শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫২২৫
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২২৫। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ).... হাবীব ইবন মাসলামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আক্রমণের প্রথমভাগে এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ নাফল বা অতিরিক্ত প্রদান করতেন।

পর্যালোচনা

ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল 'আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর এবং বণ্টনের পূর্বে ইমাম বা মুসলিম শাসনকর্তা যে পরিমাণ ইচ্ছা গনীমত প্রদান করতে পারেন। যেমন তাঁর এর পূর্বে প্রদান করার অধিকার রয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে (উল্লেখিত) এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এই বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে,গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর ইমাম শুধু মাত্র পঞ্চমাংশ প্রদান করতে পারেন, পঞ্চমাংশ ছাড়া প্রদান করতে পারেন না। কেননা এই সম্পদ জিহাদকারী বা যোদ্ধাদের মালিকানা, তাই এতে ইমামের কোন অধিকার নেই। তারা বলেন, সম্ভবত নবী (ﷺ) যা কিছু ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে প্রদান করতেন, তা ছিল পঞ্চমাংশের এক-তৃতীয়াংশ এবং আক্রমণের প্রথম ভাগে চতুর্থাংশ প্রদান করার পর। সুতরাং এটা আমাদের অভিমত বা বক্তব্য থেকে বহির্ভূত নয়।

প্রথমোক্ত মত পোষণকারীগণ তাদেরকে উত্তর দিয়ে বলেছেন যে, হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আক্রমণের প্রথম ভাগে একচতুর্থাংশ এবং ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ নাফল বা অতিরিক্ত প্রদান করতেন। প্রথমভাগে যে এক-চতুর্থাংশ প্রদান করতেন তা খুমুসের বা এক-পঞ্চমাংশের পূর্বে হত। অনুরূপভাবে যে এক-তৃতীয়াংশ তিনি ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে প্রদান করতেন সেটাও খুমুস বের করার পূর্বে হবে, অন্যথায় এক তৃতীয়াংশ হিস্যা উল্লেখ করার কোন অর্থ হয় না। তাদেরকে বলা হবে যে, এরূপ নয়, বরং এর বিশুদ্ধ মর্ম রয়েছে। তা এই যে, আক্রমণের শুরু ভাগে যে চতুর্থাংশের উল্লেখ রয়েছে এটা সেই মাল থেকে যা থেকে তাঁর জন্য নেয়াটা জায়িয ছিল। অনুরূপভাবে ফিরতী হামলার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশও সেই মাল থেকে হবে, যা থেকে তার জন্য নেয়া জায়িয ছিল। আর তা হালো খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ।

প্রথমোক্ত অভিমত পোষণকারীগণ বলেন, হাবীব (ইবন মাসলামা রা)-এর এই রিওয়ায়াত এরূপ শব্দাবলী দ্বারাও বর্ণিত আছে, যা আমাদের ঐ বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ বহন করে। তারা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন :
بَابُ النَّفْلِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنْ قِتَالِ الْعَدُوِّ , وَإِحْرَازِ الْغَنِيمَةِ
5225 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى , عَنْ زِيَادِ بْنِ جَارِيَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " نَفَّلَ فِي بَدْأَتِهِ الرُّبُعَ , وَفِي رَجْعَتِهِ الثُّلُثَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْإِمَامَ لَهُ أَنْ يُنَفِّلَ مِنَ الْغَنِيمَةِ مَا أَحَبَّ , بَعْدَ إِحْرَازِهِ إِيَّاهَا , قَبْلَ أَنْ يُقَسِّمَهَا كَمَا كَانَ لَهُ قَبْلَ ذَلِكَ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَيْسَ لِلْإِمَامِ أَنْ يُنَفِّلَ بَعْدَ إِحْرَازِ الْغَنِيمَةِ إِلَّا مِنَ الْخُمُسِ , فَأَمَّا مِنْ غَيْرِ الْخُمُسِ فَلَا , لِأَنَّ ذَلِكَ قَدْ مَلَكَتْهُ الْمُقَاتِلَةُ , فَلَا سَبِيلَ لِلْإِمَامِ عَلَيْهِ [ص:240] وَقَالُوا: قَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنَفِّلُهُ فِي الرَّجْعَةِ , هُوَ ثُلُثُ الْخُمُسِ بَعْدَ الرُّبُعِ الَّذِي نَفَّلَهُ , كَانَ فِي الْبَدْأَةِ , فَلَا يَخْرُجُ مِمَّا قُلْنَا فَقَالَ لَهُمُ الْآخَرُونَ: إِنَّ الْحَدِيثَ إِنَّمَا جَاءَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ , وَفِي الرَّجْعَةِ الثُّلُثَ , وَكَمَا كَانَ الرُّبُعُ الَّذِي كَانَ يُنَفِّلُهُ فِي الْبَدْأَةِ , هُوَ الرُّبُعَ قَبْلَ الْخُمُسِ , فَكَذَلِكَ الثُّلُثُ الَّذِي كَانَ يُنَفِّلُهُ فِي الرَّجْعَةِ , هُوَ الثُّلُثُ أَيْضًا قَبْلَ الْخُمُسِ , وَإِلَّا لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِ الثُّلُثِ مَعْنًى , قِيلَ لَهُمْ: بَلْ لَهُ مَعْنًى صَحِيحٌ , وَذَلِكَ أَنَّ الْمَذْكُورَ مِنْ نَفْلِهِ فِي الْبَدْأَةِ هُوَ الرُّبُعُ , مِمَّا يَجُوزُ لَهُ النَّفَلُ مِنْهُ , فَكَذَلِكَ نَفْلُهُ فِي الرَّجْعَةِ هُوَ الثُّلُثُ , مِمَّا يَجُوزُ لَهُ النَّفَلُ مِنْهُ وَهُوَ الْخُمُسُ , وَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: فَقَدْ رُوِيَ حَدِيثُ حَبِيبٍ هَذَا , بِلَفْظٍ يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا , فَذَكَرُوا مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২২৬
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২২৬। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... হাবীব ইবন মাসলামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আক্রমণের প্রথমভাগে এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতী হামলার ক্ষেত্রে খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ বের করার পর এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন।
5226 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ زِيَادِ بْنِ جَارِيَةَ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ , وَفِي الرَّجْعَةِ الثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২২৭
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২২৭। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).... হাবীব ইবন মাসলামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ বের করার পর এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন।
5227 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ زِيَادِ بْنِ جَارِيَةَ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ , «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَّلَ الثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২২৮
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২২৮। ফাহাদ (রাহঃ) ও আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .....হাবীব ইব্‌ন মাসলামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুদ্ধের প্রাক্কালে (আক্রমণের প্রথম ভাগে) খুমুস বের করার পর এক-চতুর্থাংশ প্রদান করতেন এবং ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে খুমুস বের করার পর এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন।

তাঁরা বলেন, আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তা এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে গনীমতের যে তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন তা খুমুস বের করার পর তৃতীয়াংশ হত। তাদেরকে বলা হবে যে, এতে এ কথারও সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তারা এ বিষয়ে এই নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
5228 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ , عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ زِيَادِ بْنِ جَارِيَةَ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ , " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْغَزْوِ الرُّبُعَ بَعْدَ الْخُمُسِ , وَيُنَفِّلُ إِذَا قَفَلَ الثُّلُثَ بَعْدَ الْخُمُسِ قَالُوا: فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ ذَلِكَ الثُّلُثَ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنَفِّلُ فِي الرَّجْعَةِ , هُوَ الثُّلُثُ بَعْدَ الْخُمُسِ , قِيلَ لَهُمْ: قَدْ يَحْتَمِلُ هَذَا أَيْضًا مَا ذَكَرْنَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২২৯
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২২৯। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আবু উমামা বাহিলী (রাযিঃ) সূত্রে উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তারা আক্রমণের প্রথমভাগে বের হতেন তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে এক-চতুর্থাংশ প্রদান করতেন। আর যখন তারা প্রত্যাবর্তন করতেন তাদেরকে তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন।

তাদেরকে বলা হবে যে, এই হাদীসেও সেই সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে, যা হাবীব ইবন মাসলামা (রাযিঃ) এর হাদীসে (সম্ভাবনা) রয়েছে। যেটিকে মাকহূল (রাহঃ) থেকে অধিকাংশ বর্ণনাকারীগণ মুরসাল হিসাবে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি আক্রমণের প্রথম ভাগে এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতি হামলার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন।

হতে পারে যে, উবাদা (রাযিঃ) তাঁর এই উক্তি যে, 'তিনি তাদেরকে প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতেন' দ্বারা এক যুদ্ধ থেকে অন্য যুদ্ধের দিকে প্রত্যাবর্তন করা উদ্দেশ্য নিয়েছেন। যদি বিষয়টি অনুরূপ হয় এবং গনীমতের যে তৃতীয়াংশ প্রদান করা হয়েছে তা দ্বারা খুমুস থেকে বের করার পূর্বের তৃতীয়াংশ উদ্দেশ্য হয় তাহলে আমাদের নিকট এটাও জায়িয আছে। কেননা এতে কাওমের কল্যাণকামিতার আশা করা যেতে পারে এবং তাদেরকে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ার উৎসাহ দেয়া হয়। কিন্তু যখন লড়াই হবে না তখন গনীমতের মাল থেকে প্রদান করা জায়িয হবেনা। কেননা এতে মুসলমানদের কোন লাভ নেই।

প্রথমোক্ত মতপোষণকারীগণ তাঁদের মতের সপক্ষে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন :
5229 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنَفِّلُهُمْ إِذَا خَرَجُوا بَادِينَ الرُّبُعَ , وَيُنَفِّلُهُمْ إِذَا قَفَلُوا الثُّلُثَ قِيلَ لَهُمْ: وَهَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا قَدْ يَحْتَمِلُ مَا احْتَمَلَهُ حَدِيثُ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الَّذِي أَرْسَلَهُ أَكْثَرُ النَّاسِ عَنْ مَكْحُولٍ , أَنَّهُ كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ , وَفِي الرَّجْعَةِ الثُّلُثَ وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ عُبَادَةُ عَنِيَ بِقَوْلِهِ «وَيُنَفِّلُهُمْ إِذَا قَفَلُوا الثُّلُثَ» فَيَكُونُ ذَلِكَ عَلَى قُفُولٍ مِنْ قِتَالٍ إِلَى قِتَالٍ , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَكَانَ الثُّلُثُ الْمُنَفَّلُ , هُوَ الثُّلُثَ قَبْلَ الْخُمُسِ , فَذَلِكَ جَائِزٌ , عِنْدَنَا , أَيْضًا , لِأَنَّهُ يُرْجَى بِذَلِكَ صَلَاحُ الْقَوْمِ , وَتَحْرِيضُهُمْ عَلَى قِتَالِ عَدُوِّهِمْ فَأَمَّا إِذَا كَانَ الْقِتَالُ قَدِ ارْتَفَعَ , فَلَا يَجُوزُ النَّفَلُ , لِأَنَّهُ لَا مَنْفَعَةَ لِلْمُسْلِمِينَ فِي ذَلِكَ , وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ أَيْضًا , بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩০
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩০। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইয়াস ইবন সালামা ইব্‌ন আকওয়া (রাহঃ) তৎপিতা (সালামা রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন মুশরিকদের নিকটবর্তী হলাম এবং আবু বকর (রাযিঃ) আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন তখন আমরা তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করলাম। অনন্তর আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে ফাযারা গোত্রের জনৈক মহিলা গনীমত হিসাবে প্রদান করলেন, যাকে আমি গনীমতের সম্পদ থেকে নিয়ে এসেছিলাম। আমি তাকে মদীনায় নিয়ে এলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে তা হিবা করার নির্দেশ দিলেন। আমি ওই মহিলা তাঁকে হিবা করে দিলাম। অতঃপর তিনি কয়েকজন মুসলমানের বিনিময়ে তাকে (তার কওমকে) দিয়ে দিলেন।
বস্তুত অপরাপর আলিমগণ এই হাদীস দ্বারা প্রথমোক্ত মতপোষণকারী আলিমগণের বিরুদ্ধে এভাবে প্রমাণ পেশ করেছেন যে, এই হাদীসে একথা উল্লেখ নেই যে, আবু বকর (রাযিঃ) লড়াই খতম হওয়ার পূর্বে ওই মহিলা তাঁকে প্রদান করেছেন অথবা লড়াই শেষ হওয়ার পরে দিয়েছেন। সুতরাং এই হাদীস (তাদের সপক্ষে) দলীল হতে পারবেনা।

তারা নিজেদের মাযহাবের সপক্ষে নিম্নোক্ত এই হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন :
5230 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , وَعُبَيْدُ اللهِ [ص:241] بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ , قَالَا: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ , عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ " لَمَّا قَرُبْنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَمَرَنَا أَبُو بَكْرٍ فَشَنَنَّا الْغَارَةَ عَلَيْهِمْ , فَنَفَّلَنِي أَبُو بَكْرٍ امْرَأَةً مِنْ فَزَارَةَ أَتَيْتُ بِهَا مِنَ الْغَارَةِ فَقَدِمْتُ بِهَا الْمَدِينَةَ , فَاسْتَوْهَبَهَا مِنِّي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَوَهَبْتُهَا لَهُ , فَفَادَى بِهَا أُنَاسًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ فِي ذَلِكَ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ نَفَّلَ سَلَمَةَ قَبْلَ انْقِطَاعِ الْحَرْبِ أَوْ بَعْدَ انْقِطَاعِهَا , فَلَا حُجَّةَ فِي ذَلِكَ وَاحْتَجُّوا لِقَوْلِهِمْ أَيْضًا بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩১
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩১। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ).... ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার একটি ছোট বাহিনী প্রেরণ করলেন এবং তাতে ইব্‌ন উমার (রাযিঃ)ও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তারা প্রচুর গনীমতের সম্পদ লাভ করলেন। অনন্তর প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য গনীমত হিসাবে বারটি করে উট লাভ হয়েছে। অধিকন্তু তাছাড়া তাদের প্রত্যেককে একটি করে উট প্রদান করেছেন।

তারা বলেন, ইনি হলেন ইবন উমার (রাযিঃ), যিনি বলছেন যে, তাঁরা নিজ নিজ হিস্যা থেকে অতিরিক্ত একটি একটি করে উট লাভ করেছেন। আর নবী (ﷺ)-এর প্রতিবাদ করেন নাই ।

তাদেরকে বলা হবে যে, এই হাদীসে তোমাদের সপক্ষে কোন দলীল নাই। বরং এটা তোমাদের পক্ষে দলীল না হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে দলীল হওয়াটাই অধিক সংগত। কেননা এতে এরূপ রয়েছে যে, বারটি করে উট তাঁদের হিস্যায় এসেছে। অধিকন্তু তারা আরো অতিরিক্ত একটি করে উট পেয়েছেন।

এতে প্রমাণিত হয় যে, তারা এ থেকে যা কিছু লাভ করেছেন, তা তাদের হিস্যা অর্থাৎ খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ ব্যতীত ছিল । সুতরাং তোমাদের জন্য একথায় কোন দলীল নেই যে, নাফল তথা অতিরিক্ত খুমুস বা পঞ্চমাংশ ব্যতীত।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ

সুতরাং যখন প্রথমোক্ত অভিমত পোষণকারীদের জন্য স্বীয় মাযহাবের সপক্ষে উপস্থাপিত রিওয়ায়াতসমূহে ওই বক্তব্যের সপক্ষে কোন দলীল নেই যা তাঁরা বলেন এবং যাতে তাদের বক্তব্য ওয়াজিব হয়। তাই আমরা ইচ্ছা পোষণ করছি যে, অপর অভিমত পোষণকারীগণ যে সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন তা পর্যবেক্ষণ করব। অনন্তর আমরা এ বিষয়ে লক্ষ্য করেছি এবং নিম্নোক্ত হাদীস পেয়েছি:
5231 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً فِيهَا ابْنُ عُمَرَ , فَغَنِمُوا غَنَائِمَ كَثِيرَةً , فَكَانَتْ غَنَائِمُهُمْ لِكُلِّ إِنْسَانٍ , اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا , وَنَفَّلَ كُلَّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بَعِيرًا بَعِيرًا , سِوَى ذَلِكَ قَالُوا: فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُخْبِرُ أَنَّهُمْ قَدْ نُفِّلُوا بَعْدَ سِهَامِهِمْ , بَعِيرًا بَعِيرًا , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قِيلَ لَهُمْ: مَا لَكُمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ حُجَّةٍ , وَلَهُوَ إِلَى الْحُجَّةِ عَلَيْكُمْ أَقْرَبُ مِنْهُ إِلَى الْحُجَّةِ لَكُمْ لِأَنَّهُ فِيهِ , فَبَلَغَتْ سُهْمَانُهُمُ اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا , وَنُفِّلُوا بَعِيرًا بَعِيرًا , فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ مَا نُفِّلُوا مِنْهُ مِنْ ذَلِكَ , كَانَ مِنْ غَيْرِ مَا كَانَتْ فِيهِ سُهْمَانُهُمْ وَهُوَ الْخُمُسُ , فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ بِهَذَا الْحَدِيثِ فِي النَّفْلِ مِنْ غَيْرِ الْخُمُسِ فَلَمَّا لَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ مِنَ الْآثَارِ , مَا يَجِبُ بِهِ مَا قَالُوا , أَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُخْرَى لِقَوْلِهِمْ مِنَ الْآثَارِ أَيْضًا , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩২
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩২। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... আবু উমামা বাহিলী (রাযিঃ) সূত্রে উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গাযওয়া হুনায়নের প্রাক্কালে উটের পার্শ্বদেশ থেকে একটি পশম নিয়ে বললেন, হে লোক সকল! যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে গনীমতের সম্পদ দান করেছেন তা থেকে আমার জন্য খুমুস বা পঞ্চমাংশ ব্যতীত কিছুই হালাল নয় এবং খুমুসও তোমাদের মাঝে প্রত্যাবর্তিত হয়। সুতরাং তোমরা সুতা এবং সুঁই আদায় করে দাও (অর্থাৎ তোমাদের নিকট যদি গনীমত থেকে এতটুকু পরিমাণও বিদ্যমান থাকে জমা করে দাও)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গনীমতের সম্পদকে পসন্দ করতেন না। এবং তিনি বলেছেন, শক্তিশালী তথা ধনাঢ্য মু'মিনগণ তাঁদের দুর্বলদের দিকে ফিরিয়ে দেয়া বাঞ্ছনীয় ।

তোমরা কি লক্ষ্য করছনা যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে গনীমতের সম্পদ দান করেছেন তা থেকে আমার জন্য শুধু খুমুস বা পঞ্চমাংশ হালাল। এটা এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, গনীমত থেকে খুমুস ব্যতীত মুজাহিদদের জন্য, তাতে ইমাম বা শাসনকর্তার হুকুম জারী হবেনা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গনীমতের সম্পদ (নেয়াটা) অপসন্দ করেছেন। এবং তিনি বলেছেন, শক্তিশালী তথা মালদার মুসলমানগণ তাদের দুর্বলদের দিকে ফিরিয়ে দিবে। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা'আলা মুসলমানদেরকে যে গনীমতের মাল দান করেছেন তাতে শক্তিশালীদের তাদের শক্তির কারণে দুর্বলদের উপরে তাদের দুর্বলতার কারণে কোনরূপ শ্রেষ্ঠত্ব নেই। বরং এ বিষয়ে তারা সকলে অভিন্ন ও বরাবর। আবার এটাও অসম্ভব যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অপসন্দ করা সত্ত্বেও গনীমতের মাল থেকে নিতেন। সুতরাং যে মাল নেয়াটা অপসন্দনীয় ছিলনা তা খুমুস থেকে ছিল। এতে প্রমাণিত হল যে, এই হাদীসে উবাদা (রাযিঃ) যে অতিরিক্ত গনীমতের মাল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য বর্ণনা করেছেন, তা খুমুস থেকে ছিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এই মাযহাবের বিশুদ্ধতার উপর প্রমাণ বহনকারী হাদীসও বর্ণিত আছে :
5232 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ يَوْمَ حُنَيْنٍ وَبَرَةً مِنْ جَنْبِ بَعِيرٍ , ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ لَا يَحِلُّ لِي مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَيْكُمْ إِلَّا الْخُمُسُ , وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ فِيكُمْ , فَأَدُّوا الْخَيْطَ وَالْمَخِيطَ قَالَ: وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْرَهُ الْأَنْفَالَ , وَقَالَ لِيَرُدَّ قَوِيُّ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى ضَعِيفِهِمْ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا يَحِلُّ لِي مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَيْكُمْ إِلَّا الْخُمُسُ» فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا سِوَى الْخُمُسِ مِنَ الْغَنَائِمِ لِلْمُقَاتِلَةِ , لَا حُكْمَ لِلْإِمَامِ فِي ذَلِكَ ثُمَّ كَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَنْفَالَ وَقَالَ «لِيَرُدَّ قَوِيُّ الْمُسْلِمِينَ عَلَى ضَعِيفِهِمْ» أَيْ لَا يُفَضَّلُ أَحَدٌ مِنْ أَقْوِيَاءِ الْمُؤْمِنِينَ مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَيْهِمْ لِقُوَّتِهِ عَلَى ضَعِيفِهِمْ لِضَعْفِهِ , وَيَسْتَوُونَ فِي ذَلِكَ وَاسْتَحَالَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَّلَ مِنَ الْأَنْفَالِ مَا كَانَ يَكْرَهُ , فَكَانَ النَّفَلُ الَّذِي لَيْسَ بِمَكْرُوهٍ هُوَ النَّفَلُ فِي الْخُمُسِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَّلَهُ , مِمَّا رَوَاهُ عُبَادَةُ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , هُوَ مِنَ الْخُمُسِ [ص:242] وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ هَذَا الْمَذْهَبِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩৩
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩৩। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... মা'ন ইব্‌ন ইয়াযীদ সালামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, নাফল বা অতিরিক্ত মাল খুমুসের পরেই হয়।
আমাদের মতে তাঁর উক্তি 'খুমুসের পর'-এর মর্মার্থ হল আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত যে, খুমুস আলাদা করে দেয়ার পর । আর যখন (বণ্টনের পর) খুমুস আলাদা হয়ে যাবে তখন মুজাহিদদের হিস্যা আলাদা হয়ে যাবে, আর তা হলো পাঁচ ভাগের চার ভাগ, এখন ইমাম যে নফল প্রদানের ইচ্ছা করেছেন তা ঐ খুমুস বা পঞ্চমাংশ থেকে হত, পাঁচভাগের চারভাগ থেকে নয়, যা কিনা মুজাহিদদের অধিকার।
এ বিষয়বস্তুর সপক্ষে নিম্নোক্ত হাদীসও প্রমাণ বহন করে :
5233 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ , عَنْ أَبِي الْجُوَيْرِيَةِ , عَنْ مَعْنِ بْنِ يَزِيدَ السُّلَمِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «لَا نَفْلَ إِلَّا بَعْدَ الْخُمُسِ وَمَعْنَى قَوْلِهِ» إِلَّا بَعْدَ الْخُمُسِ , عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , أَيْ حَتَّى يُقْسَمَ الْخُمُسُ , وَإِذَا قُسِمَ الْخُمُسُ انْفَرَدَ حَقُّ الْمُقَاتِلَةِ , وَهُوَ أَرْبَعَةُ أَخْمَاسٍ فَكَانَ ذَلِكَ النَّفَلُ الَّذِي يُنَفِّلُهُ الْإِمَامُ مِنْ بَعْدِ أَنْ آثَرَ بِهِ , أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ مِنَ الْخُمُسِ , لَا مِنَ الْأَرْبَعَةِ الْأَخْمَاسِ الَّتِي هِيَ حَقُّ الْمُقَاتِلَةِ وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৩৫
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩৪-৩৫। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ).... ইবন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) এক গাযওয়ায় উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবী বাকরা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা কিছু কয়েদী লাভ করলেন। উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ) ইচ্ছা করলেন যে, বণ্টনের পূর্বে তা থেকে কিছু কয়েদী আনাস (রাযিঃ) কে প্রদান করবেন। আনাস (রাযিঃ) বললেন, এটা হতে পারে না। বরং তুমি প্রথমে বণ্টন কর অতঃপর আমাকে খুমুস থেকে প্রদান কর। রাবী বলেন, উবায়দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বললেন, না আমি পুরো মালে গনীমত থেকে প্রদান করব। কিন্তু আনাস (রাযিঃ) তা থেকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন। এবং উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ) খুমুস থেকে কিছু প্রদান করতে অস্বীকার করলেন।

ইবন মারযূক (রাহঃ).... আনাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এই আনাস (রাযিঃ) খুমুস ব্যতীত নাফল বা অতিরিক্ত সম্পদ গ্রহণ করেন নাই।
জাবালা ইবন আমর (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ (রিওয়ায়াত) বর্ণিত আছে :
5234 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنِ ابْنِ سِيرِينَ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ كَانَ مَعَ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ فِي غَزَاةٍ غَزَاهَا , فَأَصَابُوا سَبْيًا , فَأَرَادَ عُبَيْدُ اللهِ أَنْ يُعْطِيَ أَنَسًا مِنَ السَّبْيِ قَبْلَ أَنْ يَقْسِمَ , فَقَالَ أَنَسٌ: لَا , وَلَكِنِ اقْسِمْ ثُمَّ أَعْطِنِي مِنَ الْخُمُسِ قَالَ: فَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ: لَا , إِلَّا مِنْ جَمِيعِ الْغَنَائِمِ , فَأَبَى أَنَسٌ أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ , وَأَبَى عُبَيْدُ اللهِ أَنْ يُعْطِيَهُ مِنَ الْخُمُسِ

5235 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ , عَنْ أَنَسٍ نَحْوَهُ فَهَذَا أَنَسٌ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ، لَمْ يَقْبَلِ النَّفَلَ إِلَّا مِنَ الْخُمُسِ , وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ جَبَلَةَ بْنِ عَمْرٍو
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩৫
empty
৫২৩৫।
5235 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩৬
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩৬। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ).... সুলায়মান ইব্‌ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাঁরা মাগরিব তথা পাশ্চাত্যের যুদ্ধে মুআ'বিয়া ইব্‌ন খাদীজ (রাহঃ)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি লোকদেরকে গনীমতের মাল প্রদান করেছেন। আমাদের সঙ্গে কিছু সংখ্যক রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহবাও ছিলেন। জাবালা ইবন আমর (রাযিঃ) ব্যতীত তা কেউ প্রত্যাখ্যান করেন নাই ।
5236 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ فِي غَزْوَةِ الْمَغْرِبِ , فَنَفَّلَ النَّاسَ , وَمَعَنَا أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يَرُدُّوا ذَلِكَ غَيْرَ جَبَلَةَ بْنِ عَمْرٍو
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩৭
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩৭। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ)..... খালিদ ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রাহঃ)-কে গাযওয়ায় (জিহাদে) নাফল প্রদানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন, আমি ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) ব্যতীত কাউকে এরূপ করতে দেখিনি। তিনি আমাদেরকে আফ্রিকায় ( রণাঙ্গনে) খুমুস ( বের করার) পর অর্ধেক মাল প্রদান করেছেন এবং আমাদের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রথম সারির মুহাজির সাহাবাগণের অনেকেই ছিলেন। জাবালা ইবন আমর (রাযিঃ) এ থেকে কোন কিছু নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন ।

যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, জাবালা ইবন আমর (রাযিঃ) ব্যতীত অপরাপর সাহাবাগণ তা গ্রহণ করেছেন।

তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তুমি সত্য ও সঠিক কথাটি-ই বলেছ। আমরা একথা অস্বীকার করছিনা যে, এতে লোকেরা তথা সাহাবাগণ মতবিরোধ করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ খুমুস বের করার পূর্বে ইমাম তথা শাসনকর্তার জন্য কাউকে নাফল প্রদান করা জায়িয সাব্যস্ত করেছেন এবং কতকের মতে তা জায়িয নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহাবাগণের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। আমরা তো শুধু এটি বলতে চাচ্ছি যে, অপরাপর সাহাবাগণ যাদের উল্লেখ আমরা করেছি এর সাথে সাথে আনাস (রাযিঃ) ও জাবালা (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াতও আমাদের বক্তব্যের সপক্ষে খবর দিচ্ছে।
যদি কেউ বলে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সা'দ ইব্‌ন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছে। এবং সে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছে :
5237 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ , عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ , عَنِ النَّفْلِ فِي الْغَزْوِ فَقَالَ: " لَمْ أَرَ أَحَدًا صَنَعَهُ غَيْرَ ابْنِ خَدِيجٍ , نَفَّلَنَا بِإِفْرِيقِيَّةَ النِّصْفَ بَعْدَ الْخُمُسِ , وَمَعَنَا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ أُنَاسٌ كَثِيرٌ , فَأَبَى جَبَلَةُ بْنُ عَمْرٍو , أَنْ يَأْخُذَ مِنْهَا شَيْئًا فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِوَى جَبَلَةَ بْنِ عَمْرٍو , قَدْ قَبِلُوا قِيلَ لَهُ: قَدْ صَدَقْتُ , وَنَحْنُ فَلَمْ نُنْكِرْ أَنَّ النَّاسَ قَدِ اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ , فَمِنْهُمْ مَنْ أَجَازَ لِلْإِمَامِ النَّفَلَ قَبْلَ الْخُمُسِ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُجِزْهُ وَأَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانُوا فِي ذَلِكَ مُخْتَلِفِينَ وَإِنَّمَا أَرَدْنَا بِمَا رَوَيْنَا عَنْ أَنَسٍ وَجَبَلَةَ , أَنَّهُمَا يُخَيَّرَانِ قَوْلَنَا هَذَا مَعَ مَنْ قَدْ ذَكَرْنَا فِي أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فِي هَذَا , فَذَكَرَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২৩৮
৮. শত্রুর সঙ্গে লড়াই থেকে অবসর এবং গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর নাফল বা গনীমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু নেয়া প্রসঙ্গে
৫২৩৮। ইউনুস (রাহঃ)..... আসওয়াদ ইব্‌ন কায়স (রাহঃ) স্বীয় কাওমের এক ব্যক্তি, যাকে বিশর ইবন আলকামা বলা হত, থেকে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, আমি কাদেসিয়্যার যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তির সঙ্গে মুকাবিলা করলাম এবং তাকে হত্যা করলাম। তার মাল-সামান বার হাজারের মূল্যে পৌঁছলো। অনন্তর সা’দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) ঐ মাল-সামান নাফল তথা অতিরিক্ত হিসাবে আমাকে প্রদান করলেন।

তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, সম্ভবত সা'দ (রাযিঃ) যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে এই মাল-সামান তাঁকে প্রদান করেছেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয় তাহলে এটাও আমাদের অভিমত। পক্ষান্তরে যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পরে দিয়ে থাকলে সম্ভাবনা রয়েছে যে, তা খুমুস থেকে দিয়েছেন। আর যদি তিনি খুমুস ছাড়া দিয়ে থাকেন তাহলে এটাও বিরোধপূর্ণ ব্যাপার। সুতরাং এই হাদীসে কোন দলের জন্যই প্রমাণ হবে না। কারণ তাতে ঐ বিষয়বস্তুরও সম্ভাবনা রয়েছে যা বিরোধীদলের উদ্দেশ্য।

এখন এর পরে অপরিহার্য হলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ করা, যেন যৌক্তিকভাবে এর হুকুম কিরূপ তা জানতে সক্ষম হই। এতে মূলনীতি হলো যে, যদি ইমাম যুদ্ধের প্রাক্কালে ঘোষণা করে যে, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তবে তার জন্য হবে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-শস্ত্র ও মাল-সামান। তবে এটা জায়িয। আর যদি তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তবে সে এ পরিমাণ দিরহাম পাবে, এটাও জায়িয। যদি তিনি বলেন যে, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তবে সে আমাদের অর্জিত গনীমতের মাল থেকে দশমাংশ পাবে, তবে এটা জায়িয নয়। কেননা এটা যদি জায়িয হত তাহলে সমস্ত গনীমতের মাল যোদ্ধাদের জন্য হত এবং তাতে আল্লাহ্ তা'আলার হক তথা খুমুস বাতিল হয়ে যেত। সুতরাং যুদ্ধের পূর্বে নাফল সেই মাল থেকেই হবে । নাফল গ্রহণকারী তার তরবারি দ্বারা লাভ করেছে অথবা তার আমলের কারণে তার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যা কিছু অন্যের লাভ হয় তা তার জন্য সাব্যস্ত করা হবেনা। তবে তার হুকুম যদি ইজারার হুকুম হয় তাহলে ভিন্ন কথা। সুতরাং ইজারা যেমন জায়িয হয় তাও জায়িয হবে। অনুরূপভাবে ইমামের বক্তব্য “যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তার জন্য হবে দশ দিরহাম,” এটা জায়িয।

যৌক্তিকভাবে একথাটি অধিকতর সংগত যে, গনীমতের সম্পদ একত্রিত করার পর অন্যদের অর্জিত মাল থেকে প্রদান করা জায়িয হয়। এতে তাদের বক্তব্য অসার হয়ে গেল যারা গনীমত একত্রিত করার পর নাফল প্রদান করা জায়িয সাব্যস্ত করেন। সুতরাং এই হুকুম আমরা ওই বস্তুর দিকে ফিরিয়ে দিব, যা সে স্বয়ং অর্জন করেছে। কারণ ইমাম তাকে নাফল প্রদানের পূর্বে ইমামের খুমুসের মধ্যে আল্লাহর হক এবং পাঁচ ভাগের চার ভাগে মুজাহিদদের হক ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে। সুতরাং আমরা যদি নাফল প্রদান করা জায়িয সাব্যস্ত করি তাহলে তাদের হক ওয়াজিব হওয়ার পরে বাতিল হওয়া অনিবার্য হবে। নাফল শুধু ঐ বস্তুর মধ্যে প্রযোজ্য হবে, যা শত্রুর মালিকানা থেকে বেরিয়ে নাফল গ্রহণকারীর মালিকানায় আসে এবং যা ইতোপূর্বে শত্রুর মালিকানা থেকে বেরিয়ে (সাধারণ) মুসলমানদের মালিকানায় এসে গিয়েছে, তাতে নাফল নেই। কেননা তা মুসলমানদের মাল। এতে সাব্যস্ত হলো যে, গনীমতের মাল একত্রিত করার পর তাতে নাফল নেই। যেমন আমরা এই অনুচ্ছেদে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
5238 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا [ص:243] سُفْيَانُ , عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ يُقَالُ لَهُ بِشْرُ بْنُ عَلْقَمَةَ قَالَ: بَارَزْتُ رَجُلًا يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ فَقَتَلْتُهُ , فَبَلَغَ سَلَبُهُ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا , فَنَفَّلَنِيهِ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ سَعْدٌ نَفَّلَهُ ذَلِكَ , وَالْقِتَالُ لَمْ يَرْتَفِعْ , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَهَذَا قَوْلُنَا أَيْضًا وَإِنْ كَانَ إِنَّمَا نَفَّلَهُ بَعْدَ ارْتِفَاعِ الْقِتَالِ , فَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ جَعَلَ ذَلِكَ مِنَ الْخُمُسِ فَإِنْ كَانَ جَعَلَهُ مِنْ غَيْرِ الْخُمُسِ , فَهَذَا فِيهِ الَّذِي ذَكَرْنَا مِنَ الِاخْتِلَافِ , فَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ لِأَحَدِ الْفَرِيقَيْنِ حُجَّةٌ , إِذْ كَانَ قَدْ يُحْتَمَلُ مَا قَدْ صَرَفَهُ إِلَيْهِ مُخَالِفُهُ وَوَجَبَ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ يُكْشَفَ وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , لِنَعْلَمَ كَيْفَ حُكْمُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَكَانَ الْأَصْلُ فِي ذَلِكَ أَنَّ الْإِمَامَ إِذَا قَالَ فِي حَالِ الْقِتَالِ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ , أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ وَلَوْ قَالَ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ كَذَا وَكَذَا دِرْهَمًا , كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا أَيْضًا وَلَوْ قَالَ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا , فَلَهُ عُشْرُ مَا أَصَبْنَا , لَمْ يَجُزْ ذَلِكَ , لِأَنَّ هَذَا لَوْ جَازَ , جَازَ أَنْ تَكُونَ الْغَنِيمَةُ كُلُّهَا لِلْمُقَاتِلِينَ , فَيَبْطُلُ حَقُّ اللهِ تَعَالَى فِيهَا مِنَ الْخُمُسِ فَكَانَ النَّفَلُ لَا يَكُونُ قَبْلَ الْقِتَالِ , إِلَّا فِيمَا أَصَابَهُ الْمُنَفَّلُ بِسَيْفِهِ , وَلَا يَجُوزُ فِيمَا أَصَابَ غَيْرُهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ فِيمَا حُكْمُهُ حُكْمُ الْإِجَارَةِ فَيَجُوزُ ذَلِكَ , كَمَا تَجُوزُ الْإِجَارَةُ كَقَوْلِهِ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ عَشَرَةُ دَرَاهِمَ , فَذَلِكَ جَائِزٌ فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ , وَلَمْ يَجُزِ النَّفَلُ إِلَّا فِيمَا أَصَابَهُ الْمُنَفَّلُ بِسَيْفِهِ , أَوْ فِيمَا جُعِلَ لَهُ لِعَمَلِهِ , وَلَمْ يَجُزْ أَنْ يُنَفَّلَ مِمَّا أَصَابَهُ غَيْرُهُ , كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ بَعْدَ إِحْرَازِ الْغَنِيمَةِ أَحْرَى أَنْ لَا يَجُوزَ أَنْ يُنَفَّلَ مِمَّا أَصَابَ غَيْرُهُ فَفَسَدَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ أَجَازَ النَّفَلَ بَعْدَ إِحْرَازِ الْغَنِيمَةِ , وَرَجَعْنَا إِلَى حُكْمِ مَا أَصَابَهُ هُوَ , فَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُنَفِّلَهُ الْإِمَامُ إِيَّاهُ , قَدْ وَجَبَ حَقُّ اللهِ تَعَالَى فِي خُمُسِهِ , وَحَقُّ الْمُقَاتِلَةِ فِي أَرْبَعَةِ أَخْمَاسِهِ فَلَوْ أَجَزْنَا النَّفَلَ إِذًا لَكَانَ حَقُّهُمْ قَدْ بَطَلَ بَعْدَ وُجُوبِهِ , وَإِنَّمَا يَجُوزُ النَّفَلُ فِيمَا يَدْخُلُ فِي مِلْكِ الْمُنَفِّلِ , مِنْ مِلْكِ الْعَدُوِّ وَأَمَّا مَا قَدْ زَالَ عَنْ مِلْكِ الْعَدُوِّ قَبْلَ ذَلِكَ , وَصَارَ فِي مِلْكِ الْمُسْلِمِينَ , فَلَا نَفْلَ فِي ذَلِكَ , لِأَنَّهُ مِنْ مَالِ الْمُسْلِمِينَ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنْ لَا نَفْلَ بَعْدَ إِحْرَازِ الْغَنِيمَةِ عَلَى مَا قَدْ فَصَّلْنَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَبَيَّنَّا وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান