শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৩০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩০৫
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩০৪-০৫। ইউনুস (রাহঃ).... উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন : মুসলিম কোন কাফিরের এবং কাফির কোন মুসলিমের ওয়ারিছ হবেনা।
ইউনুস (রাহঃ) ...... ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ...... ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ مِيرَاثِ الْمُرْتَدِّ لِمَنْ هُوَ؟
5304 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ , عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا يَرِثُ الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ , وَلَا الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ»
5305 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
5305 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩০৫
empty
৫৩০৫।
5305 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩০৬
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩০৬। ইউনুস (রাহঃ).... উসামা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন : মুসলিম কাফিরের ওয়ারিছ হবে না।
পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল বিশেষজ্ঞ আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মুরতাদ সে অবস্থায় নিহত হলে বা মারা গেলে তার সম্পদ মুসলমানদের বায়তুলমালে জমা হবে। তারা এ বিষয়ে (উল্লেখিত) এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, তার মীরাছ তথা তার সম্পদ মুসলিম ওয়ারিছগণ পাবে।
প্রথমোক্ত অভিমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণ হলো যে, নবী (ﷺ) এই হাদীসে স্পষ্ট বলেননি যে, 'কাফির' দ্বারা কোন্ কাফির উদ্দেশ্য হতে পারে, সে এরূপ কাফির, যে কিনা কোন মিল্লাতের (ধর্মের) সাথে সম্পৃক্ত এবং এটাও হতে পারে যে, সাধারণ কাফির উদ্দেশ্য। চাই সে কোন মিল্লাতের সাথে সম্পৃক্ত হোক বা না হোক। সুতরাং যখন এটার সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে কোন দলীল ব্যতীত ওটাকে কোন এক নির্দিষ্ট অর্থের দিকে ফিরান জায়িয নেই। আমরা লক্ষ্য করছি যে, এরূপ কোন রিওয়ায়াত আছে কি-না যা তাঁর (সা.-এর) উর্দ্দিষ্ট অর্থের উপর প্রমাণ বহন করে। নিম্নের রিওয়ায়াতটি লক্ষ্যণীয় :
পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল বিশেষজ্ঞ আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মুরতাদ সে অবস্থায় নিহত হলে বা মারা গেলে তার সম্পদ মুসলমানদের বায়তুলমালে জমা হবে। তারা এ বিষয়ে (উল্লেখিত) এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, তার মীরাছ তথা তার সম্পদ মুসলিম ওয়ারিছগণ পাবে।
প্রথমোক্ত অভিমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণ হলো যে, নবী (ﷺ) এই হাদীসে স্পষ্ট বলেননি যে, 'কাফির' দ্বারা কোন্ কাফির উদ্দেশ্য হতে পারে, সে এরূপ কাফির, যে কিনা কোন মিল্লাতের (ধর্মের) সাথে সম্পৃক্ত এবং এটাও হতে পারে যে, সাধারণ কাফির উদ্দেশ্য। চাই সে কোন মিল্লাতের সাথে সম্পৃক্ত হোক বা না হোক। সুতরাং যখন এটার সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে কোন দলীল ব্যতীত ওটাকে কোন এক নির্দিষ্ট অর্থের দিকে ফিরান জায়িয নেই। আমরা লক্ষ্য করছি যে, এরূপ কোন রিওয়ায়াত আছে কি-না যা তাঁর (সা.-এর) উর্দ্দিষ্ট অর্থের উপর প্রমাণ বহন করে। নিম্নের রিওয়ায়াতটি লক্ষ্যণীয় :
5306 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ , عَنْ أُسَامَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ " لَا يَرِثُ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْمُرْتَدَّ إِذَا قُتِلَ عَلَى رِدَّتِهِ , أَوْ مَاتَ عَلَيْهَا , كَانَ مَالُهُ لِبَيْتِ مَالِ الْمُسْلِمِينَ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مِيرَاثُهُ لِوَرَثَتِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , أَنَّ ذَلِكَ الْكَافِرَ الَّذِي عَنَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , لَمْ يُبَيِّنْ لَنَا فِيهِ أَيَّ كَافِرٍ هُوَ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هُوَ الْكَافِرُ الَّذِي لَهُ مِلَّةٌ , وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هُوَ الْكَافِرُ , كُلُّ كُفْرٍ , كَانَ مَا كَانَ , مِلَّةً أَوْ غَيْرَ مِلَّةٍ , فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ لَمْ يَجُزْ أَنْ يُصْرَفَ إِلَى أَحَدِ الْمَعْنَيَيْنِ دُونَ الْآخَرِ إِلَّا بِدَلِيلٍ يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ , فَنَظَرْنَا , هَلْ فِي شَيْءٍ مِنَ الْآثَارِ , مَا يَدُلُّ عَلَى مَا أَرَادَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩০৭
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩০৭। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ......উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : মুসলিম কাফিরের ওয়ারিছ হবে না এবং না কাফির মুসলিমের ওয়ারিছ হবে।
তাই যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)থেকে এই রিওয়ায়াতটি এসেছে যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি ধর্মাবলম্বী কাফির উদ্দেশ্য নিয়েছেন। পক্ষান্তরে আমরা দেখছি যে, মুরতাদ হওয়া কোন মিল্লাত বা ধর্ম নয়। এবং আমরা তাদের (ফকীহদের) কে এ বিষয়ে একমতও দেখছি যে, মুরতাদরা একে অপরের তথা পারস্পরিক ওয়ারিছ হবে না। কেননা মুরতাদ হওয়া কোন ধর্ম নয়। এতে সাব্যস্ত হলো যে, তাদের মীরাছের হুকুম মুসলমানদের মীরাছের হুকুমের ন্যায় অভিন্ন।
যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী বলে যে, তোমরা তাদেরকে মুসলমানদের ওয়ারিছ মনে করনা। অনুরূপভাবে মুসলমানরাও তাদের ওয়ারিছ হবেনা।
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, এতে তোমাদের উল্লেখিত বক্তব্যের সপক্ষে কোন দলীল নেই। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যে, যদি কোন ব্যক্তি নিজের কোন আমলের কারণে মীরাছ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় তবে সে তার মুরিছ (যার থেকে মীরাছ পাওয়া যায়) হওয়ার ব্যাপারে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
তা থেকে নিম্নোক্ত বিষয়টিও আমরা লক্ষ্য করছি : হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিছ হবেনা। এবং আমরা দেখছি যে, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে জখম বা আহত করে, অতঃপর জখমকারী ব্যক্তি মারা যায়; এরপরে আহত ব্যক্তি ঐ জখমের কারণে মারা যায়। এবং জখমকারী ব্যক্তি ঐ আহত ব্যক্তির পিতা তবে সে তার ওয়ারিছ হয়ে যাবে। নিহত ব্যক্তি স্বীয় হত্যাকারীর ওয়ারিছ হয়ে যায়। এবং হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিছ হবে না। কেননা হত্যাকারীকে তার হত্যা করার শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আর এ কারণেই সে নিহতের মীরাছ থেকে বঞ্চিত হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে নিহত ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মীরাছ থেকে বঞ্চিত হবে না যে তাকে এরূপ জখম করেছে, যে জখমের কারণে সে মারা গেছে। কেননা সে কোন কর্ম করে নাই। অনুরূপভাবে মুরতাদকে তার কর্মের শাস্তি প্রদান করতে গিয়ে অন্যের মীরাছ থেকে তাকে বঞ্চিত রাখা হবে। কিন্তু অন্যদেরকে তার মীরাছ থেকে মাহরুম করা হবে না। কেননা অন্যরা এরূপ কর্ম করে নাই যার শাস্তি তাকে প্রদান করা হবে। এতে ঐ সমস্ত আলিমদের অভিমত সাব্যস্ত হলো যারা মুরতাদের মুসলিম ওয়ারিছদেরকে তার মীরাছ প্রদান করার অভিমত পোষণ করেন।
এ বিষয়ে পূর্ববর্তী মনীষীদের এক দল থেকে রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে :
তাই যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)থেকে এই রিওয়ায়াতটি এসেছে যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি ধর্মাবলম্বী কাফির উদ্দেশ্য নিয়েছেন। পক্ষান্তরে আমরা দেখছি যে, মুরতাদ হওয়া কোন মিল্লাত বা ধর্ম নয়। এবং আমরা তাদের (ফকীহদের) কে এ বিষয়ে একমতও দেখছি যে, মুরতাদরা একে অপরের তথা পারস্পরিক ওয়ারিছ হবে না। কেননা মুরতাদ হওয়া কোন ধর্ম নয়। এতে সাব্যস্ত হলো যে, তাদের মীরাছের হুকুম মুসলমানদের মীরাছের হুকুমের ন্যায় অভিন্ন।
যদি কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী বলে যে, তোমরা তাদেরকে মুসলমানদের ওয়ারিছ মনে করনা। অনুরূপভাবে মুসলমানরাও তাদের ওয়ারিছ হবেনা।
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, এতে তোমাদের উল্লেখিত বক্তব্যের সপক্ষে কোন দলীল নেই। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যে, যদি কোন ব্যক্তি নিজের কোন আমলের কারণে মীরাছ থেকে বঞ্চিত হয়ে যায় তবে সে তার মুরিছ (যার থেকে মীরাছ পাওয়া যায়) হওয়ার ব্যাপারে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
তা থেকে নিম্নোক্ত বিষয়টিও আমরা লক্ষ্য করছি : হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিছ হবেনা। এবং আমরা দেখছি যে, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে জখম বা আহত করে, অতঃপর জখমকারী ব্যক্তি মারা যায়; এরপরে আহত ব্যক্তি ঐ জখমের কারণে মারা যায়। এবং জখমকারী ব্যক্তি ঐ আহত ব্যক্তির পিতা তবে সে তার ওয়ারিছ হয়ে যাবে। নিহত ব্যক্তি স্বীয় হত্যাকারীর ওয়ারিছ হয়ে যায়। এবং হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিছ হবে না। কেননা হত্যাকারীকে তার হত্যা করার শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আর এ কারণেই সে নিহতের মীরাছ থেকে বঞ্চিত হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে নিহত ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মীরাছ থেকে বঞ্চিত হবে না যে তাকে এরূপ জখম করেছে, যে জখমের কারণে সে মারা গেছে। কেননা সে কোন কর্ম করে নাই। অনুরূপভাবে মুরতাদকে তার কর্মের শাস্তি প্রদান করতে গিয়ে অন্যের মীরাছ থেকে তাকে বঞ্চিত রাখা হবে। কিন্তু অন্যদেরকে তার মীরাছ থেকে মাহরুম করা হবে না। কেননা অন্যরা এরূপ কর্ম করে নাই যার শাস্তি তাকে প্রদান করা হবে। এতে ঐ সমস্ত আলিমদের অভিমত সাব্যস্ত হলো যারা মুরতাদের মুসলিম ওয়ারিছদেরকে তার মীরাছ প্রদান করার অভিমত পোষণ করেন।
এ বিষয়ে পূর্ববর্তী মনীষীদের এক দল থেকে রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে :
5307 - فَإِذَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ , عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " لَا يَتَوَارَثُ أَهْلُ مِلَّتَيْنِ , لَا يَرِثُ الْمُسْلِمُ الْكَافِرَ , وَلَا يَرِثُ الْكَافِرُ الْمُسْلِمَ فَلَمَّا جَاءَ هَذَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا ذَكَرْنَا , عَلِمْنَا أَنَّهُ أَرَادَ الْكَافِرَ , ذَا الْمِلَّةِ , فَلَمَّا رَأَيْنَا الرِّدَّةَ لَيْسَتْ بِمِلَّةٍ , وَرَأَيْنَاهُمْ مُجْمِعِينَ أَنَّ الْمُرْتَدِّينَ لَا يَرِثُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا , لِأَنَّ الرِّدَّةَ لَيْسَتْ بِمِلَّةٍ , ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ مِيرَاثِهِمْ , حُكْمُ مِيرَاثِ الْمُسْلِمِينَ , فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتَ لَا تُوَرِّثُهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , فَكَذَلِكَ لَا تُوَرِّثُ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُمْ , قِيلَ لَهُ: مَا فِي هَذَا دَلِيلٌ لَكَ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا مَنْ يَمْنَعُ الْمِيرَاثَ بِفِعْلٍ كَانَ مِنْهُ , وَلَا يَمْنَعُ ذَلِكَ الْفِعْلَ أَنْ يُورَثَ , مِنْ ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْقَاتِلَ لَا يَرِثُ مَنْ قَتَلَ , وَرَأَيْنَا لَوْ جَرَحَ رَجُلًا جِرَاحَةً , ثُمَّ مَاتَ الْمَجْرُوحُ مِنَ الْجِرَاحَةِ , وَالْجَارِحُ أَبُو الْمَجْرُوحِ , أَنَّهُ يَرِثُهُ , فَقَدْ صَارَ الْمَقْتُولُ يَرِثُ مِمَّنْ قَتَلَهُ , وَلَا يَرِثُ الْقَاتِلُ مِمَّنْ قَتَلَ , لِأَنَّ الْقَاتِلَ عُوقِبَ بِقَتْلِهِ , فَمُنِعَ الْمِيرَاثُ مِمَّنْ قَتَلَهُ , وَلَمْ يُمْنَعِ الْمَقْتُولُ مِنَ الْمِيرَاثِ مِمَّنْ جَرَحَهُ الْجِرَاحَةَ الَّتِي قَتَلَتْهُ , إِذْ كَانَ لَمْ يَفْعَلْ شَيْئًا , فَكَذَلِكَ الْمُرْتَدُّ , مُنِعَ مِنْ مِيرَاثِ غَيْرِهِ , عُقُوبَةً لِمَا أَتَاهُ وَلَمْ يُمْنَعْ غَيْرُهُ مِنَ الْمِيرَاثِ مِنْهُ , إِذْ لَمْ يَكُنْ مِنْهُ مَا يُعَاقَبُ عَلَيْهِ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ , قَوْلُ مَنْ يُوَرِّثُ مِنَ الْمُرْتَدِّ وَرَثَتَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ أَيْضًا ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩০৮
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩০৮। ফাহাদ (রাহঃ).... আবু আমর শায়বানী (রাহঃ) সূত্রে আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মুসতাওরিদের মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছদের জন্য সাব্যস্ত করেছেন।
5308 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ , عَنْ عَلِيٍّ , أَنَّهُ جَعَلَ مِيرَاثَ الْمُسْتَوْرِدِ لِوَرَثَتِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩০৯
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩০৯। ফাহাদ (রাহঃ)..... ইবন উবায়দ ইবন আবরাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রাযিঃ) মুসতাওরিদকে বললেন, তুমি কোন্ দ্বীনের উপর রয়েছ? সে বলল, আমি ঈসা (আ)-এর দ্বীনের উপর। আলী (রাযিঃ) বললেন, আমিও ঈসা (আ)-এর দ্বীনের উপর আছি। (অতঃপর জিজ্ঞাসা করলেন) তোমার রব (প্রতিপালক) কে?লোকদের ধারণা যে, সে বলেছে, তিনিই (ঈসা আ) তার রব। অনন্তর তিনি বললেন, তাকে হত্যা কর। কিন্তু তিনি তার সম্পদ স্পর্শ করেন নাই।
5309 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ , عَنْ سِمَاكٍ , عَنِ ابْنِ عُبَيْدِ بْنِ الْأَبْرَصِ , أَنَّ عَلِيًّا , قَالَ لِلْمُسْتَوْرِدِ " عَلَى دِينِ مَنْ أَنْتَ؟ , قَالَ: عَلَى دِينِ عِيسَى , قَالَ عَلِيٌّ: وَأَنَا عَلَى دِينِ عِيسَى , فَمَنْ رَبُّكَ؟ فَزَعَمَ الْقَوْمُ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّهُ رَبُّهُ فَقَالَ: اقْتُلُوهُ , وَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِمَالِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১০
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩১০। ফাহাদ (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মুরতাদ মারা যাবে তার সন্তানেরা তার ওয়ারিছ হবে।
5310 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ , عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: إِذَا مَاتَ الْمُرْتَدُّ وَرِثَهُ وَلَدُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১১
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩১১। আলী ইবন যায়দ (রাহঃ).... হাকাম ইবন উতায়বা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে ইবনে মাসউদ (রাহঃ) বলেছেন : তার (মুরতাদ) মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছরা পাবে।
5311 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ , عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ , أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ , قَالَ: مِيرَاثُهُ لِوَرَثَتِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১২
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩১২। ফাহাদ (রাহঃ) .....মুসা ইব্ন আবী কাসীর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইব্ন মুসায়্যিব (রাহঃ) কে মুরতাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন: তা তার পরিজন (ওয়ারিছ) দের জন্য।
5312 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: ثنا شَرِيكٌ , عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ , عَنْ مِيرَاثِ الْمُرْتَدِّ , فَقَالَ: هُوَ لِأَهْلِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩১৫
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩১৩। ফাহাদ (রাহঃ).... মুসা ইব্ন আবী কাসীর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইব্ন মুসায়্যিব (রাহঃ) কে মুরতাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন: আমরা তাদের ওয়ারিছ হব, কিন্তু তারা আমাদের ওয়ারিছ হবেনা।
আলী ইবন যায়দ (রাহঃ).... সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ).....সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আলী ইবন যায়দ (রাহঃ).... সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ).....সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
5313 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ عَنِ الْمُرْتَدِّينَ , فَقَالَ: نَرِثُهُمْ وَلَا يَرِثُونَنَا
5314 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدَةُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ , وَسُفْيَانُ , عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , مِثْلُهُ
5315 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُوسَى بْنِ الصَّبَّاحِ , وَقَالَ مَرَّةً: عَنْ أَبِي الصَّبَّاحِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , مِثْلُهُ
5314 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدَةُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ , وَسُفْيَانُ , عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , مِثْلُهُ
5315 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُوسَى بْنِ الصَّبَّاحِ , وَقَالَ مَرَّةً: عَنْ أَبِي الصَّبَّاحِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , مِثْلُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১৪
empty
৫৩১৪।
5314 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১৫
empty
৫৩১৫।
5315 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১৬
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩১৬। আবু বিশর রকী (রাহঃ).... আশ্আছ (রাহঃ) সূত্রে হাসান (রাযিঃ) থেকে প্রথমে দারুল হরবে চলে যাওয়া মুরতাদ সম্পর্কে নকল করেন যে, কুরআন মুতাবিক তার সম্পদ তার মুসলিম সন্তানদের মাঝে বণ্টন করা হবে।
5316 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ , عَنْ أَشْعَثَ , عَنِ الْحَسَنِ ,: فِي الْمُرْتَدِّ يَلْحَقُ بِدَارِ الْحَرْبِ , فَقَالَ: مَالُهُ بَيْنَ وَلَدِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , عَلَى كِتَابِ اللهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩১৭
১৬. মুরতাদ বা ইসলাম ত্যাগকারীর মীরাছ কে পাবে
৫৩১৭। আলী ইবন যায়দ (রাহঃ) ....... কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাসান (রাযিঃ) বলেছেন : যখন সে
(মুরতাদ) ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছগণ পাবে।
বস্তুত এই সকল মনীষীগণ, আমরা যাদের উল্লেখ করেছি তাঁরা মুরতাদের মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছদের জন্য সাব্যস্ত করেন এবং তাদের এই অভিমতকে যুক্তি দ্বারা সুদৃঢ় করা যায়। আর তা এভাবে যে, আমরা লক্ষ্য করছি তাঁরা (ফকীহগণ) সকলে একমত যে, মুরতাদ তার ধর্ম ত্যাগের পূর্বে তার জান ও মাল নিরাপদ থাকে। অতঃপর মুরতাদ হওয়ার কারণে তার জীবন থেকে পূর্ববর্তী নিরাপত্তা বিলুপ্ত হয়ে তার রক্ত মুবাহ তথা বৈধ হয়ে যায়। আর তার সম্পদ ধর্ম ত্যাগ অবস্থায় পূর্ববর্তী নিরাপত্তার সাথে নিরাপদ থাকে। আমরা দেখছি যে, হারবী কাফিরদের জান ও মালের হুকুম বরাবর ও অভিন্ন হয়। তাদেরকে হত্যা করা হোক অথবা হত্যা করা না হোক, তাদের সম্পদ হত্যার কারণে নয় বরং কুফরীর কারণে হালাল হয়। পক্ষান্তরে মুরতাদের সম্পদ তার কুফরীর কারণে হালাল হয়না। সুতরাং যখন সাব্যস্ত হলো যে, তার সম্পদ কুফরীর কারণে হালাল হয়না, এতে প্রমাণিত হলো যে, তা তার হত্যার কারণেও হালাল হবেনা।
আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, হারবী (কাফির)-দের সম্পদ গনীমত হয়ে যাওয়ার কারণে হালাল হয়ে যায় এবং এতে এর মালিকানা অর্জিত হয়। আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, তাদের সে সম্পদ আমাদের দেশে এসে যায়, আমরা ওটার মালিক হয়ে যাই। এবং ওটাকে আমাদের দেশে গনীমত বানিয়ে নেই। যদিও আমরা তাদেরকে হত্যা করি নাই। যখন মুরতাদের সম্পদ তার ধর্ম ত্যাগের কারণে গনীমতের সম্পদ রূপে বিবেচিত হয়না, তাহলে যুক্তির দাবি হলো যে, তার রক্ত প্রবাহিত করার কারণেও তার সম্পদ গনীমত বিবেচিত হবেনা। সুতরাং যখন সাব্যস্ত হলো যে, তার সম্পদ গনীমতের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাহলে এটা দুই অবস্থা থেকে মুক্ত নয়। হয়তো ঐ সমস্ত ওয়ারিছগণ তার মীরাছ পাবে, যারা তার মুসলিম অবস্থায় মারা যাওয়ার কারণে ওয়ারিছ হয়, অথবা সাধারণ মুসলমানদের জন্য হবে। যদি তা তার মুসলিম ওয়ারিছগণ পায় তবে সেই কথাই প্রযোজ্য যা আমরা বলেছি। আর যদি সাধারণ মুসলমানরা তার ওয়ারিছ হয় তাহলেও মুসলমান মুরতাদের ওয়ারিছ হয়ে গেল।
যখন মুরতাদ ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছরা পায় এবং সে মুরতাদ হওয়ার কারণে উক্ত হুকুম থেকে বের হয়না, তাহলে তার ওয়ারিছগণ সেই সমস্ত লোকেরা হবে যারা ঐ অবস্থায় ওয়ারিছ হয়ে থাকে যখন সে মুসলিম অবস্থায় মারা যায়। অন্য লোকেরা ওয়ারিছ হবে না। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। মুরতাদ দারুল হারবে চলে যাওয়ার কারণে তার মালিকানা এ জন্য বিলুপ্ত হয়ে যায়। কেননা সে অধিকারের ভিত্তিতে আমাদের দেশ থেকে বেরিয়ে দারুল হারবে চলে গেছে। অথচ আমাদের দেশে আমাদের সঙ্গে লড়ার কারণে তার রক্ত মুবাহ (বৈধ) ছিলো। এর দলীল হলো যে, যদি কোন হারবী কাফির আমাদের দেশে আগমন করে; অতঃপর দারুল হারবের দিকে ফিরে যায় এবং এখানে সম্পদ ছেড়ে যায়, এতদসত্ত্বেও তার মালিকানা বিলুপ্ত হবে না। কেননা সে দারুল হারবের উপযোগী হয়ে বের হয় নাই। কারণ সে দারুল হারবে প্রবেশ করা পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তায় রয়েছে।
(মুরতাদ) ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছগণ পাবে।
বস্তুত এই সকল মনীষীগণ, আমরা যাদের উল্লেখ করেছি তাঁরা মুরতাদের মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছদের জন্য সাব্যস্ত করেন এবং তাদের এই অভিমতকে যুক্তি দ্বারা সুদৃঢ় করা যায়। আর তা এভাবে যে, আমরা লক্ষ্য করছি তাঁরা (ফকীহগণ) সকলে একমত যে, মুরতাদ তার ধর্ম ত্যাগের পূর্বে তার জান ও মাল নিরাপদ থাকে। অতঃপর মুরতাদ হওয়ার কারণে তার জীবন থেকে পূর্ববর্তী নিরাপত্তা বিলুপ্ত হয়ে তার রক্ত মুবাহ তথা বৈধ হয়ে যায়। আর তার সম্পদ ধর্ম ত্যাগ অবস্থায় পূর্ববর্তী নিরাপত্তার সাথে নিরাপদ থাকে। আমরা দেখছি যে, হারবী কাফিরদের জান ও মালের হুকুম বরাবর ও অভিন্ন হয়। তাদেরকে হত্যা করা হোক অথবা হত্যা করা না হোক, তাদের সম্পদ হত্যার কারণে নয় বরং কুফরীর কারণে হালাল হয়। পক্ষান্তরে মুরতাদের সম্পদ তার কুফরীর কারণে হালাল হয়না। সুতরাং যখন সাব্যস্ত হলো যে, তার সম্পদ কুফরীর কারণে হালাল হয়না, এতে প্রমাণিত হলো যে, তা তার হত্যার কারণেও হালাল হবেনা।
আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, হারবী (কাফির)-দের সম্পদ গনীমত হয়ে যাওয়ার কারণে হালাল হয়ে যায় এবং এতে এর মালিকানা অর্জিত হয়। আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, তাদের সে সম্পদ আমাদের দেশে এসে যায়, আমরা ওটার মালিক হয়ে যাই। এবং ওটাকে আমাদের দেশে গনীমত বানিয়ে নেই। যদিও আমরা তাদেরকে হত্যা করি নাই। যখন মুরতাদের সম্পদ তার ধর্ম ত্যাগের কারণে গনীমতের সম্পদ রূপে বিবেচিত হয়না, তাহলে যুক্তির দাবি হলো যে, তার রক্ত প্রবাহিত করার কারণেও তার সম্পদ গনীমত বিবেচিত হবেনা। সুতরাং যখন সাব্যস্ত হলো যে, তার সম্পদ গনীমতের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়, তাহলে এটা দুই অবস্থা থেকে মুক্ত নয়। হয়তো ঐ সমস্ত ওয়ারিছগণ তার মীরাছ পাবে, যারা তার মুসলিম অবস্থায় মারা যাওয়ার কারণে ওয়ারিছ হয়, অথবা সাধারণ মুসলমানদের জন্য হবে। যদি তা তার মুসলিম ওয়ারিছগণ পায় তবে সেই কথাই প্রযোজ্য যা আমরা বলেছি। আর যদি সাধারণ মুসলমানরা তার ওয়ারিছ হয় তাহলেও মুসলমান মুরতাদের ওয়ারিছ হয়ে গেল।
যখন মুরতাদ ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার মীরাছ তার মুসলিম ওয়ারিছরা পায় এবং সে মুরতাদ হওয়ার কারণে উক্ত হুকুম থেকে বের হয়না, তাহলে তার ওয়ারিছগণ সেই সমস্ত লোকেরা হবে যারা ঐ অবস্থায় ওয়ারিছ হয়ে থাকে যখন সে মুসলিম অবস্থায় মারা যায়। অন্য লোকেরা ওয়ারিছ হবে না। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। মুরতাদ দারুল হারবে চলে যাওয়ার কারণে তার মালিকানা এ জন্য বিলুপ্ত হয়ে যায়। কেননা সে অধিকারের ভিত্তিতে আমাদের দেশ থেকে বেরিয়ে দারুল হারবে চলে গেছে। অথচ আমাদের দেশে আমাদের সঙ্গে লড়ার কারণে তার রক্ত মুবাহ (বৈধ) ছিলো। এর দলীল হলো যে, যদি কোন হারবী কাফির আমাদের দেশে আগমন করে; অতঃপর দারুল হারবের দিকে ফিরে যায় এবং এখানে সম্পদ ছেড়ে যায়, এতদসত্ত্বেও তার মালিকানা বিলুপ্ত হবে না। কেননা সে দারুল হারবের উপযোগী হয়ে বের হয় নাই। কারণ সে দারুল হারবে প্রবেশ করা পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তায় রয়েছে।
5317 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدَةُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , أَنَّ الْحَسَنَ , قَالَ: مِيرَاثُهُ لِوَارِثِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , إِذَا ارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ فَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ ذَكَرْنَا , قَدْ جَعَلُوا مِيرَاثَ الْمُرْتَدِّ لِوَرَثَتِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَشَذَّ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِمْ مَا قَدْ وَصَفْتُهُ فِي هَذَا الْبَابِ , مِمَّا يُوجِبُهُ النَّظَرُ , وَفِي ذَلِكَ حُجَّةٌ أُخْرَى مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ أَيْضًا , وَهِيَ أَنَّا رَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْمُرْتَدَّ قَبْلَ رِدَّتِهِ , مَحْظُورٌ دَمُهُ وَمَالُهُ , ثُمَّ إِذَا ارْتَدَّ , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْحَظْرَ الْمُتَقَدِّمَ , قَدِ ارْتَفَعَ عَنْ دَمِهِ , وَصَارَ دَمُهُ مُبَاحًا , وَمَالُهُ مَحْظُورًا فِي حَالَةِ الرِّدَّةِ , بِالْحَظْرِ الْمُقَدَّمِ , وَقَدْ رَأَيْنَا الْحَرْبِيِّينَ حُكْمُ دِمَائِهِمْ وَحُكْمُ أَمْوَالِهِمْ سَوَاءٌ , قُتِلُوا أَوْ لَمْ يُقْتَلُوا , فَلَمْ يَكُنِ الَّذِي يُحَلُّ بِهِ أَمْوَالُهُمْ هُوَ الْقَتْلُ , بَلْ كَانَ الْكُفْرَ , وَكَانَ الْمُرْتَدُّ لَا يَحِلُّ مَالُهُ بِكُفْرِهِ , فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ مَالَهُ لَا يَحِلُّ بِكُفْرِهِ , ثَبَتَ أَنَّهُ لَا يَحِلُّ بِقَتْلِهِ , وَقَدْ رَأَيْنَا أَمْوَالَ الْحَرْبِيِّينَ تَحِلُّ بِالْغَنَائِمِ , فَتُمْلَكُ بِهَا , وَرَأَيْنَا مَا وَقَعَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فِي دَارِنَا , مَلَكْنَاهُ عَلَيْهِمْ وَغَنِمْنَاهُ بِالدَّارِ , وَإِنْ لَمْ نَقْتُلْهُمْ , فَلَمَّا كَانَ مَالُ الْمُرْتَدِّ غَيْرَ مَغْنُومٍ بِرِدَّتِهِ , كَانَ فِي النَّظَرِ أَيْضًا , غَيْرُ مَغْنُومٍ بِسَفْكِ دَمِهِ , فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ مَالَهُ لَا يَدْخُلُ فِي حُكْمِ الْغَنَائِمِ , لَمْ يَخْلُ مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ , إِمَّا أَنْ يَرِثَهُ وَرَثَتُهُ الَّذِينَ يَرِثُونَهُ لَوْ مَاتَ عَلَى الْإِسْلَامِ , أَوْ يَصِيرَ لِلْمُسْلِمِينَ , فَإِنْ صَارَ لِوَرَثَتِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , فَهُوَ كَمَا قُلْنَا , وَإِنْ صَارَ لِجَمِيعِ الْمُسْلِمِينَ , فَقَدْ وَرِثَ الْمُسْلِمُونَ مُرْتَدًّا , [ص:268] فَلَمَّا كَانَ الْمُرْتَدُّ فِي حَالِ مَنْ يَرِثُهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَلَمْ يَخْرُجْ بِرِدَّتِهِ مِنْ ذَلِكَ , كَانَ الَّذِينَ يَرِثُونَهُ , هُمْ وَرَثَتُهُ الَّذِينَ كَانُوا يَرِثُونَهُ لَوْ مَاتَ فِي الْإِسْلَامِ لَا غَيْرُهُمْ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ , وَإِنَّمَا زَالَ مِلْكُ الْمُرْتَدِّ بِاللُّحُوقِ بِدَارِ الْحَرْبِ , لِخُرُوجِهِ مِنْ دَارِنَا إِلَى دَارِ الْحَرْبِ , عَلَى طَرِيقِ الِاسْتِحْقَاقِ مَعَ كَوْنِهِ مُقَاتِلًا لَنَا , مُبَاحَ الدَّمِ فِي دَارِنَا , بِدَلِيلِ الْحَرْبِيِّ يَدْخُلُ إِلَيْنَا إِذَا عَادَ إِلَى دَارِ الْحَرْبِ , وَخَلَّفَ مَالًا هَاهُنَا , لَمْ يَزُلْ عَنْهُ مِلْكُهُ مَعَ وُجُودِ هَذَا , وَلَمْ يَخْرُجْ مُسْتَحِقًّا , لِأَنَّهُ فِي أَمَانِنَا إِلَى أَنْ يَدْخُلَ دَارَ الْحَرْبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান