শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৩১৮
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩১৮। ফাহাদ (রাহঃ) .....জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : যে ব্যক্তি কোন (সরকারী) জমির পাশে প্রাচীর নির্মাণ করবে সেটি তার হবে।
بَابُ إِحْيَاءِ الْأَرْضِ الْمَيِّتَةِ
5318 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , قَالَ: ثنا قَتَادَةُ , عَنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ أَحَاطَ حَائِطًا عَلَى أَرْضٍ , فَهِيَ لَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩১৯
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩১৯। সালিহ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ).... কাসীর ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে, তিনি তাঁর পিতামহ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: কেউ যদি অনাবাদী ভূমি আবাদ করে তবে সেটি তার। যালিমের ঘামের তথা যালিম মালিকের কোন হক নেই।
5319 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ , قَالَ: ثنا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَوَاتًا مِنْ أَرْضٍ , فَهِيَ لَهُ , وَلَيْسَ لِعِرْقٍ ظَالِمٍ حَقٌّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২০
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) .....সামূরা ইবন জুন্দুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : কেউ যদি কোন বস্তুর (ভূমির) পাশে প্রাচীর টেনে নেয় তবে সেটি তার হবে।

পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : কতিপয় আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, কেউ যদি কোন অনাবাদী ভূমি আবাদ করে তবে সেটি তার হবে। এ বিষয়ে সরকার তাকে অনুমতি প্রদান করুক অথবা না করুক। সরকার এটা তার জন্য নির্দিষ্ট করুক অথবা না করুক। তাঁরা এ বিষয়ে (উল্লেখিত) এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। এই অভিমত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) অন্যতম এবং তাঁরা বলেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন কেউ যদি অনাবাদী ভূমি আবাদ করে তবে সেটি তার জন্য হবে। এখানে তিনি তা আবাদ করার ইখতিয়ার প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রদান করেছেন যে তা পছন্দ করে। সুতরাং এতে সরকারের ইখতিয়ার নেই। এঁরা বলেন, এর সপক্ষে যৌক্তিক প্রমাণাদীও প্রমাণ বহন করে।

তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, সমুদ্র এবং নদীর পানি থেকে যদি কেউ কিছু পানি গ্রহণ করে তবে সে তা নেয়ার দ্বারা এর মালিক হয়ে যায়। যদিও সরকার তাকে তা নেয়ার হুকুম করে না থাকুক এবং তার জন্য নির্ধারণ না করে থাকুক। অনুরূপভাবে কেউ যদি শিকার করে তা তার জন্য হবে। আর সে এ বিষয়ে সরকার কর্তৃক মুবাহ বা বৈধ সাব্যস্ত করণ এবং মালিক বানানোর মুখাপেক্ষী হয়না। বরং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার ও সাধারণ জনগণ সমান। এঁরা বলেন, অনুরূপভাবে মালিকানাহীন অনাবাদী ভূমির হুকুমও এটা যে, তা মালিকানাহীন পাখির ন্যায়, যে ব্যক্তি তা পাকড়াও করবে তা শুধু পাকড়াওয়ের কারণে তার জন্য হবে এবং সরকার কর্তৃক হুকুম প্রদান বা মালিক বানানোর মুখাপেক্ষী হয় না। যেমন সে পানি ও শিকারের ব্যাপারে মুখাপেক্ষী হয়না, যা আমরা উল্লেখ করেছি।

পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করেছেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। তাঁরা বলেন, জমি সরকারের হুকুমে আবাদ করা যেতে পারে আর এটা আবাদকারীর জন্যই হবে এবং সরকার ওই জমিকে তার জন্য নির্দিষ্ট করবে। তারা বলেন, এ ব্যাপারে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তা আমাদের বক্তব্যকে খণ্ডন করে না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই হাদীসে যে আবাদ করার ভিত্তিতে ঐ জমিকে আবাদকারীর জন্য নির্ধারণ করেছেন, এটাকে স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন নাই যে, তা কি? হতে পারে যে, এর দ্বারা ঐ জমি উদ্দেশ্য, যা সরকারের নির্দেশে আবাদ করা হয়েছে। সুতরাং তাঁর বাণী : “কেউ যদি অনাবাদী জমি আবাদ করে তবে সেটা তার জন্য হবে"-এর মর্ম হবে যে, আবাদ করার শর্তাবলী মুতাবিক আবাদ করলে সেটা তার জন্য হবে। আর এর শর্তাবলী থেকে একটি হলো এটা কারো অধীনে না থাকা বা কারো হস্তক্ষেপমুক্ত হওয়া, এতে তার জন্য সরকারের অনুমোদন এবং সরকার কর্তৃক ঐ ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দেয়া। তাই হতে পারে হাদীসের মর্মার্থ এটাই। আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, এটা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর ব্যাখ্যা মুতাবিক হয়েছে। তবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ব্যাপারে নিশ্চয়তার সাথে কিছুই বলা যেতে পারেনা যে, তিনি এর দ্বারা অমুক মর্ম উদ্দেশ্য নিয়েছেন। যতক্ষণ না আমাদের তাঁর পক্ষ থেকে অবগতি অর্জিত হয়। অথবা তাঁর পরবর্তীদের এ বিষয়ে ঐকমত্য হয় যে, তিনি অমুক অর্থ উদ্দেশ্য নিয়েছেন।

আমরা যখন এই হাদীসে কোন এক দলের জন্যও প্রমাণ পাইনি, তাই আমরা অপরাপর হাদীস দেখলাম যে, তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সপক্ষে প্রমাণ বহনকারী কিছু আছে কিনা। এ ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত রিওয়ায়াতটি লক্ষ্যণীয় :
5320 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَنْ أَحَاطَ عَلَى شَيْءٍ , فَهُوَ لَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ ذَاهِبُونَ إِلَى أَنَّ مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ , أَذِنَ لَهُ الْإِمَامُ فِي ذَلِكَ أَوْ لَمْ يَأْذَنْ , وَجَعَلَهَا لَهُ الْإِمَامُ , أَوْ لَمْ يَجْعَلْهَا لَهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا , وَقَالُوا: لَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ» فَقَدْ جُعِلَ حُكْمُ إِحْيَاءِ ذَلِكَ إِلَى مَنْ أَحَبَّ فَلَا أَمْرَ لِلْإِمَامِ فِي ذَلِكَ , وَقَالُوا: قَدْ دَلَّتْ عَلَى هَذَا أَيْضًا شَوَاهِدُ النَّظَرِ , أَلَا تَرَى أَنَّ الْمَاءَ الَّذِي فِي الْبِحَارِ وَالْأَنْهَارِ , مَنْ أَخَذَ مِنْهُ شَيْئًا مَلَكَهُ بِأَخْذِهِ إِيَّاهُ , وَإِنْ لَمْ يَأْمُرْهُ الْإِمَامُ بِأَخْذِهِ , وَيَجْعَلُهُ لَهُ , وَكَذَلِكَ الصَّيْدُ , مَنِ اصْطَادَهُ , فَهُوَ لَهُ , وَلَا يَحْتَاجُ فِي ذَلِكَ إِلَى إِبَاحَةٍ مِنَ الْإِمَامِ , وَلَا إِلَى تَمْلِيكٍ , وَالْإِمَامُ فِي ذَلِكَ , وَسَائِرُ النَّاسُ سَوَاءٌ , قَالُوا: فَكَذَلِكَ الْأَرْضُ الْمَيِّتَةُ الَّتِي لَا مِلْكَ لِأَحَدٍ عَلَيْهَا , فَهِيَ كَالطَّيْرِ الَّذِي لَيْسَ بِمَمْلُوكٍ , فَمَنْ أَخَذَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ بِأَخْذِهِ إِيَّاهُ , وَلَا يَحْتَاجُ فِي ذَلِكَ إِلَى أَمْرٍ مِنَ الْإِمَامِ , وَلَا إِلَى تَمْلِيكِهِ , كَمَا لَا يَحْتَاجُ إِلَى ذَلِكَ مِنْهُ فِي الْمَاءِ وَالصَّيْدِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا , [ص:269] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , مِنْهُمْ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , فَقَالُوا: لَا تَكُونُ الْأَرْضُ تَحْيَا إِلَّا بِأَمْرِ الْإِمَامِ فِي ذَلِكَ لِمَنْ يُحْيِيهَا وَجَعَلَهَا لَهُ , وَقَالُوا: لَيْسَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا ذُكِرَ فِي هَذَا الْبَابِ , بِدَافِعٍ لِمَا قُلْنَا , لِأَنَّ ذَلِكَ الْإِحْيَاءَ الَّذِي جَعَلَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَرْضَ لِلَّذِي أَحْيَاهَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ لَمْ يُفَسَّرْ لَنَا مَا هُوَ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هُوَ مَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ بِأَمْرِ الْإِمَامِ , فَيَكُونُ قَوْلُهُ «مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ» أَيْ: مَنْ أَحْيَاهَا عَلَى شَرَائِطِ الْإِحْيَاءِ , فَهِيَ لَهُ , وَمِنْ شَرَائِطِهِ تَحْظِيرُهَا وَإِذْنُ الْإِمَامِ لَهُ فِيهَا , وَتَمْلِيكُهُ إِيَّاهَا , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هَذَا هُوَ مَعْنَى الْحَدِيثِ , وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ عَلَى مَا تَأَوَّلَهُ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا , إِلَّا أَنَّهُ لَا يَجُوزُ أَنْ يُقْطَعَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَوْلِ , أَنَّهُ أَرَادَ مَعْنًى إِلَّا بِالتَّوْقِيفِ مِنْهُ , أَوْ بِإِجْمَاعٍ مِمَّنْ بَعْدَهُ , أَنَّهُ أَرَادَ ذَلِكَ الْمَعْنَى , فَنَظَرْنَا إِذْ لَمْ نَجِدْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ حُجَّةً لِأَحَدِ الْفَرِيقَيْنِ فِي غَيْرِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ , هَلْ فِيهَا مَا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২১
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২১। ইউনুস (রাহঃ) ..... . ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে সা'ব ইব্‌ন জাচ্ছামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে শুনেছি, তিনি বলেছেন : আল্লাহ্ তা'আলা ও তাঁর রাসূল ব্যতীত কারো জন্য চারণভূমি নেই।
5321 - فَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «لَا حِمًى إِلَّا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২২
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২২। ইয়াযীদ (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে সা'ব জাচ্ছামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জান্নাতুল বাকীকে হারাম (পবিত্র) সাব্যস্ত করেছেন এবং বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা ও তাঁর রাসূল ব্যতীত কারো জন্য চারণ ভূমি নেই।
5322 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ , وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ الْبَقِيعَ وَقَالَ: «لَا حِمَى إِلَّا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২৩
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২৩। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : আল্লাহ্ তা'আলা ও তাঁর রাসূল ব্যতীত কারো জন্য চারণ ভূমি নেই।

বস্তুত যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা ও তাঁর রাসূল ব্যতীত কারো জন্য কোন চারণ ভূমি নেই, এবং চারণ ভূমি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ ভূমি, যা সংরক্ষণ করা হয়েছে (সংরক্ষিত ভূমি)। এতে প্রমাণিত হয় যে, ভূমিসমূহের ইখতিয়ার সরকারের অন্যদের নয়। আর এর হুকুম শিকারের হুকুমের পরিপন্থী।

প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতে যে বিষয়টির সম্ভাবনা রয়েছে আমরা তা বর্ণনা করেছি। আর আমাদের জন্য অধিকতর সংগত বিষয় হলো এটাকে এরূপ অর্থে প্রয়োগ করা, যা এই দ্বিতীয় রিওয়ায়াত পরিপন্থী না হয়। বস্তুত ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এর সপক্ষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে বস্তুটি যৌক্তিকভাবে পাওয়া যায় যে, অনাবাদী ভূমি, নদীর পানি এবং শিকারের মাঝে পার্থক্য করা হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সরকারের জন্য কাউকে শিকার অথবা নদীর পানির মালিক বানানো জায়িয নেই এবং আমরা লক্ষ্য করছি যে, যদি সরকার কাউকে অনাবাদী জমির মালিক বানিয়ে দেয়, অতঃপর তা অন্য আরেক ব্যক্তিকে মালিক বানায় তবে এটা জায়িয। অনুরূপভাবে যদি সরকার মুসলিম কল্যাণে তা বিক্রয়ের প্রয়োজনিয়তা অনুভব করে তবে তার জন্য তা বিক্রি করা জায়িয। পক্ষান্তরে নদীর পানি এবং স্থল ও জলের শিকারের ব্যাপারে এটা জায়িয নেই। সুতরাং যখন জমির ব্যাপারে এই ইখতিয়ার সরকারের জন্য রয়েছে, এতে প্রমাণিত হয় যে, ঐ জমিসমূহের হুকুম সরকারের ইখতিয়ারে রয়েছে। আর এই জমিসমূহ তার নিয়ন্ত্রণে মুসলমানদের ঐ অপরাপর সম্পদের ন্যায়, যা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এগুলোকে নির্দিষ্টভাবে কেউ রদ করতে পারে না এবং না কেউ এগুলো নিয়ে মালিক হতে পারে, যতক্ষণ না সরকার মুসলমানদের কল্যাণকে সামনে রেখে তাকে মালিক বানিয়ে দেয়। তাই যখন সরকার শিকার এবং পানিকে বিক্রি করতে পারে না, না কাউকে এগুলোর মালিক বানাতে পারে। এই দুই বস্তুর ব্যাপারে সরকার অপরাপর সাধারণ লোকদের মত এবং এই দুই বস্তু লাভ করার দ্বারা এগুলোর মালিকানা অপরিহার্য হয়ে যায়, এতে সরকারের কোন ভূমিকা থাকেনা। বস্তুত আমরা রিওয়ায়াতসমূহের যে মর্ম বর্ণনা করেছি এবং যে সমস্ত প্রমাণাদী উল্লেখ করেছি এতে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মাযহাব সাব্যস্ত হয়ে গেছে।

কেউ যদি এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করে :
5323 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا حِمَى إِلَّا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» لَا حِمَى إِلَّا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ " وَالْحِمَى: مَا حُمِيَ مِنَ الْأَرْضِ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ الْأَرْضِينَ إِلَى الْأَئِمَّةِ , لَا إِلَى غَيْرِهِمْ , وَأَنَّ حُكْمَ ذَلِكَ غَيْرُ حُكْمِ الصَّيْدِ , وَقَدْ بَيَّنَّا مَا يَحْتَمِلُهُ الْأَثَرُ الْأَوَّلُ , فَكَانَ الْأَوْلَى مِنَ الْأَشْيَاءِ بِنَا , أَنْ نَحْمِلَ وَجْهَهُ عَلَى مَا لَا يُخَالِفُ هَذَا الْأَثَرَ الثَّانِيَ , وَأَمَّا مَا يَدْخُلُ لِأَبِي حَنِيفَةَ فِي ذَلِكَ مِنْ جِهَةِ النَّظَرِ , مِمَّا يُفَرِّقُ بِهِ بَيْنَ الْأَرْضِ الْمَوَاتِ , وَبَيْنَ مَاءِ الْأَنْهَارِ وَالصَّيْدِ أَنَّا رَأَيْنَا الصَّيْدَ وَمَاءَ الْأَنْهَارِ , لَا يَجُوزُ لِلْإِمَامِ تَمْلِيكُ ذَلِكَ أَحَدًا , وَرَأَيْنَاهُ لَوْ مَلَّكَ رَجُلًا أَرْضًا مَيِّتَةً , ثُمَّ مَلَّكَهَا لِرَجُلٍ آخَرَ , جَازَ , وَكَذَلِكَ لَوِ احْتَاجَ الْإِمَامُ إِلَى بَيْعِهَا فِي نَائِبَةٍ لِلْمُسْلِمِينَ , جَازَ بَيْعُهُ لَهَا , وَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ فِي مَاءِ نَهْرٍ , وَلَا صَيْدِ بَرٍّ , وَلَا بَحْرٍ , [ص:270] فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ إِلَى الْإِمَامِ فِي الْأَرْضِينَ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ حُكْمَهَا إِلَيْهِ , وَأَنَّهَا فِي يَدِهِ كَسَائِرِ الْأَمْوَالِ الَّتِي فِي يَدِهِ لِلْمُسْلِمِينَ , لَا رَدَّ لَهَا بِعَيْنِهِ , وَلَا يَمْلِكُهَا أَحَدٌ بِأَخْذِهِ إِيَّاهَا , حَتَّى يَكُونَ الْإِمَامُ يُمَلِّكُهَا إِيَّاهُ , عَلَى حُسْنِ النَّظَرِ مِنْهُ لِلْمُسْلِمِينَ , وَلَمَّا كَانَ الصَّيْدُ وَالْمَاءُ , لَيْسَ إِلَى الْإِمَامِ بَيْعُهُمَا , وَلَا تَمْلِيكُهُمَا أَحَدًا , كَانَ الْإِمَامُ فِيهِمَا , كَسَائِرِ النَّاسِ , وَكَانَ مِلْكُهُمَا يَجِبُ بِأَخْذِهِمَا دُونَ الْإِمَامِ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ لِمَا وَصَفْنَا مِنَ الْآثَارِ وَالدَّلَائِلِ الَّتِي ذَكَرْنَا , فَإِنِ احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فِي ذَلِكَ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩২৫
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২৪-২৫। ইউনুস (রাহঃ).... সালিম ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) তৎ পিতা (আব্দুল্লাহ্ রা) থেকে বর্ণিত যে, উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন : কেউ যদি অনাবাদী ভূমি আবাদ করে সেটি তার। তিনি এটা এজন্য বলেছেন যে, লোকেরা ভূমিকে (আশে-পাশে পাথর লাগিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে) অধিগ্রহণ করত।

আবু বাকরা (রাহঃ) .....উমার (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, এতে তোমার জন্য কোন প্রমাণ নেই। আমাদের মতে এর মর্মার্থ সেটাই যা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ঐ হাদীসের অধীনে উল্লেখ করেছি, যাতে তিনি বলেছেন : “যে কেউ অনাবাদী ভূমি আবাদ করবে সেটি তার হবে”। এই হাদীস ব্যতীতও উমার (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে, যা প্রমাণ বহন করে যে, এই হাদীসের সেই মর্মই উদ্দেশ্য যা আমরা উল্লেখ করেছি।
5324 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا وَيُونُسَ بْنَ يَزِيدَ أَخْبَرَاهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ» وَذَلِكَ أَنَّ رِجَالًا كَانُوا يَتَحَجَّرُونَ مِنَ الْأَرْضِ

5325 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُمَرَ , مِثْلَهُ قِيلَ لَهُ: لَا حُجَّةَ لَكَ فِي هَذَا , وَمَعْنَى هَذَا , عِنْدَنَا , عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ , مِنْ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ» , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مُرَادَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , هُوَ مَا ذَكَرْنَاهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২৫
empty
৫৩২৫।
5325 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২৬
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২৬। আবু বিশর রকী (রাহঃ) ) ..... মুহাম্মাদ ইব্‌ন উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু আব্দুল্লাহ্ নামক বসরা অধিবাসী এক ব্যক্তি উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলল, বসরা ভূখণ্ডে এরূপ একটি ভূমি আছে, যা মুসলমানদের কারো জন্য ক্ষতিকর নয় এবং সেটা খিরাজী ভূমিও নয়। আপনি যদি ইচ্ছা করেন সেটি আমাকে নির্ধারণ বা বন্দোবস্ত করে দিন। তাতে আমি শাক-সব্জি যায়তুন ও খেজুর লাগাম (বাগান করব)। সে ছিলো প্রথম ব্যক্তি যে বসরা ভূখণ্ডে বনভূমি (অনাবাদী ভূমি) বন্দোবস্ত নিয়েছিলো। রাবী বলেন, অনন্তর উমার (রাযিঃ) (গভর্ণর) আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ)-কে এই মর্মে লিখলেন যে, যদি সেই স্থান চারণভূমি হয় তবে সেটি সে ব্যক্তিকে বন্দোবস্ত দিয়ে দাও।

তুমি কি লক্ষ্য করছনা যে, উমার (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তির জন্য ওটা (বনভূমি) নেয়া এবং মালিক হওয়া খলীফা তথা সরকার কর্তৃক বণ্টন ব্যতীত জায়িয সাব্যস্ত করেন নাই। যদি এটা না হত তাহলে তিনি তাকে বলতেন, আমার বণ্টনের তোমার কি প্রয়োজন। কেননা আমার অনুমতি ব্যতীতও ওটা তুমি আবাদ করতে পার এবং তুমি ওটার মালিক হতে পারো। এতে প্রমাণিত হয় যে, উমার (রাযিঃ)-এর নিকট এটা তারই জন্য হবে যাকে সরকার তাতে অনুমতি প্রদান করবে এবং মালিক বানিয়ে দিবে। নিম্নোক্ত হাদীসও এর উপর প্রমাণ বহন করে :
5326 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ: خَرَجَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ يُقَالُ لَهُ أَبُو عَبْدِ اللهِ , إِلَى عُمَرَ فَقَالَ: إِنَّ بِأَرْضِ الْبَصْرَةِ أَرْضًا لَا تَضُرُّ بِأَحَدِ الْمُسْلِمِينَ , وَلَيْسَتْ مِنْ أَرْضِ الْخَرَاجِ , فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُقْطِعَنِيهَا , أَتَّخِذُهَا قَضْبًا وَزَيْتُونًا , وَنَخْلًا فِي نَخِيلِي فَافْعَلْ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ أَخَذَ الْفَلَايَا بِأَرْضِ الْبَصْرَةِ , قَالَ: فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ " إِنْ كَانَتْ حِمًى , فَأَقْطِعْهَا إِيَّاهُ أَفَلَا تَرَى أَنَّ عُمَرَ لَمْ يَجْعَلْ لَهُ أَخْذَهَا , وَلَا جَعَلَ لَهُ مِلْكَهَا إِلَّا بِإِقْطَاعِ خَلِيفَتِهِ ذَلِكَ الرَّجُلَ إِيَّاهَا , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَكَانَ يَقُولُ: لَهُ: وَمَا حَاجَتُكَ إِلَى إِقْطَاعِي إِيَّاكَ , لِأَنَّ لَكَ أَنْ تُحْيِيَهَا دُونِي , وَتَعْمُرَهَا فَتَمْلِكُهَا , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْإِحْيَاءَ عِنْدَ عُمَرَ , هُوَ مَا أَذِنَ الْإِمَامُ فِيهِ , لِلَّذِي يَتَوَلَّاهُ وَمَلَّكَهُ إِيَّاهُ , وَقَدْ دَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩২৭
১৭. পতিত ও অনাবাদী জমি আবাদ করা
৫৩২৭। ইবন মারযুক (রাহঃ).....মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার (রাযিঃ) বলেছেন যে, ভূমির মালিকানা আমাদের (সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : ওটা একথার প্রমাণ বহন করে যে, সমস্ত ভূমিসমূহের মালিকানা মুসলিম সরকারের। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ থেকে এই ভূমিসমূহ কেবল মাত্র তখনই মুক্ত হবে যখন তাঁরা নিজেদের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত মুতাবিক তাদের শহর আবাদ করা এবং এর কল্যাণের জন্য সমর্পণ করবে। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
5327 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَزْهَرُ السَّمَّانُ , عَنِ ابْنِ عَوْنٍ , عَنْ مُحَمَّدٍ , قَالَ: قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: لَنَا رِقَابُ الْأَرْضِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ رِقَابَ الْأَرْضِينَ , كُلَّهَا إِلَى أَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ , وَأَنَّهَا لَا تَخْرُجُ مِنْ أَيْدِيهِمْ إِلَّا بِإِخْرَاجِهِمْ إِيَّاهَا إِلَى مَا رَأَوْا , عَلَى حُسْنِ النَّظَرِ مِنْهُمْ لِلْمُسْلِمِينَ , فِي عِمَارَةِ بِلَادِهِمْ , وَصَلَاحِهَا , فَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান