শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭১৬১
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬১। ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক লোক রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে তাদের এক সাথীকে নিয়ে এলো। তারা তাঁকে প্রশ্ন করল আমরা কি তাকে দাগাবো? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) চুপ করে রইলেন। আবারো তারা তাঁকে প্রশ্ন করল, তিনি তখনও চুপ করে রইলেন। অতঃপর তারা আবার তাঁকে প্রশ্ন করল। তখন তিনি তাদেরকে বললেন পাথর সেঁকা দাও কিংবা (আগুনে ) পোড়া দাও, আর এটাকে তিনি অপছন্দ করলেন।
بَابُ الْكَيِّ هَلْ هُوَ مَكْرُوهٌ أَمْ لَا؟
7161 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّ نَاسًا أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصَاحِبٍ لَهُمْ , فَسَأَلُوهُ أَنَكْوِيهِ؟ , فَسَكَتَ , فَسَأَلُوهُ , فَسَكَتَ , ثُمَّ سَأَلُوهُ فَقَالَ: «ارْضِفُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ وَكَرِهَ ذَلِكَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬২
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬২। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ……. আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে একদিন তিন ব্যক্তি এসে বলল, আমাদের এক সাথী অসুস্থ হয়ে পড়েছে আর তার জন্য দাগানোর চিকিৎসা নির্ধারণ করা হয়েছে। তো আমরা কি তাকে দাগাবো? তিনি নীরব থাকলেন, তারা পুনঃ প্রশ্ন করলো আর তিনি নীরব থাকলেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে তৃতীয়বারের সময় বললেন, যদি তোমরা ইচ্ছে কর তাহলে তাকে দাগাও, আবার যদি ইচ্ছে কর তাহলে কি উত্তপ্ত পাথর দ্বারা সেঁকা দাও ।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, وَإِنْ شِئْتُمْ -এর অর্থ আমাদের মতে 'ধমক', যার বাহ্যিক অর্থ হলো আদেশ কিন্তু অন্তর্নিহিত মর্ম হলো নিষেধ যেমন আল্লাহ্ তা'আলা বলেন :

وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ

অর্থাৎ “তোমার আহবানে তাদের মধ্যে যাকে পার পদস্খলিত কর।” (সূরা ১৭ : ৬৪)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন : اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ অর্থাৎ "তোমাদের যা ইচ্ছে কর"। (সূরা ৪১ : ৪০)
7162 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ فَقَالُوا: إِنَّ صَاحِبًا لَنَا مَرِيضٌ وَوُصِفَ لَهُ الْكَيُّ , أَفَنَكْوِيهِ؟ فَسَكَتَ , ثُمَّ عَاوَدُوا فَسَكَتَ , ثُمَّ قَالَ لَهُمْ فِي الثَّالِثَةِ: «اكْوُوهُ إِنْ شِئْتُمْ , وَإِنْ شِئْتُمْ فَارْضِفُوهُ بِالرَّضْفِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَمَعْنَى هَذَا عِنْدَنَا عَلَى الْوَعِيدِ الَّذِي ظَاهِرُهُ الْأَمْرُ , وَبَاطِنُهُ النَّهْيُ , كَمَا قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُمْ} [الإسراء: 64] الْآيَةَ , وَكَقَوْلِهِ {اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ} [فصلت: 40]
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬৩
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৩। আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তোমরা যা দ্বারা চিকিৎসা কর তাতে যদি আরোগ্য থেকে থাকে, তাহলে তা আছে রক্ত মোক্ষকের কাঁচের নালায় কিংবা মধুর শরবতে কিংবা আগুনের সেঁকায়, তবে দাগানো আমি পছন্দ করি না।
7163 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا أَبُو سَعِيدٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَسْعَدَ الثَّعْلَبِيُّ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِي شَيْءٍ مِمَّا تُدَاوُونَ بِهِ شِفَاءٌ , فَفِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ , أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ , أَوْ لَذْعَةِ نَارٍ , وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬৪
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৪। আবু বাকরা (রাহঃ) ...... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমার উম্মতের ৭০ (সত্তর হাজার মানুষ হিসাব নিকাশ ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল । তারা কারা? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তারা হলো যারা কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না, লোহা পুড়ে দাগ দেয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করে না এবং যারা তাবীযাতের মাধ্যমে চিকিৎসা করে না এবং যারা তাদের প্রতিপালকের উপর তাওয়াক্কুল করে থাকে।
7164 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ حَسَّانٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ , مَنْ هُمْ؟ قَالَ «هُمُ الَّذِينَ لَا يَتَطَيَّرُونَ , وَلَا يَكْتَوُونَ , وَلَا يَسْتَرِقُّونَ , وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৭১৬৫
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে দাগানোর চিকিৎসা থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
7165 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، قَالَ: ثنا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: نُهِينَا عَنِ الْكَيِّ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬৬
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৬। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) …… উকবা ইবন আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোহা পুড়ে দাগ দেয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করতে নিষেধ করেছেন।
একদল আলিমের মতে লোহা পুড়ে দাগ দেয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করা অপছন্দনীয়। তারা বলেন, কোন অবস্থানে কারো জন্য এরুপ চিকিৎসা গ্রহণ করা বৈধ নয়। তারা এসব হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করে বলেন, যে রোগের একমাত্র চিকিৎসা হল গরম লোহার দাগ দেয়া, তাতে এরূপ চিকিৎসা করার মধ্যে কোন ক্ষতি নেই। আর এ সম্পর্কে তাদের দলীল হল নিম্নরূপ :
7166 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْكَيِّ» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْكَيَّ مَكْرُوهٌ , وَأَنَّهُ لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَهُ عَلَى حَالٍ مِنَ الْأَحْوَالِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِالْكَيِّ لِمَا عِلَاجُهُ الْكَيُّ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬৭
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৭। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) …… জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, লোহা পুড়ে দাগ দেয়ার মাধ্যমে উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) নিজের চিকিৎসা করান। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার কাছে একজন চিকিৎসককে প্রেরণ করেন, যিনি তার একটি রগ কেটে দেন এবং তার উপর লোহা পুড়ে দাগ দেন।
7167 - مَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: اشْتَكَى أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَبِيبًا , فَقَطَعَ مِنْهُ عِرْقًا , ثُمَّ كَوَاهُ عَلَيْهِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬৮
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৮। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) …… জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ)-এর কাছে একজন চিকিৎসক প্রেরণ করেন। তিনি তাঁর একটি রগ কেটে ফেলেন এবং তার উপর লোহা পুড়ে দাগ দেন।
7168 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَيَّاشٌ الرَّقَّامُ، قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ طَبِيبًا , فَقَطَعَ مِنْهُ عِرْقًا ثُمَّ كَوَاهُ عَلَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৬৯
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৬৯। ফাহদ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন উবাই ইবন কা'ব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার কাছে একজন চিকিৎসক প্রেরণ করেন। তিনি তার বাহুর একটি রগ কেটে ফেলেন ও তার উপর লোহা পুড়ে দাগ দেন ।
7169 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: ثنا أَبِي، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «اشْتَكَى أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَبِيبًا , فَقَدَّ عِرْقَهُ الْأَكْحَلَ , وَكَوَاهُ عَلَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭০
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭০। ফাহদ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সা'দ ইবন মুআয (রাযিঃ)-এর বাহুর রগ তীরবিদ্ধ হয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজ হাতে ছুরি দিয়ে তা কেটে ফেলেন। অতঃপর তা আবার ফুলে উঠে। তিনি তা দ্বিতীয়বার কর্তন করেন।
7170 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: رُمِيَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فِي أَكْحَلِهِ , فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ بِمِشْقَصٍ , ثُمَّ وَرَمَتْ , فَحَسَمَهُ الثَّانِيَةَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭১
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭১। রাবী আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) কিংবা সা'দ (রাযিঃ)-এর হাতে তীর বিদ্ধ হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একজন চিকিৎসককে আদেশ করেন যেন তিনি তার চিকিৎসা করেন। চিকিৎসক তাকে লোহা পুড়ে দাগ দিয়ে চিকিৎসা করেন।
7171 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، أَوْ سَعْدًا رُمِيَ رَمْيَةً فِي يَدِهِ , فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَبِيبًا فَكَوَاهُ عَلَيْهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭২
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭২। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ……. জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আহযাব যুদ্ধের দিন সা'দ ইবন মুআয (রাযিঃ) তীর বিদ্ধ হন। সাহাবায়ে কিরাম তার বাহুর রগ কেটে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা আগুন দিয়ে দাগ দেন। তাতে তার হাত ফুলে উঠে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দ্বিতীয়বার তা আগুন দিয়ে দাগ দেন।
7172 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا شُعَيْبٌ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: رُمِيَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَطَعُوا أَكْحَلَهُ , فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّارِ , فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ , فَحَسَمَهُ مَرَّةً أُخْرَى "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৭৪
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭৩-৭৪। ফাহদ (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সা'দ ইবন যুরারা (রাযিঃ)-কে কাঁটাবিদ্ধ হওয়ার কারণে লোহা পুড়ে দাগ দেন ।

ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… ইয়াযীদ ইবন যুরাই (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি مِنْ شَوْكَةٍ এর مِنْ شَوْصَةٍ স্থলে বলেন।
7173 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَوَى سَعْدَ بْنَ زُرَارَةَ مِنْ شَوْكَةٍ»

7174 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ ذُرَيْعٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ مِنْ شَوْصَةٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৪
empty
৭১৭৪।
7174 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৫
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবু তালহা (রাযিঃ) আমাকে দাগিয়েছেন তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন, কিন্তু আমাকে তা থেকে নিষেধ করা হয়নি।
7175 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عِمْرَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «كَوَانِي أَبُو طَلْحَةَ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا , فَمَا نُهِيتُ عَنْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৬
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭৬। ফাহদ (রাহঃ) …… আমর ইবন শুয়ায়ব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সা'দ (রাযিঃ) কিংবা আসআদ ইবন যুরারা (রাযিঃ)-কে গলায় আহত হওয়ার কারণে দাগিয়েছেন।
উপরোক্ত হাদীসগুলোতে উল্লেখকৃত রোগের ক্ষেত্রে দাগানোর বৈধতা সাব্যস্ত হয়। আর প্রথমোক্ত হাদীসগুলোতে সাব্যস্ত হয় নিষেধ। সুতরাং এরূপ সম্ভাবনা রয়েছে যে, এ হাদীসগুলোতে যে জন্য এরূপ চিকিৎসা মুবাহ ছিল, প্রথম হাদীসগুলোতে ভিন্ন কারণের জন্যে নিষিদ্ধ ছিল। আর তা হলো, কোন একটি সম্প্রদায় রোগ দেখা দেয়ার পূর্বে লোহা পুড়ে দাগ দিত এবং তারা মনে করত এরূপ করলে তাদের ক্ষেত্রে আর রোগ দেখা দেবে না। যেমন অনারব লোকজন এরূপ করে থাকে। এটা অপছন্দনীয়। কেননা এটা চিকিৎসার পদ্ধতি নয়, এটা শিরক। তারা এটা করত যাতে তারা আল্লাহর নির্ধারিত কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু যদি রোগ দেখা দেয়ার পর ঐরূপ চিকিৎসা করা হয়, তাহলে এটা হবে মঙ্গলের জন্য। আর রোগের চিকিৎসা করা তো মুবাহ ও বৈধ এবং শরীআতে তার আদেশ রয়েছে। এ তথ্যটি জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তার হাদীসে বর্ণনা করেছেন।
7176 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَوَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعْدًا أَوْ أَسْعَدَ بْنَ زُرَارَةَ مِنَ الذَّبْحَةِ فِي حَلْقِهِ» [ص:322] فَفِي هَذِهِ الْأَخْبَارِ إِبَاحَةُ الْكَيِّ لِلدَّاءِ الْمَذْكُورِ , فِيهَا وَفِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , النَّهْيُ عَنِ الْكَيِّ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ الْمَعْنَى الَّذِي كَانَتْ لَهُ الْإِبَاحَةُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , غَيْرَ الْمَعْنَى الَّذِي كَانَ لَهُ النَّهْيُ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ. وَذَلِكَ أَنَّ قَوْمًا كَانُوا يَكْتَوُونَ قَبْلَ نُزُولِ الْبَلَاءِ بِهِمْ , يَرَوْنَ أَنَّ ذَلِكَ يَمْنَعُ الْبَلَاءَ أَنْ يَنْزِلَ بِهِمْ , كَمَا تَفْعَلُ الْأَعَاجِمُ. فَهَذَا مَكْرُوهٌ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى طَرِيقِ الْعِلَاجِ وَهُوَ شِرْكٌ لِأَنَّهُمْ يَفْعَلُونَهُ لِيَدْفَعَ قَدَرَ اللهِ عَنْهُمْ. فَأَمَّا مَا كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْبَلَاءِ , إِنَّمَا يُرَادُ بِهِ الصَّلَاحُ , وَالْعِلَاجُ مُبَاحٌ مَأْمُورٌ. وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ فِي حَدِيثٍ رَوَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৭
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭৭। আবু বাকরা (রাহঃ) …… জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের এসব চিকিৎসার মধ্যে যদি কোন প্রকার কল্যাণ সাধন হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা রক্ত মোক্ষণকারীর গ্লাসের নালিতে কিংবা মধুর শরবত কিংবা অগ্নিদগ্ধে যা তোমাদের রোগের চিকিৎসার উপযোগী চিকিৎসার উপায় অন্বেষণ কর। তবে আমি লোহা পুড়ে দাগ দিয়ে চিকিৎসা করাকে পছন্দ করি না।
এ হাদীসে রয়েছে যে, অগ্নিদগ্ধ করা যদি রোগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে তা মুবাহ। আর লোহা পুড়ে দাগ দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে অপছন্দনীয়। অথচ অগ্নিদগ্ধও লোহা পুড়ে দাগ দেয়ার ন্যায়। এতে প্রমাণিত হয়। যে, লোহা পুড়ে দাগ দেয়াটা যদি রোগ নিরাময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে তাও মুবাহ। আর লোহা পুড়ে দাগ দেয়াটা যদি রোগ নিরাময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে তা অপসন্দনীয়। আর এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, প্রথম প্রকারের হাদীসগুলোতে লোহা পুড়ে দাগ দেয়া নিষেধ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় প্রকারের হাদীসগুলোতে তাকে মুবাহ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
7177 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، وَابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَا: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِنْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِنْ أَدْوِيَتِكُمْ هَذِهِ خَيْرٌ , فَفِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ , أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ , أَوْ لَذْعَةِ نَارٍ , تُوَافِقُ دَاءً , وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَكْتَوِيَ» فَإِذَا كَانَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ لَذْعَةَ النَّارِ الَّتِي تُوَافِقُ الدَّاءَ مُبَاحَةٌ , وَالْكَيَّ مَكْرُوهٌ , وَكَانَتِ اللَّذْعَةُ بِالنَّارِ كَيَّةً , ثَبَتَ أَنَّ الْكَيَّ الَّذِي يُوَافِقُ الدَّاءَ مُبَاحٌ , وَأَنَّ الْكَيَّ الَّذِي لَا يُوَافِقُ الدَّاءَ مَكْرُوهٌ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ الْكَيُّ مَنْهِيًّا عَنْهُ عَلَى مَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , ثُمَّ أُبِيحَ بَعْدَ ذَلِكَ عَلَى مَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ الْأُخَرِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৮
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭৮। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… আমর ইবন শুয়ায়ব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করে এবং দাগানোর অনুমতি প্রার্থনা করে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তোমরা দাগিয়ো না। লোকটি বলল, হে আল্লাহ্ রাসূল! আমার কষ্ট চরমে পৌঁছেছে আর দাগানো ছাড়া কোন বিকল্প দেখি না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তুমি যা ইচ্ছে করতে পার তবে জেনে রেখো, যে কোন যখমী হতে কিয়ামতের দিন রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে এবং তার থেকে অনুভূত আহত ব্যক্তিটি ব্যথার জন্যে ফরিয়াদ করতে থাকবে। আর লোহা পুড়ে দাগ দেয়ার চিকিৎসা পদ্ধতির যখমী কিয়ামতের দিন হাযির হয়ে উল্লেখ করবে যে, এ যখমীর কারণ হলো আল্লাহর সাথে মুলাকাত করার ব্যাপারে অসন্তুষ্টি জ্ঞাপন। অতঃপর তিনি তাকে দাগানোর অনুমতি দিলেন।
সুতরাং এ হাদীসে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রথমত দাগানোর বিষয়ে নিষেধ করেন এবং পরে এটাকে মুবাহ বলে অনুমতি দেন। সুতরাং এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, প্রথম প্রকারের হাদীসগুলোর মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যা নিষেধ করা হয়েছিল, তা এ হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় প্রকারের হাদীসগুলোর মধ্যে যে মুবাহ বলে ঘোষণা করা হয়েছে, তাও এ হাদীসের মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং মুবাহ হল ناسخ (রহিতকারী) আর নিষিদ্ধটি হল منسوخ (রহিত)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তিনি এক চোরকে হাত কাটার পর লোহা পুড়ে দাগ দিয়েছিলেন।
7178 - وَذَلِكَ أَنَّ ابْنَ أَبِي دَاوُدَ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَأْذِنُ فِي الْكَيِّ فَقَالَ: «لَا تَكْتَوِ» . فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , بَلَغَ بِي الْجَهْدُ , وَلَا أَجِدُ بُدًّا مِنْ أَنْ أَكْتَوِيَ. قَالَ: «مَا شِئْتُ , أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ جُرْحٍ إِلَّا وَهُوَ آتِي اللهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ , يُدْمِي , يَشْكُو الْأَلَمَ الَّذِي كَانَ سَبَبَهُ , وَأَنَّ جُرْحَ الْكَيِّ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ , يَذْكُرُ أَنَّ سَبَبَهُ كَانَ مِنْ كَرَاهَةِ لِقَاءِ اللهِ ثُمَّ أَمَرَهُ أَنْ يَكْتَوِيَ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْكَيِّ وَإِبَاحَتِهِ إِيَّاهُ بَعْدَ ذَلِكَ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ مَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَالِ النَّهْيِ الْمَذْكُورِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَمَا كَانَ مِنَ الْإِبَاحَةِ فِي الْآثَارِ الْأُخَرِ , كَانَ , بَعْدَمَا كَانَتْ مِنْهُ الْإِبَاحَةُ الْمَذْكُورَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , فَتَكُونُ الْإِبَاحَةُ نَاسِخَةً لِلنَّهْيِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَوَى سَارِقًا بَعْدَمَا قَطَعَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৭৯
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৭৯। ইবন খুযায়মা (রাহঃ) …… ইবন মুহায়রিয (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি ফুদালা ইবন উবায়দ (রাহঃ)-কে বললাম, এটা কি সুন্নত তরীকা যে, চোরের হাত কাটা যাবে এবং এটাকে তার গর্দানে ঝুলিয়ে দেয়া হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কেননা একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে একটি চোরকে হাযির করা হল। তখন তিনি তার সম্পর্কে নির্দেশ জারী করেন। তার হাত কাটা হল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার রক্ত বদ্ধ করলেন ও কর্তিত হাতটি তার গর্দানে ঝুলিয়ে দিলেন।
7179 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ عَنْ مَكْحُولٍ عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ: قُلْتُ لِفَضَالَةَ بْنِ عَبْدٍ أَمِنَ السُّنَّةِ أَنْ يُقْطَعَ السَّارِقُ , وَيُعَلَّقَ فِي عُنُقِهِ؟ . [ص:323] فَقَالَ: «نَعَمْ , إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِسَارِقٍ , فَأَمَرَ بِهِ , فَقُطِعَتْ يَدُهُ , ثُمَّ حَسَمَهُ , ثُمَّ عَلَّقَهَا فِي عُنُقِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭১৮০
দাগানো মাকরূহ কি না?
৭১৮০। হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) ……. মুহাম্মাদ ইবন আব্দুর রহমান ইবন সাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এক ব্যক্তিকে হাযির করা হল, যে একটি চাদর চুরি করেছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কি চুরি করেছ? আমার মনে হয় না যে, তুমি চুরি করেছ। সে বলল, হ্যাঁ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তাকে নিয়ে যাও এবং তার হাত কাট। অতঃপর লোহা পুড়ে দাগ দিয়ে রক্ত বন্ধ কর ও আমার নিকট নিয়ে আস। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) চোরকে লক্ষ্য করে বলেন, আল্লাহর কাছে তওবা কর ।
এ হাদীসে প্রমাণিত হয় যে, লোহা পুড়ে দাগ দিয়ে চিকিৎসা করা মুবাহ। কেননা এটা একটি চিকিৎসা। মরুবাসী লোকেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং বলেছিলেন, আমরা কি এটা দিয়ে চিকিৎসা করব? তখন তিনি তাদেরকে ইতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন।
7180 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، قَالَ: أُتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ سَرَقَ شَمْلَةً , فَقَالَ: «أَسَرَقْتَ؟ مَا إِخَالُ سَرَقْتَ اذْهَبُوا بِهِ فَاقْطَعُوهُ , ثُمَّ احْسِمُوهُ» ، ثُمَّ قَالَ: «تُبْ إِلَى اللهِ» فَفِي هَذِهِ أَيْضًا , دَلِيلٌ عَلَى إِبَاحَةِ الْكَيِّ الَّذِي يُرَادُ بِهِ الْعِلَاجُ , لِأَنَّهُ دَوَاءٌ وَقَدْ سَأَلَ الْأَعْرَابُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: أَلَا نَتَدَاوَى؟ . فَكَانَ جَوَابُهُ لَهُمْ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান