শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৯. শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬২৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৫৯
যে ব্যক্তি أيام عشر-এ কুরবানী করা ওয়াজিব করেছে অথবা কুরবানী করবে বলে সংকল্প গ্রহণ করেছে, তার জন্য কি নিজের চুল কিংবা নখ কাটা জায়েয হবে।
৬২৫৮-৫৯। ইবরাহীম ইব্ন মারযুক ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখে কুরবানী করার ইচ্ছা করবে, সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে যাবত না সে কুরবানী করবে।
রাবী আল-জীযী ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব বলেন, নবী (ﷺ) -এর স্ত্রী হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আবুল লাইস (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস তাে এরূপ বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু বেশীর ভাগ লােক এর বিপরীত মত পােষণ করেন।
আবু জাফর [তাহাভী (রাহঃ)] বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীসের অনুসরণ করেছেন এবং এ হাদীসকেই তারা মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন, আওযাঈ, ইসহাক, আহমদ ও আবু সাওর উদ্দেশ্য।
অপরদিকে অন্য এক দল উলামা-ই কিরাম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেছেন। তারা বলেন, যে ব্যক্তি কুরবানী করার সংকল্প গ্রহণ করেছে এবং যে সংকল্প গ্রহণ করেনি, তাদের জন্য নখ ও চুল কাটায় কোন অসুবিধা নেই।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আতা ইবন ইয়াসার, আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান, আবু বকর ইব্ন সুলায়মান, সাওরী, আবু হানীফা, মালিক, শাফিঈ, আবু ইউসূফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
আর এ বিষয়ে আমরা হজ্জ পর্বে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তা দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন। তিনি বলেন :كُنْتُ أَفْتِلُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ بِهَا , ثُمَّ يُقِيمُ فِينَا حَلَالًا , لَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ الْمُحْرِمُ , حَتَّى يَرْجِعَ النَّاسُ
অর্থাৎ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কুরবানীর পশু (যা তিনি হারাম শরীফে পাঠাবেন)-এর কিলাদার রশি পাকিয়ে দিতাম। তারপর তিনি তা (হারাম শরীফে) পাঠিয়ে দিতেন এবং তিনি নিজে আমাদের মধ্যে অবস্থান করতেন। মক্কা হতে লােকজনের ফিরে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিনি সে সব জিনিস হতে বিরত থাকতেন না যে সব জিনিস হতে মুহরিম বিরত থাকে। প্রথম হাদীস যে বিষয়কে নিষিদ্ধ বলেছে, এ হাদীসে তার মুবাহ হবার দলীল রয়েছে। এছাড়া হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা উত্তম। কারণ হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত কিন্তু হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস তেমন নয়। বরং মালিক (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত সনদে طعن ও অভিযােগ উত্থাপন করা হয়েছে। কেড কেউ বলেন, হাদীসটি হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ)-এর ওপর মাউকুফ, মারফু নয়।
রাবী আল-জীযী ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব বলেন, নবী (ﷺ) -এর স্ত্রী হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আবুল লাইস (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস তাে এরূপ বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু বেশীর ভাগ লােক এর বিপরীত মত পােষণ করেন।
আবু জাফর [তাহাভী (রাহঃ)] বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীসের অনুসরণ করেছেন এবং এ হাদীসকেই তারা মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন, আওযাঈ, ইসহাক, আহমদ ও আবু সাওর উদ্দেশ্য।
অপরদিকে অন্য এক দল উলামা-ই কিরাম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেছেন। তারা বলেন, যে ব্যক্তি কুরবানী করার সংকল্প গ্রহণ করেছে এবং যে সংকল্প গ্রহণ করেনি, তাদের জন্য নখ ও চুল কাটায় কোন অসুবিধা নেই।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আতা ইবন ইয়াসার, আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান, আবু বকর ইব্ন সুলায়মান, সাওরী, আবু হানীফা, মালিক, শাফিঈ, আবু ইউসূফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
আর এ বিষয়ে আমরা হজ্জ পর্বে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তা দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন। তিনি বলেন :كُنْتُ أَفْتِلُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ بِهَا , ثُمَّ يُقِيمُ فِينَا حَلَالًا , لَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ الْمُحْرِمُ , حَتَّى يَرْجِعَ النَّاسُ
অর্থাৎ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কুরবানীর পশু (যা তিনি হারাম শরীফে পাঠাবেন)-এর কিলাদার রশি পাকিয়ে দিতাম। তারপর তিনি তা (হারাম শরীফে) পাঠিয়ে দিতেন এবং তিনি নিজে আমাদের মধ্যে অবস্থান করতেন। মক্কা হতে লােকজনের ফিরে আসা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিনি সে সব জিনিস হতে বিরত থাকতেন না যে সব জিনিস হতে মুহরিম বিরত থাকে। প্রথম হাদীস যে বিষয়কে নিষিদ্ধ বলেছে, এ হাদীসে তার মুবাহ হবার দলীল রয়েছে। এছাড়া হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা উত্তম। কারণ হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত কিন্তু হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস তেমন নয়। বরং মালিক (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত সনদে طعن ও অভিযােগ উত্থাপন করা হয়েছে। কেড কেউ বলেন, হাদীসটি হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ)-এর ওপর মাউকুফ, মারফু নয়।
بَابُ مَنْ أَوْجَبَ أُضْحِيَّةً فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَوْ عَزَمَ عَلَى أَنْ يُضَحِّيَ , هَلْ لَهُ أَنْ يَقُصَّ شَعْرَهُ أَوْ أَظْفَارَهُ؟
6258 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ ثَابِتٍ الْبَزَّارُ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ رَأَى مِنْكُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ , وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ , فَلَا يَأْخُذْ مِنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ , حَتَّى يُضَحِّيَ»
6259 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ اللَّيْثُ: قَدْ جَاءَ هَذَا , وَأَكْثَرُ النَّاسِ عَلَى غَيْرِهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَلَّدُوهُ , وَجَعَلُوهُ أَصْلًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِقَصِّ الْأَظْفَارِ وَالشَّعْرِ , فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ , لِمَنْ عَزَمَ عَلَى أَنْ يُضَحِّيَ , وَلِمَنْ لَمْ يَعْزِمْ عَلَى ذَلِكَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِمَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ الْحَجِّ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: كُنْتُ أَفْتِلُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ بِهَا , ثُمَّ يُقِيمُ فِينَا حَلَالًا , لَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ الْمُحْرِمُ , حَتَّى يَرْجِعَ النَّاسُ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى إِبَاحَةِ مَا قَدْ حَظَرَهُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ. وَمَجِيءُ حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَحْسَنُ مِنْ مَجِيءِ حَدِيثِ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لِأَنَّهُ جَاءَ مَجِيئًا مُتَوَاتِرًا. وَحَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لَمْ يَجِئْ كَذَلِكَ , بَلْ قَدْ طُعِنَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ مَالِكٍ , فَقِيلَ: إِنَّهُ مَوْقُوفٌ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا
6259 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ اللَّيْثُ: قَدْ جَاءَ هَذَا , وَأَكْثَرُ النَّاسِ عَلَى غَيْرِهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَلَّدُوهُ , وَجَعَلُوهُ أَصْلًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِقَصِّ الْأَظْفَارِ وَالشَّعْرِ , فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ , لِمَنْ عَزَمَ عَلَى أَنْ يُضَحِّيَ , وَلِمَنْ لَمْ يَعْزِمْ عَلَى ذَلِكَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِمَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ الْحَجِّ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: كُنْتُ أَفْتِلُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ بِهَا , ثُمَّ يُقِيمُ فِينَا حَلَالًا , لَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ الْمُحْرِمُ , حَتَّى يَرْجِعَ النَّاسُ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى إِبَاحَةِ مَا قَدْ حَظَرَهُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ. وَمَجِيءُ حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَحْسَنُ مِنْ مَجِيءِ حَدِيثِ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لِأَنَّهُ جَاءَ مَجِيئًا مُتَوَاتِرًا. وَحَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لَمْ يَجِئْ كَذَلِكَ , بَلْ قَدْ طُعِنَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ مَالِكٍ , فَقِيلَ: إِنَّهُ مَوْقُوفٌ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৫৯
empty
৬২৫৯।
6259 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৬১
যে ব্যক্তি أيام عشر-এ কুরবানী করা ওয়াজিব করেছে অথবা কুরবানী করবে বলে সংকল্প গ্রহণ করেছে, তার জন্য কি নিজের চুল কিংবা নখ কাটা জায়েয হবে।
৬২৬০-৬১। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, হাদীসটি মারফু বর্ণনা করেননি, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখল এবং কুরবানী করার জন্য মনস্থ করল; সে যেন কুরবানী করার পূর্বে তার চুল ও নখ না কাটে।
ইউনুস ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন কিন্তু হযরত উম্মে সালামা মারফূ বর্ণনা করেননি।
বস্তুত হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত এটাই মূল হাদীস। আর এটা হলাে হাদীসের সূত্রে প্রমাণিত এ অনুচ্ছেদের হুকুম।
নযর ও যুক্তি : আর এ ব্যাপারে নযর ও যুক্তি হলাে, আমরা দেখেছি, ইহরামের পূর্বে বহু জিনিস যা হালাল ছিল, ইহরামের পর তা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করা, তাকে চুমু খাওয়া, নখ কাটা ও চুল মুড়ে ফেলা, ইহরামের কারণে এ সবই হারাম হয়ে যায়। আর এ সবের হুকুমও ভিন্ন ভিন্ন। ইহরামের অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে ইহরাম নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য স্ত্রী সহবাস ছাড়া আর যে সব কাজ, তা করলে ইহরাম নষ্ট হবে না। এতে স্পষ্ট হলাে, ইহরাম দ্বারা যে সব কাজ হারাম হয়, তার মধ্যে সর্বাধিক গুরুতর হলাে, স্ত্রী সহবাস করা। তারপর আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যিলহজ্জ মাসের দশ তারিখের মধ্যে কেউ যদি কুরবানী করার মনস্থ করে, তবে তার। জন্য স্ত্রী সহবাস করা নিষিদ্ধ নয়। আর ইহরামের পর স্ত্রী সহবাস করা যখন সবচেয়ে গুরুতর হারাম, তা সত্ত্বেও কুরবানী করার জন্য মনস্থ করা তা থেকে বাধার সৃষ্টি করে না, সে ক্ষেত্রে তার থেকে নিম্নের যে কাজ, তা হতে বাধার সৃষ্টি না করাই অধিকতর শ্রেয়। এ অনুচ্ছেদে এটাই একটি নর ও যুক্তি এবং এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব। এ ব্যাপারে পূর্ববর্তী উলামা-ই কিরাম হতে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে :
ইউনুস ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন কিন্তু হযরত উম্মে সালামা মারফূ বর্ণনা করেননি।
বস্তুত হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত এটাই মূল হাদীস। আর এটা হলাে হাদীসের সূত্রে প্রমাণিত এ অনুচ্ছেদের হুকুম।
নযর ও যুক্তি : আর এ ব্যাপারে নযর ও যুক্তি হলাে, আমরা দেখেছি, ইহরামের পূর্বে বহু জিনিস যা হালাল ছিল, ইহরামের পর তা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করা, তাকে চুমু খাওয়া, নখ কাটা ও চুল মুড়ে ফেলা, ইহরামের কারণে এ সবই হারাম হয়ে যায়। আর এ সবের হুকুমও ভিন্ন ভিন্ন। ইহরামের অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে ইহরাম নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য স্ত্রী সহবাস ছাড়া আর যে সব কাজ, তা করলে ইহরাম নষ্ট হবে না। এতে স্পষ্ট হলাে, ইহরাম দ্বারা যে সব কাজ হারাম হয়, তার মধ্যে সর্বাধিক গুরুতর হলাে, স্ত্রী সহবাস করা। তারপর আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যিলহজ্জ মাসের দশ তারিখের মধ্যে কেউ যদি কুরবানী করার মনস্থ করে, তবে তার। জন্য স্ত্রী সহবাস করা নিষিদ্ধ নয়। আর ইহরামের পর স্ত্রী সহবাস করা যখন সবচেয়ে গুরুতর হারাম, তা সত্ত্বেও কুরবানী করার জন্য মনস্থ করা তা থেকে বাধার সৃষ্টি করে না, সে ক্ষেত্রে তার থেকে নিম্নের যে কাজ, তা হতে বাধার সৃষ্টি না করাই অধিকতর শ্রেয়। এ অনুচ্ছেদে এটাই একটি নর ও যুক্তি এবং এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব। এ ব্যাপারে পূর্ববর্তী উলামা-ই কিরাম হতে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে :
6260 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَلَمْ تَرْفَعْهُ قَالَتْ: «مَنْ رَأَى هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ , وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ , وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ , حَتَّى يُضَحِّيَ»
6261 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ وَلَمْ تَرْفَعْهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ الْحَدِيثِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا النَّظَرُ فِي ذَلِكَ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْإِحْرَامَ يَنْحَظِرُ بِهِ أَشْيَاءُ , مِمَّا قَدْ كَانَتْ كُلُّهَا قَبْلَهُ حَلَالًا , مِنْهَا: الْجِمَاعُ , وَالْقُبْلَةُ , وَقَصُّ الْأَظْفَارِ , وَحَلْقُ الشَّعْرِ , وَقَتْلُ الصَّيْدِ , فَكُلُّ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ تَحْرُمُ بِالْإِحْرَامِ , وَأَحْكَامُ ذَلِكَ مُخْتَلِفَةٌ. فَأَمَّا الْجِمَاعُ فَمَنْ أَصَابَهُ فِي إِحْرَامِهِ , فَسَدَ إِحْرَامُهُ , وَمَا سِوَى ذَلِكَ لَا يُفْسِدُ إِصَابَتُهُ الْإِحْرَامَ فَكَانَ الْجِمَاعُ أَغْلَظَ الْأَشْيَاءِ الَّتِي يُحَرِّمُهَا الْإِحْرَامُ. ثُمَّ رَأَيْنَا مَنْ دَخَلَتْ عَلَيْهِ أَيَّامُ الْعَشْرِ , وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُضَحِّيَ أَنَّ ذَلِكَ لَا يَمْنَعُهُ مِنَ الْجِمَاعِ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ لَا يَمْنَعُهُ مِنَ الْجِمَاعِ , وَهُوَ أَغْلَظُ مَا يَحْرُمُ بِالْإِحْرَامِ , كَانَ أَحْرَى أَنْ لَا يَمْنَعَ مِمَّا دُونَ ذَلِكَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ أَيْضًا , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ
6261 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ وَلَمْ تَرْفَعْهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ الْحَدِيثِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا النَّظَرُ فِي ذَلِكَ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْإِحْرَامَ يَنْحَظِرُ بِهِ أَشْيَاءُ , مِمَّا قَدْ كَانَتْ كُلُّهَا قَبْلَهُ حَلَالًا , مِنْهَا: الْجِمَاعُ , وَالْقُبْلَةُ , وَقَصُّ الْأَظْفَارِ , وَحَلْقُ الشَّعْرِ , وَقَتْلُ الصَّيْدِ , فَكُلُّ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ تَحْرُمُ بِالْإِحْرَامِ , وَأَحْكَامُ ذَلِكَ مُخْتَلِفَةٌ. فَأَمَّا الْجِمَاعُ فَمَنْ أَصَابَهُ فِي إِحْرَامِهِ , فَسَدَ إِحْرَامُهُ , وَمَا سِوَى ذَلِكَ لَا يُفْسِدُ إِصَابَتُهُ الْإِحْرَامَ فَكَانَ الْجِمَاعُ أَغْلَظَ الْأَشْيَاءِ الَّتِي يُحَرِّمُهَا الْإِحْرَامُ. ثُمَّ رَأَيْنَا مَنْ دَخَلَتْ عَلَيْهِ أَيَّامُ الْعَشْرِ , وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُضَحِّيَ أَنَّ ذَلِكَ لَا يَمْنَعُهُ مِنَ الْجِمَاعِ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ لَا يَمْنَعُهُ مِنَ الْجِمَاعِ , وَهُوَ أَغْلَظُ مَا يَحْرُمُ بِالْإِحْرَامِ , كَانَ أَحْرَى أَنْ لَا يَمْنَعَ مِمَّا دُونَ ذَلِكَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ أَيْضًا , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬১
empty
৬২৬১।
6261 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৬৩
যে ব্যক্তি أيام عشر-এ কুরবানী করা ওয়াজিব করেছে অথবা কুরবানী করবে বলে সংকল্প গ্রহণ করেছে, তার জন্য কি নিজের চুল কিংবা নখ কাটা জায়েয হবে।
৬২৬২-৬৩। ইউনুস ও ইবরাহীম ইব্ন মারযূক তাদের নিজ নিজ সনদে ..... ইয়াযীদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন কাসীত হতে বর্ণিত, আতা ইব্ন ইয়াসার, আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান, ইবনুল হারিস, ইব্ন হিসাম ও আবু বকর ইব্ন সুলায়মান যিলহজ্জ মাসের দশ তারিখের মধ্যে (কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা পােষণ করলে তার জন্য) চুল কাটা ও নখ কাটায় কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করতেন না।
এ ব্যাপারে আমাদের কতিপয় উলামা-ই কিরাম নিম্নের হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন :
এ ব্যাপারে আমাদের কতিপয় উলামা-ই কিরাম নিম্নের হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন :
6262 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ ح
6263 - وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، وَأَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ , وَأَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ , كَانُوا لَا يَرَوْنَ بَأْسًا أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ مِنْ شَعْرِهِ وَيُقَلِّمَ أَظْفَارَهُ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ وَقَدِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ أَيْضًا بَعْضُ أَصْحَابِنَا
6263 - وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، وَأَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ , وَأَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ , كَانُوا لَا يَرَوْنَ بَأْسًا أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ مِنْ شَعْرِهِ وَيُقَلِّمَ أَظْفَارَهُ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ وَقَدِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ أَيْضًا بَعْضُ أَصْحَابِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬৩
empty
৬২৬৩।
6263 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬৪
যে ব্যক্তি أيام عشر-এ কুরবানী করা ওয়াজিব করেছে অথবা কুরবানী করবে বলে সংকল্প গ্রহণ করেছে, তার জন্য কি নিজের চুল কিংবা নখ কাটা জায়েয হবে।
৬২৬৪। ইউনুস ..... মুহাম্মাদ ইব্ন রাবীআ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) আমার দীর্ঘ গোঁফ দেখলেন এবং তখন আমি যুল-হুলায়ফায় আমার সাওয়ারীর ওপর উপবিষ্ট ছিলাম এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে আমার গোঁফ ছােট করার নির্দেশ দিলেন আমি তাঁর নির্দেশ পালন করলাম।
তবে আমাদের এটা সঠিক দলীল নয়। কারণ হজ্জের ইচ্ছা করলেই কুরবানীর ইচ্ছা করতে হবে এমন নয়। অতএব প্রথম মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে এর মধ্যে কোন দলীল নেই। কারণ তারা তাে চুল কাটতে ও নখ কাটতে নিষেধ করেন তাদেরকে, যারা কুরবানী করার সংকল্প করে।
আর একটা বিষয় এ হাদীসকে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হতে বাধা দেয়, আর তা এই যে, এ হাদীসে এ কথাও উল্লেখ নেই যে, ঘটনাটি কি عشر ذي الحجة এর মধ্যে ঘটেছিল, না কি তার পূর্বে ঘটেছিল।
তবে আমাদের এটা সঠিক দলীল নয়। কারণ হজ্জের ইচ্ছা করলেই কুরবানীর ইচ্ছা করতে হবে এমন নয়। অতএব প্রথম মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে এর মধ্যে কোন দলীল নেই। কারণ তারা তাে চুল কাটতে ও নখ কাটতে নিষেধ করেন তাদেরকে, যারা কুরবানী করার সংকল্প করে।
আর একটা বিষয় এ হাদীসকে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হতে বাধা দেয়, আর তা এই যে, এ হাদীসে এ কথাও উল্লেখ নেই যে, ঘটনাটি কি عشر ذي الحجة এর মধ্যে ঘটেছিল, না কি তার পূর্বে ঘটেছিল।
6264 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ رَافِعٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ , قَالَ: رَآنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , طَوِيلَ الشَّارِبِ , وَذَلِكَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ , وَأَنَا عَلَى نَاقَتِي , وَأَنَا أُرِيدُ الْحَجَّ , فَأَمَرَنِي أَنْ أَقُصَّ مِنْ شَعْرِي , فَفَعَلْتُ وَلَا حُجَّةَ عِنْدَنَا فِي هَذَا , لِأَنَّهُ لَا يُرِيدُ أَنْ يُضَحِّيَ , إِذَا كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ , فَلَا حُجَّةَ فِي هَذَا عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِأَنَّهُمْ إِنَّمَا يَمْنَعُونَ مِنْ ذَلِكَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى تَدْفَعُ هَذَا الْحَدِيثَ أَنْ يَكُونَ فِيهِ حُجَّةٌ عَلَيْهِمْ , وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ , أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান