শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১৭৩
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৭৩। ইউনুস ......... উরওয়া হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, মুজাযিয আল মুদলাজ। একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট প্রবেশ করলেন। অতঃপর তিনি হযরত উসামা ও যায়দকে চাদর মুড়ি দিয়ে তাদের দু'জনের মাথা ঢেকে শায়িত দেখলেন এবং বললেন, এই যে, পাগুলি, তা একটি অন্যটির অংশ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট আনন্দিত হয়ে প্রবেশ করলেন।
মুজাযিয ইবনুল আওয়ার ইন জাদাহ আল-কিনানী আল-মূদলাজী, কিয়াফা বিদ্যায় একজন সুবিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন। ইবন ইউনুস তাঁর তারীখে মিসর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, মুজাযযিয' মিসর বিজয়ে অংশগ্রহণ সরেছিলেন। আবু উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) এ ঘটনার দ্বারা এ কথা প্রমাণ করেন, তিনি একজন সাহারা। ছিলেন । التعجيل গ্রন্থে এরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুজাযিয ইবনুল আওয়ার ইন জাদাহ আল-কিনানী আল-মূদলাজী, কিয়াফা বিদ্যায় একজন সুবিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন। ইবন ইউনুস তাঁর তারীখে মিসর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, মুজাযযিয' মিসর বিজয়ে অংশগ্রহণ সরেছিলেন। আবু উমর ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) এ ঘটনার দ্বারা এ কথা প্রমাণ করেন, তিনি একজন সাহারা। ছিলেন । التعجيل গ্রন্থে এরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।
بَابُ الْوَلَدِ يَدَّعِيهِ الرَّجُلَانِ كَيْفَ الْحُكْمُ فِيهِ؟
6173 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , قَالَتْ: " دَخَلَ مُجَزِّزٌ الْمُدْلِجِيُّ , عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَى أُسَامَةَ وَزَيْدًا , وَعَلَيْهِمَا قَطِيفَةٌ قَدْ غَطَّيَا رُءُوسَهُمَا , فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ الْأَقْدَامَ , بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ , فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْرُورًا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭৪
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৭৪। ইউনুস ..... হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ আমার নিকট এত আনন্দিত হয়ে প্রবেশ করলেন যে, তাঁর ললাটের দাগগুলি চমকাচ্ছিল । অতঃপর তিনি বললেন, আয়েশা! তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, মুজাযিয এখনই যায়দ ইবন হারিসা ও উসামা ইবন যায়দের প্রতি তাকিয়ে বলেছে, এ পাগুলি কতিপয় কতিপয়ের অংশ।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীস দ্বারা প্রমাণ করেন যে, কিয়াফা বিদ্যায় যারা পারদর্শী, তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে নসব ও বংশের ফায়সালা প্রদান করা যায়। তারা বলেন, তাদের কথায় যদি বংশের ফায়সালা না-ই করা যেত, তবে মুজাযযিয-এর বক্তব্যের অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতিবাদ করতেন। তিনি অবশ্যই তাকে বলতেন, তােমাকে এ কথা কে জানিয়েছে? কিন্তু তার মন্তব্যের পরও যখন তিনি নীরব রয়েছেন, কোন প্রতিবাদ করেন নি, এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তার মন্তব্যেও বাস্তবতা আছে, যা দ্বারা ফয়সালা করা যায়।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা দ্বারা আতা ইব্ন আবী রাবাহ, আওযাঈ, মালিক, শাফিঈ, আহমদ ইব্ন হাম্বল, দাউদ এবং সমস্ত আহলি যাহির ও মুহাদ্দিসগণ উদ্দেশ্য। অপরপক্ষে অন্য একদল উলামা-ই কিরাম তাদের বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, যারা কিয়াফা বিদ্যায় দক্ষ, তাদের কথায় না নসব ও বংশ প্রমাণ করা জায়েয হবে, আর না অন্য কিছুর ফয়সালা করা জায়েয। প্রথম মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হলাে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে মুজয়যায় মুদলাজীর যে ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, তা দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর আনন্দ লাভ করা এ কথা প্রমাণ করে না যে, কিয়াফা বিদ্যায় পারদর্শী ব্যক্তির কথায় কোন ফয়সালা করা ওয়াজিব হবে। কারণ হযরত যায়দ ইবন হারিসার সাথে হযরত উসামা ইব্ন যায়দের নসব পূর্বেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার নসব প্রতিষ্ঠার জন্য রাসুলুল্লাহ্ কোন ব্যক্তির মন্তব্যের মুখাপেক্ষী ছিলেন না। আর তার নসব যদি প্রতিষ্ঠিত নাই হতাে, তবে তাকে যায়দের প্রতি সম্বন্ধিত করে পূর্বেই উসামা ইব্ন যায়দ বলা হতাে না। এ হাদীস এ অর্থেরও সম্ভাবনা রাখে। কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে এর বিপরীত হাদীসও বর্ণিত হয়েছে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা সাওরী, নাখঈ, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ, যুফার ও ইসহাক উদ্দেশ্য।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীস দ্বারা প্রমাণ করেন যে, কিয়াফা বিদ্যায় যারা পারদর্শী, তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে নসব ও বংশের ফায়সালা প্রদান করা যায়। তারা বলেন, তাদের কথায় যদি বংশের ফায়সালা না-ই করা যেত, তবে মুজাযযিয-এর বক্তব্যের অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রতিবাদ করতেন। তিনি অবশ্যই তাকে বলতেন, তােমাকে এ কথা কে জানিয়েছে? কিন্তু তার মন্তব্যের পরও যখন তিনি নীরব রয়েছেন, কোন প্রতিবাদ করেন নি, এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তার মন্তব্যেও বাস্তবতা আছে, যা দ্বারা ফয়সালা করা যায়।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা দ্বারা আতা ইব্ন আবী রাবাহ, আওযাঈ, মালিক, শাফিঈ, আহমদ ইব্ন হাম্বল, দাউদ এবং সমস্ত আহলি যাহির ও মুহাদ্দিসগণ উদ্দেশ্য। অপরপক্ষে অন্য একদল উলামা-ই কিরাম তাদের বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, যারা কিয়াফা বিদ্যায় দক্ষ, তাদের কথায় না নসব ও বংশ প্রমাণ করা জায়েয হবে, আর না অন্য কিছুর ফয়সালা করা জায়েয। প্রথম মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হলাে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে মুজয়যায় মুদলাজীর যে ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, তা দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর আনন্দ লাভ করা এ কথা প্রমাণ করে না যে, কিয়াফা বিদ্যায় পারদর্শী ব্যক্তির কথায় কোন ফয়সালা করা ওয়াজিব হবে। কারণ হযরত যায়দ ইবন হারিসার সাথে হযরত উসামা ইব্ন যায়দের নসব পূর্বেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার নসব প্রতিষ্ঠার জন্য রাসুলুল্লাহ্ কোন ব্যক্তির মন্তব্যের মুখাপেক্ষী ছিলেন না। আর তার নসব যদি প্রতিষ্ঠিত নাই হতাে, তবে তাকে যায়দের প্রতি সম্বন্ধিত করে পূর্বেই উসামা ইব্ন যায়দ বলা হতাে না। এ হাদীস এ অর্থেরও সম্ভাবনা রাখে। কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে এর বিপরীত হাদীসও বর্ণিত হয়েছে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা সাওরী, নাখঈ, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ, যুফার ও ইসহাক উদ্দেশ্য।
6174 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَسْرُورًا , تَبْرُقُ أَسَارِيرُ وَجْهِهِ , فَقَالَ: " أَلَمْ تَرَيْ أَنَّ مُجَزِّزًا , نَظَرَ آنِفًا إِلَى زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ , فَقَالَ: إِنَّ بَعْضَ هَذِهِ الْأَقْدَامِ , مِنْ بَعْضٍ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَاحْتَجَّ قَوْمٌ بِهَذَا الْحَدِيثِ , فَزَعَمُوا أَنَّ فِيهِ مَا قُدِّرَ لَهُمْ أَنَّ الْقَافَةَ , يُحْكَمُ بِقَوْلِهِمْ , وَيَثْبُتُ بِهِ الْأَنْسَابُ. قَالُوا: وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَأَنْكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مُجَزِّزٍ , وَلَقَالَ لَهُ: وَمَا يُدْرِيكَ؟ . فَلَمَّا سَكَتَ , وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِ , دَلَّ أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ , مِمَّا يُؤَدِّي إِلَى حَقِيقَةٍ , يَجِبُ بِهَا الْحُكْمُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ أَنْ يُحْكَمَ بِقَوْلِ الْقَافَةِ فِي نَسَبٍ , وَلَا غَيْرِهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ سُرُورَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِيِّ , الَّذِي ذَكَرُوا فِي حَدِيثِ [ص:161] عَائِشَةَ , لَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى مَا تَوَهَّمُوا , مِنْ وَاجِبِ الْحُكْمِ بِقَوْلِ الْقَافَةِ , لِأَنَّ أُسَامَةَ قَدْ كَانَ نَسَبُهُ , ثَبَتَ مِنْ زَيْدٍ قَبْلَ ذَلِكَ. وَلَمْ يَحْتَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ إِلَى قَوْلِ أَحَدٍ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَمَا كَانَ دُعِيَ أُسَامَةُ فِيمَا تَقَدَّمَ إِلَى زَيْدٍ. إِنَّمَا تَعَجَّبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِصَابَةِ مُجَزِّزٍ , كَمَا يُتَعَجَّبُ مِنْ ظَنِّ الرَّجُلِ الَّذِي يُصِيبُ بِظَنِّهِ , حَقِيقَةَ الشَّيْءِ الَّذِي ظَنَّهُ وَلَا يَجِبُ الْحُكْمُ بِذَلِكَ. فَتَرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْإِنْكَارَ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ لَمْ يَتَعَاطَ بِقَوْلِهِ ذَلِكَ إِثْبَاتَ مَا لَمْ يَكُنْ ثَابِتًا فِيمَا تَقَدَّمَ , فَهَذَا مَا يَحْتَمِلُهُ هَذَا الْحَدِيثُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي أَمْرِ الْقَافَةِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مَا يَدُلُّ عَلَى غَيْرِ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭৫
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৭৫। ইব্ন আবু দাউদ ..... উরওয়া ইব্ন যুবায়র বলেন, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বলেছেন, জাহিলী যুগে বিবাহ চার পদ্ধতিতে হতাে। কোন মহিলার নিকট বহুসংখ্যক পুরুষ একত্র হতাে, কাউকে সে নিষেধ করত না। বস্তুত এ ধরনের মহিলা ছিল ব্যভিচারিণী মহিলা । এরা তাদের ঘরের দরজার সম্মুখে পতাকা গেড়ে রাখত। যে কোন পুরুষ তার নিকট প্রবেশ করত, সে-ই তার সাথে সহবাস করতে পারত। উক্ত মহিলা গর্ভধারণ করার পর যখন সে সন্তান প্রসব করত, তখন তার নিকট কিয়াফা বিদ্যায় দক্ষ ব্যক্তিবর্গ একত্র হতাে এবং তারা যে ব্যক্তির সাথে তাকে যুক্ত করত, সে-ই তার পিতা সাব্যস্ত হতাে এবং উক্ত সন্তানকে তারই সন্তান বলে ডাকা হতাে। তাকে এর থেকে বাধা দেয়া হতাে না। পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা যখন হযরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে সত্য সহ প্রেরণ করেন, তখন তিনি ঐ বিবাহকে বিলুপ্ত ঘােষণা করেন এবং যে বিবাহে কিয়াফা বিদ্যায় দক্ষ ব্যক্তির মতামতের প্রয়ােজন হয় না, সে বিবাহের ওপর লােকদের বহাল রাখেন এবং সন্তানকে তার এ পিতার বলেই সাব্যস্ত করা হয় যে ব্যক্তি তার দাবি করে। অতএব তার সাথেই তার নসব প্রতিষ্ঠিত হয়। আর পূর্বের ঐ হুকুম রহিত করা হয় যার মধ্যে কিয়াফা বিদ্যায় পারদর্শী ব্যক্তির বক্তব্য দ্বারা সন্তানের নসবের ফয়সালা করা হতাে। আর জাহিলী যুগে যে সব সন্তান ব্যভিচারিণীরা প্রসব করত, ইসলামের আগমনের পর যে ব্যক্তিই তার দাবি করত, সন্তান তারই হতাে।
6175 - حَدَّثَنَا ابْنُ دَاوُدَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النِّكَاحَ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَنْحَاءٍ:. فَمِنْهُ أَنْ يَجْتَمِعَ الرِّجَالُ الْعَدَدُ عَلَى الْمَرْأَةِ , لَا تَمْتَنِعُ مِمَّنْ جَاءَهَا , وَهُنَّ الْبَغَايَا , وَكُنَّ يَنْصِبْنَ عَلَى أَبْوَابِهِنَّ رَايَاتٍ فَيَطَؤُهَا كُلُّ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهَا , فَإِذَا حَمَلَتْ وَوَضَعَتْ حَمْلَهَا , جُمِعَ لَهُمُ الْقَافَةُ , فَأَيُّهُمْ أَلْحَقُوهُ بِهِ , كَانَ أَبَاهُ , وَدُعِيَ ابْنَهُ , لَا يَمْتَنِعُ مِنْ ذَلِكَ. فَلَمَّا بَعَثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ , هَدَمَ ذَلِكَ النِّكَاحَ الَّذِي كَانَ يَكُونُ فِيهِ ذَلِكَ الْحُكْمُ وَأَقَرَّ النَّاسَ عَلَى النِّكَاحِ الَّذِي لَا يَحْتَاجُ فِيهِ إِلَى قَوْلِ الْقَافَةِ , وَجَعَلَ الْوَلَدَ لِأَبِيهِ الَّذِي يَدَّعِيهِ , فَيَثْبُتُ نَسَبُهُ بِذَلِكَ , وَنُسِخَ الْحُكْمُ الْمُتَقَدِّمُ , الَّذِي كَانَ يُحْكَمُ فِيهِ بِقَوْلِ الْقَافَةِ. وَقَدْ كَانَ أَوْلَادُ الْبَغَايَا , الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ , مَنِ ادَّعَى أَحَدًا مِنْهُمْ فِي الْإِسْلَامِ , لَحِقَ بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৭৭
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৭৬-৭৭। ইউনুস তার দুটি সনদে ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ হতে বর্ণনা করেন, তিনি সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযিঃ) বলেন, সুলায়মান ইবুন ইয়াসার আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, হযরত উমর (শ ইসলামী যুগে যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের কোন সন্তানের দাবি করত, তাকে তার প্রতি সম্বন্ধিত করতেন।
এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, কিয়াফায় বিজ্ঞ লােকের বক্তব্যের মাধ্যমে কারাের নসব প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের সাথে তাদেরকে যুক্ত করা হতাে না। এমনটা হলে তাে তাদের এ ধরনের বক্তব্য দলাল হিসেবে গণ্য হতাে। ইসলামী যুগেও যদি ঠিক তেমনিভাবে তাদের মন্তব্যের ওপর আমল করা হতাে, যেমন জাহিলী যুগে আমল করা হতো, তবে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) অবশ্যই কিয়াফার হুকুম বিলুপ্তির কথা বলতেন না, যখন তা
দারা নিশ্চিত জ্ঞান লাভ হয় যে, বাচ্চাটা তাদেরই কোন একজনের, যারা তার মায়ের সঙ্গে সহবাস করেছে। এ হুকম মানসূখ হওয়া এ কথারই প্রমাণ যে, তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠিত হবে না। প্রথম মতের প্রবক্তাগণ তাদের মতের সমর্থনে এসব হাদীসও বর্ণনা করেন :
এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, কিয়াফায় বিজ্ঞ লােকের বক্তব্যের মাধ্যমে কারাের নসব প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের সাথে তাদেরকে যুক্ত করা হতাে না। এমনটা হলে তাে তাদের এ ধরনের বক্তব্য দলাল হিসেবে গণ্য হতাে। ইসলামী যুগেও যদি ঠিক তেমনিভাবে তাদের মন্তব্যের ওপর আমল করা হতাে, যেমন জাহিলী যুগে আমল করা হতো, তবে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) অবশ্যই কিয়াফার হুকুম বিলুপ্তির কথা বলতেন না, যখন তা
দারা নিশ্চিত জ্ঞান লাভ হয় যে, বাচ্চাটা তাদেরই কোন একজনের, যারা তার মায়ের সঙ্গে সহবাস করেছে। এ হুকম মানসূখ হওয়া এ কথারই প্রমাণ যে, তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠিত হবে না। প্রথম মতের প্রবক্তাগণ তাদের মতের সমর্থনে এসব হাদীসও বর্ণনা করেন :
6176 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ،.
6177 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا أَنَسٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: مَالِكٌ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، وَقَالَ أَنَسٌ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّ عُمَرَ، كَانَ يُنِيطُ أَهْلَ الْجَاهِلِيَّةِ بِهِنَّ مَنِ ادَّعَى بِهِمْ فِي الْإِسْلَامِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يُلْحَقُونَ بِهِمْ بِقَوْلِ الْقَافَةِ , فَيَكُونُ قَوْلُهُمْ كَالْبَيِّنَةِ , الَّتِي تَشْهَدُ عَلَى ذَلِكَ. فَلَوْ كَانَ قَوْلُهُمْ مُسْتَعْمَلًا فِي الْإِسْلَامِ , كَمَا كَانَ مُسْتَعْمَلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ , إِذًا لَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ: إِنَّ ذَلِكَ مِمَّا هُدِمَ , إِذَا كَانَ قَدْ يَجِبُ بِهِ عُلِمَ أَنَّ الصَّبِيَّ مِمَّنْ وَطِئَ أَمَةً مِنَ الرِّجَالِ فَفِي نَسْخِ ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ قَوْلَهُمْ: لَمْ يَجِبْ بِهِ حُكْمٌ بِثُبُوتِ النَّسَبِ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى بِقَوْلِهِمْ أَيْضًا
6177 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا أَنَسٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: مَالِكٌ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، وَقَالَ أَنَسٌ: أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ، أَنَّ عُمَرَ، كَانَ يُنِيطُ أَهْلَ الْجَاهِلِيَّةِ بِهِنَّ مَنِ ادَّعَى بِهِمْ فِي الْإِسْلَامِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يُلْحَقُونَ بِهِمْ بِقَوْلِ الْقَافَةِ , فَيَكُونُ قَوْلُهُمْ كَالْبَيِّنَةِ , الَّتِي تَشْهَدُ عَلَى ذَلِكَ. فَلَوْ كَانَ قَوْلُهُمْ مُسْتَعْمَلًا فِي الْإِسْلَامِ , كَمَا كَانَ مُسْتَعْمَلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ , إِذًا لَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ: إِنَّ ذَلِكَ مِمَّا هُدِمَ , إِذَا كَانَ قَدْ يَجِبُ بِهِ عُلِمَ أَنَّ الصَّبِيَّ مِمَّنْ وَطِئَ أَمَةً مِنَ الرِّجَالِ فَفِي نَسْخِ ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ قَوْلَهُمْ: لَمْ يَجِبْ بِهِ حُكْمٌ بِثُبُوتِ النَّسَبِ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى بِقَوْلِهِمْ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭৭
empty
৬১৭৭।
6177 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৭৯
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৭৮-৮৯। ইউনুস ..... সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার হতে বর্ণনা করেন একবার দু'ব্যক্তি হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট এসে দু'জনই এক মহিলার সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করল। তখন তিনি বনু কা'ব গােত্রীয় একজন কিয়াফাবিদকে তাদের বিবাদ মীমাংসার জন্য ডাকলেন। লােকটি এসে তাদের প্রতি তাকিয়ে হযরত উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, তারা দু'জনই এতে শরীক রয়েছে। তখন উমর (রাযিঃ) তাকে চাবুক লাগালেন। অতঃপর তিনি উক্ত মহিলাকে | ডেকে বললেন, তুমি তােমার সঠিক সংবাদ আমাকে দাও। মহিলটি তখন বললাে, এ সন্তান এদের দুজনের মধ্য হতে কোন একজনের। সে যখন তার পরিবারের উটের কাছে থাকতাে, তখন দু'জনের একজন তার সাথে সহবাস করতাে এবং স্ত্রীলােকটা গর্ভবতী হওয়ার ধারণা না করা পর্যন্ত সে তাকে ত্যাগ করে যেতাে না। ঐ ধারণার পর সে তার থেকে সরে যেতাে। তার যাওয়ার পর তার রক্তস্রাব ঘটলাে। এর মধ্যে দ্বিতীয়জন তার। কাছে এলাে এবং তার গর্ভসঞ্চার হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে সহবাস করতে থাকলাে। অতএব এ কথা জানা যায়নি যে, সন্তানটি কার। তখন কাব গােত্রীয় লােকটি তাকবীর ধ্বনি করে উঠল। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) শিশুটিকে বললেন, তােমার যার সাথে ইচ্ছা যুক্ত হয়ে যাও।
ইউনুস ..... ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ সুলায়মান হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইউনুস ..... ইয়াহইয়া ইব্ন সাঈদ সুলায়মান হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
6178 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ , أَنَّ رَجُلَيْنِ أَتَيَا عُمَرَ , كِلَاهُمَا يَدَّعِي وَلَدَ امْرَأَةٍ. فَدَعَا لَهُمَا رَجُلًا مِنْ بَنِي كَعْبٍ , قَائِفًا , فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا , فَقَالَ لِعُمَرَ: لَقَدِ اشْتَرَكَا فِيهِ فَضَرَبَهُ عُمَرُ بِالدِّرَّةِ , ثُمَّ دَعَا الْمَرْأَةَ , فَقَالَ: أَخْبِرِينِي خَبَرَكَ , قَالَتْ: كَانَ هَذَا لِأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ يَأْتِيهَا , وَهِيَ فِي إِبِلِ أَهْلِهَا فَلَا يُفَارِقُهَا , حَتَّى تَظُنَّ أَنْ قَدِ [ص:162] اسْتَمَرَّ بِهَا حَمْلٌ , ثُمَّ يَنْصَرِفُ عَنْهَا فَأَهْرَاقَتْ عَلَيْهِ دَمًا , ثُمَّ خَلَفَهَا ذَا , تَعْنِي الْآخَرَ , فَلَا يُفَارِقُهَا حَتَّى اسْتَمَرَّ بِهَا حَمْلٌ , لَا يَدْرِي مِمَّنْ هُوَ , فَكَبَّرَ الْكَعْبِيُّ , فَقَالَ عُمَرُ لِلْغُلَامِ: «وَالِ أَيَّهُمَا شِئْتَ»
6179 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، مِثْلَهُ
6179 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭৯
empty
৬১৭৯।
6179 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮০
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৮০। বাহর ইব্ন নসর ..... ইয়াহইয়া ইব্ন হাতিব তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, একদা দু'ব্যক্তি হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট আগমন করল। তারা দুজনই জাহিলী যুগে ভূমিষ্ঠ একটি ছেলে সম্পর্কে ঝগড়া করছিল। এ ব্যক্তি বলছিল, এ ছেলেটি আমার। আর অপর ব্যক্তিও বলছিল, এ ছেলে আমার । অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) বনু মুসতালিক গােত্রীয় একজন কিয়াফা বিশেষজ্ঞকে তাদের মীমাংসার জন্য ডাকলেন। অতঃপর তিনি উক্ত ছেলেটি সম্পর্কে তার নিকট জিজ্ঞেস করলেন। মুসতালিকী ব্যক্তি তার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ পর হযরত উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, এই ছেলের মধ্যে এই দু’ব্যক্তিই শরীক। অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) তার নিকট দাঁড়িয়ে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এমনকি তাকে শায়িত করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, তােমার দৃষ্টি সঠিক কাজ করেনি। তারপর তিনি ছেলেটির মাকে ডেকে তাকে জিজ্ঞেস করলেন । সে বললাে, এই ছেলেটি এই দু'ব্যক্তির কোন একজনের। এদের একজন অন্য সমস্ত লােকের ওপর বিজয়ী হয়। এমনকি তার একাধিক সন্তান আমি প্রসব করি। তারপর সে একদিন পূর্বের ন্যায় আমার সাথে সহবাস করে। ফলে আমার ধারণা মুতাবিক আমি গর্ভধারণ করি কিন্তু আমার রক্তপাত ঘটতে থাকে। এমনকি আমার ধারণা হলাে যে, আমার গর্ভে কিছুই নেই। তারপর এই শেষ ব্যক্তি আমার সাথে সহবাস করে। আল্লাহর কসম, আমি জানি না, এ ছেলেটি কার । তখন হযরত উমর (রাযিঃ) ছেলেটিকে বললেন, যার সাথে ইচ্ছা তুমি তার অনুসরণ কর। অতঃপর সে তাদের একজনের অনুসরণ করল। আব্দুর রহমান ইব্ন হাতিব বলেন, আমি যেন এখনও দেখছি, ছেলেটি তাদের একজনের পেছনে চলছে এবং সে তাকে নিয়ে চলে গেল। আর হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তা'আলা এই মুস্তালিকীকে ধ্বংস করুন। যারা কিয়াফাকে নসব প্রতিষ্ঠার জন্য দলীল হিসেবে গ্রহণ করেন, তারা বলেন, হযরত উমর (রাযিঃ) এ হাদীসে কিয়াফা বিশেষজ্ঞ দ্বারা ফয়সালা করেছেন এবং মুজাযিয মুদলাজীর সম্পর্কিত এ হাদীসের আমরা যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছি, তিনি তার অনুরূপ ফয়সালা প্রদান করেছেন।
কিন্তু এ জামাআতের বিরুদ্ধে অন্য জামাআতটির দলীল হলাে, এ হাদীস তাদের বক্তব্যকে বাতিল প্রমাণ করে। আর তা এভাবে যে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি-তাে বলেছে, ছেলেটি উভয় ব্যক্তির, কিন্তু হযরত উমর (রাযিঃ) তার বক্তব্য মুতাবিক ফয়সালা প্রদান করেননি, বরং তিনি ছেলেটিকে বললেন, যাকে তােমার ইচ্ছা তাকে তুমি তােমার অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ কর। আর ফয়সালা তিনি এই নীতি অনুসারে প্রদান করেছেন, যদি কোন, ছেলেকে দু’ব্যক্তি দাবি করে, তবে সে ক্ষেত্রে ছেলেটি যদি তাদের একজনকে পিতা বলে স্বীকার করে, তবে সেই তার পিতা হবে। আর যখন কোন ছেলেকে দু'ব্যক্তি দাবি করে, সে ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাযিঃ) যখন ছেলের ওপরই ফয়সালার ভার ছেড়ে দিলেন, তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞের ওপর ছাড়েননি এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের কথায় তাদের কারাে সাথে তার নসব প্রতিষ্ঠিত হয় না।
হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বিশুদ্ধ সনদসমূহে এমন রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে যে, তিনি উক্ত ছেলেকে দু'ব্যক্তির মাঝে যৌথ নসব সাব্যস্ত করেছেন।
কিন্তু এ জামাআতের বিরুদ্ধে অন্য জামাআতটির দলীল হলাে, এ হাদীস তাদের বক্তব্যকে বাতিল প্রমাণ করে। আর তা এভাবে যে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি-তাে বলেছে, ছেলেটি উভয় ব্যক্তির, কিন্তু হযরত উমর (রাযিঃ) তার বক্তব্য মুতাবিক ফয়সালা প্রদান করেননি, বরং তিনি ছেলেটিকে বললেন, যাকে তােমার ইচ্ছা তাকে তুমি তােমার অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ কর। আর ফয়সালা তিনি এই নীতি অনুসারে প্রদান করেছেন, যদি কোন, ছেলেকে দু’ব্যক্তি দাবি করে, তবে সে ক্ষেত্রে ছেলেটি যদি তাদের একজনকে পিতা বলে স্বীকার করে, তবে সেই তার পিতা হবে। আর যখন কোন ছেলেকে দু'ব্যক্তি দাবি করে, সে ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাযিঃ) যখন ছেলের ওপরই ফয়সালার ভার ছেড়ে দিলেন, তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞের ওপর ছাড়েননি এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের কথায় তাদের কারাে সাথে তার নসব প্রতিষ্ঠিত হয় না।
হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বিশুদ্ধ সনদসমূহে এমন রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে যে, তিনি উক্ত ছেলেকে দু'ব্যক্তির মাঝে যৌথ নসব সাব্যস্ত করেছেন।
6180 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَتَى رَجُلَانِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يَخْتَصِمَانِ فِي غُلَامٍ مِنْ وِلَادَةِ الْجَاهِلِيَّةِ , يَقُولُ هَذَا: هُوَ ابْنِي , وَيَقُولُ هَذَا: هُوَ ابْنِي. فَدَعَا لَهُمَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَائِفًا مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ , فَسَأَلَهُ عَنِ الْغُلَامِ , فَنَظَرَ إِلَيْهِ الْمُصْطَلِقِيُّ , ثُمَّ قَالَ لِعُمَرَ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ , إِنَّهُمَا قَدِ اشْتَرَكَا فِيهِ جَمِيعًا. فَقَامَ إِلَيْهِ عُمَرُ فَضَرَبَهُ بِالدِّرَّةِ حَتَّى ضَجَعَ ثُمَّ قَالَ: «وَاللهِ , لَقَدْ ذَهَبَ بِكَ النَّظَرُ إِلَى غَيْرِ مَذْهَبٍ» . ثُمَّ دَعَا أُمَّ الْغُلَامِ فَسَأَلَهَا , فَقَالَتْ: «إِنَّ هَذَا لِأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ , قَدْ كَانَ غَلَبَ عَلَيَّ النَّاسُ , حَتَّى وَلَدْتُ لَهُ أَوْلَادًا , ثُمَّ وَقَعَ بِي عَلَى نَحْوِ مَا كَانَ يَفْعَلُ , فَحَمَلْتُ , فِيمَا أَرَى , فَأَصَابَنِي هِرَاقَةٌ مِنْ دَمٍ , حَتَّى وَقَعَ فِي نَفْسِي أَنْ لَا شَيْءَ فِي بَطْنِي , ثُمَّ إِنَّ هَذَا الْآخَرَ , وَقَعَ بِي , فَوَاللهِ مَا أَدْرِي مِنْ أَيِّهِمَا هُوَ؟» . فَقَالَ عُمَرُ لِلْغُلَامِ: «اتَّبِعْ أَيَّهُمَا شِئْتَ فَاتَّبَعَ أَحَدَهُمَا» . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَاطِبٍ: فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ مُتَّبِعًا لِأَحَدِهِمَا , فَذَهَبَ بِهِ. وَقَالَ عُمَرُ: «قَاتَلَ اللهُ أَخَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ» قَالُوا: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ عُمَرَ حَكَمَ بِالْقَافَةِ , فَقَدْ وَافَقَ مَا تَأَوَّلْنَا فِي حَدِيثِ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِي. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِلْآخَرِينَ أَنَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى بُطْلَانِ مَا قَالُوا , وَذَلِكَ أَنَّ فِيهِ , أَنَّ الْقَائِفَ قَالَ هُوَ مِنْهُمَا جَمِيعًا. فَلَمْ يَجْعَلْهُ عُمَرُ كَذَلِكَ , وَقَالَ لَهُ: وَالِ أَيَّهُمَا شِئْتَ عَلَى مَا يَجِبُ فِي صَبِيٍّ ادَّعَاهُ رَجُلَانِ فَإِنْ أَقَرَّ أَحَدُهُمَا , كَانَ أَبَاهُ , فَلَمَّا رَدَّ عُمَرُ ذَلِكَ إِلَى حُكْمِ الصَّبِيِّ الْمُدَّعِي إِذَا ادَّعَاهُ رَجُلَانِ , وَلَمْ يَكُنْ بِحَضْرَةِ الْإِمَامِ قَائِفٌ , لَا إِلَى قَوْلِ الْقَائِفِ دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْقَافَةَ لَا يَجِبُ بِقَوْلِهِمْ ثُبُوتُ نَسَبٍ مِنْ أَحَدٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ أَيْضًا مِنْ وُجُوهٍ صِحَاحٍ , أَنَّهُ جَعَلَهُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ جَمِيعًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৮২
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৮১-৮২। ইব্ন মারক ..... শা'বী হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার দু'ব্যক্তি একজন বাদীর মধ্যে শরীক ছিল। অতঃপর উক্ত বাদী একটি সন্তান প্রসব করল । তখন হযরত উমর (রাযিঃ) কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের ডাকলেন। তারা বললাে, সন্তান উভয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করেছে। হযরত উমর (রাযিঃ) তাকে উভয়ের মাঝে যৌথভাবে নসব সাব্যস্ত করলেন।
ইব্ন মারযূক….. সাঈদ ইবনুল মুসায়িব হযরত উমর (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। কাতাদাহ বলেন, অতঃপর সাঈদ (রাহঃ) আমাকে বললেন, এর মীরাস কার প্রাপ্য বলে মনে কর? তিনিই বললেন, এ দু'জনের মধ্যে সর্বশেষে যার মৃত্যু হবে মীরাস তার হবে।
ইব্ন মারযূক….. সাঈদ ইবনুল মুসায়িব হযরত উমর (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। কাতাদাহ বলেন, অতঃপর সাঈদ (রাহঃ) আমাকে বললেন, এর মীরাস কার প্রাপ্য বলে মনে কর? তিনিই বললেন, এ দু'জনের মধ্যে সর্বশেষে যার মৃত্যু হবে মীরাস তার হবে।
6181 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ تَوْبَةَ الْعَنْبَرِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، اشْتَرَكَا فِي ظَهْرِ امْرَأَةٍ , فَوَلَدَتْ , فَدَعَا عُمَرُ الْقَافَةَ فَقَالُوا: أَخَذَ الشَّبَهَ مِنْهُمَا جَمِيعًا، فَجَعَلَهُ بَيْنَهُمَا
6182 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عُمَرَ، نَحْوُهُ. قَالَ: فَقَالَ لِي سَعِيدٌ: لِمَنْ تَرَى مِيرَاثَهُ؟ قَالَ هُوَ لِآخِرِهِمَا مَوْتًا
6182 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ عُمَرَ، نَحْوُهُ. قَالَ: فَقَالَ لِي سَعِيدٌ: لِمَنْ تَرَى مِيرَاثَهُ؟ قَالَ هُوَ لِآخِرِهِمَا مَوْتًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮২
empty
৬১৮২।
6182 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮৩
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৮৩। আবু বাকরা ......... আবুল মুহাল্লাব বলেন, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে ফয়সালা প্রদান করলেন, যাকে দু'ব্যক্তি দাবি করেছে। তাদের প্রত্যেকেই বলে, সে তারই ছেলে। আর এ ঘটনা ঘটেছিল জাহিলী যুগে। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) উক্ত ছেলের মাকে ডাকলেন। অতঃপর তিনি তাকে বললেন, আমি তােমাকে সেই সত্তার কসম দিয়ে বলছি, সত্য বলাে, ছেলেটি এ দুজনের মধ্যে কার? সে বললাে, সেই সত্তার কসম করে বলছি, আমি জানি না ছেলেটি কার? রাতের প্রথম ভাগে এই ব্যক্তি আমার নিকট এসেছি এবং অপর ব্যক্তি এসেছিল রাতের শেষভাগে। অতএব আমি জানি না এ ছেলে কার। অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) চারজন কি বিশেষজ্ঞকে ডাকলেন এবং কিছু পাথরকণাও আনালেন এবং তা ছড়িয়ে দিলেন। তারপর তিনি উক্ত দাবির দুজনকে তার ওপর দিয়ে হেঁটে চলার নির্দেশ দিলেন এবং যে ছেলের তারা দাবি করছে তাকেও তার ওপর পায়ে চলার নির্দেশ দিলেন। তারপর আমি তাঁকে দেখলাম যে, তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞদেরকে বললেন, তােমরা তাদের পদচিহ্ন দেখ, যখন তােমরা তােমাদের সিদ্ধান্তে আসবে, তখন আমার জিজ্ঞেস করার পূর্বে কিছু বলবে না। রাবী বলেন, কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা তাকিয়ে দেখল এবং তারা বললাে, আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি। হযরত উমর (রাযিঃ) তাদেরকে পৃথক করলেন এবং একজন একজন করে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন। রাবী বলেন, অতঃপর তারা সকলেই একই মন্তব্য করল। প্রত্যেকেই একই সাক্ষ্য দিল যে, এই ছেলে যৌথভাবে এ দু'জনেরই । রাবী বলেন, অতঃপর হযরত উমর বললেন, এরা যা বলছে, তার জন্য বড়ই তাজ্জব। আমি তাে জানতাম, একটি কুকুর একাধিক কুকুরের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে গর্ভধারণ করে। মহিলারাও যে এমন করে, তা আমি এর পূর্বে বুঝতাম না। এরা যা মন্তব্য করছে, আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি না। এরপর ছেলেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, যাও, তারা দুজনই তােমার পিতা।
6183 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ , عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ , أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَضَى فِي رَجُلٍ ادَّعَاهُ رَجُلَانِ , كِلَاهُمَا يَزْعُمُ أَنَّهُ ابْنُهُ , وَذَلِكَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَدَعَا عُمَرُ أُمَّ الْغُلَامِ الْمُدَّعَى , فَقَالَ: «أُذَكِّرُكَ بِالَّذِي هَدَاكَ لِلْإِسْلَامِ , لِأَيِّهِمَا هُوَ؟» . قَالَتْ: «لَا وَالَّذِي هَدَانِي لِلْإِسْلَامِ , مَا أَدْرِي لِأَيِّهِمَا هُوَ؟ أَتَانِي هَذَا أَوَّلَ اللَّيْلِ , وَأَتَانِي هَذَا آخِرَ اللَّيْلِ , فَمَا أَدْرِي لِأَيِّهِمَا هُوَ؟» . قَالَ: فَدَعَا عُمَرُ مِنَ الْقَافَةِ أَرْبَعَةً , وَدَعَا بِبَطْحَاءَ فَنَثَرَهَا , فَأَمَرَ الرَّجُلَيْنِ الْمُدَّعِيَيْنِ فَوَطِئَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِقَدَمٍ , وَأَمَرَ الْمُدَّعَى فَوَطِئَ بِقَدَمٍ , ثُمَّ أَرَاهُ الْقَافَةَ قَالَ: انْظُرُوا فَإِذَا أَتَيْتُمْ فَلَا تَتَكَلَّمُوا , حَتَّى أَسْأَلَكُمْ قَالَ: فَنَظَرَ الْقَافَةُ , فَقَالُوا: قَدْ أَثْبَتْنَا , ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمْ , ثُمَّ سَأَلَهُمْ رَجُلًا رَجُلًا قَالَ: فَتَقَادَعُوا , يَعْنِي فَتَبَايَعُوا , كُلُّهُمْ يَشْهَدُ أَنَّ هَذَا لَمِنْ هَذَيْنِ. قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ: «يَا عَجَبًا لِمَا يَقُولُ هَؤُلَاءِ , قَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ أَنَّ الْكَلْبَةَ تُلَقَّحُ بِالْكِلَابِ ذَوَاتِ الْعَدَدِ , وَلَمْ أَكُنْ أَشْعُرُ أَنَّ النِّسَاءَ يَفْعَلْنَ ذَلِكَ قَبْلَ هَذَا , إِنِّي لَا أَرُدُّ مَا يَرَوْنَ , اذْهَبْ فَهُمَا أَبَوَاكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮৪
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৮৪। আলী ইব্ন শায়বা ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, দু'ব্যক্তি এক বাণীতে শরীক ছিল। অতঃপর উক্ত বাদী তাদের উভয়ের জন্য একটা সন্তান প্রসব করল। তারা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে তাদের সমস্যা পেশ করল। অতঃপর তিনি তাদের জন্য তিনজন কিয়াফা বিশেষজ্ঞ ডাকলেন এবং কিছু মাটিও জানালেন। ঐ মাটির ওপর দিয়ে তােক দুটি এবং ঐ ছেলেটি হেঁটে গেল। অতঃপর ঐ তিনজনের একজনকে বললেন, তুমি দেখ । সে দেখল, সে সম্মুখে অগ্রসর হলাে, পেছনে এল এবং ডানে-বামেও দেখল। তারপর বললাে, আমি কি গােপনে বলব, না প্রকাশ্যে বলব? হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, প্রকাশ্যে নয়, বরং গােপনে বল। সে বললাে, ছেলেটি উভয় ব্যক্তির সাদৃশ্য গ্রহণ করেছে। অতএব আমি জানি, না সে কার। অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) তাকে বসিয়ে রাখলেন। অতঃপর তিনি অন্য একজনকেও বললেন,
তুমি দেখ। সে তাদের পদচিহ্ন দেখতে লাগল, সম্মুখে অগ্রসর হলাে, পেছনে এলাে এবং ডানে-বামে দেখল। পর সে বললাে, আমি গােপনে মন্তব্য করব, না প্রকাশ্যে? হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, প্রকাশ্যে নয়, বরং এনে বল। সে বললাে, ছেলেটি উভয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করেছে। অতএব আমি জানি না, সে কার ওরণে নাগ্রহণ করেছে। হযরত উমর (রাযিঃ) তাকেও বসিয়ে দিলেন এবং তৃতীয় ব্যক্তিকে দেখার জন্য নির্দেশ দিলেন! সে দেখতে লাগল, সম্মুখে অগ্রসর হলাে, ডানে-বামে গেল এবং পেছনে এল । তারপর সে বললাে, আমি আপনে মন্তব্য করব না প্রকাশ্যে বলব? তিনি বললেন, প্রকাশ্যে বল! সে বললাে, ছেলেটি উভয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করছে, অতএব আমি জানি না সে কার। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরাও আলামত চিনি, এ কথা তিনি তিনবার বললেন। বস্তুত হযরত উমর (রাযিঃ) খােদ একজন কিয়াফা বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অতঃপর তিনি ছেলেটি উভয়ের জন্য সাব্যস্ত করলেন। তারা দু'জনই তার ওয়ারিস হবে এবং সেও তাদের দু'জনেরই ওয়ারিস হবে।
তখন সাঈদ আমাকে (কাতাদাকে) বললেন, عصبه কে, তা কি তুমি জান? আমি (কাতাদাহ) বললাম, জী না। তিনি বললেন, তাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি জীবিত থাকবে সে-ই عصبه হবে। আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, আমাদের উল্লেখিত এসব রিওয়ায়াতে (হযরত উমর (রাযিঃ)-এর যে ফয়সালার কথা রয়েছে, তা দুটি কারণের যে কোন একটি হতে শূন্য হবে না। হয় দাবির কারণে এরূপ ফয়সালা দেয়া হয়েছেন। কারণ দু-ব্যক্তিই সন্তানের দাবি করেছে এবং সন্তান তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতএব হযরত উমর (রাযিঃ) তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সন্তানকে তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। অথবা তিনি নিজে এমন ফয়সালা করেছেন। অতএব যারা কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য দ্বারা ফয়সালা করতে চান, তারা তাদের বক্তব্য দ্বারা ফয়সালা করতে পারেন না । কারণ কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা বলেছিল, ছেলেটি তাদের কোন একজনের । অথচ হযরত উমর (রাযিঃ) যে ফয়সালা করেছেন যে, ছেলেটি তাদের দু'জনেরই, এ ফয়সালা কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের ফয়সালার বিপরীত। আর হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব কর্তৃক বর্ণিত হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে। কারণ তাঁর হাদীসে রয়েছে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা বললাে, আমরা জানি না ছেলেটি দু'জনের কার? তারপর হযরত উমর (রাযিঃ) ছেলেটিকে দাবিদার দু’জনের জন্যই সাব্যস্ত করলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) তাদের দাবি অনুসারেই দু-ব্যক্তির সাথে তাদের নসব সাব্যস্ত করেছেন। আর এ কারণেও যে, ছেলেটি তাদের দু'জনেরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বস্তুত তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের কথার ওপর নির্ভর করে কোন ফয়সালা দেননি। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) যখন কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের কথায় কোন ফয়সালা করেননি, যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন, তবে হযরত উমর (রাযিঃ) কি প্রয়ােজনে তাদেরকে ডেকে এনেছিলেন।
তবে তার প্রশ্নের জবাবে বলা হবে যে, আমাদের মতে এখানে এ সম্ভাবনা আছে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) চিন্তা করেছিলেন, দু’ব্যক্তি দ্বারা কোন গর্ভধারণ হতে পারে না, দু'জনের কোন একজন দ্বারাই গর্ভধারণ হবে। সে ক্ষেত্রে যার দ্বারা গর্ভধারণ হয়নি, তার সাথে সন্তানকে যুক্ত করা অসম্ভব হবে। অতএব তিনি কিয়াঙ্কা বিশেষজ্ঞদের এ কথা জানার জন্য ডেকেছিলেন যে, দু'ব্যক্তির বীর্য দ্বারা গর্ভধারণ হতে পারে কি না? আর আমরা মুহাল্লাব কর্তৃক বর্ণিত যে হাদীস উল্লেখ করেছি, তার মধ্যে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা যখন হযরত উমর (রাযিঃ)-কে এ কথা বললেন যে, কোন কোন সময় দু'জনের বীর্য দ্বারা গর্ভধারণ হতে পারে- এটা অসম্ভব নয়। তখন তিনি দু'ব্যক্তির পক্ষ হতে যে দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল সেই দাবির প্রতি প্রত্যাবর্তন করলেন এবং সেই দাবির মাধ্যমেই তিনি ফয়সালা করলেন। আর দুজনের পুত্র বলেই তিনি সাব্যস্ত করলেন এই পুত্র যেমন তাদের দু'জনেরই ওয়ারিস হবে, অনুরূপভাবে তারা দু'জনও তার ওয়ারিস হবে। বস্তুত দাবির ভিত্তিতেই এ ফয়সালা, কিয়াফার ওপর ভিত্তি করে নয়। আর এ ব্যাপারে হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে :
তুমি দেখ। সে তাদের পদচিহ্ন দেখতে লাগল, সম্মুখে অগ্রসর হলাে, পেছনে এলাে এবং ডানে-বামে দেখল। পর সে বললাে, আমি গােপনে মন্তব্য করব, না প্রকাশ্যে? হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, প্রকাশ্যে নয়, বরং এনে বল। সে বললাে, ছেলেটি উভয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করেছে। অতএব আমি জানি না, সে কার ওরণে নাগ্রহণ করেছে। হযরত উমর (রাযিঃ) তাকেও বসিয়ে দিলেন এবং তৃতীয় ব্যক্তিকে দেখার জন্য নির্দেশ দিলেন! সে দেখতে লাগল, সম্মুখে অগ্রসর হলাে, ডানে-বামে গেল এবং পেছনে এল । তারপর সে বললাে, আমি আপনে মন্তব্য করব না প্রকাশ্যে বলব? তিনি বললেন, প্রকাশ্যে বল! সে বললাে, ছেলেটি উভয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করছে, অতএব আমি জানি না সে কার। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরাও আলামত চিনি, এ কথা তিনি তিনবার বললেন। বস্তুত হযরত উমর (রাযিঃ) খােদ একজন কিয়াফা বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অতঃপর তিনি ছেলেটি উভয়ের জন্য সাব্যস্ত করলেন। তারা দু'জনই তার ওয়ারিস হবে এবং সেও তাদের দু'জনেরই ওয়ারিস হবে।
তখন সাঈদ আমাকে (কাতাদাকে) বললেন, عصبه কে, তা কি তুমি জান? আমি (কাতাদাহ) বললাম, জী না। তিনি বললেন, তাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি জীবিত থাকবে সে-ই عصبه হবে। আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, আমাদের উল্লেখিত এসব রিওয়ায়াতে (হযরত উমর (রাযিঃ)-এর যে ফয়সালার কথা রয়েছে, তা দুটি কারণের যে কোন একটি হতে শূন্য হবে না। হয় দাবির কারণে এরূপ ফয়সালা দেয়া হয়েছেন। কারণ দু-ব্যক্তিই সন্তানের দাবি করেছে এবং সন্তান তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতএব হযরত উমর (রাযিঃ) তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সন্তানকে তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। অথবা তিনি নিজে এমন ফয়সালা করেছেন। অতএব যারা কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য দ্বারা ফয়সালা করতে চান, তারা তাদের বক্তব্য দ্বারা ফয়সালা করতে পারেন না । কারণ কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা বলেছিল, ছেলেটি তাদের কোন একজনের । অথচ হযরত উমর (রাযিঃ) যে ফয়সালা করেছেন যে, ছেলেটি তাদের দু'জনেরই, এ ফয়সালা কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের ফয়সালার বিপরীত। আর হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব কর্তৃক বর্ণিত হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে। কারণ তাঁর হাদীসে রয়েছে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা বললাে, আমরা জানি না ছেলেটি দু'জনের কার? তারপর হযরত উমর (রাযিঃ) ছেলেটিকে দাবিদার দু’জনের জন্যই সাব্যস্ত করলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) তাদের দাবি অনুসারেই দু-ব্যক্তির সাথে তাদের নসব সাব্যস্ত করেছেন। আর এ কারণেও যে, ছেলেটি তাদের দু'জনেরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বস্তুত তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের কথার ওপর নির্ভর করে কোন ফয়সালা দেননি। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) যখন কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের কথায় কোন ফয়সালা করেননি, যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন, তবে হযরত উমর (রাযিঃ) কি প্রয়ােজনে তাদেরকে ডেকে এনেছিলেন।
তবে তার প্রশ্নের জবাবে বলা হবে যে, আমাদের মতে এখানে এ সম্ভাবনা আছে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) চিন্তা করেছিলেন, দু’ব্যক্তি দ্বারা কোন গর্ভধারণ হতে পারে না, দু'জনের কোন একজন দ্বারাই গর্ভধারণ হবে। সে ক্ষেত্রে যার দ্বারা গর্ভধারণ হয়নি, তার সাথে সন্তানকে যুক্ত করা অসম্ভব হবে। অতএব তিনি কিয়াঙ্কা বিশেষজ্ঞদের এ কথা জানার জন্য ডেকেছিলেন যে, দু'ব্যক্তির বীর্য দ্বারা গর্ভধারণ হতে পারে কি না? আর আমরা মুহাল্লাব কর্তৃক বর্ণিত যে হাদীস উল্লেখ করেছি, তার মধ্যে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, কিয়াফা বিশেষজ্ঞরা যখন হযরত উমর (রাযিঃ)-কে এ কথা বললেন যে, কোন কোন সময় দু'জনের বীর্য দ্বারা গর্ভধারণ হতে পারে- এটা অসম্ভব নয়। তখন তিনি দু'ব্যক্তির পক্ষ হতে যে দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল সেই দাবির প্রতি প্রত্যাবর্তন করলেন এবং সেই দাবির মাধ্যমেই তিনি ফয়সালা করলেন। আর দুজনের পুত্র বলেই তিনি সাব্যস্ত করলেন এই পুত্র যেমন তাদের দু'জনেরই ওয়ারিস হবে, অনুরূপভাবে তারা দু'জনও তার ওয়ারিস হবে। বস্তুত দাবির ভিত্তিতেই এ ফয়সালা, কিয়াফার ওপর ভিত্তি করে নয়। আর এ ব্যাপারে হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে :
6184 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ رَجُلَيْنِ، اشْتَرَكَا فِي ظَهْرِ امْرَأَةٍ , فَوَلَدَتْ لَهُمَا وَلَدًا , فَارْتَفَعَا إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَدَعَا لَهُمَا ثَلَاثَةً مِنَ الْقَافَةِ , فَدَعَا بِتُرَابٍ فَوَطِئَ فِيهِ الرَّجُلَانِ وَالْغُلَامُ. ثُمَّ قَالَ لِأَحَدِهِمْ: «انْظُرْ , فَنَظَرَ» , فَاسْتَقْبَلَ وَاسْتَعْرَضَ , وَاسْتَدْبَرَ , ثُمَّ قَالَ: أُسِرُّ أَوْ أُعْلِنُ؟ فَقَالَ عُمَرُ: «بَلْ أَسِرَّ» . فَقَالَ: لَقَدْ أَخَذَ الشَّبَهَ مِنْهُمَا جَمِيعًا , فَمَا أَدْرِي لِأَيِّهِمَا هُوَ؟ فَأَجْلَسَهُ. ثُمَّ قَالَ لِلْآخَرِ أَيْضًا: " انْظُرْ , فَنَظَرَ , وَاسْتَقْبَلَ , وَاسْتَعْرَضَ , وَاسْتَدْبَرَ , ثُمَّ قَالَ: أُسِرُّ أَوْ أُعْلِنُ؟ قَالَ: «بَلْ أَسِرَّ» . قَالَ لَقَدْ أَخَذَ الشَّبَهَ مِنْهُمَا جَمِيعًا , فَلَا أَدْرِي لِأَيِّهِمَا هُوَ؟ وَأَجْلَسَهُ. ثُمَّ أَمَرَ الثَّالِثَ فَنَظَرَ , فَاسْتَقْبَلَ , وَاسْتَعْرَضَ وَاسْتَدْبَرَ , ثُمَّ قَالَ: أُسِرُّ أَمْ أُعْلِنُ؟ . قَالَ: لَقَدْ أَخَذَ الشَّبَهَ مِنْهُمَا جَمِيعًا , فَمَا أَدْرِي لِأَيِّهِمَا هُوَ؟ . فَقَالَ عُمَرُ: «إِنَّا نَعْرِفُ الْآثَارَ بِقَوْلِهَا ثَلَاثًا» , وَكَانَ عُمَرُ قَالَهَا , فَجَعَلَهُ لَهُمَا , يَرِثَانِهِ وَيَرِثُهُمَا. فَقَالَ لِي سَعِيدٌ: أَتَدْرِي عَنْ عَصَبَتِهِ؟ قُلْتُ: لَا , قَالَ: الْبَاقِي مِنْهُمَا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَيْسَ يَخْلُو حُكْمُهُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَا مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ: إِمَّا أَنْ يَكُونَ بِالدَّعْوَى لِأَنَّ الرَّجُلَيْنِ ادَّعَيَا الصَّبِيَّ وَهُوَ فِي أَيْدِيهِمَا , فَأَلْحَقَهُ بِهِمَا بِدَعْوَاهُمَا , أَوْ يَكُونَ فَعَلَ ذَلِكَ. فَكَانَ الَّذِينَ يَحْكُمُونَ بِقَوْلِ الْقَافَةِ , لَا يَحْكُمُونَ بِقَوْلِهِمْ إِذَا قَالُوا: هُوَ ابْنُ هَذَيْنِ. فَلَمَّا كَانَ قَوْلُهُمْ كَذَلِكَ , ثَبَتَ عَلَى قَوْلِهِمَا , أَنْ يَكُونَ قَضَاءُ عُمَرَ بِالْوَلَدِ لِلرَّجُلَيْنِ , كَانَ بِغَيْرِ قَوْلِ الْقَافَةِ. [ص:164] وَفِي حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ , وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: فَقَالَ الْقَافَةُ لَا نَدْرِي لِأَيِّهِمَا هُوَ؟ فَجَعَلَهُ عُمَرُ بَيْنَهُمَا. وَالْقَافَةُ لَمْ يَقُولُوا: هُوَ ابْنُهُمَا , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ , أَثْبَتَ نَسَبَهُ مِنَ الرَّجُلَيْنِ بِدَعْوَاهُمَا , وَلِمَا لَهُمَا عَلَيْهِ مِنَ الْيَدِ , لَا بِقَوْلِ الْقَافَةِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ كَمَا ذَكَرْتَهُ , فَمَا كَانَ احْتِيَاجُ عُمَرَ إِلَى الْقَافَةِ , حَتَّى دَعَاهُمْ؟ . قِيلَ لَهُ: يَحْتَمِلُ ذَلِكَ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , أَنْ يَكُونَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَقَعَ بِقَلْبِهِ أَنَّ حَمْلًا لَا يَكُونُ مِنْ رَجُلَيْنِ , فَيَسْتَحِيلُ إِلْحَاقُ الْوَلَدِ بِمَنْ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَمْ يَلِدْهُ , فَدَعَا الْقَافَةَ , لِيَعْلَمَ مِنْهُمْ , هَلْ يَكُونُ وَلَدٌ يُحْمَلُ بِهِ مِنْ نُطْفَتَيْ رَجُلَيْنِ أَمْ لَا؟ وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا , فِي حَدِيثِ أَبِي الْمُهَلَّبِ. فَلَمَّا أَخْبَرَهُ الْقَافَةُ بِأَنَّ ذَلِكَ قَدْ يَكُونُ , وَأَنَّهُ غَيْرُ مُسْتَحِيلٍ , رَجَعَ إِلَى الدَّعْوَى الَّتِي كَانَتْ مِنَ الرَّجُلَيْنِ , فَحَكَمَ بِهَا , فَجَعَلَ الْوَلَدَ ابْنَهُمَا جَمِيعًا , يَرِثُهُمَا وَيَرِثَانِهِ , فَذَلِكَ حُكْمٌ بِالدَّعْوَى , لَا بِقَوْلِ الْقَافَةِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮৫
যে সন্তানের পিতৃত্ব দু’ব্যক্তি দাবি করে, তার হুকুম কি
৬১৮৫। রাওহ ইনুল ফারজ ..... সিমাক বনু মাখন গােত্রের একজন আযাদ করা গােলাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদা দু'ব্যক্তি একই তাহারাতে একজন বাদীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় এবং বাদীটি গর্ভধারণ করে। কিন্তু এ গর্ভের সন্তান যে কার; তা কেউ জানে না। অতঃপর তারা সন্তান সম্পর্কে বিতর্ক করতে করতে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলো। হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি বুঝতে পারছি না এ ব্যাপারে কি ফয়সালা করব। তারপর তারা হযরত আলী (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলো। তিনি বললেন, সন্তানটি তােমাদের দু'জনেরই, সে তােমাদের উভয়ের ওয়ারিস হবে এবং তােমরাও তার ওয়ারিস হবে। আর তােমাদের মধ্য হতে যে জীবিত থাকবে সে তারই হবে।
বস্তুত তিনি দুজন দাবিদারের জন্যই সন্তানের ফয়সালা করলেন এবং তিনি তাকে তাদের দুজনেরই পুত্র সাব্যস্ত করলেন। আর এ ব্যাপারে তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের মতামতের কোন প্রয়ােজনই অনুভব করেননি। আমরা এ মতই গ্রহণ করি, আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
বস্তুত তিনি দুজন দাবিদারের জন্যই সন্তানের ফয়সালা করলেন এবং তিনি তাকে তাদের দুজনেরই পুত্র সাব্যস্ত করলেন। আর এ ব্যাপারে তিনি কিয়াফা বিশেষজ্ঞদের মতামতের কোন প্রয়ােজনই অনুভব করেননি। আমরা এ মতই গ্রহণ করি, আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব।
6185 - مَا حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ سِمَاكٍ , عَنْ مَوْلًى لِبَنِي مَخْزُومَةَ قَالَ: وَقَعَ رَجُلَانِ عَلَى جَارِيَةٍ فِي طُهْرٍ وَاحِدٍ , فَعَلِقَتِ الْجَارِيَةُ , فَلَمْ يُدْرَ مِنْ أَيِّهِمَا هُوَ. فَأَتَيَا عُمَرَ يَخْتَصِمَانِ فِي الْوَلَدِ فَقَالَ عُمَرُ: مَا أَدْرِي كَيْفَ أَقْضِي فِي هَذَا؟ . فَأَتَيَا عَلِيًّا , فَقَالَ: «هُوَ بَيْنَكُمَا , يَرِثُكُمَا وَتَرِثَانِهِ , وَهُوَ لِلْبَاقِي مِنْكُمَا» فَهَذَا حُكْمٌ بِالْوَلَدِ لِمُدَّعِيَيْهِ جَمِيعًا , فَجَعَلَهُ ابْنَهُمَا , وَلَمْ يَحْتَجْ فِي ذَلِكَ إِلَى قَوْلِ الْقَافَةِ , وَبِهَذَا نَأْخُذُ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান