শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং : ৫২১৭
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২১৭। সুলায়মান ইব্‌ন শু'আইব (রাহঃ).... আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁর হাতে (আটা পেষার) চাক্কির দাগ পড়ার অভিযোগ করলেন। কারণ তিনি খবর পেয়েছিলেন যে, নবী (ﷺ)-এর নিকট কয়েদী এসেছে। এজন্য তিনি তাঁর কাছে একজন খাদিম চাইতে উপস্থিত হলেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হলো না। তবে তিনি আয়েশা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাকে ব্যাপারটি অবহিত করলেন। যখন নবী (ﷺ) এলেন তখন তিনি তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলেন। ! বর্ণনাকারী (আলী রা) বলেন, অনন্তর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে এমন সময় আগমন করলেন, যখন আমরা আমাদের বিছানায় (ঘুমানোর জন্য) চলে গেছি। আমরা (তাঁকে দেখে) উঠতে লাগলাম, তিনি বললেন, তোমরা নিজ স্থানে অবস্থান কর। এরপর তিনি আমাদের মাঝে এসে বসে গেলেন এবং আমি তাঁর পা মুবারকের শীতলতা আমার বুকে অনুভব করলাম। তিনি বললেন : আমি কি তোমাদেরকে এরূপ জিনিস বলব না, যা ঐ বস্তু অপেক্ষা উত্তম, যা তোমরা সওয়াল করেছ। যখন তোমরা বিছানায় যাবে তখন চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবার তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ এবং তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ পড়বে। এটা তোমাদের জন্য খাদিম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
بَابُ سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى
5217 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ الْحَكَمِ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ " أَنَّ فَاطِمَةَ أَتَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَشْكُو إِلَيْهِ أَثَرَ الرَّحَى فِي يَدِهَا وَقَدْ بَلَغَهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ سَبْيٌ , فَأَتَتْهُ تَسْأَلُهُ خَادِمًا , فَلَمْ تَلْقَهُ , وَلَقِيَتْهَا عَائِشَةُ , فَأَخْبَرَتْهَا الْحَدِيثَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ بِذَلِكَ قَالَ: فَأَتَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا , فَذَهَبْنَا لِنَقُومَ فَقَالَ مَكَانَكُمَا فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ أَلَا أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا تُكَبِّرَانِ اللهَ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ , وَتُسَبِّحَانِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ , وَتَحْمَدَانِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ , إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا , فَإِنَّهُ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২১৮
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২১৮। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদা ফাতিমা (রাযিঃ)-কে বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা তোমার পিতাকে প্রচুর সম্পদ ও ক্রীতদাস দান করেছেন। তুমি তাঁর নিকট গিয়ে একটি খাদিম চাও। অনন্তর তিনি তাঁর নিকট এলেন এবং তা তাকে অবহিত করলেন। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদেকে দিব আর সুফ্ফা অধিবাসীদেরকে পরিত্যাগ করব? (তা হবে না)। ক্ষুধার কারণে তাদের পেট খালি। আমার নিকট তাদের উপর খরচ করার জন্য কিছু নাই। কিন্তু আমি ওই ক্রীতদাসগুলো বিক্রয় করে তাদের উপর খরচ করব। আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের কাঙ্ক্ষিত বস্তু অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ জিনিস সম্পর্কে বলব না? যা জিবরাঈল (আ) আমাকে শিখিয়েছেন। প্রত্যেক সালাতের পরে দশবার আল্লাহু আকবার দশবার সুবহানাল্লাহ এবং দশবার আলহামদুলিল্লাহ পড়বে। আর যখন তোমরা (ঘুমানোর জন্য) বিছানায় যাবে (তখনো তা পড়বে)। অতঃপর সুলায়মান (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
5218 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ لِفَاطِمَةَ ذَاتَ يَوْمٍ قَدْ جَاءَ اللهُ أَبَاكَ بِسَعَةٍ وَرَقِيقٍ فَأْتِيهِ فَاطْلُبِي مِنْهُ خَادِمًا فَأَتَتْهُ , فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «وَاللهِ لَا أُعْطِيكُمَا وَأَدَعُ أَهْلَ الصُّفَّةِ يَطْوُونَ بُطُونَهُمْ , وَلَا أَجِدُ مَا أُنْفِقُ عَلَيْهِمْ , وَلَكِنْ أَبِيعُهَا , وَأُنْفِقُ عَلَيْهِمْ , أَلَا أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا؟ عَلَّمَنِيهِ جَبْرَائِيلُ , كَبِّرَا فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا , وَسَبِّحَا عَشْرًا , وَاحْمَدَا عَشْرًا , وَإِذَا آوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ مَا فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২১৯
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২১৯। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ).... ফযল ইবন হাসান ইবন আমর ইবন হাকাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাঁর মা তাকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি এবং তাঁর মা ফাতিমা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন। অতঃপর তারা সকলে একত্রে বেরিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হলেন। তিনি কোন যুদ্ধ থেকে আগমন করছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে (কিছু) ক্রীতদাস ছিলো। ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর কাছে একটি ক্রীতদাস প্রার্থনা করলেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের ইয়াতীম শিশুরা তোমার থেকে অগ্রগামী।

পর্যালোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল 'আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আত্মীয়দের জন্য খুমুস তথা পঞ্চমাংশ থেকে কোন পরিমাণ নির্দিষ্ট নেই এবং তাদের জন্য অন্যদের হিস্যা থেকে আলাদা কোন হিস্যা নেই। তারা বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তাদের জন্য সেই হিস্যাই নির্ধারণ করেছেন যা তিনি নিম্নোক্ত আয়াতে বর্ণনা করেছেন :وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ

অর্থাৎ : আরো জেন রাখ যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, দরিদ্রদের এবং পথচারীদের। (সূরা ৪৮ আয়াত : ৪১)
এবং এই আয়াতে বর্ণনা করেছেন : مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ

অর্থাৎ: আল্লাহ্ এই জনপদবাসীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহর, তাঁর রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের এবং ইয়াতীমদের ও অভাবগ্রস্তদের। (সূরা : ৫৯ আয়াত : ৭)

আর এটা ঐ অবস্থায় প্রযোজ্য হবে, যখন তারা অভাবগ্রস্ত ও মুখাপেক্ষী হবে। আয়াতে তাদের (আত্মীয়দের)-কে ফকীর ও মিসকীনদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুতরাং ফকীর, ইয়াতীম ও মিসকীন যেমন এই হুকুম থেকে বের হয়ে যায় যখন তাদের মাঝে উপযুক্ততার কারণ পাওয়া না যায় এবং তারা এর অধিকারী হবে না। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আত্মীয়বর্গ যাদেরকে তাদের সঙ্গে মিলিত করা হয়েছে। তাদেরকে তাদের অভাবগ্রস্ততার কারণে তাদের সঙ্গে মিলিত করা হয়েছে। আর যদি তারা মালদার (ধনী) হয় তবে এই হুকুম থেকে বেরিয়ে যাবে। অধিকন্তু তারা বলেন, যদি শুধু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আত্মীয়তার কারণে তাদের হিস্যা হত তবে তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) ও তাদের অন্তর্ভুক্ত হতেন। কেননা তিনি বংশের দিক দিয়ে তাঁর অত্যন্ত নিকটবর্তী এবং সহানুভূতির জন্য সর্বাপেক্ষা উপযোগী ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর জন্য ওই কয়েদীদের মাঝে হিস্যা রাখেন নাই যার আমরা উল্লেখ করেছি এবং তাঁকে তাঁর পক্ষ থেকে কোন খাদিম (ক্রীতদাস) প্রদান করেন নাই। বরং তাঁকে আল্লাহর যিকরের হাওলা করে দিয়েছেন। কেননা তিনি এ থেকে যা কিছু অর্জন করতেন, সাদাকা নেয়ার কারণে মিসকীনদের অন্তর্ভুক্ত হতেন। তাই তিনি দেখলেন যে, তার ঐ দরখাস্ত পরিত্যাগ করা এবং আল্লাহ্ তা'আলার যিকর, তাসবীহ ও তাহলীলের দিকে মনোনিবেশ করাটা তা অপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাতের পরে আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) সমস্ত খমুস তথা পঞ্চমাংশ বণ্টন করে দিয়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আত্মীয়তার কারণে এ বিষয়ে তাদের জন্য সাধারণ মুসলমানদের অধিকার থেকে পৃথক কোন অধিকার মনে করেন নাই। এতে সাব্যস্ত হলো যে, তাঁদের উভয়ের নিকটও বিধান এটাই। আর যখন কোন সাহাবা তাদের বিরুদ্ধে এর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন নাই, তাহলে প্রমাণিত হলো যে, এতে সাহাবাদেরও অভিমত এটাই ছিলো। সুতরাং যখন আবু বকর (রাযিঃ), উমার (রাযিঃ) ও সমস্ত সাহাবাদের এ বিষয়ে ইজমা বা ঐকমত্য সাব্যস্ত হলো, তখন এই অভিমত প্রমাণিত হয়ে গেল। এর উপর আমল করা এবং এর পরিপন্থীকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব হয়ে গেল।
অতঃপর এই আলী (রাযিঃ) যখন খিলাফত লাভ করলেন তখন তিনিও লোকদেরকে এ বিষয়ের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।

তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন :
5219 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ , قَالَ: ثنا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ حَسَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَكَمِ , أَنَّ أُمَّهُ , حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا , ذَهَبَتْ هِيَ وَأُمُّهَا حَتَّى دَخَلَتْ عَلَى فَاطِمَةَ , فَخَرَجْنَ جَمِيعًا، فَأَتَيْنَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أَقْبَلَ مِنْ بَعْضِ مَغَازِيهِ , وَمَعَهُ رَقِيقٌ , فَسَأَلَتْهُ أَنْ يَخْدُمَهُنَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَبَقَكُنَّ يَتَامَى أَهْلِ بَدْرٍ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ ذَوِي قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا سَهْمَ لَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ مَعْلُومٌ , وَلَا حَظَّ لَهُمْ مِنْهُ خِلَافُ حَظِّ غَيْرِهِمْ قَالُوا وَإِنَّمَا جَعَلَ اللهُ لَهُمْ مَا جَعَلَ مِنْ ذَلِكَ بِقَوْلِهِ {وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ} [الأنفال: 41] وَبِقَوْلِهِ {مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ} [الحشر: 7] بِحَالِ فَقْرِهِمْ وَحَاجَتِهِمْ , فَأَدْخَلَهُمْ مَعَ الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ فَكَمَا يَخْرُجُ الْفَقِيرُ وَالْيَتِيمُ وَالْمِسْكِينُ مِنْ ذَلِكَ , لِخُرُوجِهِمْ مِنَ الْمَعْنَى الَّذِي بِهِ اسْتَحَقُّوا مَا اسْتَحَقُّوا مِنْ ذَلِكَ , فَكَذَلِكَ ذَوُو قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَضْمُومُونَ مَعَهُمْ , إِنَّمَا كَانُوا ضُمُّوا مَعَهُمْ لِفَقْرِهِمْ , فَإِذَا اسْتَغْنَوْا , خَرَجُوا مِنْ ذَلِكَ [ص:234] وَقَالُوا: لَوْ كَانَ لِقَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ حَظٌّ , لَكَانَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُمْ , إِذْ كَانَتْ أَقْرَبَهُمْ إِلَيْهِ نَسَبًا , وَأَمَسَّهُمْ بِهِ رَحِمًا , فَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا حَظًّا فِي السَّبْيِ الَّذِي ذَكَرْنَا , وَلَمْ يُخْدِمْهَا مِنْهُ خَادِمًا وَلَكِنَّهُ وَكَلَهَا إِلَى ذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , لِأَنَّ مَا تَأْخُذُ مِنْ ذَلِكَ , إِنَّمَا حُكْمُهَا فِيهِ حُكْمُ الْمَسَاكِينِ , فِيمَا تَأْخُذُ مِنَ الصَّدَقَةِ فَرَأَى أَنَّ تَرْكَهَا ذَلِكَ وَالْإِقْبَالَ عَلَى ذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَتَسْبِيحِهِ وَتَهْلِيلِهِ , خَيْرٌ لَهَا مِنْ ذَلِكَ وَأَفْضَلُ وَقَدْ قَسَمَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمِيعَ الْخُمُسِ , فَلَمْ يَرَيَا لِقَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ حَقًّا , خِلَافَ حَقِّ سَائِرِ الْمُسْلِمِينَ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ هَذَا هُوَ الْحَكَمُ عِنْدَهُمَا , وَثَبَتَ , إِذْ لَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِمَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يُخَالِفْهُمَا فِيهِ , أَنَّ ذَلِكَ كَانَ رَأْيَهُمْ فِيهِ أَيْضًا , وَإِذَا ثَبَتَ الْإِجْمَاعُ فِي ذَلِكَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمِنْ جَمِيعِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَبَتَ الْقَوْلُ بِهِ وَوَجَبَ الْعَمَلُ بِهِ , وَتَرْكُ خِلَافِهِ ثُمَّ هَذَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمَّا صَارَ الْأَمْرُ إِلَيْهِ , حَمَلَ النَّاسَ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২২০
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২২০। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ).... মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু জা'ফর (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আপনি দেখেছেন যখন আলী ইব্‌ন আবী তালিব (রাযিঃ) ইরাকের প্রশাসক নিযুক্ত হলেন এবং লোকদের বিষয়াবলী তাঁর নিকট সোপর্দ হলো তখন তিনি আত্মীয়দের হিস্যা সংক্রান্ত ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) এর পথে চলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিভাবে হলো? অথচ তোমরা এ কথা বলছ। তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম! তাঁর সঙ্গীরা তো তাঁর কথা মান্য করে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তাহলে কিসে তাঁকে বিরত রেখেছে? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আলী (রাযিঃ) এটা অপছন্দ করতেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর বিরোধিতা করার দাবি করা হবে।

দেখুন আলী ইব্‌ন আবী তালিব (রাযিঃ) নিজেও এটাকে জারী রেখেছেন, যেমন আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) (নিজ নিজ যুগে) জারী রেখেছেন। কেননা তিনি এটাকে ইনসাফপূর্ণ মনে করতেন। অন্যথায় অবশ্যই স্বীয় ইলম দ্বীন ও ফযীলতের প্রেক্ষিতে এটাকে নিজ অভিমতের দিকে ফিরিয়ে দিতেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও দলীল পেশ করেন :
5220 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا جَعْفَرٍ فَقُلْتُ: رَأَيْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ حَيْثُ وَلِيَ الْعِرَاقَ , وَمَا وَلِيَ مِنْ أُمُورِ النَّاسِ , كَيْفَ صَنَعَ فِي سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى قَالَ: سَلَكَ بِهِ , وَاللهِ , سَبِيلَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قُلْتُ: وَكَيْفَ؟ وَأَنْتُمْ تَقُولُونَ مَا تَقُولُونَ؟ قَالَ: إِنَّهُ , وَاللهِ , مَا كَانَ أَهْلُهُ يَصْدُرُونَ إِلَّا عَنْ رَأْيِهِ قُلْتُ: فَمَا مَنَعَهُ؟ قَالَ: كَرِهَ , وَاللهِ , أَنْ يُدَّعَى عَلَيْهِ خِلَافُ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَهَذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَدْ أَجْرَاهُ عَلَى مَا كَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَجْرَيَاهُ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ رَأَى ذَلِكَ عَدْلًا وَلَوْ كَانَ رَأْيُهُ , خِلَافَ ذَلِكَ , مَعَ عِلْمِهِ , وَدِينِهِ , وَفَضْلِهِ , إِذًا لَرَدَّهُ إِلَى مَا رَأَى وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২২১
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২২১। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ).... কায়স ইব্ন মুসলিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান ইবন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আলী (রাহঃ)-কে আল্লাহ্ তা'আলার নিম্নোক্ত বাণীর (ব্যাখা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি:وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ

অর্থাৎ : আরো জেনে রাখ যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ্র। (সূরা :৮ আয়াত : ৪১) তিনি বললেন, তাঁর বাণী “এর এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর" এটা হলো শুধু বক্তব্যের ভূমিকা। অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাত আল্লাহ্ তা'আলার জন্য। (একপঞ্চমাংশ) রাসূলের, তাঁর স্বজনদের, ইয়াতীম ও মিসকীনদের জন্য । রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওফাতের পরে লোকেরা (সাহাবগণ) মতবিরোধ করলেন। একদল বললেন যে, আত্মীয়দের হিস্যা খলীফার আত্মীয়তার কারণে। আরেকদল বললেন যে, নবী (ﷺ) এর পরে তাঁর হিস্যা খলীফার জন্য হবে। অতঃপর তারা সকলে একমত হলেন যে, এই দু'হিস্যাকে অশ্ব ও আল্লাহর রাহে জিহাদের প্রস্তুতিতে ব্যয় করবে। আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর খিলাফতের যুগে এ তরীকাই চালু ছিলো। তারা বলেন, তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না যে, এটা সাহাবাদের সর্বসম্মত ফয়সালা এবং এই হিস্যা ঐ অশ্ব ও অস্ত্র-শস্ত্রের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, যা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য মুসলমানদের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ হবে। যদি তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আত্মীয়তার কারণে হত তাহলে তারা তা থেকে নিষেধ করতেন না এবং অন্য কোন খাতে ব্যয় করতেন না। আর এ বিষয়টি হাসান ইব্‌ন মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর ন্যায় প্রজ্ঞাবান এবং তাদের মধ্যে অগ্রবর্তী আলিমের নিকট গোপন থাকত না।

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) নাজদাকে উত্তর দিতে গিয়ে এই কথাটিই বলেছিলেন। যখন তিনি তার নিকট আত্মীয়দের হিস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসার জন্য তাঁকে লিখেছিলেন। এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন :
5221 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ , قَالَ: سَأَلْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنَ عَلِيٍّ , عَنْ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ} [الأنفال: 41] قَالَ: أَمَّا قَوْلُهُ «فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ» فَهُوَ مِفْتَاحُ كَلَامٍ , لِلَّهِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةُ , لِلرَّسُولِ , وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَاخْتَلَفَ النَّاسُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ قَوْمٌ: مِنْهُمْ سَهْمُ ذَوِي الْقُرْبَى لِقَرَابَةِ الْخَلِيفَةِ , وَقَالَ قَوْمٌ: سَهْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ [ص:235] ثُمَّ أَجْمَعُوا رَأْيَهُمْ أَنْ جَعَلُوا هَذَيْنِ السَّهْمَيْنِ فِي الْخَيْلِ وَالْعُدَّةِ فِي سَبِيلِ اللهِ , عَزَّ وَجَلَّ , وَكَانَ ذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالُوا: أَفَلَا تَرَى أَنَّ ذَلِكَ مِمَّا قَدْ أَجْمَعَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَجَعَ إِلَى الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ الَّذِي تَكُونُ عُدَّةً لِلْمُسْلِمِينَ , لِقِتَالِ عَدُوِّهِمْ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ لِذَوِي قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَا مُنِعُوا مِنْهُ , وَلَمَا صُرِفُوا إِلَى غَيْرِهِمْ , وَلَا خَفِيَ ذَلِكَ عَلَى الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ , مَعَ عِلْمِهِ فِي أَهْلِهِ , وَتَقَدُّمِهِ فِيهِمْ وَقَدْ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي جَوَابِهِ لِنَجْدَةَ , لَمَّا كَتَبَ إِلَيْهِ يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২২২
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২২২। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... ইব্‌ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইয়াযীদ ইবন হুরমুয তাঁকে বর্ণনা করেছেন যে, ইয়ামামার শাসকে নাজ্দা ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে পত্রযোগে আত্মীয়দের হিস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। অনন্তর ইবন আব্বাস (রাযিঃ) তাকে (জবাবে) লিখলেন যে, এটা আমাদের জন্য। উমার ইব্‌ন খাত্তাব (রাযিঃ) আমাদেরকে ডেকে ছিলেন যে, তা দিয়ে তিনি আমাদের বংশের বিধবা নারীদের বিবাহ দিয়ে দিবেন এবং আমাদের করযদারদের করয আদায় করে দিবেন। এতে আমরা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলাম। তবে ঐ সমস্ত মাল আমাদেরকে দিয়ে দিবেন এবং আমরা মনে করতাম যে, ওটা আমাদের হক।
5222 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ , قَالَ ثَنَا عَمِّي جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ هُرْمُزَ , حَدَّثَهُ أَنَّ نَجْدَةَ صَاحِبَ الْيَمَامَةِ كَتَبَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ «إِنَّهُ لَنَا وَقَدْ كَانَ دَعَانَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِيُنْكِحَ مِنْهُ أَيِّمَنَا , وَيَقْضِي عَنْهُ مِنْ غَارِمِنَا , فَأَبَيْنَا إِلَّا أَنْ يُسَلِّمَهُ لَنَا كُلَّهُ , وَرَأَيْنَا أَنَّهُ لَنَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২২৩
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২২৩। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... ইয়াযীদ ইবন হুরমুয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজ্দা ইব্‌ন আমির ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে পত্র লিখে আত্মীয়দের ওই হিস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, যা আল্লাহ্ তা'আলা উল্লেখ করেছেন এবং তাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। অনন্তর তিনি তাকে (জবাবে) লিখলেন এবং আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম যে, আমরা মত পোষণ করতাম, তারা হলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু আমাদের কওম তা আমাদেরকে দিতে অস্বীকার করেছে।

দেখুন ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) নিজেই বলছেন যে, তাদের কওম এই হিস্যা তাদের জন্য হওয়াটাকে অস্বীকার করেছে। কিন্তু তারা অস্বীকৃতিজ্ঞাপনকারীদের উপর অবিচার করেন নাই। এতে প্রমাণিত হয় যে, এখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আত্মীয়তা থেকে যা কিছু উদ্দেশ্য তা সেটাই যা আমরা উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ দরিদ্রতা ও মুখাপেক্ষতার অবস্থায় (হিস্যা তাদের)। এগুলো সেই সমস্ত আলিমদের দলীলসমূহ, যাদের অভিমত হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর স্বজনদের জন্য খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ থেকে কোন হিস্যা নেই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যুগে এবং তাঁর (ওফাতের) পরে তাদের জন্য এই হিস্যা ছিলো না।

পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে তাদের জন্য হিস্যা ছিলো আর তা ছিল এক পঞ্চমাংশের পঞ্চমাংশ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অধিকার ছিল তাদের থেকে যাকে ইচ্ছা প্রদান করবেন। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন :
5223 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا أَبِي , قَالَ: سَمِعْتُ قَيْسًا , يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ , قَالَ: كَتَبَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى الَّذِي ذَكَرَ اللهُ , وَفَرَضَ لَهُمْ فَكَتَبَ إِلَيْهِ وَأَنَا شَاهِدٌ " كُنَّا نَرَى أَنَّهُمْ قَرَابَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا يُخْبِرُ أَنَّ قَوْمَهُمْ أَبَوْا عَلَيْهِمْ أَنْ يَكُونَ لَهُمْ , وَلَمْ يُظْلَمْ مَنْ أَبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا أُرِيدَ فِي ذَلِكَ بِقَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الْفَقْرِ وَالْحَاجَةِ فَهَذِهِ حُجَجُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ ذَوِي الْقُرْبَى , لَا سَهْمَ لَهُمْ مِنَ الْخُمُسِ , وَأَنَّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا مَنْ بَعْدَهُ وَقَدْ خَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: قَدْ كَانَ لَهُمْ سَهْمٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ خُمُسُ الْخُمُسِ , وَكَانَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَضَعَهُ فِيمَنْ شَاءَ مِنْهُمْ وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং : ৫২২৪
৭. আত্মীয়দের হিস্যা প্রসঙ্গ
৫২২৪। মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাহর ইবন মাতার বাগদাদী (রাহঃ) ও আলী ইবন শায়বা বাগদাদী (রাহঃ)..... জুবাইর ইবন মুতইম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্বজনদের হিস্যা বণ্টন করলেন তখন বানূ হাশিম ও বানূ মুত্তালিবকে প্রদান করেছেন কিন্তু বানূ উমাইয়া ও বানূ নাওফলকে কিছুই দিলেন না। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি এবং উসমান (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! ওই বানূ হাশিমকে আল্লাহ্ তা'আলা আপনার কারণে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তা হলে আমাদের ও বানূ মুত্তালিবের অবস্থা কি ? অথচ আমরা ও তারা (বানূ হাশিম) বংশগত দিক দিয়ে এক ও অভিন্ন। তিনি বললেন, বানূ মুত্তালিব জাহিলী এবং ইসলামী যুগে আমার থেকে পৃথক হয়নি।

তাঁরা বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ হিস্যা কতক স্বজনকে প্রদান করেছেন এবং কিছু লোকদেরকে যারা একই রকম আত্মীয়তার অধিকারী ছিলো তাদেরকে বঞ্চিত করেছেন। এতে সাব্যস্ত হলো যে, আল্লাহ্ তা'আলা স্বজনদের জন্য যে হিস্যা নির্ধারণ করেছেন তা থেকে সমস্ত আত্মীয়বর্গ উদ্দেশ্য নয়। বরং তাদের থেকে কিছু বিশেষ স্বজন উদ্দেশ্য এবং এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঠিক সিদ্ধান্তের উপর কার্যকর ছিল, তাদের মাঝে যাদেরকে ইচ্ছা তিনি প্রদান করবেন। যখন তাঁর ওফাত হয়ে গেল এবং তার অভিমত বা সিদ্ধান্ত বাকি রইল না। তাই ঐ স্বজনবর্গের যে হিস্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল শেষ হয়ে গিয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের জন্য গনীমতের সম্পদ থেকে কিছু নিখাদ নির্মল হিস্যা রাখতেন। আর এটা তার (বাহ্যিক) হায়াত পর্যন্ত ছিল যে, তিনি গনীমতের মাল থেকে যা ইচ্ছা গ্রহণ করতেন। যখন তাঁর ওফাত হয়ে গেল তখন এই ধারাবাহিকতাও খতম হয়ে গেল। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।

পক্ষান্তরে অপরাপর কতিপয় 'আলিম এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, যে আত্মীয়বর্গের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা হিস্যা নির্ধারণ করেছেন, তারা হলেন বানূ হাশিম ও বানূ মুত্তালিব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে এর থেকে যা কিছু প্রদান করেছেন তা আল্লাহ্ তা'আলা তাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন এবং সে সময় তিনি তাদের ব্যতীত অন্যদেরকে অর্থাৎ বানূ উমাইয়া ও বানূ নওফলকে প্রদান করতে পারতেন না। কেননা তারা আয়াতের (হুকুমের) অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। বানূ হাশিম ও বানূ মুত্তালিব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে বিশেষ আত্মীয়তার অধীনে আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সুতরাং যখন তাঁরা (ফকীহগণ) এই মতবিরোধ করেছেন তখন প্রত্যেক দল ঐ মতামত গ্রহণ করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং তারা নিজেদের মতামতের সপক্ষে ঐ দলীলসমূহ পেশ করেছেন যা আমরা বর্ণনা করেছি।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল ও বিশ্লেষণ
বস্তুত আমাদের কর্তব্য হলো তা থেকে প্রত্যেকটি অভিমত এবং এর দলীলকে স্পষ্ট করে বর্ণনা করা, যেন আমরা এই মতামতগুলো থেকে বিশুদ্ধ অভিমতটি বের করতে সক্ষম হই। আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে মনোনিবেশ করে লক্ষ্য করেছি এবং ঐ দলের বক্তব্য দ্বারা আলোচনার সূচনা করছি, যারা আয়াতের মধ্যে আত্মীয়দের হিস্যাকে অস্বীকার করে। তারা প্রয়োজন এবং দরিদ্রতার কারণে তাদের হিস্যা সাব্যস্ত করেছে যেমন মিসকীন ও ইয়াতীমদের জন্য তাদের প্রয়োজন এবং দরিদ্রতার কারণে হিস্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। যখন তাদের সকলের থেকে দরিদ্রতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে তখন তাদের থেকে তাদের সংশ্লিষ্ট অধিকারসমূহও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বণ্টনের প্রাক্কালে স্বজনবর্গের হিস্যা বণ্টন করেছন এবং তা সকল বানূ হাশিম ও বানূ মুত্তালিবকে প্রদান করেছেন। তাঁদের মাঝে মালদার ধনীও অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ফকীরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে সাব্যস্ত হলো যে, যদি আত্মীয়তার পরিবর্তে দরিদ্রতাই হতো কারণ তাহলে ঐ হিস্যায় তাদের দরিদ্রদের সঙ্গে ধনীরা শরীক হত না এবং শুধু তাদের ফকীরদের উদ্দেশ্য করা হত, ধনীদের হিস্যা হত না। আর তিনি দরিদ্রদেরকেই দিতেন। যেমন ইয়াতীমদের ব্যাপারে করেছেন। ধনীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, তিনি যা করেছেন তা তাদের আত্মীয়তার কারণেই করেছেন, তাদের দরিদ্রতার কারণে নয়।

পক্ষান্তরে ফাতিমা (রাযিঃ)-এর ঘটনায় আমাদের মতে তাদের মাযহাবের সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। কেননা যখন তিনি (খাদিম) সওয়াল করেছেন তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে এটা বলেন নাই যে, এতে তোমার হক বা অধিকার নেই। যদি বিষয়টি অনুরূপ হত তাহলে তিনি তাকে (ফাতিমা রা কে)ও অনুরূপ বর্ণনা করতেন যেমনটি ফযল ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) ও রবী'আ ইবন হারিস (রাযিঃ)-কে বর্ণনা করেছিলেন, যখন তারা সাদকার উপর আমিল বা তহসিলদার নিযুক্ত হতে চেয়েছিলেন, যেন এর দ্বারা কিছু একটা লাভ করতে পারেন। তিনি তাদেরকে বললেন, এটা মানুষের ময়লা-আবর্জনা এবং এটা মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর আহলে বায়ত তথা পরিবারবর্গ কারো জন্য হালাল নয়।

আবার এটাও হতে পারে যে, তিনি সে সময় এই জন্য তাঁকে খাদিম দেন নাই, যেহেতু তখনো বণ্টন হয় নাই, যখন বণ্টন হয়েছে তখন তিনি তাঁকে এর থেকে তাঁর হক বা অধিকার প্রদান করেছেন এবং অন্যদেরকেও তাদের স্ব-স্ব হক প্রদান করেছেন। সুতরাং সে সময় প্রদান না করার কারণ ছিলো বণ্টন না করা। আর তিনি তো তাঁর জন্য আল্লাহর তাসবীহ, তাহমীদ ও তাহলীলের পথ বলে দিয়েছেন যে, তিনি সমস্ত বাক্যাবলীর দ্বারা তাঁর জন্য আল্লাহর দরগাহে সফলতা এবং তাঁর নৈকট্যতার আশা পোষণ করছিলেন। এটাও হতে পারে যে, তিনি তাঁকে বণ্টনের পরে এ থেকে গোলাম প্রদান করেছেন এবং হাদীসসমূহে কোন কিছু এর পরিপন্থী, তা আমাদের জানা নেই।

এরূপও হতে পারে যে, যদি তিনি তাঁকে গোলাম না দিয়ে থাকেন, সম্ভবত এজন্য যে, তাঁর সঙ্গে তো ফাতেমা (রাযিঃ)-এর 'কারাবাত' বা আত্মীয়তা ছিলো না, বরং তার চেয়ে অর্ধেক নিকট সম্পর্ক ছিলো। কেননা সন্তানের ব্যাপারে এটা বলা হয় না যে, সে পিতার আত্মীয় বরং এই শব্দটি সন্তান ব্যতীত অন্যের জন্য ব্যবহৃত হয় যে সে তার অধিক নিকটবর্তী। তোমরা কি আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণীর প্রতি লক্ষ্য করছ না। قُلْ
مَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ

অর্থাৎ : (লোকে কি ব্যয় করবে সে সম্বন্ধে তোমাকে প্রশ্ন করে) বল, যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতামাতা, আত্মীয়-স্বজনের জন্য। (সূরা : ২ আয়াত : ২১৫) এখানে পিতামাতাকে আত্মীয়-স্বজন থেকে ভিন্ন সাব্যস্ত করেছেন। কেননা তারা আত্মীয়-স্বজন অপেক্ষাও অধিক নিকটবর্তী। তাই যেমনিভাবে সন্তানের আত্মীয়তা থেকে পিতা বেরিয়ে যায় অনুরূপভাবে সন্তানও পিতার আত্মীয়তা থেকে বেরিয়ে যায়।

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)ও ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে অনুরূপ কথা বলেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি, যে বলে যে, আমি অমুকের আত্মীয়তার কারণে আমার সম্পদের এক তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়্যাত করেছি। এতে তার পিতা-মাতা ও সন্তান-সন্ততি অন্তর্ভুক্ত হবে না। কেননা তারা আত্মীয়তা অপেক্ষাও অধিক নিকটবর্তী, আত্মীয় নয়। তারা সাংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই আয়াত দ্বারাই প্রমাণ পেশ করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। বস্তুত এটি অন্য এক বিশ্লেষণ। সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এর দ্বারা ঐ ভিত্তিতে ফাতিমা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত থেকে আত্মীয়দের হিস্যা বিলুপ্তির উপর প্রমাণ পেশ করা খতম হয়ে গিয়েছে।

আর তারা যে আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে তাঁদের উভয়ের আমল দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন এবং সাহাবাগণ যে তাদের বিরুদ্ধে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন নাই, বস্তুত এতে ইজ্তিহাদের অবকাশ ছিলো। তাঁরা এতে চিন্তা-ভাবনা করে নিজেদের ইজ্তিহাদ মুতাবিক ফয়সালা করেছেন এবং এর উপর আমল করেছেন। আর তাঁরা এর উপর ছাওয়াব ও বিনিময় লাভ করবেন। পক্ষান্তরে তাদের এ কথা বলা যে, সাহাবাদের কেউ তাদের পদক্ষেপ অস্বীকার করেন নাই। সুতরাং কারো জন্য এটা অস্বীকার করা কিভাবে জায়িয হতে পারে? যখন কিনা তাঁরা উভয়ে ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ইমাম। এটা ছিলো তাদের এক অভিমত, যার উপর তারা আমল করেছেন। অতএব তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেটাই করেছেন যা তাঁদেরকে শরীয়তের পক্ষ থেকে মুকাল্লাফ (বা আদিষ্ট) করা হয়েছিলো। তবে হ্যাঁ! অন্য সাহাবাদের অভিমত তাদের পরিপন্থী ছিলো। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে প্রদত্ত ফয়সালার ব্যাপারে তাঁদের উপর কঠোরতা করেন নাই। কেননা তাতে ভিন্ন অভিমতের অবকাশ ছিলো এবং ইজ্তিহাদেও সকলের অনুমতি ছিলো। অনন্তর আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) একটি অভিমত গ্রহণ করেছেন এবং ফয়সালা দিয়েছেন। পক্ষান্তরে তাদের বিরোধীগণ অন্য অভিমত গ্রহণ করেছেন যা তাঁদের ইজ্তিহাদের দাবি ছিলো, আর এই সব মনীষীগণ নিজেদের প্রত্যেক ইজ্তিহাদের বিনিময় ও ছাওয়াব লাভ করবেন। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পুরা করেছেন, তাই তাঁরা একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে তার বক্তব্যের প্রতি অস্বীকৃতিজ্ঞাপন করেন নাই। কেননা তার তো একটি অভিমত রয়েছে এবং তাঁদের কারো জন্যই তার বক্তব্যের সপক্ষে কুরআন, সুন্নাহ ও ইজ্‌মা থেকে স্পষ্ট কোন কিছু (দলীল) নেই।

আর আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর অভিমতের বিরোধিতা করার প্রমাণ হলো ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বক্তব্য। তিনি বলেন, আমরা ধারণা করতাম যে, আমরাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু আমাদের কওম তা অস্বীকার করেছে। সুতরাং ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলছেন যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের কওম তাদের অভিমতের বিরোধিতা করেছে। উমার (রাযিঃ) তাদেরকে আহ্বান জানালেন যে, তিনি ওই হিস্যা থেকে তাঁদের বিধবাদেরকে বিবাহ দিয়ে দিবেন এবং তাঁদের বস্ত্রহীনদের পোশাক পরিয়ে দিবেন। তিনি বলেন, আমরা শুধু ঐ কথাটি মেনে নিলাম যে, ঐ সমস্ত সম্পদ আমাদেরকে প্রদান করবে। এতে প্রমাণিত হলো যে, তারা আবু বকর (রাযিঃ)-এর পরে উমার (রাযিঃ)-এর খিলাফতের যুগেও ওই বিষয়ের উপর কায়েম ছিলেন এবং তাঁরা আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর অভিমতের কারণে নিজেদের অভিমতকে পরিত্যাগ করেন নাই। অতএব আমরা যা উল্লেখ করেছি তাতে প্রমাণিত হলো যে, এ হুকুম আবু বকর (রাযিঃ), উমার (রাযিঃ) ও অপরাপর সমস্ত সাহাবাদের নিকট মতবিরোধপূর্ণ এবং ইতিহাদের অবকাশপূর্ণ ছিল।

তাদের একথা বলা যে, আলী (রাযিঃ)-এর খিলাফতের যুগে বিষয়টি বহাল ছিলো, উক্ত নীতিতে তিনি কোনরূপ পরিবর্তন করেন নাই, যা আবু বকর (রাযিঃ) উমার (রাযিঃ) প্রবর্তন করেছিলেন। তারা বলেন, এটা একথার দলীল যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাযিঃ)-এর অভিমতও সেটা ছিলো যা ঐ দু'জনের ছিলো। কিন্তু এ বিষয়টি ঐরূপ নয় যেরূপ তারা উল্লেখ করেছেন। কেননা যা কিছু আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর নিকটে ছিলো তা আলী (রাযিঃ)-এর নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। কেননা যা কিছু তাঁদের লাভ হয়েছে তাঁরা স্বীয় মতামতের ভিত্তিতে যেখানে উপযোগী ও সঠিক মনে করেছেন ব্যয় করেছেন। অতঃপর যখন আলী (রাযিঃ) খিলাফত লাভ করলেন তখন জানা নেই যে, তিনি কাউকে কয়েদী বানিয়েছেন কিংবা কোন শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছেন। না তিনি এরূপ গনীমত লাভ করেছেন যাতে আল্লাহর জন্য খুমুস (এক পঞ্চমাংশ) ওয়াজিব হয়। কেননা তার পুরা খিলাফত যুগ ওই সমস্ত বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অতিবাহিত হয়েছে, যাদের থেকে না কোন কয়েদী বানানো হয়েছে না গনীমতের মাল অর্জিত হয়েছে। আলী (রাযিঃ)-এর বক্তব্য প্রমাণ হতো তখন যখন তিনি কাউকে কয়েদী বানাতেন এবং গনীমতের মাল লাভ করতেন। আর তিনি তাতে ঐ আমল করতেন যা আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) খুমুসের তথা পঞ্চমাংশের ব্যাপারে করেছেন। কিন্তু যখন তিনি কয়েদী বানান নাই এবং গনীমতের মাল লাভ করেন নাই তখন কোন ব্যক্তি এই বিষয়কে দলীল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেনা যে, পূর্ব থেকে প্রচলিত আমলের মধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। যদি তাঁর নিকট পূর্ব থেকে মালে গনীমত থেকে অবশিষ্ট কিছু মাল হত অতঃপর তিনি তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আত্মীয়-স্বজনের উপর হারাম করতেন তখনো এটা এ বিষয়ে তাদের মাযহাবের সপক্ষে প্রমাণ হতনা। আর এটা কিভাবে প্রমাণ হবে যখন কিনা এই মাল তাঁর পর্যন্ত সে সময় পৌঁছেছে যখন পূর্বোক্ত ইমামের পক্ষ থেকে তাতে বিধান জারী হয়ে গিয়েছে। এখন আর তাঁর জন্য সেই বিধান বাতিল করার অধিকার নেই। যদিও তাঁর অভিমত ওটার পরিপন্থীও হয়। কিন্তু এই হুকুমের মাঝে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। আর যদি এই বিষয়ে আলী (রাযিঃ)-এর অভিমত আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর অভিমতের অনুকূলবর্তী হত তাহলে এখানে এর বিরোধী ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর ওই বক্তব্যের অনুকূলে বলত যে, “আমরা আমাদের নিজেদেরকে রাসূলের আত্মীয়-স্বজন মনে করতাম। কিন্তু আমাদের কওম এ বিষয়ে আমাদের কথা মানে নি।” যে সসমস্ত লোকেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় এবং ওফাতের পরে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের হিস্যা অস্বীকার করে এবং বলে যে, তাঁরা এ বিষয়ে অপরাপর ফকীরদের ন্যায়। এগুলো তাদের প্রমাণপঞ্জির জবাবসমূহ। সুতরাং এই মাযহাব বাতিল হয়ে গেল এবং অপর দুটি থেকে একটি মাযহাব সাব্যস্ত হলো।

তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ
আমরা ঐ ব্যক্তির অভিমত পর্যবেক্ষণ করার ইচ্ছা পোষণ করছি যে কি-না রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর (ওফাতের) পরে ওই হিস্যাকে খলীফার আত্মীয়-স্বজনের জন্য সাব্যস্ত করেছে। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হিস্যা খলীফার জন্য নির্ধারণ করেছে। এর জন্য কি কোন দলীল আছে? আমরা লক্ষ্য করছি যে, তাঁর (ﷺ) জন্য এক নিখাদ ও খালিস হিস্যা এবং খুমুস তথা পঞ্চমাংশের পঞ্চমাংশ দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে। অধিকন্তু গনীমতের সম্পদে অপরাপর মুসলমানের ন্যায় তাঁর হিস্যা ছিল। এর পর আমরা তাদের (ফকীহদের) কে এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করতে দেখছি যে, নিখাদ ও খালিস হিস্যা যেটি তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরে কেউ পাবেনা এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হুকুম তাঁর পরবর্তী ইমাম তথা শাসকদের থেকে ভিন্ন। এতে এটাও সাব্যস্ত হলো যে, পঞ্চমাংশের পঞ্চমাংশ-এর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হুকুম তাঁর পরবর্তী ইমাম বা শাসকদের থেকে ভিন্ন। এতে প্রমাণিত হলো যে, যা কিছু আমরা বর্ণনা করেছি তাতে তাঁর হুকুম তাঁর পরবর্তী শাসকদের হুকুমের পরিপন্থী। সুতরাং সাব্যস্ত হলো যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর আত্মীয়-স্বজনের হুকুম ও তাঁরপরবর্তী ইমাম তথা শাসকদের আত্মীয়-স্বজনের হুকুম থেকে ভিন্নতর। অতএব বিগত দুই অভিমত থেকে একটি সাব্যস্ত হলো।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে নিম্নোক্ত আয়াতটি দেখেছি। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন :وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ

অর্থাৎ : আরো জেনে রাখ যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর রাসূলের রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, দরিদ্রদের এবং পথচারীদের। (সূরা: ৮ আয়াত: ৪১) তাই যতক্ষণ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জীবিত ছিলেন তাঁর হিস্যা বহাল ছিল। অতঃপর তাঁর ইন্তিকাল হয়ে গিয়েছে এবং তাঁর ইন্তিকালের সঙ্গেই এই হিস্যা খতম হয়ে গিয়েছে। পক্ষান্তরে ইয়াতীম, মিসকীন ও পথচারীদের হিস্যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাতের পরেও অনুরূপভাবে বহাল ছিলো, যেমন এর পূর্বে ছিল। অতঃপর তাঁরা (ফকীহগণ) আত্মীয়-স্বজনের হিস্যা সম্পর্কে মতবিরোধ করেছেন। একদল 'আলিম বলেছেন, তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাতের পরেও তাদের জন্য হবে, যেমনটি তাঁর জীবদ্দশায় তাঁদের জন্য ছিল। পক্ষান্তরে অন্য একদল 'আলিম বলেন যে, তাঁর ইন্তিকালের কারণে তাঁদের থেকে তা খতম হয়ে গিয়েছে এবং আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদেরকে 'রাসূলের স্বজনদের' তাঁর এই বাণীতে একত্রিত করেছেন, তাদের থেকে কাউকে নির্দিষ্ট করেন নাই। অতঃপর নবী (ﷺ) ওই হিস্যা বণ্টন করেছেন তাদের থেকে বানু হাশিম ও বানূ মুত্তালিবকে বিশেষভাবে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে বানূ উমাইয়া ও বানূ নওফলকে বঞ্চিত করেছেন। অথচ তাঁরা (গণনার দিক দিয়ে) ছিলেন স্বল্প সংখ্যক। আর যাদেরকে তিনি দান করেছেন তাদের মাঝে ধনীও ছিল এবং ফকীরও যাদেরকে বঞ্চিত করেছেন (দেন নাই) তাদেরও এই অবস্থা ছিল (ধনী ও দরিদ্র)। এতে প্রমাণিত হল যে, ওই হিস্যা নবী (ﷺ)-এর জন্য ছিল। সুতরাং তিনি যে আত্মীয় স্বজনদেরকে দিতে চেয়েছেন দান করেছেন। তাই এরূপভাবে এর হুকুম তাঁর ঐ হিস্যার ন্যায় হয়ে গিয়েছে যা খালিসরূপে তাঁর জন্য ছিল। যেভাবে তাঁর ওফাতের দ্বারা ওই হিস্যা খতম হয়ে গিয়েছে তাঁর (ওফাতের) পরে কারো জন্য তা ওয়াজিব নয়, অনুরূপভাবে তাঁর ইন্তিকালে এই হিস্যাও বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং তাঁর পরে কারো জন্য তা ওয়াজিব নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত এটাই।
5224 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَحْرِ بْنِ مَطَرٍ وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ الْبَغْدَادِيَّانِ , قَالَا: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ , قَالَ: لَمَّا قَسَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى , أَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , وَلَمْ يُعْطِ بَنِي أُمَيَّةَ شَيْئًا , وَبَنِي نَوْفَلٍ فَأَتَيْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ , هَؤُلَاءِ بَنُو هَاشِمٍ , فَضَّلَهُمُ اللهُ بِكَ , فَمَا بَالُنَا وَبَنِي الْمُطَّلِبِ؟ وَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ فِي النَّسَبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ [ص:236] فَقَالَ: «إِنَّ بَنِي الْمُطَّلِبِ لَمْ يُفَارِقُونِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَلَا فِي الْإِسْلَامِ» قَالُوا: فَلَمَّا أَعْطَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ السَّهْمَ بَعْضَ الْقَرَابَةِ , وَحَرَمَ مِنْ قَرَابَتِهِ مِنْهُ كَقَرَابَتِهِمْ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ اللهَ لَمْ يُرِدْ بِمَا جَعَلَ لِذَوِي الْقُرْبَى , كُلَّ قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَإِنَّمَا أَرَادَ بِهِ خَاصًّا مِنْهُمْ , وَجَعَلَ الرَّأْيَ فِي ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَضَعُهُ فِيمَنْ شَاءَ مِنْهُمْ , وَإِذَا مَاتَ فَانْقَطَعَ رَأْيُهُ , انْقَطَعَ مَا جُعِلَ لَهُمْ مِنْ ذَلِكَ , كَمَا قَدْ جَعَلَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَصْطَفِيَ مِنَ الْمَغْنَمِ لِنَفْسِهِ سَهْمَ الصَّفِيِّ , فَكَانَ ذَلِكَ مَا كَانَ حَيًّا , يَخْتَارُ لِنَفْسِهِ مِنَ الْمَغْنَمِ مَا شَاءَ , فَلَمَّا مَاتَ انْقَطَعَ ذَلِكَ وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ ذَوُو الْقُرْبَى الَّذِينَ جَعَلَ اللهُ لَهُمْ مِنْ ذَلِكَ مَا جَعَلَ , هُمْ: بَنُو هَاشِمٍ , وَبَنُو الْمُطَّلِبِ فَأَعْطَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَعْطَاهُمْ , مِنْ ذَلِكَ بِجَعْلِ اللهِ , عَزَّ وَجَلَّ , ذَلِكَ لَهُمْ , وَلَمْ يَكُنْ لَهُ حِينَئِذٍ أَنْ يُعْطِيَ غَيْرَهُمْ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ , وَبَنِي نَوْفَلٍ , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَدْخُلُوا فِي الْآيَةِ وَإِنَّمَا دَخَلَ فِيهَا مِنْ قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بَنُو هَاشِمٍ , وَبَنُو الْمُطَّلِبِ خَاصَّةً فَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي هَذَا هَذَا الِاخْتِلَافَ , فَذَهَبَ كُلُّ فَرِيقٍ إِلَى مَا ذَكَرْنَا وَاحْتَجَّ لِقَوْلِهِ بِمَا وَصَفْنَا , وَجَبَ أَنْ نَكْشِفَ كُلَّ قَوْلٍ مِنْهَا , وَمَا ذَكَرْنَا مِنْ حُجَّةِ قَائِلِهِ , لِنَسْتَخْرِجَ مِنْ هَذِهِ الْأَقَاوِيلِ قَوْلًا صَحِيحًا , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَابْتَدَأْنَا بِقَوْلِ الَّذِي نَفَى أَنْ يَكُونَ لَهُمْ فِي الْآيَةِ شَيْءٌ بِحَقِّ الْقَرَابَةِ , وَأَنَّهُ إِنَّمَا جَعَلَ لَهُمْ فِيهَا مَا جَعَلَ لِحَاجَتِهِمْ وَفَقْرِهِمْ , كَمَا جَعَلَ لِلْمِسْكِينِ وَالْيَتِيمِ فِيهَا مَا جَعَلَ , لِحَاجَتِهِمَا وَفَقْرِهِمَا , فَإِذَا ارْتَفَعَ الْفَقْرُ عَنْهُمْ جَمِيعًا ارْتَفَعَتْ حُقُوقُهُمْ مِنْ ذَلِكَ فَوَجَدْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ قَسَّمَ سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى حِينَ قَسَّمَهُ فَأَعْطَى بَنِي هَاشِمٍ , وَبَنِي الْمُطَّلِبِ , وَعَمَّهُمْ بِذَلِكَ جَمِيعًا , وَقَدْ كَانَ فِيهِمُ الْغَنِيُّ وَالْفَقِيرُ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ كَانَ مَا جَعَلَ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , هُوَ لِعِلَّةِ الْفَقْرِ , لَا لِعِلَّةِ الْقَرَابَةِ , إِذَا لَمَا دَخَلَ أَغْنِيَاؤُهُمْ فِي فُقَرَائِهِمْ فِيمَا جُعِلَ لَهُمْ مِنْ ذَلِكَ , وَلَقَصَدَ إِلَى الْفُقَرَاءِ مِنْهُمْ , دُونَ الْأَغْنِيَاءِ فَأَعْطَاهُمْ , كَمَا فَعَلَ فِي الْيَتَامَى فَلَمَّا أَدْخَلَ أَغْنِيَاءَهُمْ فِي فُقَرَائِهِمْ , ثَبَتَ بِذَلِكَ , أَنَّهُ قَصَدَ بِذَلِكَ إِلَى أَعْيَانِ الْقَرَابَةِ لِعِلَّةِ قَرَابَتِهِمْ , لَا لِعِلَّةِ فَقْرِهِمْ وَأَمَّا مَا ذَكَرُوا مِنْ حَدِيثِ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , حَيْثُ سَأَلَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُخْدِمَهَا خَادِمًا , مِنَ السَّبْيِ الَّذِي كَانَ قَدِمَ عَلَيْهِ , فَلَمْ يَفْعَلْ , وَوَكَلَهَا إِلَى ذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَالتَّسْبِيحِ فَهَذَا لَيْسَ فِيهِ , عِنْدَنَا , دَلِيلٌ لَهُمْ عَلَى مَا ذَكَرُوا , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقُلْ لَهَا حِينَ سَأَلَتْهُ: لَا حَقَّ لَكَ فِيهِ , وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَبَيَّنَ ذَلِكَ لَهَا كَمَا بَيَّنَهُ لِلْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ , وَرَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ , حِينَ سَأَلَا أَنْ [ص:237] يَسْتَعْمِلَهُمَا عَلَى الصَّدَقَةِ , لِيُصِيبَا مِنْهَا , فَقَالَ لَهُمَا إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ , وَأَنَّهَا لَا تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ , وَلَا لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ «, وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ لَمْ يُعْطِهَا الْخَادِمَ حِينَئِذٍ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ قَسَمَ , فَلَمَّا قَسَمَ أَعْطَاهَا حَقَّهَا مِنْ ذَلِكَ , وَأَعْطَى غَيْرَهَا أَيْضًا حَقَّهُ فَيَكُونُ تَرْكُهُ إِعْطَاءَهَا إِنَّمَا كَانَ لِأَنَّهُ لَمْ يُقْسِمْ , وَدَلَّهَا عَلَى تَسْبِيحِ اللهِ , وَتَحْمِيدِهِ , وَتَهْلِيلِهِ الَّذِي يَرْجُو لَهَا بِهِ الْفَوْزَ مِنَ اللهِ تَعَالَى , وَالزُّلْفَى عِنْدَهُ وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَدْ أَخْدَمَهَا مِنْ ذَلِكَ , بَعْدَمَا قَسَّمَ , وَلَا نَعْلَمُ فِي الْآثَارِ مَا يَدْفَعُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَنَعَهَا مِنْ ذَلِكَ , إِنْ كَانَ مَنَعَهَا مِنْهُ , لِأَنَّهَا لَيْسَتْ قَرَابَةً , وَلَكِنْ أَقْرَبُ مِنَ الْقَرَابَةِ , لِأَنَّ الْوَلَدَ لَا يُقَالُ هُوَ مِنْ قَرَابَةِ أَبِيهِ , إِنَّمَا يُقَالُ ذَلِكَ لِمَنْ غَيْرُهُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْهُ أَلَا تَرَى , إِلَى قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ» قُلْ مَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ " فَجَعَلَ الْوَالِدَيْنِ غَيْرَ الْأَقْرَبِينَ , لِأَنَّهُمْ أَقْرَبُ مِنَ الْأَقْرَبِينَ فَكَمَا كَانَ الْوَالِدُ يَخْرُجُ مِنْ قَرَابَةِ وَلَدِهِ , فَكَذَلِكَ الْوَلَدُ يَخْرُجُ مِنْ قَرَابَةِ وَالِدِهِ وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , نَحْوًا مِمَّا ذَكَرْنَا فِي رَجُلٍ قَالَ: قَدْ أَوْصَيْتُ بِثُلُثِ مَالِي , لِقَرَابَةِ فُلَانٍ , أَنَّ وَالِدَيْهِ وَوَلَدَهُ لَا يَدْخُلُونَ فِي ذَلِكَ , لِأَنَّهُمْ أَقْرَبُ مِنَ الْقَرَابَةِ , وَلَيْسُوا بِقَرَابَةٍ , وَاحْتَجَّ فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآيَةِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا , فَهَذَا وَجْهٌ آخَرُ فَارْتَفَعَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ لَهُمْ أَيْضًا بِحَدِيثِ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هَذَا , حُجَّةٌ فِي نَفْيِ سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى وَأَمَّا مَا احْتَجُّوا بِهِ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ فِعْلِهِمَا , وَأَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنْكِرُوا ذَلِكَ عَلَيْهِمَا , فَإِنَّ هَذَا مِمَّا يَسَعُ فِيهِ اجْتِهَادُ الرَّأْيِ , فَرَأَيَا هُمَا ذَلِكَ , وَاجْتَهَدَا , فَكَانَ مَا أَدَّاهُمَا إِلَيْهِ اجْتِهَادُهُمَا , هُوَ مَا رَأَيَا فِي ذَلِكَ فَحَكَمَا بِهِ , وَهُوَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِمَا , وَهُمَا فِي ذَلِكَ مُثَابَانِ مَأْجُورَانِ , وَأَمَّا قَوْلُهُمْ: وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِمَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يُنْكِرَ ذَلِكَ عَلَيْهِمَا أَحَدٌ , وَهُمَا إِمَامَانِ عَدْلَانِ , رَأَيَا رَأْيًا فَحَكَمَا بِهِ , فَفَعَلَا فِي ذَلِكَ الَّذِي كُلِّفَا؟ وَلَكِنْ قَدْ رَأَى فِي ذَلِكَ غَيْرُهُمَا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخِلَافِ مَا رَأَيَا , فَلَمْ يُعَنِّفُوهُمَا فِيمَا حَكَمَا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , إِذْ كَانَ الرَّأْيُ فِي ذَلِكَ وَاسِعًا , وَالِاجْتِهَادُ لِلنَّاسِ جَمِيعًا فَأَدَّى أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا رَأْيَهُمَا فِي ذَلِكَ إِلَى مَا رَأَيَا وَحَكَمَا , وَأَدَّى غَيْرُهُمَا مِمَّنْ خَالَفَهُمَا اجْتِهَادَهُ فِي ذَلِكَ إِلَى مَا رَآهُ , وَكُلٌّ مَأْجُورٌ فِي اجْتِهَادِهِ فِي ذَلِكَ , مُثَابٌ مُؤَدٍّ لِلْفَرْضِ الَّذِي عَلَيْهِ , وَلَمْ يُنْكِرْ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ قَوْلَهُ , لِأَنَّ مَا خَالَفَ إِلَيْهِ هُوَ رَأْيٌ , وَالَّذِي قَالَهُ مُخَالِفُهُ هُوَ رَأْيٌ أَيْضًا , وَلَا تَوْقِيفَ مَعَ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِقَوْلِهِ , مِنْ كِتَابٍ , وَلَا سُنَّةٍ , وَلَا إِجْمَاعٍ , [ص:238] وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَدْ كَانَا خُولِفَا فِيمَا رَأَيَا مِنْ ذَلِكَ , قَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: قَدْ كُنَّا نَرَى أَنَّا نَحْنُ هُمْ قَرَابَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا , فَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ رَأَوْا فِي ذَلِكَ رَأْيًا , أَبَاهُ عَلَيْهِمْ قَوْمُهُمْ , وَأَنَّ عُمَرَ دَعَاهُمْ إِلَى أَنْ يُزَوِّجَ مِنْهُ أَيِّمَهُمْ وَيَكْسُوَ مِنْهُ عَارِيَهُمْ , قَالَ: فَأَبَيْنَا عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يُسَلِّمَهُ لَنَا كُلَّهُ , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا عَلَى هَذَا الْقَوْلِ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بَعْدَ أَبِي بَكْرٍ , وَأَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا نَزَعُوا عَمَّا كَانُوا رَأَوْا مِنْ ذَلِكَ , لِرَأْيِ أَبِي بَكْرٍ وَلَا رَأْيِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ حُكْمَ ذَلِكَ كَانَ عِنْدَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ , وَعِنْدَ سَائِرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَحُكْمِ الْأَشْيَاءِ الَّتِي تُخْتَلَفُ فِيهَا الَّتِي يَسَعُ فِيهَا اجْتِهَادُ الرَّأْيِ , وَأَمَّا قَوْلُهُمْ: ثُمَّ أُفْضِيَ الْأَمْرُ إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَلَمْ يُغَيِّرْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ , عَمَّا كَانَ وَضَعَهُ عَلَيْهِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالُوا: فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ رَأَى فِي ذَلِكَ أَيْضًا , مِثْلَ الَّذِي رَأَيَا , فَلَيْسَ ذَلِكَ كَمَا ذَكَرُوا , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ بَقِيَ فِي يَدِ عَلِيٍّ مِمَّا كَانَ وَقَعَ فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ لِأَنَّهُمَا لَمَّا كَانَ ذَلِكَ , وَقَعَ فِي أَيْدِيهِمَا , أَنْفَذَاهُ فِي وُجُوهِهِ الَّتِي رَأَيَاهَا فِي ذَلِكَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِمَا , ثُمَّ أُفْضِيَ الْأَمْرُ إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , فَلَمْ يُعْلَمْ أَنَّهُ سَبَى أَحَدًا وَلَا ظَهَرَ عَلَى أَحَدٍ مِنَ الْعَدُوِّ , وَلَا غَنِمَ غَنِيمَةً يَجِبُ فِيهَا خُمُسٌ لِلَّهِ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ شُغْلُهُ فِي خِلَافَتِهِ كُلِّهَا , بِقِتَالِ مَنْ خَالَفَهُ , مِمَّنْ لَا يُسْبَى وَلَا يُغْنَمُ وَإِنَّمَا يُحْتَجُّ بِقَوْلِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ لَوْ سَبَى وَغَنِمَ , فَفَعَلَ فِي ذَلِكَ مِثْلَ مَا كَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَعَلَا فِي الْأَخْمَاسِ وَأَمَّا إِذَا لَمْ يَكُنْ سَبَى وَلَا غَنِمَ , فَلَا حُجَّةَ لِأَحَدٍ فِي تَغْيِيرِ مَا كَانَ فُعِلَ قَبْلَهُ مِنْ ذَلِكَ وَلَوْ كَانَ بَقِيَ فِي يَدِهِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ , مِمَّا كَانَ غَنِمَهُ مِنْ قَبْلِهِ , فَحَرَمَهُ ذَوِي قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمَا كَانَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا حُجَّةٌ تَدُلُّ عَلَى مَذْهَبِهِ فِي ذَلِكَ كَيْفَ كَانَ؟ لِأَنَّ ذَلِكَ إِنَّمَا صَارَ إِلَيْهِ بَعْدَمَا نَفَذَ فِيهِ الْحَكَمُ مِنَ الْإِمَامِ الَّذِي كَانَ قَبْلَهُ فَلَمْ يَكُنْ لَهُ إِبْطَالُ ذَلِكَ الْحُكْمِ , وَإِنْ كَانَ هُوَ يَرَى خِلَافَهُ , لِأَنَّ ذَلِكَ الْحُكْمَ مِمَّا يَخْتَلِفُ فِيهِ الْعُلَمَاءُ , وَلَوْ كَانَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ رَأَى فِي ذَلِكَ مَا كَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا رَأَيَاهُ فِي قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَدْ خَالَفَهُ , لِقَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: كُنَّا نَرَى أَنَّا نَحْنُ هُمْ , فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا , فَهَذَا جَوَابَاتُ الْحُجَجِ الَّتِي احْتَجَّ بِهَا الَّذِينَ نَفَوْا سَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى أَنْ يَكُونَ وَاجِبًا لَهُمْ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا فِي حَيَاتِهِ , وَأَنَّهُمْ كَانُوا فِي ذَلِكَ كَسَائِرِ الْفُقَرَاءِ فَبَطَلَ هَذَا الْمَذْهَبُ , فَثَبَتَ أَحَدُ الْمَذَاهِبِ الْأُخَرِ , فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي قَوْلِ مَنْ جَعَلَهُ لِقَرَابَةِ الْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَجَعَلَ سَهْمَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ هَلْ لِذَلِكَ وَجْهٌ؟ [ص:239] فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ فُضِّلَ بِسَهْمِ الصَّفِيِّ وَبِخُمُسِ الْخُمُسِ , وَجُعِلَ لَهُ مَعَ ذَلِكَ فِي الْغَنِيمَةِ سَهْمٌ كَسَهْمِ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثُمَّ رَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ سَهْمَ الصَّفِيِّ لَيْسَ لِأَحَدٍ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَنَّ حُكْمَ رَسُولِ اللهِ فِي ذَلِكَ خِلَافُ حُكْمِ الْإِمَامِ مِنْ بَعْدِهِ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ حُكْمَهُ فِي خُمُسِ الْخُمُسِ , خِلَافُ حُكْمِ الْإِمَامِ مِنْ بَعْدِهِ ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَهُ فِيمَا وَصَفْنَاهُ خِلَافُ حُكْمِ الْإِمَامِ مِنْ بَعْدِهِ , ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ قَرَابَتِهِ فِي ذَلِكَ خِلَافُ حُكْمِ قَرَابَةِ الْإِمَامِ مِنْ بَعْدِهِ , قُلِّبَ أَحَدُ الْقَوْلَيْنِ مِنَ الْآخَرَيْنِ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَإِذَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ {وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ} [الأنفال: 41] فَكَانَ سَهْمُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَارِيًا لَهُ , مَا كَانَ حَيًّا إِلَى أَنْ مَاتَ , وَانْقَطَعَ بِمَوْتِهِ , وَكَانَ سَهْمُ الْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ ثُمَّ اخْتَلَفُوا فِي سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى , فَقَالَ قَوْمٌ: هُوَ لَهُمْ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَمَا كَانَ لَهُمْ فِي حَيَاتِهِ , وَقَالَ قَوْمٌ: قَدِ انْقَطَعَ عَنْهُمْ بِمَوْتِهِ , وَكَانَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ جَمَعَ كُلَّ قَرَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ «وَلِذِي الْقُرْبَى» فَلَمْ يَخُصَّ أَحَدًا مِنْهُمْ دُونَ أَحَدٍ ثُمَّ قَسَمَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَعْطَى مِنْهُمْ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ خَاصَّةً , وَحَرَمَ بَنِي أُمَيَّةَ , وَبَنِي نَوْفَلٍ , وَقَدْ كَانُوا مَحْصُورِينَ مَعْدُودِينَ , وَفِيمَنْ أَعْطَى الْغَنِيُّ وَالْفَقِيرُ , وَفِيمَنْ حَرَمَ كَذَلِكَ فَثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ السَّهْمَ كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَجَعَلَهُ فِي أَيِّ قَرَابَتِهِ شَاءَ , فَصَارَ بِذَلِكَ حُكْمُهُ حُكْمَ سَهْمِهِ الَّذِي كَانَ يَصْطَفِي لِنَفْسِهِ فَكَمَا كَانَ ذَلِكَ مُرْتَفِعًا بِوَفَاتِهِ , غَيْرَ وَاجِبٍ لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ , كَانَ هَذَا أَيْضًا كَذَلِكَ مُرْتَفِعًا بِوَفَاتِهِ , غَيْرَ وَاجِبٍ لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান