শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭২২২
আন্তর্জাতিক নং: ৭২২৩
ঈশার পরে কথাবার্তা
৭২২২-২৩। আব্দুল গণী ইবন রিফায়া আল-লাখমী (রাহঃ) ……. সাইয়ার ইবন সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাসহ আবু বারযা (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করলাম এবং তাকে বলতে শুনলাম : তিনি বলেন, ঈশার পূর্বে ঘুমানো এবং ঈশার পরে কথাবার্তা বলাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অপছন্দ করতেন।

মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ....... সাইয়ার (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম ঈশার পর কথাবার্তা বলাকে অপছন্দ করেন। আর এ সম্পর্কে তারা অত্র হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন। প্রথমপক্ষ বলেন, যে কথাবার্তা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্যে নিবেদিত নয়, যদিও তা গুনাহের কাজ নয়, তবুও তা অপছন্দনীয়। কেননা একজন লোকের জন্য মুস্তাহাব হল আল্লাহর নৈকট্য, মঙ্গল, দয়া কামনা করে জামল সমাপনান্তে ঘুমিয়ে পড়া। তাই তার জন্যে সর্বোত্তম আমল হল সালাত আদায়ান্তে নিদ্রায় মগ্ন হওয়া যাতে সালাত তার সর্বশেষ ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। ঈশার পর যারা কথাবার্তা বলা মুবাহ মনে করেন তাদের দলীল হল নিম্নরূপ :
بَابُ الْحَدِيثِ بَعْدَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ
7222 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ رِفَاعَةَ اللَّخْمِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ , وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا» [ص:330]

7223 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سَيَّارٍ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى كَرَاهَةِ الْحَدِيثِ بَعْدَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: أَمَّا الْكَلَامُ الَّذِي لَيْسَ بِقُرْبَةٍ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَإِنْ كَانَ لَيْسَ بِمَعْصِيَةٍ , فَهُوَ مَكْرُوهٌ حِينَئِذٍ لِأَنَّهُ مُسْتَحَبٌّ لِلرَّجُلِ أَنْ يَنَامَ عَلَى قُرْبَةٍ , وَخَيْرٍ , وَفَضْلٍ يَخْتِمُ بِهِ عَمَلَهُ. فَأَفْضَلُ الْأَشْيَاءِ لَهُ , أَنْ يَنَامَ عَلَى الصَّلَاةِ فَتَكُونُ هِيَ آخِرُ عَمَلِهِ. وَاحْتَجُّوا فِي إِبَاحَةِ الْحَدِيثِ بَعْدَ الْعِشَاءِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২২৩
empty
৭২২৩।
7223 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২২৫
ঈশার পরে কথাবার্তা
৭২২৪। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) দুই সনদে ...... আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ঈশার সালাতের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলতেন। ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেন, হাদীসে উল্লেখিত بَعْدَ صَلَاةِ الْعَتَمَةِ - এর অর্থ হচ্ছে ঈশার সালাতের পর।
এ হাদীসে উল্লেখ করা হয় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঈশার সালাতের পর দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলতেন। আর প্রথম হাদীসে উল্লেখ করা হয় যে, তিনি তা অপছন্দ করতেন। আমাদের মতে এ দু হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান হল এভাবে যে, আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত, তিনি সাহাবায়ে কিরামের জন্য এমন কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক নয়। আর তাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক ও এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত দ্বিতীয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সমাঞ্জস্যপূর্ণ।
7224 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ ح

7225 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ قَالَ: «حَبَّبَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّمَرَ بَعْدَ صَلَاةِ الْعَتَمَةِ» وَقَالَ مُسْلِمٌ: «بَعْدَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَبَّبَ لَهُمُ السَّمَرَ بَعْدَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ , وَفِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ ذَلِكَ. فَوَجْهُهُمَا عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ أَنَّهُ كَرِهَ لَهُمْ مِنَ السَّمَرِ مَا لَيْسَ بِقُرْبَةٍ , وَحَبَّبَ لَهُمْ مَا هُوَ قُرْبَةٌ عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عَنْ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ , الْمَذْكُورَةِ فِي هَذَا الْبَابِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২২৫
empty
৭২২৫।
7225 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২২৬
ঈশার পরে কথাবার্তা
৭২২৬। ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আস-সায়রাফী (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ(রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, প্রায়শ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর ঘরে রাতের বেলায় মুসলমানদের জনহিতকর কার্যাবলী সম্পর্কে পর্যালোচনা করতেন।
এ হাদীসে প্রকাশ পায় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতের বেলায় জনহিতকর কার্যাবলী সম্পর্কে বিশদভাবে পর্যালোচনা করতেন। আর এটা ছিল মুসলমানদের স্বার্থ সম্পর্কে। সুতরাং এটা ছিল অত্যন্ত বড় ইবাদত। এতে প্রমাণিত হয় যে, নিষিদ্ধ কথাবার্তায় প্রকৃতি ছিল ভিন্নরূপ অর্থাৎ যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক নয়। এরূপ হযরত উমর ফারুক (রাযিঃ) হতেও বর্ণিত রয়েছে।
7226 - وَقَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيُّ قَالَ: أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: «رُبَّمَا سَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِ أَبِي بَكْرٍ ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي الْأَمْرِ يَكُونُ مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ» فَبَيَّنَ هَذَا الْحَدِيثُ , سَمَرَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَانَ يَسْمُرُهُ , وَأَنَّهُ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , فَذَلِكَ مِنْ أَعْظَمِ الطَّاعَاتِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ السَّمَرَ الْمَنْهِيَّ عَنْهُ , خِلَافُ هَذَا. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২২৭
ঈশার পরে কথাবার্তা
৭২২৭। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের সাথে হযরত উমর (রাযিঃ) ঈশার সালাতের পর দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।
এ হাদীসে দেখা যায় যে, হযরত উমর (রাযিঃ) ঈশার সালাতের দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেন। তবে কেমন ধরনের কথাবার্তা হয়েছিল তা বর্ণনা করা হয়নি। এ ব্যাপারে তাই আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম। অনুসন্ধানে নিম্নে উল্লেখিত বর্ণনাটি খুঁজে পাওয়া যায় :
7227 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: «حَبَّبَ إِلَيْنَا عُمَرُ السَّمَرَ بَعْدَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ عُمَرَ حَبَّبَ إِلَيْهِمُ السَّمَرَ بَعْدَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ , وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَيَّ سَمَرٍ ذَلِكَ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২২৮
ঈশার পরে কথাবার্তা
৭২২৮। সুলায়মান ইবন শুয়ায়ব (রাহঃ)..... আল-জুরায়রী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবু নাদরাহ (রাহঃ)-কে আমি বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি আনসারদের মিত্র আবু সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত উমর (রাযিঃ) ঈশার পর আলোচনা করাটা বাদ দিতেন না। তবে বলতেন, তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে যাও। তাহলে আল্লাহ্ তা'আলা রাতের সালাত কিংবা বলেছেন, সালাতে তাহাজ্জুদ আদায় করার সুযোগ দান করবেন। তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ), উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) ও আবু যর (রাযিঃ)-এর সাথে মসজিদে উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা বসে রয়েছ কেন? আমরা বললাম, আমরা আল্লাহর যিকির করার ইচ্ছে পোষণ করছি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি তাদের সাথে বসে গেলেন।
এ হযরত উমর (রা.)-ই সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ)-কে ঈশার পর কথাবার্তা বলতে নিষেধ করেছেন। যাতে তারা শীঘ্রই তাদের ঘরে পোঁছে নফল সালাত আদায় করবে কিংবা ঘুমিয়ে পড়বে এবং রাত্রের শেষভাগে পালাতে তাহাজ্জুদ আদায় করবে। যখন তিনি মসজিদে উপবিষ্ট সাহাবীদেরকে ঈশার সালাতের পর বসে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, আর তারা আল্লাহর যিকির করার কথা বললেন। তখন উমর (রাযিঃ) তা খারাপ মনে করলেন না, বরং তিনিও তাদের সাথে যোগ দিলেন। কেননা যে বস্তুটি সম্পাদনের জন্য তারা বসেছিলেন তিনিও সেই বস্তুটির সম্পদানের জন্যেই বসে পড়েন। এতে প্রমাণিত হয় যে, আবু ওয়ায়ল (রাযিঃ) হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে যে বর্ণনা পেশ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও উমর (রাযিঃ) সাহাবায়ে কিরামের সাথে ঈশার পর দীর্ঘ আলোচনায় নিয়োজিত থাকতেন, সেখানে ছিল আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ ও উপায়। আবু বারযাহ (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে যে ঈশার পরে কথাবার্তা বলা নিষেধ করা হয়েছিল, তাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের কোন উপকরণ ছিল না। এরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ফলে দুই হাদীসের মধ্যে আর বৈপরীত্ব রইল না, বরং দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠিত হল। আমরা আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও আল-মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি যে, তারা সুরাইয়া তারকা উদয় হওয়া পর্যন্ত ঈশার সালাতের আলোচনায় রত ছিলেন। আমাদের মতে তারা এমন আলোচনায় রত ছিলেন যার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা'আলার নৈকট্য লাভ করা যায়। আর এ হাদীসটি আমরা আমাদের এ কিতাবে সনদসহ বর্ণনা করেছি। হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতেও অন্য সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করা হয়েছে। যাতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি বলেছেন, রাতের কথাবার্তা শুধু মুসল্লী ও মুসাফিরের জন্যে বৈধ। যদি ও বর্ণনাটি তাঁর থেকে বর্ণিত বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এটা আমাদের মতে আমাদের উল্লেখিত হাদীসের বিপরীত নয়। কেননা মুসাফির এমন বস্তুটির (কথাবার্তা) প্রয়োজন বোধ করে যা ঘুমকে দূর করে। তাহলে সে নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারবে। এজন্য তার পক্ষে কথাবার্তা বলাকে মুবাহ বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে- যদিও এটা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক নয়। তবে এটা যেন পাপের আলোচনা অনুষ্ঠিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মুসাফির এরূপ কথাবার্তার আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজনবোধ করে। আর এ তথ্যটি তার কথায় ব্যক্ত হচ্ছে। তিনি বলেছেন لَا سَمَرَ إِلَّا لِمُسَافِرٍ (শুধু মুসাফিরের জন্য রাতের কথাবার্তা বৈধ)।
আমাদের মতে তার কথা لَا سَمَرَ إِلَّا لِمُصَلٍّ এর অর্থ হচ্ছে রাতের কথাবার্তার পর যে সালাত আদায় করবে তার জন্যে কথাবার্তা বৈধ। কেননা এর পর সে নিদ্রা যায় তাহলে সালাতের পরই নিদ্রায় যাওয়া হল, কথাবার্তার পরে নয়। সুতরাং এই হাদীসের মর্ম ও প্রথমে উল্লেখিত হাদীসসমূহের মর্ম একই বলে প্রমাণিত হয়। আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত
7228 - فَإِذَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ ثنا شُعْبَةُ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا نَضْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَوْلَى الْأَنْصَارِ قَالَ: «كَانَ عُمَرُ لَا يَدَعُ سَامِرًا بَعْدَ الْعِشَاءِ , يَقُولُ ارْجِعُوا , لَعَلَّ اللهَ يَرْزُقُكُمْ صَلَاةً أَوْ تَهَجُّدًا. فَانْتَهَى إِلَيْنَا , وَأَنَا قَاعِدٌ مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ , وَأَبِي ذَرٍّ فَقَالَ مَا يُقْعِدُكُمْ؟ قُلْنَا أَرَدْنَا أَنْ نَذْكُرَ اللهَ , فَقَعَدَ مَعَهُمْ» [ص:331] فَهَذَا عُمَرُ , قَدْ كَانَ يَنْهَاهُمْ عَنِ السَّمَرِ بَعْدَ الْعِشَاءِ , لِيَرْجِعُوا إِلَى بُيُوتِهِمْ , لِيُصَلُّوا , أَوْ لِيَنَامُوا نَوْمًا , ثُمَّ يَقُومُونَ لِصَلَاةٍ , يَكُونُونَ بِذَلِكَ مُتَهَجِّدِينَ. فَلَمَّا سَأَلَهُمْ: مَا الَّذِي أَقْعَدَهُمْ؟ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُ ذِكْرُ اللهِ، لَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ وَقَعَدَ مَعَهُمْ , لِأَنَّ مَا كَانَ يُقِيمُهُمْ لَهُ هُوَ الَّذِي هُمْ قُعُودٌ لَهُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ السَّمَرَ الَّذِي فِي حَدِيثِ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُمَرَ , حَبَّبَاهُ إِلَيْهِمْ , هُوَ الَّذِي فِيهِ قُرْبَةٌ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَالنَّهْيُ عَنْهُ فِي حَدِيثِ أَبِي بَرْزَةَ هُوَ: مَا لَا قُرْبَةَ فِيهِ لِيَسْتَوِيَ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , لِتَتَّفِقَ , وَلَا تَتَضَادَّ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ , وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ أَنَّهُمَا سَمَرَا إِلَى طُلُوعِ الثُّرَيَّا. فَذَلِكَ، عِنْدَنَا، عَلَى السَّمَرِ الَّذِي هُوَ قُرْبَةٌ , إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ الْحَدِيثَ بِإِسْنَادِهِ فِيمَا تَقَدَّمَ , مِنْ كِتَابِنَا هَذَا. وَقَدْ رُوِيَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا مِنْ طَرِيقٍ لَيْسَ مِثْلُهُ يَثْبُتُ , أَنَّهَا قَالَتْ: «لَا سَمَرَ إِلَّا لِمُصَلٍّ , أَوْ مُسَافِرٍ» ، فَذَلِكَ عِنْدَنَا , إِنْ ثَبَتَ عَنْهَا غَيْرُ مُخَالِفٍ لِمَا رَوَيْنَا , وَذَلِكَ أَنَّ الْمُسَافِرَ يَحْتَاجُ إِلَى مَا يَدْفَعُ النَّوْمَ عَنْهُ لِيَسِيرَ , فَأُبِيحَ بِذَلِكَ السَّمَرُ , وَإِنْ كَانَ لَيْسَ بِقُرْبَةٍ , مَا لَمْ تَكُنْ مَعْصِيَةً , لِاحْتِيَاجِهِ إِلَى ذَلِكَ. فَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهَا لَا سَمَرَ إِلَّا لِمُسَافِرٍ. وَأَمَّا قَوْلُهَا أَوْ مُصَلٍّ فَمَعْنَاهُ، عِنْدَنَا، عَلَى الْمُصَلِّي بَعْدَمَا يَسْمُرُ , فَيَكُونُ نَوْمُهُ إِذَا نَامَ بَعْدَ ذَلِكَ عَلَى الصَّلَاةِ , لَا عَلَى السَّمَرِ. فَقَدْ عَادَ هَذَا الْمَعْنَى إِلَى الْمَعْنَى الَّذِي صَرَفْنَا إِلَيْهِ مَعَانِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , وَاللهُ أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান