শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫২৯০
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯০। ফাহাদ (রাহঃ) .....ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আযাবা উষ্ট্রী সমস্ত হাজীদের সঙ্গে গমনকারী ছিলো। মুশরিকরা মদীনার চারণ ভূমিতে অতর্কিত আক্রমণ করে (লুটতরাজ করে) তা তারা নিয়ে গিয়েছিলো। তাতে আযাবাও অন্তর্ভুক্ত ছিলো এবং তারা এক মুসলিম নারীকেও বন্দী করেছিলো। তাদের অভ্যাস ছিলো যখন তারা কোন স্থানে অবতরণ করত তখন তারা নিজেদের উটগুলোকে তাদের ময়দানে ছেড়ে দিত । এক রাতে যখন মুশরিকরা ঘুমিয়ে পড়েছিলো, ঐ (মুসলিম) নারী উঠলো। সে যেই উটের উপরই হাত রাখত তা চিৎকার করত। অবশেষে সে আযবা উষ্ট্রীর কাছে এলো। সে এর উপর আরোহণ করে মদীনা অভিমুখে ছুটলো এবং মান্নত করল যে, যদি আল্লাহ্ তা'আলা তাকে রক্ষা করে তবে সে উক্ত উষ্ট্রীকে নহর তথা জবাহ করবে। যখন সে মদীনায় এসে পৌঁছাল তখন উষ্ট্রীটিকে চেনা গেলো। অতঃপর সাহাবাগণ ঐ মহিলাকে নবী (ﷺ)-এর দরবারে নিয়ে এলেন। সে তাঁকে তার মান্নতের ব্যাপারে অবহিত করল, তিনি বললেন, যদি তুমি মান্নত পূর্ণ কর তাহলে একে তুমি কত নিকৃষ্ট বদলা-ই না দিলে। স্মরণ রেখো আল্লাহর নাফরমানী এবং বনী আদম (মানুষ) যার মালিক নয় তাতে মান্নত পুরা করা হয় না।

পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মুসলিমদের সম্পদ থেকে যা কিছু হারবীদের থেকে গনীমত হিসাবে অর্জিত হয়েছে তা বণ্টনের পূর্বে অথবা পরে উভয় অবস্থায় মুসলিমদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে। কেননা তাঁদের উক্তি অনুযায়ী হারবীগণ মুসলমানদের থেকে যে সম্পদ অর্জন করে তারা এর মালিকানা লাভ করেনা। তারা বলেন, নবী (ﷺ) কর্তৃক ঐ মহিলাকে যে কিনা আযাবা (উষ্ট্রী) পাকড়াও করেছিলো, এটা বলা যে, “মানুষ যে বস্তুর মালিক নয়, তাতে মান্নত পূর্ণ করা হয়না।” এটা এ কথার দলীল যে, সে তা হারবীদের থেকে নেয়ার পর মালিক হয় নাই। এবং হারবীগণের নবী (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে এর মালিকানা লাভ হয় নাই ।

পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, মুশরিকগণ মুসলমানদের যে সম্পদ দখল করে নিয়ে যায় এবং দারুল হারবে তা সংরক্ষণ করে তারা এর মালিক হয়ে যায় এবং এর থেকে মুসলমানদের মালিকানা দূরীভূত হয়ে যায়। সুতরাং যখন মুসলমানগণ তাদের বিরুদ্ধে অশ্ব পরিচালনা (আক্রমণ) করে এবং তাদের থেকে তা ফেরৎ নিয়ে নেয় এরপর বণ্টনের পূর্বে যদি এর মালিক এসে যায় তবে কোনরূপ বিনিময় ব্যতীত সে তা নিয়ে নিবে। আর যদি সে বণ্টনের পরে আসে তবে তা মূল্য দিয়ে গ্রহণ করবে।

বস্তুত প্রথমোক্ত হাদীসে তাদের প্রমাণ হলো যে, নবী (ﷺ)-এর বাণী “মালিকানাহীন বস্তুতে মানুষের মান্নত নির্ভরযোগ্য নয়”—এটা মহিলার জন্য উষ্ট্রীর মালিকানা লাভের পূর্বের ব্যাপার। কেননা সে এ কথাটি দারুল হারবে বলেছিলো এবং সমস্ত লোকেরা বলে যে, যে ব্যক্তি দারুল হারববাসী (হারবী) দের থেকে কোন কিছু নিবে এবং তা নিয়ে দারুল ইসলামে স্থানান্তরিত না হয় তাহলে সে এর সংরক্ষণকারী এবং মালিক হবেনা। ঐ বস্তুর উপর তার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে না যতক্ষণ না সে তা নিয়ে দারুল ইসলামের দিকে বেরিয়ে আসবে। যখন সে এরূপ করবে তখন সেটা গনীমতের সম্পদ হিসাবে সে লাভ করবে এবং সে এর মালিকানা লাভ করবে। এ জন্যই নবী (ﷺ)‌ ঐ মহিলাকে ঐ কথা বলেছেন। কেননা সে এর মালিক হওয়ার পূর্বে মান্নত করেছিলো। আর এটাই হলো বক্ষমান হাদীসের বিশ্লেষণ। এবং এতে এ বিষয়ের কোন প্রমাণ নেই যে, নবী (ﷺ) থেকে এই উষ্ট্রীটি নেয়ার পরে মুশরিকরা এর মালিকানা লাভ করেছে কিনা এবং এ কথারও কোন দলীল নেই যে, হারবীগণ মুসলমানদের যে সম্পদ দখল করে তারা এর মালিক হয় কিনা। এই হাদীসে এ কথার দলীল রয়েছে যা নিম্নরূপ :
بَابُ مَا أَحْرَزَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ ; هَلْ يَمْلِكُونَهُ أَمْ لَا؟
5290 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , قَالَ: كَانَتِ الْعَضْبَاءُ مِنْ سَوَابِقِ الْحَاجِّ , فَأَغَارَ الْمُشْرِكُونَ عَلَى سَرْحِ الْمَدِينَةِ , فَذَهَبُوا بِهِ , وَفِيهِ الْعَضْبَاءُ وَأَسَرُوا امْرَأَةً مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَكَانُوا إِذَا نَزَلُوا يُرْسِلُونَ إِبِلَهُمْ فِي أَفْنِيَتِهِمْ , فَلَمَّا كَانَتْ ذَاتَ لَيْلَةٍ , قَامَتِ الْمَرْأَةُ وَقَدْ نُوِّمُوا , فَجَعَلَتْ لَا تَضَعُ يَدَهَا عَلَى بَعِيرٍ إِلَّا رَغَا , حَتَّى إِذَا أَتَتْ عَلَى الْعَضْبَاءِ فَأَتَتْ عَلَى نَاقَةٍ ذَلُولٍ فَرَكِبَتْهَا , وَتَوَجَّهَتْ قِبَلَ الْمَدِينَةِ , وَنَذَرَتْ , لَئِنْ نَجَّاهَا اللهُ عَلَيْهَا , لَتَنْحَرَنَّهَا , فَلَمَّا قَدِمَتْ , عَرَفَتِ النَّاقَةَ فَأَتَوْا بِهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ الْمَرْأَةُ بِنَذْرِهَا فَقَالَ: " بِئْسَ مَا جَزَيْتِهَا أَوْ وَفَّيْتِهَا , لَا وَفَاءَ لِنَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللهِ , وَلَا فِيمَا لَا يَمْلِكُ ابْنُ آدَمَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ غَنِيمَةَ أَهْلِ الْحَرْبِ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ , مَرْدُودٌ عَلَى الْمُسْلِمِينَ قَبْلَ الْقِسْمَةِ وَبَعْدَهَا , لِأَنَّ أَهْلَ الْحَرْبِ فِي قَوْلِهِمْ , لَا يَمْلِكُونَ أَمْوَالَ الْمُسْلِمِينَ بِأَخْذِهِمْ إِيَّاهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ , وَقَالُوا: «قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي أَخَذَتِ الْعَضْبَاءَ لَا نَذْرَ لِابْنِ آدَمَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ» دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ مَلَكَتْهَا بِأَخْذِهَا إِيَّاهَا مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ , وَأَنَّ أَهْلَ الْحَرْبِ لَمْ يَكُونُوا مَلَكُوهَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَا أَخَذَهُ أَهْلُ الْحَرْبِ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ , فَأَحْرَزُوهُ فِي دَارِهِمْ , فَقَدْ مَلَكُوهُ وَزَالَ عَنْهُ مِلْكُ الْمُسْلِمِينَ , [ص:263] فَإِذَا أَوْجَفَ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ , فَأَخَذُوهُ مِنْهُمْ , فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْسَمَ , أَخَذَهُ بِغَيْرِ شَيْءٍ , وَإِنْ جَاءَ بَعْدَمَا قُسِمَ , أَخَذَهُ بِالْقِيمَةِ , وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا نَذْرَ لِابْنِ آدَمَ فِيمَا لَا يَمْلِكُ» إِنَّمَا كَانَ قَبْلَ أَنْ تَمْلِكَ الْمَرْأَةُ النَّاقَةَ , لِأَنَّهَا قَالَتْ ذَلِكَ وَهِيَ فِي دَارِ الْحَرْبِ , وَكُلُّ النَّاسِ يَقُولُ: إِنَّ مَنْ أَخَذَ شَيْئًا مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ , فَلَمْ يَتَحَوَّلْ بِهِ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ , أَنَّهُ غَيْرُ مُحْرَزٍ لَهُ , وَغَيْرُ مَالِكٍ , وَإِنْ مَلَكَهُ لَا يَقَعُ عَلَيْهِ حَتَّى يَخْرُجَ بِهِ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ , فَقَدْ غَنِمَهُ وَمَلَكَهُ , فَلِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَأْنِ الْمَرْأَةِ مَا قَالَ , لِأَنَّهَا نَذَرَتْ قَبْلَ أَنْ تَمْلِكَهَا لَئِنْ نَجَّاهَا اللهُ عَلَيْهَا , لَتَنْحَرَنَّهَا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا نَذْرَ لِابْنِ آدَمَ فِيمَا لَا يَمْلِكُهُ» لِأَنَّ نَذْرَهَا ذَلِكَ كَانَ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَمْلِكَهَا , فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ , وَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْمُشْرِكِينَ قَدْ كَانُوا مَلَكُوهَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَخْذِهِمْ إِيَّاهَا مِنْهُ أَمْ لَا وَلَا عَلَى أَنَّ أَهْلَ الْحَرْبِ يَمْلِكُونَ مَا أُوجِفُوا عَلَيْهِ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ أَيْضًا أَمْ لَا , وَالَّذِي فِيهِ الدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ , مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৯২
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯১-৯২। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ)..... তামীম ইবন তরফা আল-তাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তির একটি উট শত্রুরা নিয়ে গেলো। অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি তাদের থেকে তা খরীদ করে ফেলে। অনন্তর সে তা নিয়ে আসে। উটের মালিক তা চিনে ফেলে। সে তার মুকাদ্দামা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে পেশ করলে তিনি বললেন, যদি তুমি ইচ্ছা কর তবে ঐ ব্যক্তিকে এর এ পরিমাণ মূল্য প্রদান কর, যা দিয়ে সে তা খরীদ করেছে এবং এই উট তোমার হবে। অন্যথায় তা তার হবে।

আবু বাকুরা (রাহঃ)..... তামীম ইব্‌ন তরফা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। বস্তুত এটাই হলো এই অনুচ্ছেদে বিধানগত বিশ্লেষণ যা বর্ণনা করা হয়েছে এবং এই বিষয়টি-ই পূর্ববর্তী মনীষীদের একদল থেকে বর্ণিত আছে। এ বিষয়ে তাদের থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহ থেকে একটি হলো নিম্নরূপ :
5291 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ , قَالَ: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ , عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ الطَّائِيِّ " أَنَّ رَجُلًا أَصَابَ لَهُ الْعَدُوُّ بَعِيرًا , فَاشْتَرَاهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ , فَجَاءَ بِهِ فَعَرَفَهُ صَاحِبُهُ , فَخَاصَمَهُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَهُ ثَمَنَهُ الَّذِي اشْتَرَاهُ بِهِ وَهُوَ لَكَ , وَإِلَّا فَهُوَ لَهُ

5292 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ حَفْصٍ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ سِمَاكٍ , عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوُهُ فَهَذَا هُوَ الَّذِي فِيهِ وَجْهُ الْحُكْمِ فِي هَذَا الْبَابِ كَيْفَ هُوَ؟ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ , فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯৩
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯৩। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ)..... কাবীসা ইব্‌ন যুওয়াইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) ঐ বস্তুর ব্যাপারে যা মুশরিকরা দখল করেছিলো, অতঃপর মুসলমানগণ তা পুনর্দখল করলো এরপর এর মালিক তা চিনতে পারলো, বলেছেন, যদি সে বণ্টনের পূর্বে তা পেয়ে যায় তবে তা তার জন্য হবে। আর যদি তাতে হিস্যা বা অংশ জারী হয়ে যায় তবে তার জন্য কিছুই হবেনা।
5293 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيِّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ , عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: فِيمَا أَحْرَزَ الْمُشْرِكُونَ فَأَصَابَهُ الْمُسْلِمُونَ فَعَرَفَهُ صَاحِبُهُ قَالَ: إِنْ أَدْرَكَهُ قَبْلَ أَنْ يُقْسَمَ , فَهُوَ لَهُ , وَإِنْ جَرَتْ فِيهِ السِّهَامُ , فَلَا شَيْءَ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৯৫
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯৪-৯৫। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) রাজা ইবন হায়ওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) ও আবু উবায়দা (রাযিঃ) এটা তথা অনুরূপ বলেছেন।
95- 5294 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ السَّمَّانُ , عَنِ ابْنِ عَوْنٍ , عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ , أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , وَأَبَا عُبَيْدَةَ قَالَا ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯৬
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯৬। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ).... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
5296 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَشَجِّ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ , مِثْلُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯৭
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯৭। মুহাম্মাদ ইবন খুযাইমা (রাহঃ)..... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মুসলমানদের সম্পদ মুশরিকরা লাভ করে, অতঃপর তা মুসলমানদের অর্জিত হয় এবং বণ্টনের পূর্বে এর মালিক তার নাগাল পায় তবে তা তারই হবে। আর যদি বণ্টনের পরে এর নাগাল পায় তাহলে যে মূল্যে সে তা নিয়েছিলো ঐ মূল্য আদায় করে গ্রহণ করার অধিকতর উপযোগী।
5297 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ زَائِدَةَ بْنِ قُدَامَةَ , عَنْ لَيْثٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ , قَالَ: إِذَا أَصَابَ الْمُشْرِكُونَ السَّبْيَ لِلْمُسْلِمِينَ , فَأَصَابَهُ الْمُسْلِمُونَ , فَقَدْ رَدَّ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْسَمَ , فَهُوَ لَهُ , وَإِنْ قَدَرَ عَلَيْهِ بَعْدَ الْقِسْمَةِ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ , بِالثَّمَنِ الَّذِي أَخَذَ بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯৮
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯৮। ইসহাক ইবন ইবরাহীম ইবন ইউনুস (রাহঃ).... নাফি' সূত্রে ইবন উমার (রাযিঃ)থেকে বর্ণিত যে,তাঁর (ইবন উমার রা-এর) এক গোলাম শত্রুদের দিকে পলায়ন করেছিলো এবং মুসলমানগণ তার উপর জয়লাভ করেছিলো। অনন্তর নবী (ﷺ) তা ফেরৎ দিয়েছিলেন, এমন অবস্থায় তখনো তা বণ্টন হয় নাই।
5298 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يُونُسَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَسَدِيُّ , قَالَ ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ غُلَامًا لِابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَبَقَ إِلَى الْعَدُوِّ , وَظَهَرَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ , فَرَدَّهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَمْ يَكُنْ قُسِمَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৯৯
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫২৯৯। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ).....মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি দুশমন (কাফির) থেকে একটি দাসী খরীদ করলো এবং তার সঙ্গে সহবাস করলো। অতঃপর তার থেকে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলো। অনন্তর তার মালিক (কাজী) শুরায়সহ-এর কাছে মুকাদ্দমা নিয়ে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, মুসলমানদের জন্য অধিকতর সংগত হলো মূল্য নিয়ে তা তাদের ভাইয়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। সে বলল, তার থেকে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়েছে। তিনি বললেন, তাকে আযাদ (মুক্ত) করে দাও এবং এটা উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর ফায়সালা
5299 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ , قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , وَحَبِيبٍ , وَهِشَامٍ , عَنْ مُحَمَّدٍ , أَنَّ رَجُلًا , ابْتَاعَ جَارِيَةً مِنَ الْعَدُوِّ فَوَطِئَهَا , فَوَلَدَتْ مِنْهُ , فَجَاءَ صَاحِبُهَا , فَخَاصَمَهُ إِلَى شُرَيْحٍ فَقَالَ " الْمُسْلِمُ أَحَقُّ أَنْ يَرُدَّ عَلَى أَخِيهِ بِالثَّمَنِ , قَالَ: فَإِنَّهَا قَدْ وَلَدَتْ مِنْهُ , فَقَالَ: أَعْتِقْهَا , قَضَاءُ الْأَمِيرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩০০
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫৩০০। আহমদ ইব্‌ন দাউ্উদ (রাহঃ) ..... কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা সকলে বলেছেন যে, মুসলমানদের যে সম্পদ মুশরিকরা নিয়ে যায়, অতঃপর তা মুসলমানগণ দখল করে, তাঁরা বলেছেন অনন্তর যদি এর মালিক বণ্টনের পূর্বে এসে যায় তবে সে এর অধিক হকদার।
5300 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ , عَنِ الْحَجَّاجِ , عَنِ ابْنِ إِبْرَاهِيمَ , وَعَامِرٍ , قَالَ: وَقَالَ قَتَادَةُ عَنْ عُمَرَ , أَنَّهُمْ قَالُوا فِيمَا أَصَابَ الْمُشْرِكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , ثُمَّ أَصَابَهُ الْمُسْلِمُونَ بَعْدُ , قَالُوا: إِنْ جَاءَ صَاحِبُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْسَمَ , فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩০১
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫৩০১। আহমদ (রাহঃ).... নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুশরিকরা আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ)-এর ঘোড়া নিয়ে গেলো। অতঃপর মুসলমানগণ তা পুনর্দখল করলো। অনন্তর আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) বণ্টনের পূর্বে তা নিয়ে গেলেন। নাফি' (রাহঃ) এখানে এটা উল্লেখ করেন নাই যে, তিনি বণ্টনের পূর্বে নিয়ে গেছেন। তবে তাঁর নিকট বণ্টনের পরে এটার হুকুম এর পরিপন্থী।
5301 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ الْمُشْرِكِينَ أَصَابُوا فَرَسًا لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , فَأَصَابَهُ الْمُسْلِمُونَ بَعْدُ , فَأَخَذَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ قَبْلَ أَنْ يَقْسِمَ الْقَاسِمُ وَلَمْ يَذْكُرْ نَافِعٌ هُنَا قَبْلَ أَنْ يَقْسِمَ الْقَاسِمُ إِلَّا أَنَّ الْحُكْمَ بَعْدَمَا يَقَعُ الْمُقَاسِمُ , بِخِلَافِ ذَلِكَ عِنْدَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩০২
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫৩০২। আহমদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) .....খাল্লাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) বলেছেন, শত্রু (কাফির) কোন বস্তু কাবু করার পরে তা খরীদ করা জায়িয।
5302 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ خِلَاسٍ , أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ , قَالَ «مَنِ اشْتَرَى مَا أَحْرَزَ الْعَدُوُّ , فَهُوَ جَائِزٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩০৩
১৫. মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে তারা কি সেটার মালিক হয়ে যায়?
৫৩০৩। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ)..... যুহরী (রাহঃ) ও হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, যে বস্তু মুশরিকরা কাবু করে নিয়েছে তা মুসলমানদের জন্য গনীমত। তা থেকে কিছুই ফিরিয়ে দেয়া হবেনা।
বস্তুত এই সকল মনীষীগণ যাঁদের থেকে আমরা এই সমস্ত হাদীস রিওয়ায়াত করেছি, তাতে ঐ বস্তুর বা সম্পদের মাঝে মুশরিকদের মালিকানা সাব্যস্ত হয়েছে, যা তারা মুসলমানদের থেকে নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিরোধ হলো যে, হাসান (রাহঃ) ও যুহরী (রাহঃ) বলেন যে, মুশরিকরা মুসলমানদের যে সম্পদের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে, অতঃপর মুসলমানগণ এর উপর নিজেদের দখল কায়েম করেছে, তাহলে এখন আর এর উপর এর মালিকের কোন হক নেই। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজী শুরায়হ (রাহঃ), মুজাহিদ (রাহঃ), ইবরাহীম (রাহঃ) ও আমের (রাহঃ) এবং তাদের পূর্ববর্তী সাহাবাদের থেকে উমার (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ), আবু উবায়দা (রাযিঃ) ও ইবন উমার (রাযিঃ) ওবায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) তাদের দু'জনের (যুহরী র, ও হাসান র)-বিরোধিতা করেছেন। তারা নিজেদের অভিমতকে নবী (ﷺ)-এর এই বাণী দ্বারা সুদৃঢ় করেছেন, যা আমরা তামীম ইব্‌ন তরফা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত, হাদীসে রিওয়ায়াত করেছি। বস্তুত আমরা যে মত গ্রহণ করেছি তা থেকে এটা অধিকতর সংগত। যদিও কিয়াস ও যুক্তি ঐ দু'দলের মতামতের পরিপন্থী। আর তা হলো এভাবে যে, আমরা লক্ষ্য করছি, মুসলমানগণ হারবী (কাফির)-দেরকে বন্দী করে এবং তাদের সম্পদ দখল করে তারা সম্পদের মালিক হয়ে যায়। যেমন তারা তাদের গর্দানের মালিক হয়।

পক্ষান্তরে মুশরিকরা যখন মুসলমানদেরকে বন্দী করে তখন তারা তাদের গর্দানের মালিক হয় না। তাই এর উপর ভিত্তি করে যুক্তির দাবি হলো যে, তারা তাদের সম্পদের মালিকও হবেনা। এবং মুসলমানদের সম্পদের হুকুম সেটাই হবে না যা তাদের গর্দানের হুকুম রয়েছে। যেমন মুশরিকদের সম্পদের হুকুম তাদের গর্দানের হুকুমের ন্যায় অভিন্ন। কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর পরবর্তী মুসলমানদের হুকুমের কারণে তা ছেড়ে দিয়েছি। যখন এ বিষয়ে তাদের ফয়সালা সাব্যস্ত হয়ে গেল তাই আমরা বিরোধপূর্ণ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছি। অর্থাৎ যখন মুসলমানগণ তা নাগাল পেয়ে মুশরিকদের দখল থেকে নিজেদের দখলে নিয়ে আসে এবং অতঃপর বন্টনের পরে এর মালিক এসে যায় তবে সে মূল্য দিয়ে নিতে পারবে, যেমনটি ঐ সমস্ত কতিপয় আলিমগণ বলেছেন, যাদের থেকে আমরা এই অনুচ্ছেদে রিওয়ায়াত করেছি। অথবা সে মূল্য দিয়ে কিংবা মূল্য ব্যতীত কোন ভাবেই গ্রহণ করতে পারবেনা, যেমনটি ঐ সমস্ত কতিপয় আলিমগণ বলেছেন, যাদের থেকে আমরা এই অনুচ্ছেদে রিওয়ায়াত করেছি।

সুতরাং আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে লক্ষ্য করেছি যে, নবী (ﷺ) হারবীদের থেকে উট ক্রেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন যে, এর মালিক মূল্য দিয়ে এটা নিতে পারবে। অথচ হারবী কাফিরদের থেকে ওই উটের ক্রেতা এর মালিক হয়ে গিয়েছিলো। যেমনভাবে গনীমত থেকে হিস্যা লাভকারী ওই হিস্যার মালিক বনে যায়। তাই এর উপর ভিত্তি করে যুক্তির দাবি হলো যে, যখন ইমাম বা সরকার প্রধান গনীমতের সম্পদ বণ্টন করে দেয় এবং তা থেকে কোন বস্তু কোন ব্যক্তির দখলে চলে আসে অথচ এটা অন্যের হাত থেকে দখলে গিয়েছিলো, তবে ঐ দখলী বস্তুর হুকুম অনুরূপই হবে। আর যা কিছু তার হাত থেকে কারো দখলে গিয়েছিলো এখন ওই ব্যক্তি থেকে যার হিস্যায় এসেছে মূল্য দিয়ে নিতে পারবে। যেমনিভাবে সে ক্রেতাকে মূল্য দিয়ে নিতে পারে, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতে।
5303 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , وَالْحَسَنِ , قَالَا: مَا أَحْرَزَ الْمُشْرِكُونَ , فَهُوَ فَيْءٌ لِلْمُسْلِمِينَ , لَا يُرَدُّ مِنْهُ شَيْءٌ فَكُلُّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ رَوَيْنَا عَنْهُمْ هَذِهِ الْآثَارَ , قَدْ ثَبَتَ مِلْكُ الْمُشْرِكِينَ لِمَا أَحْرَزُوا , مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ , وَإِنَّمَا اخْتِلَافُهُمْ فِيمَا بَعْدَ ذَلِكَ , فَقَالَ الْحَسَنُ وَالزُّهْرِيُّ: إِنَّ مَا أَحْرَزَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ , ثُمَّ قَدَرَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ , فَلَا سَبِيلَ لِصَاحِبِهِ عَلَيْهِ , وَقَدْ خَالَفَهُمَا فِي ذَلِكَ شُرَيْحٌ , وَمُجَاهِدٌ , وَإِبْرَاهِيمُ , وَعَامِرٌ , وَمَنْ تَقَدَّمَهُمْ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عُمَرُ , وَعَلِيٌّ , وَأَبُو عُبَيْدَةَ , وَابْنُ عُمَرَ , وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رِضْوَانُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ , وَشَذَّ مَا قَالُوهُ مِنْ ذَلِكَ , مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ تَمِيمِ بْنِ طَرَفَةَ , فَذَلِكَ أَوْلَى مِمَّا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ , وَإِنْ كَانَ النَّظَرُ مُخَالِفًا لِمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْفَرِيقَانِ جَمِيعًا , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْمُسْلِمِينَ يَسْبُونَ أَهْلَ الْحَرْبِ وَأَمْوَالَهُمْ , فَيَمْلِكُونَ أَمْوَالَهُمْ , كَمَا يَمْلِكُونَ رِقَابَهُمْ , وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا أَسَرُوا الْمُسْلِمِينَ , لَمْ يَمْلِكُوا رِقَابَهُمْ , فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ لَا يَمْلِكُوا أَمْوَالَهُمْ , وَيَكُونُ حُكْمُ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ , كَحُكْمِ رِقَابِهِمْ , كَمَا كَانَ حُكْمُ أَمْوَالِ الْمُشْرِكِينَ , كَحُكْمِ رِقَابِهِمْ , [ص:265] وَلَكِنَّا مُنِعْنَا مِنْ ذَلِكَ , بِمَا حَكَمَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَبِمَا حَكَمَ بِهِ الْمُسْلِمُونَ مِنْ بَعْدِهِ , فَلَمَّا ثَبَتَ مَا حَكَمُوا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , فَنَظَرْنَا إِلَى مَا اخْتُلِفَ فِيهِ , مِنْ حُكْمِ مَا قَدَرَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ فِي ذَلِكَ , فَأَخَذُوهُ مِنْ أَيْدِي الْمُشْرِكِينَ , فَجَاءَ صَاحِبُهُ بَعْدَمَا قُسِمَ , هَلْ لَهُ أَنْ يَأْخُذَهُ بِالْقِيمَةِ , كَمَا قَالَ بَعْضُ مَنْ رَوَيْنَا عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ أَوْ لَا يَأْخُذُهُ بِقِيمَةٍ وَلَا غَيْرِهَا , كَمَا قَدْ قَالَ بَعْضُ مَنْ رَوَيْنَا عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ أَيْضًا؟ , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حَكَمَ فِي مُشْتَرِي الْبَعِيرِ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ أَنَّ لِصَاحِبِهِ أَنْ يَأْخُذَهُ مِنْهُ بِالثَّمَنِ , وَكَانَ ذَلِكَ الْبَعِيرُ قَدْ مَلَكَهُ الْمُشْتَرِي مِنَ الْحَرْبِيِّينَ , كَمَا يَمْلِكُ الَّذِي يَقَعُ فِي سَهْمِهِ مِنَ الْغَنِيمَةِ مَا يَقَعُ فِي سَهْمِهِ مِنْهَا , فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْإِمَامُ إِذَا قَسَمَ الْغَنِيمَةَ , فَوَقَعَ شَيْءٌ مِنْهَا فِي يَدِ رَجُلٍ , وَقَدْ كَانَ أَسَرَ ذَلِكَ مِنْ يَدِ آخَرَ , أَنْ يَكُونَ الْمَأْسُورُ مِنْ يَدِهِ كَذَلِكَ وَأَنْ يَكُونَ لَهُ أَخْذُ مَا كَانَ أُسِرَ مِنْ يَدِهِ مِنْ يَدَيِ الَّذِي وَقَعَ فِي سَهْمِهِ بِقِيمَتِهِ , كَمَا يَأْخُذُهُ مِنْ يَدِ مُشْتَرِيهِ الَّذِي ذَكَرْنَا بِثَمَنِهِ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান