শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫০৩
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫০২-০৩। রাবী' ইবনে সুলায়মান আল-মুয়াযযিন বলেন, আসাদ ..... হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা কম দামে ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাজার ছেড়ে আগে বেড়ােনা, এবং তােমাদের কেউ কাউকে পথে রােধ করাে না।*
রাওহা-ইবনুল ফারাজ বলেন, ইউসুফ ইবনে আদী ..... হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা বাজার ছেড়ে আগে বেড়াে না।
রাওহা-ইবনুল ফারাজ বলেন, ইউসুফ ইবনে আদী ..... হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা বাজার ছেড়ে আগে বেড়াে না।
بَابٌ تَلَقِّي الْجَلَبِ
5502 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، قَالَ: أنا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَسْتَقْبِلُوا السُّوقَ , وَلَا يَتَلَقَّ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ» .
5503 - وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , قَالَ: ثنا سِمَاكٌ , عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَسْتَقْبِلُوا السُّوقَ»
5503 - وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , قَالَ: ثنا سِمَاكٌ , عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَسْتَقْبِلُوا السُّوقَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৩
empty
৫৫০৩।
5503 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫০৫
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫০৪-০৫। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে ইউনুস বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে নুমাইর ..... হযরত ইবনে উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বাজারে আসার আগেই আগে বেড়ে পণ্য ধরে ফেলতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করেছেন।*
৫০৮৯. ফাহাদ বলেন, ..... ইবনে নুমাইর নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।*
৫০৮৯. ফাহাদ বলেন, ..... ইবনে নুমাইর নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।*
5504 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُتَلَقَّى السِّلَعُ حَتَّى تَدْخُلَ الْأَسْوَاقَ
5505 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا ابْنُ نُمَيْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
5505 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا ابْنُ نُمَيْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৫
empty
৫৫০৫।
5505 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৬
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫০৬। আলী ইবনে আব্দির রহমান বলেন, আলী ইবনে জা’দ.....হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা (শহরের বাইরে গিয়ে) ‘মালামাল’ ধরে ফেলাে না।*
5506 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَتَلَقَّوْا الْبُيُوعَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৭
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫০৭। মুহাম্মাদ ইবনে উযাইয আল-আয়লী বলেন, ..... হযরত ইবনে উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বাজারে এসে পৌঁছার আগে (পথেই) পণ্যসম্ভার ধরে ফেলতে নিষেধ করেছেন।*
5507 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَزِيزٍ الْأَيْلِيُّ , قَالَ: أَخْبَرَنَا سَلَامَةُ بْنُ رَوْحٍ , عَنْ عُقَيْلٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُتَلَقَّى السِّلَعُ , حَتَّى يَهْبِطَ أَيْ يَنْزِلَ بِهَا الْأَسْوَاقَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৮
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫০৮। নসর ইবনে মারযূক বলেন, ......... মুসলিম আল-যায়্যাত, হযরত ইবনে উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ব্যবসায়ী কাফেলাকে পথেই ধরে ফেলতে নিষেধ করেছেন।*
5508 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْخَيَّاطِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُتَلَقَّى الرُّكْبَانُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০৯
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫০৯। আহমদ ইবনে দাউদ বলেন, ইয়াকূব ইবনে হুমাইদ ..... হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, বাজারে এসে পৌঁছার আগে (পথেই) কোন পণ্য তােমরা ধরে ফেলাে না।*
5509 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ صَالِحِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا تَلَقَّوْا شَيْئًا مِنَ الْبَيْعِ , حَتَّى يَقْدَمَ سُوقَكُمْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১০
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১০। বাহর ইবনে নসর* বলেন, আব্দুর রহমান..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে ধরে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। অথবা তিনি বলেন, ধরে ফেলা হতে নিষেধ করা হয়েছে।
5510 - وَحَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: نُهِينَا , أَوْ نُهِيَ عَنِ التَّلَقِّي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১১
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১১। আবু বকরা বলেন, মুআম্মিল ইবনে ইসমাঈল ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা বাণিজ্যিক কাফেলা ধরে ফেলে না।
5511 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَلَقَّوُا الرُّكْبَانَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১২
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১২। ইবরাহীম ইবনে মারযূক বলেন, বিশর ইবনে আমর ..... নবী (ﷺ)-এর জনৈক সাহাবী হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা আমদানিকৃত 'মাল' (পথেই) ধরে ফেললা না।
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম এ সব হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করে বলেন, যে ব্যক্তি কোন পণ্য বাজারে আসার আগেই পথে ধরে ফেলে তা ক্রয় করল, তার এ ক্রয় করা বাতিল।* পক্ষান্তরে অন্য একদল আলিম** এদের বিরােধিতা করে বলেন, যে সব শহরে গ্রাম হতে আগত মালের সহিত সাক্ষাত করে ক্রয় করলে শহরবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখানে এরূপ সাক্ষাত করা মাকরূহ। অবশ্য তাদের নিকট হতে ক্রয় করা জায়িয। পক্ষান্তরে যে সব শহরের অধিবাসীরা এরূপ সাক্ষাত করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়না, সে সব শহরে সাক্ষাত করায় কোন অসুবিধা নেই। আর তাদের এ মত প্রমাণিত করার জন্য তারা এ হাদীস পেশ করেনঃ
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম এ সব হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করে বলেন, যে ব্যক্তি কোন পণ্য বাজারে আসার আগেই পথে ধরে ফেলে তা ক্রয় করল, তার এ ক্রয় করা বাতিল।* পক্ষান্তরে অন্য একদল আলিম** এদের বিরােধিতা করে বলেন, যে সব শহরে গ্রাম হতে আগত মালের সহিত সাক্ষাত করে ক্রয় করলে শহরবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখানে এরূপ সাক্ষাত করা মাকরূহ। অবশ্য তাদের নিকট হতে ক্রয় করা জায়িয। পক্ষান্তরে যে সব শহরের অধিবাসীরা এরূপ সাক্ষাত করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়না, সে সব শহরে সাক্ষাত করায় কোন অসুবিধা নেই। আর তাদের এ মত প্রমাণিত করার জন্য তারা এ হাদীস পেশ করেনঃ
5512 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا تَلَقَّوْا الْجَلَبَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَاحْتَجَّ قَوْمٌ بِهَذِهِ الْآثَارِ , فَقَالُوا: مَنْ تَلَقَّى شَيْئًا قَبْلَ دُخُولِهِ السُّوقَ , ثُمَّ اشْتَرَاهُ , فَشِرَاؤُهُ بَاطِلٌ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ مَدِينَةٍ يَضُرُّ التَّلَقِّي بِأَهْلِهَا , فَالتَّلَقِّي فِيهَا مَكْرُوهٌ , وَالشِّرَاءُ جَائِزٌ , وَكُلُّ مَدِينَةٍ لَا يَضُرُّ التَّلَقِّي بِأَهْلِهَا , فَلَا بَأْسَ بِالتَّلَقِّي فِيهَا
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৩
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৩। ফাহদ বলেন, আবু বকর ইবনে আবী শায়বা ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্যিক কাফেলাকে (পথে থাকতেই) ধরে ফেলতাম এবং অনুমান করে তাদের নিকট হতে খাদ্য ক্রয় করতাম। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উক্ত খাদ্য স্থানান্তরিত করার পূর্বে বিক্রয় করতে নিষেধ করেন।
5513 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا نَتَلَقَّى الرُّكْبَانَ , فَنَشْتَرِي مِنْهُمُ الطَّعَامَ جُزَافًا , فَنَهَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَبِيعَهُ , حَتَّى نُحَوِّلَهُ مِنْ مَكَانِهِ , أَوْ نَنْقُلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৪
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৪। রাবী' আল-জীযী বলেন, হাসসান ইবনে গালিব ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তারা (সাহাবা-ই কিরাম) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে কাফেলার নিকট হতে খাদ্য ক্রয় করতেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের নিকট এমন কিছু লোক পাঠিয়ে দিতেন, যারা তাদেরকে তাদের ক্রয়ের স্থানে বিক্রয় করতে বাধা দিতাে। যাবত না তারা খাদ্য বিক্রয়ের স্থানে (বাজারে) পৌঁছতাে।
মােট কথা, এসকল হাদীসে পণ্য ধরে ফেলার বৈধতা রয়েছে, আর প্রথমােক্ত হাদীসগুলােতে রয়েছে এর নিষিদ্ধতা। অতএব দু' প্রকার হাদীসের মধ্যে বিরােধ মীমাংসা করে উভয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই হলাে উত্তম ব্যবস্থা। সুতরাং শহরে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য যে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হবে, সে ক্ষেত্রে তাে তা নিষিদ্ধ হবে। আর যে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হবে না সে ক্ষেত্রে জায়িয হবে। আমাদের মতে হাদীসসমূহের ব্যাখ্যা এটাই والله اعلم
বহিরাগত ব্যবসায়ীদেরকে পথেই ধরে ফেলা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিকট হতে মাল ক্রয় করা যে জায়িয, একথা তারা নিমের হাদীস দ্বারা প্রমাণ করেনঃ
মােট কথা, এসকল হাদীসে পণ্য ধরে ফেলার বৈধতা রয়েছে, আর প্রথমােক্ত হাদীসগুলােতে রয়েছে এর নিষিদ্ধতা। অতএব দু' প্রকার হাদীসের মধ্যে বিরােধ মীমাংসা করে উভয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই হলাে উত্তম ব্যবস্থা। সুতরাং শহরে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য যে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হবে, সে ক্ষেত্রে তাে তা নিষিদ্ধ হবে। আর যে ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হবে না সে ক্ষেত্রে জায়িয হবে। আমাদের মতে হাদীসসমূহের ব্যাখ্যা এটাই والله اعلم
বহিরাগত ব্যবসায়ীদেরকে পথেই ধরে ফেলা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিকট হতে মাল ক্রয় করা যে জায়িয, একথা তারা নিমের হাদীস দ্বারা প্রমাণ করেনঃ
5514 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا حَسَّانُ بْنُ غَالِبٍ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّهُمْ كَانُوا يَشْتَرُونَ الطَّعَامَ مِنَ الرُّكْبَانِ , عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ عَلَيْهِمْ مَنْ يَمْنَعُهُمْ أَنْ يَبِيعُوهُ حَيْثُ اشْتَرَوْهُ , حَتَّى يُبَلِّغُوهُ إِلَى حَيْثُ يَبِيعُونَ الطَّعَامَ فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ إِبَاحَةُ التَّلَقِّي , وَفِي الْأَوَّلِ , النَّهْيُ عَنْهُ , فَأَوْلَى بِنَا أَنْ نَجْعَلَ ذَلِكَ عَلَى غَيْرِ التَّضَادِّ وَالْخِلَافِ. فَيَكُونُ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنَ التَّلَقِّي , لَمَا فِي ذَلِكَ مِنَ الضَّرَرِ عَلَى غَيْرِ الْمُتَلَقِّينَ الْمُقِيمِينَ فِي الْأَسْوَاقِ. وَيَكُونُ مَا أُبِيحَ مِنَ التَّلَقِّي , هُوَ الَّذِي لَا ضَرَرَ فِيهِ عَلَى الْمُقِيمِينَ فِي الْأَسْوَاقِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذِهِ الْآثَارِ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ
وَاحْتَجُّوا فِي إِجَازَةِ الشِّرَاءِ مَعَ التَّلَقِّي الْمَنْهِيِّ عَنْهُ بِمَا
وَاحْتَجُّوا فِي إِجَازَةِ الشِّرَاءِ مَعَ التَّلَقِّي الْمَنْهِيِّ عَنْهُ بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৫
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৫। আলী ইবনে আব্দিল্লাহ বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে বকর আস্সাহামী, ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন, তােমরা আমদানি করা মাল (পথেই) ধরে ফেলাে না। কেউ যদি পথে ধরে ফেলে তাহতে কিছু ক্রয় করে তাহলে বিক্রেতা যখন বাজারে আগমন করবে, তখন তার ইখতিয়ার থাকবে।
5515 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَلَقَّوْا الْجَلَبَ , فَمَنْ تَلَقَّاهُ فَاشْتَرَى مِنْهُ شَيْئًا , فَهُوَ بِالْخِيَارِ إِذَا أَتَى بِالسُّوقِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৬
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৬। ইবনে আবী আদী বলেন, ইউসুফ ইবনে আদী ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা বাইরে থেকে আনা মালের দিকে যেওনা। কোন স্থানীয় ব্যক্তি গ্রাম্য ব্যক্তির মাল যেন বিক্রয় না করে। আর বিক্রেতা যখন বাজারে প্রবেশ করবে তখন তার ইখতিয়ার থাকবে।
মােট কথা, এ সকল হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমদানি মাল’ পথে ধরে ফেলতে নিষেধ করেছেন। তারপর এ ক্ষেত্রে বিক্রেতাকে বাজারে প্রবেশ করার পর ইখতিয়ারও প্রদান করেছেন। আর ইখতিয়ার তাে কেবল বিশুদ্ধ ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যেই হয়ে থাকে। কারণ ক্রয়-বিক্রয় যদি জায়িযই না হত, তবে বিক্রেতা ও ক্রেতাকে তাদের ক্রয়-বিক্রয় রহিত করার জন্য বাধ্য করা হত এবং তাদের পক্ষে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় থাকত না। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বিক্রেতাকে এ ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করেছেন, তখন বিক্রয়ের এ যুক্তি যে শুদ্ধ হয়েছে, তা প্রমাণিত হয়। যদিও বহিরাগত মাল ও বাণিজ্যিক কাফেলাকে পথে ধরে ফেলা নিষিদ্ধ ছিল।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আপনারা তাে যে বিক্রেতাকে পথে ধরে মাল ক্রয় করা হয়েছে, তার জন্য ইখতিয়ার সাব্যস্ত করেন না অথচ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে উল্লেখিত এ হাদীসে ইখতিয়ার প্রদান করেছেন। তবে আল্লাহর নিকট তাওফীক প্রার্থনা করে আমরা তাকে এই জবাব দিব, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত البيعان بالخيار ما لم يتفرقا অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে, যাবত না তারা পৃথক হবে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুতাওয়াতির সূত্রে এ হাদীস বর্ণিত। আমরা ইনশাআল্লাহু এই কিতাবেই যথাস্থানে এর উল্লেখ করব। এ হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পারলাম যে, ক্রেতা ও বিক্রেতা পৃথক হবার পর আর তাদের কোন ইখতিয়ার থাকে না।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, আপনি তাে সেই ব্যক্তির জন্য ইখতিয়ার সাব্যস্ত করেন, যে ব্যক্তি না দেখে কোন বস্তু ক্রয় করে, তারপর সে দেখার পর রাজী হলেই তার ক্রয় সম্পন্ন হয়। অতএব ঐ বিক্রেতার জন্যও অনুরূপ ইখতিয়ার হতে পারে, যাকে শহরের বাইরে ধরে ফেলে তার থেকে ক্রয় করা হয়েছেঃ
এ প্রশ্নের জবাবে তাকে বলা হবে, خيار الرؤية (না দেখে ক্রয় করা মাল দেখার পর ক্রেতাকে যে
ইখতিয়ার দেয়া হয়) আমরা কিয়াস দ্বারা সাব্যস্ত করিনি। বরং আমরা সাহাবা-ই কিরামকে সর্বসম্মতিক্রমে এই ইখতিয়ার সাব্যস্ত করতে দেখেছি। তারা এ ব্যাপারে কোন মতবিরােধ করেননি। আর এ ব্যাপারে বিরােধ এসেছে সাহাবা কিরামের পরে। অতএব আমরা এ বিষয়টিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর এ হাদীস البيعان بالخيار ما لم يتفرقا থেকে বহির্ভূত করেছি। তদুপরি আমরা একথা জানতে পেরেছি যে, তিনি এ হাদীসে এ বিষয়টি উদ্দেশ্যও করেননি। কারণ এ বিষয়টি যে এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়, এ ব্যাপারে তাদের ইজমা ও ঐক্যমত রয়েছে। যেমন, بيع سلم জায়িয হবার ব্যাপারে সাহাবা-ই কিরামের ইজমা দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, ‘সালাম বিক্রয়’ ঐ হাদীসে অন্তর্ভুক্ত নয়, যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ বস্তু বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন যা তােমার কাছে নেই।
এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, خيار رؤية -এর ব্যাপারে আপনারা সাহাবা-ই কিরাম হতে কি কোন হাদীস বর্ণনা করেছেন? তবে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ।
মােট কথা, এ সকল হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমদানি মাল’ পথে ধরে ফেলতে নিষেধ করেছেন। তারপর এ ক্ষেত্রে বিক্রেতাকে বাজারে প্রবেশ করার পর ইখতিয়ারও প্রদান করেছেন। আর ইখতিয়ার তাে কেবল বিশুদ্ধ ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যেই হয়ে থাকে। কারণ ক্রয়-বিক্রয় যদি জায়িযই না হত, তবে বিক্রেতা ও ক্রেতাকে তাদের ক্রয়-বিক্রয় রহিত করার জন্য বাধ্য করা হত এবং তাদের পক্ষে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় থাকত না। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বিক্রেতাকে এ ব্যাপারে ইখতিয়ার প্রদান করেছেন, তখন বিক্রয়ের এ যুক্তি যে শুদ্ধ হয়েছে, তা প্রমাণিত হয়। যদিও বহিরাগত মাল ও বাণিজ্যিক কাফেলাকে পথে ধরে ফেলা নিষিদ্ধ ছিল।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আপনারা তাে যে বিক্রেতাকে পথে ধরে মাল ক্রয় করা হয়েছে, তার জন্য ইখতিয়ার সাব্যস্ত করেন না অথচ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে উল্লেখিত এ হাদীসে ইখতিয়ার প্রদান করেছেন। তবে আল্লাহর নিকট তাওফীক প্রার্থনা করে আমরা তাকে এই জবাব দিব, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত البيعان بالخيار ما لم يتفرقا অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের ইখতিয়ার থাকবে, যাবত না তারা পৃথক হবে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুতাওয়াতির সূত্রে এ হাদীস বর্ণিত। আমরা ইনশাআল্লাহু এই কিতাবেই যথাস্থানে এর উল্লেখ করব। এ হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পারলাম যে, ক্রেতা ও বিক্রেতা পৃথক হবার পর আর তাদের কোন ইখতিয়ার থাকে না।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, আপনি তাে সেই ব্যক্তির জন্য ইখতিয়ার সাব্যস্ত করেন, যে ব্যক্তি না দেখে কোন বস্তু ক্রয় করে, তারপর সে দেখার পর রাজী হলেই তার ক্রয় সম্পন্ন হয়। অতএব ঐ বিক্রেতার জন্যও অনুরূপ ইখতিয়ার হতে পারে, যাকে শহরের বাইরে ধরে ফেলে তার থেকে ক্রয় করা হয়েছেঃ
এ প্রশ্নের জবাবে তাকে বলা হবে, خيار الرؤية (না দেখে ক্রয় করা মাল দেখার পর ক্রেতাকে যে
ইখতিয়ার দেয়া হয়) আমরা কিয়াস দ্বারা সাব্যস্ত করিনি। বরং আমরা সাহাবা-ই কিরামকে সর্বসম্মতিক্রমে এই ইখতিয়ার সাব্যস্ত করতে দেখেছি। তারা এ ব্যাপারে কোন মতবিরােধ করেননি। আর এ ব্যাপারে বিরােধ এসেছে সাহাবা কিরামের পরে। অতএব আমরা এ বিষয়টিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর এ হাদীস البيعان بالخيار ما لم يتفرقا থেকে বহির্ভূত করেছি। তদুপরি আমরা একথা জানতে পেরেছি যে, তিনি এ হাদীসে এ বিষয়টি উদ্দেশ্যও করেননি। কারণ এ বিষয়টি যে এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়, এ ব্যাপারে তাদের ইজমা ও ঐক্যমত রয়েছে। যেমন, بيع سلم জায়িয হবার ব্যাপারে সাহাবা-ই কিরামের ইজমা দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, ‘সালাম বিক্রয়’ ঐ হাদীসে অন্তর্ভুক্ত নয়, যাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ বস্তু বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন যা তােমার কাছে নেই।
এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, خيار رؤية -এর ব্যাপারে আপনারা সাহাবা-ই কিরাম হতে কি কোন হাদীস বর্ণনা করেছেন? তবে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ।
5516 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تَسْتَقْبِلُوا الْجَلَبَ , وَلَا يَبِيعُ حَاضِرٌ لِبَادٍ , وَالْبَائِعُ بِالْخِيَارِ إِذَا دَخَلَ السُّوقَ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ تَلَقِّي الْجَلَبِ , ثُمَّ جَعَلَ لِلْبَائِعِ فِي ذَلِكَ الْخِيَارَ , إِذَا دَخَلَ السُّوقَ , وَالْخِيَارُ لَا يَكُونُ إِلَّا فِي بَيْعٍ صَحِيحٍ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ فَاسِدًا , لَأُجْبِرَ بَائِعُهُ وَمُشْتَرِيهِ عَلَى فَسْخِهِ , وَلَمْ يَكُنْ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا , الْإِبَاءُ عَنْ ذَلِكَ. فَلَمَّا جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخِيَارَ فِي ذَلِكَ لِلْبَيِّعِ , ثَبَتَ بِذَلِكَ صِحَّتُهُ , وَإِنْ كَانَ مَعَهُ تَلَقٍّ مَنْهِيٌّ عَنْهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتُمْ لَا تَجْعَلُونَ الْخِيَارَ لِلْبَائِعِ الْمُتَلَقَّى , كَمَا جَعَلَهُ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. فَجَوَابُنَا لَهُ فِي ذَلِكَ , وَبِاللهِ التَّوْفِيقُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَبَتَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ , مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا» وَتَوَاتَرَتْ عَنْهُ الْآثَارُ بِذَلِكَ , وَسَنَذْكُرُهَا فِي مَوْضِعِهَا مِنْ هَذَا الْكِتَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ , أَنَّهُمَا إِذَا تَفَرَّقَا , فَلَا خِيَارَ لَهُمَا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتَ قَدْ جَعَلْتَ لِمَنِ اشْتَرَى , مَا لَمْ يَرَ , خِيَارَ الرُّؤْيَةِ , حَتَّى يَرَاهُ فَيَرْضَاهُ , فِيمَا أَنْكَرْتَ أَنْ يَكُونَ خِيَارُ الْتَلَقِّي كَذَلِكَ أَيْضًا؟ قِيلَ لَهُ: إِنَّ خِيَارَ الرُّؤْيَةِ , لَمْ نُوجِبْهُ قِيَاسًا , وَإِنَّمَا وَجَدْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَثْبَتُوهُ وَحَكَمُوا بِهِ , وَأَجْمَعُوا عَلَيْهِ , وَلَمْ يَخْتَلِفُوا فِيهِ. وَإِنَّمَا جَاءَ الِاخْتِلَافُ فِي ذَلِكَ مِمَّنْ بَعْدَهُمْ , فَجَعَلْنَا ذَلِكَ خَارِجًا مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ حَتَّى يَتَفَرَّقَا» وَعَلِمْنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعْنِ ذَلِكَ , لِإِجْمَاعِهِمْ عَلَى خُرُوجِهِ مِنْهُ , كَمَا عَلِمْنَا بِإِجْمَاعِهِمْ عَلَى تَجْوِيزِ السَّلَمِ , أَنَّهُ خَارِجٌ مِنْ نَهْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ. [ص:10] فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَهَلْ رَوَيْتُمْ عَنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خِيَارِ الرُّؤْيَةِ شَيْئًا؟ قِيلَ لَهُ: نَعَمْ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৭
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৭। আবু বাকরা বাককার ইব্ন কুতায়বা ও মুহাম্মাদ ইব্ন শাযান* বলেন, হিলাল** ইবন ইয়াহয়া ইবন মুসলিম . হযরত আলক্বামা ইবন ওয়াক্কাস লাইসী বলেন, আকবার তালহা ইবন উবায়দিল্লাহ হযরত উসমান ইবন আফফান(রাযিঃ)হতে কিছু মাল ক্রয় করলেন, তখন হযরত উসমান (রা- কে বলা হলো, আপনাকে তো ঠকানো হয়েছে। তখন হযরত উসমানের এ মাল ছিল কুফায়, যা এখন হযরত তালহা (রাযিঃ)এর মাল বলে বিবেচিত। তখন হযরত উসমান (রাযিঃ)বলেন, আমার তা خيار رؤية রয়েছে, কারণ, আমি এমন জিনিস বিক্রয় করেছি, যা আমি দেখিনি । তখন হযরত তালহা বলরেন, বরং আামর ইখতিয়ার রয়েছে কারণ আমি এমন বস্তু ক্রয় করেছি, যা আমি দেখিনি। অতঃপর তারা দুজনই এ ব্যাপারে হযরত জুবাইর ইবন মুতইম (রা- কে সালিস মেনে নিলেন। তিনি ফায়সালা দিলেন যে, ইখতিয়ার তালহা (রাযিঃ)এর প্রাপ্য, উসমান (রাযিঃ)- এর কোন ইখাতিয়ার নেই।
আর এ ব্যাপারে মুতাওয়াতির সুত্রে হাদীস বর্নিত হয়েচে। যদিও তার বেশীর ভঅগ হাদীস মুনক্বাতী منقطع (তবুও তা গ্রহণযোগ্য)। কারণ, তার বিপরীত কোন মুত্তাছিল متصل হাদীস বর্ণিত হয়নি। আর এখানে অন্য একটি দলীলও রয়েচে। আর তাএই যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস সাসূলুল্লাহ (সা.) শহরের বাইরে ধৃত বিক্রেতার জন্য ইখতিয়ার প্রদান করেছেন, যখন সে শহরে প্রবেশ করে তার বিক্রীত মালের সটিক দাম জানতে পারবে। এখন আমরা দেখতে চাই যে, এর বিপরীত কোন হাদীস আছে কিনা।
আর এ ব্যাপারে মুতাওয়াতির সুত্রে হাদীস বর্নিত হয়েচে। যদিও তার বেশীর ভঅগ হাদীস মুনক্বাতী منقطع (তবুও তা গ্রহণযোগ্য)। কারণ, তার বিপরীত কোন মুত্তাছিল متصل হাদীস বর্ণিত হয়নি। আর এখানে অন্য একটি দলীলও রয়েচে। আর তাএই যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস সাসূলুল্লাহ (সা.) শহরের বাইরে ধৃত বিক্রেতার জন্য ইখতিয়ার প্রদান করেছেন, যখন সে শহরে প্রবেশ করে তার বিক্রীত মালের সটিক দাম জানতে পারবে। এখন আমরা দেখতে চাই যে, এর বিপরীত কোন হাদীস আছে কিনা।
5517 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ شَاذَّانِ , قَالَا: ثنا هِلَالُ بْنُ يَحْيَى بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ , عَنْ رَبَاحِ بْنِ أَبِي مَعْرُوفٍ الْمَكِّيِّ , عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ , عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ: " اشْتَرَى طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مَالًا , فَقِيلَ لِعُثْمَانَ: إِنَّكَ قَدْ غُبِنْتَ وَكَانَ الْمَالُ بِالْكُوفَةِ وَهُوَ مَالُ آلِ طَلْحَةَ الْآنَ بِهَا. فَقَالَ عُثْمَانُ: لِيَ الْخِيَارُ , لِأَنِّي بِعْتُ مَا لَمْ أَرَ. فَقَالَ طَلْحَةُ: إِلَيَّ الْخِيَارُ , لِأَنِّي اشْتَرَيْتُ مَا لَمْ أَرَ. فَحَكَّمَا بَيْنَهُمَا جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ , فَقَضَى أَنَّ الْخِيَارَ لِطَلْحَةَ , وَلَا خِيَارَ لِعُثْمَانَ " وَالْآثَارُ فِي ذَلِكَ قَدْ جَاءَتْ مُتَوَاتِرَةً , وَإِنْ كَانَ أَكْثَرُهَا مُنْقَطِعًا , فَإِنَّهُ مُنْقَطِعٌ , لَمْ يُضَادَّهُ مُتَّصِلٌ. وَفِي هَذَا أَيْضًا حُجَّةٌ أُخْرَى , وَهِيَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ لِلْمُتَلَقَّى الْبَائِعِ الْخِيَارَ , فِيمَا بَاعَ إِذَا دَخَلَ الْأَسْوَاقَ , وَعَلِمَ بِالْأَسْعَارِ. فَأَرَدْنَا أَنَّ نَنْظُرَ , هَلْ ضَادَّ ذَلِكَ شَيْءٌ أَمْ لَا؟ فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৮
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৯। আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, হুসাইন ইবন হাফস ইসবাহানী........ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে কোন স্থানীয় ব্যক্তি যেন কোন গ্রাম্য লোকের মাল বিক্রয় না করে । যদিও সে তার পিতা কিংবা ভাই-ই হোক না কেন।
5518 - فَإِذَا أَبُو بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ حَفْصٍ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ , عَنِ ابْنِ سِيرِينَ , عَنْ أَنَسٍ قَالَ: نُهِينَا أَنْ يَبِيعَ حَاضِرٌ لِبَادٍ , وَإِنْ كَانَ أَبَاهُ أَوْ أَخَاهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১৯
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫১৮। আবু উমাইয়্যা বলেন, .... হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যেন কোন গ্রাম্য ব্যক্তির মাল বিক্রয় না করে।
5519 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُمْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: نُهِينَا أَنْ يَبِيعَ، حَاضِرٌ لِبَادٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫২০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫২২
৩. আমদানি মাল ধরা
৫৫২০-২২। নাসার ইবন মারযূক বলেন, আসাদ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কোন স্থানীয় ব্যক্তির মাল বিক্রি না করে।
আলী ইবন আব্দির রহমান বলেন, আলী ইবন জা’দ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)
হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে অনুরূপ বর্ণনা* করেন।
রাওহ ইবনুল ফারজ বলেন,... হযরত ইবন উমার হতে বর্ণতি। তিনি নবী (সা.) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন, তবে তিনি অতিরিক্ত আরো বর্ণনা করেন, “সে যেন তার জন্য ক্রয় না করে।”*
আলী ইবন আব্দির রহমান বলেন, আলী ইবন জা’দ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)
হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে অনুরূপ বর্ণনা* করেন।
রাওহ ইবনুল ফারজ বলেন,... হযরত ইবন উমার হতে বর্ণতি। তিনি নবী (সা.) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন, তবে তিনি অতিরিক্ত আরো বর্ণনা করেন, “সে যেন তার জন্য ক্রয় না করে।”*
5520 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُسْلِمٍ الْخَيَّاطِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا يَبِيعُ حَاضِرٌ لِبَادٍ»
5521 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
5522 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَزَادَ وَلَا يَشْتَرِي لَهُ
5521 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
5522 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَزَادَ وَلَا يَشْتَرِي لَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫২১
empty
৫৫২১।
5521 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান