শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৩৭
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৩৪-৩৭। ইবরাহীম ইবন মারযূক.... ইবরাহীম আবু বাকরা, ও নসর ইবন মারযূক নিজ নিজ সূত্রে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, কোন ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে ক্রয়-বিক্রয় ‘সম্পূর্ণ’ হবে না, যাবত না তারা পৃথক হবে। কিন্তু(পৃথখ হলেও সম্পূর্ণ হবেনা) যদি খিয়ারে শর্ত থাকে।
بَابٌ خِيَارُ الْبَيِّعَيْنِ حَتَّى يَتَفَرَّقَا
37- 5534 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، ح
وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، ح
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، ح
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالُوا جَمِيعًا , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «كُلُّ بَيِّعَيْنِ فَلَا بَيْعَ بَيْنَهُمَا , حَتَّى يَتَفَرَّقَا , أَوْ يَكُونَ بَيْعَ خِيَارٍ»
وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، ح
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، ح
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالُوا جَمِيعًا , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «كُلُّ بَيِّعَيْنِ فَلَا بَيْعَ بَيْنَهُمَا , حَتَّى يَتَفَرَّقَا , أَوْ يَكُونَ بَيْعَ خِيَارٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩৫
empty
৫৫৩৫।
5535 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩৬
empty
৫৫৩৬।
5536 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩৭
empty
৫৫৩৭।
5537 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩৮
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৩৮। ইবন মারযূক বলেন, আরিম.......... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূরলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ক্রেতা ও বিক্রেতা ইখতিয়ারের অধিকারী হবে, যাবত না তারা পৃথক হবে। অথবা তাদের একজন তার সাথীকে বলবে, তুমি (এখনই সিদ্ধান্ত) গ্রহন কর। আবার কখনও তিনি বলেছেন, কিন্তু যদি খিয়ারে শর্ত থাকে (তবে ক্রয-বিক্রয় সংঘটিত হবে না।)
5538 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَارِمٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: ثنا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ , مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا قَالَ: أَوْ يَقُولُ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: اخْتَرْ وَرُبَّمَا قَالَ أَوْ يَكُونُ بَيْعَ خِيَارٍ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩৯
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৩৯। আবু বিশর আরুরুক্বী, বলেন, ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশদ করেন, সকল ক্রেতা-বিক্রেতা ইখতিয়ারের অধিকারী হবে, যাবত না তারা পৃথক হবে । কিন্তু যদি খিয়ারে শর্ত خيار شرط থাকে, (তবে পৃথক হলেও তার ইখতিয়ার থাকবে।)
5539 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ بَيِّعَيْنِ بِالْخِيَارِ , مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا , أَوْ يَكُونُ بَيْعَ خِيَارٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪০
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪০। ইবন মারযূক বলেন, ওয়াহব... হাকীম ইবন হিযাম নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ইখতিয়ারের অধিকারী থাকবে, যতক্ষন না তারা পৃথক হবে।অথবা তিনি বলেছেন, যাবত না তারা পৃথক হবে । অতঃপর যদি তারা সত্য বলে এবং দোষ-গুন বর্ণনা করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রযে বরকত দান করা হবে। আর যদি তারা মিথ্যা বলেও গোপন করে , তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত বিলোপ করা হবে।
5540 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ حَتَّى يَتَفَرَّقَا أَوْ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا , فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا , بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا , وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا , مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৪১
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪১। সালিহ ইবন আব্দির রহমান বলেন ......... আবু বারযাহ হতে বর্ণনা করেন। একবার তারা এমন ব্যক্তি সম্পর্কে তার নিকট মামলাপেশ করেন, যে ব্যক্তি তার একটি বান্দী বিক্রি করে অতঃপর বিক্রেতা তার সহিত একত্রে রাত যাপন করে। যখন ভোর হলো তখন সে (ক্রেতা) বললো, আমি উক্ত দাসকে ক্রয় করতে রাজী নই। তখন আবু বারযাহ বললেন, নবী(সা.) ইরশাদ করেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা ইখতিয়ারের অধিকারী যাবত না তারা পৃথক হবে। আর তারা দুজন পরস্পরে একই তাবুর মধ্যে ছিল।
5541 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ , عَنْ أَبِي الْوَضِيءِ , عَنْ أَبِي بَرْزَةَ , أَنَّهُمُ اخْتَصَمُوا إِلَيْهِ فِي رَجُلٍ بَاعَ جَارِيَةً , فَنَامَ مَعَهَا الْبَائِعُ , فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ لَا أَرْضَاهَا. فَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا , وَكَانَا فِي خِبَاءِ شَعْرٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪২
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪২। ইবরাতীম ইবন মারয়ূক বলেন, ........ আবুল ওয়াযী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন। একবার আমরা এক মানযিলে অবস্থান করেছিলাম, তখন আমাদের এক সাথী এক ব্যক্তির নিকট একটি ঘোড়া বিক্রয় করল,আমরা আমাদের ঐ মানযিলে এক দিন ও এক রাত অবস্থান করি। যখন ভোর হলো, তখন লোকটি তার ঘোড়ায় যীন বাধতে লাগর। তার সাথী তাকে বললো, তুমি না আমার নিকট ঘোড়াটি বিক্রি করেছ? তাদের বিবাদ মীমাংসার জন্য তারা আবু বারযা (রাযিঃ)-এর নিকট গের। তিনি বলরেন, তোমরা ইচ্ছা করলে আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর ফায়সালা মুতাবিক তোমাদের মাঝে মীমাংসা করে দিব। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ক্রেতা-বিক্রেতা দুজেইন ইখতিয়ারের অধিকারী, যাবত না তারা পৃথক হবে।আর আমি মনে করি তোমরা দুজন পৃথক হওনি।
5542 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْوَضِيءِ، قَالَ: نَزَلْنَا مَنْزِلًا , فَبَاعَ صَاحِبٌ لَنَا مِنْ رَجُلٍ فَرَسًا , فَأَقَمْنَا فِي مَنْزِلِنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا. فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ , قَامَ الرَّجُلُ يُسْرِجُ فَرَسَهُ , فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: إِنَّكَ قَدْ بِعْتَنِي فَاخْتَصَمَا إِلَى أَبِي بَرْزَةَ. فَقَالَ: إِنْ شِئْتُمَا , قَضَيْتُ بَيْنَكُمَا بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا» وَمَا أَرَاكُمَا تَفَرَّقْتُمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৪৪
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪৩-৪৪। আবু বাকরা বলেন, ..... হাকীম ইব্ন হিযাম (রাযিঃ) হতে বর্নিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা ইখতিয়ারের অধিকারী থাকবে, এমন কি তারা পৃথক হয়ে যাবে। অথবা তিনি বলেন, যাবতনা তারা পৃথক হয়ে যাবে।যদি তারা সত্য বলে এবং দোষগুন স্পষ্ট প্রকাশ করে, তবে তো তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দান করা হবে। আর মিথ্যা বললে ও গোপন করলে অতি সত্বর তাদের মাঝে বিচ্ছেদ আবর্তিত হতে থাকবে এবং তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত বিলুপ্ত করা হবে।হাম্মাম বলেন, আমি আবুত-তাইয়্যাহকে এ হাদীস আব্দল্লাহ্ ইব্ন হারিস ও হাকীম ইব্ন হিযামের মাধ্যমে রবী (সা.) হতে অনুরুপ বলতে শুনেছি।
5543 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ حَتَّى يَتَفَرَّقَا أَوْ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا , بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا , فَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا , فَعَسَى أَنْ يَدُورَ بَيْنَهُمَا فَصْلٌ , وَتُمْحَقَ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا» .
5544 - قَالَ هَمَّامٌ: فَسَمِعْتُ أَبَا التَّيَّاحِ يَقُولُ: سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ هَذَا
5544 - قَالَ هَمَّامٌ: فَسَمِعْتُ أَبَا التَّيَّاحِ يَقُولُ: سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৪৪
empty
৫৫৪৪।
5544 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪৫
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪৫। মুহাম্মাদ ইব্ন বাহর ইবন মাতর বলেন,.... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)হতে বর্নিত। তিনি নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ইখতিয়ারের অধিকারী থাকাবে, যাবত না তারা পৃথক হবে।কিন্ত যদি খিয়ারে শর্ত থাকে (তবে পৃথক হলও ইখতিয়ার থাকবে, ক্রয় – বিক্রয় সম্পন্ন হবেনা।)
5545 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَحْرِ بْنِ مَطَرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو النَّضْرِ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي كَثِيرٍ الْغُبَرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا , أَوْ يَكُونُ بَيْعَ خِيَارٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪৬
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪৬। ইব্র্রাহীম ইব্ন মারযূক বলেন,.... সামুরা ইব্ন জুন্দুব (রাযিঃ) হতে বর্নিত, নবী(সা.) ইরশাদ করেন, ক্রতা- বিক্রেতা উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে যাবত না তারা পৃথক হবে এবং যাতে তারা রাজী তা গ্রহন করবে।
বিশ্লেষন
আবু জা‘ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বানী البيعان بالخيار ما لم يتفرقا এর ব্যাখ্যা প্রসংগে উলামাই কিরামের মতপার্থক্য হয়েছে।একদল উলামা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এ বাণীর মধ্যে ক্রেতা – বিক্রেতার যে পৃথক হবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার অর্থ ক্রয়-বিক্রিয়ের মৌখিক চুক্তি হতে পৃথক হওয়া।অতএব বিক্রেতা যখন বললো, “আমি তোমার নিকটে এ মাল বিক্রি করলাম।” আর ক্রেতাও বললো “এ মাল আমি তোমার নিকট হতে গ্রহন করলাম ।” এতেই চুক্তি করার পর পৃথক হওয়া সাব্যস্ত হলো এবং তাদের ইখতিয়ার শেষ হয়ে গেল । তারা বলেন, তাদের ইখতিয়ার অর্থ হরো বিক্রেতা ক্রেতাকে যে বলেছিল, আমি তোমার নিকট এ গোলামটি এক হাজার দিরহামে বিক্র করেছি, ক্রেতার তা গ্রহণ করার পূর্বেই তা বাতিল করা। কিন্তু ক্রেতা যদি তার বাতিল কররা পূর্বেই গ্রহন করে তবে তারা চুক্তি সম্পন্ন করে পৃথক হলো এবং তাদের ইখতিয়ার বাতিল হয়ে গেল। তারা বলেন,تفرق এর এই যে অর্থ তারা গ্রহন করেছেন, (অর্থাৎ মৌখিক ভাবে পৃথক হওয়া) আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে তালাক এর আলোচনায় تفرق এর ঠিক এই অর্থই উদ্দেশ্য করেছেন। ইরশাদ হয়েছে وإن يتفرقا يغن الله كلا من سعته অর্থাৎ তারা (স্বামী-স্ত্রী) যদি পৃথক হয়ে তবে আল্লাহ তাআলা তার প্রাচুর্যের মাধ্যমে উভয়কে বে-নির্যায করে দিবেন। স্বাম যখন স্ত্রীকে বরলো, আমি তোমাকে এত এত এর বিনিমযে তালাক দিলাম, তখন স্ত্রী বরলো, আমি গ্রহণ করলাম এতে তালাক বাযেন হয়ে গেল। এবং স্বামী স্ত্রীকে একে অন্যের থেকে পৃথক হয়ে গেল যদিও তারা দৈহিক দিক থেকে একই স্থানে অবস্থান করুক না কেন। ঠিক অনুরুপভাবে যদি কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে বলে , আমি তোমার নিকট আমার এই গোলামটি এক হাজার দিরহামে বিক্রি করলাম অতঃপর ক্রেতা বললো, আমি কবুল করলাম, তবে এতেই তারা বেচা-কেনার চুক্তি হতে পৃথক হযেগেল। যদিও তারা দৈহিক দিক থেকে পৃথক হয়ে স্থান ত্যাগ না করে। যারা এ মন্তব্য করেছেন এবং تفرق এর এ ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন, মুহাম্মাদ ইন হাসান(রাহঃ)।
‘ইসা ইব্ন্ আবান’ বলেন, যে فرقة(পৃথক হওয়া) এ সবে রিওয়ায়াতে উল্লেখিত খিয়ারকে ছিন্ন করে দেয় তা হলো স্থান ত্যাগের মাধ্যমে শারীরিকভাবে পৃথক হওয়া। অতএব যখন কেউ কাউকে বলে, “আমার এই গোলামটি তোমার নিকট এক হাজার দিরহামে বিক্র করলাম”, তখন একথা দ্বারা যাকে সম্বোধন করা হলো, তার ইখতিয়ার থাকবে যে, অর্থাৎ যতক্ষণ সে তার সাথী খেকে শারীরিকভাবে পৃথক না হবে, ততক্ষণ সে তার প্রাস্তাব গ্রহন করতে পারবে। কিন্তু উভয়ে পৃথক হয়ে যাওয়ার পর উক্ত প্রস্তাব গ্রহন করার ইখতিয়ার থাকবেনা।তারা বলেন, যদি আমরা এ হাদীস না পেতাম তাহলে আমরা জানতে পারতাম না যে, প্রতিপক্ষ তাকে সম্বোধ করে যে বিক্রয় প্রস্তাব করেছে, সম্বোধিত ব্যক্তির ঐ প্রস্তাবকে গ্রহন করার অধিকার কোন্ জিনিস কর্তন করে দেয় কিন্ত এই হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, ক্রয়-বিক্রয়ের প্রস্তাব দেযার পর তাদের শারীরকিভাবে পৃথক হয়ে যা্ওয়াটাই ঐ প্রস্তাব বা সম্বোধন কবুল করার অধিকার কর্তন করে দেয়। تفرق এর এ ব্যাখ্যা ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। ঈসা বলেন, এ হাদীসের যে সব ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে তার মধ্যে এটাই সর্বোওম ব্যাখ্যা। কারণ, আমরা فرقة (বা পৃথক হওয়ার) এর একটি সর্বসম্মত অর্থ পেয়েছি ‘ছারফ বিক্রয়’ –এর ক্ষে্ত্রে فرقة দ্বারা পূর্ববর্তী আক্দ’ অনিবার্যভাবে ফাসিদ হয়ে যায়।তা দ্বারা আকদ –এর সম্পন্নতা অনিবার্য হয়না। তো ক্রেতা ও বিক্রেতাকে প্রদত্ত ইভতিয়ারের ক্ষেত্রে যে فرقة শব্দটি হাদীসে এসেছে, সেটাকে যদি আমরা আমাদের কথিত শারীরিক প্রথক হওয়ার অর্থে গ্রহণ করি তাহলেই শুধু তা দ্বারা প্রস্তাবকারীর পূর্ববর্তী চুক্তি প্রস্তাব ফাসিদ হয়; পক্ষান্তরে যদি আমরা فرقة কে ঐ লোকদের কথিত অর্থে গ্রহন করি, যা فرقة الا بدان (শারীরিক ভাবে পৃথক হওয়া) কে বিক্রয় সম্পন্ন হওয়ার কারণ বরেছেন তাহলে সেটা সারফ বিক্রযের ক্ষেত্রে উল্লেখকৃত فرقة -এর সর্বসম্মত অর্থের বিপরীত হবে।তখন فرقة এর সর্বসম্মত মূল অর্থটি বিদ্যমান থাকবে না। কারণ فرقة–এর যে সর্বসম্মত অর্থ তা দ্বারা তার পুর্ববর্তী অকদ সম্পর্ণ না হওয়ার অবস্থায় তা ফাসিদ হযে যায়। অতএব আমাদের জন্য উত্তম হলো এই বিতর্কিত فرقة কে সর্বসম্মত فرقة এর ন্যায় করা। ফলে তাদ্বারা পুর্ববর্তী অসম্পূর্ণ আকদ (বা চুক্তি প্রস্তাব)ফাসিদ হওয়া অনিবার্য হবে । অতএব আমরা যা উল্লেখ করেছি তাই সাব্যস্ত হলো। অন্য একদল উলামায়ে কিরাম বলেন, আলোচ্য এ হাদীসের فرقة (পৃথক হওয়া) দ্বারা শারীরিকভাবে স্থান ত্যাগ করা উদ্দেশ্য। তারা একথা এভাবে প্রমাণ করেন যে, হাদীসের মধ্যেمتبائعان (ক্রেতা-বিক্রেতা)শব্দটি (নিঃশর্ত)রূপে ব্যবহৃত হয়েছে, আর متبائعان কথাটি বলাই হবে তখন, যখন তাদের পরস্পরে ايجاب ও قبول সম্পন্ন হবে। এর পূর্বে তাদরেকে বলা হয় متساومان (ক্রয়-বিক্রয়ে আলেচনাকারী) بائع (ক্রেতা)এ নামটি ধারণই করবে عقد সম্পন্ন হবার পর। অতএব তার জন্য ইখতিয়ারও সাব্যস্ত হবে আকদ সম্পন্ন হওয়ার পর (শারীরিকভাবে পৃথখ হওয়ার পূর্বে)।
তারা তাদের এ মতের পক্ষে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্নিত এ হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেন।আর তাহলো তিনি যখন কোন ব্যক্তির সহিত ক্রয়-বিক্রয় করতেন এবং اقاله (চুক্তি প্রত্যাহার) না করার ইচ্ছা হত, তখন তিনি স্থান ত্যাগ করে কিছুক্ষণ হাটতেন, অতঃপর পুনরায় ফিরে আসতেন । তারা বলেন হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) নিজেই রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট হতে البيعان بالخيار ما لم يتفرقا এ হাদীস শুনেছেন । আর তার মতে تفرق এর অর্থ শারীরিকভাবে স্থান ত্যাগ করা । আর এর মাধ্যমেই ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়। এ দারা বুঝা যায় যে নবী সা. এর উদ্দেশ্যও এটাই। তারা হযরত আবু বারযা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন, যা আমরা এ অধ্যায়ের শুরুতে উল্লেখ করেছি। এবংতার নিকট যে দু ব্যক্তি মামলা পেশ করেছিল, তাদেরকে তিনি যে কথা বরেছিলেন, তা দ্বারাও দলীল পেশকরেন।তিনি তাদেরকে বলেছিলেন ,ما اراكما تفرقتما আমি তো মনে করিনা যে, তোমরা পৃথক হয়েছ।তার একথায় বুঝা যায় যে,تفرق দ্বারা তার মতে সশরীরে স্থান ত্যাগ করা উদ্দেশ্য আর ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হতে এ পৃথক হবার পূর্বে তার মতে ক্রয়-বিক্রয় পূর্ণ হয়নি।
যারা এই মত অবলম্বন করেন, তাদরে বিপরীত পূর্বে উল্লেখিত দুটি মত অবলম্বন কারী উলাময়ে কিরামের বক্তব্য হলো, এই শেষ মত অবলম্বনকারী উলামা গন যে বলেন, যাবত না তারাপ আকদ সম্পন্ন করবে তারা متبائعان (ক্রেতা-বিক্রেতা) হবেনা । বরং আকদ সম্পন্ন হবার পূর্বে তারা হলেন متساومان (ক্রয় বিক্রয়ের আলোচনাকারী) তারা متبائعان নয়। বস্তুতঃ এটা আরবী ভাষায় প্রশস্ততা সম্পর্কে তাদরে অজ্ঞতার ফসল। কারণ, তাদেরকে ক্রয়-বিক্রয়ের নিকটবর্তী হলেও متبائعان (ক্রেতা -বিক্রেতা) নামকরণ করা যেতে পারে। যদিও তারা তখন পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয়ের আকদ সম্পন্ন না করে তাকে। হযরত ইসহাক অথবা ইসমাঈল (আ) কে ذبيح (যবাহকৃত)নামকরণ করা হয়েছিল, কারণ তাকে যবাহ করার নিকটবর্তী করা হয়েছিল। যদিও তাকে যবাহ করা হয়নি। অনুরূপভাবে যে দু-ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করে তারা আকদ সম্পন্ন না করে থাকলেও যখন তারা ক্রয় বিক্রয়ের নিকটবর্তী হয়েছে তখন তাদেরকে متبائعان (ক্রেতা-বিক্রেতা)বলা যায়। যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন لا يسوم الرجل على سوم أخيه ও لا يبيع الرجل على بيع أخيه অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যেন তার ভায়ের ক্রয় বিক্রয়ের ওপর ক্রয় বিক্রয় না করে। এখানে দুটো হাদীসের অর্থই এক ও অভিন্ন্ (অথচ এক হাদীসেতে يسوم বা দরকরা ও অন্য হাদীসে يبيع বা বিক্রয় শব্দ ব্রবহার করা হয়েছে।) আর যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) এ হাদীসে مساوم (বিক্রয়ের আলোচনাকারী) কে ক্রয় বিক্রয়ের নিকটবর্তী হয়েছে দেখেছেন তখন তাকে متبائعان (ক্রেতা)না্মকরণ করেছেন। যদিও সে ক্রয়ের আকদ করেনি। সে ক্ষেত্রে এখানেও এ সম্ভাবনা রয়েছে যে তিনি (ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনাকরী দুব্যক্তিকে) متبائعان (ক্রতা-বিক্রেতা)নামকরণ করেছেন।কারণ তারা ক্রয়-বিক্রয়ের নিকটবর্তী হয়েছে। যদিও তারা আকদ করেনি। বস্তুত এটা হচ্ছে দুই হাদীসের বিশুদ্ধ معارضة (মুখোমুখিকরণ)
তারা হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ)এর কর্ম ও আচরণ দ্বারা যে فرقة (পৃথক হওয়া) দ্বারা নবী(সা.) এর উদ্দেশ্য কি, সে বিষয়ে দলীল পেশ করেছেন, সে বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হলো, হযরত ইবন উমার(রাযিঃ) আচরণ দ্বারা যেমন তারা বলেছেন, তার যেমন সম্ভাবনা আছে, অনুরূপভাবে অন্য সম্ভাবনাও আছে। কারণ হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) যে فرقة (পৃথক হওয়া) এর কথা নবী (সা.) হতে শুনেছেন, সম্ভাবত তার সঠিক অর্থ যে কি, তা তার নিকট অস্পষ্ট রয়েছে। অতএ তার মতে ঐ فرقة بالابدان (শারীরিকভাবে স্থান ত্যাগ করা) যেমন হওয়ার সম্ভবনা আছে, যা এই শেষ মত অবলম্বনকারীগণ বলেন, আর ঐ, فرقة بالابدان ও হতে পারে যে فرقة بالابدان অবলম্বনকারীদের উল্লেখ ইসা ইবন আবান করেছেন। আর فرقة দ্বারা فرقة بالاقوال উদ্দেশ্য হতে পারে, যা অন্য আর একটি দল গ্রহণ করেছেন। কিন্তু হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)-এর নিকট এর কোন একটি মত অধিক উত্তম হবার কোন দলীল ছিলনা। অতএব তিনি অধিক সতর্কতার জন্য তার ক্রেতার নিকট হতে সরে দাড়াতেন । তবে তার এরূপ করার কারণ এও হতে পারে যে, কেউ কেউ মনে করতেন এরূপ না করলে, বেচা-কেনা পূর্নই হয় না। অথচ, তিনি কিন্তু এরূপ না করলেও তা পূর্ন হয় বলে বিশ্বাস করতেন, কিন্ত তার ইচ্ছা ছিলো, বিক্রয় চুক্তিটিকে বিতর্কের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়, যাতে প্রতিপক্ষ কোন মতেই তা নাকচ করতে না পারে। হযরত ইবন উমার(রাযিঃ)হতে এমন হাদীসও বর্নিত আছে, যা প্রমান করে যে, বিক্রয় চুক্তি অনিবার্য হওয়ার জন্য فرقة بالابدان এর মত তিনি পোষন করতেন না। আর তাহলোঃ
বিশ্লেষন
আবু জা‘ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বানী البيعان بالخيار ما لم يتفرقا এর ব্যাখ্যা প্রসংগে উলামাই কিরামের মতপার্থক্য হয়েছে।একদল উলামা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এ বাণীর মধ্যে ক্রেতা – বিক্রেতার যে পৃথক হবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার অর্থ ক্রয়-বিক্রিয়ের মৌখিক চুক্তি হতে পৃথক হওয়া।অতএব বিক্রেতা যখন বললো, “আমি তোমার নিকটে এ মাল বিক্রি করলাম।” আর ক্রেতাও বললো “এ মাল আমি তোমার নিকট হতে গ্রহন করলাম ।” এতেই চুক্তি করার পর পৃথক হওয়া সাব্যস্ত হলো এবং তাদের ইখতিয়ার শেষ হয়ে গেল । তারা বলেন, তাদের ইখতিয়ার অর্থ হরো বিক্রেতা ক্রেতাকে যে বলেছিল, আমি তোমার নিকট এ গোলামটি এক হাজার দিরহামে বিক্র করেছি, ক্রেতার তা গ্রহণ করার পূর্বেই তা বাতিল করা। কিন্তু ক্রেতা যদি তার বাতিল কররা পূর্বেই গ্রহন করে তবে তারা চুক্তি সম্পন্ন করে পৃথক হলো এবং তাদের ইখতিয়ার বাতিল হয়ে গেল। তারা বলেন,تفرق এর এই যে অর্থ তারা গ্রহন করেছেন, (অর্থাৎ মৌখিক ভাবে পৃথক হওয়া) আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে তালাক এর আলোচনায় تفرق এর ঠিক এই অর্থই উদ্দেশ্য করেছেন। ইরশাদ হয়েছে وإن يتفرقا يغن الله كلا من سعته অর্থাৎ তারা (স্বামী-স্ত্রী) যদি পৃথক হয়ে তবে আল্লাহ তাআলা তার প্রাচুর্যের মাধ্যমে উভয়কে বে-নির্যায করে দিবেন। স্বাম যখন স্ত্রীকে বরলো, আমি তোমাকে এত এত এর বিনিমযে তালাক দিলাম, তখন স্ত্রী বরলো, আমি গ্রহণ করলাম এতে তালাক বাযেন হয়ে গেল। এবং স্বামী স্ত্রীকে একে অন্যের থেকে পৃথক হয়ে গেল যদিও তারা দৈহিক দিক থেকে একই স্থানে অবস্থান করুক না কেন। ঠিক অনুরুপভাবে যদি কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে বলে , আমি তোমার নিকট আমার এই গোলামটি এক হাজার দিরহামে বিক্রি করলাম অতঃপর ক্রেতা বললো, আমি কবুল করলাম, তবে এতেই তারা বেচা-কেনার চুক্তি হতে পৃথক হযেগেল। যদিও তারা দৈহিক দিক থেকে পৃথক হয়ে স্থান ত্যাগ না করে। যারা এ মন্তব্য করেছেন এবং تفرق এর এ ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন, মুহাম্মাদ ইন হাসান(রাহঃ)।
‘ইসা ইব্ন্ আবান’ বলেন, যে فرقة(পৃথক হওয়া) এ সবে রিওয়ায়াতে উল্লেখিত খিয়ারকে ছিন্ন করে দেয় তা হলো স্থান ত্যাগের মাধ্যমে শারীরিকভাবে পৃথক হওয়া। অতএব যখন কেউ কাউকে বলে, “আমার এই গোলামটি তোমার নিকট এক হাজার দিরহামে বিক্র করলাম”, তখন একথা দ্বারা যাকে সম্বোধন করা হলো, তার ইখতিয়ার থাকবে যে, অর্থাৎ যতক্ষণ সে তার সাথী খেকে শারীরিকভাবে পৃথক না হবে, ততক্ষণ সে তার প্রাস্তাব গ্রহন করতে পারবে। কিন্তু উভয়ে পৃথক হয়ে যাওয়ার পর উক্ত প্রস্তাব গ্রহন করার ইখতিয়ার থাকবেনা।তারা বলেন, যদি আমরা এ হাদীস না পেতাম তাহলে আমরা জানতে পারতাম না যে, প্রতিপক্ষ তাকে সম্বোধ করে যে বিক্রয় প্রস্তাব করেছে, সম্বোধিত ব্যক্তির ঐ প্রস্তাবকে গ্রহন করার অধিকার কোন্ জিনিস কর্তন করে দেয় কিন্ত এই হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, ক্রয়-বিক্রয়ের প্রস্তাব দেযার পর তাদের শারীরকিভাবে পৃথক হয়ে যা্ওয়াটাই ঐ প্রস্তাব বা সম্বোধন কবুল করার অধিকার কর্তন করে দেয়। تفرق এর এ ব্যাখ্যা ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। ঈসা বলেন, এ হাদীসের যে সব ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে তার মধ্যে এটাই সর্বোওম ব্যাখ্যা। কারণ, আমরা فرقة (বা পৃথক হওয়ার) এর একটি সর্বসম্মত অর্থ পেয়েছি ‘ছারফ বিক্রয়’ –এর ক্ষে্ত্রে فرقة দ্বারা পূর্ববর্তী আক্দ’ অনিবার্যভাবে ফাসিদ হয়ে যায়।তা দ্বারা আকদ –এর সম্পন্নতা অনিবার্য হয়না। তো ক্রেতা ও বিক্রেতাকে প্রদত্ত ইভতিয়ারের ক্ষেত্রে যে فرقة শব্দটি হাদীসে এসেছে, সেটাকে যদি আমরা আমাদের কথিত শারীরিক প্রথক হওয়ার অর্থে গ্রহণ করি তাহলেই শুধু তা দ্বারা প্রস্তাবকারীর পূর্ববর্তী চুক্তি প্রস্তাব ফাসিদ হয়; পক্ষান্তরে যদি আমরা فرقة কে ঐ লোকদের কথিত অর্থে গ্রহন করি, যা فرقة الا بدان (শারীরিক ভাবে পৃথক হওয়া) কে বিক্রয় সম্পন্ন হওয়ার কারণ বরেছেন তাহলে সেটা সারফ বিক্রযের ক্ষেত্রে উল্লেখকৃত فرقة -এর সর্বসম্মত অর্থের বিপরীত হবে।তখন فرقة এর সর্বসম্মত মূল অর্থটি বিদ্যমান থাকবে না। কারণ فرقة–এর যে সর্বসম্মত অর্থ তা দ্বারা তার পুর্ববর্তী অকদ সম্পর্ণ না হওয়ার অবস্থায় তা ফাসিদ হযে যায়। অতএব আমাদের জন্য উত্তম হলো এই বিতর্কিত فرقة কে সর্বসম্মত فرقة এর ন্যায় করা। ফলে তাদ্বারা পুর্ববর্তী অসম্পূর্ণ আকদ (বা চুক্তি প্রস্তাব)ফাসিদ হওয়া অনিবার্য হবে । অতএব আমরা যা উল্লেখ করেছি তাই সাব্যস্ত হলো। অন্য একদল উলামায়ে কিরাম বলেন, আলোচ্য এ হাদীসের فرقة (পৃথক হওয়া) দ্বারা শারীরিকভাবে স্থান ত্যাগ করা উদ্দেশ্য। তারা একথা এভাবে প্রমাণ করেন যে, হাদীসের মধ্যেمتبائعان (ক্রেতা-বিক্রেতা)শব্দটি (নিঃশর্ত)রূপে ব্যবহৃত হয়েছে, আর متبائعان কথাটি বলাই হবে তখন, যখন তাদের পরস্পরে ايجاب ও قبول সম্পন্ন হবে। এর পূর্বে তাদরেকে বলা হয় متساومان (ক্রয়-বিক্রয়ে আলেচনাকারী) بائع (ক্রেতা)এ নামটি ধারণই করবে عقد সম্পন্ন হবার পর। অতএব তার জন্য ইখতিয়ারও সাব্যস্ত হবে আকদ সম্পন্ন হওয়ার পর (শারীরিকভাবে পৃথখ হওয়ার পূর্বে)।
তারা তাদের এ মতের পক্ষে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্নিত এ হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেন।আর তাহলো তিনি যখন কোন ব্যক্তির সহিত ক্রয়-বিক্রয় করতেন এবং اقاله (চুক্তি প্রত্যাহার) না করার ইচ্ছা হত, তখন তিনি স্থান ত্যাগ করে কিছুক্ষণ হাটতেন, অতঃপর পুনরায় ফিরে আসতেন । তারা বলেন হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) নিজেই রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট হতে البيعان بالخيار ما لم يتفرقا এ হাদীস শুনেছেন । আর তার মতে تفرق এর অর্থ শারীরিকভাবে স্থান ত্যাগ করা । আর এর মাধ্যমেই ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়। এ দারা বুঝা যায় যে নবী সা. এর উদ্দেশ্যও এটাই। তারা হযরত আবু বারযা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন, যা আমরা এ অধ্যায়ের শুরুতে উল্লেখ করেছি। এবংতার নিকট যে দু ব্যক্তি মামলা পেশ করেছিল, তাদেরকে তিনি যে কথা বরেছিলেন, তা দ্বারাও দলীল পেশকরেন।তিনি তাদেরকে বলেছিলেন ,ما اراكما تفرقتما আমি তো মনে করিনা যে, তোমরা পৃথক হয়েছ।তার একথায় বুঝা যায় যে,تفرق দ্বারা তার মতে সশরীরে স্থান ত্যাগ করা উদ্দেশ্য আর ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হতে এ পৃথক হবার পূর্বে তার মতে ক্রয়-বিক্রয় পূর্ণ হয়নি।
যারা এই মত অবলম্বন করেন, তাদরে বিপরীত পূর্বে উল্লেখিত দুটি মত অবলম্বন কারী উলাময়ে কিরামের বক্তব্য হলো, এই শেষ মত অবলম্বনকারী উলামা গন যে বলেন, যাবত না তারাপ আকদ সম্পন্ন করবে তারা متبائعان (ক্রেতা-বিক্রেতা) হবেনা । বরং আকদ সম্পন্ন হবার পূর্বে তারা হলেন متساومان (ক্রয় বিক্রয়ের আলোচনাকারী) তারা متبائعان নয়। বস্তুতঃ এটা আরবী ভাষায় প্রশস্ততা সম্পর্কে তাদরে অজ্ঞতার ফসল। কারণ, তাদেরকে ক্রয়-বিক্রয়ের নিকটবর্তী হলেও متبائعان (ক্রেতা -বিক্রেতা) নামকরণ করা যেতে পারে। যদিও তারা তখন পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয়ের আকদ সম্পন্ন না করে তাকে। হযরত ইসহাক অথবা ইসমাঈল (আ) কে ذبيح (যবাহকৃত)নামকরণ করা হয়েছিল, কারণ তাকে যবাহ করার নিকটবর্তী করা হয়েছিল। যদিও তাকে যবাহ করা হয়নি। অনুরূপভাবে যে দু-ব্যক্তি ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করে তারা আকদ সম্পন্ন না করে থাকলেও যখন তারা ক্রয় বিক্রয়ের নিকটবর্তী হয়েছে তখন তাদেরকে متبائعان (ক্রেতা-বিক্রেতা)বলা যায়। যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন لا يسوم الرجل على سوم أخيه ও لا يبيع الرجل على بيع أخيه অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যেন তার ভায়ের ক্রয় বিক্রয়ের ওপর ক্রয় বিক্রয় না করে। এখানে দুটো হাদীসের অর্থই এক ও অভিন্ন্ (অথচ এক হাদীসেতে يسوم বা দরকরা ও অন্য হাদীসে يبيع বা বিক্রয় শব্দ ব্রবহার করা হয়েছে।) আর যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) এ হাদীসে مساوم (বিক্রয়ের আলোচনাকারী) কে ক্রয় বিক্রয়ের নিকটবর্তী হয়েছে দেখেছেন তখন তাকে متبائعان (ক্রেতা)না্মকরণ করেছেন। যদিও সে ক্রয়ের আকদ করেনি। সে ক্ষেত্রে এখানেও এ সম্ভাবনা রয়েছে যে তিনি (ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনাকরী দুব্যক্তিকে) متبائعان (ক্রতা-বিক্রেতা)নামকরণ করেছেন।কারণ তারা ক্রয়-বিক্রয়ের নিকটবর্তী হয়েছে। যদিও তারা আকদ করেনি। বস্তুত এটা হচ্ছে দুই হাদীসের বিশুদ্ধ معارضة (মুখোমুখিকরণ)
তারা হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ)এর কর্ম ও আচরণ দ্বারা যে فرقة (পৃথক হওয়া) দ্বারা নবী(সা.) এর উদ্দেশ্য কি, সে বিষয়ে দলীল পেশ করেছেন, সে বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হলো, হযরত ইবন উমার(রাযিঃ) আচরণ দ্বারা যেমন তারা বলেছেন, তার যেমন সম্ভাবনা আছে, অনুরূপভাবে অন্য সম্ভাবনাও আছে। কারণ হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) যে فرقة (পৃথক হওয়া) এর কথা নবী (সা.) হতে শুনেছেন, সম্ভাবত তার সঠিক অর্থ যে কি, তা তার নিকট অস্পষ্ট রয়েছে। অতএ তার মতে ঐ فرقة بالابدان (শারীরিকভাবে স্থান ত্যাগ করা) যেমন হওয়ার সম্ভবনা আছে, যা এই শেষ মত অবলম্বনকারীগণ বলেন, আর ঐ, فرقة بالابدان ও হতে পারে যে فرقة بالابدان অবলম্বনকারীদের উল্লেখ ইসা ইবন আবান করেছেন। আর فرقة দ্বারা فرقة بالاقوال উদ্দেশ্য হতে পারে, যা অন্য আর একটি দল গ্রহণ করেছেন। কিন্তু হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)-এর নিকট এর কোন একটি মত অধিক উত্তম হবার কোন দলীল ছিলনা। অতএব তিনি অধিক সতর্কতার জন্য তার ক্রেতার নিকট হতে সরে দাড়াতেন । তবে তার এরূপ করার কারণ এও হতে পারে যে, কেউ কেউ মনে করতেন এরূপ না করলে, বেচা-কেনা পূর্নই হয় না। অথচ, তিনি কিন্তু এরূপ না করলেও তা পূর্ন হয় বলে বিশ্বাস করতেন, কিন্ত তার ইচ্ছা ছিলো, বিক্রয় চুক্তিটিকে বিতর্কের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়, যাতে প্রতিপক্ষ কোন মতেই তা নাকচ করতে না পারে। হযরত ইবন উমার(রাযিঃ)হতে এমন হাদীসও বর্নিত আছে, যা প্রমান করে যে, বিক্রয় চুক্তি অনিবার্য হওয়ার জন্য فرقة بالابدان এর মত তিনি পোষন করতেন না। আর তাহলোঃ
5546 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، قَالَ: ثنا قَتَادَةُ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ , مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا , وَيَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَا رَضِيَ مِنَ الْبَيْعِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِي تَأْوِيلِ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا» . فَقَالَ قَوْمٌ: هَذَا عَلَى الِافْتِرَاقِ بِأَقْوَالٍ , فَإِذَا قَالَ الْبَائِعُ: قَدْ بِعْتُ مِنْكَ، قَالَ الْمُشْتَرِي: قَدْ قَبِلْتُ، فَقَدْ تَفَرَّقَا وَانْقَطَعَ خِيَارُهُمَا. وَقَالُوا: الَّذِي كَانَ لَهُمَا مِنَ الْخِيَارِ , هُوَ مَا كَانَ لِلْبَائِعِ أَنْ يُبْطِلَ قَوْلَهُ لِلْمُشْتَرِي: قَدْ بِعْتُكَ هَذَا الْعَبْدَ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، قَبْلَ قَبُولِ الْمُشْتَرِي. فَإِذَا قِبَلَ الْمُشْتَرِي , فَقَدْ تَفَرَّقَ هُوَ وَالْبَائِعُ , وَانْقَطَعَ الْخِيَارُ. وَقَالُوا: هَذَا كَمَا ذَكَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي الطَّلَاقِ فَقَالَ {وَإِنْ يَتَفَرَّقَا يُغْنِ اللهُ كُلًّا مِنْ سَعَتِهِ} [النساء: 130] . [ص:14] فَكَانَ الزَّوْجُ إِذَا قَالَ لِلْمَرْأَةِ: قَدْ طَلَّقْتُكِ عَلَى كَذَا وَكَذَا، فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ: قَدْ قَبِلْتُ، فَقَدْ بَانَتْ , وَتَفَرَّقَا بِذَلِكَ الْقَوْلِ , وَإِنْ لَمْ يَتَفَرَّقَا بِأَبْدَانِهِمَا. قَالُوا: فَكَذَلِكَ إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ: قَدْ بِعْتُكَ عَبْدِي هَذَا , بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، فَقَالَ الْمُشْتَرِي: قَدْ قَبِلْتُ، فَقَدْ تَفَرَّقَا بِذَلِكَ الْقَوْلِ , وَإِنْ لَمْ يَتَفَرَّقَا بِأَبْدَانِهِمَا. وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ , وَفَسَّرَ بِهَذَا التَّفْسِيرَ , مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَقَالَ عِيسَى بْنُ أَبَانَ: الْفُرْقَةُ الَّتِي تَقْطَعُ الْخِيَارَ الْمَذْكُورَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , هِيَ الْفُرْقَةُ بِالْأَبْدَانِ , وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا قَالَ لِلرَّجُلِ: قَدْ بِعْتُكَ عَبْدِي هَذَا بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلِلْمُخَاطَبِ بِذَلِكَ الْقَوْلِ , أَنْ يَقْبَلَ , مَا لَمْ يُفَارِقْ صَاحِبَهُ , فَإِذَا افْتَرَقَا , لَمْ يَكُنْ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ يَقْبَلَ. قَالَ: وَلَوْلَا أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ جَاءَ , مَا عَلِمْنَا , مَا يَقْطَعُ مَا لِلْمُخَاطَبِ , مِنْ قَبُولِ الْمُخَاطَبَةِ الَّتِي خَاطَبَهُ بِهَا صَاحِبُهُ , وَأَوْجَبَ لَهُ بِهَا الْبَيْعَ. فَلَمَّا جَاءَ هَذَا الْحَدِيثُ , عَلِمْنَا أَنَّ افْتِرَاقَ أَبْدَانِهِمَا بَعْدَ الْمُخَاطَبَةِ بِالْبَيْعِ , يَقْطَعُ قَبُولَ تِلْكَ الْمُخَاطَبَةِ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا التَّفْسِيرُ , عَنْ أَبِي يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. قَالَ عِيسَى: وَهَذَا أَوْلَى مَا حُمِلَ عَلَيْهِ تَفْسِيرُ تَأْوِيلِ هَذَا الْحَدِيثِ , لِأَنَّا رَأَيْنَا الْفُرْقَةَ الَّتِي لَهَا حُكْمٌ فِيمَا اتَّفَقُوا عَلَيْهِ , هِيَ الْفُرْقَةُ فِي الصَّرْفِ , فَكَانَتْ تِلْكَ الْفُرْقَةُ إِنَّمَا يَجِبُ بِهَا فَسَادُ عَقْدٍ مُتَقَدِّمٍ , وَلَا يَجِبُ بِهَا صَلَاحُهُ. فَكَانَتْ هَذِهِ الْفُرْقَةُ الْمَرْوِيَّةُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خِيَارِ الْمُتَبَايِعَيْنِ , إِذَا جَعَلْنَاهَا عَلَى مَا ذَكَرْنَا , فَسَدَ بِهَا مَا كَانَ تَقَدَّمَ مِنْ عَقْدِ الْمُخَاطَبِ. وَإِنْ جَعَلْنَاهَا عَلَى مَا قَالَ الَّذِينَ جَعَلُوا الْفُرْقَةَ بِالْأَبْدَانِ يَتِمُّ بِهَا الْبَيْعُ , كَانَتْ بِخِلَافِ فُرْقَةِ الصَّرْفِ وَلَمْ يَكُنْ لَهَا أَصْلٌ فِيمَا اتَّفَقُوا عَلَيْهِ , لِأَنَّ الْفُرْقَةَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهَا , إِنَّمَا يَفْسُدُ بِهَا مَا تَقَدَّمَهَا , إِذَا لَمْ يَكُنْ تَمَّ , حَتَّى كَانَتْ. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا أَنْ نَجْعَلَ هَذِهِ الْفُرْقَةَ الْمُخْتَلَفَ فِيهَا , كَالْفُرْقَةِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهَا , فَيُجْبَرُ بِهَا فَسَادُ مَا قَدْ تَقَدَّمَهَا , مِمَّا لَمْ يَكُنْ تَمَّ , حَتَّى كَانَتْ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ , مَا ذَكَرْنَا. وَقَالَ آخَرُونَ: هَذِهِ الْفُرْقَةُ الْمَذْكُورَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , هِيَ عَلَى الْفُرْقَةِ بِالْأَبْدَانِ , فَلَا يَتِمُّ الْبَيْعُ , حَتَّى تَكُونَ , فَإِذَا كَانَتْ , تَمَّ الْبَيْعُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِأَنَّ الْخَبَرَ , أَطْلَقَ ذِكْرَ الْمُتَبَايِعَيْنِ فَقَالَ الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ , مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا. قَالُوا: فَهُمَا قَبْلَ الْبَيْعِ مُتَسَاوِمَانِ , فَإِذَا تَبَايَعَا , صَارَا مُتَبَايِعَيْنِ , فَكَانَ اسْمُ الْبَائِعِ , لَا يَجِبُ لَهُمَا إِلَّا بَعْدَ الْعَقْدِ فَلَمْ يَجِبْ لَهُمَا الْخِيَارُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا , بِمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ إِذَا بَايَعَ رَجُلًا شَيْئًا , فَأَرَادَ أَنْ لَا يَقْبَلَهُ , قَامَ فَمَشَى , ثُمَّ رَجَعَ. [ص:15] قَالُوا: وَهُوَ قَدْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْلَهُ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا» فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَهُ عَلَى التَّفَرُّقِ بِالْأَبْدَانِ , وَعَلَى أَنَّ الْبَيْعَ يَتِمُّ بِذَلِكَ. فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا , عَلَى أَنَّ مُرَادَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِحَدِيثِ أَبِي بَرْزَةَ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ , فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , وَبِقَوْلِهِ لِلرَّجُلَيْنِ اللَّذَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَيْهِ: مَا أَرَاكُمَا تَفَرَّقْتُمَا، فَكَانَ ذَلِكَ التَّفَرُّقُ عِنْدَهُ هُوَ التَّفَرُّقَ بِالْأَبْدَانِ , وَلَمْ يَتِمَّ الْبَيْعُ عِنْدَهُ , قَبْلَ ذَلِكَ التَّفَرُّقِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عِنْدَنَا عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , لِأَهْلِ الْمَقَالَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ , أَنَّ مَا ذَكَرُوا مِنْ قَوْلِهِمْ: لَا يَكُونَانِ مُتَبَايِعَيْنِ إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَتَعَاقَدَا الْبَيْعَ , وَهُمَا قَبْلَ ذَلِكَ مُتَسَاوِمَانِ غَيْرُ مُتَبَايِعَيْنِ، فَذَلِكَ إِغْفَالٌ مِنْهُمْ لِسَعَةِ اللُّغَةِ , لِأَنَّهُ قَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَا سُمِّيَا مُتَبَايِعَيْنِ , لِقُرْبِهِمَا مِنَ التَّبَايُعِ , وَإِنْ لَمْ يَكُونَا تَبَايَعَا , وَهَذَا مَوْجُودٌ فِي اللُّغَةِ قَدْ سُمِّيَ إِسْحَاقُ أَوْ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ , ذَبِيحًا لِقُرْبِهِ مِنَ الذَّبْحِ , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذُبِحَ. فَكَذَلِكَ يُطْلَقُ عَلَى الْمُتَسَاوِمَيْنِ , اسْمُ الْمُتَبَايِعَيْنِ , إِذَا قَرُبَا مِنَ الْبَيْعِ , وَإِنْ لَمْ يَكُونَا تَبَايَعَا. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا يَسُومُ الرَّجُلُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ» وَقَالَ «لَا يَبِيعُ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ» وَمَعْنَاهُمَا وَاحِدٌ. فَلَمَّا سَمَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسَاوِمَ الَّذِي قَدْ قَرُبَ مِنَ الْبَيْعِ , مُتَبَايِعًا , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ عَقْدِهِ الْبَيْعَ , احْتَمَلَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الْمُتَسَاوِمَانِ , سَمَّاهُمَا مُتَبَايِعَيْنِ , لِقُرْبِهِمَا مِنَ الْبَيْعِ , وَإِنْ لَمْ يَكُونَا عَقَدَا عُقْدَةَ الْبَيْعِ , فَهَذِهِ مُعَارَضَةٌ صَحِيحَةٌ. وَأَمَّا مَا ذَكَرُوا , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , مِنْ فِعْلِهِ الَّذِي اسْتَدَلُّوا بِهِ , عَلَى مُرَادِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفُرْقَةِ , فَإِنَّ ذَلِكَ قَدْ يَحْتَمِلُ عِنْدَنَا مَا قَالُوا , وَيَحْتَمِلُ غَيْرَ ذَلِكَ. قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , أَشْكَلَتْ عَلَيْهِ تِلْكَ الْفُرْقَةُ , الَّتِي سَمِعَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا هِيَ؟ فَاحْتَمَلَتْ عِنْدَهُ الْفُرْقَةَ بِالْأَبْدَانِ , عَلَى مَا ذَكَرَهُ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ. وَاحْتَمَلَتْ عِنْدَهُ الْفُرْقَةَ بِالْأَبْدَانِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , الَّتِي ذَهَبَ إِلَيْهَا عِيسَى. وَاحْتَمَلَتْ عِنْدَهُ الْفُرْقَةَ بِالْأَقْوَالِ , عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْآخَرُونَ , وَلَمْ يَحْضُرْهُ دَلِيلٌ يَدُلُّهُ أَنَّهُ بِأَحَدِهَا أَوْلَى مِنْهُ بِمَا سِوَاهُ مِنْهَا , فَفَارَقَ بَائِعَهُ بِبَدَنِهِ , احْتِيَاطًا. وَيُحْتَمَلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ فَعَلَ ذَلِكَ , لِأَنَّ بَعْضَ النَّاسِ , يَرَى أَنَّ الْبَيْعَ لَا يَتِمُّ إِلَّا بِذَلِكَ , وَهُوَ يَرَى أَنَّ الْبَيْعَ يَتِمُّ بِغَيْرِهِ. فَأَرَادَ أَنْ يَتِمَّ الْبَيْعُ فِي قَوْلِهِ وَقَوْلِ مُخَالِفِهِ , حَتَّى لَا يَكُونَ لِبَائِعِهِ نَقْضُ الْبَيْعِ عَلَيْهِ , فِي قَوْلِهِ , وَلَا فِي قَوْلِ مُخَالِفِهِ. [ص:16] وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ , مَا يَدُلُّ أَنَّ رَأْيَهُ فِي الْفُرْقَةِ , كَانَ بِخِلَافِ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مَنْ ذَهَبَ , إِلَى أَنَّ الْبَيْعَ يَتِمُّ بِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৪৮
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪৭-৪৮। সুলাইমান ইবন শুআইব বলেন, বিশর ইবন বকর... হযরত ইবন উমার বলেন, ক্রয় বিক্রয়ের যে মুআমালা কোন প্রাণীকে জীবিত অবস্থায় পায়, সেটা হালাক হয়ে গেলে তা ক্রোতর মাল হতেই হালাক হবে।
ইউনুস বলেন,ইবন ওয়াহব ..... ইবন শিহাব তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফার তাহাবী (রাহঃ)বলেনঃ এ রিওয়ায়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, জীবিত অবস্থায় কোন প্রাণী ক্রয় করার পর ক্রেতার নিকট হালাক হলে তা ক্রেতার মাল হালাক হবে বলে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) এই যে মত প্রকাশ করেন, এটা একথাই প্রমাণ করে যে,عقد بيع মজলিসে হতে বিচ্ছিন্ন হবার পূর্বেই কথার মাধমেই (ইজাব দ্বরই কবূল) পূর্ন হয়ে যায়। আর এই কথার মাধ্যমেই বিক্রেতার মালিকানা হতে ক্রেতার মালিাকনায় স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এমন কি তা হালাক হলে ক্রেতার মাল হতেই হালাক হবে।এই যে রিওয়াত আমরা উল্লেখ করলাম, অধিক فرقة-এর ব্যাপারে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)-এর মাযহাব যে কি, যা তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)হতে শুনেছেন, তা তাদের উল্লেখিত রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক বেশী প্রমাণ করেন।
আর হযরত আবু বারযা (রাযিঃ) হতে তারা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর যে হাদীস উল্লেখ করেছেন, আমাদের মতে তার মধ্যে তাদের দলীল পেশ করার মত কিছুই নেই। কারণ উক্ত হাদীসটি হাম্মাদ ইবন যায়িদ জামীল ইবন মুররা এর মাধ্যমে এরূপ বর্ণনা করেছেনঃ এক ব্যাক্তি তার সাথীর নিকট হতে একটা ঘোড়া বিক্রয় করে রাতের বেলা উক্ত মনযিলে রাত যাপন করে। যখন ভোর হলো তখন লোকটি দাড়িয়ে ঘোড়ায় যীন বাধতে লাগল। তখন সে বললো, তুমি না আমার নিকট ঘোড়াটি বিক্রয় করেছ?(এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ হলে)তখন হযরত আবু বারযা বললেন, তোমারা ইচ্ছা করলে এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ(সা.) যে সমাধান পেশ করেছেন আমি তোমাদের মাঝে সেই সমাধান পেশ করব । রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ক্রেতাও বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে, যাবত না তারা পৃথক হবে। আমার ধারনা তোমরা এখন পর্যন্ত পৃথক হওনি । তো এই হাদীসে এমন কথা রয়েছে যা প্রমাণ করে যে, তারা মজলিস হতে শারীরিকভাবে পৃথক হয়ে গিয়েছিলো। কারণ ঘোড়ায় যীন লাগানোর জন্য স্থান পরিবর্তন অনিবার্য; কিন্তু হযরত আবু বারযা (রাযিঃ)তার বক্তব্যে এ দিকটা এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, আমি তো তোমাদেরকে মনে করিনা যে, তোমরা পৃথক হয়েছ। অর্থাৎ তোমরা যখন বিরোধ করেছিলে, একজন দাবী করছ, বিক্র হবার, আর অন্যজন তা অস্বীকার করছ। অতএব তোমরা এমনভাবে পৃথক হওনি, যা দ্বারা ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয় । এটা কিন্তু সশরীরে তাদের মজলিস ত্যাগ করার বিপরীত।
এর পর আমরা রাসূলুল্লাহ হতে এমন হাদীসও পয়েছি, যা প্রমাণ করে যে , ক্রেতা বিক্রয় করা বস্তুর মালিক হয়ে যায়, শুধু কবুল করার মাধ্যমে, মজলিস ত্যাগ করার মাধমে নয়। এর প্রমাণ হলো, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ অর্থাৎ যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন তা কবযা করার আগে তা বিক্রয় না করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর এ বক্তব্য একথাই প্রমাণ করে, ক্রেতা ক্রয় করার পর কাবযা করলেই তার পক্ষে বিক্রয় করা হালাল । ।অথচ কখনও এমনও হয় যে, ক্রেতা/বিক্রেতার মজলিস হতে পৃথক হবার পূবেই ক্রেতা তা কবযা করে। অথচ, রাসূলুল্লাহ (সা.)ইরশাদ করেছেন, مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ অর্থাৎ যে ব্যাক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন কবজা করার পূর্বে তা বিক্রয় না করে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই গ্রন্থেই যথা স্থানে এসব হাদীস বর্ণনা করব।
ইউনুস বলেন,ইবন ওয়াহব ..... ইবন শিহাব তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা’ফার তাহাবী (রাহঃ)বলেনঃ এ রিওয়ায়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, জীবিত অবস্থায় কোন প্রাণী ক্রয় করার পর ক্রেতার নিকট হালাক হলে তা ক্রেতার মাল হালাক হবে বলে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) এই যে মত প্রকাশ করেন, এটা একথাই প্রমাণ করে যে,عقد بيع মজলিসে হতে বিচ্ছিন্ন হবার পূর্বেই কথার মাধমেই (ইজাব দ্বরই কবূল) পূর্ন হয়ে যায়। আর এই কথার মাধ্যমেই বিক্রেতার মালিকানা হতে ক্রেতার মালিাকনায় স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এমন কি তা হালাক হলে ক্রেতার মাল হতেই হালাক হবে।এই যে রিওয়াত আমরা উল্লেখ করলাম, অধিক فرقة-এর ব্যাপারে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)-এর মাযহাব যে কি, যা তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)হতে শুনেছেন, তা তাদের উল্লেখিত রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক বেশী প্রমাণ করেন।
আর হযরত আবু বারযা (রাযিঃ) হতে তারা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর যে হাদীস উল্লেখ করেছেন, আমাদের মতে তার মধ্যে তাদের দলীল পেশ করার মত কিছুই নেই। কারণ উক্ত হাদীসটি হাম্মাদ ইবন যায়িদ জামীল ইবন মুররা এর মাধ্যমে এরূপ বর্ণনা করেছেনঃ এক ব্যাক্তি তার সাথীর নিকট হতে একটা ঘোড়া বিক্রয় করে রাতের বেলা উক্ত মনযিলে রাত যাপন করে। যখন ভোর হলো তখন লোকটি দাড়িয়ে ঘোড়ায় যীন বাধতে লাগল। তখন সে বললো, তুমি না আমার নিকট ঘোড়াটি বিক্রয় করেছ?(এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ হলে)তখন হযরত আবু বারযা বললেন, তোমারা ইচ্ছা করলে এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ(সা.) যে সমাধান পেশ করেছেন আমি তোমাদের মাঝে সেই সমাধান পেশ করব । রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ক্রেতাও বিক্রেতার ইখতিয়ার থাকবে, যাবত না তারা পৃথক হবে। আমার ধারনা তোমরা এখন পর্যন্ত পৃথক হওনি । তো এই হাদীসে এমন কথা রয়েছে যা প্রমাণ করে যে, তারা মজলিস হতে শারীরিকভাবে পৃথক হয়ে গিয়েছিলো। কারণ ঘোড়ায় যীন লাগানোর জন্য স্থান পরিবর্তন অনিবার্য; কিন্তু হযরত আবু বারযা (রাযিঃ)তার বক্তব্যে এ দিকটা এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, আমি তো তোমাদেরকে মনে করিনা যে, তোমরা পৃথক হয়েছ। অর্থাৎ তোমরা যখন বিরোধ করেছিলে, একজন দাবী করছ, বিক্র হবার, আর অন্যজন তা অস্বীকার করছ। অতএব তোমরা এমনভাবে পৃথক হওনি, যা দ্বারা ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয় । এটা কিন্তু সশরীরে তাদের মজলিস ত্যাগ করার বিপরীত।
এর পর আমরা রাসূলুল্লাহ হতে এমন হাদীসও পয়েছি, যা প্রমাণ করে যে , ক্রেতা বিক্রয় করা বস্তুর মালিক হয়ে যায়, শুধু কবুল করার মাধ্যমে, মজলিস ত্যাগ করার মাধমে নয়। এর প্রমাণ হলো, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ অর্থাৎ যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন তা কবযা করার আগে তা বিক্রয় না করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর এ বক্তব্য একথাই প্রমাণ করে, ক্রেতা ক্রয় করার পর কাবযা করলেই তার পক্ষে বিক্রয় করা হালাল । ।অথচ কখনও এমনও হয় যে, ক্রেতা/বিক্রেতার মজলিস হতে পৃথক হবার পূবেই ক্রেতা তা কবযা করে। অথচ, রাসূলুল্লাহ (সা.)ইরশাদ করেছেন, مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ অর্থাৎ যে ব্যাক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন কবজা করার পূর্বে তা বিক্রয় না করে। ইনশাআল্লাহ আমরা এই গ্রন্থেই যথা স্থানে এসব হাদীস বর্ণনা করব।
5547 - وَذَلِكَ أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ شُعَيْبٍ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ , عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ " أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ: مَا أَدْرَكَتِ الصَّفْقَةُ حَيًّا فَهُوَ مِنْ مَالِ الْمُبْتَاعِ "
5548 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , قَدْ كَانَ يَذْهَبُ فِيمَا أَدْرَكَتِ الصَّفْقَةُ حَيًّا , فَهَلَكَ بَعْدَهَا , أَنَّهُ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَرَى أَنَّ الْبَيْعَ يَتِمُّ بِالْأَقْوَالِ قَبْلَ الْفُرْقَةِ , الَّتِي تَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ , وَأَنَّ الْبَيْعَ يَنْتَقِلُ بِتِلْكَ الْأَقْوَالِ مِنْ مِلْكِ الْبَائِعِ إِلَى مِلْكِ الْمُبْتَاعِ , حَتَّى يَهْلِكَ مِنْ مَالِهِ إِنْ هَلَكَ. فَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَا , أَدَلُّ عَلَى مَذْهَبِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فِي الْفُرْقَةِ الَّتِي سَمِعَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا ذَكَرُوا. وَأَمَّا مَا ذَكَرُوا , عَنْ أَبِي بَرْزَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِيهِ أَيْضًا عِنْدَنَا لِأَنَّ ذَلِكَ الْحَدِيثَ إِنَّمَا هُوَ فِيمَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ , أَنَّ رَجُلًا بَاعَ صَاحِبَهُ فَرَسًا , فَبَاتَا فِي مَنْزِلٍ , فَلَمَّا أَصْبَحَا , قَامَ الرَّجُلُ يُسْرِجُ فَرَسَهُ , فَقَالَ لَهُ: بِعْتَنِي، فَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ: إِنْ شِئْتُمَا قَضَيْتُ بَيْنَكُمَا بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ , حَتَّى يَتَفَرَّقَا» وَمَا أَرَاكُمَا تَفَرَّقْتُمَا. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُمَا قَدْ كَانَا تَفَرَّقَا بِأَبْدَانِهِمَا , لِأَنَّ فِيهِ أَنَّ الرَّجُلَ قَامَ يُسْرِجُ فَرَسَهُ , فَقَدْ تَنَحَّى بِذَلِكَ مِنْ مَوْضِعٍ إِلَى مَوْضِعٍ. فَلَمْ يُرَاعِ أَبُو بَرْزَةَ ذَلِكَ , وَقَالَ: مَا أَرَاكُمَا تَفَرَّقْتُمَا، أَيْ لَمَّا كُنْتُمَا مُتَشَاجِرَيْنِ أَحَدُكُمَا يَدَّعِي الْبَيْعَ , وَالْآخَرُ يُنْكِرُهُ , لَمْ تَكُونَا تَفَرَّقْتُمَا الْفُرْقَةَ , الَّتِي يَتِمُّ بِهَا الْبَيْعُ , وَهِيَ خِلَافُ مَا قَدْ تَفَرَّقَا بِأَبْدَانِهِمَا. ثُمَّ بَعْدَ هَذَا , فَقَدْ وَجَدْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْمَبِيعَ يَمْلِكُهُ الْمُشْتَرِي بِالْقَوْلِ , دُونَ التَّفَرُّقِ بِالْأَبْدَانِ. وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ» . فَكَانَ ذَلِكَ دَلِيلًا عَلَى أَنَّهُ إِذَا قَبَضَهُ , حَلَّ لَهُ بَيْعُهُ , وَقَدْ يَكُونُ قَابِضًا لَهُ قَبْلَ افْتِرَاقِ بَدَنِهِ وَبَدَنِ بَائِعِهِ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ» وَسَنَذْكُرُ هَذِهِ الْآثَارَ فِي مَوَاضِعِهَا مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى
5548 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , قَدْ كَانَ يَذْهَبُ فِيمَا أَدْرَكَتِ الصَّفْقَةُ حَيًّا , فَهَلَكَ بَعْدَهَا , أَنَّهُ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَرَى أَنَّ الْبَيْعَ يَتِمُّ بِالْأَقْوَالِ قَبْلَ الْفُرْقَةِ , الَّتِي تَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ , وَأَنَّ الْبَيْعَ يَنْتَقِلُ بِتِلْكَ الْأَقْوَالِ مِنْ مِلْكِ الْبَائِعِ إِلَى مِلْكِ الْمُبْتَاعِ , حَتَّى يَهْلِكَ مِنْ مَالِهِ إِنْ هَلَكَ. فَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَا , أَدَلُّ عَلَى مَذْهَبِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فِي الْفُرْقَةِ الَّتِي سَمِعَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا ذَكَرُوا. وَأَمَّا مَا ذَكَرُوا , عَنْ أَبِي بَرْزَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِيهِ أَيْضًا عِنْدَنَا لِأَنَّ ذَلِكَ الْحَدِيثَ إِنَّمَا هُوَ فِيمَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ جَمِيلِ بْنِ مُرَّةَ , أَنَّ رَجُلًا بَاعَ صَاحِبَهُ فَرَسًا , فَبَاتَا فِي مَنْزِلٍ , فَلَمَّا أَصْبَحَا , قَامَ الرَّجُلُ يُسْرِجُ فَرَسَهُ , فَقَالَ لَهُ: بِعْتَنِي، فَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ: إِنْ شِئْتُمَا قَضَيْتُ بَيْنَكُمَا بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ , حَتَّى يَتَفَرَّقَا» وَمَا أَرَاكُمَا تَفَرَّقْتُمَا. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُمَا قَدْ كَانَا تَفَرَّقَا بِأَبْدَانِهِمَا , لِأَنَّ فِيهِ أَنَّ الرَّجُلَ قَامَ يُسْرِجُ فَرَسَهُ , فَقَدْ تَنَحَّى بِذَلِكَ مِنْ مَوْضِعٍ إِلَى مَوْضِعٍ. فَلَمْ يُرَاعِ أَبُو بَرْزَةَ ذَلِكَ , وَقَالَ: مَا أَرَاكُمَا تَفَرَّقْتُمَا، أَيْ لَمَّا كُنْتُمَا مُتَشَاجِرَيْنِ أَحَدُكُمَا يَدَّعِي الْبَيْعَ , وَالْآخَرُ يُنْكِرُهُ , لَمْ تَكُونَا تَفَرَّقْتُمَا الْفُرْقَةَ , الَّتِي يَتِمُّ بِهَا الْبَيْعُ , وَهِيَ خِلَافُ مَا قَدْ تَفَرَّقَا بِأَبْدَانِهِمَا. ثُمَّ بَعْدَ هَذَا , فَقَدْ وَجَدْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْمَبِيعَ يَمْلِكُهُ الْمُشْتَرِي بِالْقَوْلِ , دُونَ التَّفَرُّقِ بِالْأَبْدَانِ. وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ» . فَكَانَ ذَلِكَ دَلِيلًا عَلَى أَنَّهُ إِذَا قَبَضَهُ , حَلَّ لَهُ بَيْعُهُ , وَقَدْ يَكُونُ قَابِضًا لَهُ قَبْلَ افْتِرَاقِ بَدَنِهِ وَبَدَنِ بَائِعِهِ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ» وَسَنَذْكُرُ هَذِهِ الْآثَارَ فِي مَوَاضِعِهَا مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪৮
empty
৫৫৪৮।
5548 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৫০
৪. প্রসঙ্গ ক্রেতা-বিক্রেতার ইখতিয়ার যাবত না তারা প্রথক হয়
৫৫৪৯-৫০। ইউনুস ও ইয়াযীদ ইবন সিনান নিজ নিজ সু্ত্রে হযরত সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হযরত উসমান ইবন আফফান (রাযিঃ)-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি খেজুর ক্রয় করতাম।এবং কয়েক ছা লাভের বিনিময়ে তা বিক্রয় করতাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, যখন তুমি ক্রয় করবে তখন কায়েল করে নিব।আর যখন বিক্রয় করবে তখন কায়েল করে দিবে।
অত:পর যে ব্যক্তি কোন কায়লী খাদ্য ক্রয় করবে এবং কায়েল করে নেয়ার পূর্বেই তা বিক্রয় করবে, তার এ বিক্রেয় নাজায়েয ও অবৈধ হবে। কিন্তু যখন খাদ্য ক্রয় করে তা কায়েল করে নিল ও করল অত:পর বিক্রেতা মজলিস ত্যাগ করল, সে ক্ষেত্রে সকল উলামায়ে কিরাম এ ব্যাপারে এক মত যে, বিক্রেতার পৃথক হবার পর পুনরায় আর কায়েল করার প্রয়োজন নেই। অবশ্য বিক্রয় করার পর মজলিস হতে পৃথক হবার পূর্বে কায়েল করে নেয়া এবং তা বিক্রয় করার পূর্বে কায়েল করা সম্পর্কে মতপার্থক্য রয়েছে। এটা একথা প্রমান করে যে যখন সে এমন কায়ল করবে, যার দ্বারা ঐ পণ্য বিক্রয় করা তার জন্য জায়েয হবে, তখন এই ‘কায়ল’ করা তার পক্ষ হতে হবে এবং সে তার মালিক হবে, আর যখন এমন কায়ল করবে, যার দ্বারা ঐ পন্য বিক্রয় করা তার জন্য জায়েয হবে না, তখন সে এমন অবস্থায় কায়ল করলো যে, সে তার মালিক নয়। অতএব এ আলোচনা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। হাদীসের আলোকে এটাই এ অধ্যায়ের সঠিক বিশ্লেষন।
যুক্তিভিওিক দলীল
আর যুক্তির আলোকে আমরা দেখতে পাই যে, শরীরে, মালে, মুনাফায় ও সম্ভোগ অঙ্গে আক্দ এর মাধ্যমেই মালের মালিকানা প্রতিষ্ঠত হয়। যার মাধ্যমে এ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো আকদে সিকাহ। এখানে শুধু عقد نكاح দ্বারাই بضع এর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। পরে দু’জনের কারো মজলিস ত্যাগ করার প্রয়োজন হয়না। যা দ্বারা মুনাফার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো, ইজারা চুক্তি এক্ষেত্রেও আক্দ দ্বারাই মালিকানা সাব্যস্ত হয়, আকদের পর দুই পক্ষের স্থান ত্যাগ দ্বারা নয়। অতএব এটাই যুক্তির দাবী যে, ক্রয় বিক্রয় ও অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে যেসব মালে মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে তা কেবল কথার মাধ্যামেই প্রতিষ্ঠিত হবে। চুক্তির পরে মজলিস ত্যাগ করার মাধ্যামে নয়।উপরে যে সব বিষয় আমারা উল্লেখ করেছি, তার ওপর কিয়াস করলে এ কথাই প্রমানিত হয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাযিঃ) –এর মত।
অত:পর যে ব্যক্তি কোন কায়লী খাদ্য ক্রয় করবে এবং কায়েল করে নেয়ার পূর্বেই তা বিক্রয় করবে, তার এ বিক্রেয় নাজায়েয ও অবৈধ হবে। কিন্তু যখন খাদ্য ক্রয় করে তা কায়েল করে নিল ও করল অত:পর বিক্রেতা মজলিস ত্যাগ করল, সে ক্ষেত্রে সকল উলামায়ে কিরাম এ ব্যাপারে এক মত যে, বিক্রেতার পৃথক হবার পর পুনরায় আর কায়েল করার প্রয়োজন নেই। অবশ্য বিক্রয় করার পর মজলিস হতে পৃথক হবার পূর্বে কায়েল করে নেয়া এবং তা বিক্রয় করার পূর্বে কায়েল করা সম্পর্কে মতপার্থক্য রয়েছে। এটা একথা প্রমান করে যে যখন সে এমন কায়ল করবে, যার দ্বারা ঐ পণ্য বিক্রয় করা তার জন্য জায়েয হবে, তখন এই ‘কায়ল’ করা তার পক্ষ হতে হবে এবং সে তার মালিক হবে, আর যখন এমন কায়ল করবে, যার দ্বারা ঐ পন্য বিক্রয় করা তার জন্য জায়েয হবে না, তখন সে এমন অবস্থায় কায়ল করলো যে, সে তার মালিক নয়। অতএব এ আলোচনা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। হাদীসের আলোকে এটাই এ অধ্যায়ের সঠিক বিশ্লেষন।
যুক্তিভিওিক দলীল
আর যুক্তির আলোকে আমরা দেখতে পাই যে, শরীরে, মালে, মুনাফায় ও সম্ভোগ অঙ্গে আক্দ এর মাধ্যমেই মালের মালিকানা প্রতিষ্ঠত হয়। যার মাধ্যমে এ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো আকদে সিকাহ। এখানে শুধু عقد نكاح দ্বারাই بضع এর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। পরে দু’জনের কারো মজলিস ত্যাগ করার প্রয়োজন হয়না। যা দ্বারা মুনাফার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো, ইজারা চুক্তি এক্ষেত্রেও আক্দ দ্বারাই মালিকানা সাব্যস্ত হয়, আকদের পর দুই পক্ষের স্থান ত্যাগ দ্বারা নয়। অতএব এটাই যুক্তির দাবী যে, ক্রয় বিক্রয় ও অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে যেসব মালে মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে তা কেবল কথার মাধ্যামেই প্রতিষ্ঠিত হবে। চুক্তির পরে মজলিস ত্যাগ করার মাধ্যামে নয়।উপরে যে সব বিষয় আমারা উল্লেখ করেছি, তার ওপর কিয়াস করলে এ কথাই প্রমানিত হয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাযিঃ) –এর মত।
5549 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، ح [ص:17]
5550 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ كُنْتُ أَشْتَرِي التَّمْرَ , فَأَبِيعُهُ بِرِبْحِ الْآصُعِ , فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اشْتَرَيْتَ فَاكْتَلْ , وَإِذَا بِعْتَ فَكِلْ» فَكَانَ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا مُكَايَلَةً , فَبَاعَهُ قَبْلَ أَنْ يَكْتَالَهُ , لَا يَجُوزُ بَيْعُهُ , فَإِذَا ابْتَاعَهُ , فَاكْتَالَهُ وَقَبَضَهُ , ثُمَّ فَارَقَ بَيِّعَهُ , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ , أَنَّهُ لَا يَحْتَاجُ بَعْدَ الْفُرْقَةِ إِلَى إِعَادَةِ الْكَيْلِ وَخُولِفَ بَيْنَ اكْتِيَالِهِ إِيَّاهُ بَعْدَ الْبَيْعِ قَبْلَ التَّفَرُّقِ , وَبَيْنَ اكْتِيَالِهِ إِيَّاهُ قَبْلَ الْبَيْعِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا اكْتَالَهُ اكْتِيَالًا , يَحِلُّ لَهُ بَيْعُهُ , فَقَدْ كَانَ ذَلِكَ الِاكْتِيَالُ مِنْهُ , وَهُوَ لَهُ مَالِكٌ. وَإِذَا اكْتَالَهُ اكْتِيَالًا , لَا يَحِلُّ لَهُ بَيْعُهُ , فَقَدْ كَالَهُ وَهُوَ غَيْرُ مَالِكٍ لَهُ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , وُقُوعُ مِلْكِ الْمُشْتَرِي فِي الْبَيْعِ بِابْتِيَاعِهِ إِيَّاهُ , قَبْلَ فُرْقَةٍ تَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَمْوَالَ تُمْلَكُ بِعُقُودٍ , فِي أَبْدَانٍ , وَفِي أَمْوَالٍ , وَفِي مَنَافِعَ , وَفِي أَبْضَاعٍ. فَكَانَ مَا يُمْلَكُ مِنَ الْأَبْضَاعِ , هُوَ النِّكَاحُ , فَكَانَ ذَلِكَ يَتِمُّ بِالْعَقْدِ , لَا بِفُرْقَةٍ بَعْدَهُ. وَكَانَ مَا يُمْلَكُ بِهِ الْمَنَافِعُ , هُوَ الْإِجَارَاتِ , فَكَانَ ذَلِكَ مَمْلُوكًا بِالْعَقْدِ , لَا بِالْفُرْقَةِ بَعْدَ الْعَقْدِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الْأَمْوَالُ الْمَمْلُوكَةُ , بِسَائِرِ الْعُقُودِ , مِنَ الْبُيُوعِ وَغَيْرِهِمَا , تَكُونُ مَمْلُوكَةً بِالْأَقْوَالِ , لَا بِالْفُرْقَةِ بَعْدَهَا قِيَاسًا وَنَظَرًا , عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
5550 - وَحَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ كُنْتُ أَشْتَرِي التَّمْرَ , فَأَبِيعُهُ بِرِبْحِ الْآصُعِ , فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اشْتَرَيْتَ فَاكْتَلْ , وَإِذَا بِعْتَ فَكِلْ» فَكَانَ مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا مُكَايَلَةً , فَبَاعَهُ قَبْلَ أَنْ يَكْتَالَهُ , لَا يَجُوزُ بَيْعُهُ , فَإِذَا ابْتَاعَهُ , فَاكْتَالَهُ وَقَبَضَهُ , ثُمَّ فَارَقَ بَيِّعَهُ , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ , أَنَّهُ لَا يَحْتَاجُ بَعْدَ الْفُرْقَةِ إِلَى إِعَادَةِ الْكَيْلِ وَخُولِفَ بَيْنَ اكْتِيَالِهِ إِيَّاهُ بَعْدَ الْبَيْعِ قَبْلَ التَّفَرُّقِ , وَبَيْنَ اكْتِيَالِهِ إِيَّاهُ قَبْلَ الْبَيْعِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا اكْتَالَهُ اكْتِيَالًا , يَحِلُّ لَهُ بَيْعُهُ , فَقَدْ كَانَ ذَلِكَ الِاكْتِيَالُ مِنْهُ , وَهُوَ لَهُ مَالِكٌ. وَإِذَا اكْتَالَهُ اكْتِيَالًا , لَا يَحِلُّ لَهُ بَيْعُهُ , فَقَدْ كَالَهُ وَهُوَ غَيْرُ مَالِكٍ لَهُ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , وُقُوعُ مِلْكِ الْمُشْتَرِي فِي الْبَيْعِ بِابْتِيَاعِهِ إِيَّاهُ , قَبْلَ فُرْقَةٍ تَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَمْوَالَ تُمْلَكُ بِعُقُودٍ , فِي أَبْدَانٍ , وَفِي أَمْوَالٍ , وَفِي مَنَافِعَ , وَفِي أَبْضَاعٍ. فَكَانَ مَا يُمْلَكُ مِنَ الْأَبْضَاعِ , هُوَ النِّكَاحُ , فَكَانَ ذَلِكَ يَتِمُّ بِالْعَقْدِ , لَا بِفُرْقَةٍ بَعْدَهُ. وَكَانَ مَا يُمْلَكُ بِهِ الْمَنَافِعُ , هُوَ الْإِجَارَاتِ , فَكَانَ ذَلِكَ مَمْلُوكًا بِالْعَقْدِ , لَا بِالْفُرْقَةِ بَعْدَ الْعَقْدِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الْأَمْوَالُ الْمَمْلُوكَةُ , بِسَائِرِ الْعُقُودِ , مِنَ الْبُيُوعِ وَغَيْرِهِمَا , تَكُونُ مَمْلُوكَةً بِالْأَقْوَالِ , لَا بِالْفُرْقَةِ بَعْدَهَا قِيَاسًا وَنَظَرًا , عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৫০
empty
৫৫৫০।
5550 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান