শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৫৫১
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৫১। আবু বকরা বককার ইবন কুতায়াবা .....আবু হুরায়রা (রাযিঃ)হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,য়ে ব্যক্তি ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী অথবা উটনী ক্রয় করে দোহন করল, সে দুটি চিন্তা- ভাবনার উওমটি গ্রহন করবে। অর্থাৎ হয় সে উক্ত পশুটি রেখে দিবে, আর না হয় সেটি ফেরত দিবে এবং সাথে এক পাত্র ‘খাদ্য’ প্রদান করবে।
بَابٌ بَيْعُ الْمُصَرَّاةِ
5551 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا عَوْفٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، وَخِلَاسُ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً , أَوْ لِقْحَةً مُصَرَّاةً , فَحَلَبَهَا , فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظِيرَيْنِ , بَيْنَ أَنْ يَخْتَارَهَا , وَبَيْنَ أَنْ يَرُدَّهَا , وَإِنَاءً مِنْ طَعَامٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৫৩
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৫২-৫৩। ফাহাদ বলেন, ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, ফাহাদ তার সু্ত্রে আরো বলেন, হযরত আবু হুরায়রা নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ইচ্ছা কররে সেটি ফিরিয়ে দিবে এবং সাথে এক সা খেজুরও দিবে ।মুহাম্মাদ ইবন যিয়াদের হাদীসে এরুপ বর্ণিত হয়েছে। আর আয়্যূব কর্তূক বর্নিত হাদীসে রয়েছে, “এবং গম ছাড়াএক সা’ খাদ্য প্রদান করবে।”
5552 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ. [ص:18]

5553 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، هُوَ ابْنُ سِيرِينَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ ابْتَاعَ مُصَرَّاةً , فَهُوَ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ تَمْرٍ» هَكَذَا فِي حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ. وَفِي حَدِيثِ أَيُّوبَ وَصَاعًا مِنْ طَعَامٍ لَا سَمْرَاءَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৩
empty
৫৫৫৩।
5553 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৫৭
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৫৪-৫৭। রাবী’ আল- জীযী ও সালিহ ইবন আব্দির রহমান তাদের এবং ইউনুস তার সূত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করল, সে যেটি নিয়ে দোহন করে।আতঃপর সে যদি দোাহন করা দুধে সন্তুষ্ট হয় তবে তা রেখে দিবে। নচেৎ সেঠি ফিরিয়ে দিবে এবং তার সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে।

ইউনুস বলেন,.... হযরত আবু হুরায়রা হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন।
57 - 5554 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، وَصَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، ح

وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ، ح

وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالُوا: حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ بَشَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً , فَلْيَنْقَلِبْ بِهَا , فَلْيَحْلُبْهَا فَإِنْ رَضِيَ حِلَابَهَا أَمْسَكَهَا , وَإِلَّا رَدَّهَا , وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ»

حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৫
empty
৫৫৫৫।
5555 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৬
empty
৫৫৫৬।
5556 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৭
empty
৫৫৫৭।
5557 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৮
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৫৮। ইবন আবী দাউদ বলেন ......... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী কিংবা উটনী ক্রয় করেল অথচ, সে জানেনা যে তা ওলান আটকিয়ে রাখা বকরী কিংবা উটনী।তবে সে ইচ্ছা করলে সেটি ফিরিয়ে দিবে এবং তার সাথে সা’ খেজুরও ফিরিয়ে দিবে। আব ইচ্ছা করলে রেখে দিবে।
5558 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، وَعِكْرِمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً , أَوْ لِقْحَةً مُصَرَّاةً , وَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّهَا مُصَرَّاةٌ , فَإِنَّهُ إِنْ شَاءَ رَدَّهَا وَمَعَهَا صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ , وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৫৯
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৫৯। আলী ইবন আব্দির রহমান... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করল, সে যেন তা নিয়ে যায় এবং দোহন করে; তারপর যদি সে দোহনকরা দুধে সন্তুষ্ট হয় তবে যেন সে রেখে দেয়, নচেৎ সেটি সে ফিরিয়ে দিবে এবং তার সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে।
বিশ্লেষন
আবু জা’ ফর তাহাবী (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) হতে সব হাদীস বর্নিত হয়েছে য়েমন উল্লেখ করেছি। কিন্তু এসব হাদীসে ক্রেতার ইখতিয়ারের জন্য কোন সময়ের উল্লেখ করা হয়নি । অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্নিত আছে যে, তিনি তার জন্য তিনি দিনের ইখতিয়ার প্রদান করেছেন।
5559 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ أَبَا إِسْحَاقَ، حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اشْتَرَى شَاةً مُصَرَّاةً , فَلْيَنْقَلِبْ بِهَا , فَلْيَحْلُبْهَا , فَإِنْ رَضِيَ حِلَابَهَا أَمْسَكَهَا , وَإِلَّا رَدَّهَا وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ رُوِيَتْ هَذِهِ الْآثَارُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا ذَكَرْنَا , وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهَا لِخِيَارِ الْمُشْتَرِي وَقْتًا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ جَعَلَ الْخِيَارَ لَهُ فِي ذَلِكَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬০
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৬০। .আবু উমাইয়্যা বলেন..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী (সা.) ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।তার পরও যদি কেউ বিক্রয় করে তবে ক্রেতার তিন দিনের ইখতিয়ার থাকবে। যদি সে সেটা রাখা অপসন্দ করে তবে ফিরিয়ে দিবে, তবে তার সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে।
5560 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ بَيْعِ الشَّاةِ وَهِيَ مُحَفَّلَةٌ فَإِذَا بَاعَهَا , فَإِنَّ صَاحِبَهَا بِالْخِيَارِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ , فَإِنْ كَرِهَهَا , رَدَّهَا وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৬২
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৬১-৬২। ইউনুস বলেন, ...... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করবে তার ব্যাপারে তার তিন দিনের ইখতিয়ার থাকবে। যদি তার ইচ্ছা হয় তবে রেখে দিবে । আর ইচ্ছা হলে ফিরিয়ে দিবে । তবে তার সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে।

নসর ইবন মারযূক বলেন... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (সা.) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন । তবে এ হাদীসে তিনি বলেন, সেটি সে ফিরিয়ে দিবেন এবং তার সাথে এক সা’ খাদ্যও দিবে। কিন্তু তা গম হতে পারবে না ।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল উলামায়ে* কিরাম এ মত পোষণ করেন যে, ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা বকরী কোন ব্যক্তি ক্রয় করার পর যদি দোহন করে এবং দোহন করা দুধে যদি সে সন্তুষ্ট না হয় তবে তার তিন দিনের ইখতিয়ার থাকবে । যদি সে ইচ্ছা করে তবে তা রেখে দিবে । আর ইচ্ছা না হলে তা ফিরিয়ে দিবে এবং তার সাথে এক সা’ খেজুরও দিবে । তারা উল্লেখিত এসব হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন। যারা এ মত পোষণ করেন তাদের মধ্যে একজন ইবন আবী লায়লাও রয়েছেন। অবশ্য তিনি বলেন, উক্ত বকরী ফিরিয়ে দিয়ার সময় তার সাথে এক সা’ খেজুরের মুল্য ফিরিয়ে দিবে। ইমাম আবু ইউসুফও (রাহঃ) তার কোন কোন লেখনীতে এ মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন । তবে তার এ মত প্রসিদ্ধ নয়। অন্য আর একটি জামাত,* উল্লেখিত এ মতের বিরোধিতা করে বলেন, ক্রেতার পক্ষে ক্রয় করা এ পশু দোস্ষের কারণে ফিরিয়ে অধিকার নেই। অবশ্য বিক্রেতার নিকট হতে দোষী হবার কারণে ক্ষতিপূরন আদায় করতে পারে। যারা এমত পোষন করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্ম্দ ইবনুল হাসান।তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে পূর্বে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তা মানসূখ ও রহিত হয়েছে। আর মানসুখ হবার এ বক্তব্যটি তাদের থেকে ইজমালী ভাবে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে নাসিখ যে কি, সে বিষয়ে তাদের মধ্যে পরস্পরে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।ইবন আবী ইমরান, আবান ইবন মুহাম্মাদ হতে যা বর্ণনা করেছেন, তা হলো রাসূলুল্লাহ (সা.) এর البيعان بالخيار ما لم يتفرقا এই বানী দুধ ওলান আটকিয়ে রাখা পশুর ক্রেতার ইখতিয়ারই কে মানসূখ করে দিয়েছে। আমরা পূর্বেই এ হাদীস সনদসহ এ কিতাবেই বর্ণনা করেছি। এ হাদীসের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন ক্রেতা ও বিক্রেতার ইখতিয়ার তাদের পৃথক হবার কারণে শেষ করেছেন, তখন একথা প্রমানিত হয় যে, পৃথক হবার পর তাদের কারোই ইখতিয়ার থাকে না। আবশ্য আলোচ্য হাদীসে إلا بيع الخيار বলে যা বাদ দেয়া হয়েছে, মজলিস হতে পৃথক হবার পরও সে ইখতিয়ার বহাল থাকবে।ইমাম আবু জাফর তাহবী (রাহঃ) বলেন, আমার মতে অগ্রহগযোগ্য ব্যাখ্যা। কারণ مصراة (ওলানে দুধ আটকিয়ে রাখা পশু) এর ক্ষেত্রে প্রদও ইখতিয়ার হচ্ছে خيار عيب (ক্রটির ইখতিয়ার) خيار عيب আর মজলিস হতে পৃথক হবার কারণে শেষ হয়ে যায় না। দেখুননা, কোন ব্যক্তি যদি কোন গোলাম ক্রয় করার পর তা কবযা করে এবং পৃথক হয়ে যায়।আর তারপর যদি ঐ গোলামের মধ্যে কোন দোষ দেখতে পায়, তাবে সমস্ত মুসলমানদের মতেই বিক্রেতার নিকট তা ফিরিয়ে দেয়ার ইখতিয়ার থাকে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণিত হাদীসে যে পৃথক হয়ে যাবার উল্লেখ করা হয়েছে তা তার ইখতিয়ারকে শেষ করেনা। অনুরুপভাবে যে ব্যক্তি ওলানে আটকিয়ে রাখা বকরী ক্রয় করে তা কবযা করল এবং পরে দোহন করে সে জনতে পারল যে, সে ঠিক যেমন মনে করে বকরীটি ক্রয় করেছিল বাস্তবে তেমন নয় । আর এ দোষ সে এই সময়ের মধ্যে তার বস্তুর অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারে। অতঃপর যদি উক্ত বকরীর ভিতরের অবস্থা তার প্রকাশ্য অবস্থার অনুরুপ হয় তবে এ বকরী তার জন্য রাখা অনিবার্য হয়ে পড়বে । কারণ সে যা ক্রয় করেছে তা সে পুরাপুরী্‌ই নিয়ে নিয়েছে। আয় যদি উক্ত বকরীর প্রকাশ্য অবস্থা তার ভিতরের প্রকৃত অবস্থার বিপরীত হয় তবে তার মধ্যে দোষ সাব্যস্ত হলে এবং সেটি ফিরিয়ে দেয়া তার এটা তার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ল। এ অবস্থায় সে যদি তিন দিনের পর দোষ জেনেও বকরী দোহন করে তবে এটা তার সন্তুষ্টিরই প্রমান বহন করে।আর এই যে কারণটি আমি উল্লেখ করলঅম, এ কারণেই উপরের ব্যাখ্যাটি যে একটি ফাসিদ ব্যাখ্যা তা প্রমানিত হলো।
ঈসা ইবনে আবান বলেন مصراة সম্পর্কে পূর্বে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে যে হুকুম বর্ণিত হয়েছে , তা এমন এক সময়ের হুকুম, যখন গুনাহের শাস্তি স্বরূপ মাল গ্রহন করা হত । আর তারই একটি উদাহরণ হলো, যাকাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর এই হাদীস। তিনি বলেন من أداها طائعا , فله أجرها , وإلا أخذناها منه وشطر ماله , عزمة من عزمات ربنا عز وجل অর্থাৎ যে সতঃস্ফূতভাবে যাকাত আদায় করবে সে ছাওয়ারের অধিকার হবে । আর তা না হলে আমরা জোরপূর্বক তার নিকট হতে যাকাত উসূল করব ।আর আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে শাস্তি হিসেবে তার মালেন অর্ধেক নিয়ে নিব। অনুপভাবে যে ব্যক্তি অরক্ষিত ফল চুরি করবে তার ব্যাপারে হযরত আমর ইবন শু’আইব হতে বর্নিত, তাকে বেত্রাঘাত করা হবে এবং শাস্তি হিসেবে তার নিকট হতে চুরি করা ফলের দ্বিগুন নেয়া হবে।এসব রিওয়ায়াত আমরা সনদসহ وطء الرجل جارية امرأته অধ্যায়ে বর্ণনা করেছি।অতএব এখানে পুনরায় আর বর্ণনা করার পয়োজন নেই। তিনি বলেন, ইসলামের শুরুতে হুকুম এমনই ছিল। কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা পরবর্তীতে তা মানসূখ করেছেন। অর্থাৎ গুনাহগার ও অপরাধীদের নিকট হতে শাস্তি হিসেবে অতিরিক্ত নেয়া হত তা মানমূখ করে দিয়েছেন। অতএব গৃহীত বস্তু যদি مثلي (সদৃশ)হয় অর্থৎ তার অনুরুপ বস্তু থাকে তবে তার বিনিময়ে অনুরুপ বস্তুই নেয়া হবে ।আর مثلي না হলে উক্ত বস্তুর মূল্য নেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওলা্ন ফোলাতে নিষেধ করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর থেকে হাদীসও বর্ণিত হয়েছেঃ
5561 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ سُهَيْلَ بْنَ أَبِي صَالِحٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ ابْتَاعَ شَاةً مُصَرَّاةً , فَهُوَ فِيهَا بِالْخِيَارِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ , فَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا , وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا , وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ»

5562 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , وَحَبِيبٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «رَدَّهَا وَصَاعًا مِنْ طَعَامٍ , لَا سَمْرَاءَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الشَّاةَ الْمُصَرَّاةَ إِذَا اشْتَرَاهَا رَجُلٌ فَحَلَبَهَا , فَلَمْ يَرْضَ حِلَابَهَا , فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ , كَانَ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا , وَإِنْ شَاءَ رَدَّهَا , وَرَدَّ مَعَهَا صَاعًا مِنْ تَمْرٍ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ ابْنُ أَبِي لَيْلَى إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: يَرُدُّهَا وَيَرُدُّ مَعَهَا قِيمَةَ صَاعٍ مِنْ تَمْرٍ. وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ أَيْضًا قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ فِي بَعْضِ أَمَالِيهِ , غَيْرَ أَنَّهُ لَيْسَ بِالْمَشْهُورِ عَنْهُ. وَخَالَفَ ذَلِكَ كُلَّهُ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَيْسَ لِلْمُشْتَرِي رَدُّهَا بِالْعَيْبِ , وَلَكِنَّهُ يَرْجِعُ عَلَى الْبَائِعِ بِنُقْصَانِ الْعَيْبِ. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا. وَذَهَبُوا إِلَى أَنَّ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , مِمَّا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي هَذَا الْبَابِ , مَنْسُوخٌ. فَرُوِيَ عَنْهُمْ هَذَا الْكَلَامُ مُجْمَلًا , ثُمَّ اخْتُلِفَ عَنْهُمْ مِنْ بَعْدُ فِي الَّذِي نَسَخَ ذَلِكَ مَا هُوَ؟ فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شُجَاعٍ , فِيمَا أَخْبَرَنِي عَنْهُ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , نَسَخَهُ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا» وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. فَلَمَّا قَطَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْفُرْقَةِ الْخِيَارَ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَا خِيَارَ لِأَحَدٍ بَعْدَهَا إِلَّا لِمَنِ اسْتَثْنَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ بِقَوْلِهِ «إِلَّا بَيْعَ الْخِيَارِ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَهَذَا التَّأْوِيلُ , عِنْدِي , فَاسِدٌ لِأَنَّ الْخِيَارَ الْمَجْعُولَ فِي الْمُصَرَّاةِ , إِنَّمَا هُوَ خِيَارُ عَيْبٍ , وَخِيَارُ الْعَيْبِ لَا يَقْطَعُهُ الْفُرْقَةُ. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوِ اشْتَرَى عَبْدًا فَقَبَضَهُ , وَتَفَرَّقَا , ثُمَّ رَأَى بِهِ عَيْبًا بَعْدَ ذَلِكَ , أَنَّ لَهُ رَدَّهُ عَلَى بَائِعِهِ , بِاتِّفَاقِ الْمُسْلِمِينَ , لَا يَقْطَعُ ذَلِكَ التَّفَرُّقُ , الَّذِي رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْآثَارِ الْمَذْكُورَةِ عَنْهُ فِي ذَلِكَ. فَكَذَلِكَ الْمُبْتَاعُ لِلشَّاةِ الْمُصَرَّاةِ , فَإِذَا قَبَضَهَا فَاحْتَلَبَهَا , فَعَلِمَ أَنَّهَا عَلَى غَيْرِ مَا كَانَ ظَهَرَ لَهُ مِنْهَا , وَكَانَ ذَلِكَ لَا يَعْلَمُهُ فِي احْتِلَابِهِ مَرَّةً وَلَا مَرَّتَيْنِ , جُعِلَتْ لَهُ فِي ذَلِكَ هَذِهِ الْمُدَّةُ , وَهِيَ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ , حَتَّى يَحْلُبَهَا فِي ذَلِكَ , فَيَقِفَ عَلَى حَقِيقَةِ مَا هِيَ عَلَيْهِ. فَإِنْ كَانَ بَاطِنُهَا كَظَاهِرِهَا , فَقَدْ لَزِمَتْهُ وَاسْتَوْفَى مَا اشْتَرَى. [ص:20] وَإِنْ كَانَ ظَاهِرُهَا بِخِلَافِ بَاطِنِهَا , فَقَدْ ثَبَتَ الْعَيْبُ , وَوَجَبَ لَهُ رَدُّهَا بِهِ. فَإِنْ حَلَبَهَا بَعْدَ الثَّلَاثَةِ أَيَّامٍ , فَقَدْ حَلَبَهَا بَعْدَ عِلْمِهِ بِعَيْبِهَا , فَذَلِكَ رِضَاءٌ مِنْهُ بِهَا. فَلِهَذِهِ الْعِلَّةِ الَّتِي ذَكَرْتُ , وَجَبَ فَسَادُ التَّأْوِيلِ الَّذِي وَصَفْتُ. وَقَالَ عِيسَى بْنُ أَبَانَ: كَانَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحُكْمِ فِي الْمُصَرَّاةِ , بِمَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , فِي وَقْتِ مَا كَانَتِ الْعُقُوبَاتُ فِي الذُّنُوبِ , يُؤْخَذُ بِهَا الْأَمْوَالُ. فَمِنْ ذَلِكَ مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الزَّكَاةِ أَنَّهُ «مَنْ أَدَّاهَا طَائِعًا , فَلَهُ أَجْرُهَا , وَإِلَّا أَخَذْنَاهَا مِنْهُ وَشَطْرَ مَالِهِ , عَزْمَةً مِنْ عَزَمَاتِ رَبِّنَا عَزَّ وَجَلَّ» . وَمِنْ ذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنْهُ فِي حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ فِي سَارِقِ الثَّمَرَةِ الَّتِي لَمْ تُحْرَزْ فَإِنَّهُ يُضْرَبُ جَلَدَاتٍ , وَيَغْرَمُ مِثْلَيْهَا. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ فِي بَابِ وَطْءِ الرَّجُلِ جَارِيَةَ امْرَأَتِهِ، فَأَغْنَانَا ذَلِكَ عَنْ إِعَادَةِ ذِكْرِهَا هَاهُنَا. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ الْحُكْمُ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ كَذَلِكَ حَتَّى نَسَخَ اللهُ الرِّبَا أُفْرِدَتِ الْأَشْيَاءُ الْمَأْخُوذَةُ إِلَى أَمْثَالِهَا , إِنْ كَانَتْ لَهَا أَمْثَالٌ , وَإِلَى قِيمَتِهَا , إِنْ كَانَتْ لَا أَمْثَالَ لَهَا , وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنِ التَّصْرِيَةِ , وَرُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬২
empty
৫৫৬২।
5562 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৩
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৬৩। রাবী’ আল মুয়াযযিন বলেন,.... মাসরুক হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আবুল কাসেম (স) সম্পর্কে এর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি বলেছেন, ওলান ফোলানো পশু বিক্রয় করা প্রতারনার শামিল। আর কোন মুসলমানের পক্ষে প্রতারনা করা হালাল নয়। অতঃপর যে ব্যক্তি এরুপ করল এবং বিক্রয় করন, সে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর নির্দেশের বিরোধিতা করল। এবং তাঁর নিষিদ্ধ কাজের মধ্যে প্রবেশ করল। তার শাস্তি হলো, ক্রেতা তিন দিনে যে দুধ দোহন করবে তা কেবল এক সা’ খেজুরের বিনিময়ে ক্রেতারই হবে। প্রকৃত পক্ষে তার বিনিময় ও মূল্য আরো বহুগুণ হবার সম্ভাবনাই থাকুক না কেন। অতঃপর মালের মাধ্যমে গুনাহের শাস্তি রহিত হয়ে যায়। আর আমরা উপরে যে ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছি তা দ্বারা ঐ ফায়সালাই সাব্যস্ত হয়।
যখন বিষয়টি এমন-ই হলো এবং مصراة কে হুবহু ফিরিয়ে দেয়া ওয়াজিব হলো, অথচ উক্ত পশু হতে দুধ পৃথক করা হয়েছে । এ দ্বারা আমরা জানতে পারলাম যে, ক্রেতা যে দুধ উক্ত পশু হতে দোহন করেছে, তার কিছু অংশতো বিক্রেতার বিক্রয়ের সময়ই তার ওলানে বিদ্যমান ছিল। অত এব উক্ত অংশটি বিক্রয় করা মালের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর বিক্রয়ের পর ঐ দুধের কিছু অংশ ক্রেতার মালিকানাধীন পশুর ওলানে নতুন পয়দা হয়েছে। আর এ কারণেই যখন সম্পর্ণ দুধ বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ দুধের কিছু অংশ তো বিক্রয়ের সময় বিক্রেতার মালিকানাধীন ছিল। আর ক্রেতাকেও সম্পূর্ণ দুধের মালিক বলা যা্বে না। কারণ সে তো বিক্রেতার পক্ষ হতে উক্ত বকরী বিক্রয়ের মাধ্যমে দুধের কিছু অংশের মালিক হয়েছে তার কিছু মূল্যের বিনিময়ে। অতএব পূর্ণ মূল্যের বিনিময়ে শুধু উক্ত বকরী ফিরিয়ে দেয়া এবং বিনা মূল্যেই দুধ ক্রেতার নিকট থেকে যাওয়া জায়েয নয়। সুতরাং পরিস্থিতি যখন এমনই জটিল, সে ক্ষেত্রে ক্রেতাকে উক্র বকরী ফিরিয়ে দিতে নিষেধ করা হবে এবং তার যে ক্ষতি হয়েছে তা সে বিক্রেতার নিকট হতে আদায় করে নিবে। ঈসা ইবন আবান বলেন, এটাই হলো, بيع المصراة এর হুকুমের ব্যাখ্যা।
আবু জা’ফর(রাহঃ)বলেনঃ ইসা ইবন আবান’ এই যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা সঠিক হবার সম্ভাবনা আছে। তবে তিনি আলোচ্য হাদীসকে মানসূখ হবার যে কারণ পেশ করেছেন, আমার নিকট সেটা আপেক্ষা আলোচ্য হাদীস মানসূখ হবার একটা অধিক সঠিক কারণ । আর তা হলো مصراة পশুর ক্রেতা তিন দিন পর্যন্ত যে দুধ দোহন করেছে, ক্রেতার ক্রয় করার পূর্বে তার কিছু অংশ তো বিক্রেতার মালিকানাধীন ছিল এবং তার কিছু অংশ ক্রেতার ক্রয়ের পর তার মালিকানাধীন হবার পর তার ওলানে পয়দা হয়েছে । তবে সে একাধিক বার দুধ দোহন করেছে, সুতরাং যে দুধ বিক্রেতার মালিকানাধীন ছিল এবং উক্ত দুধের পশু ক্রয় করার সাথে তাও ক্রয় করা হয়েছিল। অতএব যখন উক্ত পশুর মধ্যে ক্রয়- বিত্রয়ের চুক্তি বাতিল হবে তখন ঐ পশুর সহিত দুধের মধ্যেও ক্রয় – বিক্রয়ের চুক্তি বাতিল হবে।আর ক্রেতার মালিকানাধীন হবার পর যে দুধ উক্ত বকরীর ওলানে পয়দা হয়েছিল ক্রেতা তার মালিক হয়েছিল শুধু ক্রয়- বিক্রয়ের চুক্তির কারণেই।এখন উক্ত বকরীর যে হুকুম, উক্ত দুধেরও সেই একই হুকুম হবে। কারণ, দুধতো ঐ বকরীর শরীর হতেই পয়দা হয়েছিল। এটা আমাদের মাযহাব । আর নবী(সা.) مصراة বকরী ফিরিয়ে দেবার পর মাত্র এক সা’ খেজুরের বিনিময়ে তার থেকে দোহন করা সব দুধের মালিক ঐ ক্রেতাকেই বানিয়ে দিয়েছেন।আর ঐ খেজুর বকরীর সহিতই ফিরিয়ে দেয়া তিনি তার ওপর ওয়াজিব করেছিলেন, আর তখন তার সবটুকু দুধ হালাক হয়েছে অথবা কিছু অংশ হালাক হয়েছে।সুতরাং ক্রেতা যেন অনির্ধারিত এক সা’ খেজুরের বিনিময়ে অনির্ধারিত দুধের মালিক হয়েছে। অতএব এটা بيع الدين بالدين এর অন্তর্ভুক্ত।অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ধরনের ক্রয় – বিক্রয় হতে নিষেধ করেছেন।
5563 - فَذَكَرَ مَا قَدْ حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ , عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ , عَنْ أَبِي الضُّحَى , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: أَشْهَدُ عَلَى الصَّادِقِ الْمَصْدُوقِ أَبِي الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ «إِنَّ بَيْعَ الْمُحَفَّلَاتِ خِلَابَةٌ , وَلَا يَحِلُّ خِلَابَةُ مُسْلِمٍ» فَكَانَ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ وَبَاعَ مَا قَدْ جَعَلَ يَبِيعُهُ إِيَّاهُ مُخَالِفًا لِمَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَاخِلًا فِيمَا نَهَى عَنْهُ , فَكَانَتْ عُقُوبَتُهُ فِي ذَلِكَ أَنْ يَجْعَلَ اللَّبَنَ الْمَحْلُوبَ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ لِلْمُشْتَرِي بِصَاعٍ مِنْ تَمْرٍ , وَلَعَلَّهُ يُسَاوِي آصُعًا كَثِيرَةً , ثُمَّ نُسِخَتِ الْعُقُوبَاتُ فِي الْأَمْوَالِ بِالْمَعَاصِي , وَرُدَّتِ الْأَشْيَاءُ إِلَى مَا ذَكَرْنَا. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَوَجَبَ رَدُّ الْمُصَرَّاةِ بِعَيْنِهَا , وَقَدْ زَايَلَهَا اللَّبَنُ , عَلِمْنَا أَنَّ ذَلِكَ اللَّبَنَ الَّذِي أَخَذَهُ الْمُشْتَرِي مِنْهَا , قَدْ كَانَ بَعْضُهُ فِي ضَرْعِهَا , فِي وَقْتِ وُقُوعِ الْبَيْعِ عَلَيْهَا , فَهُوَ فِي حُكْمِ الْمَبِيعِ , وَبَعْضُهُ حَدَثَ فِي ضَرْعِهَا فِي مِلْكِ الْمُشْتَرِي , بَعْدَ وُقُوعِ الْبَيْعِ عَلَيْهَا , فَذَلِكَ لِلْمُشْتَرِي. فَلَمَّا لَمْ يَكُنْ رَدَّ اللَّبَنَ , بِكَمَالِهِ عَلَى الْبَائِعِ , إِذَا كَانَ بَعْضُهُ بِمَا لَمْ يَمْلِكْ بَيْعَهُ , وَلَمْ يُمْكِنْ أَنْ يُجْعَلَ اللَّبَنُ كُلُّهُ لِلْمُشْتَرِي إِنْ كَانَ مَلَكَ بَعْضَهُ مِنْ قِبَلِ الْبَائِعِ بِبَيْعِهِ إِيَّاهُ الشَّاةَ الَّتِي قَدْ رَدَّهَا عَلَيْهِ بِالْعَيْبِ , وَكَانَ مِلْكُهُ لَهُ إِيَّاهُ بِجُزْءٍ مِنَ الثَّمَنِ الَّذِي كَانَ وَقَعَ بِهِ الْبَيْعُ , فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَرُدَّ الشَّاةَ بِجَمِيعِ الثَّمَنِ , وَيَكُونَ ذَلِكَ اللَّبَنُ سَالِمًا لَهُ بِغَيْرِ ثَمَنٍ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , مَنَعَ الْمُشْتَرِيَ مِنْ رَدِّهَا , وَرَجَعَ عَلَى بَائِعِهِ بِنُقْصَانِ عَيْبِهَا , قَالَ عِيسَى: فَهَذَا وَجْهُ حُكْمِ بَيْعِ الْمُصَرَّاةِ. [ص:21] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَالَّذِي قَالَ عِيسَى مِنْ هَذَا , يَحْتَمِلُ غَيْرَ مَا قَالَ , إِنِّي رَأَيْتُ فِي ذَلِكَ وَجْهًا هُوَ أَشْبَهُ , عِنْدِي , بِنَسْخِ هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ ذَلِكَ الْوَجْهِ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ عِيسَى. وَذَلِكَ أَنَّ لَبَنَ الْمُصَرَّاةِ الَّذِي احْتَلَبَهُ الْمُشْتَرِي مِنْهَا , فِي الثَّلَاثَةِ الْأَيَّامِ الَّتِي احْتَلَبَهَا فِيهَا , قَدْ كَانَ بَعْضُهُ فِي مِلْكِ الْبَائِعِ قَبْلَ الشِّرَاءِ , وَحَدَثَ بَعْضُهُ فِي مِلْكِ الْمُشْتَرِي بَعْدَ الشِّرَاءِ , إِلَّا أَنَّهُ قَدِ احْتَلَبَهَا مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ. فَكَانَ مَا كَانَ فِي يَدِ الْبَائِعِ مِنْ ذَلِكَ مَبِيعًا , إِذَا أَوْجَبَ نَقْضَ الْبَيْعِ فِي الشَّاةِ , وَجَبَ نَقْضُ الْبَيْعِ فِيهِ. وَمَا حَدَثَ فِي يَدِ الْمُشْتَرِي مِنْ ذَلِكَ , فَإِنَّمَا كَانَ مَلَكَهُ , بِسَبَبِ الْبَيْعِ أَيْضًا , وَحُكْمُهُ حُكْمُ الشَّاةِ , لِأَنَّهُ مِنْ بَدَنِهَا هَذَا عَلَى مَذْهَبِنَا. وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ لِمُشْتَرِي الْمُصَرَّاةِ بَعْدَ رَدِّهَا , جَمِيعَ لَبَنِهَا الَّذِي كَانَ حَلَبَهُ مِنْهَا بِالصَّاعِ مِنَ التَّمْرِ الَّذِي أَوْجَبَ عَلَيْهِ رَدَّهُ مَعَ الشَّاةِ. وَذَلِكَ اللَّبَنُ حِينَئِذٍ قَدْ تَلِفَ , أَوْ تَلِفَ بَعْضُهُ فَكَانَ الْمُشْتَرِي قَدْ مَلَكَ لَبَنًا دَيْنًا , بِصَاعِ تَمْرٍ دَيْنٍ , فَدَخَلَ ذَلِكَ فِي بَيْعِ الدَّيْنِ بِالدَّيْنِ ثُمَّ نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَعْدُ , عَنْ بَيْعِ الدَّيْنِ بِالدَّيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৪
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৬৪। আবু বকরা ও ইবন মারযূক বলেন ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী(সা.) دين (অনির্ধারিত বস্তুকে) কে دين - এর বিনিময়ে বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন । সুতারং এ হাদীস দ্বারা مصراة সম্পর্কে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা মানসূখ হয়েছে।
যে ব্যক্তি مصراة সম্পর্কিত হাদীসের ওপর আমল করতে চায় যার আলোচনা আমরা এ অনূচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি তাকে বলা হবে রাসুলুল্লাহ (সা.)হতে বর্ণিত তিনি বলেন الخراج بالضمان بيع থেকে অর্জিত নফা –এর অধিকার দায় বহন দ্বারা সাব্যস্ত হয়। আর উলামা-ই কিরাম এ হাদীস মুতাবিকও আমল করেন।
5564 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، وَابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَا: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، قَالَ أَبُو بَكْرَةَ فِي حَدِيثِهِ: أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، وَقَالَ ابْنُ مَرْزُوقٍ فِي حَدِيثِهِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ الزَّيْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ يَعْنِي: الدَّيْنَ بِالدَّيْنِ. فَنَسَخَ ذَلِكَ مَا كَانَ تَقَدَّمَ مِنْهُ , مِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي الْمُصَرَّاةِ , مِمَّا حُكْمُهُ حُكْمُ الدَّيْنِ. وَيُقَالُ لِلَّذِي ذَهَبَ إِلَى الْعَمَلِ بِمَا رُوِيَ فِي الْمُصَرَّاةِ , مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ «الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ» وَعَمِلَتْ بِذَلِكَ الْعُلَمَاءُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৬৬
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৬৫। ইবন মারযূক ও সালিহ ইবন আব্দির রহমান নিজস্ব সুত্রে হযরত আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন নবী (সা.) ইরশাদ করেন, খারাজ হবে যামান এর বিনিময়ে।
5565 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، ح

5566 - وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْخَرَاجُ بِالضَّمَانِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৬
empty
৫৫৬৬।
5566 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৬৯
৫. স্তনে দুধ আটকিয়ে গবাদি পশুর বেচা-কেনা প্রসঙ্গ
৫৫৬৭-৬৯। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা বরেন. হযরত আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত. তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি একটা গোলাম ক্রয় করল। অতঃপর যে তার দ্বারা কিছুকাল উপার্জন করল । পরবর্তীতে তার মধ্যে দোষ দেখা গেলে সে নবী (ﷺ) এর নিকট অভিযোগ করল। অতঃপর তিনি দোষের কারণে গোলামটা ফিরিয়ে দেন। তখন লোকটি বললো, ইয়া রাসূল্ল্লাহ সে তো তার দ্বারা কিছু ‍উপার্জন করেছে, তখন তিনি তাকে বললেন, খারাজ যামান এর বিনিময়ে হয়ে থাকে।

রাবী আল-জীযী বলেন, হযরত আয়িশা (রাযিঃ) নবী (সা.) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

সলিহ ইবন আব্দির রহমান বলেন .... মুসলিম ইবন খালিদ হাদীসটি অনূরূপ বর্ণনা করেছেন। উলামা-ই কিরাম এ হদিীসটি গ্রহণ করেছেন। আর আপনিও একথা বলেন যে, কোন ব্যক্তি যদি বকরী ক্রয় করে তার থেকে দুধ দোহন করে, অতঃপর তার মধ্যে ওলান ফোলানো ছাড়া অন্য কোন দোষ পায় তবে যে বকরটি ফিরিয়ে দিবে কিন্তু দুধ তারিই হবে। অনুরূপ ভাবে যদি দুধের পরিবর্তে বাচ্চা প্রসবের বিষয় হয় তবে সে ক্ষেত্রেও সে বকরীটি কিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিবে এবং বকরীর বাচ্চার মালিক সেই (ক্রেতা) হবে। আর এই যে দুধ ও বাচ্চা আপনার মতেও ঐ উপর্চিত বস্তু বলে বিবেচিত হবে, যা রাসূলুল্লাহ (সা.) যামান বিনিময়ে ক্রেতার জন্য সাব্যস্ত করেছেন।
অতএব شاة مصراة কে যখন تصريه এর কারণে বিক্রেতান নিকট ক্রেতা ফিরিয়ে দেয়, তখন আপনি তার ওপর এক সা’ খেজুর ওয়াজিব সাব্যস্ত করেন, তা হয় ঐ পূর্ণ দুধের বিনিময়ে হবে,যা বকরী হতে দোহন করা হয়েছে, যার কিছু অংশ বিক্রয়ের সময়ই বকরীর ওলানে ছিল । আর কিছু অংশ বিক্রয়ের পরে নতুন পয়দা হয়েছে। অথবা শুধু কেবল ঐ দুধের বিনিময়ে, যা বিক্রয়ের সময় ওলানে মওজুদ ছিল । তবে আপনার ঐ নীতিকে আপনি লংঘন করবেন, যে নীতি অনুসারে আপনি উক্ত বকরীর মধ্যে দোষ প্রমানিত হবার পর ক্রেতর নিকট ফিরিয়ে দিয়ে তার দুধ ও বাচ্চা ক্রেতার জন্য সাব্যস্ত করেছেন। কারণ আপনি তো ঐ দুধ ও বাচ্চার জন্য خراج এর ঐ হুকুমই সাব্যস্ত করেছেন, যে হুকুম নবী(সা.) ক্রেতার জন্য ضمان এর কারণে সাব্যস্ত করেছেন ।আর যদি ঐ এক সা খেজুর শুধু ঐ দুধের বিনিময়ে হয়, যে দুধ বিক্রয়ের সময় বকরীর ওলানে ছিল। আর অবশিষ্ট দুধ ক্রেতার জন্য নিরাপদ থাকবে, কারণ তা খারাজভুক্ত, তবে সে ক্ষেত্রে আপনি বিক্রেতার জন্য অনির্ধারিত দুধের বিনিময়ে এক সা অনির্ধারিত খেজুর সাব্যস্ত করেছেন । অথচ, আপনার বক্তব্য অনুসারে এবং অন্যের বক্তব্য অনুসারেও এটা জায়েয নয় । উল্লেখিত দুটি কারণের যে কারণের ওপরই ভিওি করে এই অর্থ আপনার মনে নির্মিত হোক, তাতে আপনি আপনার নীতিসমূহের একটি নীতি বর্জন করবেন । তাবে مصراة এর ব্যাপারে আপনি এ হুকুম মানসূখ হবার যে মত প্রকাশ করেছেন, সে মতটি অন্যের তুলনায় উত্তম। কারণ আপনি ওলান হতে দোহন করা দুধকে خراج -এর হুকুমে গণ্য করেন, অথচ অন্যরা তা করেন না।
5567 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا الزِّنْجِيُّ بْنُ خَالِدٍ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: زَعَمَ لَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ , [ص:22] عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: إِنَّ رَجُلًا اشْتَرَى عَبْدًا فَاسْتَغَلَّهُ , ثُمَّ رَأَى بِهِ عَيْبًا , فَخَاصَمَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّهُ بِالْعَيْبِ. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّهُ قَدِ اسْتَغَلَّهُ فَقَالَ لَهُ: «الْغَلَّةُ بِالضَّمَانِ»

5568 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا مُطَّرِفُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ثنا الزِّنْجِيُّ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ

5569 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونِ، قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَتَلَقَّى الْعُلَمَاءُ هَذَا الْخَبَرَ بِالْقَبُولِ , وَزَعَمْتَ أَنْتَ أَنَّ رَجُلًا لَوِ اشْتَرَى شَاةً فَحَلَبَهَا , ثُمَّ أَصَابَ بِهَا عَيْبًا غَيْرَ التَّحْفِيلِ , أَنَّهُ يَرُدُّهَا وَيَكُونُ اللَّبَنُ لَهُ. وَكَذَلِكَ لَوْ كَانَ مَكَانَ اللَّبَنِ وَلَدٌ وَلَدَتْهُ , رَدَّهَا عَلَى الْبَائِعِ , وَكَانَ الْوَلَدُ لَهُ , وَكَانَ ذَلِكَ , عِنْدَكَ , مِنَ الْخَرَاجِ الَّذِي جَعَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُشْتَرِي بِالضَّمَانِ. فَلَيْسَ يَخْلُو الصَّاعُ الَّذِي تُوجِبُهُ عَلَى مُشْتَرِي الْمُصَرَّاةِ , إِذَا رَدَّهَا إِلَى الْبَائِعِ بِالتَّصْرِيَةِ أَنْ يَكُونَ عِوَضًا مِنْ جَمِيعِ اللَّبَنِ الَّذِي احْتَلَبَهُ مِنْهَا الَّذِي كَانَ بَعْضُهُ فِي ضَرْعِهَا فِي وَقْتِ وُقُوعِ الْبَيْعِ , وَحَدَثَ بَعْضُهُ فِي ضَرْعِهَا بَعْدَ الْبَيْعِ أَوْ يَكُونُ عِوَضًا مِنَ اللَّبَنِ الَّذِي كَانَ فِي ضَرْعِهَا , فِي وَقْتِ وُقُوعِ الْبَيْعِ خَاصَّةً. فَإِنْ كَانَ عِوَضًا مِنْهُمَا , فَقَدْ نَقَضْتَ بِذَلِكَ أَصْلَكَ الَّذِي جَعَلْتَ الْوَلَدَ وَاللَّبَنَ لِلْمُشْتَرِي بَعْدَ الرَّدِّ بِالْعَيْبِ , لِأَنَّكَ جَعَلْتَ حُكْمَهَا حُكْمَ الْخَرَاجِ الَّذِي جَعَلَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُشْتَرِي بِالضَّمَانِ. وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الصَّاعُ عِوَضًا مِمَّا كَانَ فِي ضَرْعِهَا فِي وَقْتِ وُقُوعِ الْبَيْعِ خَاصَّةً , وَالْبَاقِي سَالِمٌ لِلْمُشْتَرِي , لِأَنَّهُ مِنَ الْخَرَاجِ , فَقَدْ جَعَلْتَ لِلْبَائِعِ صَاعًا دَيْنًا بِلَبَنٍ دَيْنٍ , وَهَذَا غَيْرُ جَائِزٍ فِي قَوْلِكَ , وَلَا فِي قَوْلِ غَيْرِكَ. فَعَلَى أَيِّ الْوَجْهَيْنِ كَانَ هَذَا الْمَعْنَى عَلَيْهِ , عِنْدَكَ , فَأَنْتَ بِهِ تَارِكٌ أَصْلًا مِنْ أُصُولِكَ. وَقَدْ كُنْتَ أَنْتَ بِالْقَوْلِ بِنَسْخِ هَذَا الْحُكْمِ فِي الْمُصَرَّاةِ أَوْلَى مِنْ غَيْرِكَ , لِأَنَّكَ أَنْتَ تَجْعَلُ اللَّبَنَ فِي حُكْمِ الْخَرَاجِ , وَغَيْرُكَ لَا يَجْعَلُهُ كَذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৮
empty
৫৫৬৮।
5568 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬৯
empty
৫৫৬৯।
5569 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান