শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৮৮
এক ব্যক্তি কোন মাল ক্রয় করে তা কবয করে, অতঃপর সে মারা যায়, তার মূল্য
তার ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে
তার ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে
৬১৮৬-৮৮। ইউনুস ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন, কাউকে যদি দেওলিয়া ঘােষণা করা হয়; তারপর কেউ তার নির্দিষ্ট মাল তার কাছে পায়, তবে সে-ই অন্যদের থেকে এই
ইবরাহীম মারমূক ..... বশীর ইব্ন নাহীক হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আবু জা’ফর (রাযিঃ) বলেন, উলামা-ই কিরামের একটি দল একমত পােষণ করেন যে, কোন ব্যক্তি যখন একটি গােলাম তার মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করল এবং গােলামটি কবও করে নিল অথচ তার মূল্য বিক্রেতাকে পরিশােধ করল না। অতঃপর এই ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হলাে। অথচ তার ওপর ঋণের বােঝা রয়েছে। আর তার ক্রয় করা গােলামটি অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। এক্ষেত্রে গােলাম বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারদের তুলনায় এই গােলামের অধিক হকদার। তারা উল্লেখিত এই হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আতা ইবন আবী রাবাহ, উরওয়া ইবন যুবায়র, তাউস, আমের শা'বী, আওযাঈ, উবায়দুল্লাহ ইবন হাসান, মালিক, শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক ও দাউদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, আইনী যাহরও এ মত পােষণ করেন।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এ ব্যাপারে তাদের থেকে ভিন্নমত পােষণ করেন। তারা বলেন, গােলামের বিক্রেতা এবং অন্যান্য সকল পাওনাদার গােলামের ব্যাপারে সমান হকদার। কারণ বিক্রেতার মালিকানা অধিকার তাে গােলাম বিক্রি করার সাথে সাথে শেষ হয়েছে এবং গােলাম তার দায় হতে বের হয়ে পড়েছে। এখন সে (বিক্রেতা) অন্যান্য পাওনাদাররা যেমন তাদের ঋণ যা ক্রেতার যিম্মায় রয়েছে, তার নিকট তলব করতে পারে, বিক্রেতাও তেমন তার পাওনা তলব করতে পারে। অতএব এই বিক্রেতা ও অন্যান্য পাওনাদাররা সকলেই তার সমস্ত মালে সমান অধিকার রাখে।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে, হাসান বসরী, ইবরাহীম নাখঈ, শা'বী, এক রিওয়ায়াত মুতাবিক ওয়াকী ইবন জাররাহ, আব্দুল্লাহ ইবন শুরুমা, ইমাম আবু হানীফা আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও যুফার (রাহঃ) অতঃপর তিনি বলেন, হযরত আলী (রাযিঃ) হতেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম মতের প্রবক্তাগণের মত ফাসিদ প্রমাণের জন্য এবং তারা যে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকেই প্রমাণরূপে পেশ করেছে, তা খণ্ডনের জন্য। দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য এই যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে যে রয়েছে, فأصاب رجل ماله بعينه অতঃপর এক ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট মালই তার নিকট পেল’ এখানে ماله بعينه দ্বারা (তার বিক্রয় করা মাল) উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হলাে তার থেকে গছব করা ও লুণ্ঠিত মাল, কিংবা তার থেকে ধার করে আনা মাল, অথবা তার দেওলিয়া ঘােষিত ব্যক্তির নিকট তার গচ্ছিত মাল এবং অনুরূপ অন্যান্য মাল। এসব মালই হলাে নির্দিষ্ট মাল । অতএব অন্যান্য পাওনাদারের চেয়ে ঐ ব্যক্তি যে এসব মালের মালিক, সে-ই এসবের অধিক হকদার। আর উল্লেখিত হাদীস এসব ব্যাপারেই রাসূলুল্লাহ এ হতে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস প্রথম মতের প্রবক্তাদের জন্য দলীল হতাে তখন, যদি হাদীসে এভাবে বর্ণনা করা হতাে যে, লােকটি তার নির্দিষ্ট ঐ মাল পেয়েছে ঐ ব্যক্তির নিকট, যার নিকট সে মালটি বিক্রয় করেছে, কিন্তু তার মূল্য সে কবয করেনি, তবে সে ব্যক্তি অন্যান্য সকল পাওনাদারের চেয়ে ঐ মালের অধিক হকদার হবে। কিন্তু উল্লেখিত হাদীসে তাে এভাবে বর্ণনা করা হয়নি। আলােচ্য হাদীস আমরা যেভাবে বর্ণনা করেছি, তা তাদের পক্ষে দলীল নয়। বস্তত হাদীস গচ্ছিত মাল, লুণ্ঠিত মাল, ধার করা মাল এবং বন্ধক রাখা মালের ওপর প্রযােজ্য। এসব মালের যারা মালিক, তারা যখন ঐ দেওলিয়া ঘােষিত ব্যক্তির নিকট তাদের মাল নেয়ার জন্য আসবে,
হতে হযরত তখন তার অন্যান্য পাওনাদারদের তুলনায় তারাই অধিক হকদার হবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হযরত সামুরা (রাযিঃ) কতৃক বণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইবরাহীম মারমূক ..... বশীর ইব্ন নাহীক হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আবু জা’ফর (রাযিঃ) বলেন, উলামা-ই কিরামের একটি দল একমত পােষণ করেন যে, কোন ব্যক্তি যখন একটি গােলাম তার মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করল এবং গােলামটি কবও করে নিল অথচ তার মূল্য বিক্রেতাকে পরিশােধ করল না। অতঃপর এই ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হলাে। অথচ তার ওপর ঋণের বােঝা রয়েছে। আর তার ক্রয় করা গােলামটি অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। এক্ষেত্রে গােলাম বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারদের তুলনায় এই গােলামের অধিক হকদার। তারা উল্লেখিত এই হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আতা ইবন আবী রাবাহ, উরওয়া ইবন যুবায়র, তাউস, আমের শা'বী, আওযাঈ, উবায়দুল্লাহ ইবন হাসান, মালিক, শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক ও দাউদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, আইনী যাহরও এ মত পােষণ করেন।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এ ব্যাপারে তাদের থেকে ভিন্নমত পােষণ করেন। তারা বলেন, গােলামের বিক্রেতা এবং অন্যান্য সকল পাওনাদার গােলামের ব্যাপারে সমান হকদার। কারণ বিক্রেতার মালিকানা অধিকার তাে গােলাম বিক্রি করার সাথে সাথে শেষ হয়েছে এবং গােলাম তার দায় হতে বের হয়ে পড়েছে। এখন সে (বিক্রেতা) অন্যান্য পাওনাদাররা যেমন তাদের ঋণ যা ক্রেতার যিম্মায় রয়েছে, তার নিকট তলব করতে পারে, বিক্রেতাও তেমন তার পাওনা তলব করতে পারে। অতএব এই বিক্রেতা ও অন্যান্য পাওনাদাররা সকলেই তার সমস্ত মালে সমান অধিকার রাখে।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে, হাসান বসরী, ইবরাহীম নাখঈ, শা'বী, এক রিওয়ায়াত মুতাবিক ওয়াকী ইবন জাররাহ, আব্দুল্লাহ ইবন শুরুমা, ইমাম আবু হানীফা আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও যুফার (রাহঃ) অতঃপর তিনি বলেন, হযরত আলী (রাযিঃ) হতেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম মতের প্রবক্তাগণের মত ফাসিদ প্রমাণের জন্য এবং তারা যে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকেই প্রমাণরূপে পেশ করেছে, তা খণ্ডনের জন্য। দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য এই যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে যে রয়েছে, فأصاب رجل ماله بعينه অতঃপর এক ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট মালই তার নিকট পেল’ এখানে ماله بعينه দ্বারা (তার বিক্রয় করা মাল) উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হলাে তার থেকে গছব করা ও লুণ্ঠিত মাল, কিংবা তার থেকে ধার করে আনা মাল, অথবা তার দেওলিয়া ঘােষিত ব্যক্তির নিকট তার গচ্ছিত মাল এবং অনুরূপ অন্যান্য মাল। এসব মালই হলাে নির্দিষ্ট মাল । অতএব অন্যান্য পাওনাদারের চেয়ে ঐ ব্যক্তি যে এসব মালের মালিক, সে-ই এসবের অধিক হকদার। আর উল্লেখিত হাদীস এসব ব্যাপারেই রাসূলুল্লাহ এ হতে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস প্রথম মতের প্রবক্তাদের জন্য দলীল হতাে তখন, যদি হাদীসে এভাবে বর্ণনা করা হতাে যে, লােকটি তার নির্দিষ্ট ঐ মাল পেয়েছে ঐ ব্যক্তির নিকট, যার নিকট সে মালটি বিক্রয় করেছে, কিন্তু তার মূল্য সে কবয করেনি, তবে সে ব্যক্তি অন্যান্য সকল পাওনাদারের চেয়ে ঐ মালের অধিক হকদার হবে। কিন্তু উল্লেখিত হাদীসে তাে এভাবে বর্ণনা করা হয়নি। আলােচ্য হাদীস আমরা যেভাবে বর্ণনা করেছি, তা তাদের পক্ষে দলীল নয়। বস্তত হাদীস গচ্ছিত মাল, লুণ্ঠিত মাল, ধার করা মাল এবং বন্ধক রাখা মালের ওপর প্রযােজ্য। এসব মালের যারা মালিক, তারা যখন ঐ দেওলিয়া ঘােষিত ব্যক্তির নিকট তাদের মাল নেয়ার জন্য আসবে,
হতে হযরত তখন তার অন্যান্য পাওনাদারদের তুলনায় তারাই অধিক হকদার হবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হযরত সামুরা (রাযিঃ) কতৃক বণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।
بَابُ الرَّجُلِ يَبْتَاعُ سِلْعَةً فِي قَبْضِهَا ثُمَّ يَمُوتُ وَثَمَنُهَا عَلَيْهِ دَيْنٌ
6186 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ رَجُلٌ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ»
6187 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، وَبِشْرُ بْنُ عُمَرَ، ح
6188 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا اشْتَرَى عَبْدًا بِثَمَنٍ , وَقَبَضَ الْعَبْدَ وَلَمْ يَدْفَعْ ثَمَنَهُ , فَأَفْلَسَ الْمُشْتَرِي وَعَلَيْهِ دَيْنٌ , وَالْعَبْدُ قَائِمٌ فِي يَدِهِ بِعَيْنِهِ. أَنَّ بَائِعَهُ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ مِنْ غُرَمَاءِ الْمُشْتَرِيَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. [ص:165] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ بَائِعُ الْعَبْدِ , وَسَائِرُ الْغُرَمَاءِ فِيهِ سَوَاءٌ , لِأَنَّ مِلْكَهُ قَدْ زَالَ عَنِ الْعَبْدِ , وَخَرَجَ مِنْ ضَمَانِهِ , فَإِنَّمَا هُوَ فِي مُطَالَبَةِ غَرِيمٍ مِنْ غُرَمَاءِ الْمَطْلُوبِ , يُطَالِبُهُ بِدَيْنٍ فِي ذِمَّتِهِ , لَا وَثِيقَةٍ فِي يَدَيْهِ , فَهُوَ وَهْمٌ فِي جَمِيعِ مَالِهِمْ سَوَاءٌ. وَكَانَ مِنْ حُجَّتِهِمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي فَسَادِ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ , وَاحْتَجُّوا لِقَوْلِهِمْ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ الَّذِي ذَكَرْنَا , أَنَّ الَّذِي فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ فَأَصَابَ رَجُلٌ مَالَهُ بِعَيْنِهِ وَإِنَّمَا مَالُهُ بِعَيْنِهِ , يَقَعُ عَلَى الْمَغْصُوبِ , وَالْعَوَارِيِّ وَالْوَدَائِعِ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ , فَذَلِكَ مَالُهُ بِعَيْنِهِ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ سَائِرِ الْغُرَمَاءِ. وَفِي ذَلِكَ جَاءَ هَذَا الْحَدِيثُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَإِنَّمَا يَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , لَوْ كَانَ فَأَصَابَ رَجُلٌ غَيْرَ مَالِهِ قَدْ كَانَ لَهُ , فَبَاعَهُ مِنَ الَّذِي وَجَدَهُ فِي يَدِهِ , وَلَمْ يَقْبِضْ مِنْهُ ثَمَنَهُ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ سَائِرِ الْغُرَمَاءِ. وَهَذَا الَّذِي يَكُونُ حُجَّةً لَهُمْ , لَوْ كَانَ لَفْظُ الْحَدِيثِ كَذَلِكَ. فَأَمَّا إِذَا كَانَ عَلَى مَا رَوَيْنَا فِي الْحَدِيثِ فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , وَهُوَ عَلَى الْوَدَائِعِ وَالْمَغْصُوبِ , وَالْعَوَارِيِّ وَالرُّهُونِ أَمْوَالِ الطَّالِبِينَ فِي وَقْتِ الْمُطَالَبَةِ بِهَا , وَذَلِكَ كَمَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ سَمُرَةَ
6187 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، وَبِشْرُ بْنُ عُمَرَ، ح
6188 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا اشْتَرَى عَبْدًا بِثَمَنٍ , وَقَبَضَ الْعَبْدَ وَلَمْ يَدْفَعْ ثَمَنَهُ , فَأَفْلَسَ الْمُشْتَرِي وَعَلَيْهِ دَيْنٌ , وَالْعَبْدُ قَائِمٌ فِي يَدِهِ بِعَيْنِهِ. أَنَّ بَائِعَهُ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ مِنْ غُرَمَاءِ الْمُشْتَرِيَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. [ص:165] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ بَائِعُ الْعَبْدِ , وَسَائِرُ الْغُرَمَاءِ فِيهِ سَوَاءٌ , لِأَنَّ مِلْكَهُ قَدْ زَالَ عَنِ الْعَبْدِ , وَخَرَجَ مِنْ ضَمَانِهِ , فَإِنَّمَا هُوَ فِي مُطَالَبَةِ غَرِيمٍ مِنْ غُرَمَاءِ الْمَطْلُوبِ , يُطَالِبُهُ بِدَيْنٍ فِي ذِمَّتِهِ , لَا وَثِيقَةٍ فِي يَدَيْهِ , فَهُوَ وَهْمٌ فِي جَمِيعِ مَالِهِمْ سَوَاءٌ. وَكَانَ مِنْ حُجَّتِهِمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي فَسَادِ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ , وَاحْتَجُّوا لِقَوْلِهِمْ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ الَّذِي ذَكَرْنَا , أَنَّ الَّذِي فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ فَأَصَابَ رَجُلٌ مَالَهُ بِعَيْنِهِ وَإِنَّمَا مَالُهُ بِعَيْنِهِ , يَقَعُ عَلَى الْمَغْصُوبِ , وَالْعَوَارِيِّ وَالْوَدَائِعِ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ , فَذَلِكَ مَالُهُ بِعَيْنِهِ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ سَائِرِ الْغُرَمَاءِ. وَفِي ذَلِكَ جَاءَ هَذَا الْحَدِيثُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَإِنَّمَا يَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , لَوْ كَانَ فَأَصَابَ رَجُلٌ غَيْرَ مَالِهِ قَدْ كَانَ لَهُ , فَبَاعَهُ مِنَ الَّذِي وَجَدَهُ فِي يَدِهِ , وَلَمْ يَقْبِضْ مِنْهُ ثَمَنَهُ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ سَائِرِ الْغُرَمَاءِ. وَهَذَا الَّذِي يَكُونُ حُجَّةً لَهُمْ , لَوْ كَانَ لَفْظُ الْحَدِيثِ كَذَلِكَ. فَأَمَّا إِذَا كَانَ عَلَى مَا رَوَيْنَا فِي الْحَدِيثِ فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , وَهُوَ عَلَى الْوَدَائِعِ وَالْمَغْصُوبِ , وَالْعَوَارِيِّ وَالرُّهُونِ أَمْوَالِ الطَّالِبِينَ فِي وَقْتِ الْمُطَالَبَةِ بِهَا , وَذَلِكَ كَمَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ سَمُرَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮৭
empty
৬১৮৭।
6187 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮৮
empty
৬১৮৮।
6188 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৮৯
এক ব্যক্তি কোন মাল ক্রয় করে তা কবয করে, অতঃপর সে মারা যায়, তার মূল্য তার ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে
৬১৮৯। আবু মুআবিয়া ..... হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির মাল চুরি হয়েছে কিংবা হারিয়ে গেছে, অতঃপর তার মালিক তার নির্দিষ্ট মালই কোন বা হতে গেল, তবে সেই তার সে মালের অধিক হকদার। আর (উক্ত মালের) ক্রেতা বিক্রেতা হতে তার মল ফিরিয়ে নিবে।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, অতঃপর প্রথম মতের প্রবক্তাগণ বলেন, আলােচ্য হাদীসের যদি ঐ ব্যাখ্যাই হয় যা আপনার উল্লেখ করেছেন, তবে তাে এ কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বলার প্রয়ােজন হয় না। কারণ এ কথা সাধারণ মানুষও জানে। সুতরাং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাে না জানার কথা নয়। ফলে এটা হবে একটা অনর্থক কথা। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনথক কথা বলবেন তা হতেই পারে না। এ ব্যাপারে উলামা-ই কিরামের দ্বিতীয় দলের বক্তব্য হলাে, এটা কোন অনর্থক কথা নয়; বরং একটা সঠিক কালাম এবং এর মধ্যে ফায়দাও রয়েছে। আর তা হলাে রাসুল্লাহ্ : এ হাদীস দ্বারা এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, কাউকে যখন দেউলিয়া ঘােষণা করা হয়, তখন তার যাবতীয় মাল তার পাওনাদারদের মধ্যে বিতরণ করা ওয়াজিব। ঠিক এই মুহূর্তে যদি কোন ব্যক্তির কোন বিশেষ মালে, যা তার হস্তগত রয়েছে, মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সে মালের সেই অধিক হকদার হবে। আর যে মাল তার হাতে রয়েছে এবং সেই তার মালিক বলে ধোকা দেয়া হয়েছে, সে মালের মধ্যে অন্যান্য পাওনাদারদের জন্য কোন ফয়সালা হবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ হাদীস এ দ্বারা এ কথা তাদেরকে জানিয়ে দিলেন এবং যে মালে এই দেওলিয়া ঘােষিত ব্যক্তির করয রয়েছে এবং সে তার মালিক বলে সাধারণ লােকের যে ধোঁকা হয়েছে, এ হাদীস দ্বারা তার অবসান ঘটিয়েছেন, হাদীসের এটা একটা সঠিক ব্যাখ্যা। প্রথম মতের উলামা-ই কিরাম বলেন, এ হাদীস ভিন্ন সূত্রে ভিন্ন ভাষায়ও বর্ণিত হয়েছে।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, অতঃপর প্রথম মতের প্রবক্তাগণ বলেন, আলােচ্য হাদীসের যদি ঐ ব্যাখ্যাই হয় যা আপনার উল্লেখ করেছেন, তবে তাে এ কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বলার প্রয়ােজন হয় না। কারণ এ কথা সাধারণ মানুষও জানে। সুতরাং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাে না জানার কথা নয়। ফলে এটা হবে একটা অনর্থক কথা। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনথক কথা বলবেন তা হতেই পারে না। এ ব্যাপারে উলামা-ই কিরামের দ্বিতীয় দলের বক্তব্য হলাে, এটা কোন অনর্থক কথা নয়; বরং একটা সঠিক কালাম এবং এর মধ্যে ফায়দাও রয়েছে। আর তা হলাে রাসুল্লাহ্ : এ হাদীস দ্বারা এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, কাউকে যখন দেউলিয়া ঘােষণা করা হয়, তখন তার যাবতীয় মাল তার পাওনাদারদের মধ্যে বিতরণ করা ওয়াজিব। ঠিক এই মুহূর্তে যদি কোন ব্যক্তির কোন বিশেষ মালে, যা তার হস্তগত রয়েছে, মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সে মালের সেই অধিক হকদার হবে। আর যে মাল তার হাতে রয়েছে এবং সেই তার মালিক বলে ধোকা দেয়া হয়েছে, সে মালের মধ্যে অন্যান্য পাওনাদারদের জন্য কোন ফয়সালা হবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ হাদীস এ দ্বারা এ কথা তাদেরকে জানিয়ে দিলেন এবং যে মালে এই দেওলিয়া ঘােষিত ব্যক্তির করয রয়েছে এবং সে তার মালিক বলে সাধারণ লােকের যে ধোঁকা হয়েছে, এ হাদীস দ্বারা তার অবসান ঘটিয়েছেন, হাদীসের এটা একটা সঠিক ব্যাখ্যা। প্রথম মতের উলামা-ই কিরাম বলেন, এ হাদীস ভিন্ন সূত্রে ভিন্ন ভাষায়ও বর্ণিত হয়েছে।
6189 - فَإِنَّهُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ حَجَّاجٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ سُرِقَ لَهُ مَتَاعٌ أَوْ ضَاعَ لَهُ مَتَاعٌ وَوَجَدَهُ فِي يَدَيْ رَجُلٍ بِعَيْنِهِ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ , وَيَرْجِعُ الْمُشْتَرِي عَلَى الْبَائِعِ بِالثَّمَنِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: لَوْ كَانَ الْحَدِيثُ عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ مِنَ التَّأْوِيلِ الَّذِي وَصَفْتُمْ , إِذًا لَمَا كَانَ بِنَا إِلَى ذِكْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ مِنْ حَاجَةٍ , لِأَنَّ هَذَا يَعْلَمُهُ الْعَامَّةُ , فَضْلًا عَنِ الْخَاصَّةِ فَالْكَلَامُ بِذَلِكَ فَضْلٌ , وَلَيْسَ مِنْ صِفَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَلَامُ بِالْفَضْلِ , وَلَا الْكَلَامُ بِمَا لَا فَائِدَةَ مِنْهُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِفَضْلٍ , بَلْ هُوَ كَلَامٌ صَحِيحٌ , وَفِيهِ فَائِدَةٌ , وَذَلِكَ أَنَّهُ أَعْلَمَهُمْ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَفْلَسَ وَجَبَ أَنْ يُقْسِمَ جَمِيعَ مَا فِي يَدِهِ بَيْنَ غُرَمَائِهِ , فَثَبَتَ مِلْكُ رَجُلٍ لِبَعْضِ مَا فِي يَدِهِ , أَنَّهُ أَوْلَى بِذَلِكَ وَأَنَّ الَّذِي كَانَ فِي يَدِهِ قَدْ مَلَكَهُ وَغَرَّ فِيهِ , فَلَا يَجِبُ لَهُ فِيهِ حُكْمٌ إِذْ كَانَ مَغْرُورًا فَعَلَّمَهُمْ بِهَذَا الْحَدِيثِ , عَلَّمَهُمْ بِحَدِيثِ سَمُرَةَ , وَنَفَى أَنْ يَكُونَ الْمَغْرُورُ الَّذِي يُشْكِلُ حُكْمُهُ عِنْدَ الْعَامَّةِ يَسْتَحِقُّ بِذَلِكَ الْغُرُورِ شَيْئًا , فَهَذَا وَجْهٌ لِهَذَا الْحَدِيثِ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ , بِأَلْفَاظٍ غَيْرِ أَلْفَاظِ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. فَذَكَرُوا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯০
এক ব্যক্তি কোন মাল ক্রয় করে তা কবয করে, অতঃপর সে মারা যায়, তার মূল্য তার ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে
৬১৯০। ইউনুস ..... আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) খবর দিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন মালের ফয়সালা করলেন, যা কোন ব্যক্তি ক্রয় করছিল এবং সেই মুহূর্তে তাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হয়। অথচ উক্ত মাল তার নিকট অপরিবর্তিত অবস্থায় বিদ্যমান, আর তার বিক্রেতা মালিক তার কোন মূল্যই গ্রহণ করেনি। এক্ষেত্রে এই বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারদের সমান হবে।
রাবী আবু বকর বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ফয়সালা দিলেন যে, যে ব্যক্তি ইন্তেকাল করল, অথচ তার নিকট কোন ব্যক্তির মাল পাওয়া গেল যাতে পরিবর্তন ঘটেনি, আর বিক্রেতা তার মালের মূল্যও গ্রহণ করেন, তবে এই মালের বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারদের সমান হয়ে যাবে।
রাবী আবু বকর বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ফয়সালা দিলেন যে, যে ব্যক্তি ইন্তেকাল করল, অথচ তার নিকট কোন ব্যক্তির মাল পাওয়া গেল যাতে পরিবর্তন ঘটেনি, আর বিক্রেতা তার মালের মূল্যও গ্রহণ করেন, তবে এই মালের বিক্রেতা অন্যান্য পাওনাদারদের সমান হয়ে যাবে।
6190 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالسِّلْعَةِ , يَبْتَاعُهَا الرَّجُلُ , فَيُفْلِسُ وَهِيَ عِنْدَهُ بِعَيْنِهَا , لَمْ يَقْضِ صَاحِبُهَا مِنْ ثَمَنِهَا شَيْئًا , فَهُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ [ص:166] قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَقَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ مَنْ تُوُفِّيَ وَعِنْدَهُ سِلْعَةُ رَجُلٍ بِعَيْنِهَا , وَلَمْ يَقْبِضْ مِنْ ثَمَنِهَا شَيْئًا , فَصَاحِبُ السِّلْعَةِ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯১
এক ব্যক্তি কোন মাল ক্রয় করে তা কবয করে, অতঃপর সে মারা যায়, তার মূল্য তার ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে
৬১৯১। ইউনুস ..... আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন মাল ক্রয় করল অতঃপর ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হলাে, অথচ বিক্রেতা তার মালের মূল্যের কিছুই গ্রহণ করেনি। অতঃপর সে বিক্রেতার নিকট তার মাল অপরিবর্তিত অবস্থায় পেল, তবে সেই তার অধিক হকদার ব্যক্তি। যদি ক্রেতার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে মালের পূর্বের মালিক অন্যান্য পাওনাদারদের সমান হবে।
তারা বলেন, এ হাদীস দ্বারা এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আলােচ্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর উদ্দেশ্য বিক্রেতাদেরই বুঝানাে, অন্যদের নয়।
এদের এ বক্তব্যের জবাবে অন্যরা বলেন, এ হাদীসটি منقطع (মুনকতী), তা দ্বারা দলীল পেশ করা যায় না। এ কথার পর যদি তারা বলেন, এ হাদীস منقطع হওয়া সত্ত্বেও আমরা তা গ্রহণ করেছি। কারণ متصل হাদীসে যে জটিলতা ছিল, এ হাদীস তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে তাদেরকে বলা হবে, হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বকর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে যখন اضطراب (বিভ্রাট) বিদ্যমান; কারণ যুহরী (রাহঃ) হাদীসটি হযরত আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) হতে দ্রুপ বর্ণনা করেছেন, যেমন আমরা শেষে উল্লেখ করেছি এবং হযরত আব্দুল আযীয (রাহঃ)-ও দ্রুপ বর্ণনা করেছেন যেমন আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, তখন এদের অন্য হাদীসে প্রতি প্রত্যাবর্তন করা উচিত। আর সে হাদীস হলাে, বশীর ইব্ন নাহীক'-এর হাদীস এবং হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে যত হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে এ হাদীসকেই আসল ও মূল হাদীস সাব্যস্ত করে এর বিপরীতে বর্ণিত হাদীসগুলােকে সাকিত সাব্যস্ত করা উচিত। আর যখন আপনারা এরূপ করবেন তখন দেখা যাবে, প্রথম দলীল আপনাদের বিরােধী হয়ে যাবে। যদি তারা তা না করেন, তবে বিরােধীদের জন্য একথা বলার অবকাশ থাকবে যে, এ হাদীস। যা ইমাম যুহরী আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেছেন অতঃপর তিনি তাতে দেওলিয়া ঘােষণা ও মৃত্যুর হুকুমে পার্থক্য করেছেন, বস্তুত তা প্রথম হাদীস হতে ভিন্ন। অতএব তার মতে প্রথম হাদীসের যেভাবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, সে হিসেবে তার ওপর আমল করা যায়। আর এই দ্বিতীয় হাদীস হবে منقطع ও شاذ এ ধরনের হাদীস দলীল হতে পারে না, তা বর্জন করা ওয়াজিব হবে। এই যা কিছু আমরা আলােচনা করলাম, তা এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসসমূহের ব্যাপারে আলােচ্য কালামের উদ্দেশ্য।
নযর ও যুক্তি : আর নয়র ও যুক্তির নিরিখে এর ব্যাখ্যা হলাে, আমরা দেখতে পাই যে, যখন কেউ কারাে কাছে কিছু বিক্রয় করে, তখন ক্রেতা যতক্ষণ পর্যন্ত তার মূল্য পরিশােধ না করবে, তার জন্য তা আটক করে রাখার অধিকার রয়েছে। আর যদি ক্রেতার মত্য ঘটে অথচ সে ঋণগ্রস্ত হয়, তবে এক্ষেত্রে বিক্রেতার জন্য তার মালের শব্য অন্যান্য পাওনাদারদের সমান অধিকার হবে। বিক্রেতা যখন তার বিক্রয় করা বস্তু ক্রেতার মৃতু পযন্ত আটকিয়ে রাখে, সে ক্ষেত্রে ক্রেতার অন্যান্য পাওনাদারদের থেকে সে অধিক হকদার হবে। আর যখন সে ক্রেতার নিকট অপন করল, তারপর সে (মূল্য পরিশােধ করার পূর্বেই) মারা গেল। সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা ও ক্রেতার অন্য সকল পাওনাদার ঐ মালের মধ্যে সমান অধিকারী হবে। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, যে বিষয়টি বিক্রেতার জন্য তার বিক্রয় করা বস্তুর মূল্য এককভাবে গ্রহণ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে, ক্রেতার অনান পাওনাদারদের তার মধ্যে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করে না, তা হলাে ক্রেতার মৃতুর পর বিক্রেতার হাতেই তার বিক্রয় করা মালা বিদ্যমান থাকা। ঠিক অনুরূপভাবে ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করার পর যদি বিক্রয় করা গোলাম বিক্রেতার হাতে ও তার কবয়ায় থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ক্রেতার অন সব পাওনাদারদের চেয়ে বিক্রেতারই হক ও অধিকার বেশী হবে। আর যদি বিক্রেতা তার বিক্রয় করা গােলাম ক্রেতার নিকট অপন করে থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে উক্ত গােলামে বিক্রেতা ও ক্রেতার অন্য সব পাওনাদার সমান হবে। এটা একটা বিশু দলীল।
অন্য আরো একটি দলীল হলাে, ক্রেতা যদি বিক্রেতার নিকট হতে তার ক্রয় করা বস্তু কব্য না করে থাকে, আর বি:তানে তার কোন মূল্য পরিশােধ না করে থাকে; ক্রয় করা বস্তুর সম্পূর্ণ মূল্য বাকী অথবা আংশিক মূল্য শরিশা নর ও কিছু অংশ বাকী রয়েছে, তবে সে ক্ষেত্রে যাবত না সে তার পূর্ণ মূল্য উসূল করবে, উক্ত বিক্রয় করা গোলামের সেই অধিক হকদার হবে। বিক্রয় করা গােলাম বিক্রেতার কবয়ায় থাকলে তার সম্পূর্ণ মূল। বাকী থাকুক কিংবা কিছু অংশ বাকী থাকুক, উভয় ক্ষেত্রে বিক্রেতাই অধিক হকদার হবে। এখানে দুটি অবস্থায় একই হুকুম প্রয়ােগ করা হয়েছে। দুটি অবস্থায় হুকুমে কোন পার্থক্য করা হয়নি। এক্ষেত্রে যখন হুকুম এ রকমই (অর্থাৎ বিক্রয় করা বস্তু বিক্রেতার দখলে থাকলে ক্রেতা তার মূল্য সম্পূর্ণ বাকী রাখুক কিংবা আংশিক বাকী রাখুক- উভয় ক্ষেত্রে হুকুম এক ও অভিন্ন), আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, ক্রেতা যখন গােলাম কবয করল এবং বিক্রেতাকে তার আংশিক মূল্য পরিশােধ করল, অতঃপর তাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হলাে, সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা তার অবশিষ্ট মূল্যের কারণে ক্রেতার অন্যান্য পাওনাদারের চেয়ে এই গােলামের ক্ষেত্রে অধিক হকদার হবে না; বরং সে ও তারা সকলেই এই গােলামে সমান হকদার হবে। ঠিক অনুরূপভাবে যদি তার সম্পূর্ণ মূল্য বাকী থাকে এবং সেই অবস্থায় ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হয়, তখনও বিক্রেতা অন্য সব পাওনাদারের চেয়ে এই গােলামে অধিক হকদার হবে না। বিক্রেতা ও অন্য সব পাওনাদার এক্ষেত্রেও সমান হকদার হবে। অতএব (কবয করার পর) ক্রেতার ওপর সম্পূর্ণ মূল্য অবশিষ্ট থাকুক কিংবা আংশিক, ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণার পর উভয় অবস্থায়ই হুকুম এক ও অভিন্ন হবে। যেমন ক্রেতার কব করার পর তার মৃত্যু হলে চাই তার সম্পূর্ণ মূল্য বাকী থাকুক কিংবা আংশিক, উভয় ক্ষেত্রেই বিক্রেতা ও অন্যান্য পাওনাদার উক্ত গােলামে সমান হকদার হয়, যে বিষয়ে উলামা-ই কিরাম একমত পােষণ করেছেন যেমন পূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি। অতএব নর ও যুক্তিতে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা-ই প্রমাণিত হলাে। আর এটাই ইমাম, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব ।
তারা বলেন, এ হাদীস দ্বারা এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আলােচ্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর উদ্দেশ্য বিক্রেতাদেরই বুঝানাে, অন্যদের নয়।
এদের এ বক্তব্যের জবাবে অন্যরা বলেন, এ হাদীসটি منقطع (মুনকতী), তা দ্বারা দলীল পেশ করা যায় না। এ কথার পর যদি তারা বলেন, এ হাদীস منقطع হওয়া সত্ত্বেও আমরা তা গ্রহণ করেছি। কারণ متصل হাদীসে যে জটিলতা ছিল, এ হাদীস তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে তাদেরকে বলা হবে, হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বকর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে যখন اضطراب (বিভ্রাট) বিদ্যমান; কারণ যুহরী (রাহঃ) হাদীসটি হযরত আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) হতে দ্রুপ বর্ণনা করেছেন, যেমন আমরা শেষে উল্লেখ করেছি এবং হযরত আব্দুল আযীয (রাহঃ)-ও দ্রুপ বর্ণনা করেছেন যেমন আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, তখন এদের অন্য হাদীসে প্রতি প্রত্যাবর্তন করা উচিত। আর সে হাদীস হলাে, বশীর ইব্ন নাহীক'-এর হাদীস এবং হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে যত হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে এ হাদীসকেই আসল ও মূল হাদীস সাব্যস্ত করে এর বিপরীতে বর্ণিত হাদীসগুলােকে সাকিত সাব্যস্ত করা উচিত। আর যখন আপনারা এরূপ করবেন তখন দেখা যাবে, প্রথম দলীল আপনাদের বিরােধী হয়ে যাবে। যদি তারা তা না করেন, তবে বিরােধীদের জন্য একথা বলার অবকাশ থাকবে যে, এ হাদীস। যা ইমাম যুহরী আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান হতে বর্ণনা করেছেন অতঃপর তিনি তাতে দেওলিয়া ঘােষণা ও মৃত্যুর হুকুমে পার্থক্য করেছেন, বস্তুত তা প্রথম হাদীস হতে ভিন্ন। অতএব তার মতে প্রথম হাদীসের যেভাবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, সে হিসেবে তার ওপর আমল করা যায়। আর এই দ্বিতীয় হাদীস হবে منقطع ও شاذ এ ধরনের হাদীস দলীল হতে পারে না, তা বর্জন করা ওয়াজিব হবে। এই যা কিছু আমরা আলােচনা করলাম, তা এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসসমূহের ব্যাপারে আলােচ্য কালামের উদ্দেশ্য।
নযর ও যুক্তি : আর নয়র ও যুক্তির নিরিখে এর ব্যাখ্যা হলাে, আমরা দেখতে পাই যে, যখন কেউ কারাে কাছে কিছু বিক্রয় করে, তখন ক্রেতা যতক্ষণ পর্যন্ত তার মূল্য পরিশােধ না করবে, তার জন্য তা আটক করে রাখার অধিকার রয়েছে। আর যদি ক্রেতার মত্য ঘটে অথচ সে ঋণগ্রস্ত হয়, তবে এক্ষেত্রে বিক্রেতার জন্য তার মালের শব্য অন্যান্য পাওনাদারদের সমান অধিকার হবে। বিক্রেতা যখন তার বিক্রয় করা বস্তু ক্রেতার মৃতু পযন্ত আটকিয়ে রাখে, সে ক্ষেত্রে ক্রেতার অন্যান্য পাওনাদারদের থেকে সে অধিক হকদার হবে। আর যখন সে ক্রেতার নিকট অপন করল, তারপর সে (মূল্য পরিশােধ করার পূর্বেই) মারা গেল। সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা ও ক্রেতার অন্য সকল পাওনাদার ঐ মালের মধ্যে সমান অধিকারী হবে। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, যে বিষয়টি বিক্রেতার জন্য তার বিক্রয় করা বস্তুর মূল্য এককভাবে গ্রহণ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে, ক্রেতার অনান পাওনাদারদের তার মধ্যে কোন অধিকার প্রতিষ্ঠা করে না, তা হলাে ক্রেতার মৃতুর পর বিক্রেতার হাতেই তার বিক্রয় করা মালা বিদ্যমান থাকা। ঠিক অনুরূপভাবে ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করার পর যদি বিক্রয় করা গোলাম বিক্রেতার হাতে ও তার কবয়ায় থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ক্রেতার অন সব পাওনাদারদের চেয়ে বিক্রেতারই হক ও অধিকার বেশী হবে। আর যদি বিক্রেতা তার বিক্রয় করা গােলাম ক্রেতার নিকট অপন করে থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে উক্ত গােলামে বিক্রেতা ও ক্রেতার অন্য সব পাওনাদার সমান হবে। এটা একটা বিশু দলীল।
অন্য আরো একটি দলীল হলাে, ক্রেতা যদি বিক্রেতার নিকট হতে তার ক্রয় করা বস্তু কব্য না করে থাকে, আর বি:তানে তার কোন মূল্য পরিশােধ না করে থাকে; ক্রয় করা বস্তুর সম্পূর্ণ মূল্য বাকী অথবা আংশিক মূল্য শরিশা নর ও কিছু অংশ বাকী রয়েছে, তবে সে ক্ষেত্রে যাবত না সে তার পূর্ণ মূল্য উসূল করবে, উক্ত বিক্রয় করা গোলামের সেই অধিক হকদার হবে। বিক্রয় করা গােলাম বিক্রেতার কবয়ায় থাকলে তার সম্পূর্ণ মূল। বাকী থাকুক কিংবা কিছু অংশ বাকী থাকুক, উভয় ক্ষেত্রে বিক্রেতাই অধিক হকদার হবে। এখানে দুটি অবস্থায় একই হুকুম প্রয়ােগ করা হয়েছে। দুটি অবস্থায় হুকুমে কোন পার্থক্য করা হয়নি। এক্ষেত্রে যখন হুকুম এ রকমই (অর্থাৎ বিক্রয় করা বস্তু বিক্রেতার দখলে থাকলে ক্রেতা তার মূল্য সম্পূর্ণ বাকী রাখুক কিংবা আংশিক বাকী রাখুক- উভয় ক্ষেত্রে হুকুম এক ও অভিন্ন), আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, ক্রেতা যখন গােলাম কবয করল এবং বিক্রেতাকে তার আংশিক মূল্য পরিশােধ করল, অতঃপর তাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হলাে, সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা তার অবশিষ্ট মূল্যের কারণে ক্রেতার অন্যান্য পাওনাদারের চেয়ে এই গােলামের ক্ষেত্রে অধিক হকদার হবে না; বরং সে ও তারা সকলেই এই গােলামে সমান হকদার হবে। ঠিক অনুরূপভাবে যদি তার সম্পূর্ণ মূল্য বাকী থাকে এবং সেই অবস্থায় ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণা করা হয়, তখনও বিক্রেতা অন্য সব পাওনাদারের চেয়ে এই গােলামে অধিক হকদার হবে না। বিক্রেতা ও অন্য সব পাওনাদার এক্ষেত্রেও সমান হকদার হবে। অতএব (কবয করার পর) ক্রেতার ওপর সম্পূর্ণ মূল্য অবশিষ্ট থাকুক কিংবা আংশিক, ক্রেতাকে দেওলিয়া ঘােষণার পর উভয় অবস্থায়ই হুকুম এক ও অভিন্ন হবে। যেমন ক্রেতার কব করার পর তার মৃত্যু হলে চাই তার সম্পূর্ণ মূল্য বাকী থাকুক কিংবা আংশিক, উভয় ক্ষেত্রেই বিক্রেতা ও অন্যান্য পাওনাদার উক্ত গােলামে সমান হকদার হয়, যে বিষয়ে উলামা-ই কিরাম একমত পােষণ করেছেন যেমন পূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি। অতএব নর ও যুক্তিতে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা-ই প্রমাণিত হলাে। আর এটাই ইমাম, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব ।
6191 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ ابْتَاعَ مَتَاعًا , فَأَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَهُ , وَلَمْ يَقْبِضِ الَّذِي بَاعَهُ مِنْ ثَمَنِهِ شَيْئًا , فَوَجَدَهُ بِعَيْنِهِ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ , فَإِنْ مَاتَ الْمُشْتَرِي , فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ» قَالُوا: فَقَدْ بَانَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَرَادَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , الْبَاعَةَ لَا غَيْرَهُمْ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ مُنْقَطِعٌ , لَا يَقُومُ بِمِثْلِهِ حُجَّةٌ. فَإِنْ قَالُوا: إِنَّمَا قَبِلْنَاهُ , وَإِنْ كَانَ مُنْقَطِعًا , لِأَنَّهُ بَيَّنَ مَا أَشْكَلَ فِي الْحَدِيثِ الْمُتَّصِلِ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ كَانَ يَنْبَغِي لَكُمْ لَمَّا اضْطَرَبَ حَدِيثُ أَبِي بَكْرَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا , فَرَوَاهُ عَنْهُ الزُّهْرِيُّ كَمَا ذَكَرْنَا آخِرًا , وَرَوَاهُ عَنْهُ , عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَى مَا وَصَفْنَا أَوَّلًا إِنْ رَجَعُوا إِلَى حَدِيثِ غَيْرِهِ , وَهُوَ بَشِيرُ بْنُ نَهِيكٍ , فَيَجْعَلُونَهُ هُوَ أَصْلَ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ , وَيُسْقِطُونَ مَا خَالَفَهُ. وَإِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ , عَادَتِ الْحُجَّةُ الْأُولَى عَلَيْكُمْ , وَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا ذَلِكَ , كَانَ لِخَصْمِكُمْ أَيْضًا أَنْ يَقُولَ: هَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ , عَنْ أَبِي بَكْرٍ , فَفَرَّقَ فِيهِ بَيْنَ حُكْمِ التَّفْلِيسِ وَالْمَوْتِ , هُوَ غَيْرُ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ فَيَكُونُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ عِنْدَهُ , مُسْتَعْمَلًا مِنْ حَيْثُ تَأَوَّلَهُ , وَيَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي , حَدِيثًا مُنْقَطِعًا شَاذًّا , لَا يَقُومُ بِمِثْلِهِ حُجَّةٌ , فَيَجِبُ تَرْكُ اسْتِعْمَالِهِ. فَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَا , هُوَ وَجْهُ الْكَلَامِ فِي الْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ فِي هَذَا الْبَابِ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الرَّجُلَ , إِذَا بَاعَ مِنْ رَجُلٍ شَيْئًا , كَانَ لَهُ أَنْ يَحْبِسَهُ حَتَّى يَنْقُدَهُ الثَّمَنَ. وَإِنْ مَاتَ الْمُشْتَرِي , وَعَلَيْهِ دَيْنٌ , فَالْبَائِعُ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ. فَكَانَ الْبَائِعُ , مَتَى كَانَ مُحْبِسًا لِمَا بَاعَ , حَتَّى مَاتَ الْمُشْتَرِي , كَانَ أَوْلَى بِهِ مِنْ سَائِرِ غُرَمَاءِ الْمُشْتَرِي. وَمَتَى دَفَعَهُ إِلَى الْمُشْتَرِي وَقَبَضَهُ مِنْهُ , ثُمَّ مَاتَ , فَهُوَ وَسَائِرُ الْغُرَمَاءِ فِيهِ , سَوَاءٌ. فَكَانَ الَّذِي يُوجِبُ لَهُ الِانْفِرَادَ بِثَمَنِهِ , دُونَ الْغُرَمَاءِ هُوَ بَقَاؤُهُ فِي يَدِهِ. فَلِمَا كَانَ مَا وَصَفْنَا كَذَلِكَ , كَانَ كَذَلِكَ , إِفْلَاسُ الْمُشْتَرِي , إِذَا كَانَ الْعَبْدُ فِي يَدِ الْبَائِعِ , فَهُوَ أَوْلَى بِهِ مِنْ سَائِرِ غُرَمَاءِ الْمُشْتَرِي. وَإِنْ كَانَ قَدْ أَخْرَجَهُ مِنْ يَدِهِ إِلَى يَدِ الْمُشْتَرِي , فَهُوَ وَسَائِرُ الْغُرَمَاءِ فِيهِ سَوَاءٌ , فَهَذِهِ حُجَّةٌ صَحِيحَةٌ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى: أَنَّا رَأَيْنَاهُ , إِذَا لَمْ يَقْبِضْهُ الْمُشْتَرِي , وَقَدْ بَقِيَ لِلْبَائِعِ كُلُّ الثَّمَنِ , أَوْ نَقَدَهُ بَعْضَ الثَّمَنِ , وَبَقِيَتْ لَهُ عَلَيْهِ طَائِفَةٌ مِنْهُ أَنَّهُ أَوْلَى بِالْعَبْدِ , حَتَّى يَسْتَوْفِيَ مَا بَقِيَ لَهُ مِنَ الثَّمَنِ. فَكَانَ بِبَقَائِهِ فِي يَدِهِ , أَوْلَى بِهِ إِذَا كَانَ لَهُ كُلُّ الثَّمَنِ أَوْ بَعْضُ الثَّمَنِ , وَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ , فَجَعَلَ حُكْمَهُ حُكْمًا وَاحِدًا. [ص:167] فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَأَجْمَعُوا أَنَّ الْمُشْتَرِيَ إِذَا قَبَضَ الْعَبْدَ وَنَقَدَ الْبَائِعُ مِنْ ثَمَنِهِ طَائِفَةً , ثُمَّ أَفْلَسَ الْمُشْتَرِي , أَنَّ الْبَائِعَ لَا يَكُونُ بِتِلْكَ الطَّائِفَةِ الْبَاقِيَةِ لَهُ أَحَقَّ بِالْعَبْدِ مِنْ سَائِرِ الْغُرَمَاءِ , بَلْ هُوَ وَهُمْ فِيهِ سَوَاءٌ. وَكَذَلِكَ إِذَا بَقِيَ لَهُ ثَمَنُهُ كُلُّهُ حَتَّى أَفْلَسَ , فَلَا يَكُونُ بِذَلِكَ أَحَقَّ بِالْعَبْدِ مِنْ سَائِرِ الْغُرَمَاءِ , وَيَكُونُ هُوَ وَهُمْ فِيهِ سَوَاءٌ. فَيَسْتَوِي حُكْمُهُ إِذَا بَقِيَ لَهُ كُلُّ الثَّمَنِ عَلَى الْمُشْتَرِي , أَوْ بَعْضُ الثَّمَنِ حَتَّى أَفْلَسَ الْمُشْتَرِي , كَمَا اسْتَوَى بَقَاؤُهُمَا جَمِيعًا لَهُ عَلَيْهِ , حَتَّى كَانَ الْمَوْتُ الَّذِي أَجْمَعُوا فِيهِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا. فَثَبَتَ بِالنَّظَرِ , مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ
وَقَدْ
وَقَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৯৩
এক ব্যক্তি কোন মাল ক্রয় করে তা কবয করে, অতঃপর সে মারা যায়, তার মূল্য তার ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে
৬১৯২-৯৩। সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব ..... ইবরাহীম এবং সুলায়মান হাসান হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, সে (বিক্রেতা) অন্যান্য পাওনাদারদের সমান। وَاللهُ أَعْلَمُ
6192 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ الْمُغِيرَةِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ.
6193 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَشْعَبَ , مَوْلَى آلِ حُمْرَانَ , عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: هُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ , وَاللهُ أَعْلَمُ
6193 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَشْعَبَ , مَوْلَى آلِ حُمْرَانَ , عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: هُوَ أُسْوَةُ الْغُرَمَاءِ , وَاللهُ أَعْلَمُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯৩
empty
৬১৯৩।
6193 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান