শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫২৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬০
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৫৯-৬০। আহমদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) ..... ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, গায়লান ইবন সালামা (ছাকাফী রা) যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তাঁর অধিকারে দশ জন স্ত্রী ছিলো। তখন নবী (ﷺ) তাকে বললেন, এদের থেকে চারজনকে বাছাই করে নাও।

পর্যালোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যখন কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে এবং তার কাছে চারজনের অধিক স্ত্রী থাকে যাদেরকে সে মুশরিক অবস্থায় দারুল হারবে বিবাহ করেছে, তবে সে তাদের থেকে চার জনকে বাছাই করে নিজের কাছে রেখে অবশিষ্টদেরকে পৃথক করে দিবে। তাদের নিকট এটা বরাবর এবং সমান যে, সে তাদেরকে একই আকদে বিবাহ করে থাকুক অথবা ভিন্ন ভিন্ন আকদে বিবাহ করুক। এই অভিমত পোষণকারীদের মাঝে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) অন্যতম। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, যদি সে তাদেরকে একই আকদে বিবাহ করে থাকে তাহলে তাদের সকলের বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে, এবং তার ও তাদের (স্ত্রীদের) মাঝে পৃথক করে দেয়া হবে। আর যদি সে তাদের ভিন্ন ভিন্ন আকদে বিবাহ করে থাকে তাহলে তাদের থেকে প্রথম চারজনের বিবাহ বহাল এবং সাব্যস্ত হয়ে যাবে। তার ও অবশিষ্ট স্ত্রীদের মাঝে পৃথক করে দেয়া হবে। এই অভিমত যারা পোষণ করেছেন তাদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম।

এ বিষয়ে তাদের দলীল হলো যে, (উল্লেখিত) এই হাদীসটি ‘মুনকাতি'। এটা এরূপ নয় যেভাবে আব্দুল আ'লা ও তাঁর বসরার অধিবাসী সাথীগণ মা'মার (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। বরং এর মূল ভিত্তি হলো সেটি, যা আমাদের (ইমাম তাহাবী র)-কে ইউনুস (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে ইবন ওয়াহব খবর দিয়েছেন যে, মালিক (রাহঃ) ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে তাঁকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই বিষয়টি পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ছাকীফ গোত্রের এক নওমুসলিমকে যার চার জনের অধিক স্ত্রী ছিলো, বলেছিলেন যে, এদের থেকে চারজনকে বাছাই করে রাখ এবং বাকিদেরকে পৃথক করে দাও।
بَابُ الرَّجُلِ يُسْلِمُ فِي دَارِ الْحَرْبِ وَعِنْدَهُ أَكْثَرُ مِنْ أَرْبَعِ نِسْوَةٍ
5259 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الشَّامِيُّ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , «أَنَّ غَيْلَانَ بْنَ سَلَمَةَ , أَسْلَمَ وَتَحْتَهُ عَشْرُ نِسْوَةٍ , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ خُذْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرَ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَاأَسْلَمَ , وَعِنْدَهُ أَكْثَرُ مِنْ أَرْبَعِ نِسْوَةٍ , قَدْ كَانَ تَزَوَّجَهُنَّ فِي دَارِ الْحَرْبِ وَهُوَ مُشْرِكٌ , أَنَّهُ يَخْتَارُ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا , فَيُمْسِكُهُنَّ , وَيُفَارِقُ سَائِرَهُنَّ , وَسَوَاءٌ عِنْدَهُمْ , كَانَ تَزْوِيجُهُ إِيَّاهُنَّ فِي عُقْدَةٍ وَاحِدَةٍ , أَوْ فِي عُقَدٍ مُتَفَرِّقَةٍ , وَمِمَّنْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ: مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ , [ص:253] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: إِنْ كَانَ تَزَوَّجَهُنَّ فِي عُقْدَةٍ وَاحِدَةٍ , فَنِكَاحُهُنَّ كُلُّهُنَّ بَاطِلٌ , وَيُفَرَّقُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُنَّ , وَإِنْ كَانَ تَزَوَّجَهُنَّ فِي عُقَدٍ مُتَفَرِّقَةٍ , فَنِكَاحُ الْأَرْبَعِ الْأُوَلِ مِنْهُنَّ ثَابِتٌ , وَيُفَرَّقُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَائِرِهِنَّ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا , وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ مُنْقَطِعٌ , لَيْسَ كَمَا رَوَاهُ عَبْدُ الْأَعْلَى وَأَصْحَابُهُ الْبَصْرِيُّونَ عَنْ مَعْمَرٍ , إِنَّمَا أَصْلُهُ مَا

5260 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ: " بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ ثَقِيفٍ أَسْلَمَ وَعِنْدَهُ أَكْثَرُ مِنْ أَرْبَعِ نِسْوَةٍ: «أَمْسِكْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا , وَفَارِقْ سَائِرَهُنَّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬২
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬১-৬২। আহমদ ইব্‌ন দাউদ মক্কী (রাহঃ)..... ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত
করেছেন।

আহমদ (রাহঃ)..... ইবন শিহাব (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

সুতরাং এই হাদীসের ভিত্তি হলো এটাই, যা মালিক (রাহঃ) ইমাম যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং যা আব্দুর রাজ্জাক (রাহঃ) ও ইব্‌ন উয়ায়না (রাহঃ) মা'মার (রাহঃ) থেকে আর তিনি ইমাম যুহরী (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন । আকীল (রাহঃ) ও যুহরী (রাহঃ) থেকে ওটাকে রিওয়ায়াত করেছেন, যা ওই স্থানের উপর প্রমাণ বহন করে যেখান থেকে যুহরী (রাহঃ) এই হাদীস গ্রহণ করেছেন।
5261 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ الْمَكِّيُّ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ

5262 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ , كَمَا رَوَاهُ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ , وَكَمَا رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا عُقَيْلٌ , عَنِ الزُّهْرِيُّ , مَا يَدُلُّ عَلَى الْمَوْضِعِ الَّذِي أَخَذَهُ الزُّهْرِيُّ مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬১
empty
৫২৬১।
5261 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৪
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬৩-৬৪। নসর ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) .....ইবন শিহাব (যুহরী) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে উসমান ইব্‌ন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আবী সুওয়ায়দ (রাহঃ) থেকে এই বিষয়টি পৌঁছেছে যে, যখন গায়লান ইব্‌ন সালামা ছাকাফী (রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং তাঁর ছিলো দশজন স্ত্রী, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাদের থেকে চারজনকে বাছাই করে নাও এবং অবশিষ্টদেরকে পৃথক করে দাও।

আকীল (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে এতে স্পষ্টত বর্ণনা করছেন যে, এই হাদীসটির উৎস কি, কোথা থেকে এসেছে এটি। তিনি এটিকে ঐ ব্যক্তি থেকে গ্রহণ করেছেন, যার পর্যন্ত এই রিওয়ায়াতটি উসমান ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে পৌঁছেছে এবং তিনি নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এটা অসম্ভব যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুহরী (রাহঃ)-এর নিকট সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা (ইবন উমার রা)-এর সূত্রে কোন রিওয়ায়াত বিদ্যমান থাকবে, আর তিনি তার দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করা ব্যতীত ওই রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করবেন, যা তাঁর পর্যন্ত উসমান ইব্‌ন মুহাম্মাদ ইবন আবু সুওয়ায়দ সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে পৌঁছেছে। কিন্তু এই হাদীসে রাবী মা'মার (রাহঃ) এসেছেন। কেননা তাঁর নিকট গায়লান (রাহঃ)-এর ঘটনা সম্পর্কীয় যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত দু'টি হাদীস আছে। এর একটি হলো উল্লেখিত এই হাদীস এবং দ্বিতীয়টি হলো সালিম (রাহঃ) তার পিতা (ইবন উমার রা) থেকে বর্ণিত যে, গায়লান ইবন সালামা (রাযিঃ) তার স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়েছিলেন এবং নিজের সম্পদ বণ্টন করেছিলেন। উমার (রাযিঃ) বিষয়টি জানতে পেরে তাকে তার স্ত্রীদের এবং সম্পদসমূহ ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন। আর বললেন, যদি তুমি এই অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর তাহলে আমি তোমার কবরে এমন ভাবে প্রস্তর নিক্ষেপ করব, যেভাবে জাহিলী যুগে আবু রিগালের১ কবরে প্রস্তর নিক্ষেপ করা হত। এই হাদীসে মা'মার (রাহঃ) থেকে ভুল হয়েছে। তিনি এই হাদীসের সনদকে যাতে উমার (রাযিঃ)-এর বক্তব্য ছিলো, ওই

হাদীসের সনদ বানিয়ে দিয়েছেন, যাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বক্তব্য ছিলো। সুতরাং সনদের দিক দিয়ে এই হাদীসটি বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে।

অতঃপর যদি ওই রিওয়ায়াতটি সাব্যস্তও হয়, যা আব্দুল আ'লা মা'মার (রাহঃ) সুত্রে যুহবী (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তখনো তাতে আমাদের নিকট ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর মাযহাবের উপর কোন রূপ দলীল নেই। কেননা গায়লানের বিবাহ জাহিলী যুগে সংঘটিত হয়েছিলো, যা সাঈদ ইবন আবী আরূবা (রাহঃ) মা'মার (রাহঃ) সূত্রে এই হাদীসে বর্ণনা করেছেন :
5263 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: ثنا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: بَلَغَنِي عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُوَيْدٍ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِغَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ الثَّقَفِيِّ , حِينَ أَسْلَمَ وَتَحْتَهُ عَشْرُ نِسْوَةٍ خُذْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا , وَفَارِقْ سَائِرَهُنَّ " فَبَيَّنَ عُقَيْلٌ فِي هَذَا , عَنِ الزُّهْرِيِّ , مَخْرَجَ هَذَا الْحَدِيثِ , وَأَنَّهُ إِنَّمَا أَخَذَهُ عَمَّا بَلَغَهُ , عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ الزُّهْرِيُّ عِنْدَهُ فِي هَذَا شَيْءٌ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , فَيَدَعُ الْحُجَّةَ بِهِ , وَيَحْتَجُّ بِمَا بَلَغَهُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُوَيْدٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَكِنْ إِنَّمَا أَتَى مَعْمَرٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِأَنَّهُ كَانَ عِنْدَهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , فِي قِصَّةِ غَيْلَانِ حَدِيثَانِ , هَذَا أَحَدُهُمَا , وَالْآخَرُ

5264 - عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ غَيْلَانَ بْنَ سَلَمَةَ طَلَّقَ نِسَاءَهُ , وَقَسَمَ مَالَهُ , فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرُ , فَأَمَرَهُ أَنْ يَرْتَجِعَ نِسَاءَهُ وَمَالَهُ وَقَالَ: «لَوْ مِتَّ عَلَى ذَلِكَ , لَرَجَمْتُ قَبْرَكَ , كَمَا رُجِمَ قَبْرُ أَبِي وَغَّالٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ» فَأَخْطَأَ مَعْمَرٌ فَجَعَلَ إِسْنَادَ هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي فِيهِ كَلَامُ عُمَرَ , لِلْحَدِيثِ الَّذِي فِيهِ كَلَامُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَسَدَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ جِهَةِ الْإِسْنَادِ , ثُمَّ لَوْ ثَبَتَ , عَلَى مَا رَوَاهُ عَبْدُ الْأَعْلَى , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , لَمَا كَانَتْ أَيْضًا فِيهِ حُجَّةٌ عِنْدَنَا , عَلَى مَنْ ذَهَبَ إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا فِي ذَلِكَ , لِأَنَّ تَزْوِيجَ غَيْلَانَ ذَلِكَ إِنَّمَا كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , قَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ مَعْمَرٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , [ص:254]
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৪
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬৪।
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৫
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬৫। খাল্লাদ ইব্‌ন মুহাম্মাদ ওয়াসিতী (রাহঃ) .....সাঈদ ইবন আবী আরূবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি মা'মার (রাহঃ) থেকে তিনি যুহরী (রাহঃ) থেকে তিনি সালিম (রাহঃ) থেকে তিনি স্বীয় পিতা (ইবন উমার রা) থেকে তিনি নবী (ﷺ) থেকে আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি এটি অতিরিক্ত বলেছেন যে, তিনি তাদের (ওই মহিলা) কে জাহিলী যুগে বিবাহ করেছেন ।

সুতরাং গায়লান (রাযিঃ) ইসলাম গ্রহণের আগে যে বহু সংখ্যক স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন, তা তখনকার সমাজে বৈধ ছিলো এবং তার বিবাহ বিশুদ্ধ বলে সাব্যস্ত ছিলো। সে সময় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ সাব্যস্ত হওয়াটা দশ মহিলার সঙ্গে সাব্যস্ত হওয়ার অনুরূপ ছিলো। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা অপর বিধান প্রবর্তন করলেন আর সেটা হলো চারের অধিক স্ত্রী গ্রহণ হারাম হওয়া। সুতরাং হারাম হওয়ার এই বিধান গায়লান (রাযিঃ)-এর বিবাহের উপর আপতিত হয়েছে। নবী (ﷺ) এই কারণে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তুমি তোমার স্ত্রীদের থেকে এত সংখ্যা পরিমাণ বাছাই করে রাখ যাকে আল্লাহ্ তা'আলা জায়িয সাব্যস্ত করেছেন এবং বাকিদেরকে পৃথক করে দাও। আর তাকে ঐ ব্যক্তির ন্যায় সাব্যস্ত করেছেন, যার চারজন স্ত্রী রয়েছে। অতঃপর সে তাদের একজনকে তালাক দিয়ে দিলো। এর হুকুম হলো তাদের থেকে কাউকে (তালাকের জন্য) বাছাই করে তাকে তালাক দিয়ে দিবে এবং অন্য স্ত্রীদেরকে রেখে দিবে। এ বিষয়ে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এটাই বলেন।

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে একই আকদে চারের অধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ হারাম হওয়ার পরে দশজন মহিলাকে বিবাহ করবে, তাদের সঙ্গে তার সে আকদ ফাসিদ। অতএব তা দ্বারা তার বিবাহ সাব্যস্ত হবেনা। তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, যদি কোন ব্যক্তি দারুল হারবে মুশরিক অবস্থায় তার কোন মাহরাম আত্মীয়া মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর সে ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে সে তার অধীনে বা বিবাহে থাকবেনা যদিও তার এই বিবাহ দারুল হারবে এবং মুশরিক অবস্থায় সংঘটিত হয়েছে। যখন এই অবস্থায় এর হুকুম মুসলিম নারীদের বিবাহের হুকুমের দিকে ফিরান হয় যা দারুল ইসলামে করা হয়, তাহলে সে দারুল হারবে এবং মুশরিক অবস্থায় যেই দশজন মহিলাকে বিবাহ করেছে ওটাকেও মুসলিমদের বিবাহ অনুরূপ হুকুম দেয়া হবে। যদি সে একই আকদে বিবাহ করে থাকে তাহলে তাদের বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে। আর ভিন্ন ভিন্ন আকদে হলে তাদের প্রথম চারজনের বিবাহ জায়িয হবে এবং বাকিদের বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে।

যদি কেউ বলে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) নিজেদের অভিমত পরিত্যাগ করেছেন। এবং তা এভাবে যে, তারা উভয়ে ওই হারবী ব্যক্তির ব্যাপারে বলেছেন, যে বন্দী হয়েছে এবং তার চার জন স্ত্রী ছিলো, যারা তার সঙ্গেই বন্দী হয়েছে, তবে তাদের সকলের বিবাহ ফাসিদ বা বাতিল হয়ে যাবে এবং তার ও তাদের মাঝে পৃথক করে দেয়া হবে। ওই প্রশ্নকারী বলে যে, তারা উভয়ে গায়লানের হাদীসকে যার উপর প্রয়োগ করেছেন সেই হিসাবে তাকে তাদের থেকে দু'জন মহিলাকে বাছাই করার ইখতিয়ার প্রদান করা হলো সমীচীন। সুতরাং সে তাদেরকে রেখে দিবে এবং বাকি দু'জনকে পৃথক করে দিবে। কেননা চারজনের সকলের বিবাহ বিশুদ্ধ ও সাব্যস্ত ছিলো। এখন তার উপর দাসত্ব আপতিত হয়েছে, যার দ্বারা দু'জন মহিলার অধিক তার উপর হারাম হয়ে গিয়েছে। যেমন যখন চার জনের অধিক মহিলা হারাম হওয়ার আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধান আপতিত হয়েছে তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গায়লানকে তার স্ত্রীদের থেকে চারজনকে বাছাই করে গ্রহণ করতে এবং বাকিদেরকে পৃথক করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, যা কিছু তোমরা উল্লেখ করেছ, এর কারণে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) স্বীয় মূলনীতি যে পরিত্যাগ করেন নাই। বরং তাঁরা বিষয়টিই গ্রহণ করেছেন যা তোমাদের উপর গোপন রয়েছে।

আর এটা এজন্য যে, যে সময় সে চারজন মহিলাকে বিবাহ করেছে সে সময় গোলাম তথা ক্রীতদাসের উপরে দু’জন মহিলার অধিক বিবাহ করা হারাম হয়ে গিয়েছিলো। যখন সে দারুল হারবে হারবী হওয়া হিসাবে দু’য়ের অধিক মহিলা বিবাহ করেছে। অতঃপর সে বন্দী হয়ে গিয়েছে এবং তার সঙ্গে ঐ দু'জন মহিলাও বন্দী হয়ে গিয়েছে। তাহলে এর হুকুম ঐ তাহরীম তথা নিষিদ্ধতার দিকে ফিরে যাবে, যা তার বিবাহের পূর্বে মওজুদ ছিলো। যেন সে গোলাম হওয়ার পরে একই আকদে তাদের (মহিলা) কে বিবাহ করেছে। এ বিষয়ে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হবে, যে ছোট দুই শিশুকে বিবাহ করলো আর কোন মহিলা ওই দুই শিশুকে একত্রে দুধ পান করালো, তাহলে তারা উভয়ে তার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। তাকে এ কথার হুকুম করা যাবেনা যে, তাদের থেকে একজনকে বাছাই করে রেখে দাও এবং অপরজনকে পৃথক করে দাও। কেননা দুধ পানের কারণে হুরমত বা নিষিদ্ধতা তাদের দুজনের সঙ্গে তার বিবাহ করার পর আপতিত হয়েছে। অনুরূপভাবে যে দাসত্ব ঐ বিবাহের পরে আপতিত হয়েছে যা আমরা উল্লেখ করেছি, তাই এর হুকুম এই দুধপানের হুকুমের ন্যায় হবে যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এই দু'টি (অবস্থা) ঐ অবস্থা থেকে ভিন্ন, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে গায়লান ইবন সালামার ব্যাপারে ঘটেছে। কেননা গায়লানের বিবাহের পূর্বে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে চারজন মহিলার অধিক-এর সঙ্গে বিবাহের নিষিদ্ধতা আসে নাই, যাতে তার বিবাহের হুকুম সেদিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। বরং বিবাহের নিষিদ্ধতা ঐ সময় আপতিত হয়েছে যখন বিবাহ পূর্ণাঙ্গরূপে সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। সুতরাং এখন যা কিছু তার উপর হারাম হবে এর সম্পৃক্ততা বিবাহের পরে সৃষ্ট হুকুমের দিকে হবে। তাই তাকে ইখতিয়ার দেয়া অপরিহার্য হবে, যেমন তার জন্য ঐ তালাকের মধ্যে ইখতিয়ার পাওয়া যাওয়া ওয়াজিব যা আমরা বর্ণনা করেছি।

তারা যদি নিম্নোক্ত এই হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করে :
5265 - حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَاسِطِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ شُجَاعٍ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بِمِثْلِ حَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ دَاوُدَ , وَزَادَ " إِنَّهُ كَانَ تَزَوَّجَهُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَكَانَ تَزْوِيجُ غَيْلَانَ لِلنِّسْوَةِ اللَّاتِي كُنَّ عِنْدَهُ حِينَ أَسْلَمَ فِي وَقْتٍ كَانَ تَزَوُّجُ ذَلِكَ الْعَدَدِ جَائِزًا , وَالنِّكَاحُ عَلَيْهِ ثَابِتٌ , وَلَمْ يَكُنْ لِلْوَاحِدَةِ حِينَئِذٍ , مِنْ ثُبُوتِ النِّكَاحِ إِلَّا مَا لِلْعَاشِرَةِ مِثْلُهُ , ثُمَّ أَحْدَثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ حُكْمًا آخَرَ , وَهُوَ تَحْرِيمُ مَا فَوْقَ الْأَرْبَعِ , فَكَانَ ذَلِكَ حُكْمًا طَارِئًا , طَرَأَتْ بِهِ حُرْمَةٌ حَادِثَةٌ عَلَى نِكَاحِ غَيْلَانَ , فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِذَلِكَ , أَنْ يُمْسِكَ مِنَ النِّسَاءِ الْعَدَدَ الَّذِي أَبَاحَهُ اللهُ , وَيُفَارِقُ مَا سِوَى ذَلِكَ , وَجَعَلَ كَرَجُلٍ لَهُ أَرْبَعُ نِسْوَةٍ , فَطَلَّقَ إِحْدَاهُنَّ , فَحُكْمُهُ أَنْ يَخْتَارَ مِنْهُنَّ وَاحِدَةً فَيَجْعَلُ ذَلِكَ الطَّلَاقَ عَلَيْهَا , وَيُمْسِكُ الْأُخْرَى , وَكَذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُمَا اللهُ يَقُولَانِ فِي هَذَا , فَأَمَّا مَنْ تَزَوَّجَ عَشْرَ نِسْوَةٍ , بَعْدَ تَحْرِيمِ اللهِ مَا جَاوَزَ الْأَرْبَعَ فِي عُقْدَةٍ وَاحِدَةٍ , فَإِنَّهُ إِنَّمَا عَقَدَ النِّكَاحَ عَلَيْهِنَّ عَقْدًا فَاسِدًا , فَلَا يَثْبُتُ بِذَلِكَ لَهُ نِكَاحٌ , أَلَا تَرَى أَنَّهُ لَوْ تَزَوَّجَ ذَاتَ رَحِمٍ مَحْرَمٍ مِنْهُ فِي دَارِ الْحَرْبِ , وَهُوَ مُشْرِكٌ , ثُمَّ أَسْلَمَ، أَنَّهَا لَا تُقَرُّ تَحْتَهُ , وَإِنْ كَانَ عَقْدُهُ لِذَلِكَ كَانَ فِي دَارِ الْحَرْبِ وَهُوَ مُشْرِكٌ , فَلَمَّا كَانَ هَذَا يُرَدُّ حُكْمُهُ فِيهِ إِلَى حُكْمِ نِكَاحَاتِ الْمُسْلِمِينَ فِيمَا يَعْقِدُونَ فِي دَارِ الْإِسْلَامِ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا حُكْمُهُ فِي الْعَشْرِ نِسْوَةً اللَّاتِي تَزَوَّجَهُنَّ وَهُوَ مُشْرِكٌ فِي دَارِ الْحَرْبِ , يُرَدُّ حُكْمُهُ فِي ذَلِكَ إِلَى حُكْمِ الْمُسْلِمِينَ فِي نِكَاحَاتِهِمْ , فَإِنْ كَانَ تَزَوَّجَهُنَّ فِي عُقْدَةٍ وَاحِدَةٍ , فَنِكَاحُهُنَّ بَاطِلٌ , وَإِنْ كَانَ تَزَوَّجَهُنَّ فِي عُقَدٍ مُتَفَرِّقَةٍ , جَازَ نِكَاحُ الْأَرْبَعِ الْأُوَلِ مِنْهُنَّ , وَبَطَلَ نِكَاحُ سَائِرِهِنَّ , فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ تَرَكَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ قَوْلَهُمَا , فِي شَيْءٍ قَالَاهُ فِي هَذَا الْمَعْنَى , وَذَلِكَ أَنَّهُمَا قَالَا فِي رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ سُبِيَ وَلَهُ أَرْبَعُ نِسْوَةٍ , وَسُبِينَ مَعَهُ: إِنَّ نِكَاحَهُنَّ كُلِّهِنَّ قَدْ فَسَدَ وَيُفَرَّقُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُنَّ , قَالَ: فَقَدْ كَانَ يَنْبَغِي , عَلَى مَا حَمَلَا عَلَيْهِ حَدِيثَ غَيْلَانَ , أَنْ يَجْعَلَا لَهُ أَنْ يَخْتَارَ مِنْهُنَّ اثْنَيْنِ فَيُمْسِكُهُمَا , وَيُفَارِقُ الِاثْنَتَيْنِ الْبَاقِيَتَيْنِ , لِأَنَّ نِكَاحَ الْأَرْبَعِ قَدْ كَانَ كُلُّهُ ثَابِتًا صَحِيحًا , وَإِنَّمَا طَرَأَ الرِّقُّ عَلَيْهِ , فَحَرَّمَ عَلَيْهِ مَا فَوْقَ الِاثْنَتَيْنِ كَمَا أَنَّهُ لَمَّا طَرَأَ حُكْمُ اللهِ فِي تَحْرِيمِ مَا فَوْقَ الْأَرْبَعِ , «أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْلَانَ بِاخْتِيَارِ أَرْبَعٍ مِنْ نِسَائِهِ , وَفَارَقَ سَائِرَهُنَّ» قِيلَ لَهُ: مَا خَرَجَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُمَا اللهُ بِمَا ذَكَرْتَ , عَنْ أَصْلِهِمَا , وَلَكِنَّهُمَا ذَهَبَا إِلَى مَا قَدْ خَفِيَ عَلَيْكَ , وَذَلِكَ أَنَّ هَذَا كَانَ تَزَوَّجَ الْأَرْبَعَ فِي وَقْتٍ مَا تَزَوَّجَهُنَّ بَعْدَمَا حُرِّمَ عَلَى الْعَبْدِ تَزَوُّجِ مَا فَوْقَ الِاثْنَتَيْنِ , [ص:255] فَإِذَا تَزَوَّجَ , وَهُوَ حَرْبِيٌّ فِي دَارِ الْحَرْبِ , مَا فَوْقَ اثْنَتَيْنِ , ثُمَّ سُبِيَ وَسُبِينَ مَعَهُ , رُدَّ حُكْمُهُ فِي ذَلِكَ إِلَى حُكْمِ تَحْرِيمٍ , قَدْ كَانَ قَبْلَ نِكَاحِهِ , فَصَارَ كَأَنَّهُ تَزَوَّجَهُنَّ فِي عُقَدٍ بَعْدَمَا صَارَ رَقِيقًا , وَهُوَ فِي ذَلِكَ , كَرَجُلٍ تَزَوَّجَ صَبِيَّتَيْنِ صَغِيرَتَيْنِ , فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ فَأَرْضَعَتْهُمَا مَعًا , فَإِنَّهُمَا تَبِينَانِ مِنْهُ جَمِيعًا , وَلَا يُؤْمَرُ بِأَنْ يَخْتَارَ إِحْدَاهُمَا فَيُمْسِكُهَا , وَيُفَارِقُ الْأُخْرَى , لِأَنَّ حُرْمَةَ الرَّضَاعِ طَرَأَتْ عَلَيْهِ بَعْدَ نِكَاحِهِ إِيَّاهُمَا , وَكَذَلِكَ الرِّقُّ الطَّارِئُ عَلَى النِّكَاحِ , الَّذِي وَصَفْنَا , حُكْمُهُ حُكْمُ هَذَا الرَّضَاعِ الَّذِي ذَكَرْنَا , وَهُمَا جَمِيعًا مُفَارِقَانِ , لِمَا كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ , لِأَنَّ غَيْلَانَ لَمْ يَكُنْ حُرْمَةُ اللهِ لِمَا فَوْقَ الْأَرْبَعِ , تَقَدَّمَتْ نِكَاحَهُ فَيُرَدُّ حُكْمُ نِكَاحِهِ إِلَيْهَا , وَإِنَّمَا طَرَأَتِ الْحُرْمَةُ عَلَى نِكَاحِهِ بَعْدَ ثُبُوتِهِ كُلِّهِ , فَرُدَّتْ حُرْمَةُ مَا حَرَّمَ عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ إِلَى حُكْمٍ حَادِثٍ بَعْدَ النِّكَاحِ , فَوَجَبَ لَهُ بِذَلِكَ الْخِيَارُ , كَمَا يَجِبُ لَهُ فِي الطَّلَاقِ الَّذِي ذَكَرْنَا , فَإِنِ احْتَجُّوا أَيْضًا فِي ذَلِكَ , بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৭
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬৬-৬৭। সালিহ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ).... হারিস ইব্‌ন কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (যখন) ইসলাম গ্রহণ করি (তখন) আমার অধীনে আটজন স্ত্রী ছিলো। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি যেন তাদের থেকে চারজনকে বাছাই করে গ্রহণ করি।

সালিহ (রাহঃ) ..... হারিস ইবন কায়স (রাযিঃ)-এর কোন ছেলের সুত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

তাকে বলা হবে যে, এতে সেই সম্ভাবনাও বিদ্যমান রয়েছে, যা আমরা গায়লান (রাযিঃ)-এর হাদীসের অধীনে বর্ণনা করেছি। আবার এটাও হতে পারে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী যে, “তাদের থেকে চারজনকে বাছাই করে গ্রহণ কর" দ্বারা উদ্দেশ্য নিয়েছেন, তাদের থেকে চারজনকে বাছাই করে বিবাহ করে নাও। বস্তুত এই হাদীসে এই দুই অর্থের কোনটির সপক্ষেই প্রমাণ নেই। যদি তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে :
5266 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى , عَنْ حُمَيْضَةَ بِنْتِ الشَّمَرْدَلِ , عَنِ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ , قَالَ: «أَسْلَمْتُ وَعِنْدِي ثَمَانِي نِسْوَةٍ , فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَخْتَارَ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا»

5267 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ أَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ , عَنْ بَعْضِ وَلَدِ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , نَحْوَهُ قِيلَ لَهُ: قَدْ يَحْتَمِلُ ذَلِكَ مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي حَدِيثِ غَيْلَانَ , وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ لَهُ: اخْتَرْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا، أَيْ: اخْتَرْ مِنْهُنَّ أَرْبَعًا فَتَزَوَّجْهُنَّ , وَلَا دَلَالَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَلَى وَاحِدٍ مِنْ هَذَيْنِ الْمَعْنَيَيْنِ , وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا , بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৭
empty
৫২৬৭।
5267 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৮
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬৮। রবী’ আল-জীযী (রাহঃ).... যাহ্হাক ইবন ফায়রূয দায়লামী (রাহঃ) তৎ পিতা ফায়রূয দায়লামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার অধীনে দুই বোন ছিলো, অনন্তর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন, তাদের একজনকে তালাক দিয়ে দাও।
5268 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ , وَحَسَّانُ بْنُ غَالِبٍ , قَالَا: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجَيَشَانِيِّ , عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَسْلَمْتُ وَعِنْدِي أُخْتَانِ , فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «طَلِّقْ إِحْدَاهُمَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৬৯
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৬৯। আলী ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .... ফায়রূয দায়লামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার অধীনে দুই বোন ছিলো। অনন্তর আমি নবী (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁকে (বিষয়টি সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তাদের থেকে যাকে ইচ্ছা তালাক দিয়ে দাও।

তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, এই হাদীসটি ইখতিয়ারকে ওয়াজিব বা অপরিহার্য করে, যেমন তোমরা উল্লেখ করেছ। এবং এই হাদীসটি হারিস ইবন কায়স (রাযিঃ)-এর হাদীস অপেক্ষা অধিকতর স্পষ্ট। কিন্তু হতে পারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে এই জন্য ইখতিয়ার প্রদান করেছেন যে, তার বিবাহ জাহিলী যুগে আল্লাহ্ তা'আলা চার জনের অধিক মহিলাকে বিবাহ করা হারাম করার পূর্বে হয়েছিলো। সুতরাং এই হাদীসের বিষয়বস্তু গায়লান ইবন সালমার হাদীসের বিষয়বস্তু অভিন্ন। বস্তুত যা কিছু আমরা এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি তা দ্বারা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর মাযহাব সাব্যস্ত হয়েছে এবং ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর মাযহাব বাতিল হয়ে গিয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) যে অভিমত পোষণ করেছেন কতক পূর্ববর্তী মনীষীদের অভিমত এটাই :
5269 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْجَيَشَانِيِّ , عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ فَيْرُوزَ الدَّيْلَمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: " أَسْلَمْتُ وَعِنْدِي أُخْتَانِ , فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ طَلِّقْ أَيَّتَهُمَا شِئْتَ قِيلَ لَهُمْ: هَذَا يُوجِبُ الِاخْتِيَارَ , كَمَا ذَكَرْتُمْ , وَهُوَ أَوْضَحُ مِنْ حَدِيثِ حَارِثِ بْنِ قَيْسٍ , وَلَكِنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا خَيَّرَهُ , لِأَنَّ نِكَاحَهُ كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , قَبْلَ تَحْرِيمِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مَا فَوْقَ الْأَرْبَعِ , فَيَكُونُ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ , مِثْلُ مَعْنَى حَدِيثِ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ , [ص:256] فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا بَيَّنَّا فِي هَذَا الْبَابِ , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَفَسَدَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ , وَقَدْ ذَهَبَ إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , بَعْضُ الْمُتَقَدِّمِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৭০
১২. যে দারুল হারবে ইসলাম গ্রহণ করল এবং তার চারজনের অধিক স্ত্রী ছিলো
৫২৭০। আহমদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) .....কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া ও চতুর্থা মহিলা বা স্ত্রীকে গ্রহণ কর।
5270 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ , قَالَ: ثنا غُنْدَرٌ أَوْ عَبْدُ الْأَعْلَى , عَنْ سَعِيدٍ , عَنْ قَتَادَةَ , قَالَ: يَأْخُذُ الْأُولَى وَالثَّانِيَةَ وَالثَّالِثَةَ وَالرَّابِعَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান