শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৭৪৬
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৪৬। ইউনুস বলেন,..... আতা ইবনে ইয়াসার হযরত আবু রাফ' (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তির নিকট হতে একটা যুবক উট ঋণ গ্রহণ করলেন। অতঃপর সাদকার উট আসলে তিনি হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ)- কে ঐ ব্যক্তির যুবক উটটা পরিশোধ করার জন্য নির্দেশ দিলেন। হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ - এর নিকট ফিরে এসে বললেন, তাঁর উটের চেয়ে চার দাঁত বিশিষ্ট উত্তম ব্যতীত (তার উটের মত) তো পাই নি। তখন তিনি বললেন, তুমি তা-ই তাকে দিয়ে দাও। উত্তম ব্যক্তি সে-ই, যে পরিশোধ করার দিক থেকে উত্তম।
بَابُ اسْتِقْرَاضِ الْحَيَوَانِ
5746 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ أَبِي رَافِعٍ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَسْلَفَ مِنْ رَجُلٍ بَكْرًا فَقَدِمَتْ عَلَيْهِ إِبِلٌ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ , فَأَمَرَ أَبَا رَافِعٍ أَنْ يَقْضِيَ الرَّجُلَ بَكْرَهُ , فَرَجَعَ إِلَيْهِ أَبُو رَافِعٍ فَقَالَ: لَمْ أَجِدْ فِيهَا إِلَّا جَمَلًا خِيَارًا رَبَاعِيًّا فَقَالَ: «أَعْطِهِ إِيَّاهُ , إِنَّ خِيَارَ النَّاسِ , أَحْسَنُهُمْ قَضَاءً»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৪৮
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৪৭-৪৮। হুসাইন ইবন নসর বলেন,..... সালামা ইবন আব্দির রহমান হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ - এর উপর এক ব্যক্তির ঋণ ছিলো। লোকটি তাঁর নিকট তার ঋণ পরিশোধর জন্য দাবী জানালো এবং তার সহিত কঠিন ভাষা ব্যবহার করলো। ফলে সাহাবা-ই কিরাম লোকটির দিকে অগ্রসর হলেন এবং তাকে শাস্তি দিতে ইচ্ছা করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাকে তোমরা ছেড়ে দাও। পাওনাদারের কিছু বলার অধিকার আছে। তার জন্য একটি উট ক্রয় করে আনো এবং তাকে প্রদান করো। তারা এসে বললেন, আমরা তার উট অপেক্ষা উত্তম উট ব্যতীত তো পাই না? তিনি বললেন, তা-ই ক্রয় করে আনো এবং তাকে প্রদান করো। তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে-ই, যে উত্তম রূপে পরিশোধ করে।


হুসাইন বলেন, ..... সালামা তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, তবে তার বর্ণনায় اشتروا এর স্থানে اُطلبوا রয়েছে।
আলোচনাঃ
আবু জাফর বলেন: উলামা-ই কিরামের একটি দল* জীব-জন্তুর ঋণ করা জায়েয আছে বলে মত প্রকাশ করেন। আর এ ব্যাপারে তারা উল্লেখিত এসব হাদীস প্রমান হিসেবে পেশ করেন। অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল** এর বিপরীত মত পোষন করেন। তারা বলেন, জীব-জন্তুর ঋণ গ্রহণ করা জায়েয নয়। তারা বলেন, উল্লেখিত হাদীসের মাধ্যমে যে জীব-জন্তুর ঋণ জায়েয বলে প্রমান পাওয়া যায়, হতে পারে এটা সুদ হারাম হবার পূর্বের ঘটনা। পরবর্তীতে যখন সুদ হারাম করা হয়, তখন এমন সব ঋণও হারাম করা হয় যা দ্বারা কোন উপকার বা ফায়দা হাসিল হয় । আর কেবল এমন সব বস্তুরই ঋণ গ্রহণ করা বৈধ হয় যার মিসল বা সদৃশ পাওয়া যায়। অতএব যার مثل নেই তার ঋণ গ্রহণও জায়েয নেই। সুদ হারাম ঘোষিত হবার পূর্বে জীব-জন্তুর বিনিময়ে জীব-জন্তুর বাকী ক্রয়-বিক্রয় জায়েয ছিলো। তাদের এ মতের দলীল হলোঃ
5747 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ لِرَجُلٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنٌ فَتَقَاضَاهُ فَأَغْلَظَ عَلَيْهِ. فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَمُّوا بِهِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ذَرُوهُ , فَإِنَّ لِصَاحِبِ الْحَقِّ مَقَالًا , اشْتَرُوا لَهُ سِنًّا فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ» , فَقَالُوا: إِنَّا لَا نَجِدُ إِلَّا سِنًّا هُوَ خَيْرٌ مِنْ سِنِّهِ , قَالَ: «فَاشْتَرُوهُ فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ , فَإِنَّ خَيْرَكُمْ , أَوْ مِنْ خَيْرِكُمْ أَحْسَنُكُمْ قَضَاءً» [ص:60]

5748 - حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ سَلَمَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ «اشْتَرُوا لَهُ» وَقَالَ «اطْلُبُوا» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى إِجَازَةِ اسْتِقْرَاضِ الْحَيَوَانِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ اسْتِقْرَاضُ الْحَيَوَانِ. وَقَالُوا: يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ هَذَا , كَانَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الرِّبَا , ثُمَّ حُرِّمَ الرِّبَا بَعْدَ ذَلِكَ , وَحُرِّمَ كُلُّ قَرْضٍ جَرَّ مَنْفَعَةً , وَرُدَّتِ الْأَشْيَاءُ الْمُسْتَقْرَضَةُ إِلَى أَمْثَالِهَا , فَلَمْ يَجُزِ الْقَرْضُ إِلَّا فِيمَا لَهُ مِثْلٌ , وَقَدْ كَانَ أَيْضًا، قَبْلَ نَسْخِ الرِّبَا، يَجُوزُ بَيْعُ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ , نَسِيئَةً. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৪৮
empty
৫৭৪৮।
5748 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৫০
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৪৯। ইবন আবী দাউদ ও নসর ইবন মারযূক নিজ নিজ সনদে বলেন,..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে সেনাবাহিনীর জন্য জরুরি সামানপত্র প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ দিলেন। যানবাহনের উট শেষ হয়েছিল। তখন তিনি নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন সদকার যুবক উট দেবার ওয়াদায় যানবাহনের জন্য ঋণে উট গ্রহন করেন। তখন হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) সাদকার উট আসা পর্যন্ত দু' উটের বিনিময়ে এক উট গ্রহণ করতে লাগলেন। তারপর এ হুকুম মানসুখ ও রহিত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে আরো বর্ণিত হয়েছে।
5749 - أَنَّ ابْنَ أَبِي دَاوُدَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ ح

5750 - وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ مُسْلِمِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ أَبِي سُفْيَانَ , عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يُجَهِّزَ جَيْشًا , فَنَفِدَتِ الْإِبِلُ , فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ فِي قِلَاصِ - جَمْعُ قَلُوصٍ: النَّاقَةُ الشَّابَّةُ - الصَّدَقَةِ , فَجَعَلَ يَأْخُذُ الْبَعِيرَ بِالْبَعِيرَيْنِ إِلَى إِبِلِ الصَّدَقَةِ , ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ
وَرُوِيَ فِيهِ مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৫২
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৫১-৫২। মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন মুহরিয বাগদাদী বলেন, ইকরামা হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী ﷺ একটি প্রাণীর বিনিময়ে একটি প্রাণী বাকী বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।

ফাহদ বলেন, ..... মা'মার তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
5751 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ مُحْرِزٍ الْبَغْدَادِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ نَسِيئَةً

5752 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ، قَالَ: ثنا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَعْمَرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫২
empty
৫৭৫২।
5752 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫৩
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৫৩। ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আস সায়রাফী বলেন, আবু যুবাইর হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রানীর বিনিময়ে প্রাণী একটির বিনিময়ে দু'টি বিক্রয় করায় কোন অসুবিধা মনে করতেন না। তবে বাকী বিক্রয় পছন্দ করতেন না*।
5753 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمُ الصَّيْرَفِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ عَمْرِو بْنِ صَالِحٍ الزُّهْرِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَرَى بَأْسًا بِبَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ , اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ , وَيَكْرَهُهُ نَسِيئَةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫৪
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৫৪। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল ইবন সালেম, আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন খুশাইল ও ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ আছ-ছায়রাফী বলেন, ..... যিয়াদ ইবন জুবাইর হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। নবী ﷺ জীবকে জীবের বিনিময়ে বাকী বিক্রয় করতে নিষেধ করছেন।
5754 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمٍ الصَّائِغُ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيُّ، قَالُوا: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ الطَّاحِيُّ، قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ نَسِيئَةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৫৭
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৫৫-৫৭। ইবন আবী দাউদ বলেন, ..... হাসান হযরত সামুরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী ﷺ হতে অনুরূপ ঘোষণা করেছেন।

ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, ….. সামুরা (রাযিঃ) নবী ﷺ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন খুশাইশ বলেন,..... সামুরা (রাযিঃ) হযরত নবী ﷺ এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবী জাফর (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ জীব-জন্তুর বিনিময়ে জীব-জন্তু বাকী বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন বলে আমরা যে হাদীস বর্ণনা করেছি এ হাদীস তার জন্য নাসিখও কিন্তু প্রথম মত পোষণকারী উলামা-ই কিরাম বলেন, এ হাদীস আমাদের জন্য কোন ক্ষতির কারন নয়। আমরা দেখেছি গমের বিনিময়ে গম বাকী বিক্রয় করা যায় না। অথচ গম ঋণ দেয়া জায়েয আছে। ঠিক অনুরূপভাবে জীব-জন্তু একটা অন্য একটার বিনিময়ে বাকী বিক্রয় করা জায়েয নয়, কিন্তু গ্রহণ করা জায়েয হবে।
প্রথম মত প্রদান করার ব্যাপারে যারা এই মন্তব্য পেশ করেন, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলিল হলো, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রানীকে প্রানীর বিনিময়ে বাকী বিক্রয়ের ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন, সেখানে যেমন এ সম্ভাবনা আছে যে, প্রানীর কোন (প্রানীর অনুরূপ প্রানী) আছে বলে তিনি অবগত নন। এ কারনে তিনি নিষেধ করেছেন। আর প্রথম মত পোষণকারী দল গম বিক্রয় ও এর ঋণ গ্রহণের ব্যাপারে যে বক্তব্য পেশ করেছেন, সে সম্ভাবনাও আছে। যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রানীকে প্রানীর বাকী বিনিময়ে বিক্রয় করতে এ কারনে নিষেধ করে থাকেন যে, তার কোন مثل (অনুরূপ প্রাণী) নেই, তবে দ্বিতীয় মত পোষণকারী দলের মতই সঠিক প্রমাণিত হবে। আর যদি নিষেধাজ্ঞা এ কারনে হয়ে থাকে দুটোই এক শ্রেণীর আর এ কারনে একটি অন্যটার বিনিময়ে বাকী ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নেই। তবে সেক্ষেত্রে প্রথম দলের মতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দলের কোন দলিল প্রমানিত হবেনা।
অতএব আমরা কিয়াস ও সঠিক যুক্তির আশ্রয় গ্রহণ করেছি। আমরা কায়লী বস্তু দেখেছি যা পরস্পরে বাকী বিক্রয় জায়েয নেই। কিন্তু ঋণ হিসেবে লেনদেন করায় কোন ক্ষতি নেই। অনুরূপ ওযনী বস্তুর হুকুমও এ ব্যাপারে অনুরূপ, যেমন কায়লী বস্তুর হুকুম। অবশ্য সোনা চাঁদীর হুকুম এর চেয়ে ভিন্ন।
এছাড়া যে সব বস্তু কাস্তলী বা ওজনী নয়, যেমন কাপড় ও অনুরূপ বস্তু, এসব বস্তুর পারস্পরিক বিনিময় করায়ও কোন ক্ষতি নেই। যদিও একটি অপরটির বিনিময়ে অতিরিক্ত প্রদান করা হোক না কেন। আর এসব বস্তুর পরস্পর বাকী বিক্রয়ের ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, এইসব বস্তুর মধ্যে যা একই শ্রেণীরভুক্ত হবে, তা বাকী বিক্রয় করা ঠিক নয়। আর বিভিন্ন শ্রেণীর হলে তা বাকী বিক্রয়ে কোন ক্ষতি নেই। যারা এ মত পোষণ করেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)*। অন্য একদল ফকীহ বলেন** যে, এ ধরনের বস্তু পরস্পরে নগদ ও বাকী বিক্রয় করায় কোন অসুবিধা নেই। চাই সে বস্তু একই শ্রেণীভুক্ত হোক কিংবা ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর।
প্রাণী ও জীব-জন্তু ব্যতীত অন্য যেসব বস্তু কায়েল করে, ওজন করে কিংবা সংখ্যায় গণনা করে ক্রয়-বিক্রয় করা হয়, এ হলো সে সব বস্তুর হুকুম, যা জীবজন্তু ব্যতীত, কায়েল করে, ওজন করে কিংবা গণনা করে বিক্রয় করা হয়। যেমন আমরা ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। অতএব যে সব বস্তু কায়েল করে কিংবা ওজন করে বিক্রয় করা হয় না, তা এমন বস্তুর বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করায় কোন অসুবিধা নেই, যা তার শ্রেণীভুক্ত নয়। যদিও বিক্রয় দ্রব্য ও বিনিময় দ্রব্য দুটোই কাপড় হয়। অথচ, প্রাণী ও জীব-জন্তু ভিন্ন শ্রেণীর হলেও তা একটার বিনিময়ে অন্যটা বাকী বিক্রয় করা জায়েয নয়। আর এ কারনেই উটের বিনিময়ে গোলাম বিক্রয় করা জায়েয নয়। আর ছাগলের বিনিময়ে ও জায়েয নয়। যদি বিক্রয় দ্রব্য বিনিময় দ্রব্য একই শ্রেণীভুক্ত হবার কারনে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের বাকী ক্রয়-বিক্রয় করা নিষেধ করে থাকতেন তবে এক শ্রেণীভুক্ত না হবার কারনে গাভীর বিনিময়ে উট বাকী বিক্রয় করা জায়েয হত। যেমন, কাতান কাপড় সুতি কাপড়ের বিনিময়ে বাকী বিক্রয় করা জায়েয আছে। আর যে ক্ষেত্রে একই শ্রেণী হোক কিংবা ভিন্ন শ্রেণীর জীব-জন্তু হোক তাদের বাকী ক্রয় বিক্রয় জায়েয নয়, তাতে একথাই প্রমানিত হয় যে, এসবের বাকী বিক্রয় নিষিদ্ধ হবার কারন হলো তার مثل (অনুরূপ প্রাণী) নেই। আর যেহেতু এটা অজ্ঞাত। আর যখন এর পারস্পরিক বাকী বিক্রয় করা এ কারনে বাতিল তা অজ্ঞাত সেক্ষেত্রে এর ঋণ দেয়াও বাতিল হবে, কারণ তা অজ্ঞাত। এটাই হলো এ বিষয়ের য়ুক্তি।
জীব জন্তুর ঋণ প্রদান করা যে জায়েয নয়, বাতিল, এ বিষয়ে আরো যা কিছু প্রমাণ করে তার মধ্যে একটি হলো বাঁদীর ঋণ গ্রহণ করা সকল উলামা-ই কিরামের মতে নাজায়েয। অথচ বাঁদীরও প্রানী। অতএব যুক্তির নিরিখে অন্যান্য সকল প্রানীরও ঋণ গ্রহণ করা অনুরূপ না জায়েয হবে।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, আমরা তো দেখছি যে, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতিপূরনে রাসূলুল্লাহ ﷺ (গোলাম/বাঁদী) দেয়ার হুকুম দিয়েছেন। আর دية এ একশ উটের হুকুম দিয়েছেন। আর কোন অংগহানীর ব্যাপারেও যে ক্ষতি পূরণের হুকুম প্রদান করেছেন, তা উটের মাধ্যমেই করেছেন। আর এগুলো সবই অনির্ধারিতভাবে সাব্যস্ত প্রাণী। তবে অন্যান্য সব প্রানীও অনুরূপ অনির্ধারিতভাবে সাব্যস্ত হতে পারবে না কেন?
তবে এ প্রশ্নকারীকে বলা হবে, দিয়াত ও গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ জন্তু প্রদানের হুকুম দিয়েছেন যেমন আপনি বলছেন এবং প্রাণীর বিনিময়ে আর এক প্রাণীর বাকী বিক্রয় করতে নিষেধ করছেন, যেমন আমরা এ অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি। এতে মালের বিনিময়ে কারো যিম্মায় কোন প্রাণীর ওয়াজিব হওয়া নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়। আর কোন মালের বিনিময় হিসেবে না হলে আরো জিম্মায় কোন প্রাণীর ওয়াজিব হওয়া জায়েয প্রমাণিত হয়।
এগুলো দুটো ভিন্ন নীতি, যা আমরা বিশুদ্ধ নীতি মনে করি এবং এই নীতির উপর যাবতীয় শাখা-প্রশাখা সমূহের ভিত্তি স্থাপন করি। অতএব যে জীবজন্তু কোন মালের বদল হয় তার হুকুম ঐ ঋণের হুকুমের মতই, যার বর্ণনা আমরা পূর্বে প্রদান করেছি। আর যে জীব-জন্তু কোন মালের বদল নয়, আর হুকুম হলো ديت ও غرة এর হুকুমের মত, যার উল্লেখ আমরা এর পূর্বে করেছি। মধ্যম মানের কোন দাস বা দাসীর উপর বিবাহ প্রদান কিংবা খোলা করন এই শ্রেণীতেই অন্তর্ভুক্ত।
আর আমরা যে বর্ণনা প্রদান করেছি তা বিশুদ্ধ হবার দলীল হলো, নবী ﷺ আযাদ ও حرة মহিলার جنين (গর্ভস্থ সন্তান) নষ্ট করার দায়ে একটা غرة (গোলাম/বাদী) প্রদানের ফায়সালা প্রদান করেছেন। অথচ সমস্ত মুসলিমগন এ বিষয় একমত যে, কোন বাঁদীর جنين (গর্ভস্থ সন্তান) এর ক্ষতিপূরণে এটা ওয়াজিব নয়। বরং এতে ওয়াজিব হলো, মতান্তরে কিছু দিরহাম, কিংবা দীনার, কেউ কেউ বলেন, 'জানীন' কন্যা হলে তার মূল্যের এক দশম অংশ হত্যাকারীর উপর ওয়াজিব হবে। আর যদি পুত্র সন্তান হয় তবে তার মূল্যের দশমাংশের অর্ধেক ওয়াজিব হবে। আর যারা এমত পোষণ করেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
অপর পক্ষে অন্যান্য উলামা-ই কিরাম বলেন, 'জানীন' নষ্ট করলে নষ্টকারীর উপর 'জানীন' এর মায়ের মূল্যের দশমাংশের অর্ধেক ওয়াজিব হবে। উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন যে, চতুষ্পদ প্রাণীর কোন 'জানীন' নষ্ট করলে নষ্টকারীর উপর বাচ্চার মায়ের যতটুকু 'মূল্যহানি' হবে-তা-ই ওয়াজিব হবে। অথচ, রাসূলুল্লাহ ﷺ উটের যে দিয়াত (دية) ওয়াজিব করেছেন তা কেবল আযাদ মানুষের ব্যাপারে ওয়াজিব হবে। গোলাম হত্যা করলে তা ওয়াজিব হবে না।
অতএব রাসূলুল্লাহ ﷺ যে ক্ষেত্রে 'কারো জিম্মায়' (অর্থাৎ অনির্ধারিত) কোন প্রাণী সাব্যস্ত করেছেন, তা হলো ঐ প্রাণী, যা কোন মালের বদল না বিনিময় নয়। আর যে প্রাণী কোন মালের বদল বলে বিবেচিত নয়,। আর যে প্রানী কোন মালের বদলবলে বিবেচিত, তা কারো জিম্মায় ওয়াজিব হবার কথা নিষেধ করেছেন। এ দ্বারা একথাই প্রমানিত হয় যে, যে ঋণ কোন মালের বদল, তার মধ্যে 'জিম্মায়' কোন প্রাণী ওয়াজিব হবে না। আর এটাই হলো ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর মত। পূর্ববর্তী একদল*** উলামা হতে বর্ণিত হয়েছেঃ
5755 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

5756 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: ثنا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ [ص:61]

5757 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا مُسْلِمٌ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ هَذَا نَاسِخًا لِمَا رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِجَازَةِ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ نَسِيئَةً فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا اسْتِقْرَاضُ الْحَيَوَانِ. فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: هَذَا لَا يَلْزَمُنَا , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْحِنْطَةَ لَا يُبَاعُ بَعْضُهَا بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , وَقَرْضُهَا جَائِزٌ. فَكَذَلِكَ الْحَيَوَانُ لَا يَجُوزُ بَيْعُ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , وَقَرْضُهُ جَائِزٌ. فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ فِي تَثْبِيتِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ نَهْيَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ نَسِيئَةً , يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ لِعَدَمِ الْوُقُوفِ مِنْهُ عَلَى الْمِثْلِ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مِنْ قَبْلِ مَا قَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي الْحِنْطَةِ فِي الْبَيْعِ وَالْقَرْضِ. فَإِنْ كَانَ إِنَّمَا نَهَى عَنْ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ عَدَمِ وُجُودِ الْمِثْلِ , ثَبَتَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ , وَإِنْ كَانَ مِنْ قِبَلِ أَنَّهُمَا نَوْعٌ وَاحِدٌ لَا يَجُوزُ بَيْعُ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ حُجَّةٌ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الْأَشْيَاءَ الْمَكِيلَاتِ , لَا يَجُوزُ بَيْعُ بَعْضِهَا بِبَعْضٍ نَسِيئَةً وَلَا بَأْسَ بِقَرْضِهَا. وَرَأَيْنَا الْمَوْزُونَاتِ حُكْمُهَا فِي ذَلِكَ كَحُكْمِ الْمَكِيلَاتِ سَوَاءٌ , خَلَا الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ. وَرَأَيْنَا مَا كَانَ مِنْ غَيْرِ الْمَكِيلَاتِ وَالْمَوْزُونَاتِ , مِثْلَ الثِّيَابِ ; وَمَا أَشْبَهَهَا , فَلَا بَأْسَ بِبَيْعِ بَعْضِهَا بِبَعْضٍ , وَإِنْ كَانَتْ مُتَفَاضِلَةً , وَبِيعَ بَعْضُهَا بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , فِيهِ اخْتِلَافٌ بَيْنَ النَّاسِ. فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: مَا كَانَ مِنْهَا مِنْ نَوْعٍ وَاحِدٍ , فَلَا يَصْلُحُ بَيْعُ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً. وَمَا كَانَ مِنْهَا مِنْ نَوْعَيْنِ مُخْتَلِفَيْنِ ; فَلَا بَأْسَ بِبَيْعِ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً. وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ. وَمُحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: لَا بَأْسَ بِبَيْعِ بَعْضِهَا بِبَعْضٍ , يَدًا بِيَدٍ وَنَسِيئَةً , وَسَوَاءٌ عِنْدَهُ كَانَتْ مِنْ نَوْعٍ وَاحِدٍ أَوْ مِنْ نَوْعَيْنِ. [ص:62] فَهَذِهِ أَحْكَامُ الْأَشْيَاءِ الْمَكِيلَاتِ وَالْمَوْزُونَاتِ وَالْمَعْدُودَاتِ , غَيْرِ الْحَيَوَانِ , عَلَى مَا نَشَرْنَا. فَكَانَ غَيْرُ الْمَكِيلِ وَالْمَوْزُونِ , لَا بَأْسَ بِبَيْعِهِ , بِمَا هُوَ مِنْ خِلَافِ نَوْعِهِ , نَسِيئَةً , وَإِنْ كَانَ الْمَبِيعُ وَالْمُبْتَاعُ بِهِ ثِيَابًا كُلَّهَا , وَكَانَ الْحَيَوَانُ لَا يَجُوزُ بَيْعُ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , وَإِنِ اخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهُ , لَا يَجُوزُ بَيْعُ عَبْدٍ بِبَعِيرٍ , وَلَا بِبَقَرَةٍ وَلَا بِشَاةٍ , نَسِيئَةً. وَلَوْ كَانَ النَّهْيُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ نَسِيئَةً , إِنَّمَا كَانَ لِاتِّفَاقِ النَّوْعَيْنِ , لَجَازَ بَيْعُ الْعَبْدِ بِالْبَقَرَةِ نَسِيئَةً , لِأَنَّهَا مِنْ غَيْرِ نَوْعِهِ , كَمَا جَازَ بَيْعُ الثَّوْبِ الْكَتَّانِ , بِالثَّوْبِ الْقُطْنِ الْمَوْصُوفِ , نَسِيئَةً. فَلَمَّا بَطَلَ ذَلِكَ فِي نَوْعِهِ , وَفِي غَيْرِ نَوْعِهِ ثَبَتَ أَنَّ النَّهْيَ فِي ذَلِكَ , إِنَّمَا كَانَ لِعَدَمِ وُجُودِ مِثْلِهِ , وَلِأَنَّهُ غَيْرُ مَوْقُوفٍ عَلَيْهِ. وَإِذَا كَانَ إِنَّمَا بَطَلَ بَيْعُ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , لِأَنَّهُ غَيْرُ مَوْقُوفٍ عَلَيْهِ , بَطَلَ قَرْضُهُ أَيْضًا لِأَنَّهُ غَيْرُ مَوْقُوفٍ عَلَيْهِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا , مَا قَدْ أَجْمَعُوا عَلَيْهِ فِي اسْتِقْرَاضِ الْإِمَاءِ , أَنَّهُ لَا يَجُوزُ , رَهْنُ حَيَوَانٍ. فَاسْتِقْرَاضُ سَائِرِ الْحَيَوَانِ فِي النَّظَرِ أَيْضًا , كَذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّا رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَكَمَ فِي الْجَنِينِ بِغُرَّةِ عَبْدٍ , أَوْ أَمَةٍ وَحَكَمَ فِي الدِّيَةِ بِمِائَةٍ مِنَ الْإِبِلِ , وَفِي أُرُوشِ الْأَعْضَاءِ , بِمَا قَدْ حَكَمَ بِهِ , مِمَّا قَدْ جَعَلَهُ فِي الْإِبِلِ , وَكَانَ ذَلِكَ حَيَوَانًا كُلَّهُ يَجِبُ فِي الذِّمَّةِ فَلِمَ لَا كَانَ كُلُّ الْحَيَوَانِ أَيْضًا كَذَلِكَ؟ . قِيلَ لَهُ: قَدْ حَكَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الدِّيَةِ وَالْجَنِينِ بِمَا ذَكَرْتَ مِنَ الْحَيَوَانِ , وَمَنَعَ مِنْ بَيْعِ الْحَيَوَانِ بِالْحَيَوَانِ بَعْضِهِ بِبَعْضٍ نَسِيئَةً , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا وَشَرَحْنَا فِي هَذَا الْبَابِ. فَثَبَتَ النَّهْيُ فِي وُجُوبِ الْحَيَوَانِ فِي الذِّمَّةِ بِأَمْوَالٍ , وَأُبِيحَ وُجُوبُ الْحَيَوَانِ فِي الذِّمَّةِ بِغَيْرِ أَمْوَالٍ. فَهَذَانِ أَصْلَانِ مُخْتَلِفَانِ نُصَحِّحُهُمَا , وَنَرُدُّ إِلَيْهِمَا سَائِرَ الْفُرُوعِ. فَنَجْعَلُ مَا كَانَ بَدَلًا مِنْ مَالٍ , حُكْمَهُ حُكْمَ الْقَرْضِ الَّذِي وَصَفْنَا , وَمَا كَانَ بَدَلًا مِنْ غَيْرِ مَالٍ , فَحُكْمُهُ حُكْمُ الدِّيَاتِ. وَالْغُرَّةُ الَّتِي ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ , التَّزْوِيجِ عَلَى أَمَةٍ وَسَطٍ , أَوْ عَلَى عَبْدٍ وَسَطٍ , وَالْخُلْعَ , عَلَى أَمَةٍ وَسَطٍ , أَوْ عَلَى عَبْدٍ وَسَطٍ. وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ مَا وَصَفْنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ فِي جَنِينِ الْحُرَّةِ , غُرَّةً عَبْدًا , أَوْ أَمَةً. وَأَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ ذَلِكَ لَا يَجِبُ فِي جَنِينِ الْأَمَةِ , وَأَنَّ الْوَاجِبَ فِيهِ دَرَاهِمُ أَوْ دَنَانِيرُ , عَلَى مَا اخْتَلَفُوا. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: عُشْرُ قِيمَةِ الْجَنِينِ , إِنْ كَانَ أُنْثَى , وَنِصْفُ عُشْرِ قِيمَتِهِ , إِنْ كَانَ ذَكَرًا. [ص:63] وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَالَ آخَرُونَ: نِصْفُ عُشْرِ قِيمَةِ أُمِّ الْجَنِينِ , وَأَجْمَعُوا فِي جَنِينِ الْبَهَائِمِ أَنَّ فِيهِ مَا نَقَصَ أُمُّ الْجَنِينِ. وَكَانَتِ الدِّيَاتُ الْوَاجِبَةُ مِنَ الْإِبِلِ , عَلَى مَا أَوْجَبَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجِبُ فِي أَنْفُسِ الْأَحْرَارِ , وَلَا يَجِبُ فِي أَنْفُسِ الْعَبِيدِ. فَكَانَ مَا حَكَمَ فِيهِ بِالْحَيَوَانِ الْمَجْعُولِ فِي الذِّمَمِ , هُوَ مَا لَيْسَ بِبَدَلٍ مِنْ مَالٍ , وَمَنَعَ مِنْ ذَلِكَ فِي الْأَبْدَالِ مِنَ الْأَمْوَالِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْقَرْضَ الَّذِي هُوَ بَدَلٌ مِنْ مَالٍ , لَا يَجِبُ فِيهِ حَيَوَانٌ فِي الذِّمَمِ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ نَفَرٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫৭
empty
৫৭৫৭।
5757 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫৮
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৫৮। সুলাইমান ইবন শুআাইব কায়সায়ী বলেন, তারেক ইবন শিহাব বলেন, একবার যায়দ ইবন খুলায়দা, ইতরীম ইবন উরকূব এর সহিত কিছু যুবক উটের ব্যাপারে بيع سلف করলেন, প্রতিটি উট পঞ্চাশ দিরহামের বিনিময়ে। যখন উট পরিশোধ করার নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হলো তখন তিনি তার নিকট তা নেয়ার জন্য আগমন করলেন। উট দিতে অক্ষম হবার কারনে তিনি হযরত ইবন মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট কিছু অতিরিক্ত সময় নেবার জন্য আবেদন করলেন। কিন্তু তিনি তাকে এর থেকে নিষেধ করলেন এবং তাকে তার মূলধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিলেন*।
5758 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ الْكَيْسَانِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَسْلَمَ زَيْدُ بْنُ خُلَيْدَةَ إِلَى عِتْرِيسِ بْنِ عُرْقُوبٍ فِي قَلَائِصَ , كُلُّ قَلُوصٍ بِخَمْسِينَ , فَلَمَّا حَلَّ الْأَجَلُ جَاءَ يَتَقَاضَاهُ , فَأَتَى ابْنَ مَسْعُودٍ يَسْتَنْظِرُهُ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ , وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ رَأْسَ مَالِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৫৯
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৫৯। আবু বিশর রুকী বলেন,..... ইবরাহীম ইবন মাসউদ (রাযিঃ)* হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, بيع سلف নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জীবজন্তু ব্যতীত সব জিনিসের মধ্যে হতে ওারে, এতে কোন অসুবিধা নেই।
5759 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: السَّلَفُ فِي كُلِّ شَيْءٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى , لَا بَأْسَ بِهِ , مَا خَلَا الْحَيَوَانِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৬০
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৬০। মুবাশশির ইবনুল হাসান বলেন,..... সাঈদ ইবন জুবাইর (রাযিঃ) বলেন, হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) জীবজন্তুর মধ্যে بيع سلف পছন্দ করতেন না।
5760 - حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: كَانَ حُذَيْفَةُ يَكْرَهُ السَّلَمَ فِي الْحَيَوَانِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭৬১
১৩. জীব-জন্তু ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গ
৫৭৬১। নসর ইবন মারযূক বলেন,..... একবার আবু নসর হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) এর নিকট….. এর মধ্যে بيع سلف সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, এতে কোন ক্ষতি নেই। আমি বললাম, আমাদের আমীরগন যে এর থেকে আমাদেরকে নিষেধ করেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের আমীরদের আনুগত্য করো। আর আমাদের আমীর ছিলেন তখন আব্দুর রহমান ইবন সামুরা ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীগন।
5761 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنِ السَّلَفِ، فِي الْوُصَفَاءِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِهِ. قُلْتُ: فَإِنَّ أُمَرَاءَنَا يَنْهَوْنَنَا عَنْ ذَلِكَ , قَالَ: فَأَطِيعُوا أُمَرَاءَكُمْ , وَأُمَرَاؤُنَا يَوْمَئِذٍ , عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ , وَأَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান