ - قَالَ: فَرَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ سَلَمَةَ يَصْنَعُ شَيْئًا , لَا أَرَاكُمْ تَصْنَعُونَهُ , إِنَّهُ كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الْأُولَى وَالثَّالِثَةِ الَّتِي لَا يَقْعُدُ فِيهَا , اسْتَوَى قَاعِدًا , ثُمَّ قَامَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩৯
প্রথম রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠানাের পর মুসল্লী কি করবে
৭৩৩৯। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... মালিক ইবন হুরায়রিস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে দেখেছেন যে, যখন তিনি সালাতের বেজোড় রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা শেষ করতেন তখন তিনি সােজা হয়ে বসার ন্যায় না হয়ে দাঁড়াতেন না।”
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের অভিমত এই, যখন কোন মুসল্লী প্রথম রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা ও তৃতীয় রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা হতে মাথা তােলে তখন সে শান্তিমত বসবে, এরপর সে দাঁড়াবে। আর এ হাদীস দ্বারাই তারা দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করে বলেন বরং সে দাঁড়াবে এবং সােজা হয়ে বসার জন্যে অপেক্ষা করবে না। একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণিত হাদীসটি তারা দলীল হিসেবে পেশ করেন তন্মধ্যে নিম্নবর্ণিত হাদীসটি বিশেষভাবে লক্ষণীয় :
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের অভিমত এই, যখন কোন মুসল্লী প্রথম রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা ও তৃতীয় রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা হতে মাথা তােলে তখন সে শান্তিমত বসবে, এরপর সে দাঁড়াবে। আর এ হাদীস দ্বারাই তারা দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করে বলেন বরং সে দাঁড়াবে এবং সােজা হয়ে বসার জন্যে অপেক্ষা করবে না। একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণিত হাদীসটি তারা দলীল হিসেবে পেশ করেন তন্মধ্যে নিম্নবর্ণিত হাদীসটি বিশেষভাবে লক্ষণীয় :
7339 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ فِي وِتْرٍ مِنْ صَلَاتِهِ لَمْ يَنْهَضْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الرَّكْعَةِ الْأُولَى وَالثَّالِثَةِ , قَعَدَ حَتَّى يَطْمَئِنَّ قَاعِدًا , ثُمَّ يَقُومَ بَعْدُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَقُومُ مِنْهَا , وَلَا يَنْتَظِرُ أَنْ يَسْتَوِيَ قَاعِدًا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৪০
প্রথম রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠানাের পর মুসল্লী কি করবে
৭৩৪০। আলী ইবুন সাঈদ ইবন বাশীর আর-রাযী (রাহঃ)....বনু মালিকের একজন সদস্য মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইবন আতা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি আব্বাস (রাযিঃ) কিংবা আইয়াশ ইবন সাহল আস-সাঈদী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি একটি মজলিসে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তার পিতাও বসা ছিলেন, যিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর একজন বিশিষ্ট সাহাবী উক্ত মজলিসে উপস্থিত ছিলেন হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ), আবু উসায়দ (রাযিঃ) ও আবু হুমায়দ আস-সাঈদী (রাযিঃ) এবং আনসারগণ। তারা সালাত সম্বন্ধে পর্যালােচনা করছিলেন। আবু হুমায়দ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত সম্পর্কে আমি তােমাদের চেয়ে বেশী অবগত আছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আমি তা শিখে নিয়েছি ও তা আমি অনুসরণ করছি। তারা বলেন, তা হলে তুমি তা আমাদেরকে দেখাও। তখন তিনি সালাত আদায় করার জন্য দাঁড়ালেন আর তারা তাকে লক্ষ্য করছিলেন। প্রথমত তিনি তাকবীরে তাহরীমা বললেন এবং প্রথম তাকবীরে হাত উঠালেন। এরপর তিনি একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন তাতে উল্লেখ করেন যে, যখন তিনি প্রথম রাকআতের দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠালেন তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন, বসার ন্যায় সােজা হলেন না।
উল্লেখিত দ্বিতীয় হাদীসটি প্রথম হাদীসটির বিপরীত হওয়ায় এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, প্রথম হাদীসে উল্লেখিত যা কিছু করেছেন তা কোন কারণবশত করেছেন। আর এ কারণে তিনি বসেছিলেন, এ হিসেবে নয় যে, এটাসালাতের একটি কানূন। যেমন আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) সালাতে জানু হয়ে বসতেন। যখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি উত্তর বলেন, আমার দুপা এরূপ ভারসাম্য রক্ষা করে না। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেরূপ বসেছেন তাও কোন প্রকার অসুবিধার কারণে যা হঠাৎ তার দেখা দিয়েছিল। এরূপ ব্যাখ্যা গ্রহণ করলে এ হাদীসটি অন্য হাদীসটির বিপরীত ও বিরােধপূর্ণ হয় না। আর বিপরীত ও বিরােধপূর্ণ অর্থ গ্রহণ করা ছাড়া হাদীসের ব্যাখ্যা করা আমাদের জন্য শ্রেয়। অন্যদিকে আবু ছমাদ (রাযিঃ)-এর হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবীদের সামনে তাই একটি বর্ণনামাত্র। তাদের মধ্য থেকে কেউ এটাকে অস্বীকার করেননি। এতে বুঝা যায় যে, তাদের কাছে বিদ্যমান সালাতের তথ্য এ বর্ণনার বিপরীত কিংবা বিরােধপূর্ণ নয়। বর্ণনাকারী আয়ুবের মতে মালিক ইবন হুরায়রিস (রাযিঃ)-এর হাদীসে উল্লেখিত আমর ইবন সালামা (রাযিঃ) যা কিছু করছিলেন তা লােকজন দেখছিলেন না, তা শুধু মুষ্টিমেয় একদল তাবি দেখেছিলেন। আর এটাই এ কথার দলীল যে, আবু কিলাবার মাধ্যমে মালিক (রাযিঃ) থেকে যা 'বর্ণনা করা হয়েছে, তা সুন্নত বা একটি কানুন নয়। অতঃপর গবেষণাও আবু হুমায়দ (রাযিঃ)-এর বর্ণনাকে সমর্থন করে। আর তা হল, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কোন মুসী যখন সালাতে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় গমন করে, তখন আল্লাহর যিকরকে (আল্লাহু আকবর) পুনরায় উচ্চারণ করে। তাই আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যখন সে রুকুর ইচ্ছে করে, তখন আল্লাহু আকবর বলে ও রুকূতে চলে যায়। আবার যখন রুকু থেকে মাথা তােলে, তখন বলে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ আবার যখন দন্ডায়মান অবস্থা থেকে সিজদায় যায়, তখন বলে আল্লাহু আকবর। আবার সিজদা হতে যখন মাথা তােলে, তখন বলে আল্লাহু আকবর। আবার যখন মাথা তােলে, তখন মাথা তােলার পর হতে সােজা হয়ে দাঁড়ানাে পর্যন্ত এক তাকবীর ব্যতীত কোন তাকবীর বলে না।
এতে প্রমাণিত হয় যে, তার সিজদা ও দাড়ানাের মধ্যবর্তী সময়ে কোন বৈঠক নেই। যদি দুটো কাজের মধ্যে কোন বৈঠক থাকত, তাহলে সিজদা থেকে মাথা উঠানাের পর ঐ বৈঠকে যাওয়ার জন্যে একটি তাকবীরের প্রয়ােজন হতাে। আবার যখন দাঁড়ানাের জন্যে উঠত, তখনও অন্য একটি তাকবীরের প্রয়ােজন হতাে। সুতরাং এরূপ তাকবীরের কোন প্রকার আদেশ না থাকায় প্রমাণ করে যে, দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠার ও পরবর্তী রাকআতের জন্যে দাঁড়ানাের মধ্যে কোন বৈঠক নেই। যদি থাকত তাহলে এটার মধ্যে ও সমগ্র সালাতের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকত (তাকবীর থাকত), অসামঞ্জস্যতা বিরাজ করত না। আর এটাই আমাদের অভিমত। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
উল্লেখিত দ্বিতীয় হাদীসটি প্রথম হাদীসটির বিপরীত হওয়ায় এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, প্রথম হাদীসে উল্লেখিত যা কিছু করেছেন তা কোন কারণবশত করেছেন। আর এ কারণে তিনি বসেছিলেন, এ হিসেবে নয় যে, এটাসালাতের একটি কানূন। যেমন আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) সালাতে জানু হয়ে বসতেন। যখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি উত্তর বলেন, আমার দুপা এরূপ ভারসাম্য রক্ষা করে না। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেরূপ বসেছেন তাও কোন প্রকার অসুবিধার কারণে যা হঠাৎ তার দেখা দিয়েছিল। এরূপ ব্যাখ্যা গ্রহণ করলে এ হাদীসটি অন্য হাদীসটির বিপরীত ও বিরােধপূর্ণ হয় না। আর বিপরীত ও বিরােধপূর্ণ অর্থ গ্রহণ করা ছাড়া হাদীসের ব্যাখ্যা করা আমাদের জন্য শ্রেয়। অন্যদিকে আবু ছমাদ (রাযিঃ)-এর হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবীদের সামনে তাই একটি বর্ণনামাত্র। তাদের মধ্য থেকে কেউ এটাকে অস্বীকার করেননি। এতে বুঝা যায় যে, তাদের কাছে বিদ্যমান সালাতের তথ্য এ বর্ণনার বিপরীত কিংবা বিরােধপূর্ণ নয়। বর্ণনাকারী আয়ুবের মতে মালিক ইবন হুরায়রিস (রাযিঃ)-এর হাদীসে উল্লেখিত আমর ইবন সালামা (রাযিঃ) যা কিছু করছিলেন তা লােকজন দেখছিলেন না, তা শুধু মুষ্টিমেয় একদল তাবি দেখেছিলেন। আর এটাই এ কথার দলীল যে, আবু কিলাবার মাধ্যমে মালিক (রাযিঃ) থেকে যা 'বর্ণনা করা হয়েছে, তা সুন্নত বা একটি কানুন নয়। অতঃপর গবেষণাও আবু হুমায়দ (রাযিঃ)-এর বর্ণনাকে সমর্থন করে। আর তা হল, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কোন মুসী যখন সালাতে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় গমন করে, তখন আল্লাহর যিকরকে (আল্লাহু আকবর) পুনরায় উচ্চারণ করে। তাই আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যখন সে রুকুর ইচ্ছে করে, তখন আল্লাহু আকবর বলে ও রুকূতে চলে যায়। আবার যখন রুকু থেকে মাথা তােলে, তখন বলে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ আবার যখন দন্ডায়মান অবস্থা থেকে সিজদায় যায়, তখন বলে আল্লাহু আকবর। আবার সিজদা হতে যখন মাথা তােলে, তখন বলে আল্লাহু আকবর। আবার যখন মাথা তােলে, তখন মাথা তােলার পর হতে সােজা হয়ে দাঁড়ানাে পর্যন্ত এক তাকবীর ব্যতীত কোন তাকবীর বলে না।
এতে প্রমাণিত হয় যে, তার সিজদা ও দাড়ানাের মধ্যবর্তী সময়ে কোন বৈঠক নেই। যদি দুটো কাজের মধ্যে কোন বৈঠক থাকত, তাহলে সিজদা থেকে মাথা উঠানাের পর ঐ বৈঠকে যাওয়ার জন্যে একটি তাকবীরের প্রয়ােজন হতাে। আবার যখন দাঁড়ানাের জন্যে উঠত, তখনও অন্য একটি তাকবীরের প্রয়ােজন হতাে। সুতরাং এরূপ তাকবীরের কোন প্রকার আদেশ না থাকায় প্রমাণ করে যে, দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠার ও পরবর্তী রাকআতের জন্যে দাঁড়ানাের মধ্যে কোন বৈঠক নেই। যদি থাকত তাহলে এটার মধ্যে ও সমগ্র সালাতের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকত (তাকবীর থাকত), অসামঞ্জস্যতা বিরাজ করত না। আর এটাই আমাদের অভিমত। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
7340 - بِمَا حَدَّثَنِي بِهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِنَا رَحِمَهُمُ اللهُ، مِنْهُمْ عَلِيُّ بْنُ سَعِيدِ بْنِ بَشِيرٍ الرَّازِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو هَمَّامٍ الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ الْكُوفِيُّ قَالَ: ثنا أَبِي , قَالَ: ثنا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: ثنا الْحُسَيْنُ الْكُوفِيُّ بْنُ الْحُرِّ قَالَ: حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنِ ابْنِ عَيَّاشِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ وَكَانَ فِي مَجْلِسٍ فِيهِ أَبُوهُ , وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي الْمَجْلِسِ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَأَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ وَالْأَنْصَارُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , أَنَّهُمْ تَذَاكَرُوا الصَّلَاةَ. [ص:355] فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: «أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتَّبَعْتُ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . قَالُوا: فَأَرِنَا , فَقَامَ يُصَلِّي وَهُمْ يَنْظُرُونَ , فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ التَّكْبِيرِ , ثُمَّ ذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا , ذَكَرَ فِيهِ أَنَّهُ لَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ الثَّانِيَةِ مِنَ الرَّكْعَةِ الْأُولَى , قَامَ وَلَمْ يَتَوَرَّكْ فَلَمَّا جَاءَ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَخَالَفَ الْحَدِيثَ الْأَوَّلَ , احْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ مَا فَعَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , لِعِلَّةٍ كَانَتْ بِهِ , فَقَعَدَ مِنْ أَجْلِهَا , لَا لِأَنَّ ذَلِكَ مِنْ سُنَّةِ الصَّلَاةِ , كَمَا قَدْ كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَتَرَبَّعُ بِالصَّلَاةِ فَلَمَّا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ قَالَ: إِنْ رِجْلِي لَا تَحْمِلَانِي. فَكَذَلِكَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ الْقُعُودِ , كَانَ لِعِلَّةٍ أَصَابَتْهُ , حَتَّى لَا يُضَادَّ ذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنْهُ فِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ , وَلَا يُخَالِفُهُ. وَهَذَا أَوْلَى بِنَا مِنْ حَمْلِ مَا رُوِيَ عَنْهُ عَلَى التَّضَادِّ وَالتَّنَافِي. وَحَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ أَيْضًا فِيهِ حِكَايَةُ أَبِي حُمَيْدٍ مَا حُكِيَ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا عِنْدَهُمْ فِي ذَلِكَ غَيْرُ مُخَالِفٍ لِمَا حَكَاهُ لَهُمْ. وَفِي حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي كَلَامِ أَيُّوبَ أَنَّ مَا كَانَ عَمْرُو بْنُ سَلَمَةَ يَفْعَلُ مِنْ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ يَرَى النَّاسَ يَفْعَلُونَهُ، وَهُوَ فَقَدْ رَأَى جَمَاعَةً مِنْ جُمْلَةِ التَّابِعِينَ. فَذَلِكَ حُجَّةٌ فِي دَفْعِ مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ مَالِكٍ أَنْ يَكُونَ سُنَّةً. ثُمَّ النَّظَرُ مِنْ بَعْدِ هَذَا يُوَافِقُ مَا رَوَى أَبُو حُمَيْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا خَرَجَ فِي صَلَاتِهِ مِنْ حَالٍ إِلَى حَالٍ اسْتَأْنَفَ ذِكْرًا. مِنْ ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَاهُ إِذَا أَرَادَ الرُّكُوعَ كَبَّرَ وَخَرَّ رَاكِعًا , وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ , قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَإِذَا خَرَّ مِنَ الْقِيَامِ إِلَى السُّجُودِ فَقَالَ: اللهُ أَكْبَرُ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ وَإِذَا عَادَ إِلَى السُّجُودِ فَعَلَ ذَلِكَ أَيْضًا , وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ لَمْ يُكَبِّرْ مِنْ بَعْدِ رَفْعِهِ رَأْسَهُ إِلَى أَنْ يَسْتَوِيَ قَائِمًا , غَيْرَ تَكْبِيرَةٍ وَاحِدَةٍ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بَيْنَ سُجُودِهِ وَقِيَامِهِ جُلُوسٌ. وَلَوْ كَانَ بَيْنَهُمَا جُلُوسٌ , لَاحْتَاجَ أَنْ يَكُونَ تَكْبِيرُهُ بَعْدَ رَفْعِهِ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ , لِلدُّخُولِ فِي ذَلِكَ الْجُلُوسِ , وَلَاحْتَاجَ إِلَى تَكْبِيرٍ آخَرَ , إِذَا نَهَضَ لِلْقِيَامِ. فَلَمَّا لَمْ يُؤْمَرْ بِذَلِكَ , ثَبَتَ أَنْ لَا قُعُودَ بَيْنَ الرَّفْعِ مِنَ السَّجْدَةِ الْأَخِيرَةِ , وَالْقِيَامِ إِلَى الرَّكْعَةِ الَّتِي بَعْدَهَا , لِيَكُونَ حُكْمُ ذَلِكَ وَحُكْمُ سَائِرِ الصَّلَوَاتِ , مُؤْتَلِفًا غَيْرَ مُخْتَلِفٍ. [ص:356] فَبِهَذَا نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
