শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১৬১
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬১। রাবী আল-জীযী ও ইব্ন আবু দাউদ .....আবুল মুনকাদির হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার এক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট আগমন করে বললাে, আমার মাল আছে আর সন্তান-সন্ততিও আছে। আর আমার আব্বারও মাল আছে এবং সন্তান-সন্ততিও আছে। তার ইচ্ছে হলাে, তিনি আমার মাল দখল করবেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন তুমি ও তােমার মাল তাে তােমার পিতারই।
بَابُ الْوَالِدِ هَلْ يَمْلِكُ مَالَ وَلَدِهِ أَمْ لَا؟
6161 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ يُونُسَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ لِي مَالًا وَعِيَالًا وَإِنَّ لِأَبِي مَالًا وَعِيَالًا وَإِنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَأْخُذَ مَالِي إِلَى مَالِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬২
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬২। ইবন আবু দাউদ ..... আমর ইবন আব তাঁর পিতা হতে তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বললেন, আমার মাল আছে এবং আমার পিতা আছেন, যিনি আমার মাল দখল করতে ইচ্ছুক। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে বললেন, তুমি ও তােমার মাল তাে তােমার আব্বারই । তােমাদের সন্তানগণই তােমাদের উত্তম উপার্জন। এতএব তােমরা তােমাদের সন্তানদের উপার্জন হতে খাও। আবু জাফর বললেন, একদল আলিম একমত পােষণ করেন যে, সন্তান যে মাল উপার্জন করবে, তার মালিক হবে তার পিতা। তারা উল্লেখিত এ হাদীসের দ্বারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম দ্বারা আতা ইবন আবু রাবাহ, মাসরূক ইবনুল আজদা, মুজাহিদ, আমের শা'বী, হাসান বসরী, ইবন আবু লায়লা উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত উমর, আলী, ইন মাসউদ, আনাস, ইবন আব্বাস ও হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে এ মত বর্ণিত।
অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এর বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, সন্তান যা উপার্জন করবে, তার মালিক সে নিজেই হবে, তার পিতা নয়। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ -এর বক্তব্য, সন্তানের উপার্জনের মালিক তার পিতাকে সাব্যস্ত করার উদ্দেশ্য নয়, বরং তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলাে, সন্তানের জন্য এ সমস্ত ব্যাপারে পিতার বিরােধিতা করা উচিত নয়, বরং তার মালের মধ্যে তার পিতার নির্দেশ ঠিক তদ্রুপ পালিত হওয়া উচিত, যেমন খােদ পিতার মালের মধ্যে তার নির্দেশ পালিত হয়। আপনি দেখছেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ অর্থাৎ তুমি ও তােমার মাল তােমার পিতার। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ বক্তব্যর মাধ্যমে সন্তান তার পিতার গােলামে পরিণত হয় না, আর পিতাও পুত্রের মালিক হয়ে যায় না।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিয়াম দ্বারা ইবরাহীম নাখঈ, যুহরী, মুহাম্মাদ ইবন সীরীন, জাবির ইব্ন যায়দ, হাম্মাদ ইবন আবী সুলায়মান, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, মালিক, শাফিঈ ও আহমদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য। তারা বলেন, সন্তানের মাল তার নিজেরই । অবশ্য যদি মাতাপিতা তার মালের মুখাপেক্ষী হয়, তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারা তার মাল হতে নিতে পারবে। যাহিরিয়াদের মাযহাবও-এটাই।
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে পুত্রের মালকে তার পিতার প্রতি সম্বন্ধিত করেছেন, এ কারণে তার পিতা তার মালেরও মালিক হবে না, আর এ বিষয়ের হাদীস হচ্ছে :
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম দ্বারা আতা ইবন আবু রাবাহ, মাসরূক ইবনুল আজদা, মুজাহিদ, আমের শা'বী, হাসান বসরী, ইবন আবু লায়লা উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত উমর, আলী, ইন মাসউদ, আনাস, ইবন আব্বাস ও হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে এ মত বর্ণিত।
অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এর বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, সন্তান যা উপার্জন করবে, তার মালিক সে নিজেই হবে, তার পিতা নয়। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ -এর বক্তব্য, সন্তানের উপার্জনের মালিক তার পিতাকে সাব্যস্ত করার উদ্দেশ্য নয়, বরং তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলাে, সন্তানের জন্য এ সমস্ত ব্যাপারে পিতার বিরােধিতা করা উচিত নয়, বরং তার মালের মধ্যে তার পিতার নির্দেশ ঠিক তদ্রুপ পালিত হওয়া উচিত, যেমন খােদ পিতার মালের মধ্যে তার নির্দেশ পালিত হয়। আপনি দেখছেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ অর্থাৎ তুমি ও তােমার মাল তােমার পিতার। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ বক্তব্যর মাধ্যমে সন্তান তার পিতার গােলামে পরিণত হয় না, আর পিতাও পুত্রের মালিক হয়ে যায় না।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিয়াম দ্বারা ইবরাহীম নাখঈ, যুহরী, মুহাম্মাদ ইবন সীরীন, জাবির ইব্ন যায়দ, হাম্মাদ ইবন আবী সুলায়মান, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, মালিক, শাফিঈ ও আহমদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য। তারা বলেন, সন্তানের মাল তার নিজেরই । অবশ্য যদি মাতাপিতা তার মালের মুখাপেক্ষী হয়, তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারা তার মাল হতে নিতে পারবে। যাহিরিয়াদের মাযহাবও-এটাই।
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে পুত্রের মালকে তার পিতার প্রতি সম্বন্ধিত করেছেন, এ কারণে তার পিতা তার মালেরও মালিক হবে না, আর এ বিষয়ের হাদীস হচ্ছে :
6162 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: ثنا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِي مَالًا وَلِي وَلَدًا يُرِيدُ أَنْ يَجْتَاحَ مَالِي. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ إِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِكُمْ فَكُلُوا مِنْ كَسْبِ أَوْلَادِكُمْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَا كَسَبَهُ الِابْنُ مِنْ مَالٍ فَهُوَ لِأَبِيهِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا كَسَبَ الِابْنُ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ لَهُ خَاصَّةً دُونَ أَبِيهِ. وَقَالُوا قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا لَيْسَ عَلَى التَّمْلِيكِ مِنْهُ لِلْأَبِ كَسْبُ الِابْنِ وَإِنَّمَا هُوَ عَلَى أَنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِلِابْنِ أَنْ يُخَالِفَ الْأَبَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ وَأَنْ تَجْعَلَ أَمْرَهُ فِيهِ نَافِذًا كَأَمْرِهِ فِيمَا يَمْلِكُ. أَلَا تَرَاهُ يَقُولُ: «أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ» فَلَمْ يَكُنِ الِابْنُ مَمْلُوكًا لِأَبِيهِ بِإِضَافَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ فَكَذَلِكَ لَا يَكُونُ مَالِكًا لِمَالِهِ بِإِضَافَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৩
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬৩। ফাহদ ..... আবু সালিহ হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ এ ইরশাদ করেন, আবু বকর (রাযিঃ)-এর মাল আমাকে যত উপকৃত করেছে, অন্য কোন মাল আমাকে তেমন উপকৃত করেনি। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ও আমার মাল তাে আপনারই।
হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য এ নয় যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ -কে তাঁর মালের মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। বরং তার এ বক্তব্য দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলাে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যে কোন নির্দেশ তার নিজের ও তাঁর মালের মধ্যে চালু হবে। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ এর অর্থ অনুরূপ। وَاللهُ أَعْلَمُ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত, তিনি মুসলমানদের সম্পদকে ঠিক তদ্রুপ হারাম করেছেন, যেমন তিনি তাদের খুন হারাম করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি পিতাকে বাদ দেননি এবং অন্যকেও নয়।
হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য এ নয় যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ -কে তাঁর মালের মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। বরং তার এ বক্তব্য দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলাে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যে কোন নির্দেশ তার নিজের ও তাঁর মালের মধ্যে চালু হবে। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ এর অর্থ অনুরূপ। وَاللهُ أَعْلَمُ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত, তিনি মুসলমানদের সম্পদকে ঠিক তদ্রুপ হারাম করেছেন, যেমন তিনি তাদের খুন হারাম করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি পিতাকে বাদ দেননি এবং অন্যকেও নয়।
6163 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا نَفَعَنِي مَالٌ قَطُّ مَا نَفَعَنِي مَالُ أَبِي بَكْرٍ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنَّمَا أَنَا وَمَالِي لَكَ يَا رَسُولَ اللهِ فَلَمْ يُرِدْ أَبُو بَكْرٍ بِذَلِكَ أَنَّ مَالَهُ مِلْكٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَهُ وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنَّ أَمْرَهُ يَنْفُذُ فِيهِ وَفِي نَفْسِهِ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ «أَنْتَ وَمَالُكَ لِأَبِيكَ» فَهُوَ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا وَاللهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرُمَ أَمْوَالُ الْمُسْلِمِينَ كَمَا حَرُمَ دِمَاؤُهُمْ وَلَمْ يُسْتَثْنَ فِي ذَلِكَ وَالِدًا وَلَا غَيْرَهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৫
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬৪-৬৫। আর এ সম্পর্কে যে হাদীস তার থেকে বর্ণিত হয়েছে, তা হলাে : আবু বাকরা ও ইব্ন মারক নিজ নিজ সনদে বর্ণনা করেন, ..... মুররাহ ইব্ন শুরাহবীল বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর একজন সাহাবী বলেছেন, আমার ধারণা তাঁর বর্ণনার সময় আমার এই যুদ্ধে” এ কথাটিও বলেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বললেন, তােমরা কি জান, এটা কোন দিন? তারা বললেন, জী হ্যা, আজ কুরবানীর দিন। তিনি বলেলেন, তােমরা সত্য বলেছ, আজ বড় হজ্জের দিন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তােমরা কি জান, এটা কোন মাস? তারা বললেন, জী হ্যা, এটা যিলহজ্জ মাস। তিনি বললেন, তােমরা সত্য বলেছ, এটা "শাহরুল্লাহিল আছাম্মা। তিনি আবারাে জিজ্ঞেস করলেন, তােমরা কি জান, এটা কোন শহর? তারা বললেন, জী হ্যা, এটা মাশআরুল হারাম”। তিনি বললেন, তােমরা সত্য বলেছ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তােমাদের খুন, তােমাদের মাল, আমার ধারণা তিনি এ কথাও বলেছেন, তােমাদের ইযযত ও মান-সম্মান তােমাদের ওপর ঠিক দ্রুপ সম্মানিত, যেমন এ শহরে এ মাসে আজকের এই দিন সম্মানিত।
6164 - فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ ح
6165 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ وَيَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ: فِي غَزْوَتِي هَذِهِ، قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ أَيَّ يَوْمٍ هَذَا؟» قَالُوا: نَعَمْ يَوْمُ النَّحْرِ، قَالَ: «صَدَقْتُمْ يَوْمُ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ» . قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ أَيَّ شَهْرٍ هَذَا؟» قَالُوا: نَعَمْ ذُو الْحِجَّةِ، قَالَ: «صَدَقْتُمْ شَهْرُ اللهِ الْأَصَمُّ. هَلْ تَدْرُونَ أَيَّ بَلَدٍ هَذَا؟» ، قَالُوا: نَعَمْ، الْمَشْعَرُ الْحَرَامُ قَالَ: «صَدَقْتُمْ» . [ص:159] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَحْسِبُهُ قَالَ: وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا "
6165 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ وَيَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ: فِي غَزْوَتِي هَذِهِ، قَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ أَيَّ يَوْمٍ هَذَا؟» قَالُوا: نَعَمْ يَوْمُ النَّحْرِ، قَالَ: «صَدَقْتُمْ يَوْمُ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ» . قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ أَيَّ شَهْرٍ هَذَا؟» قَالُوا: نَعَمْ ذُو الْحِجَّةِ، قَالَ: «صَدَقْتُمْ شَهْرُ اللهِ الْأَصَمُّ. هَلْ تَدْرُونَ أَيَّ بَلَدٍ هَذَا؟» ، قَالُوا: نَعَمْ، الْمَشْعَرُ الْحَرَامُ قَالَ: «صَدَقْتُمْ» . [ص:159] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَحْسِبُهُ قَالَ: وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৫
empty
৬১৬৫।
6165 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৬
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬৬। আলী ইব্ন মা'বাদ ..... আব্দুর রহমান ইবন আবী বকর (রাযিঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, নবী বিদায় হজ্জের সময় ইয়াওমুন নাহরে তাঁর খুতবায় বললেন, তােমাদের মাল, তােমাদের মান-সম্মান ও তােমাদের খুন তােমাদের পরস্পরের মাঝে ঠিক তদ্রুপ সম্মানিত যেমন এই শহরে এই দিনটি সম্মানিত। উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যাক্তিকে পৌঁছে দেয়।
6166 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ الْبَكْرَاوِيُّ هُوَ ابْنُ خَلِيفَةَ، قَالَ: ثنا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: " إِنَّ أَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ وَدِمَاءَكُمْ حَرَامٌ بَيْنَكُمْ فِي مِثْلِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي مِثْلِ بَلَدِكُمْ هَذَا أَلَا لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৭
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬৭। ফাহদ ..... আমাশ বলেন, আমি আবু সালিহকে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) কিংবা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে। বর্ণনা করতে শুনেছি, আমার ধারণা তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জে ইরশাদ করেছেন, সম্মানের দিক থেকে সর্বাপেক্ষা বড় দিন হলাে এই দিন। আর সম্মানের দিক হতে সর্বাপেক্ষা বড় মাস হলাে এই মাস। আর সম্মানের দিক থেকে সর্বাপেক্ষা শহর হলাে এই শহর। তােমাদের খুন, তােমাদের মাল, তােমাদের ওপর ঠিক তদ্রুপ হারাম যেমন এই দিন, এই মাস ও এই শহর তােমাদের ওপর হারাম । তারপর তিনি বললেন, আমি কি তােমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছি? তারা বললেন, জী হা। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন।
6167 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَوْ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأُرَاهُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: «إِنَّ أَعْظَمَ الْأَيَّامِ حُرْمَةً هَذَا الْيَوْمُ وَإِنَّ أَعْظَمَ الشُّهُورِ حُرْمَةً هَذَا الشَّهْرُ وَإِنَّ أَعْظَمَ الْبُلْدَانِ حُرْمَةً هَذَا الْبَلَدُ وَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ هَذَا الْيَوْمِ وَهَذَا الشَّهْرِ وَهَذَا الْبَلَدِ هَلْ بَلَّغْتُ؟» ، قَالُوا: نَعَمْ قَالَ: «اللهُمَّ اشْهَدْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৮
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬৮। রাবী আল-মুয়াযযিন ..... জাফর ইব্ন মুহাম্মাদ তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জে খুতবা প্রদান করলেন, তিনি বললেন, সাবধান! তােমাদের খুন, তােমাদের মাল তােমাদের ওপর হারাম, তােমাদের প্রতিপালকের সাথে তােমাদের সাক্ষাত লাভ হওয়া পর্যন্ত, যেমন এই শহরে, এই মাসে এই দিনটি হারাম ও সম্ভ্রান্ত ।
6168 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَهُمْ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ: «أَلَا إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ إِلَى أَنْ تَلْقَوْا رَبَّكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৬৯
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৬৯। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান ......... হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের উদ্দেশ্যে প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
6169 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا دُحَيْمُ بْنُ الْيَتِيمِ قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ ثنا هِشَامُ بْنُ الْغَارِ الْجُرَشِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭০
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৭০। মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ইবন দাউদ ..... রাবীআ ইব্ন কুলসূম ইব্ন জাবর বলেন, আমার আব্বা বলেছেন, আমি আবু আদিয়া আল-জুহানীকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার আমাদের উদ্দেশ্যে খুতব্য প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
6170 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا رَبِيعَةُ بْنُ كُلْثُومِ بْنِ جَبْرٍ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَادِيَةَ الْجُهَنِيَّ، قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭১
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৭১। আলী ইব্ন মা'বাদ .....সুলায়মান ইবন আমর হযরত আমর ইবনুল আহওয়াস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জে খুতবা প্রদান করলেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন। আবু জা’ফর (রাহঃ) বলেন, এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) حرمة الأموال (মাল হারাম হওয়া)-কে حرمة الأبدان (শরীর হারাম হওয়া)-এর সমতুল্য সাব্যস্ত করেছেন। অতএব যেমন সন্তানের শরীর একমাত্র حقوق الواجبة (ওয়াজিব অধিকারসমূহ) ব্যতীত পিতার জন্য হালাল নয়, অনুরূপভাবে তাদের মালও কেবল حقوق الواجبة -এর ক্ষেত্রেই তাদের জন্য হালাল, অন্য কোন ক্ষেত্রে হালাল নয়। যদি কেউ বলে, আপনি পিতা সম্পর্কে যা আলােচনা করেছেন, আমরা সে সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে স্পষ্ট হাদীস জানতে চাই । তবে আমি বলব:
6171 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ عَارِفِ بْنِ شَبِيبِ بْنِ عُرْوَةَ أَبُو عُرْوَةَ عَنْ شَبِيبِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَحْوَصِ قَالَ: خَطَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَجَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُرْمَةَ الْأَمْوَالِ كَحُرْمَةِ الْأَبْدَانِ. فَكَمَا لَا يَحِلُّ أَبْدَانُ الْأَبْنَاءِ لِلْآبَاءِ إِلَّا بِالْحُقُوقِ الْوَاجِبَةِ فَكَذَلِكَ لَا يَحِلُّ لَهُمْ أَمْوَالُهُمْ إِلَّا بِالْحُقُوقِ الْوَاجِبَةِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: نُرِيدُ أَنْ يُوجَدَ مَا ذَكَرْتُ فِي الْأَبِ مَنْصُوصًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ:

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৭২
পিতা তার সন্তানের মালের মালিক হতে পারে কি না
৬১৭২। ইউনুস ...... ঈসা ইব্ন হিলাল আস-সাদাফী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ এক ব্যক্তিকে বললেন, ইয়াওমুল আযহা-কে ঈদের দিন করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা এ উম্মতের জন্য এ দিন ঈদে পরিণত করেছেন। তখন এক ব্যক্তি বললাে, বলুন তাে, আমার পুত্রের দেয়া একটি মানীহা (দুধ পানের জন্য দেয়া উষ্ট্রী কিংবা অন্য কোন প্রাণী) ব্যতীত যদি অন্য কোন পশুপাখি না পাই, তবে কি আমি সেটাই কুরবানী করব? তিনি বললেন, না, বরং তুমি তােমার চুল ও নখ কাটবে, তােমার গোঁফ ছােট করবে এবং তােমার নাভীর নীচের পশম মুড়ে ফেলবে। আল্লাহর নিকট এটাই তােমার পূর্ণ কুরবানী।।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, এই ব্যক্তি যখন বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আমার পুত্রের দেয়া মানীহা দ্বারা কুরবানী করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না এবং তাকে তিনি তার নিজের মাল দ্বারা কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে উদ্বদ্ধ করলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, “তার পুত্রের মালের হুকুম তার নিয়ে মালের হুকুমের বিপরীত। এ সমস্ত হাদীস এ অর্থের ওপর প্রয়ােগ করাই আমাদের জন্য উত্তম। কায় কিতাবুল্লাহ এ অর্থই প্রমাণ করে। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন يُوصِيكُمُ اللهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ “আল্লাহ তােমাদের সন্তানদের বেলায় একজন পুরুষের জন্য দু’জন নারী অংশের সমান প্রদান করছেন। তারপর তিনি বলেন وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ “এবং তার পিতামাতার প্রত্যেকের জন্য তার ত্যাজ্য সম্পদের এক-ষষ্ঠাংশ নির্দেশ প্রদান করছেন। এ আয়াতে আলাহ তা'আলা পিতার সাথে এমন লােককেও ওয়ারিস বানিয়েছেন যে পিতা নয়। অতএব এটা অসম্ভব যে, পহেয় জীবিতকালে তাে পিতা তার পূর্ণ সম্পদের মালিক হবে, কিন্তু তার মৃত্যুর পর পিতা ব্যতীত অন্য লােকও তার কিছু সম্পদের মালিক হবে। তারপর আল্লাহপাক ইরশাদ করেন : مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশােধ করার এবং সে যে অসীয়ত করেছে তা তার মালের এক-তৃতীয়াংশ হতে পালন করার পর তার পিতা ও অন্যদের জন্য অবশিষ্ট হলে মীরার ঘােষণা করেছেন। আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, পিতা তার নিজের মাল হতে তার পুত্রের ঋণ পরিশােধ করবেন না, আর তার পিতা তার মাল দ্বারা পুত্রের অসীয়তও পূর্ণ করবেন না। আমরা যা উল্লেখ করেছি এটা তার-ই প্রমাণ বহন করে। মুসলমানদের সকল আলিম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, পুত্র যখন কোন বাদীর মালিক হয়, তখন তার জন্য উক্ত বাদীর সাথে সহবাস করা জায়েয আছে। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ
যদি তার মাল তার পিতার জন্য হয়, তবে তাে পিতার বাদীর সাথে সহবাস করা যেমন পুত্রের জন্য হারাম, অনুরূপভাবে তার উপার্জিত এ বাদীর সাথেও তার জন্য সহবাস করা হারাম হবে। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, পিতা তার পুত্রের মালের মালিক নয়। বস্তুত এ মালের মধ্যে পুত্রেরই মালিকানাধিকার প্রতিষ্ঠিত। আর এটাই হলাে ইমাম অনূে হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব ।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, এই ব্যক্তি যখন বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আমার পুত্রের দেয়া মানীহা দ্বারা কুরবানী করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না এবং তাকে তিনি তার নিজের মাল দ্বারা কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে উদ্বদ্ধ করলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, “তার পুত্রের মালের হুকুম তার নিয়ে মালের হুকুমের বিপরীত। এ সমস্ত হাদীস এ অর্থের ওপর প্রয়ােগ করাই আমাদের জন্য উত্তম। কায় কিতাবুল্লাহ এ অর্থই প্রমাণ করে। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন يُوصِيكُمُ اللهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ “আল্লাহ তােমাদের সন্তানদের বেলায় একজন পুরুষের জন্য দু’জন নারী অংশের সমান প্রদান করছেন। তারপর তিনি বলেন وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ “এবং তার পিতামাতার প্রত্যেকের জন্য তার ত্যাজ্য সম্পদের এক-ষষ্ঠাংশ নির্দেশ প্রদান করছেন। এ আয়াতে আলাহ তা'আলা পিতার সাথে এমন লােককেও ওয়ারিস বানিয়েছেন যে পিতা নয়। অতএব এটা অসম্ভব যে, পহেয় জীবিতকালে তাে পিতা তার পূর্ণ সম্পদের মালিক হবে, কিন্তু তার মৃত্যুর পর পিতা ব্যতীত অন্য লােকও তার কিছু সম্পদের মালিক হবে। তারপর আল্লাহপাক ইরশাদ করেন : مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশােধ করার এবং সে যে অসীয়ত করেছে তা তার মালের এক-তৃতীয়াংশ হতে পালন করার পর তার পিতা ও অন্যদের জন্য অবশিষ্ট হলে মীরার ঘােষণা করেছেন। আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, পিতা তার নিজের মাল হতে তার পুত্রের ঋণ পরিশােধ করবেন না, আর তার পিতা তার মাল দ্বারা পুত্রের অসীয়তও পূর্ণ করবেন না। আমরা যা উল্লেখ করেছি এটা তার-ই প্রমাণ বহন করে। মুসলমানদের সকল আলিম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, পুত্র যখন কোন বাদীর মালিক হয়, তখন তার জন্য উক্ত বাদীর সাথে সহবাস করা জায়েয আছে। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ
যদি তার মাল তার পিতার জন্য হয়, তবে তাে পিতার বাদীর সাথে সহবাস করা যেমন পুত্রের জন্য হারাম, অনুরূপভাবে তার উপার্জিত এ বাদীর সাথেও তার জন্য সহবাস করা হারাম হবে। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, পিতা তার পুত্রের মালের মালিক নয়। বস্তুত এ মালের মধ্যে পুত্রেরই মালিকানাধিকার প্রতিষ্ঠিত। আর এটাই হলাে ইমাম অনূে হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত ও মাযহাব ।
6172 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيِّ عَنْ عِيسَى بْنِ هِلَالٍ الصَّدَفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: «أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدٍ جَعَلَهُ اللهُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ» . فَقَالَ الرَّجُلُ: أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةَ ابْنِي أَفَأُضَحِّي بِهَا. قَالَ: «لَا وَلَكِنَّكَ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ وَأَظْفَارِكَ وَتَقُصُّ شَارِبَكَ وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللهِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا قَالَ هَذَا الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللهِ أُضَحِّي بِمَنِيحَةِ ابْنِي؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا» . وَقَدْ أَمَرَهُ أَنْ يُضَحِّيَ مِنْ مَالِهِ وَحَضَّهُ عَلَيْهِ، دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ حُكْمَ مَالِ ابْنِهِ خِلَافُ مَالِهِ. [ص:160] مَعَ أَنَّ أَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا حَمْلُ هَذِهِ الْآثَارِ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى لِأَنَّ كِتَابَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {يُوصِيكُمُ اللهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ} [النساء: 11] ثُمَّ قَالَ {وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ} [النساء: 11] . فَوَرَّثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ غَيْرَ الْوَلَدِ مَعَ الْوَالِدِ مِنْ مَالِ الِابْنِ فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ الْمَالُ لِلْأَبِ فِي حَيَاةِ الِابْنِ ثُمَّ يَصِيرُ بَعْضُهُ لِغَيْرِ الْأَبِ. قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ} [النساء: 11] فَجَعَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الْمَوَارِيثَ لِلْوَالِدِ وَغَيْرِهِ بَعْدَ قَضَاءِ دَيْنٍ إِنْ كَانَ عَلَى الْمَيِّتِ وَبَعْدَ إِنْفَاذِ وَصَايَاهُ مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْأَبَ لَا يَقْضِي مِنْ مَالِهِ دَيْنَ ابْنِهِ وَلَا يُنَفِّذُ وَصَايَا أَبِيهِ مِنْ مَالِهِ فَفِي ذَلِكَ مَا قَدْ دَلَّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ الِابْنَ إِذَا مَلَكَ مَمْلُوكَةً حَلَّ لَهُ أَنْ يَطَأَهَا وَهِيَ مِمَّنْ أَبَاحَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ وَطْأَهَا بِقَوْلِهِ تَعَالَى {وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ} [المؤمنون: 6] فَلَوْ كَانَ مَالُهُ لِأَبِيهِ إِذًا لَحُرُمَ عَلَيْهِ وَطْءُ مَا كَسَبَ مِنَ الْجَوَارِي كَحُرْمَةِ وَطْءِ جِوَارِي أَبِيهِ عَلَيْهِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى انْتِفَاءِ مِلْكِ الْأَبِ لِمَالِ الِابْنِ وَأَنَّ مِلْكَ الِابْنِ فِيهِ ثَابِتٌ دُونَ أَبِيهِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান