শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৮৪
১৪. মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৫২৮৩-৮৪। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) .....ইয়াস ইবন সালামা ইব্ন আকওয়া' (রাহঃ) তার পিতা (সালামা ইবন আকওয়া' (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে ফাযারা গোত্রের এক মহিলাকে নাফল তথা গনীমত হিসাবে প্রদান করেন, যা আমি (যুদ্ধের) লুটতরাজ থেকে নিয়ে এসেছিলাম। আমি তাকে নিয়ে মদীনায় এলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে আমার কাছে হিবা হিসাবে তলব করলেন। পরে তিনি তার বিনময়ে কয়েকজন মুসলিমকে ছাড়িয়ে আনলেন।
আবু বাকরা (রাহঃ).....ইকরামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি এটি বৃদ্ধি করেছন যে, তারা (ঐ মুসলিমগণ) মক্কাতে বন্দী ছিল।
আবু বাকরা (রাহঃ).....ইকরামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি এটি বৃদ্ধি করেছন যে, তারা (ঐ মুসলিমগণ) মক্কাতে বন্দী ছিল।
بَابُ الْفِدَاءِ
5283 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ , عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «نَفَلَنِي أَبُو بَكْرٍ امْرَأَةً مِنْ فَزَارَةَ , أَتَيْتُ بِهَا مِنَ الْغَارَةِ , فَقَدِمْتُ بِهَا الْمَدِينَةَ , فَاسْتَوْهَبَهَا مِنِّي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَفَادَى بِهَا أُنَاسًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ»
5284 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا عُمَيْرُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ: كَانُوا أُسَارَى بِمَكَّةَ
5284 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا عُمَيْرُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ: كَانُوا أُسَارَى بِمَكَّةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৮৪
empty
৫২৮৪।
5284 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৮৫
১৪. মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৫২৮৫। ইউনুস ইব্ন আব্দুল 'আলা (রাহঃ) ..... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একজন শত্রুর (কাফিরের) বিনিময়ে দুজন মুসলমানকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
5285 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ عَمِّهِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَادَى بِرَجُلٍ مِنَ الْعَدُوِّ , رَجُلَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৮৬
১৪. মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৫২৮৬। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ).... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বনু আকীল গোত্রের একজন মুশরিকের বিনিময়ে দুইজন মুসলমানকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
5286 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدُ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَى رَجُلَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , بِرَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ بَنِي عَقِيلٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৮৭
১৪. মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৫২৮৭। সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ).... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কিছু সংখ্যক লোককে বন্দী করলাম এবং আমরা তাদের বিনিময়ে নিজেদের কয়েদীদেরকে মুক্ত করতে ইচ্ছা পোষণ করলাম। আমরা নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) এক ব্যক্তির কাছে দাসী রয়েছে, সে তার সঙ্গে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আশংকায় 'আযল' করতে পারবে? তিনি বললেন, যা ইচ্ছা করতে পারবে। আল্লাহ্ তা'আলা যে কোজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সংঘটিত হবেই, যদিও তোমরা অপসন্দ কর।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, কোন হারবী পুরুষ বা নারী যদি মুসলমানদের হস্তগত হয় তাদের বিনিময়ে মুশরিকদের হাতে বন্দী মুসলমানদেরকে ছাড়িয়ে আনতে কোন অসুবিধা নেই। তারা এ বিষয়ে উল্লেখিত এই সমস্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। বস্তুত এ অভিমত যারা পোষণ করেছেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) তাদের অন্যতম। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ ঐ সমস্ত “লোকদের বিনিময়ে মুসলমানদের ছাড়িয়ে আনতে অপসন্দ করেছেন, যারা মুসলমানদের মালিকানায় চলে এসেছে। কেননা এখন মুসলমানদের মালিকানায় চলে আসার কারণে সে যিম্মী হয়ে গিয়েছে। সুতরাং যিম্মী আখ্যা পাওয়ার পর তাকে হারবীর দিকে ফিরিয়ে দেয়া মাকরূহ বা অপসন্দনীয়।
তারা বলেন, এই সমস্ত রিওয়ায়াতে যে ফিদয়ার উল্লেখ রয়েছে, তা সেই সময়কার কথা, যখন হারবীদের থেকে ইসলাম গ্রহণকারীদেরকে ফিদয়া হিসাবে মুশরিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হত, যেন তারা মুসলিম বন্দীদেরকে মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। যেমনটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কাবাসী (কাফির) দের সঙ্গে এই শর্তে চুক্তি করেছিলেন যে, তাদের থেকে যে আপনার নিকট আসবে তাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিবে, যদিও সে মুসলমান হোকনা কেন। এটা সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা স্পষ্ট হয় যে, বিষয়টি অনুরূপই ছিলো, সে সমস্ত রিওয়ায়াত থেকে একটি হলো নিম্নরূপ :
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, কোন হারবী পুরুষ বা নারী যদি মুসলমানদের হস্তগত হয় তাদের বিনিময়ে মুশরিকদের হাতে বন্দী মুসলমানদেরকে ছাড়িয়ে আনতে কোন অসুবিধা নেই। তারা এ বিষয়ে উল্লেখিত এই সমস্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। বস্তুত এ অভিমত যারা পোষণ করেছেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) তাদের অন্যতম। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ ঐ সমস্ত “লোকদের বিনিময়ে মুসলমানদের ছাড়িয়ে আনতে অপসন্দ করেছেন, যারা মুসলমানদের মালিকানায় চলে এসেছে। কেননা এখন মুসলমানদের মালিকানায় চলে আসার কারণে সে যিম্মী হয়ে গিয়েছে। সুতরাং যিম্মী আখ্যা পাওয়ার পর তাকে হারবীর দিকে ফিরিয়ে দেয়া মাকরূহ বা অপসন্দনীয়।
তারা বলেন, এই সমস্ত রিওয়ায়াতে যে ফিদয়ার উল্লেখ রয়েছে, তা সেই সময়কার কথা, যখন হারবীদের থেকে ইসলাম গ্রহণকারীদেরকে ফিদয়া হিসাবে মুশরিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হত, যেন তারা মুসলিম বন্দীদেরকে মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। যেমনটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কাবাসী (কাফির) দের সঙ্গে এই শর্তে চুক্তি করেছিলেন যে, তাদের থেকে যে আপনার নিকট আসবে তাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিবে, যদিও সে মুসলমান হোকনা কেন। এটা সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা স্পষ্ট হয় যে, বিষয়টি অনুরূপই ছিলো, সে সমস্ত রিওয়ায়াত থেকে একটি হলো নিম্নরূপ :
5287 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أَخْبَرَنَا مُجَالِدٌ , قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَدَّاكِ جَبْرُ بْنُ نَوْفٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , قَالَ: " أَصَبْنَا سَبْيًا فَأَرَدْنَا نُفَادِي بِهِنَّ , فَسَأَلْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ , الرَّجُلُ يَكُونُ لَهُ الْأَمَةُ فَيُصِيبُ مِنْهَا , فَيَعْزِلُ عَنْهَا مَخَافَةَ أَنْ تَعْلَقَ مِنْهُ؟ فَقَالَ افْعَلُوا مَا بَدَا لَكُمْ , فَمَا يَقْضِي مِنْ أَمْرٍ يَكُنْ , وَإِنْ كَرِهْتُمْ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يُفْدَى مَا فِي أَيْدِي الْمُشْرِكِينَ مِنْ أَسْرَى الْمُسْلِمِينَ بِمَنْ قَدْ مَلَكَهُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ , مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ , أَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , وَكَرِهَ آخَرُونَ أَنْ يُفَادَى بِمَنْ قَدْ وَقَعَ مِلْكُ الْمُسْلِمِينَ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ قَدْ صَارَتْ لَهُ ذِمَّةٌ بِمِلْكِ الْمُسْلِمِينَ إِيَّاهُ فَمَكْرُوهٌ أَنْ يُرَدَّ حَرْبِيًّا , بَعْدَ أَنْ كَانَ ذِمَّةً , وَقَالُوا: إِنَّمَا كَانَ الْفِدَاءُ الْمَذْكُورُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , فِي وَقْتٍ كَانَ لَا بَأْسَ أَنْ يُفَادَى فِيهِ بِمَنْ أَسْلَمَ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ فَيَرُدُّوا إِلَى الْمُشْرِكِينَ , عَلَى أَنْ يَرُدُّوا إِلَى الْمُسْلِمِينَ مَنْ أَسَرُوا مِنْهُمْ , كَمَا صَالَحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ مَكَّةَ عَلَى أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ مَنْ جَاءَ إِلَيْهِ مِنْهُمْ , وَإِنْ كَانَ مُسْلِمًا " , فَمِمَّا بَيَّنَ أَنَّ ذَلِكَ كَذَلِكَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৮৮
১৪. মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৫২৮৮। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ)..... আবুল মুহাল্লাব (রাহঃ) সূত্রে ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ছাকীফ গোত্র সাহাবাদের থেকে দু'জনকে বন্দী করে এবং সাহাবাগণ বনু আমের ইবন সা'সা গোত্রের এক ব্যক্তিকে বন্দী করেন। নবী (ﷺ) তার কাছে দিয়ে অতিক্রম করেন, তখন সে বাঁধা ছিল। তিনি তার তিনি তার দিকে মনোনিবেশ করেন। তখন সে বলল, আমাকে কেন বন্দী করা হয়েছে? তিনি বললেন, তোমার মিত্রদের অপরাধের কারণে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) চলে গেলেন। সে তাঁকে ডাকল, তিনি তার দিকে মনোনিবেশ করলেন। কয়েদী তাঁকে বলল, আমি মুসলমান হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তুমি যদি এ কথাটি সেই সময় বলতে যখন তুমি নিজের ব্যাপারে স্বাধীন ছিলে তবে পরিপূর্ণরূপে সফলতা পেতে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাশরীফ নিয়ে গেলেন, আবারও সে তাঁকে আহবান করল এবং তিনি মনোনিবেশ করলেন। সে বলল, আমি ক্ষুধার্ত, আমাকে আহার করান। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, আমি তোমার প্রয়োজন পুরা করব। এরপর নবী (ﷺ) একে ঐ দুই ব্যক্তির (সাহাবার) বিনিময়ে প্রদান করলেন, যাদেরকে বনু ছকীফ গোত্র বন্দী করেছিলো।
5288 - أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , قَالَ: " أَسَرَتْ ثَقِيفُ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَسَرَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ , فَمَرَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُوثَقٌ , فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عَلَامَ احْتُبِسَ؟ قَالَ: بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ , ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَادَاهُ فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ , فَقَالَ لَهُ الْأَسِيرُ إِنِّي مُسْلِمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ قُلْتَهَا وَأَنْتَ تَمْلِكُ أَمْرَكَ أَفْلَحْتَ كُلَّ الْفَلَاحِ , ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَادَاهُ أَيْضًا فَأَقْبَلَ فَقَالَ إِنِّي جَائِعٌ فَأَطْعِمْنِي فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْفُذُكَ حَاجَتَكَ ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَادَاهُ بِالرَّجُلَيْنِ اللَّذَيْنِ كَانَتْ ثَقِيفُ أَسَرَتْهُمَا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৮৯
১৪. মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া
৫২৮৯। ফাহাদ (রাহঃ)..... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আযবা উষ্ট্রী বনু আকীল গোত্রের জনৈক ব্যক্তির ছিলো, যাকে বন্দী করা হয়েছিলো। তার থেকে সেই উষ্ট্রী নিয়ে নেয়া হয়ছিলো এবং সেই ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর দরবারে নেয়া হয়। সে বলল, হে মুহাম্মাদ! (ﷺ) আপনারা আমাকে কি জন্য পাকড়াও করেছেন, এবং সেই উষ্ট্রীকেও পাকড়াও করেছেন, যা কিনা সমস্ত হাজীদের অপেক্ষা অগ্রগামী ছিলো। অথচ আমি মুসলমান হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, আমি তোমাকে তোমার মিত্রদের অপরাধের কারণে পাকড়াও করেছি। আর বনু ছাকীফ গোত্র দু'জন সাহাবীকে বন্দী করেছিলো। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি গাধার উপর সওয়ার ছিলেন এবং তাঁর উপর একটি নক্শা করা চাদর ছিলো। সে বলল, হে মুহাম্মাদ (ﷺ)! আমি ক্ষুধার্ত, আহার করান, আমি পিপাসিত, পানি পান করান। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এটা তোমার প্রয়োজন (যা পূর্ণ করা হবে) অতঃপর তিনি তার বিনিময়ে আরেক ব্যক্তি (সাহাবী)-কে ছাড়িয়ে আনেন এবং আযবা উষ্ট্রীকে নিজের সওয়ারীর জন্য রেখেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : এই হাদীসটি ব্যাখ্যাকারী, কারণ এতে ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) খবর দিয়েছেন যে, নবী (ﷺ) ঐ ব্যক্তির ইসলামের স্বীকারোক্তি প্রদান করা সত্ত্বেও তাকে বন্দী সাহাবী বিনিময়ে প্রদান করেছেন এবং তাঁরা (ফকীহগণ) একমত যে, এটা রহিত হয়ে গিয়েছে। আর ইমাম বা সরকার প্রধানের এই অধিকার নেই যে, তিনি হারবীদের থেকে অর্জিত সেই সমস্ত বন্দীদের যারা মুসলমান হয়ে যায় (তাদেরকে) মুসলমান বন্দীদের বিনিময়ে প্রদান করা এবং আল্লাহ্ তা'আলার বাণী : “তাদেরকে কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দিওনা” আয়াতটি কোন মুসলমানকে কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার কার্যক্রমকে রহিত করে দিয়েছে।
যখন এতে সাব্যস্ত হলো এবং এটাও সাব্যস্ত হলো যে, যে ব্যক্তি যিম্মী হয়ে আমাদের কাছে আসে তাকে কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া যাবেনা। আবার এটাও সাব্যস্ত হয়েছে যে, ইসলামের কারণে যেমন (মানুষের) জান ও মালের নিরাপত্তা অর্জিত হয়, অনুরূপভাবে কারো সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি ও ঐ সমস্ত বস্তুগুলোকে নিরাপদ করে দেয়। আমাদের উপর ওয়াজিব হলো যে, যাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে তাদের চুক্তি ভঙ্গ করা এবং তাদেরকে দারুল হারবের দিকে যেতে বারণ করা। যেমন মুসলমানদেরকে ইসলাম পরিত্যাগ করা এবং দারুল হারবের দিকে যেতে বারণ করা হয়। আর আমরা যে হারবীদেরকে অর্জন (বন্দী) করে তাদের মালিক হয়ে যাই এবং আমাদের মালিককানার দরুন তারা যিম্মী হয়ে যায়। আমরা যদি তাদেরকে আযাদ বা মুক্ত করে দেই তাহলে এর পরে তারা হারবীগণ্য হয় না। এবং আমাদের জন্য জায়িয আছে যে, আমরা তাদের থেকে জিয্ইয়া নিয়ে নিজেদের দিকে আহবান করা যেমন আমরা অপরাপর সমস্ত যিম্মীদেরকে নিজেদের কাছে নিয়ে নেই। এখন এই সকল বিষয়ে তাদের হিফাযত আমাদের দায়িত্বে বর্তাবে, যাতে আমরা যিম্মীদের হিফাযত করি। আর এটা আমাদের উপর হারাম, যে কাফির গোলাম আমাদের দারুল ইসলামে ভূমিষ্ট হয়েছে এবং যিম্মী হয়ে গেছে আমরা তাদেরকে ফিদয়া রূপে প্রদান করা। তাই এর উপর যুক্তির দাবি হলো যে অনুরূপভাবে এই হারবীকে যাকে আমরা বন্দী করেছি এবং সে আমাদের যিম্মায় (দায়িত্বে) চলে এসেছে তারও অনুরূপ অবস্থা হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় যে, এখন তার উপর আমাদের মালিকানা সাব্যস্ত হয়েগেছে তাকে ফিদয়া হিসাবে প্রদান করা এবং মুশরিকদের নিয়ন্ত্রণে দেয়া জায়িয নেই, আমাদের উপর তা হারাম। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : এই হাদীসটি ব্যাখ্যাকারী, কারণ এতে ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) খবর দিয়েছেন যে, নবী (ﷺ) ঐ ব্যক্তির ইসলামের স্বীকারোক্তি প্রদান করা সত্ত্বেও তাকে বন্দী সাহাবী বিনিময়ে প্রদান করেছেন এবং তাঁরা (ফকীহগণ) একমত যে, এটা রহিত হয়ে গিয়েছে। আর ইমাম বা সরকার প্রধানের এই অধিকার নেই যে, তিনি হারবীদের থেকে অর্জিত সেই সমস্ত বন্দীদের যারা মুসলমান হয়ে যায় (তাদেরকে) মুসলমান বন্দীদের বিনিময়ে প্রদান করা এবং আল্লাহ্ তা'আলার বাণী : “তাদেরকে কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দিওনা” আয়াতটি কোন মুসলমানকে কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার কার্যক্রমকে রহিত করে দিয়েছে।
যখন এতে সাব্যস্ত হলো এবং এটাও সাব্যস্ত হলো যে, যে ব্যক্তি যিম্মী হয়ে আমাদের কাছে আসে তাকে কাফিরদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া যাবেনা। আবার এটাও সাব্যস্ত হয়েছে যে, ইসলামের কারণে যেমন (মানুষের) জান ও মালের নিরাপত্তা অর্জিত হয়, অনুরূপভাবে কারো সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি ও ঐ সমস্ত বস্তুগুলোকে নিরাপদ করে দেয়। আমাদের উপর ওয়াজিব হলো যে, যাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে তাদের চুক্তি ভঙ্গ করা এবং তাদেরকে দারুল হারবের দিকে যেতে বারণ করা। যেমন মুসলমানদেরকে ইসলাম পরিত্যাগ করা এবং দারুল হারবের দিকে যেতে বারণ করা হয়। আর আমরা যে হারবীদেরকে অর্জন (বন্দী) করে তাদের মালিক হয়ে যাই এবং আমাদের মালিককানার দরুন তারা যিম্মী হয়ে যায়। আমরা যদি তাদেরকে আযাদ বা মুক্ত করে দেই তাহলে এর পরে তারা হারবীগণ্য হয় না। এবং আমাদের জন্য জায়িয আছে যে, আমরা তাদের থেকে জিয্ইয়া নিয়ে নিজেদের দিকে আহবান করা যেমন আমরা অপরাপর সমস্ত যিম্মীদেরকে নিজেদের কাছে নিয়ে নেই। এখন এই সকল বিষয়ে তাদের হিফাযত আমাদের দায়িত্বে বর্তাবে, যাতে আমরা যিম্মীদের হিফাযত করি। আর এটা আমাদের উপর হারাম, যে কাফির গোলাম আমাদের দারুল ইসলামে ভূমিষ্ট হয়েছে এবং যিম্মী হয়ে গেছে আমরা তাদেরকে ফিদয়া রূপে প্রদান করা। তাই এর উপর যুক্তির দাবি হলো যে অনুরূপভাবে এই হারবীকে যাকে আমরা বন্দী করেছি এবং সে আমাদের যিম্মায় (দায়িত্বে) চলে এসেছে তারও অনুরূপ অবস্থা হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় যে, এখন তার উপর আমাদের মালিকানা সাব্যস্ত হয়েগেছে তাকে ফিদয়া হিসাবে প্রদান করা এবং মুশরিকদের নিয়ন্ত্রণে দেয়া জায়িয নেই, আমাদের উপর তা হারাম। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
5289 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , قَالَ: كَانَتِ الْعَضْبَاءُ لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي عَقِيلٍ أُسِرَ , فَأُخِذَتِ الْعَضْبَاءُ مِنْهُ , فَأُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ , عَلَامَ تَأْخُذُونِي , وَتَأْخُذُونَ سَابِقَةَ الْحَاجِّ , وَقَدْ أَسْلَمَتْ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «آخُذُكَ بِجَرِيرَةِ حُلَفَائِكَ» وَكَانَتْ ثَقِيفُ قَدْ أَسَرَتْ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حِمَارٍ , عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ , فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ , إِنِّي جَائِعٌ فَأَطْعِمْنِي , وَظَمْآنُ فَاسْقِنِي , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذِهِ حَاجَتُكَ , ثُمَّ إِنَّ الرَّجُلَ فُدِيَ بِرَجُلٍ , وَحَبَسَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَضْبَاءَ لِ رَحْلِهِ " [ص:262] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا الْحَدِيثُ مُفَسَّرٌ , قَدْ أَخْبَرَ فِيهِ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَادَى بِذَلِكَ الْمَأْسُورَ , بَعْدَ أَنَّ أَقَرَّ بِالْإِسْلَامِ , وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ ذَلِكَ مَنْسُوخٌ , وَأَنَّهُ لَيْسَ لِلْإِمَامِ أَنْ يَفْدِيَ مَنْ أُسِرَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , بِمَنْ فِي يَدَيْهِ مِنْ أَسْرَى أَهْلِ الْحَرْبِ الَّذِينَ قَدْ أَسْلَمُوا , وَأَنَّ قَوْلَ اللهِ تَعَالَى «لَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى الْكُفَّارِ» قَدْ نَسَخَ أَنْ يُرَدَّ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ إِلَى الْكُفَّارِ , فَلَمَّا ثَبَتَ بِذَلِكَ , وَثَبَتَ أَنْ لَا يُرَدَّ إِلَى الْكُفَّارِ مَنْ جَاءَنَا مِنْهُمْ بِذِمَّةٍ , وَثَبَتَ أَنَّ الذِّمَّةَ تُحَرِّمُ مَا حَرَّمَهُ الْإِسْلَامُ , مِنْ دِمَاءِ أَهْلِهَا وَأَمْوَالِهِمْ , وَأَنَّهُ يَجِبُ عَلَيْنَا مَنْعُ أَهْلِهَا مِنْ نَقْضِهَا وَالرُّجُوعِ إِلَى دَارِ الْحَرْبِ , كَمَا يُمْنَعُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ نَقْضِ إِسْلَامِهِمْ وَالْخُرُوجِ إِلَى دَارِ الْحَرْبِ عَلَى ذَلِكَ , وَكَانَ مَنْ أَصَبْنَاهُ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ , فَمَلَكْنَاهُ , صَارَ بِمِلْكِنَا إِيَّاهُ ذِمَّةً لَنَا , وَلَوْ أَعْتَقْنَاهُ لَمْ يَعُدْ حَرْبِيًّا بَعْدَ ذَلِكَ , وَكَانَ لَنَا أَخْذُهُ بِأَدَاءِ الْجِزْيَةِ إِلَيْنَا , كَمَا نَأْخُذُ بِسَائِرِ ذِمَّتِنَا , وَعَلَيْنَا حِفْظُهُ , مِمَّا يَحْفَظُهُمْ مِنْهُ , وَكَانَ حَرَامًا عَلَيْنَا أَنْ نُفَادِيَ بِعَبِيدِنَا الْكُفَّارَ الَّذِينَ قَدْ وُلِدُوا فِي دَارِنَا , لِمَا قَدْ صَارَ لَهُمْ مِنَ الذِّمَّةِ , فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هَذَا الْحَرْبِيُّ إِذَا أَسَرْنَاهُ فَصَارَ ذِمَّةً لَنَا , وَقَعَ مِلْكُنَا عَلَيْهِ , أَنْ يُحْرَمَ عَلَيْنَا الْمُفَادَاةُ بِهِ , وَرَدُّهُ إِلَى أَيْدِي الْمُشْرِكِينَ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান