শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫২৭১
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭১। ইব্‌ন আবীদ দাউদ (রাহঃ).... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর কন্যা যায়নাব (রাযিঃ) কে তিন বছর পর তাঁর স্বামী আবুল আস্ ইবনুর রাবী'-এর কাছে (ইসলাম গ্রহণের পর) প্রথম বিয়ের উপরই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
بَابُ الْحَرْبِيَّةِ تُسْلِمُ فِي دَارِ الْحَرْبِ فَتَخْرُجُ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ ثُمَّ يَخْرُجُ زَوْجُهَا بَعْدَ ذَلِكَ مُسْلِمًا
5271 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: «رَدَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ زَيْنَبَ , عَلَى أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ , عَلَى النِّكَاحِ الْأَوَّلِ , بَعْدَ ثَلَاثِ سِنِينَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭২
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭২। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ).... আবু বকর ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) উম্মু হাকীম বিনত হারিস ইবন হিশামকে কয়েক মাস অথবা প্রায় এক বছর পরে ইকরামা ইব্‌ন আবু জাহল (রাহঃ)-এর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যখন কোন মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করে এবং মুসলমান অবস্থায় আমাদের কাছে আসে অতঃপর তার স্বামী আসে এবং সে তাকে ইদ্দত অবস্থায় পায়, তবে উক্ত অবস্থায় সে তার স্ত্রী হিসাবে বিবেচিত হবে। আর যদি উদ্দতের ভিতরে পর্যন্ত না পায়, তাহলে তার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তাঁরা এ বিষয়ে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।

পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, দুইও অবস্থায় তার ঐ মহিলার সাথে কোন সম্পর্ক থাকবেনা। তাদের মতে দারুল হারব থেকে তার বেরিয়ে আসার কারণে ইসমত বা পবিত্রতা বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে, যা তার ও তার স্বামীর মাঝে বিদ্যমান ছিলো। আর ঐ মহিলা (স্ত্রী) তার থেকে পৃথক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
5272 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: «رَدَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ , أُمَّ حَكِيمٍ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ بَعْدَ أَشْهُرٍ , أَوْ قَرِيبٍ مِنْ سَنَةٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرَ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَسْلَمَتْ فِي دَارِ الْحَرْبِ , وَجَاءَتْنَا مُسْلِمَةً , ثُمَّ جَاءَ زَوْجُهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَأَدْرَكَهَا وَهِيَ فِي الْعِدَّةِ , فَهِيَ امْرَأَتُهُ عَلَى حَالِهَا , وَإِنْ لَمْ يُدْرِكْهَا حَتَّى تَخْرُجَ مِنَ الْعِدَّةِ , فَلَا سَبِيلَ لَهُ عَلَيْهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا سَبِيلَ لَهُ عَلَيْهَا فِي الْوَجْهَيْنِ جَمِيعًا , وَخُرُوجُهَا عِنْدَهُمْ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ , يَقْطَعُ الْعِصْمَةَ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَهَا وَبَيْنَ زَوْجِهَا , وَيُبِينُهَا مِنْهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৩
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭৩। ফাহাদ (রাহঃ) .....আমর ইব্‌ন শু'আয়ব তৎ পিতা ও তৎ পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)(তাঁর কন্যা) যায়নাব (রাযিঃ)-কে স্বামী আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে (ইসলাম গ্রহণের পর) নতুনভাবে বিয়ে দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
5273 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ , قَالَ: ثنا حَفْصٌ يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ , عَنِ الْحَجَّاجِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ رَدَّ زَيْنَبَ عَلَى أَبِي الْعَاصِ بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৪
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭৪। ফাহাদ (রাহঃ) .....শা'বী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
তাঁরা বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর (রাযিঃ)-এর এই হাদীসের বিষয়বস্তু ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসের বিষয়বস্তুর পরিপন্থী।

আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) এ বিষয়ে আমির শা'বী (রাহঃ)-এর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর গাযওয়া সম্পর্কে তাঁর ছিলো সম্যক জ্ঞান। তাঁরা বলেন, এই হাদীসটি কতিপয় কারণে বিপক্ষ হাদীসের তুলনায় অধিকতর গ্রহণযোগ্য, যে কারণগুলো আমরা অতিসত্তর এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করব ইনশাআল্লাহ্।

প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তাদের একটি প্রমাণ হলো নিম্নরূপ : ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক যায়নাব (রাযিঃ)-কে আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে প্রথম বিয়ের উপরই ফিরিয়ে দেয়ার যে উল্লেখ রয়েছে, তাতে একথার কোন প্রমাণ নেই যে, তিনি তাকে ইদ্দত বাকি থাকার কারণে তার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এটাও স্পষ্ট ছিলো না যে, তখন ঐ মুশরিক নারীর বিধান কি ছিলো যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং তার স্বামী মুশরিক থেকে গিয়েছে, সে কি তার থেকে পৃথক হয়ে যাবে, না পূর্বের ন্যায় সে তার স্ত্রীই বহাল থাকবে? বস্তুত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের সপক্ষে প্রমাণ তখন হত, যখন তাতে এটা বিদ্যামান থাকত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আবুল আস (রাযিঃ)-এর কাছে এই জন্য ফিরিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি তাকে ইদ্দতের মাঝে পেয়েছেন।

সুতরাং যখন আমাদের জন্য এই বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে, তিনি তাকে কি কারণে বা কি জন্য ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। হতে পারে তিনি ইদ্দতের মাঝে ছিলেন এবং এই কারণেও ফিরিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে, তখনকার সময় ইসলাম গ্রহণ তাকে তার থেকে পৃথক করত না এবং পূর্বোক্ত বিধানকেও তার থেকে দূরীভূত করত না।
5274 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , قَالَ: ثنا حَفْصٌ , عَنْ دَاوُدَ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , مِثْلُهُ قَالُوا: فَفِي حَدِيثِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو هَذَا , خِلَافُ مَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَقَدْ وَافَقَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَلَى ذَلِكَ , عَامِرَ الشَّعْبِيَّ , مَعَ عِلْمِهِ بِمَغَازِي رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالُوا: فَهَذَا أَوْلَى مِمَّا قَدْ خَالَفَهُ , لِمَعَانٍ سَنُبَيِّنُهَا فِي هَذَا الْبَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى , وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , عَلَى مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ , أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا إِنَّمَا فِي حَدِيثِهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّهَا , عَلَى أَبِي الْعَاصِ , عَلَى النِّكَاحِ الْأَوَّلِ , [ص:257] فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ رَدَّهَا إِلَيْهِ , لِأَنَّهَا فِي الْعِدَّةِ , وَلَا كَيْفَ كَانَ الْحُكْمُ يَوْمَئِذٍ فِي الْمُشْرِكَةِ تُسْلِمُ وَزَوْجُهَا مُشْرِكٌ , أَيُبِينُهَا ذَلِكَ مِنْهُ , أَوْ تَكُونُ زَوْجَةً لَهُ عَلَى حَالِهَا؟ , وَإِنَّمَا يَكُونُ حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حُجَّةً لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , لَوْ كَانَ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّهَا عَلَى أَبِي الْعَاصِ لِأَنَّهُ أَدْرَكَهَا وَهِيَ فِي الْعِدَّةِ , فَأَمَّا إِذَا لَمْ يَتَبَيَّنْ لَنَا الْعِلَّةُ , الَّتِي لَهَا رَدَّهَا عَلَيْهِ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هِيَ الْعِدَّةَ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ , لِأَنَّ الْإِسْلَامَ لَمْ يَكُنْ حِينَئِذٍ يُبِينُهَا مِنْهُ , وَلَا يُزِيلُهَا عَنْ حُكْمِهَا الْمُتَقَدِّمِ , وَلَقَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৫
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭৫। আবু বকর মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দা ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন যায়দ (রাহঃ) .....আবু তাওবা ইবন রাবী' ইবন নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) কে এই মর্মে জিজ্ঞাসা করলাম যে, যায়নাব (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে মতবিরোধ কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে? কতক আলিম বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে (যায়নাব রা) আবুল আস (রাযিঃ)-এর কাছে প্রথম বিয়ের উপরই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আবার কতক আলিম বলেছেন যে, তাঁকে নতুনভাবে বিয়ে দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তোমরা কি দেখতে পাচ্ছনা যে, তাদের প্রত্যেক দলই সেই কথাই বলছে, যা তারা নবী (ﷺ) থেকে শুনেছে। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) বলেছেন, তাদের মাঝে মতবিরোধ এইজন্য সৃষ্টি হয়নি, বরং তাঁদের মতবিরোধের কারণ হলো যে, আল্লাহ্ তা'আলা সূরা আল-মুমতাহিনায় ঈমানদার নারীদেরকে কাফিরদের কাছে প্রত্যাবর্তন করাকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন, যা প্রথমে বৈধ ছিলো। আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ)-এর এই বিষয়টি জানা ছিলো। অতঃপর তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যায়নাব (রাযিঃ) কে (তাঁর স্বামী) আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে (ইসলাম গ্রহণের পর) ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ইতিপূর্বে তাঁর ধারণা ছিলো যে, এই বিষয়টি জায়িয নেই। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানদার নারীদেরকে কাফিরদের কাছে প্রত্যাবর্তন করাকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন। তাই তাঁর মতে এটা ছিলো নতুন বিয়ের দ্বারা প্রত্যাবর্তন। এ জন্যই তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে (যায়নাব রা) নতুনভাবে বিয়ে দিয়ে তাঁর কাছে (ইসলাম গ্রহণের পর) ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর এই বিষয়টি জানা ছিলনা যে, আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানদার নারীদেরকে কাফিরদের কাছে প্রত্যাবর্তন করাকে হারাম সাব্যস্ত করেছেন। পরে যখন তিনি নবী (ﷺ) কর্তৃক যায়নাব (রাযিঃ)-কে আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানলেন তখন তিনি বললেন যে, তিনি তাঁকে প্রথম বিয়ের উপরই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কেননা তাঁর মতে আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ এবং যায়নাব (রাযিঃ)-এর ইসলামের মাঝে তাদের উভয়ের সংঘটিত বিয়ে বাতিল হয়নি।

ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, এই কারণেই তাদের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, ঐ কারণে নয় যে, তারা নবী (ﷺ) থেকে যায়নাব (রাযিঃ)-কে আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে ফিরিয়ে দেয়ার কথা শুনে বলেছেন যে, তিনি প্রথম বিয়ের উপরই অথবা নতুনভাবে বিয়ে দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : মুহাম্মাদ (রাহঃ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কতইনা চমৎকার কথা বলেছেন। আর এই বিশুদ্ধ বক্তব্যের ভিত্তিতে এই অনুচ্ছেদের রিওয়ায়াতসমূহের বিশুদ্ধকরণ নীতিমালায় আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর (রাযিঃ)-এর অভিমতের বিশুদ্ধতা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। বস্তুত এ বিষয়ে দলীল হলো আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর অভিমত ঐ খ্রিস্টান নারীর ব্যাপারে, যে দারুল ইসলামে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং তার স্বামী হলো কাফির, যা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে :
5275 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٌ , قَالَ: قُلْتُ لِمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ مِنْ أَيْنَ جَاءَ اخْتِلَافُهُمْ فِي زَيْنَبَ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَدَّهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَبِي الْعَاصِ عَلَى النِّكَاحِ الْأَوَّلِ , وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَدَّهَا بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ أَتَرَى كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ؟ فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ لَمْ يَجِئِ اخْتِلَافُهُمْ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ , وَإِنَّمَا جَاءَ اخْتِلَافُهُمْ أَنَّ اللهَ إِنَّمَا حَرَّمَ أَنْ تَرْجِعَ الْمُؤْمِنَاتُ إِلَى الْكُفَّارِ فِي سُورَةِ الْمُمْتَحَنَةِ , بَعْدَمَا كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا حَلَالًا , فَعَلِمَ ذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , ثُمَّ رَأَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَدَّ زَيْنَبَ , عَلَى أَبِي الْعَاصِ , بَعْدَمَا كَانَ عَلِمَ حُرْمَتَهَا عَلَيْهِ , بِتَحْرِيمِ اللهِ الْمُؤْمِنَاتِ عَلَى الْكُفَّارِ , فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَهُ إِلَّا بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ , فَقَالَ: رَدَّهَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنِكَاحٍ جَدِيدٍ , وَلَمْ يَعْلَمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , بِتَحْرِيمِ اللهِ , عَزَّ وَجَلَّ , الْمُؤْمِنَاتِ عَلَى الْكُفَّارِ , حَتَّى عَلِمَ بِرَدِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ , عَلَى أَبِي الْعَاصِ فَقَالَ: رَدَّهَا عَلَيْهِ بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ , بَيْنَ إِسْلَامِهِ وَإِسْلَامِهَا , فَسْخٌ لِلنِّكَاحِ الَّذِي كَانَ بَيْنَهُمَا , قَالَ مُحَمَّدٌ رَحِمَهُ اللهُ , فَمِنْ هَاهُنَا جَاءَ اخْتِلَافُهُمْ , لَا مِنَ اخْتِلَافٍ سَمِعُوهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذِكْرِهِ , مَا رَدَّ زَيْنَبَ بِهِ عَلَى أَبِي الْعَاصِ أَنَّهُ النِّكَاحُ الْأَوَّلُ , أَوِ النِّكَاحُ الْجَدِيدُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَقَدْ أَحْسَنَ مُحَمَّدٌ فِي هَذَا , وَتَصْحِيحُ الْآثَارِ فِي هَذَا الْبَابِ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى الصَّحِيحِ , يُوجِبُ صِحَّةَ مَا قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَدْ كَانَ يَقُولُ فِي النَّصْرَانِيَّةِ إِذَا أَسْلَمَتْ فِي دَارِ الْإِسْلَامِ , وَزَوْجُهَا كَافِرٌ , مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৭৭
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭৬-৭৭। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ).... ইকরামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে ঐ ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান নারীর ব্যাপারে রিওয়ায়াত করেন, যে ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানকে বিবাহ করে, তার পর ইসলাম গ্রহণ করে। তিনি বলেন, তাদের দু'জনের মাঝে পৃথক করে দেয়া হবে। কেননা ইসলাম উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন অন্য কোন দীন তদপেক্ষা উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন নয়।

৪৮৭২. ইবন মারযুক (রাহঃ)..... আব্বাস (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি “ইসলাম উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, অন্য কোন দ্বীন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন নয়” (বাক্যটি) উল্লেখ করেন নাই ।

এটা কি তাঁর মতে জায়িয হবে যে, যখন খ্রিস্টান নারী দারুল ইসলামে ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার স্বামী খ্রিস্টান থেকে যায়, তখন কি সে তার থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং তার স্বামীর ইসলাম গ্রহণের অপেক্ষা করা হবেনা যতক্ষণ না সে ইদ্দত থেকে বেরিয়ে আসে। আর ঐ হারবী নারী যে কিতাবী নয়, সে যখন দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করার পর আমাদের কাছে চলে আসে তবে তার স্বামীকে তার সঙ্গে মিলিত করার জন্য এ বিষয়ে অপেক্ষা করা হবে যে, উক্ত নারীর (স্ত্রীর) ইদ্দত খতম হওয়ার আগে আগে সে (স্বামী) ইসলাম গ্রহণ করবে। বস্তুত এটা অসম্ভব, কেননা যখন তার দারুল ইসলামে ইসলাম গ্রহণ করাটা তাকে তার খ্রিস্টান যিম্মী স্বামী থেকে পৃথক করে দেয়, তাহলে দারুল হারবে তার ইসলাম গ্রহণ করা এবং পরে তার দারুল ইসলামের বেরিয়ে আসা যখন কিনা সে তার মুশরিক স্বামীকে দারুল হারবে ছেড়ে এসেছে, এ অবস্থায় সে তার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া তো আরো অনিবার্য।

ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর এই অভিমত দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, তিনি মনে করতেন, স্ত্রীর ইসলাম গ্রহণ দ্বারাই ‘ইছমত (দাম্পত্য সম্পর্ক) ছিন্ন হয়েছে; তার ইদ্দত খতম হওয়ার কারণে নয়। সুতরাং এটা অসম্ভব যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক যায়নাব (রাযিঃ)-কে প্রথম বিয়ের উপরই আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে ফিরিয়ে দেয়া সম্বলিত বিধানকে ছেড়ে দিয়েছেন, যা কিনা তাঁর নিকট প্রতিষ্ঠিত এবং তিনি এর পরিপন্থীগ্রহণ করেছেন। এটা কেবল তখন হতে পারে যখন তাঁর নিকট এই হুকুমটি রহিত বলে সাব্যস্ত হবে। রিওয়ায়াতসমূহের আলোকে এটাই হলো এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ।

তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ
যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বর্ণনা হলো নিম্নরূপ: আমরা লক্ষ্য করছি যখন কোন নারী ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার স্বামী কাফিরই থেকে যায়, সেক্ষেত্রে নতুনভাবে তাকে বিবাহ করা বৈধ হয় না। কেননা সে হলো মুসলিম, আর সে কাফির। সুতরাং আমরা চাচ্ছি যে, ওই অবস্থার বিধান অবগত হওয়া, যা বিয়ের উপর আপতিত হয় এবং তা এরূপ অবস্থা, যার বর্তমানে বিয়ে করা জায়িয নেই। আমরা দেখছি যে, আল্লাহ্ তা'আলা দুধ বোনদেরকে হারাম করেছেন। কোন ব্যক্তি যদি এরূপ কোন বালিকাকে বিয়ে করে যার সঙ্গে তার দুধ সম্পর্কীয় আত্মীয়তা স্থাপিত না থাকে, অতঃপর ঐ বালিকাকে ঐ ব্যক্তির (স্বামীর) মা দুধ পান করায়, তবে এতে সে তার উপর হারাম হয়ে যাবে এবং বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে। আর বিয়ের উপর আপতিত দুগ্ধপান বিয়ের পূর্বে পাওয়া যাওয়া দুগ্ধপানের অনুরূপ বিবেচিত হবে। বস্তুত এরূপ প্রচুর দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেগুলো উল্লেখ করলে গ্রন্থের কলেবর দীর্ঘতর হয়ে যাবে। এবং এরূপ কতিপয় বস্তু রয়েছে যে, যদি তা বিয়ের পূর্বে হয় অথবা বিয়ের উপর আপতিত হয় তবে তাতে এর বিধান পরিবর্তিত হয়ে যায়।

তা থেকে একটি বিষয় হলো নিম্নরূপ : আল্লাহ্ তা'আলা ঐ নারীর সঙ্গে বিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করা হারাম সাব্যস্ত করেছেন, যে তার স্বামীর ইদ্দতের মধ্যে রয়েছে এবং মুসলমানগণ এ বিষয়ে একমত যে, বাতিল বিয়ের কারণে কৃতসহবাসের ইদ্দতও বিয়েকে নিষেধ করে, যেমন তা সঠিক বিয়ের কারণে (ইদ্দতের মাঝে) নিষিদ্ধ। যদি কোন নারীর সঙ্গে সন্দেহ জনিত কারণে সহবাস করা হয় এবং তার স্বামীও বিদ্যমান রয়েছে তাহলে এতে তার উপর ইদ্দত ওয়াজিব হবে। কিন্তু সে তার স্বামী থেকে পৃথক হবেনা এবং এই ইদ্দত ঐ ইদ্দতের ন্যায় হবেনা, যা বিয়ের পূর্বে পাওয়া যায়। তাই এতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী হুকুমের মাঝে পার্থক্য করা হবে। ১

বস্তুত আমরা ইচ্ছা করছি ঐ নারীর বিধান সম্পর্কে জানতে, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং তার স্বামী কাফির থেকে গিয়েছে। সে কি এতে তার থেকে পৃথক হয়ে যাবে এবং এতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তীর বিধান অভিন্ন হবে? যেমনটি দুগ্ধ পানের ব্যাপারে রয়েছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। না কি তার ইসলাম গ্রহণের কারণে সে তার থেকে পৃথক হবে না? এবং তার সদ্য ইসলাম গ্রহণকে বিয়ের পূর্ববর্তী ইসলামের ন্যায় সাব্যস্ত করা হবে না। যেমন ইদ্দতের বিষয়টি আমরা উল্লেখ করেছি যে, তাতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তীর বিধান ভিন্নতর। তাই আমরা এতে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি এবং বিয়ের উপর আপতিত ইদ্দতকে এরূপ পেয়েছি যে, যে সময় উক্ত ইদ্দত ওয়াজিব হয় ঐ সময়ও এবং তার পরেও তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ওয়াজিব হয়না। আর যেই দুগ্ধ পানের কথা আমরা উল্লেখ করেছি তাতে 'অবিলম্বে' বিচ্ছেদ ওয়াজিব হয়ে যায় আর যে ইসলাম গ্রহণ বিয়ের পরে আপতিত হয় এ ব্যাপারে সকলের (ফকীহদের) ঐকমত্য যে, এতে বিচ্ছেদ ওয়াজিব হয়ে যায়। একদল আলিম বলেন যে, নারীর (স্ত্রীর) ইসলাম গ্রহণ করতেই বিচ্ছেদ ওয়াজিব হয়ে যায়। আর এটা ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) এর অভিমত। অপর এক দল আলিম বলেন যে, যতক্ষণ না স্বামীর কাছে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত পেশ করা হবে এবং সে অস্বীকার করবে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হবেনা। সুতরাং তখন গিয়ে তাদের মাঝে পৃথক করে দেয়া হবে কিংবা ওই স্বামী ইসলামকে গ্রহণ করে নিবে। তাহলে সে অনুরূপভাবে তার স্ত্রী বহাল থাকবে। আর এটা হলো উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর অভিমত। অন্য আরেক দল আলিম বলেন যে, যতক্ষণ না সে তাকে দারুল হিজরত থেকে বের করে দিবে সে তার স্ত্রীই থাকবে। আর এটা হলো আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ)-এর অভিমত। অতি সত্তর এই সমস্ত রিওয়ায়াতসমূহের ইসনাদ এই অনুচ্ছেদের শেষে আসতেছে ইনসাআল্লাহু তা'আলা।

সুতরাং যখন সাব্যস্ত হলো যে, স্ত্রীর বিয়ের পরে ইসলাম গ্রহণ করা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদকে অনিবার্য করে, যে কোন অবস্থায়ই হোকনা কেন, তাই প্রমাণিত হলো যে, এর হুকুম ইদ্দতের হুকুম অপেক্ষা দুগ্ধ পানের হুকুমের সঙ্গে অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ। যখন স্তন্যপানের কারণে বিচ্ছেদ ওয়াজিব হয়ে যায়, তখনই দুগ্ধপান পাওয়া যায় এবং এর দ্বারা নারীর ইদ্দত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করা হবেনা। অনুরূপভাবে ইসলাম গ্রহণকরার বিধানও এটাই হবে।

যৌক্তিকভাবে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ হলো এটা যে, নারী ইসলাম গ্রহণ করতেই স্বীয় স্বামী থেকে পৃথক হয়ে যায়, চাই সে দারুল ইসলামে অবস্থান করুক, অথবা দারুল হারবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এটার বিরোধিতা করে বলেছেন যে, যদি দারুল হারবের অধিবাসী হারবী নারী দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার স্বামী কাফিরই থেকে যায় তবে যতক্ষণনা তার তিন হায়য (ঋতুস্রাব) আসে অথবা সে দারুল ইসলামের দিকে বেরিয়ে আসে, সে তার স্ত্রী হিসাবে বহাল থাকবে। এই দু'টোর কোন একটি পাওয়া গেলেই সে তার স্বামী থেকে পৃথক হয়ে যাবে। তাঁরা বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তি এটাই যে, ইসলাম গ্রহণ করতেই সে তার স্বামী থেকে পৃথক হয়ে যাবে। তারা বলেন, যখন সে (নারী) ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার স্বামী দারুল ইসলামে অবস্থান করে তবে সে পূর্বের ন্যায় তার স্ত্রী থাকবে যতক্ষণ না কাজী (বিচারক) তার স্বামীর উপর ইসলাম (এর দাওয়াত) পেশ করে এবং সে ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে সে তার স্ত্রী বহাল থাকবে অথবা সে (ইসলাম) অস্বীকার করবে তখন তাদের মাঝে পৃথক করে দেয়া হবে। অধিকন্তু তাঁরা বলেন, এ বিষয়ে কিয়াস এটাই যে, ওই নারী (স্ত্রী) ইসলাম গ্রহণ করা মাত্র তার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতকে অনুসরণ করেছি। তারা নিম্নোক্তরূপে উল্লেখ করেছেন :
5276 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , فِي الْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ , تَكُونُ تَحْتَ النَّصْرَانِيِّ أَوِ الْيَهُودِيِّ , فَتُسْلِمُ هِيَ , قَالَ «يُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا , الْإِسْلَامُ يَعْلُو وَلَا يُعْلَى عَلَيْهِ» [ص:258]

5277 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ , عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلُهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ: الْإِسْلَامُ يَعْلُو وَلَا يُعْلَى أَفَيَجُوزُ أَنْ تَكُونَ النَّصْرَانِيَّةُ عِنْدَهُ إِذَا أَسْلَمَتْ فِي دَارِ الْإِسْلَامِ وَزَوْجُهَا نَصْرَانِيٌّ , أَنَّهَا تَبِينُ مِنْهُ , وَلَا يُنْتَظَرُ بِهَا إِسْلَامُهُ إِلَى أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْعِدَّةِ , وَتَكُونُ الْحَرْبِيَّةُ الَّتِي لَيْسَتْ بِكِتَابِيَّةٍ , إِذَا أَسْلَمَتْ فِي دَارِ الْحَرْبِ , ثُمَّ جَاءَتْنَا مُسْلِمَةً , يُنْتَظَرُ بِهَا إِلْحَاقُ زَوْجِهَا بِهَا مُسْلِمًا , فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ خُرُوجِهَا مِنَ الْعِدَّةِ؟ هَذَا مُحَالٌ , لِأَنَّ إِسْلَامَهَا فِي دَارِ الْإِسْلَامِ إِذَا كَانَ يُبِينُهَا مِنْ زَوْجِهَا النَّصْرَانِيِّ الذِّمِّيِّ , فَإِسْلَامُهَا فِي دَارِ الْحَرْبِ وَخُرُوجُهَا إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ , وَتَرْكُهَا زَوْجَهَا الْمُشْرِكَ فِي دَارِ الْحَرْبِ أَنْ يُبِينَهَا , فَثَبَتَ بِهَذَا , مِنْ قَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , أَنَّهُ كَانَ يَرَى الْعِصْمَةَ مُنْقَطِعَةً بِإِسْلَامِ الْمَرْأَةِ , لَا لِخُرُوجِهَا مِنَ الْعِدَّةِ , وَإِذَا ثَبَتَ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ , اسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ تَرْكُ مَا قَدْ كَانَ ثَبَتَ عِنْدَهُ , مِنْ حُكْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي رَدِّهِ زَيْنَبَ , عَلَى أَبِي الْعَاصِ , عَلَى النِّكَاحِ الْأَوَّلِ , وَصَارَ إِلَى خِلَافِهِ , إِلَّا بَعْدَ ثُبُوتِ نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ , فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَأَمَّا النَّظَرُ فِي ذَلِكَ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الْمَرْأَةَ إِذَا أَسْلَمَتْ وَزَوْجُهَا كَافِرٌ , فَقَدْ صَارَتْ إِلَى حَالٍ لَا يَجُوزُ أَنْ يَسْتَأْنِفَ نِكَاحَهُ عَلَيْهَا , لِأَنَّهَا مُسْلِمَةٌ وَهُوَ كَافِرٌ , فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ إِلَى مَا يَطْرَأُ عَلَى النِّكَاحِ , مِمَّا لَا يَجُوزُ مَعَهُ الِاسْتِقْبَالُ لِلنِّكَاحِ , كَيْفَ حُكْمُهُ؟ فَرَأَيْنَا اللهَ , عَزَّ وَجَلَّ , قَدْ حَرَّمَ الْأَخَوَاتِ مِنَ الرَّضَاعَةِ , وَكَانَ مَنْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً صَغِيرَةً لَا رَضَاعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا فَأَرْضَعَتْهَا أُمُّهُ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ بِذَلِكَ , وَانْفَسَخَ النِّكَاحُ , فَكَانَ الرَّضَاعُ الطَّارِئُ عَلَى النِّكَاحِ , فِي حُكْمِ الرَّضَاعِ الْمُتَقَدِّمِ لِلنِّكَاحِ فِي أَشْبَاهٍ لِذَلِكَ , يَطُولُ الْكِتَابُ بِذِكْرِهَا , وَكَانَتْ ثَمَّةَ أَشْيَاءَ , يَخْتَلِفُ فِيهَا الْحُكْمُ إِذَا كَانَتْ مُتَقَدِّمَةً لِلنِّكَاحِ , أَوْ طَرَأَتْ عَلَى النِّكَاحِ , مِنْ ذَلِكَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ نِكَاحَ الْمَرْأَةِ فِي عِدَّتِهَا مِنْ زَوْجِهَا , وَأَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ الْعِدَّةَ مِنَ الْجِمَاعِ فِي النِّكَاحِ الْفَاسِدِ , يَمْنَعُ مِنَ النِّكَاحِ , كَمَا يَمْنَعُ إِذَا كَانَتْ بِسَبَبِ نِكَاحٍ صَحِيحٍ , وَكَانَتِ الْمَرْأَةُ لَوْ وُطِئَتْ بِشُبْهَةٍ , وَلَهَا زَوْجٌ , فَوَجَبَتْ عَلَيْهَا بِذَلكَ عِدَّةٌ , لَمْ تَبِنْ بِذَلِكَ مِنْ زَوْجِهَا , وَلَمْ يُجْعَلْ هَذِهِ الْعِدَّةُ كَالْعِدَّةِ الْمُتَقَدِّمَةِ لِلنِّكَاحِ , فَفُرِّقَ فِي هَذَا , بَيْنَ حُكْمِ الْمُسْتَقْبَلِ وَالْمُسْتَدْبَرِ , فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي الْمَرْأَةِ إِذَا أَسْلَمَتْ وَزَوْجُهَا كَافِرٌ , هَلْ تَبِينُ مِنْهُ بِذَلِكَ , وَيَكُونُ حُكْمُ مُسْتَقْبِلِ ذَلِكَ وَمُسْتَدْبِرِهِ سَوَاءً , كَمَا كَانَ ذَلِكَ فِي الرِّضَاعِ الَّذِي ذَكَرْنَا؟ أَوْ لَا تَبِينُ مِنْهُ بِإِسْلَامِهَا , فَلَا يَكُونُ حُكْمُ إِسْلَامِهَا الْحَادِثِ كَهُوَ , إِذَا كَانَ قَبْلَ النِّكَاحِ , كَالْعِدَّةِ الَّتِي ذَكَرْنَا الَّتِي فُرِّقَ بَيْنَ حُكْمِ الْمُسْتَقْبِلِ فِيهَا وَحُكْمِ الْمُسْتَدْبِرِ؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْعِدَّةَ الطَّارِئَةَ عَلَى النِّكَاحِ , لَا يَجِبُ فِيهَا فُرْقَةٌ فِي حَالِ وُجُوبِهَا , وَلَا بَعْدَ ذَلِكَ , [ص:259] وَكَانَ الرَّضَاعُ الَّذِي ذَكَرْنَا , يَجِبُ بِهِ الْفُرْقَةُ فِي حَالِ كَوْنِهِ , وَلَا يُنْتَظَرُ بِهَا شَيْءٌ بَعْدَهُ , وَكَانَ الْإِسْلَامُ الطَّارِئُ عَلَى النِّكَاحِ , كُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ فُرْقَةً تَجِبُ بِهِ , فَقَالَ قَوْمٌ: تَجِبُ فِي وَقْتِ إِسْلَامِ الْمَرْأَةِ , وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَقَالَ آخَرُونَ: لَا تَجِبُ الْفُرْقَةُ , حَتَّى تَعْرِضَ عَلَى الزَّوْجِ الْإِسْلَامَ فَيَأْبَاهُ , فَيُفَرَّقُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ أَوْ تَخْتَارُهُ , فَتَكُونُ امْرَأَتُهُ عَلَى حَالِهَا , وَهُوَ قَوْلُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَقَالَ آخَرُونَ: هِيَ امْرَأَتُهُ مَا لَمْ يُخْرِجْهَا مِنْ أَرْضِ الْهِجْرَةِ , وَهُوَ قَوْلُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَسَنَأْتِي بِأَسَانِيدَ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ فِي آخِرِ هَذَا الْبَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى , فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ إِسْلَامَ الزَّوْجَةِ الطَّارِئَ عَلَى النِّكَاحِ: يُوجِبُ الْفُرْقَةَ , بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَبَيْنَ زَوْجِهَا , فِي حَالِ مَا ثَبَتَ , أَنَّ حُكْمَ ذَلِكَ بِحُكْمِ الرَّضَاعِ , أَشْبَهُ مِنْهُ بِحُكْمِ الْعِدَّةِ , فَلَمَّا كَانَ الرَّضَاعُ تَجِبُ بِهِ الْفُرْقَةُ سَاعَةَ يَكُونُ , وَلَا يَنْتَظِرُ بِهِ خُرُوجَ الْمَرْأَةِ مِنْ عِدَّتِهَا , كَانَ كَذَلِكَ , الْإِسْلَامُ , فَهَذَا وَجْهُ النَّظَرِ فِي هَذَا الْبَابِ , أَنَّ الْمَرْأَةَ تَبِينُ مِنْ زَوْجِهَا بِإِسْلَامِهَا , فِي دَارِ الْإِسْلَامِ كَانَتْ , أَوْ فِي دَارِ الْحَرْبِ , وَقَدْ كَانَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمُ اللهُ , يُخَالِفُونَ هَذَا , وَيَقُولُونَ فِي الْحَرْبِيَّةِ , إِذَا أَسْلَمَتْ فِي دَارِ الْحَرْبِ وَزَوْجُهَا كَافِرٌ , إِنَّهَا امْرَأَتُهُ , مَا لَمْ تَحِضْ ثَلَاثَ حِيَضٍ , أَوْ تَخْرُجْ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ , فَأَيُّ ذَلِكَ كَانَتْ بَانَتْ بِهِ مِنْ زَوْجِهَا , وَقَالُوا: كَانَ النَّظَرُ فِي هَذَا , أَنْ تَبِينَ مِنْ زَوْجِهَا بِإِسْلَامِهَا سَاعَةَ أَسْلَمَتْ , وَقَالُوا: إِذَا أَسْلَمَتْ , وَزَوْجُهَا فِي دَارِ الْإِسْلَامِ , فَهِيَ امْرَأَتُهُ عَلَى حَالِهَا , حَتَّى يَعْرِضَ الْقَاضِي عَلَى زَوْجِهَا الْإِسْلَامَ فَيُسْلِمُ , فَتَبْقَى تَحْتَهُ , أَوْ يَأْبَى , فَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا , وَقَالُوا: كَانَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ أَنْ تَبِينَ مِنْهُ بِإِسْلَامِهَا , سَاعَةَ أَسْلَمَتْ , وَلَكِنَّا قَلَّدْنَا مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرُوا مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৭
empty
৫২৭৭।
5277 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৭৯
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৭৮-৭৯। আবু বিশর আর-রকী (রাহঃ) দাউদ ইবন কুরদূস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের বনু তাগলিবের জনৈক খ্রিস্টান ব্যক্তির অধীনে এক খ্রিস্টান নারী (স্ত্রী) হিসাবে ছিল। সে (নারী) ইসলাম গ্রহণ করে। অনন্তর বিষয়টি উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে পেশ করা হলে তিনি তাকে বললেন, ইসলাম গ্রহণ কর অন্যথায় আমি তোমাদেরকে আলগ করে দিব। সে তাঁকে বলল, আমি এটাকে পরিত্যাগ করতাম না (অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণ করতাম) কিন্তু আমার আরবদের থেকে লজ্জা হয়, তারা বলবে যে, এ স্বীয় স্ত্রীর যৌনাঙ্গের জন্য ইসলাম গ্রহণ করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর উমার (রাযিঃ) তাদেরকে আলগ করে দিলেন।

আবু বাকরা (রাহঃ).... কুরদূস ইবন দাউদ তাগলিবী (রাহঃ) উমার (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

বস্তুত তারা ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে যার স্ত্রী দারুল ইসলামে ইসলাম গ্রহণ করেছে, উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতের অনুসরণ করেছেন। আর যার স্ত্রী দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করেছে তার জন্য তারা একটি সময় নির্ধারণ করছেন যে, যদি সে ঐ সময়ে ইসলাম গ্রহণ করে তবে তো ভাল, অন্যথায় তার ও তার স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। আর এ নির্ধারিত সময়টি হবে ইসলাম পেশ করার বছর, যা তার দারুল ইসলামে উপস্থিতির ক্ষেত্রে করা হতো এবং এই ওয়াক্ত হলো ইদ্দত অতিক্রান্ত করা। তবে উক্ত মহিলা যদি এর পূর্বে দারুল ইসলামের দিকে বেরিয়ে যায় তাহলে এতে তার থেকে ওই সময় খতম হয়ে যাবে এবং এর দ্বারা তাদের মাঝে পৃথকীকরণ ওয়াজিব হবে। আমরা এ বিষয়ে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতকে অনুসরণ করি যে, স্ত্রী ইসলাম গ্রহণ করা মাত্র পৃথকীকরণ ওয়াজিব হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাযিঃ) থেকে নিম্নরূপ বর্ণিত আছে :
5278 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ , عَنِ السِّفَاحِ , عَنْ دَاوُدَ بْنِ كُرْدُوسَ قَالَ: كَانَ رَجُلٌ مِنَّا مِنْ بَنِي تَغْلِبَ نَصْرَانِيٌّ , تَحْتَهُ امْرَأَةٌ نَصْرَانِيَّةٌ فَأَسْلَمَتْ , فَرُفِعَتْ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ لَهُ " أَسْلِمْ وَإِلَّا فَرَّقْتُ بَيْنَكُمَا , فَقَالَ لَهُ: لَمْ أَدَعْ هَذَا إِلَّا اسْتِحْيَاءً مِنَ الْعَرَبِ أَنْ يَقُولُوا: إِنَّهُ أَسْلَمَ عَلَى بُضْعِ امْرَأَةٍ , قَالَ: فَفَرَّقَ عُمَرُ بَيْنَهُمَا

5279 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا هِلَالُ بْنُ يَحْيَى , قَالَ: ثنا أَبُو يُوسُفَ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ , عَنِ السِّفَاحِ , عَنْ كُرْدُوسَ بْنِ دَاوُدَ التَّغْلِبِيِّ , عَنْ عُمَرَ , نَحْوُهُ فَقَلَّدُوا مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الَّذِي أَسْلَمَتِ امْرَأَتُهُ فِي دَارِ الْإِسْلَامِ , وَجَعَلُوا لِلَّذِي أَسْلَمَتِ امْرَأَتُهُ فِي دَارِ الْحَرْبِ أَجَلًا , إِنْ أَسْلَمَ فِيهِ , وَإِلَّا وَقَعَتِ الْفُرْقَةُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ امْرَأَتِهِ , بَدَلًا مِنَ الْعَرْضِ الَّذِي كَانُوا [ص:260] يَعْرِضُونَهُ عَلَيْهِ , لَوْ كَانَ فِي دَارِ الْإِسْلَامِ , وَهُوَ الْعِدَّةُ , إِلَّا أَنْ تَخْرُجَ الْمَرْأَةُ قَبْلَ ذَلِكَ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ , فَيَنْقَطِعُ الْأَجَلُ بِذَلِكَ , وَتَجِبُ بِهِ الْبَيْنُونَةُ , وَنَحْنُ فِي هَذَا عَلَى مَا رَوَيْنَا , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , مِنْ وُجُوبِ الْبَيْنُونَةِ بِالْإِسْلَامِ , سَاعَةَ يَكُونُ مِنَ الْمَرْأَةِ , وَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ , فَمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭৯
empty
৫২৭৯।
5279 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৮০
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৮০। নসর ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রাযিঃ) বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার দারুল হিজরত (দারুল হারব)-এ রয়েছে, তার স্বামী তার সঙ্গে বিয়ের অধিকতর অধিকার রাখে।

ইমাম যুহরী (রাহঃ) ও কাতাদা (রাহঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক যায়নাব (রাযিঃ) কে আবুল 'আস (রাযিঃ)-এর কাছে (ইসলাম গ্রহণের পর) ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বর্ণিত আছে যে, এটা মানসূখ বা রহিত হয়ে গিয়েছে। তবে এর নাসিখ বা রহিতকারী সম্পর্কে তারা উভয়ে মতবিরোধ করেছেন।
5280 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ " هُوَ أَحَقُّ بِنِكَاحِهَا , مَا كَانَتْ فِي دَارِ هِجْرَتِهَا وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَقَتَادَةَ , فِي رَدِّ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ , عَلَى أَبِي الْعَاصِ , أَنَّ ذَلِكَ مَنْسُوخٌ , وَاخْتَلَفَا فِيمَا نَسَخَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৮১
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৮১। উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ আল-মুআদ্দাব (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবুল আস ইব্‌ন রবী'আকে বদরের দিন বন্দীরূপে পাকড়াও করা হয়, তাকে নবী (ﷺ)-এর দরবারে পেশ করা হলে তিনি তাঁর কন্যা (যায়নাব রা) কে তার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। যুহরী (রাহঃ) বলেন, এটা অর্থাৎ নবী (ﷺ)-এর কন্যা এবং তাঁকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেয়াটা ফরয আহকাম নাযিল হওয়ার পূর্বে ছিলো।
5281 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُؤَدِّبُ , قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ , عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , أَنَّ " أَبَا الْعَاصِ بْنَ رَبِيعَةَ , أُخِذَ أَسِيرًا يَوْمَ بَدْرٍ , فَأُتِيَ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَرَدَّ عَلَيْهِ ابْنَتَهُ قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ الْفَرَائِضَ , يَعْنِي ابْنَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَدَّهَا عَلَى زَوْجِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৮২
১৩. কোন অমুসলিম মহিলা দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণের পর দারুল ইসলামে চলে আসা অতঃপর তার স্বামী মুসলমান হয়ে আসা প্রসঙ্গ
৫২৮২। উবায়দুল্লাহ (রাহঃ)..... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর কন্যা (যায়নাব রা)-কে স্বামী আবুল আস (রাযিঃ)-এর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, এটা সূরা বারাআত নাযিল হওয়ার পূর্বের ঘটনা।
5282 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ , قَالَ: ثنا عَلِيٌّ , قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ , عَنْ سَعِيدِ , عَنْ قَتَادَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ عَلَى أَبِي الْعَاصِ ابْنَتَهُ» , قَالَ قَتَادَةُ: كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تَنْزِلَ سُورَةُ بَرَاءَةٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান