শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫২৩৯
৯. যুদ্ধ সমাপ্তির পরে বাহিনী প্রত্যাবর্তনের পূর্বে দারুল হারবে সহযোগিতার জন্য আগতরা গনীমতের হিস্যা পাবে কি না
৫২৩৯। ইউনুস (রাহঃ) ..... ইব্ন শিহাব যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আম্বাসা ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে শুনেছেন, তিনি সাঈদ ইব্ন আ'স (রাযিঃ) কে বর্ণনা করছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন, নবী (ﷺ) আবান ইব্ন সাঈদ (রাযিঃ)-এর নেতৃত্বে একটি বাহিনী মদীনা থেকে নজদ অভিমুখে প্রেরণ করলেন। অনন্তর আমরা খায়বারের উপর বিজয় লাভ করার পর আবান (রাযিঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণ নবী(ﷺ)-এর দরবারে সেই স্থানে উপস্থিত হলেন। তাঁদের ঘোড়ার লাগাম খেজুরের ছাল দ্বারা তৈরী ছিলো। আবান (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমাদের জন্যও বণ্টন করুন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! তাঁদের জন্য কোন হিস্যা দিবেন না। আবান (রাযিঃ) বললেন, আমি নজ্দ প্রতিনিধিদের উপহার নিয়ে এসেছি। অনন্তর নবী (ﷺ) বললেন, হে আবান! বস এবং তিনি তাদেরকে কোন হিস্যা দিলেন না।
পর্যালোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, গনীমতের সম্পদ থেকে হিস্যা শুধু তারাই পাবে, যারা সংশ্লিষ্ট ঘটনায় উপস্থিত থাকবে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, গনীমতের মাল সেই সমস্ত লোকদের জন্য বণ্টন হবে, যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে এবং যারা অনুপস্থিত কিন্তু যুদ্ধ সামগ্রীতে রয়েছে, তাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যে বের হওয়ার সংকল্প করেছে কিন্তু ইমামের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নাই এবং যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে সে ইমামের দারুল হারব থেকে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সেখানে তাঁর সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। তাকে হিস্যা দেয়া হবে। তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
পর্যালোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, গনীমতের সম্পদ থেকে হিস্যা শুধু তারাই পাবে, যারা সংশ্লিষ্ট ঘটনায় উপস্থিত থাকবে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, গনীমতের মাল সেই সমস্ত লোকদের জন্য বণ্টন হবে, যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে এবং যারা অনুপস্থিত কিন্তু যুদ্ধ সামগ্রীতে রয়েছে, তাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যে বের হওয়ার সংকল্প করেছে কিন্তু ইমামের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নাই এবং যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে সে ইমামের দারুল হারব থেকে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সেখানে তাঁর সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়েছে। তাকে হিস্যা দেয়া হবে। তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
بَابُ الْمَدَدِ يَقْدَمُونَ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ الْقِتَالِ فِي دَارِ الْحَرْبِ بَعْدَمَا ارْتَفَعَ الْقِتَالُ قَبْلَ قُفُولِ الْعَسْكَرِ , هَلْ يُسْهَمُ لَهُمْ أَمْ لَا؟
5239 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ , أَنَّ عَنْبَسَةَ بْنَ سَعِيدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَانَ بْنَ سَعِيدٍ عَلَى سَرِيَّةٍ مِنَ الْمَدِينَةِ قِبَلَ نَجْدٍ فَقَدِمَ أَبَانُ وَأَصْحَابُهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ , بَعْدَمَا فَتَحْنَا , وَأَنَّ حُزُمَ خَيْلِهِمْ لَلِيفٌ فَقَالَ أَبَانُ: اقْسِمْ لَنَا يَا رَسُولَ اللهِ , فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ , فَقُلْتُ: لَا تَقْسِمْ لَهُمْ شَيْئًا يَا نَبِيَّ اللهِ قَالَ أَبَانُ: أَتَيْتُ بِهَدَايَا وَفْدِ نَجْدٍ , فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اجْلِسْ يَا أَبَانُ فَلَمْ يَقْسِمْ لَهُمْ شَيْئًا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّهُ لَا يُسْهَمُ مِنَ الْغَنِيمَةِ إِلَّا لِمَنْ حَضَرَ الْوَقْعَةَ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: يُقْسَمُ لِكُلِّ مَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ , وَلِمَنْ كَانَ غَائِبًا عَنْهَا فِي شَيْءٍ مِنْ أَسْبَابِهَا فَمِنْ ذَلِكَ مَنْ خَرَجَ يُرِيدُهَا , فَلَمْ يَلْحَقْ بِالْإِمَامِ حَتَّى ذَهَبَ الْقِتَالُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَحِقَ بِهِ فِي دَارِ الْحَرْبِ , قَبْلَ خُرُوجِهِ مِنْهَا , قُسِمَ لَهُ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৪১
৯. যুদ্ধ সমাপ্তির পরে বাহিনী প্রত্যাবর্তনের পূর্বে দারুল হারবে সহযোগিতার জন্য আগতরা গনীমতের হিস্যা পাবে কি না
৫২৪০-৪১। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... হাবীব ইব্ন আবী মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইব্ন উমার (রাযিঃ)-এর পাশে বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, উসমান (রাযিঃ) কি গাযওয়া বদরে উপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন, না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বদরের দিন বলেছেন, উসমান (রাযিঃ) আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রয়োজনে চলে গিয়েছেন। অনন্তর তিনি তাঁর জন্য হিস্যা নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি ব্যতীত অন্য কোন অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য নির্ধারণ করেন নাই।
আবু উমাইয়া (রাহঃ) .....কুলাইব ইব্ন ওয়াঈল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে এ পর্যন্ত অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছনা যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উসমান (রাযিঃ)-এর জন্য বদরের গনীমত থেকে হিস্যা নির্ধারণ করেছেন। অথচ তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কেননা তিনি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলে প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে উপস্থিত গণ্য করেছেন। অনুরূপভাবে প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি যে ইমামের পক্ষ হতে মুসলমানদের কোন কাজে নিযুক্ত থাকার কারণে যুদ্ধ থেকে অনুপস্থিত থাকে, যেমন দারুল হারবের অন্য কোন দিকে অন্য লোকদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রেরণ করা। অতঃপর সেই ব্যক্তি যাওয়ার পরে ইমামের গনীমতের মাল অর্জিত হওয়া। অথবা সেই সমস্ত লোকদের থেকে যারা দারুল হারবে তাঁর সঙ্গে রয়েছে কাউকে দারুল ইসলামে প্রেরণ করা, যেন অস্ত্র-শস্ত্র ও সৈন্যবাহিনী দ্বারা সাহায্য নিতে পারে। অতঃপর সেই লোক ইমামের গনীমতের মাল অর্জন করা পর্যন্ত ফিরে না আসা। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি তাতে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং সে উপস্থিত লোকদের ন্যায় হবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি যুদ্ধে যাওয়ার সংকল্প করে কিন্তু তাকে ফিরিয়ে মুসলমানদের কোন কাজে ব্যস্ত করে দেয়া হয়, তবে সেও ওই যুদ্ধে উপস্থিত লোকদের ন্যায় গণ্য হবে। আমাদের মতে আল্লাহ্ সর্বাধিক জ্ঞাত এ কারণেই নবী (ﷺ) উসমান ইবন আফ্ফান (রাযিঃ) কে বদরের গনীমত থেকে ঐ কারণে হিস্যা দিয়েছেন। যদি এটা না হত তাহলে তাঁকে হিস্যা দিতেন না, যেমন অন্য অনুপস্থিতদেরকে দেন নাই। কেননা যদি বদরের গনীমতের মাল শুধু উপস্থিতদের জন্য ওয়াজিব হত, অনুপস্থিত (সাহাবাদের) জন্য না হত তাহলে ওই অবস্থায় নবী (ﷺ) তাঁর ব্যতীত অন্যদের জন্য হিস্যা নির্ধারণ করতেন না। কিন্তু এটা তাদের জন্যও ওয়াজিব হয়েছে, যারা এই গাযওয়ায় হাজির ছিল এবং ওই সমস্ত লোকদের জন্যও (ওয়াজিব হয়েছে) যারা নিজেদেরকে এর জন্য পেশ করেছে, কিন্তু ইমাম তাকে ফিরিয়ে মুসলমানদের অন্য কোন কাজে ব্যস্ত করে দিয়েছেন। এখন সেও উপস্থিতদের ন্যায় হিস্যার অংশীদার হবে। পক্ষান্তরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস আমাদের নিকট -আল্লাহ্ সর্বাধিকজ্ঞাত- নবী (ﷺ) খায়বার অভিমুখে রওয়ানা হওয়ার প্রস্তুতির পূর্বে আবান (রাযিঃ) কে নজ্দ অভিমুখে প্রেরণ করেন। অতঃপর তিনি খায়বার অভিমুখে রওয়ানা হওয়ার কর্মসূচী গ্রহণ করলেন। সুতরাং আবান (রাযিঃ) খায়বারে অনুপস্থিত থাকাটা এজন্য ছিলোনা যে, তিনি এ দিকে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অতঃপর নবী (ﷺ) তাঁকে অন্য কোন দিকে ব্যস্ত করে দিয়েছেন যে, এখন তাকে উপস্থিতদের মাঝে গণ্য করা হবে।
অতএব এই দুই হাদীস হলো মূলনীতি। সুতরাং যে ব্যক্তি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা জিহাদের জন্য ইমামের সঙ্গে যেতে চায় কিন্তু ইমাম তাকে মুসলমানদের অন্য কোন কাজের কারণে ফিরিয়ে দেয় এবং সে উক্ত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, অতঃপর ইমাম গনীমতের মাল অর্জন করে তাহলে সে ওই ব্যক্তির ন্যায় হবে, যে কিনা ইমামের সঙ্গে উপস্থিত থেকেছে এবং সে-ও যুদ্ধে উপস্থিতদের ন্যায় হিস্যা লাভ করবে। পক্ষান্তরে ঐ ব্যক্তি যে ব্যক্তিগত কাজে অথবা মুসলমানদের কাজে ব্যস্ত থেকেছে, কিন্তু ঐ যুদ্ধের পূর্বে তাতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। অতঃপর ইমাম শত্রুর বিরুদ্ধে কর্মসূচী গ্রহণ করে মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়েছে। এবং গনীমতের মাল লাভ করেছে। তাহলে গনীমতের সম্পদে তার কোন হিস্যা হবেনা। আর এ ব্যক্তি যুদ্ধে শরীক এবং ঐ সমস্ত লোকদের মাঝে হবে যাদেরকে হুকুমগতভাবে তাতে শরীক সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রথমোক্ত মতপোষণকারীগণ তাদের মাযহাবের অনুকূলে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন :
আবু উমাইয়া (রাহঃ) .....কুলাইব ইব্ন ওয়াঈল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে এ পর্যন্ত অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছনা যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উসমান (রাযিঃ)-এর জন্য বদরের গনীমত থেকে হিস্যা নির্ধারণ করেছেন। অথচ তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কেননা তিনি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলে প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে উপস্থিত গণ্য করেছেন। অনুরূপভাবে প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি যে ইমামের পক্ষ হতে মুসলমানদের কোন কাজে নিযুক্ত থাকার কারণে যুদ্ধ থেকে অনুপস্থিত থাকে, যেমন দারুল হারবের অন্য কোন দিকে অন্য লোকদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রেরণ করা। অতঃপর সেই ব্যক্তি যাওয়ার পরে ইমামের গনীমতের মাল অর্জিত হওয়া। অথবা সেই সমস্ত লোকদের থেকে যারা দারুল হারবে তাঁর সঙ্গে রয়েছে কাউকে দারুল ইসলামে প্রেরণ করা, যেন অস্ত্র-শস্ত্র ও সৈন্যবাহিনী দ্বারা সাহায্য নিতে পারে। অতঃপর সেই লোক ইমামের গনীমতের মাল অর্জন করা পর্যন্ত ফিরে না আসা। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি তাতে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং সে উপস্থিত লোকদের ন্যায় হবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি যুদ্ধে যাওয়ার সংকল্প করে কিন্তু তাকে ফিরিয়ে মুসলমানদের কোন কাজে ব্যস্ত করে দেয়া হয়, তবে সেও ওই যুদ্ধে উপস্থিত লোকদের ন্যায় গণ্য হবে। আমাদের মতে আল্লাহ্ সর্বাধিক জ্ঞাত এ কারণেই নবী (ﷺ) উসমান ইবন আফ্ফান (রাযিঃ) কে বদরের গনীমত থেকে ঐ কারণে হিস্যা দিয়েছেন। যদি এটা না হত তাহলে তাঁকে হিস্যা দিতেন না, যেমন অন্য অনুপস্থিতদেরকে দেন নাই। কেননা যদি বদরের গনীমতের মাল শুধু উপস্থিতদের জন্য ওয়াজিব হত, অনুপস্থিত (সাহাবাদের) জন্য না হত তাহলে ওই অবস্থায় নবী (ﷺ) তাঁর ব্যতীত অন্যদের জন্য হিস্যা নির্ধারণ করতেন না। কিন্তু এটা তাদের জন্যও ওয়াজিব হয়েছে, যারা এই গাযওয়ায় হাজির ছিল এবং ওই সমস্ত লোকদের জন্যও (ওয়াজিব হয়েছে) যারা নিজেদেরকে এর জন্য পেশ করেছে, কিন্তু ইমাম তাকে ফিরিয়ে মুসলমানদের অন্য কোন কাজে ব্যস্ত করে দিয়েছেন। এখন সেও উপস্থিতদের ন্যায় হিস্যার অংশীদার হবে। পক্ষান্তরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস আমাদের নিকট -আল্লাহ্ সর্বাধিকজ্ঞাত- নবী (ﷺ) খায়বার অভিমুখে রওয়ানা হওয়ার প্রস্তুতির পূর্বে আবান (রাযিঃ) কে নজ্দ অভিমুখে প্রেরণ করেন। অতঃপর তিনি খায়বার অভিমুখে রওয়ানা হওয়ার কর্মসূচী গ্রহণ করলেন। সুতরাং আবান (রাযিঃ) খায়বারে অনুপস্থিত থাকাটা এজন্য ছিলোনা যে, তিনি এ দিকে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অতঃপর নবী (ﷺ) তাঁকে অন্য কোন দিকে ব্যস্ত করে দিয়েছেন যে, এখন তাকে উপস্থিতদের মাঝে গণ্য করা হবে।
অতএব এই দুই হাদীস হলো মূলনীতি। সুতরাং যে ব্যক্তি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা জিহাদের জন্য ইমামের সঙ্গে যেতে চায় কিন্তু ইমাম তাকে মুসলমানদের অন্য কোন কাজের কারণে ফিরিয়ে দেয় এবং সে উক্ত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, অতঃপর ইমাম গনীমতের মাল অর্জন করে তাহলে সে ওই ব্যক্তির ন্যায় হবে, যে কিনা ইমামের সঙ্গে উপস্থিত থেকেছে এবং সে-ও যুদ্ধে উপস্থিতদের ন্যায় হিস্যা লাভ করবে। পক্ষান্তরে ঐ ব্যক্তি যে ব্যক্তিগত কাজে অথবা মুসলমানদের কাজে ব্যস্ত থেকেছে, কিন্তু ঐ যুদ্ধের পূর্বে তাতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। অতঃপর ইমাম শত্রুর বিরুদ্ধে কর্মসূচী গ্রহণ করে মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়েছে। এবং গনীমতের মাল লাভ করেছে। তাহলে গনীমতের সম্পদে তার কোন হিস্যা হবেনা। আর এ ব্যক্তি যুদ্ধে শরীক এবং ঐ সমস্ত লোকদের মাঝে হবে যাদেরকে হুকুমগতভাবে তাতে শরীক সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রথমোক্ত মতপোষণকারীগণ তাদের মাযহাবের অনুকূলে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন :
5240 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا كُلَيْبُ بْنُ وَائِلٍ قَالَ: حَدَّثَنِي هَانِئُ بْنُ قَيْسٍ , عَنْ " حَبِيبِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: كُنْتُ قَاعِدًا إِلَى جَنْبِ ابْنِ عُمَرَ , فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ هَلْ شَهِدَ عُثْمَانُ بَدْرًا؟ فَقَالَ: لَا , وَلَكِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ بَدْرٍ إِنَّ عُثْمَانَ انْطَلَقَ فِي حَاجَةِ اللهِ , وَحَاجَةِ رَسُولِهِ فَضَرَبَ لَهُ بِسَهْمٍ , وَلَمْ يَضْرِبْ لِأَحَدٍ غَابَ غَيْرِهِ
5241 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو الْأَزْدِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ , عَنْ كُلَيْبِ بْنِ وَائِلٍ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ إِلَّا هُنَا أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ ضَرَبَ لِعُثْمَانَ فِي غَنَائِمِ بَدْرٍ , بِسَهْمٍ وَلَمْ يَحْضُرْهَا , لِأَنَّهُ كَانَ غَائِبًا فِي حَاجَةِ اللهِ , وَحَاجَةِ رَسُولِهِ , فَجَعَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَمَنْ حَضَرَهَا فَكَذَلِكَ كُلُّ مَنْ غَابَ عَنْ وَقْعَةِ الْمُسْلِمِينَ بِأَهْلِ الْحَرْبِ بِشُغْلٍ يَشْغَلُهُ بِهِ الْإِمَامُ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , مِثْلُ أَنْ يَبْعَثَهُ إِلَى جَانِبٍ آخَرَ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ , لِقِتَالِ قَوْمٍ آخَرِينَ , فَيُصِيبُ الْإِمَامُ غَنِيمَةً بَعْدَ مُفَارَقَةِ ذَلِكَ الرَّجُلِ إِيَّاهُ , أَوْ يَبْعَثُ بِرَجُلٍ مِمَّنْ مَعَهُ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ , لِيَمُدَّهُ بِالسِّلَاحِ وَالرِّجَالِ , فَلَا يَعُودُ ذَلِكَ الرَّجُلُ إِلَى الْإِمَامِ حَتَّى يَغْنَمَ غَنِيمَةً , فَهُوَ شَرِيكٌ فِيهَا , وَهُوَ كَمَنْ حَضَرَهَا وَكَذَلِكَ مَنْ أَرَادَهُ فَرَدَّهُ الْإِمَامُ عَنْهَا , وَشَغَلَهُ بِشَيْءٍ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , فَهُوَ كَمَنْ حَضَرَهَا , [ص:245] وَعَلَى هَذَا الْوَجْهِ , عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ أَسْهَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فِي غَنَائِمِ بَدْرٍ , وَلَوْلَا ذَلِكَ لَمَا أَسْهَمَ لَهُ , كَمَا لَمْ يُسْهِمْ لِغَيْرِهِ مِمَّنْ غَابَ عَنْهَا , لِأَنَّ غَنَائِمَ بَدْرٍ , وَكَانَتْ وَجَبَتْ لِمَنْ حَضَرَهَا دُونَ مَنْ غَابَ عَنْهَا , إِذًا لَمَا ضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِغَيْرِهِمْ فِيهَا بِسَهْمٍ , وَلَكِنَّهَا وَجَبَتْ لِمَنْ حَضَرَ الْوَقْعَةَ , وَلِكُلِّ مَنْ بَذَلَ نَفْسَهُ لَهَا فَصَرَفَهُ الْإِمَامُ عَنْهَا وَشَغَلَهُ بِغَيْرِهَا مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , كَمَنْ حَضَرَهَا وَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَإِنَّمَا ذَلِكَ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَّهَ أَبَانَ إِلَى نَجْدٍ قَبْلَ أَنْ يَتَهَيَّأَ خُرُوجُهُ إِلَى خَيْبَرَ فَتَوَجَّهَ أَبَانُ فِي ذَلِكَ , ثُمَّ حَدَثَ مِنْ خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ مَا حَدَثَ , فَكَانَ مَا غَابَ فِيهِ أَبَانُ مِنْ ذَلِكَ عَنْ حُضُورِ خَيْبَرَ , وَلَيْسَ هُوَ شُغْلًا شَغَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حُضُورِهَا بَعْدَ إِرَادَتِهِ إِيَّاهُ , فَيَكُونُ كَمَنْ حَضَرَهَا فَهَذَانِ الْحَدِيثَانِ أَصْلَانِ , فَكُلُّ مَنْ أَرَادَ الْخُرُوجَ مَعَ الْإِمَامِ إِلَى قِتَالِ الْعَدُوِّ , فَرَدَّهُ الْإِمَامُ عَلَى ذَلِكَ بِأَمْرٍ آخَرَ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , فَتَشَاغَلَ بِهِ حَتَّى غَنِمَ الْإِمَامُ غَنِيمَةً , فَهُوَ كَمَنْ حَضَرَ مَعَ الْإِمَامِ , يُسْهَمُ لَهُ فِي الْغَنِيمَةِ , كَمَا يُسْهَمُ لِمَنْ حَضَرَهَا وَكُلُّ شَيْءٍ تَشَاغَلَ بِهِ رَجُلٌ مِنْ شُغْلِ نَفْسِهِ , أَوْ شُغْلِ الْمُسْلِمِينَ مِمَّا كَانَ دُخُولُهُ فِيهِ مُتَقَدِّمًا , ثُمَّ حَدَثَ لِلْإِمَامِ قِتَالُ الْعَدُوِّ , فَتَوَجَّهَ لَهُ فَغَنِمَ , فَلَا حَقَّ لِذَلِكَ الرَّجُلِ فِي الْغَنِيمَةِ , وَهِيَ بَيْنَ مَنْ حَضَرَهَا وَبَيْنَ مَنْ حُكْمُهُ حُكْمُ الْحَاضِرِ لَهَا وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ أَيْضًا , بِمَا
5241 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو الْأَزْدِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ , عَنْ كُلَيْبِ بْنِ وَائِلٍ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ إِلَّا هُنَا أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ ضَرَبَ لِعُثْمَانَ فِي غَنَائِمِ بَدْرٍ , بِسَهْمٍ وَلَمْ يَحْضُرْهَا , لِأَنَّهُ كَانَ غَائِبًا فِي حَاجَةِ اللهِ , وَحَاجَةِ رَسُولِهِ , فَجَعَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَمَنْ حَضَرَهَا فَكَذَلِكَ كُلُّ مَنْ غَابَ عَنْ وَقْعَةِ الْمُسْلِمِينَ بِأَهْلِ الْحَرْبِ بِشُغْلٍ يَشْغَلُهُ بِهِ الْإِمَامُ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , مِثْلُ أَنْ يَبْعَثَهُ إِلَى جَانِبٍ آخَرَ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ , لِقِتَالِ قَوْمٍ آخَرِينَ , فَيُصِيبُ الْإِمَامُ غَنِيمَةً بَعْدَ مُفَارَقَةِ ذَلِكَ الرَّجُلِ إِيَّاهُ , أَوْ يَبْعَثُ بِرَجُلٍ مِمَّنْ مَعَهُ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ , لِيَمُدَّهُ بِالسِّلَاحِ وَالرِّجَالِ , فَلَا يَعُودُ ذَلِكَ الرَّجُلُ إِلَى الْإِمَامِ حَتَّى يَغْنَمَ غَنِيمَةً , فَهُوَ شَرِيكٌ فِيهَا , وَهُوَ كَمَنْ حَضَرَهَا وَكَذَلِكَ مَنْ أَرَادَهُ فَرَدَّهُ الْإِمَامُ عَنْهَا , وَشَغَلَهُ بِشَيْءٍ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , فَهُوَ كَمَنْ حَضَرَهَا , [ص:245] وَعَلَى هَذَا الْوَجْهِ , عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ أَسْهَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فِي غَنَائِمِ بَدْرٍ , وَلَوْلَا ذَلِكَ لَمَا أَسْهَمَ لَهُ , كَمَا لَمْ يُسْهِمْ لِغَيْرِهِ مِمَّنْ غَابَ عَنْهَا , لِأَنَّ غَنَائِمَ بَدْرٍ , وَكَانَتْ وَجَبَتْ لِمَنْ حَضَرَهَا دُونَ مَنْ غَابَ عَنْهَا , إِذًا لَمَا ضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِغَيْرِهِمْ فِيهَا بِسَهْمٍ , وَلَكِنَّهَا وَجَبَتْ لِمَنْ حَضَرَ الْوَقْعَةَ , وَلِكُلِّ مَنْ بَذَلَ نَفْسَهُ لَهَا فَصَرَفَهُ الْإِمَامُ عَنْهَا وَشَغَلَهُ بِغَيْرِهَا مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , كَمَنْ حَضَرَهَا وَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَإِنَّمَا ذَلِكَ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَّهَ أَبَانَ إِلَى نَجْدٍ قَبْلَ أَنْ يَتَهَيَّأَ خُرُوجُهُ إِلَى خَيْبَرَ فَتَوَجَّهَ أَبَانُ فِي ذَلِكَ , ثُمَّ حَدَثَ مِنْ خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ مَا حَدَثَ , فَكَانَ مَا غَابَ فِيهِ أَبَانُ مِنْ ذَلِكَ عَنْ حُضُورِ خَيْبَرَ , وَلَيْسَ هُوَ شُغْلًا شَغَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حُضُورِهَا بَعْدَ إِرَادَتِهِ إِيَّاهُ , فَيَكُونُ كَمَنْ حَضَرَهَا فَهَذَانِ الْحَدِيثَانِ أَصْلَانِ , فَكُلُّ مَنْ أَرَادَ الْخُرُوجَ مَعَ الْإِمَامِ إِلَى قِتَالِ الْعَدُوِّ , فَرَدَّهُ الْإِمَامُ عَلَى ذَلِكَ بِأَمْرٍ آخَرَ مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ , فَتَشَاغَلَ بِهِ حَتَّى غَنِمَ الْإِمَامُ غَنِيمَةً , فَهُوَ كَمَنْ حَضَرَ مَعَ الْإِمَامِ , يُسْهَمُ لَهُ فِي الْغَنِيمَةِ , كَمَا يُسْهَمُ لِمَنْ حَضَرَهَا وَكُلُّ شَيْءٍ تَشَاغَلَ بِهِ رَجُلٌ مِنْ شُغْلِ نَفْسِهِ , أَوْ شُغْلِ الْمُسْلِمِينَ مِمَّا كَانَ دُخُولُهُ فِيهِ مُتَقَدِّمًا , ثُمَّ حَدَثَ لِلْإِمَامِ قِتَالُ الْعَدُوِّ , فَتَوَجَّهَ لَهُ فَغَنِمَ , فَلَا حَقَّ لِذَلِكَ الرَّجُلِ فِي الْغَنِيمَةِ , وَهِيَ بَيْنَ مَنْ حَضَرَهَا وَبَيْنَ مَنْ حُكْمُهُ حُكْمُ الْحَاضِرِ لَهَا وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ أَيْضًا , بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৪১
empty
৫২৪১।
5241 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২৪২
৯. যুদ্ধ সমাপ্তির পরে বাহিনী প্রত্যাবর্তনের পূর্বে দারুল হারবে সহযোগিতার জন্য আগতরা গনীমতের হিস্যা পাবে কি না
৫২৪২। সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (রাহঃ)..... কায়স ইবন মুসলিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তারিক ইব্ন শিহাব (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, বসরা অধিবাসীরা নিহাওয়ান্দ করেছে কুফাবাসীরা তাদের সাহায্য করলো। অতঃপর তারা বিজয় লাভ করলো। বসরা অধিবাসীরা চাচ্ছিলো যে, কুফাবাসীদেরকে হিস্যা দিবেনা, আর আম্মার (রাযিঃ) কুফাবাসীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। উতারিদ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বলল, হে কানকাটা! তুমি কি আমাদের সঙ্গে গনীমতের মালে শরীক হতে চাচ্ছ। তিনি বললেন, ভালকথা, আমার কান অতিসত্ত্বর উত্থিত হবে। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি এ বিষয়ে উমার (রাযিঃ) কে লিখলেন। উমার (রাযিঃ) তাঁকে (উত্তর) লিখলেন যে, যে ব্যক্তি যুদ্ধে শরীক হবে গনীমত (শুধু) সেই পাবে। তারা বলেন, এ ঘটনায় স্বয়ং উমার (রাযিঃ) সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, গনীমত শুধু সেই পাবে, যে যুদ্ধে শরীক হয়েছে। সুতরাং এটা আমাদের বক্তব্যের অনুকূলে।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, হতে পারে নিহাওয়ান্দ বিজিত হয়ে দারুল ইসলাম হয়ে গিয়েছিলো এবং গনীমতের মাল একত্রিত করে কুফাবাসীরা আগমন করার পূর্বে তা বণ্টন হয়ে গিয়েছিলো। যদি বিষয়টি অনুরূপ হয় তাহলে আমরা তো এটাই বলি যে, এ অবস্থায় গনীমত ঐ সমস্ত লোকেরা পাবে, যারা সংশ্লিষ্ট ঘটনায় শরীক হয়েছে। আর যদি উক্ত হাদীসে উল্লেখিত উমার (রাযিঃ)-এর লিখিত (ফরমান) সে প্রশ্নের উত্তর হয় তাহলে এতেও কোনরূপ মতবিরোধ নেই। আর যদি ব্যাপার এটা হয় যে, যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর ওই সমস্তলোকদের 'দারুশ শিরক' (পৌত্তলিক রাষ্ট্র) থেকে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে কুফাবাসীরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলো এবং উমার (রাযিঃ) লিখেছেন যে, গনীমত তারা পাবে, যারা যুদ্ধে শরীক হবে। তাহলে জবাব এই যে, এখানে প্রমাণিত হয় যে, কুফাবাসীগণ নিজ হিস্যা দাবি করেছিলো এবং তাদের মধ্যে আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ)সহ নবী (ﷺ)-এর অপরাপর সাহাবাগণ বিদ্যমান ছিলেন, যাদের মতামত উমার (রাযিঃ)-এর অভিমতের সমতুল্য। অতএব এ দুই অভিমত থেকে কোনটিই ততক্ষণ পর্যন্ত অপরটি অপেক্ষা অধিকতর সংগত হবেনা যতক্ষণ না এর পক্ষে কুরআন অথবা সুন্নত অথবা বিশুদ্ধ যুক্তি দ্বারা প্রমাণ অর্জিত না হয়।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
সুতরাং আমরা এ বিষয়ে লক্ষ্য করে ঐ সমস্ত ছোট বাহিনীগুলোকে দেখছি, যা দারুল হারব থেকেই দারুল হারবের অন্য কোন দিকে প্রেরিত হয়। অতঃপর তারা গনীমতের মাল নিয়ে আসে। তবে সেটা তাদের এবং তাদের অপরাপর সঙ্গীদের মাঝে সমানভাবে বণ্টন হবে। আর এ বিষয়ে ঐ বাহিনীর সঙ্গে যারা বের হয়েছে এবং যারা বের হয়নি অভিন্ন। কেননা তারাও নিজেদেরকে অনুরূপভাবে পেশ করেছে যেমন অংশগ্রহণ কারীগণ পেশ করেছে। সুতরাং এ ব্যাপারে তাদের কতকের কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জিত হবেনা। যদিও তাদের লড়াইসমূহ ভিন্নতর। তাই যুক্তির দাবি এটাই যে, অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি নিজেকে পেশ করে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হবে যে যুদ্ধে শরীক হয়ে নিজেকে নিজে পেশ করে। সে এ বিষয়ে যুদ্ধে শরীক হওয়ার অনুরূপ হবে। কিন্তু শর্ত হলো সেই সমস্ত শর্তসমূহ পাওয়া যেতে হবে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। আল্লাহ্ তা'আলা সর্বাধিক জ্ঞাত।
তাদেরকে (উত্তরে) বলা হবে যে, হতে পারে নিহাওয়ান্দ বিজিত হয়ে দারুল ইসলাম হয়ে গিয়েছিলো এবং গনীমতের মাল একত্রিত করে কুফাবাসীরা আগমন করার পূর্বে তা বণ্টন হয়ে গিয়েছিলো। যদি বিষয়টি অনুরূপ হয় তাহলে আমরা তো এটাই বলি যে, এ অবস্থায় গনীমত ঐ সমস্ত লোকেরা পাবে, যারা সংশ্লিষ্ট ঘটনায় শরীক হয়েছে। আর যদি উক্ত হাদীসে উল্লেখিত উমার (রাযিঃ)-এর লিখিত (ফরমান) সে প্রশ্নের উত্তর হয় তাহলে এতেও কোনরূপ মতবিরোধ নেই। আর যদি ব্যাপার এটা হয় যে, যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর ওই সমস্তলোকদের 'দারুশ শিরক' (পৌত্তলিক রাষ্ট্র) থেকে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে কুফাবাসীরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলো এবং উমার (রাযিঃ) লিখেছেন যে, গনীমত তারা পাবে, যারা যুদ্ধে শরীক হবে। তাহলে জবাব এই যে, এখানে প্রমাণিত হয় যে, কুফাবাসীগণ নিজ হিস্যা দাবি করেছিলো এবং তাদের মধ্যে আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ)সহ নবী (ﷺ)-এর অপরাপর সাহাবাগণ বিদ্যমান ছিলেন, যাদের মতামত উমার (রাযিঃ)-এর অভিমতের সমতুল্য। অতএব এ দুই অভিমত থেকে কোনটিই ততক্ষণ পর্যন্ত অপরটি অপেক্ষা অধিকতর সংগত হবেনা যতক্ষণ না এর পক্ষে কুরআন অথবা সুন্নত অথবা বিশুদ্ধ যুক্তি দ্বারা প্রমাণ অর্জিত না হয়।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
সুতরাং আমরা এ বিষয়ে লক্ষ্য করে ঐ সমস্ত ছোট বাহিনীগুলোকে দেখছি, যা দারুল হারব থেকেই দারুল হারবের অন্য কোন দিকে প্রেরিত হয়। অতঃপর তারা গনীমতের মাল নিয়ে আসে। তবে সেটা তাদের এবং তাদের অপরাপর সঙ্গীদের মাঝে সমানভাবে বণ্টন হবে। আর এ বিষয়ে ঐ বাহিনীর সঙ্গে যারা বের হয়েছে এবং যারা বের হয়নি অভিন্ন। কেননা তারাও নিজেদেরকে অনুরূপভাবে পেশ করেছে যেমন অংশগ্রহণ কারীগণ পেশ করেছে। সুতরাং এ ব্যাপারে তাদের কতকের কতকের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জিত হবেনা। যদিও তাদের লড়াইসমূহ ভিন্নতর। তাই যুক্তির দাবি এটাই যে, অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি নিজেকে পেশ করে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হবে যে যুদ্ধে শরীক হয়ে নিজেকে নিজে পেশ করে। সে এ বিষয়ে যুদ্ধে শরীক হওয়ার অনুরূপ হবে। কিন্তু শর্ত হলো সেই সমস্ত শর্তসমূহ পাওয়া যেতে হবে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। আল্লাহ্ তা'আলা সর্বাধিক জ্ঞাত।
5242 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ طَارِقَ بْنَ شِهَابٍ , أَنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ غَزَوْا نَهَاوَنْدَ وَأَمَدَّهُمْ أَهْلُ الْكُوفَةِ فَظَفِرُوا فَأَرَادَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ أَنْ لَا يَقْسِمُوا لِأَهْلِ الْكُوفَةِ , وَكَانَ عَمَّارٌ عَلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ , فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عُطَارِدٍ: أَيُّهَا الْأَجْدَعُ , تُرِيدُ أَنْ تُشَارِكَنَا فِي غَنَائِمِنَا؟ فَقَالَ: أُذُنَيَّ سَبَبْتَ , قَالَ: فَكَتَبَ فِي ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَكَتَبَ عُمَرُ: " إِنَّ الْغَنِيمَةَ لِمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ قَالُوا: فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ ذَهَبَ أَيْضًا إِلَى أَنَّ الْغَنِيمَةَ لِمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ , فَقَدْ وَافَقَ هَذَا قَوْلُنَا قِيلَ لَهُمْ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ نَهَاوَنْدُ فُتِحَتْ وَصَارَتْ دَارَ الْإِسْلَامِ , وَأُحْرِزَتِ الْغَنَائِمُ , وَقُسِمَتْ قَبْلَ وُرُودِ أَهْلِ الْكُوفَةِ , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَإِنَّا نَحْنُ نَقُولُ أَيْضًا إِنَّ الْغَنِيمَةَ فِي ذَلِكَ لِمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ , وَإِنْ كَانَ جَوَابُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الَّذِي فِي هَذَا الْحَدِيثِ , لَمَّا كَتَبَ بِهِ إِلَيْهِ , إِنَّمَا هُوَ لِهَذَا السُّؤَالِ , فَإِنَّ ذَلِكَ مِمَّا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ وَإِنْ كَانَ عَلَى أَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ لَحِقُوا بِهِمْ قَبْلَ خُرُوجِهِمْ مِنْ دَارِ الشِّرْكِ , بَعْدَ ارْتِفَاعِ الْقِتَالِ , فَكَتَبَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنَّ الْغَنِيمَةَ لِمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ , فَإِنَّ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ أَهْلَ الْكُوفَةِ قَدْ كَانُوا طَلَبُوا [ص:246] أَنْ يَقْسِمَ لَهُمْ , وَفِيهِمْ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ , وَمَنْ كَانَ فِيهِمْ غَيْرُهُ , مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُمْ مِمَّنْ يُكَافَأُ قَوْلُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِقَوْلِهِمْ فَلَا يَكُونُ وَاحِدٌ مِنَ الْقَوْلَيْنِ أَوْلَى مِنَ الْآخَرِ إِلَّا بِدَلِيلٍ عَلَيْهِ , إِمَّا مِنْ كِتَابٍ , أَوْ مِنْ سُنَّةٍ , وَإِمَّا مِنْ نَظَرٍ صَحِيحٍ , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا السَّرَايَا الْمَبْعُوثَةَ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ إِلَى بَعْضِ أَهْلِ الْحَرْبِ أَنَّهُمْ مَا غَنِمُوا , فَهُوَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ سَائِرِ أَصْحَابِهِمْ وَسَوَاءٌ فِي ذَلِكَ مَنْ كَانَ خَرَجَ فِي تِلْكَ السَّرِيَّةِ , وَمَنْ لَمْ يَخْرُجْ , لِأَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا بَذَلُوا مِنْ أَنْفُسِهِمْ , مَا بَذَلَ الَّذِينَ أُسِرُوا فَلَمْ يُفَضَّلْ فِي ذَلِكَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ , وَإِنْ كَانَ مَا لَقُوا مِنَ الْقِتَالِ مُخْتَلِفًا , فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ مَنْ بَذَلَ نَفْسَهُ بِمِثْلِ مَا بَذَلَ بِهِ نَفْسَهُ مَنْ حَضَرَ الْوَقْعَةَ , فَهُوَ فِي ذَلِكَ كَمَنْ حَضَرَ الْوَقْعَةَ , إِذَا كَانَ عَلَى الشَّرَائِطِ الَّتِي ذَكَرْنَا فِي هَذَا الْبَابِ وَاللهُ أَعْلَمُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান