শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭৩৩০
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩০। ইউনুস (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ইয়াহইয়া আল-আনসারী (রাহঃ) হতে বর্ণনা ফরেন। তিনি তার পিতা ও তিনি তার দাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তার দাদী (খায়রাহ) একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর খিদমতে তার নিকট একটি অলংকার নিয়ে হাযির হন। তিনি বলেন, এটাকে আমি সদকা করে দিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলার সম্পদ দিয়ে কোন কাজ করা বৈধ নয়। তুমি কি তোমার স্বামী হতে অনুমতি নিয়েছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার স্বামীর কাছে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন এবং বলে পাঠান, তুমি কি তোমার স্ত্রীকে এ অলংকারটি সদকা করার অনুমতি দিয়েছ? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অলংকারটি তার থেকে গ্রহণ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এ হাদীসটিকে সমর্থন করে বলেন, স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কোন স্ত্রীলোকের তার সম্পদ অন্যকে দান করা বা সদকা করা বৈধ নয়। এ ব্যাপারে অন্য একদল আলিম তাদের বিরোধিতা করেন এবং মহিলাকে তার সম্পদে পূর্ণ অধিকার দিয়েছেন, যেমন স্বামীর সম্পদে স্বামীর পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তাদের এ অভিমতের পক্ষে কুরআনুল করীম হতে দলীল পেশ করেন । আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন:
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَرِيئًا
"এবং তোমরা নারীদেরকে তাদের মাহর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রদান করবে,, সন্তুষ্টচিত্তে তারা মাহরের কিয়দাংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা স্বচ্ছন্দে ভোগ করবে।" (সূরা ৪ : ৪)
স্ত্রী সন্তুষ্ট চিত্তে যদি স্বামীর জন্যে মাহরের কিয়দাংশ ছেড়ে দেয় তাহলে তা স্বামীর জন্যে ভোগ করাকে আল্লাহ্ তা'আলা মুবাহ করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন:
وَإِنْ طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَنْ يَعْفُونَ
"তোমরা যদি তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দাও অথচ মাহর ধার্য করা থাক, তবে যা ধার্য করেছ তার অর্ধেক যদি না স্ত্রী মাফ করে দেয়।" (সূরা ২ : ২৩৭)
অত্র আয়াতে আল্লাহ্‌ তা'আলা স্ত্রীকে স্বামীর তালাক প্রদানের পর কারো সাথে পরামর্শ ব্যতীত তার সম্পদ থেকে মাফ করার অনুমতি দিয়েছেন এতে প্রমাণিত হয় যে, স্ত্রীলোক তার সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহারে অনুমতিপ্রাপ্তা এবং পুরুষ যেরূপ তার সম্পদ ব্যবহার করতে পারে। মহিলারাও তার সম্পদ ঐরূপ ব্যবহার করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকেও এরূপ অনুমতি বর্ণিত রয়েছে। আমরা যাকাত অধ্যায়ে এ সম্বন্ধে একটি বর্ণনা পেশ করেছি। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী একটি অলংকার হাতে নিয়ে তা সদকা করার জন্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তুমি আমার কাছে এস এবং আমাকে এ অলংকারটি সদকা কর। তিনি বললেন, 'না' যতক্ষণ না আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তাকে তুমি এটি সদকা কর এবং তার অধীনে যে সব ইয়াতীম রয়েছে, তাদের প্রতিও সদকা কর। কেননা তারাও তার স্থলে রয়েছে। তার স্বামীর উপর ও তার ইয়াতীমদের জন্য তার অলংকারটি সদকা করার ব্যাপারটি আল্লাহ্‌ তা'তালা তার জন্যে মুবাহ করে দিয়েছেন। তার উপর ও তার ইয়াতীমদের উপর সদকা করা সম্বন্ধে তাকে কারো সাথে পরামর্শ করারও নির্দেশ দেননি। অন্য এক হাদীসে এটাও রয়েছে যে, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মহিলাদেরকে নসীহত করলেন এবং বললেন, তোমরা সদকা কর । এখানে স্বামীদের অনুমতির কথা তিনি উল্লেখ করননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, স্বামীর অনুমতি ছাড়াও তারা তাদের সম্পদ থেকে যথেষ্ট সদকা করতে পারে।
بَابُ حُكْمِ الْمَرْأَةِ فِي مَالِهَا
7330 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَحْيَى الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ , أَنَّ جَدَّتَهُ أَتَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحُلِيٍّ لَهَا فَقَالَتْ: إِنِّي تَصَدَّقْتُ بِهَذَا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَا يَجُوزُ لِلْمَرْأَةِ فِي مَالِهَا أَمْرٌ إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا , فَهَلِ اسْتَأْذَنْتَ زَوْجَكَ؟» ، فَقَالَتْ: نَعَمْ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَلْ أَذِنْتَ لِامْرَأَتِكَ أَنْ تَتَصَدَّقَ بِحُلِيِّهَا هَذَا» ، فَقَالَ: نَعَمْ. فَقَبِلَهُ مِنْهَا , رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِلْمَرْأَةِ هِبَةُ شَيْءٍ مِنْ مَالِهَا , وَلَا الصَّدَقَةُ بِهِ , دُونَ إِذْنِ زَوْجِهَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَأَجَازُوا أَمْرَهَا كُلَّهُ فِي مَالِهَا , وَجَعَلُوهَا فِي مَالِهَا , كَزَوْجِهَا فِي مَالِهِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَرِيئًا} [النساء: 4] . فَأَبَاحَ اللهُ لِلزَّوْجِ مَا طَابَتْ لَهُ بِهِ نَفْسُ امْرَأَتِهِ. وَبِقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَإِنْ طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَنْ يَعْفُونَ} [البقرة: 237] . [ص:352] فَأَجَازَ عَفْوَهُنَّ عَنْ مَالِهِنَّ , بَعْدَ طَلَاقِ زَوْجِهَا إِيَّاهَا بِغَيْرِ اسْتِئْمَارٍ مِنْ أَحَدٍ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى جَوَازِ أَمْرِ الْمَرْأَةِ فِي مَالِهَا , وَعَلَى أَنَّهَا فِي مَالِهَا , كَالرَّجُلِ فِي مَالِهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ هَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا. وَهُوَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْهُ فِي كِتَابِ الزَّكَاةِ فِي امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حِينَ أَخَذَتْ حُلِيَّهَا , لِتَذْهَبَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِتَتَصَدَّقَ بِهِ. فَقَالَ عَبْدُ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَلُمِّي تَتَصَدَّقِي بِهِ عَلَيَّ. فَقَالَتْ: لَا , حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَجَاءَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَأْذَنَتْهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ: تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيْهِ , وَعَلَى الْأَيْتَامِ الَّذِينَ فِي حِجْرِهِ , فَإِنَّهُمْ لَهُ مَوْضِعٌ. فَقَدْ أَبَاحَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّدَقَةَ , بِحُلِيِّهَا , عَلَى زَوْجِهَا , وَعَلَى أَيْتَامِهِ , وَلَمْ يَأْمُرْهَا بِاسْتِئْمَارِهِ فِيمَا تَصَدَّقَ بِهِ عَلَى أَيْتَامِهِ. وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَ النِّسَاءَ فَقَالَ: تَصَدَّقْنَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي ذَلِكَ أَمْرَ أَزْوَاجِهِنَّ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ لَهُنَّ الصَّدَقَةَ بِمَا أَرَدْنَ مِنْ أَمْوَالِهِنَّ , بِغَيْرِ أَمْرِ أَزْوَاجِهِنَّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩১
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩১। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একবার ঈদুল ফিতরের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘর থেকে বের হলেন, সালাত আদায় করলেন এরপর খুতবা দিলেন। অতঃপর মহিলাদের কাছে গমন করেন এবং তাদেরকে সদকা প্রদান করার জন্যে নির্দেশ দেন।
7331 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا رَوْحٌ وَأَبُو الْوَلِيدِ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ قَالَ: سَمِعْتُ أَيُّوبَ يُحَدِّثُ عَطَاءً قَالَ: أَشْهَدُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. أَوْ حَدَّثَ بِهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمَ فِطْرٍ , فَصَلَّى , ثُمَّ خَطَبَ , ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ , فَأَمَرَهُنَّ أَنْ يَتَصَدَّقْنَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩২
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩২। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবন আবিস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি একদিন
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে কোন সময় ঈদের সালাতে উপস্থিত ছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাথে আমার বিদ্যমান সুসম্পর্ক না থাকলে এত কম বয়সে তাঁর সাথে ঈদগাহে উপস্থিত থাকা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না । ঈদের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘর থেকে বের হলেন। এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন এবং খুতবা দিলেন । তারপর স্ত্রীলোকদের কাছে গমন করলেন । হযরত বিলাল (রাযিঃ) তার সাথে উপস্থিত ছিলেন । তিনি তাদেরকে নসীহত করলেন । তখন কোন কোন স্ত্রীলোক তার হাত দ্বারা নিজের গর্দান স্পর্শ করতে লাগলেন । আবার কোন কোন মহিলা তার হাত দ্বারা নিজের কান স্পর্শ করতে লাগলেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-এর কাছে অলংকার জমা দিতে লাগলেন । আর বিলাল (রাযিঃ) এগুলোকে তার কাপড়ে একত্রিত করছিলেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাথে নিজ বাড়ি চলে গেলেন।
7332 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , شَهِدْتَ الْعِيدَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ . قَالَ: «نَعَمْ , وَلَوْلَا مَكَانِي مِنْهُ مَا شَهِدْتُهُ مِنْ صِغَرِي , خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْعِيدِ , فَصَلَّى , ثُمَّ خَطَبَ , ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ مَعَ بِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَوَعَظَهُنَّ. فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تُهْوِي بِيَدِهَا إِلَى رَقَبَتِهَا , وَالْمَرْأَةُ تُهْوِي بِيَدِهَا إِلَى أُذُنِهَا , فَتَدْفَعُهُ إِلَى بِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَبِلَالٌ يَجْعَلُهُ فِي ثَوْبِهِ , ثُمَّ انْطَلَقَ بِهِ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَنْزِلِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩৩
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩৩। আবু বাকরা (রাহঃ) .... ইব্‌ন আব্বাস (খা) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ)-এর সাথে ঈদের সালাত আদায় করেছি । তারা সকলেই খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করতেন। এরপর খুতবা প্রদান করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বর থেকে অবতরণ করেন। আমি এখনও যেন তার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। তিনি নিজ হাত দ্বারা লোকজনকে বসিয়ে দিচ্ছিলেন। অতঃপর তাদেরকে দুই ভাগ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন এবং স্ত্রীলোকদের কাছে পৌঁছলেন। হযরত বিলাল (রাযিঃ) তার সাথে ছিলেন। তিনি কুরআনুল করীমের নিম্নবর্ণিত আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন:
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَىٰ أَن لَّا يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِينَ وَلَا يَقْتُلْنَ أَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ ۙ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
"হে নবী (ﷺ)! যখন মুমিন নারীরা তোমার কাছে এসে এই মর্মে বাইআত করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, তারা জেনে শুনে কোন অপবাদ রচনা করে রটাবে না এবং সৎকাজে তারা তোমার অবাধ্য হবে না। তখন তুমি তাদের বাইআত গ্রহণ কর এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (সূরা ৬০ : ১২)
তিলাওয়াত শেষে তিনি বললেন, তোমরাও এর মধ্যে অবস্থান করছ। তখন কেউ কোন উত্তর দিলেন না। শুধু একজন মহিলা বলেন, হ্যাঁ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাহলে তোমরা সদকা দান কর। বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় পেতে দিলেন। এরপর নারীদেরকে বললেন : এ কাপড়ে সদকা রাখো । তখন তারা গলার হার, আংটি ইত্যাদি বিলাল (রাযিঃ)-এর কাপড়ে ফেলতে লাগলেন।
7333 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: " شَهِدْتُ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ , وَعُمَرَ , وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , فَكُلُّهُمْ يُصَلِّيهَا قَبْلَ الْخُطْبَةِ , ثُمَّ يَخْطُبُ بَعْدُ. [ص:353] قَالَ: وَنَزَلَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ يُجْلِسُ الرَّجُلَ بِيَدِهِ , ثُمَّ أَقْبَلَ يَشُقُّهُمْ حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ , وَمَعَهُ بِلَالٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَنْ لَا يُشْرِكْنَ بِاللهِ شَيْئًا} [الممتحنة: 12] إِلَى قَوْلِهِ {غَفُورٌ رَحِيمٌ} [البقرة: 173] . فَقَالَ حِينَ فَرَغَ أَنْتُنَّ عَلَى ذَلِكَ. فَقَالَتِ امْرَأَةٌ وَاحِدَةٌ لَمْ تُجِبْهُ غَيْرُهَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: فَتَصَدَّقْنَ. فَبَسَطَ بِلَالٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ثَوْبَهُ , ثُمَّ قَالَ: لَهُنَّ أَلْقِينَ فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ الْفَتَخَ وَالْخَوَاتِيمَ فِي ثَوْبِ بِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩৪
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩৪। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আতা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হলেন এবং খুতবার পূর্বে সালাত আরম্ভ করেন। অতঃপর লোকজনের সামনে খুতবা প্রদান করেন। যখন খুতবা সমাপ্ত করেন তখন তিনি স্ত্রীলোকদের কাছে আগমন করেন ও তাদেরকে নসীহত করেন। তিনি বিলাল (রাযিঃ)-এর উপর ঠেস দিয়েছিলেন। আর বিলাল (রাযিঃ) তার কাপড় পেতে দিয়েছিলেন। স্ত্রীলোকের তার মধ্যে তাদের সদকা ফেলতে লাগলেন।
7334 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ يَوْمَ الْفِطْرِ , فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ , ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ. فَلَمَّا فَرَغَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فَأَتَى النِّسَاءَ , فَذَكَّرَهُنَّ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى بِلَالٍ وَبِلَالٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ , فَجَعَلَ النِّسَاءُ يُلْقِينَ فِيهِ صَدَقَاتِهِنَّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩৫
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... হাকীম ইবন হিযাম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীলোকদের নসীহত করেন। তাদেরকে তিনি আল্লাহভীতির ও স্বামীদের আনুগত্যের নির্দেশ দেন এবং সদকা করতে আদেশ দেন।
এখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীলোকদেরকে সদকা করতে হুকুম দেন এবং তাদের থেকে সদকা গ্রহণ করেন কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের স্বামীদের অনুমতির অপেক্ষা করেননি। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকেও একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
7335 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ بْنُ جَنَّادٍ الْحَلَبِيُّ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ رَفِيعٍ عَنْ حِزَامِ بْنِ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «خَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النِّسَاءَ ذَاتَ يَوْمٍ , فَأَمَرَهُنَّ بِتَقْوَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَالطَّاعَةِ لِأَزْوَاجِهِنَّ , وَأَنْ يَتَصَدَّقْنَ» فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ النِّسَاءَ بِالصَّدَقَاتِ , وَقَبِلَهَا مِنْهُنَّ , وَلَمْ يَنْتَظِرْ فِي ذَلِكَ رَأْيَ أَزْوَاجِهِنَّ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৩৭
নিজ সম্পদ ব্যবহারে মহিলার হুকুম
৭৩৩৬-৩৭। রাবী ইবন সুলায়মান আল-মুয়াযযিন (রাযিঃ)..... ইবন আব্বাস।(রাযিঃ)-এর গোলাম কুরায়ব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্ত্রী উম্মুল মুমিনীন হযরত মায়মুনা (রাযিঃ) হতে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে আমি একটি দাসীকে মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমি এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জানালাম। তখন তিনি বললেন, তুমি যদি তাকে আমার আরব বোনের জন্যে দান করতে, তাহলে এটা তোমার জন্যে বিরাট নেকী হতো।

রাবী (রাহঃ).....উম্মুল মুমিনীন মায়মূনা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। যদি স্বামীর অনুমতি ব্যতীত নারীর সম্পদ খরচ করা বৈধ না হতাে তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত মায়মূনা (রাযিঃ)-এর গােলাম মুক্ত করাকে বাতিল করে দিতেন এবং দাসীটিকে ঐ কাজের জন্যে প্রেরণ করতেন যা আযাদ করা থেকে উত্তম।

উপরােক্ত দুটো আয়াতের এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বিশুদ্ধরূপে বর্ণিত হাদীস বর্জন কারাে জন্যে কেমন করে বৈধ হবে এবং এমন একটি হাদীসের হুকুমকে গ্রহণ করা বৈধ হবে যা শায বা বিচ্ছিন্ন। এ ধরনের হাদীস সুদৃঢ় নয়। অতঃপর গবেষণায় আমাদের উল্লেখিত বিষয়টি সুপ্রমাণিত হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উলামায়ে কিরাম পুরুষ ও মহিলার অসীয়তের ক্ষেত্র মতবিরােধ করেন না। পুরুষের ন্যায় নারীরাও মােট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করতে পারে। এক্ষেত্রে স্ত্রীদের উপর স্বামীদের আপত্তি করার কোন অধিকার নেই। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা তাঁর কিতাবে ঘােষণা করেন :وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُنَّ وَلَدٌ فَإِنْ كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ


“তােমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তােমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে এবং তাদের সন্তান থাকলে তােমাদের জন্য তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ, অসীয়ত পালন এবং ঋণ পরিশােধের পর।” (সূরা ৪:১২)

যখন স্ত্রীলােকের মৃত্যুর পর তার এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে তার অসীয়ত কার্যকর হতে পারে। তাহলে তার জীবিতাবস্থায় তার সম্পদে তার কার্যক্রম কার্যকর বলে আমরা মনে করি এবং আমরা এ মতামতই পােষণ করি। আর এটাই হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
7336 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، قَالَ: ثنا بُكَيْرُ بْنُ الْأَشَجِّ، عَنْ كُرَيْبِ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقُولُ " أَعْتَقْتُ وَلِيدَةً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَوْ أَعْطَيْتِهَا أُخْتَكِ الْأَعْرَابِيَّةَ , كَانَ أَعْظَمَ لِأَجْرِكِ»

7337 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ مَيْمُونَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ فَلَوْ كَانَ أَمْرُ الْمَرْأَةِ , لَا يَجُوزُ فِي مَالِهَا بِغَيْرِ إِذْنِ زَوْجِهَا , لَرَدَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَتَاقَهَا , وَصَرَفَ الْجَارِيَةَ إِلَى الَّذِي هُوَ أَفْضَلُ مِنَ الْعَتَاقِ. فَكَيْفَ يَجُوزُ لِأَحَدٍ تَرْكُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَسُنَنٍ ثَابِتَةٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّفَقٌ عَلَى صِحَّةِ مَجِيئِهَا إِلَى حَدِيثٍ شَاذٍّ , لَا يَثْبُتُ مِثْلُهُ؟ ثُمَّ النَّظَرُ مِنْ بَعْدُ , يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا. [ص:354] وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي الْمَرْأَةِ , فِي وَصَايَاهَا مِنْ ثُلُثِ مَالِهَا أَنَّهَا جَائِزَةٌ مِنْ ثُلُثِهَا , كَوَصَايَا الرِّجَالِ , وَلَمْ يَكُنْ لِزَوْجِهَا عَلَيْهَا فِي ذَلِكَ سَبِيلٌ وَلَا أَمْرٌ , وَبِذَلِكَ نَطَقَ الْكِتَابُ الْعَزِيزُ. قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُنَّ وَلَدٌ فَإِنْ كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ} [النساء: 12] . فَإِذَا كَانَتْ وَصَايَاهَا فِي ثُلُثِ مَالِهَا , جَائِزَةً بَعْدَ وَفَاتِهَا , فَأَفْعَالُهَا فِي مَالِهَا فِي حَيَاتِهَا , أَجْوَزُ مِنْ ذَلِكَ. فَبِهَذَا نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭৩৩৭
empty
৭৩৩৭।
7337 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান