শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫২৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৪৫
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৪৩-৪৫। ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রাহঃ)..... উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি পরবর্তীদের ধারণা না হত যে, তাদের জন্য কিছুই নেই, তাহলে আল্লাহ্ তা'আলা আমার উপর যে জনপদই বিজিত করে দিতেন আমি তা বণ্টন করে দিতাম, যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বার (জনপদ) কে বণ্টন করে দিয়েছেন।

মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাযিঃ) ..... যায়দ ইবন আসলাম (রাহঃ) তৎ পিতা (আসলাম র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার ইব্‌ন খাত্তাব (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি। অতঃপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

পর্যালোচনা
একদল আলিম এই দিকে গিয়েছেন যে, যদি ইমাম কোন এলাকা যুদ্ধের মাধ্যমে জয় করেন তবে তার উপর ওয়াজিব হলো সেটাকেও গনীমতের সম্পদের ন্যায় বণ্টন করে দেয়া। তার জন্য ওই এলাকা আটকিয়ে রাখার অধিকার নেই, যেমন তার জন্য গনীমতের সম্পদ আটকিয়ে রাখার অধিকার নেই। তাঁরা এ বিষয়ে (উল্লেখিত) হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, ইমামের এ ব্যাপারে ইখতিয়ার রয়েছে, যদি ইচ্ছা করেন তবে এর এক পঞ্চমাংশ নিয়ে অবশিষ্ট চার হিস্যা বণ্টন করে দিবেন। আর যদি চান তো খারাজী জমির ন্যায় ছেড়ে দিবেন এবং তা বণ্টন করবেন না।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ)....(আব্দুল্লাহ) ইব্‌ন মুবারক (রাহঃ) সূত্রে আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান সওরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত এটাই।

এ বিষয়ে তাঁদের দলীল যে সমস্ত হাদীস, তার কয়েকটি হাদীস নিম্নরূপ :
بَابُ الْأَرْضِ تُفْتَتَحُ كَيْفَ يَنْبَغِي لِلْإِمَامِ أَنْ يَفْعَلَ فِيهَا؟
5243 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ " عُمَرَ قَالَ: لَوْلَا أَنْ يَكُونَ النَّاسُ يَبَابًا لَيْسَ لَهُمْ شَيْءٌ , مَا فَتَحَ اللهُ عَلَى قَرْيَةٍ إِلَّا قَسَمْتُهَا , كَمَا قَسَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ "

5244 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , يَقُولُ , فَذَكَرَ نَحْوَهُ فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْإِمَامَ إِذَا فَتَحَ أَرْضًا عَنْوَةً , وَجَبَ عَلَيْهِ أَنْ يَقْسِمَهَا كَمَا يَضُمُّ الْغَنَائِمَ , وَلَيْسَ لَهُ احْتِبَاسُهَا , كَمَا لَيْسَ لَهُ احْتِبَاسُ سَائِرِ الْغَنَائِمِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: الْإِمَامُ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءَ خَمَّسَهَا وَقَسَمَ أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِهَا , وَإِنْ شَاءَ تَرَكَهَا أَرْضَ خَرَاجٍ وَلَمْ يَقْسِمْهَا

5245 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ وَسُفْيَانَ بِذَلكَ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ , وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَمِنْ ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪৪
empty
৫২৪৪।
5244 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪৫
empty
৫২৪৫।
5245 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪৬
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৪৬। রাবী' আল-মু'আযযিন (রাহঃ).... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বার (এলাকা) কে অর্ধাংশের ভিত্তিতে প্রদান করেছেন। অতঃপর ইব্‌ন রাওয়াহা (রাযিঃ) কে প্রেরণ করেছেন । তিনি তাদের মাঝে তা বণ্টন করে দিয়েছেন।
5246 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا , عَنِ الْحَجَّاجِ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنِ الْقَاسِمِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , قَالَ: «أَعْطَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ بِالشَّطْرِ , ثُمَّ أَرْسَلَ ابْنَ رَوَاحَةَ , فَقَاسَمَهُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪৭
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৪৭। মুহাম্মাদ ইব্‌ন আমর (রাহঃ)..... ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারের বছর খায়বার অধিবাসীদের সঙ্গে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেকের ভিত্তিতে বর্গাচুক্তি করেছেন।
5247 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ , عَامَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا خَرَجَ مِنَ الزَّرْعِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৪৯
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৪৮-৪৯। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা খায়বারকে গনীমত হিসাবে দান করেছেন। অনন্তর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে পূর্বের অবস্থায় বহাল রাখলেন আর তা (খায়বারকে) তাঁর এবং তাদের মাঝে বরাবর রাখলেন অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রাযিঃ) কে প্রেরণ করলেন। তিনি তা অনুমান করে তাদের মধ্যে বণ্টন করলেন।

আবু উমাইয়া (রাহঃ)..... ইবরাহীম ইব্‌ন তাহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি স্বীয় ইসনাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বার (এলাকা) কে পরিপূর্ণরূপে বণ্টন করেন নাই, বরং এর এক অংশ বা হিস্যা ঐ ভাবে বণ্টন করেছিলেন, যা উমার (রাযিঃ) প্রথমোক্ত হাদীসে প্রমাণরূপে প্রয়োগ করেছেন। আর আরেক অংশ বণ্টন ব্যতীত ছেড়ে দিয়েছিলেন। যেমন ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ), ইবন উমার (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ) থেকে এই অপর রিওয়ায়াতগুলোতে বর্ণিত আছে। তা থেকে তিনি শিক্‌ এবং বুতাত বস্তী (অথবা দুর্গ) কে বণ্টন করেছিলেন এবং অবশিষ্টকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এতে আমরা জানতে পারলাম যে, তিনি বণ্টন করেছিলেন। আর বণ্টন করার অধিকার তাঁর ছিলো এবং তিনি কিছু অংশ ছেড়ে দিয়েছিলেন আর ছেড়ে দেয়ারও তার ইখতিয়ার ছিলো।

এতে সাব্যস্ত হলো যে, বিজিত ভূমির ব্যাপারে বিধান এরূপই যে, এ বিষয়ে ইমামের অধিকার রয়েছে। যদি মুসলমানদের কল্যাণ লক্ষ্য করেন তবে তা বণ্টন করে দিবেন। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারের কিছু হিস্যা বণ্টন করে দিলেন। আর যদি বণ্টন না করার মধ্যে মুসলমানদের কল্যাণ মনে করেন তবে বণ্টন পরিত্যাগ করবেন যেমন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিছু হিস্যা ছেড়ে দিয়েছিলেন। চিন্তা-ভাবনার পরে যেটি মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর মনে করবে সেটির উপর আমল করবে। উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) ইরাকের ভূমিতে এই পদ্ধতিই অবলম্বন করেছিলেন। তিনি তা মুসলমানদের জন্য খারাজী জমি হিসাবে ছেড়ে দিয়েছিলেন যেন পরবর্তীতে আগত লোকেরাও এর দ্বারা অনুরূপ লাভ ভোগ করতে পারে যেমন তাঁর যুগের মুসলমানগণ এর দ্বারা লাভ ভোগ করছে।

যদি কেউ বলে যে, হতে পারে উমার (রাযিঃ) ইরাক ভূমিতে এই কার্যক্রম ঐ কারণে গ্রহণ করেন নাই, যা তোমরা বর্ণনা করেছ; বরং সমস্ত মুসলমানগণ এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলো। তাদের সন্তুষ্টির প্রমাণ হলো যে, তিনি তাদের উপর জিযইয়া নির্ধারণ করেছিলেন। এটা দু অবস্থা থেকে মুক্ত নয়, হয়তো তিনি তাদের উপর মুসলমানদের জন্য জিযইয়া এ জন্য নির্ধারণ করেছিলেন যে, তারা তাদের ক্রীতদাস। অথবা এভাবে নির্ধারণ করেছিলেন যেভাবে স্বাধীন মানুষের উপর জিযইয়া নির্ধারণ করা হয়। যেন এর দ্বারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা যায়। আমরা লক্ষ্য করছি যে, তিনি তাদের নারী, বৃদ্ধ, অক্ষম (যারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলো) এবং তাদের শিশুদের ছেড়ে দিয়েছেন (তাদের উপর জিয্ইয়া নির্ধারণ করেন নাই)। যদিও তারা কতক বালিকা বা প্রাপ্ত বয়স্কদের অপেক্ষা অধিক রোজগারে সক্ষম ছিলো। কিন্তু যাদের আমরা উল্লেখ করেছি তাদের কারো উপরই কোন কিছু নির্ধারণ করেন নাই। এতে প্রমাণিত হয় যে, অবশিষ্ট লোকদের উপর যা কিছু ওয়াজিব করেছেন তা তাদের মালিকানার কারণে নয়, বরং যিম্মী হওয়ার কারণে ছিলো এবং ইতোপূর্বে সমগ্র বিজিত ভূমি তাদের থেকে নেয়া তাদের ইজারার উপর দলীল। কেননা উমার (রাযিঃ) এরূপ করেছেন। অতঃপর আমরা লক্ষ্য করছি যে, তিনি জমির উপর বিভিন্ন জিনিস নির্ধারণ করেছেন। আঙ্গুরের জমিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন, গমের জমিতেও নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু খেজুরকে ছেড়ে দিয়েছেন। তা থেকে কিছুই নেননি। এখন এটা দু অবস্থা থেকে মুক্ত নয়, হয়ত যে সমস্ত লোকদের হুরমত তথা প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা নিজেদের ফলাদির মালিক হয়েছে, কিন্তু জমি মুসলমানদের মালিকানা সাব্যস্ত হয়েছে। অথবা তিনি তাদের উপর এভাবে নির্ধারণ করেছেন যেভাবে তাদের উপর খারাজ আরোপ করেছেন। যতক্ষণ না খারাজ নেয়া ব্যতীত মালিক হবে, খারাজ ওয়াজিব হবেনা। আর যদি আমরা ওটাকে এভাবে প্রয়োগ করি যে, উমার (রাযিঃ) উৎপন্নের বিনিময়ে তাদেরকে খেজুর ও আঙ্গুরের ফলাদির মালিক বানিয়ে দিয়েছিলেন। এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ঐ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে যে, তিনি কয়েক বছরের বিক্রয় এবং যে বস্তুর তুমি মালিক নও তার বেচা-কেনা থেকে নিষেধ করেছেন। কিন্তু এটি পাওয়া যাওয়া অসম্ভব, বরং আমাদের নিকট বিষয় হলো যে, তিনি তাদের ওই জমির মালিক বানিয়ে দিয়েছিলেন, যা প্রথমে বিনিময়ের ভিত্তিতে দিয়েছিলেন যে, এখন এটা তাদের খারাজী মালিকানা হবে এবং যা কিছু তাদের খারাজী মালিকানা হবে এবং যা কিছু তাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে এর হুকুম এটাই। সকলে তার এই ফয়সালাকে গ্রহণ করে নিয়েছে এবং তিনি তাদের থেকে যা কিছু নিয়েছিলেন, তা থেকে তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন তারা তা গ্রহণ করে নিয়েছেন। সুতরাং তারা তা গ্রহণ করা, তাদের পক্ষ থেকে তাঁর এই কাজের প্রতি অনুমতি ছিলো।

তারা বলেন, আমরা এই জন্যই ইরাকীদেরকে তাদের ভূমির মালিক সাব্যস্ত করেছি। এবং পূর্বোক্ত কারণে তাদেরকে মুক্ত সাব্যস্ত করেছি। এই সব কিছু ঐ লোকদের অনুমতি সাপেক্ষে হয়েছে, যারা ঐ ভূমিকে গনীমত হিসাবে লাভ করেছে। তাদের সম্মতি না হলে এটা জায়িয হতনা এবং তারা তাদের মালিকানায় থাকত। তারা বলেন, অনুরূপভাবে আমরা বলি যে, যে ভূমি যুদ্ধের মাধ্যমে বিজিত হয় তার হুকুম হলো যে, এটাকেও অপরাপর সম্পদের ন্যায় বণ্টন করা হবে। এর এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর জন্য এবং চার হিস্যা ঐ সমস্ত লোকদের (মুজাহিদদের) জন্য হবে, যারা তা জয় করেছে, ইমাম তাদেরকে এ থেকে নিষেধ করতে পারবেনা। তবে এরা সন্তুষ্টচিত্তে এটা ছেড়ে দিলে ভিন্ন কথা। যেমন ইরাকের ভূমি বিজেতাগণ সন্তুষ্টচিত্তে উমার (রাযিঃ)-এর জন্য ছেড়ে দিয়ে ছিলেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি।

তাদের বিরুদ্ধে অপরাপর 'আলিমদের দলীল হলো যে, আমরা অবহিত আছি যে, যদি ইরাকের ভূমি তারা যেমন বলছে তেমন হতো তাহলে তাতে আল্লাহর জন্য এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হত যা আল্লাহ্ তা'আলা এবং ঐ সমস্ত লোকদের মাঝে হত, যাদের জন্য আল্লাহ্ তা সাব্যস্ত করেছেন। অথচ আমরা জানি যে, ইমামের জন্য এক-পঞ্চমাংশ কিংবা তা থেকে কোন কিছু যিম্মীদেরকে প্রদান করা জায়িয নেই। অথচ ইরাকের যে সমস্ত লোকদেরকে উমার (রাযিঃ) বহাল রেখেছিলেন, তারা যিম্মী হয়ে গিয়েছিলো। এবং ইরাকের সমগ্র এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো।

এতে প্রমাণিত হলো যে, উমার (রাযিঃ)-এর এই আমল এই কারণে ছিলো না, যা তারা উল্লেখ করেছেন। বরং এর কারণ এটা ছিলো যে, তাতে আল্লাহ্ তা'আলার জন্য খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হয় নাই। অনুরূপভাবে যা কিছু তাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে করেছেন, তিনি তাদের উপর এভাবে ইহসান বা অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদেরকে তাদের ভূখণ্ডে বহাল রেখেছেন এবং তাদের থেকে দাসত্ব বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। আর তাদের সত্তার উপর এবং ভূমির উপর খারাজ আবশ্যক করেছেন। এভাবে তারা নিজেদের ভূমির মালিক হয়ে গিয়েছে এবং তাদের সত্তা থেকে দাসত্ব বিদূরিত হয়েছে।

এটা প্রমাণ বহন করে যে, যে ভূখণ্ডকে ইমাম যুদ্ধ দ্বারা জয় করেন তাতে তিনি এই আমল করতে পারেন। তিনি তাদেরকে মুসলমানদের গোলাম বাঁদী হওয়া এবং তাদের ভূমিকে মুসলমানদের মালিকানা থেকে সংরক্ষণ করে তাদের উপর খারাজ নির্ধারণ করতে পারেন। যেমন উমার (রাযিঃ) সাহাবাদের উপস্থিতিতে এরূপ করেছেন। এ বিষয়ে উমার (রাযিঃ) আল্লাহ্ তা'আলার (নিম্নোক্ত) এই বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ

অর্থাৎ : আল্লাহ্ এই জনপদবাসীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের এবং ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের (সূরা : ৫৯ আয়াত ৭) অতঃপর বলেছেন : لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ অর্থাৎ : “এই সম্পদ অভাবগ্রস্ত মুহাজিরদের জন্য।” এখানে তাদেরকেও তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অতঃপর বলেছেন : وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ

অর্থাৎ : মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা এ নগরীতে বসবাস করেছে ও ঈমান এনেছে। এর দ্বারা আনসার উদ্দেশ্য নিয়েছেন এবং এদেরকেও তাদের মধ্যে শামিল করেছেন। অতঃপর বলেছেন : وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ অর্থাৎ : “যারা তাদের পরে এসেছে"। বস্তুত এভাবে তাদের পরে আগত সমস্ত মু'মিনদেরকে এতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ইমামের এ ব্যাপারে অধিকার রয়েছে এবং তিনি সেই সমস্ত লোকদেরকে যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা এই সূরাতে উল্লেখ করেছেন, যাকে সংগত মনে করেন প্রদান করবেন। আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম সুফইয়ান সওরী (রাহঃ)-এর মাযহাব সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আর ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত এটাই।

যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন প্রমাণ উপস্থাপনকারী (নিম্নোক্ত) এই রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করে :
5248 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا ابْنُ عَوْنٍ الزِّيَادِيُّ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ , قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَفَاءَ اللهُ خَيْبَرَ , فَأَقَرَّهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا كَانُوا , وَجَعَلَهَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ , فَبَعَثَ عَبْدَ اللهِ بْنَ رَوَاحَةَ، فَخَرَصَهَا عَلَيْهِمْ»

5249 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ قَسَمَ خَيْبَرَ بِكَمَالِهَا , وَلَكِنَّهُ قَسَمَ طَائِفَةً مِنْهَا , عَلَى مَا احْتَجَّ بِهِ عُمَرُ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , وَتَرَكَ طَائِفَةً مِنْهَا فَلَمْ يَقْسِمْهَا , عَلَى مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , وَابْنِ عُمَرَ , وَجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ الْأُخَرِ , وَالَّذِي كَانَ قُسِمَ مِنْهَا هُوَ الشِّقُّ وَالْبِطَاهُ , وَتُرِكَ سَائِرُهَا , فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّهُ قَسَمَ , وَلَهُ أَنْ يَقْسِمَ , وَتَرَكَ , وَلَهُ أَنْ يَتْرُكَ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ هَكَذَا حُكْمُ الْأَرْضِينَ الْمُفْتَتَحَةِ لِلْإِمَامِ , فَيَقْسِمُهَا إِنْ رَأَى ذَلِكَ صَلَاحًا لِلْمُسْلِمِينَ , كَمَا قَسَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَسَمَ مِنْ خَيْبَرَ , وَلَهُ تَرْكُهَا إِنْ رَأَى فِي ذَلِكَ صَلَاحًا لِلْمُسْلِمِينَ أَيْضًا , كَمَا تَرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَرَكَ مِنْ خَيْبَرَ , يَفْعَلُ ذَلِكَ مَا رَأَى مِنْ ذَلِكَ عَلَى التَّحَرِّي مِنْهُ لِصَلَاحِ الْمُسْلِمِينَ , وَقَدْ فَعَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي أَرْضِ السَّوَادِ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا , فَتَرَكَهَا لِلْمُسْلِمِينَ أَرْضَ خَرَاجٍ , لِيَنْتَفِعَ بِهَا مَنْ يَجِيءُ مِنْ بَعْدِهِ مِنْهُمْ , كَمَا يَنْتَفِعُ بِهَا مَنْ كَانَ فِي عَصْرِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمْ يَفْعَلْ فِي السَّوَادِ مَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ , مِنْ جِهَةِ مَا قُلْتُمْ , وَلَكِنَّ الْمُسْلِمِينَ , جَمِيعًا رَضُوا بِذَلِكَ , وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا رَضُوا بِذَلِكَ , أَنَّهُ جَعَلَ الْجِزْيَةَ عَلَى رِقَابِهِمْ , فَلَمْ يَخْلُ ذَلِكَ مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ , إِمَّا أَنْ يَكُونَ جَعَلَهَا عَلَيْهِمْ ضَرِيبَةً لِلْمُسْلِمِينَ , لِأَنَّهُمْ عَبِيدٌ لَهُمْ , أَوْ يَكُونُ جَعَلَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ , كَمَا يَجْعَلُ الْجِزْيَةَ عَلَى الْأَحْرَارِ , لِيَحْقِنَ بِذَلِكَ دِمَاءَهُمْ , فَرَأَيْنَا قَدْ أُهْمِلَ نِسَاؤُهُمْ وَمَشَائِخُهُمْ , وَأَهْلُ الزَّمَانَةِ مِنْهُمْ , وَصِبْيَانُهُمْ , وَإِنْ كَانُوا قَادِرِينَ عَلَى الِاكْتِسَابِ , أَكْثَرَ مِمَّا يَقْدِرُ عَلَيْهِ بَعْضُ الْبَالِغِينَ , فَلَمْ يَجْعَلْ عَلَى أَحَدٍ مِمَّنْ ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا , فَدَلَّ مَا بَقِيَ مِنْ ذَلِكَ أَنَّ مَا أَوْجَبَ لَيْسَ لِعِلَّةِ الْمِلْكِ , وَلَكِنَّهُ , لِعِلَّةِ الذِّمَّةِ وَقَبْلَ ذَلِكَ جَمِيعُ مَا افْتُتِحَ مِنْ تِلْكَ الْأَرْضِ أَخْذُهُمْ ذَلِكَ مِنْهُمْ دَلِيلٌ عَلَى إِجَارَتِهِمْ لَمَّا كَانَ عُمَرُ فَعَلَ ذَلِكَ , ثُمَّ رَأَيْنَاهُ وَضَعَ عَلَى الْأَرْضِ شَيْئًا مُخْتَلِفًا , فَوَضَعَ عَلَى جَرِيبِ الْكَرْمِ شَيْئًا مَعْلُومًا , وَوَضَعَ عَلَى جَرِيبِ الْحِنْطَةِ شَيْئًا مَعْلُومًا , وَأَهْمَلَ النَّخْلَ فَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهَا شَيْئًا , [ص:248] فَلَمْ يَخْلُ ذَلِكَ مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ , إِمَّا أَنْ يَكُونَ مَلَكَ بِهِ الْقَوْمُ الَّذِينَ قَدْ ثَبَتَ حُرْمَتُهُمْ بِثِمَارِ أَرَضِيهِمْ , وَالْأَرْضُ مِلْكٌ لِلْمُسْلِمِينَ , أَوْ يَكُونَ جَعَلَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ , كَمَا جَعَلَ الْخَرَاجَ عَلَى رِقَابِهِمْ , وَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْخَرَاجُ يَجِبُ إِلَّا فِيمَا مَلَكَهُ لِغَيْرِ أَخْذِ الْخَرَاجِ , فَإِنْ حَمَلْنَا ذَلِكَ عَلَى التَّمْلِيكِ , مِنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِيَّاهُمْ ثَمَرَ النَّخْلِ وَالْكَرْمِ , بِمَا جَعَلَ عَلَيْهِمْ مِمَّا ذَكَرْنَا , جَعَلَ فِعْلَهُ ذَلِكَ قَدْ دَخَلَ فِيمَا قَدْ «نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِنْ بَيْعِ السِّنِينَ , وَمِنْ بَيْعِ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ» فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ الْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ , وَلَكِنَّ الْأَمْرَ عِنْدَنَا عَلَى أَنَّ تَمْلِيكَهُ لَهُمُ الْأَرْضَ الَّتِي أَوْجَبَ هَذَا عَلَيْهِمْ فِيمَا قَدْ تَقَدَّمَ , عَلَى أَنْ يَكُونَ مِلْكُهُمْ لِذَلِكَ , مِلْكَ خَرَاجِيٍّ , فَهَذَا حُكْمُهُ فِيمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ فِيهِ , وَقَبِلَ النَّاسُ جَمِيعًا مِنْهُ ذَلِكَ , وَأَخَذُوا مِنْهُ مَا أَعْطَاهُمْ مِمَّا أَخَذَ مِنْهُمْ , فَكَانَ قَبُولُهُمْ لِذَلِكَ إِجَازَةً مِنْهُمْ لِفِعْلِهِ , قَالُوا فَلِهَذَا جَعَلْنَا أَهْلَ السَّوَادِ مَالِكِينَ لِأَرْضِهِمْ , وَجَعَلْنَاهُمْ أَحْرَارًا بِالْعِلَّةِ الْمُتَقَدِّمَةِ , وَكُلُّ هَذَا إِنَّمَا كَانَ بِإِجَازَةِ الْقَوْمِ الَّذِينَ غَنِمُوا تِلْكَ الْأَرْضَ , وَلَوْلَا ذَلِكَ لَمَا جَازَ , وَلَكَانُوا عَلَى مِلْكِهِمْ , قَالُوا: فَكَذَلِكَ نَقُولُ: كُلُّ أَرْضٍ مُفْتَتَحَةٍ عَنْوَةً , فَحُكْمُهَا أَنْ تُقْسَمَ كَمَا تُقْسَمُ الْأَمْوَالُ , خُمُسُهَا لِلَّهِ , وَأَرْبَعَةُ أَخْمَاسِهَا لِلَّذِينَ افْتَتَحُوهَا , لَيْسَ لِلْإِمَامِ مَنْعُهُمْ مِنْ ذَلِكَ , إِلَّا أَنْ تَطِيبَ أَنْفُسُ الْقَوْمِ بِتَرْكِهَا , كَمَا طَابَتْ أَنْفُسُ الَّذِينَ افْتَتَحُوا السَّوَادَ لِعُمَرَ بِمَا ذَكَرْنَا , فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ: أَنَّا نَعْلَمُ أَنَّ أَرْضَ السَّوَادِ لَوْ كَانَتْ كَمَا ذَكَرَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , لَكَانَ قَدْ وَجَبَ فِيهَا خُمُسُ اللهِ بَيْنَ أَهْلِهِ الَّذِينَ جَعَلَهُ اللهُ لَهُمْ , وَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّهُ لَا يَجُوزُ لِلْإِمَامِ أَنْ يَجْعَلَ ذَلِكَ الْخُمُسَ وَلَا شَيْئًا مِنْهُ لِأَهْلِ الذِّمَّةِ , وَقَدْ كَانَ أَهْلُ السَّوَادِ الَّذِينَ أَقَرَّهُمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَارُوا أَهْلَ الذِّمَّةِ , وَقَدْ كَانَ السَّوَادُ بِأَسْرِهِ فِي أَيْدِيهِمْ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَا فَعَلَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ , كَانَ مِنْ جِهَةٍ غَيْرِ الْجِهَةِ الَّتِي ذَكَرُوا , وَهُوَ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ وَجَبَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي ذَلِكَ خُمُسٌ , وَكَذَلِكَ مَا فَعَلَ فِي رِقَابِهِمْ , فَمَنَّ عَلَيْهِمْ بِأَنْ أَقَرَّهُمْ فِي أَرَضِيهِمْ , وَنَفَى الرِّقَّ مِنْهُمْ , وَأَوْجَبَ الْخَرَاجَ عَلَيْهِمْ فِي رِقَابِهِمْ وَأَرَضِيهِمْ , فَمَلَكُوا بِذَلِكَ أَرَضِيهِمْ , وَانْتَفَى الرِّقُّ عَنْ رِقَابِهِمْ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ لِلْإِمَامِ أَنْ يَفْعَلَ هَذَا بِمَا افْتُتِحَ عَنْوَةً , فَنَفَى عَنْ أَهْلِهَا رَقَّ الْمُسْلِمِينَ , وَعَنْ أَرَضِيهِمْ مِلْكَ الْمُسْلِمِينَ , وَيُوجِبُ ذَلِكَ لِأَهْلِهَا , وَيَضَعُ عَلَيْهِمْ مَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ وَضْعُهُ , مِنَ الْخَرَاجِ , كَمَا فَعَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:249] وَاحْتَجَّ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ} [الحشر: 7] , ثُمَّ قَالَ {لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ} [الحشر: 8] فَأَدْخَلَهُمْ مَعَهُمْ , ثُمَّ قَالَ {وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ} يُرِيدُ بِذَلِكَ الْأَنْصَارَ , فَأَدْخَلَهُمْ مَعَهُمْ , ثُمَّ قَالَ: {وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ} فَأَدْخَلَ فِيهَا جَمِيعَ مَنْ يَجِيءُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ , فَلِلْإِمَامِ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ , وَيَضَعَهُ حَيْثُ رَأَى وَضْعَهُ , فِيمَا سَمَّى اللهُ فِي هَذِهِ السُّورَةِ , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَسُفْيَانُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ , فَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ مُحْتَجٌّ , بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৪৯
empty
৫২৪৯।
5249 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৫০
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৫০। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ...... কায়স ইব্‌ন আবী হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন জারীর ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ) অপরাপর কিছু সংখ্যক মুসলমানদের সঙ্গে উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হলেন তখন উমার (রাযিঃ) জারীর (রাযিঃ)-কে বললেন, হে জারীর! আল্লাহর কসম, যদি আমি এরূপ বণ্টনকারী না হতাম, যাকে জবাবদিহি করতে হবে, তাহলে তোমরা সেটার উপরই বহাল থাকতে, যা আমি তোমাদের জন্য বণ্টন করেছি। কিন্তু আমি মনে করছি যে, তা মুসলমানদেরকে ফিরিয়ে দিব। অনন্তর তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং ইরাকের এক-চতুর্থাংশ বাজীলা বাসীদের জন্য ছিলো। তিনি তাদের থেকে তা নিয়ে তাদেরকে আশি দীনার প্রদান করেছেন।
5250 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ , عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ , قَالَ: لَمَّا وَفَدَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ , فِي أُنَاسٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ , قَالَ عُمَرُ لِجَرِيرِ «يَا جَرِيرُ , وَاللهُ لَوْلَا أَنِّي قَاسِمٌ مَسْئُولٌ , لَكُنْتُمْ عَلَى مَا قَسَمْتُ لَكُمْ وَلَكِنِّي أَرَى أَنْ أَرُدَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ , فَرَدَّهُ , وَكَانَ رُبْعُ السَّوَادِ لِبَجِيلَةَ , فَأَخَذَهُ مِنْهُمْ وَأَعْطَاهُمْ ثَمَانِينَ دِينَارًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৫১
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৫১। ফাহাদ (রাহঃ)...... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার (রাযিঃ) বাজীলাবাসীদেরকে ইরাকের এক-চতুর্থাংশ প্রদান করেছিলেন। অতঃপর আমরা তাঁর থেকে তা তিন বছরের জন্য রেখেছিলাম। পরবর্তীতে জারীর (রাযিঃ) উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হলেন, আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ) ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। উমার (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি যদি এরূপ বণ্টনকারী না হতাম যাকে জবাবদিহি করতে হবে, তাহলে আমি তোমাদেরকে সেই জিনিসের উপর ছেড়ে দিতাম, যা তোমাদেরকে প্রদান করেছি। কিন্তু আমার নিকট ভাল মনে হচ্ছে, তা মুসলমানদেরকে ফিরিয়ে দেয়া। তারপর তিনি তাই করলেন। রাবী বলেন, উমার (রাযিঃ) আমাকে আশি দীনার (প্রদান) করেছিলেন।

এঁরা বলেন, এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, উমার (রাযিঃ) ইরাকের ভূমিকে লোকদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছিলেন। অতঃপর তাদেরকে বখশিশ দিয়ে তা মুসলমানদের দিকে ফিরিয়ে দেয়ার উপর সম্মত করেছিলেন।

ঐ প্রমাণ উপস্থাপনকারীকে উত্তরে বলা হবে যে, বাহ্যিকভাবে এই হাদীস ঐ বিষয়ের পক্ষে প্রমাণ বহন করেনা, যা তোমরা উল্লেখ করেছ। কিন্তু হতে পারে উমার (রাযিঃ)-এর এই কার্যক্রম ইরাকের কোন একদলের ব্যাপারে করেছিলেন এবং তা বাজীলা গোত্রের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন। অতঃপর তাদের থেকে মুসলমানদের জন্য নিয়ে তাদেরকে মুসলমানদের সম্পদ থেকে বদলা হিসাবে প্রদান করেছিলেন। এরা শুধু একদল ছিলো যাদেরকে উমার (রাযিঃ) বদলা হিসাবে প্রদান করে মুসলমানদের জন্য এই আমল বা কার্যক্রম চালু করেছিলেন। আর ইরাকের অবশিষ্ট অংশের হুকুম সেটাই, যা আমরা ইতোপূর্বে এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি। যদি এই বিষয়টি না হত তাহলে ইরাকের ভূমি উশরী ভূমি হত, খারাজী ভূমি হত না।
যদি তারা এ বিষয়ে (নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা) এই প্রমাণ পেশ করে :
5251 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ , قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ , عَنْ قَيْسٍ , عَنْ جَرِيرٍ , قَالَ: كَانَ عُمَرُ قَدْ أَعْطَى بَجِيلَةَ رُبْعَ السَّوَادِ , فَأَخَذْنَاهُ ثَلَاثَ سِنِينَ , فَوَفَدَ بَعْدَ ذَلِكَ جَرِيرٌ إِلَى عُمَرَ , وَمَعَهُ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ , فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " وَاللهُ , لَوْلَا أَنِّي قَاسِمٌ مَسْئُولٌ , لَتَرَكْتُكُمْ عَلَى مَا كُنْتُ أَعْطَيْتُكُمْ فَأَرَى أَنْ نَرُدَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ , فَفَعَلَ قَالَ: فَأَجَازَنِي عُمَرُ بِثَمَانِينَ دِينَارًا , قَالُوا: فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ عُمَرَ قَدْ كَانَ قَسَمَ السَّوَادَ بَيْنَ النَّاسِ , ثُمَّ أَرْضَاهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ بِمَا أَعْطَاهُمْ , عَلَى أَنْ يَعُودَ لِلْمُسْلِمِينَ , قِيلَ لَهُ: مَا يَدُلُّ هَذَا الْحَدِيثُ ظَاهِرُهُ , عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ مَا فَعَلَ , فِي طَائِفَةٍ مِنَ السَّوَادِ , فَجَعَلَهَا لِبَجِيلَةَ , ثُمَّ أَخَذَ ذَلِكَ مِنْهُمْ لِلْمُسْلِمِينَ , وَعَوَّضَهُمْ مِنْهُمْ , عِوَضًا مِنْ مَالِ الْمُسْلِمِينَ , فَكَانَتْ تِلْكَ الطَّائِفَةُ الَّتِي جَرَى فِيهَا هَذَا الْفِعْلُ لِلْمُسْلِمِينَ , بِمَا عَوَّضَ عُمَرُ أَهْلَهَا مَا عَوَّضَهُمْ مِنْهَا , مِنْ ذَلِكَ , وَمَا بَقِيَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنَ السَّوَادِ فَعَلَى الْحُكْمِ الَّذِي قَدْ بَيَّنَّا , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَكَانَتْ أَرْضُ السَّوَادِ أَرْضَ عُشْرٍ , وَلَمْ يَكُنْ أَرْضَ خَرَاجٍ , فَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৫২
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৫২। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... কায়স ইব্‌ন আবী হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাজীলা গোত্রের এক মহিলা উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে এসে বলল, আমার কওম ইরাকের ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে যে সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে, আমি তাতে রাজী নই এবং আমি ততক্ষণ পর্যন্ত রাজী হবনা যতক্ষণ না আমার হাতের তালুকে সোনা দ্বারা অথবা আমার উটকে শস্য দ্বারা ভরে দিবে। অথবা সে এ ধরনের কথা বলেছে। অনন্তর উমার (রাযিঃ) তার সঙ্গে তাই করলেন।

তাদেরকে (উত্তর) বলা হবে যে, এটাও আমাদের নিকট -আল্লাহ্ সর্বাধিক জ্ঞাত- শুধু ঐ অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা উমার (রাযিঃ) বাজীলা গোত্রকে প্রদান করেছিলেন। এবং তারা এর মালিক হয়ে গিয়েছিলো। অতঃপর তিনি তাদের সম্মতিতে তা ফেরৎ নেয়ার ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু ঐ মহিলার হক তো সন্তুষ্টচিত্ততা ছাড়া লুপ্ত হতো না। তাই উমার (রাযিঃ) তার চাহিদা পূর্ণ করে দিলেন। ফলে সে সন্তুষ্ট চিত্তে তার হস্তগত জমি ছেড়ে দিয়েছিলো যেমন তার কওমের অন্যান্যরা করেছিলো। আর আমাদের মতে হাদীসের নীতিতে এটাই হলো এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ এবং যৌক্তিকভাবে অনুরূপ যেমনটি আমরা বর্ণনা করেছি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম সুফইয়ান (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।

উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে মিশরের ভূমি সম্পর্কেও অনুরূপ বর্ণিত আছে, যা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতে ব্যক্ত হয়েছে :
5252 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ , عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ , قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَجِيلَةَ إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَتْ: إِنَّ قَوْمِي رَضُوا [ص:250] مِنْكَ مِنَ السَّوَادِ , بِمَا لَمْ أَرْضَ , وَلَسْتُ أَرْضَى , حَتَّى تَمْلَأَ كَفِّي ذَهَبًا , أَوْ جَمَلِي طَعَامًا , أَوْ كَلَامًا هَذَا مَعْنَاهُ , فَفَعَلَ ذَلِكَ بِهَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قِيلَ لَهُمْ: ذَلِكَ أَيْضًا , عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ , بِالْجُزْءِ الَّذِي كَانَ سَلَّمَهُ عُمَرُ لَبَجِيلَةَ , فَمَلَكُوهُ , ثُمَّ أَرَادَ انْتِزَاعَهُ مِنْهُمْ , بِطِيبِ أَنْفُسِهِمْ فَلَمْ يَخْرُجْ حَقُّ تِلْكَ الْمَرْأَةِ مِنْهَا إِلَّا بِمَا طَابَتْ بِهِ نَفْسُهَا , فَأَعْطَاهَا عُمَرُ مَا طَلَبَتْ , حَتَّى رَضِيَتْ , فَسَلَّمَتْ مَا كَانَ لَهَا مِنْ ذَلِكَ , كَمَا سَلَّمَ سَائِرُ قَوْمِهَا حُقُوقَهُمْ , فَهَذَا , عِنْدَنَا , وَجْهُ هَذَا الْبَابِ كُلِّهِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَمِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , عَلَى مَا بَيَّنَّا , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَسُفْيَانَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي أَرْضِ مِصْرَ أَيْضًا , مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৫৩
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৫৩। আব্দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ ইবন আবী মারইয়াম (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আ'স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমর ইবনুল 'আস্ (রাযিঃ) মিশর-ভূখণ্ড জয় করলেন তখন তিনি নিজের সঙ্গে থাকা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সমস্ত সাহাবাদের একত্রিত করে তাদের থেকে পরামর্শ নিলেন যে, মিশরের ঐ ভূমিকে ওই সমস্ত লোকদের মাঝে বণ্টন করা হবে, যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে, যেমন তিনি তাদের মাঝে গনীমতের সম্পদ বণ্টন করেছেন এবং যেভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারের ভূমি ঐ সমস্ত লোকদের মাঝে বণ্টন করেছেন, যারা সেখানে উপস্থিত ছিল। অথবা সেটাকে সেভাবেই ছেড়ে দেয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমীরুল মু'মিনীন-এর অভিমত জ্ঞাত হবে। তাঁদের কিছু সংখ্যক যাঁদের মধ্যে যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ) ও ছিলেন, বললেন, আল্লাহর কসম! এটা আপনার এবং (আমীরুল মু'মিনীন) উমার (রাযিঃ)-এর ইখতিয়ারে নেই। এটা সেই ভূমি, যা আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের হাতে জয় করেছেন। আমরা এর উপর আমাদের অশ্ববাহিনী ও লোকদেরকে দৌড়ায়েছি এবং এর মাঝে যা কিছু রয়েছে তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। সুতরাং আপনার জন্য সেটা বণ্টন করা সম্পদ বণ্টন করা অপেক্ষা অধিক জরুরী। আবার তাদের কেউ কেউ বললেন যে, আমরা এ বিষয়ে আমীরুল মু'মিনীনের অভিমত না জেনে তা কিছুতেই বণ্টন করবো না। তারপর তারা একমত হলেন যে, তাঁরা সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে উমার (রাযিঃ) কে লিখবেন এবং তাঁকে তাঁদের অভিমত সম্পর্কে অবহিত করবেন। উমার (রাযিঃ) তাঁদেরকে লিখলেন :

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম (দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে)
হামদ ও সালাতের পর আমার নিকট তোমাদের পক্ষ থেকে এই মর্মে সংবাদ পৌঁছেছে যে, তোমরা ঐকমত্য পোষণ করেছ যে, তোমরা মুসলমানদের উপহারসমূহ, শত্রু ও কাফিরদের মুকাবিলায় লড়াইকারীদের মেহনত ও পরিশ্রমকে ছিনতাই করবে। আমি যদি তা তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দেই তাহলে তোমাদের পরবর্তী মুসলমানদের জন্য এরূপ কোন বস্তু অবশিষ্ট থাকবে না, যা দ্বারা তারা তোমাদের শত্রুর বিরুদ্ধে শক্তি অর্জনে সক্ষম হবে। যদি তোমাদেরকে আল্লাহর রাহে উৎসাহিত করা, মুসলমানদের থেকে তাদের বোঝা বিদূরিত করা এবং তাদের দুর্বল ও রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের উপর জারী করা না হত, তাহলে আমি তা তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দিতাম। সুতরাং তা অবশিষ্ট মুসলমানদের জন্য গনীমত হিসাবে রেখে দাও, যতক্ষণ না মুসলমানদের আখেরী বা সর্বশেষ দল জিহাদ করে খতম হয়ে যায়।

ওয়াসসালামু আলাইকুম

আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : এই হাদীসে বিজিত ভূমি সম্পর্কে ঐ বিধানই বর্ণিত হয়েছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। অধিকন্তু এর বিধান অবশিষ্ট সেই সমস্ত সম্পদ থেকে পৃথক যা শত্রু থেকে গনীমত হিসাবে লাভ হয়েছে। যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, সাহাবা কিরাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি খায়বারকে ঐ সমস্ত লোকদের মাঝে বণ্টন করে দিলেন, যারা সেখানে হাযির ছিলো। সুতরাং খায়বারের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আমল ঐ সমস্ত লোকদের প্রমাণকে অস্বীকার করছে যারা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম সুফইয়ান (সওরী) এবং তাদের অনুসারীদের মতাদর্শকে অনুসরণ করছে যে, বিজিত ভূমি মুসলমানদের প্রয়োজনে ছেড়ে দেয়া হবে।

তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, এই হাদীসটি আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খায়বার সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ বিষয় তুলে ধরেনি। কিন্তু অন্য হাদীসে বিশদ বিবরণ রয়েছে :
5253 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ السَّكُونِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ , قَالَ " لَمَّا فَتَحَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ أَرْضَ مِصْرَ , جَمَعَ مَنْ كَانَ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتَشَارَهُمْ فِي قِسْمَةِ أَرْضِهَا بَيْنَ مَنْ شَهِدَهَا , كَمَا قَسَمَ بَيْنَهُمْ غَنَائِمَهُمْ , وَكَمَا قَسَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ بَيْنَ مَنْ شَهِدَهَا أَوْ يُوقِفُهَا , حَتَّى رَاجَعَ فِي ذَلِكَ رَأْيَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ , فَقَالَ نَفَرٌ مِنْهُمْ , فِيهِمُ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ , وَاللهِ مَا ذَاكَ إِلَيْكَ , وَلَا إِلَى عُمَرَ , إِنَّمَا هِيَ أَرْضٌ فَتَحَ اللهُ عَلَيْنَا , وَأَوْجَفْنَا عَلَيْهَا خَيْلَنَا وَرِجَالَنَا , وَحَوَيْنَا مَا فِيهَا , فَمَا قِسْمَتُهَا بِأَحَقَّ مِنْ قِسْمَةِ أَمْوَالِهَا , وَقَالَ نَفَرٌ مِنْهُمْ: لَا نَقْسِمُهَا حَتَّى نُرَاجِعَ رَأْيَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فِيهَا , فَاتَّفَقَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ يَكْتُبُوا إِلَى عُمَرَ فِي ذَلِكَ , وَيُخْبِرُوهُ فِي كِتَابِهِمْ إِلَيْهِ , بِمَقَالَتِهِمْ , فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ عُمَرُ " بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ: أَمَّا بَعْدُ , فَقَدْ وَصَلَ إِلَيَّ مَا كَانَ مِنْ إِجْمَاعِكُمْ عَلَى أَنْ تَغْتَصِبُوا عَطَايَا الْمُسْلِمِينَ , وَمُؤَنَ مَنْ يَغْزُو أَهْلَ الْعَدُوِّ , وَأَهْلَ الْكُفْرِ , وَإِنِّي إِنْ قَسَمْتُهَا بَيْنَكُمْ , لَمْ يَكُنْ لِمَنْ بَعْدَكُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مَادَّةً يُقَوُّونَ بِهِ عَلَى عَدُوِّكُمْ , وَلَوْلَا مَا أَحْمِلُ عَلَيْهِ فِي سَبِيلِ اللهِ , وَأَدْفَعُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مِنْ مُؤَنِهِمْ , وَأَجْرِي عَلَى ضُعَفَائِهِمْ وَأَهْلِ الدِّيوَانِ مِنْهُمْ , لَقَسَمْتُهَا بَيْنَكُمْ , فَأَوْقِفُوهَا فَيْئًا , عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى يَنْقَرِضَ آخِرُ عِصَابَةٍ تَغْزُو مِنَ الْمُؤْمِنِينَ , وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَا قَدْ دَلَّ فِي حُكْمِ الْأَرْضِينَ الْمُفْتَتَحَةِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَأَنَّ حُكْمَهُمَا , خِلَافُ حُكْمِ مَا سِوَاهَا مِنْ سَائِرِ الْأَمْوَالِ الْمَغْنُومَةِ مِنَ الْعَدُوِّ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ ذَكَرَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ قَسَمَ خَيْبَرَ بَيْنَ مَنْ كَانَ شَهِدَهَا» , فَذَلِكَ يَنْفِي أَنْ يَكُونَ فِيمَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَيْبَرَ حُجَّةً لِمَنْ ذَهَبَ إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَسُفْيَانُ , وَمَنْ تَابَعَهُمَا , فِي إِيقَافِ الْأَرْضِينَ الْمُفْتَتَحَةِ لِنَوَائِبِ الْمُسْلِمِينَ , قِيلَ لَهُ: هَذَا حَدِيثٌ لَمْ يُفَسِّرْ لَنَا فِيهِ كُلَّ الَّذِي كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَيْبَرَ , [ص:251] وَقَدْ جَاءَ غَيْرُهُ فَبَيَّنَ لَنَا مَا كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৫৪
১০. বিজিত ভূমিতে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করবেন
৫২৫৪। রাবী' ইব্‌ন সুলায়মান আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... সাহাল ইব্‌ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারকে সমান দু'ভাগে ভাগ করেছেন। অর্ধেক নিজের প্রয়োজনে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক মুসলমানদের মাঝে আঠার ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন।

এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খায়বার সম্পর্কীয় সিদ্ধান্তের বর্ণনা ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি এর অর্ধেক নিজের প্রয়োজন পূরণের জন্য রেখেছেন এবং বাকি অর্ধেক তাতে অংশগ্রহণকারী (মুজাহিদ) দের জন্য রেখেছেন। এর যে হিস্যা ওয়াকফ করেছেন (নিজের জন্য রেখেছেন) সেটাই তিনি ইয়াহুদীদেরকে চাষাবাদের জন্য প্রদান করেছেন। যেমন ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের অধীনে আমরা উল্লেখ করেছি। এবং এটা সেই হিস্যা, যা উমার (রাযিঃ) তাঁর আমলে ইয়াহুদীদেরকে খায়াবার থেকে উৎখাতকালে মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করেছিলেন। এ আলোচনা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম সুফইয়ান (সওরী র)-এর এই মাযহাবকে সুদৃঢ় করে যে, যদি ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রধান ইচ্ছা পোষণ করেন তবে ওই সমস্ত (বিজিত) ভূমিগুলোকে ওয়াকফ করে দিবে, বণ্টন করবেনা।
5254 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ , قَالَ: حَدَّثَنِي سُفْيَانُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ , قَالَ " قَسَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ , نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ , وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ , فَقَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ بَيَانُ مَا كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَيْبَرَ , وَأَنَّهُ أَوْقَفَ نِصْفَهَا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ , وَقَسَمَ نِصْفَهَا بَيْنَ مَنْ شَهِدَهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ , فَالَّذِي كَانَ أَوْقَفَهُ مِنْهَا , هُوَ الَّذِي كَانَ دَفَعَهُ إِلَى الْيَهُودِ مُزَارَعَةً , عَلَى مَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمُ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا , وَهُوَ الَّذِي تَوَلَّى عُمَرُ قِسْمَتَهُ فِي خِلَافَتِهِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ لَمَّا أَجْلَى الْيَهُودَ عَنْ خَيْبَرَ , وَفِيمَا بَيَّنَّا مِنْ ذَلِكَ تَقْوِيَةً لِمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَسُفْيَانُ , فِي إِيقَافِ الْأَرْضِينَ , وَتَرْكِ قِسْمَتِهَا إِذَا رَأَى الْإِمَامُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান