শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৪৯৮
২. শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯৮। ইউনূস ইবনে আব্দিল আ’লা ..... যায়েদ আবু আইয়্যাশ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার তিনি হযরত সা'দ (রাযিঃ)-এর নিকট যবের বিনিময়ে 'সালাত' (যব ও গমের মধ্যবর্তী পর্যায়ের দানা বিশেষ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম, তখন তার নিকট শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয়-বিক্রয় করা জায়িয কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তাজা খেজুর শুকিয়ে গেলে তা কম হয় কি না? তারা বললেন, জ্বী, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, তাহলে বৈধ নয়। অর্থাৎ তিনি তা অপসন্দ করলেন।*
بَابٌ بَيْعُ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ
5498 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، وَأُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، حَدَّثَاهُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الْأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ: أَنَّ زَيْدًا أَبَا عَيَّاشٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ سَعْدًا , عَنِ السُّلْتِ، بِالْبَيْضَاءِ , فَقَالَ سَعْدٌ: شَهِدْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْأَلُ عَنِ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ , فَقَالَ: «أَيَنْقُصُ الرُّطَبُ إِذَا جَفَّ؟» فَقَالُوا: نَعَمْ , قَالَ: «فَلَا إِذًا وَكَرِهَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯৯
২. শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯৯। ছালিহ ইবনে আব্দির রহমান ..... হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াককাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করলেন।
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম* এ হাদীসের প্রতি ঝুকেছেন এবং এর অনুসরণ করেছেন এবং এ হাদীসকেই মূল ভিত্তি সাব্যস্ত করেছেন। এবং এ হাদীসের কারণে তারা শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এ মতই পােষণ করেন। পক্ষান্তরে অন্য একদল আলিম** তাজা খেজুর এবং শুকনাে খেজুর উভয়কে একই শ্রেণীর খেজুর সাব্যস্ত করেন। এবং একটিকে অন্যটির বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয় করা জায়িয বলেন। কিন্তু বাকী বিক্রয় করাকে নাজায়িয মনে করেন। অতঃপর আমরা এ হাদীসে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে হাদীসটি তাদের প্রতিপক্ষ দলীল হিসেবে পেশ করেছেন, তার মধ্যে অন্য 'কিছু' আছে কি না? তাে আমরা দেখতে পেলামঃ
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম* এ হাদীসের প্রতি ঝুকেছেন এবং এর অনুসরণ করেছেন এবং এ হাদীসকেই মূল ভিত্তি সাব্যস্ত করেছেন। এবং এ হাদীসের কারণে তারা শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এ মতই পােষণ করেন। পক্ষান্তরে অন্য একদল আলিম** তাজা খেজুর এবং শুকনাে খেজুর উভয়কে একই শ্রেণীর খেজুর সাব্যস্ত করেন। এবং একটিকে অন্যটির বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয় করা জায়িয বলেন। কিন্তু বাকী বিক্রয় করাকে নাজায়িয মনে করেন। অতঃপর আমরা এ হাদীসে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেছি, যে হাদীসটি তাদের প্রতিপক্ষ দলীল হিসেবে পেশ করেছেন, তার মধ্যে অন্য 'কিছু' আছে কি না? তাে আমরা দেখতে পেলামঃ
5499 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ: ثنا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ زَيْدٍ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَلَّدُوهُ وَجَعَلُوهُ أَصْلًا , وَمَنَعُوا بِهِ بَيْعَ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ: أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَجَعَلُوا الرُّطَبَ وَالتَّمْرَ , نَوْعًا وَاحِدًا , وَأَجَازُوا بَيْعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِصَاحِبِهِ , مِثْلًا بِمِثْلٍ , وَكَرِهُوهُ نَسِيئَةً. فَاعْتَبَرْنَا هَذَا الْحَدِيثَ الَّذِي احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِمْ مُخَالِفُهُمْ , هَلْ دَخَلَهُ شَيْءٌ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০০
২. শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৫০০। ইবনে আবী দাউদ বলেন, ইয়াহইয়া ইবনে সালিহ আল-উহাবী ..... হযরত সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বাকিতে ক্রয় বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
বস্তুত এটাই হলাে মূল হাদীস, যার মধ্যে النَّسِيئَةِ বাকী শব্দটির উল্লেখ রয়েছে, যা ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর মালেক ইবনে আনাস (রাযিঃ)-এর 'উপর' অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। অতএব এ রিওয়ায়াতই উত্তম। এছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ ব্যতীত অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর এর ন্যায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
বস্তুত এটাই হলাে মূল হাদীস, যার মধ্যে النَّسِيئَةِ বাকী শব্দটির উল্লেখ রয়েছে, যা ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর মালেক ইবনে আনাস (রাযিঃ)-এর 'উপর' অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। অতএব এ রিওয়ায়াতই উত্তম। এছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ ব্যতীত অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর এর ন্যায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
5500 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ الْوُحَاظِيُّ , قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَّامٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ زَيْدًا أَبَا عَيَّاشٍ , أَخْبَرَهُ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ نَسِيئَةً فَكَانَ هَذَا أَصْلَ الْحَدِيثِ فِيهِ ذِكْرُ النَّسِيئَةِ , زَادَهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ , فَهُوَ أَوْلَى. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا , غَيْرُ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ , عَلَى مِثْلِ مَا رَوَاهُ , يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০১
২. শুকনা খেজুরের বিনিময়ে তাজা খেজুর বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৫০১। ইউনুস বলেন, ইবনে ওয়াহব ..... ইমরান ইবনে আবী আনাস হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বনু মাখযুম গােত্রের একজন আযাদ করা গােলাম তাকে বলেছেন যে, একবার তিনি হযরত সা'দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, কেউ কারাে কাছে নির্ধারিত মেয়াদে তাজা খেজুর শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে বিক্রয় করতে পারবে কি না? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে এরূপ ক্রয়-বিক্রয় হতে নিষেধ করেছেন।”
এই যে ইমরান ইবন আবী আনাস, তিনি একজন সুপরিচিত পূর্ববর্তী মুহাদ্দিস, তিনিও হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর এর ন্যায় বর্ণনা করেছেন। অতএব আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ হতে যখন হাদীসটি বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে হাদীসের বিশুদ্ধ অর্থ নির্ণয়ের জন্য আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদের হাদীসের পরিবর্তে এই ‘ইমরান’ এর হাদীসকে প্রতিষ্ঠিত মেনে নেয়া হবে। আর তখন হযরত সা'দ (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তাকে বাকী বিক্রয়ের কারণে নিষিদ্ধ বলতে হবে, অন্য কোন কারণে নয়। আর এটাই হলাে আলােচ্য অধ্যায়ে হাদীসগুলাের অর্থগত বিশুদ্ধায়নের উপায়।
যুক্তিভিত্তিক দলীল
আর যুক্তিগত কারণ এই যে, আমরা উলামা-ই কিরামকে দেখি, তারা তাজা খেজুরের বিনিময়ে সমান সমান তাজা খেজুর বিক্রয় করা জায়িয হবার ব্যাপারে কোন দ্বিমত পােষণ করেন না। অনুরূপভাবে শুকনাে খেজুরও সমান সমান শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়িয হবার ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। যদিও একজনের খেজুরে কিছুটা আর্দ্রতা থাকে, যা অন্যজনের খেজুরে থাকে না। পরবর্তীতে কিন্তু উভয় পক্ষের খেজুরই শুকোতে শুকোতে ভিন্ন মাত্রায় পরিমাণে কমতে থাকে। কিন্তু শুষ্ক হওয়ার সময়ের এই হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করে তারা কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় বাতিল ঘােষণা করেননি। বরং তারা দেখেছেন, ক্রয় বিক্রয়ের সময় যে অবস্থা ছিল তার প্রতি। তখন উভয়টাই সমান ছিল। পরবর্তীতে শুকিয়ে বেশকম হওয়ার বিষয়টিকে তারা ‘ধর্তব্য’ করেননি। অতএব এটাই যে, তাজা খেজুর যখন, শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে বিক্রয় হবে তখনকার অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে (সমান সমান কিনা) পরবর্তীতে অবস্থার কি পরিবর্তন হবে সেদিকে দেখার প্রয়ােজন নেই। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মত আর আমাদের মতেও এটাই যুক্তি সংগত।
এই যে ইমরান ইবন আবী আনাস, তিনি একজন সুপরিচিত পূর্ববর্তী মুহাদ্দিস, তিনিও হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর এর ন্যায় বর্ণনা করেছেন। অতএব আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ হতে যখন হাদীসটি বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে হাদীসের বিশুদ্ধ অর্থ নির্ণয়ের জন্য আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদের হাদীসের পরিবর্তে এই ‘ইমরান’ এর হাদীসকে প্রতিষ্ঠিত মেনে নেয়া হবে। আর তখন হযরত সা'দ (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তাকে বাকী বিক্রয়ের কারণে নিষিদ্ধ বলতে হবে, অন্য কোন কারণে নয়। আর এটাই হলাে আলােচ্য অধ্যায়ে হাদীসগুলাের অর্থগত বিশুদ্ধায়নের উপায়।
যুক্তিভিত্তিক দলীল
আর যুক্তিগত কারণ এই যে, আমরা উলামা-ই কিরামকে দেখি, তারা তাজা খেজুরের বিনিময়ে সমান সমান তাজা খেজুর বিক্রয় করা জায়িয হবার ব্যাপারে কোন দ্বিমত পােষণ করেন না। অনুরূপভাবে শুকনাে খেজুরও সমান সমান শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়িয হবার ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। যদিও একজনের খেজুরে কিছুটা আর্দ্রতা থাকে, যা অন্যজনের খেজুরে থাকে না। পরবর্তীতে কিন্তু উভয় পক্ষের খেজুরই শুকোতে শুকোতে ভিন্ন মাত্রায় পরিমাণে কমতে থাকে। কিন্তু শুষ্ক হওয়ার সময়ের এই হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করে তারা কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় বাতিল ঘােষণা করেননি। বরং তারা দেখেছেন, ক্রয় বিক্রয়ের সময় যে অবস্থা ছিল তার প্রতি। তখন উভয়টাই সমান ছিল। পরবর্তীতে শুকিয়ে বেশকম হওয়ার বিষয়টিকে তারা ‘ধর্তব্য’ করেননি। অতএব এটাই যে, তাজা খেজুর যখন, শুকনাে খেজুরের বিনিময়ে বিক্রয় হবে তখনকার অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে (সমান সমান কিনা) পরবর্তীতে অবস্থার কি পরিবর্তন হবে সেদিকে দেখার প্রয়ােজন নেই। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মত আর আমাদের মতেও এটাই যুক্তি সংগত।
5501 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَهُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، أَنَّ مَوْلًى لِبَنِي مَخْزُومٍ حَدَّثَهُ , أَنَّهُ، سُئِلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ الرَّجُلِ يُسْلِفُ الرَّجُلَ الرُّطَبَ بِالتَّمْرِ إِلَى أَجَلٍ؟ فَقَالَ سَعْدٌ: نَهَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ هَذَا [ص:7] فَهَذَا عِمْرَانُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ , وَهُوَ رَجُلٌ مُتَقَدِّمٌ مَعْرُوفٌ , قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , كَمَا رَوَاهُ يَحْيَى. فَكَانَ يَنْبَغِي فِي تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ أَنْ يَكُونَ حَدِيثُ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ، لَمَّا اخْتُلِفَ عَنْهُ فِيهِ، أَنْ يَرْتَفِعَ وَيَثْبُتَ حَدِيثُ عِمْرَانَ هَذَا. فَيَكُونَ هَذَا النَّهْيُ الَّذِي جَاءَ فِي حَدِيثِ سَعْدٍ هَذَا , إِنَّمَا هُوَ لِعِلَّةِ النَّسِيئَةِ لَا لِغَيْرِ ذَلِكَ. فَهَذَا سَبِيلُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي بَيْعِ الرُّطَبِ بِالرُّطَبِ , مِثْلًا بِمِثْلٍ , أَنَّهُ جَائِزٌ. وَكَذَلِكَ التَّمْرُ بِالتَّمْرِ , مِثْلًا بِمِثْلٍ , وَإِنْ كَانَتْ فِي أَحَدِهِمَا رُطُوبَةٌ لَيْسَتْ فِي الْآخَرِ , وَكُلُّ ذَلِكَ يَنْقُصُ إِذَا بَقِيَ نُقْصَانًا مُخْتَلِفًا وَيَجِفُّ. فَلَمْ يَنْظُرُوا إِلَى ذَلِكَ فِي حَالِ الْجُفُوفِ , فَيُبْطِلُوا الْبَيْعَ بِهِ , بَلْ نَظَرُوا إِلَى حَالِهِ فِي وَقْتِ وُقُوعِ الْبَيْعِ , فَعَمِلُوا عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يُرَاعُوا مَا يَئُولُ إِلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ جُفُوفٍ وَنُقْصَانَ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , الرُّطَبُ بِالتَّمْرِ , يُنْظَرُ إِلَى ذَلِكَ فِي وَقْتِ وُقُوعِ الْبَيْعِ , وَلَا يُنْظَرُ إِلَى مَا يَئُولُ إِلَيْهِ مِنْ تَغْيِيرٍ وَجُفُوفٍ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ تَعَالَى عَلَيْهِ وَهُوَ النَّظَرُ عِنْدَنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান