শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫১৯৪
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫১৯৪। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. সালিহ ইব্‌ন ইবরাহীম ইব্‌ন আব্দুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রাহঃ) তৎ পিতা থেকে তিনি তার পিতামহ [আব্দুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রাযিঃ)] থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিহতের অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান হত্যাকারীর জন্য সাব্যস্ত করেছেন।
بَابُ الرَّجُلِ يَقْتُلُ قَتِيلًا فِي دَارِ الْحَرْبِ , هَلْ يَكُونُ لَهُ سَلْبُهُ أَمْ لَا؟
5194 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ , قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , جَعَلَ السَّلَبَ لِلْقَاتِلِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫১৯৫
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫১৯৫। হাসান ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মনসুর (রাহঃ) ..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মুশরিক লড়ার জন্য আহ্বান করলে নবী(ﷺ) যুবাইর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন তার বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার জন্য। তিনি বেরিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলেন। অনন্তর নবী(ﷺ) তার অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান যুবাইর (রাযিঃ)-এর জন্য সাব্যস্ত করলেন।
5195 - حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ , عَنْ شَرِيكٍ , عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: انْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزُّبَيْرَ فَخَرَجَ إِلَيْهِ فَقَتَلَهُ , فَجَعَلَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلَبَهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৯৭
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫১৯৬-৯৭। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রাযিঃ) ও আওফ ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) (নিহত ব্যক্তির) অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান হত্যাকারীর জন্য ফয়সালা দিয়েছেন।
97- 5196 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ صَفْوَانِ بْنِ عَمْرٍو السَّكْسَكِيِّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَعَوْفِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫১৯৮
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫১৯৮। রবী' উল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আওফ ইব্‌ন মালিক আল-আশজাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মৃত্যুর দিন খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রাযিঃ) কে বললাম, আপনি কি অবহিত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিহত শত্রুর মাল-সামানে খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ রাখেন নি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি অবহিত আছ।
5198 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ , قَالَ: قُلْتُ لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ يَوْمَ مَوْتِهِ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُخَمِّسِ السَّلَبَ؟ قَالَ: بَلَى "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫১৯৯
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫১৯৯। ইউনুস (রাহঃ) ….. আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী(ﷺ) তাঁকে ঐ নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান ‘নাফল’ হিসাবে প্রদান করেছেন, যাকে তিনি হত্যা করেছিলেন।
5199 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ , عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَّلَ أَبَا قَتَادَةَ , سَلَبَ قَتِيلٍ قَتَلَهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০০
আন্তর্জাতিক নং: ৫২০১
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০০-০১। ইউনুস (রাহঃ) ….. আবু কাতাদা ইব্‌ন রাবঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা গাযওয়া হুনায়নের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সঙ্গে বের হলাম। যখন আমরা পারস্পরিক মুকবিলায় অবতীর্ণ হলাম তখন মুসলমানদের (কিছুটা) ছুটাছুটি অবস্থা ছিল। বলেন, আমি এক মুশরিককে এক মুসলমানের উপর আক্রমণ করতে দেখে তার দিকে ফিরে গেলাম এবং পিছনের দিক থেকে এসে তার গর্দানে তরবারি দিয়ে আঘাত হানলাম এবং তার লৌহবর্মের শিকল কেটে দিলাম। অতঃপর সে আমার দিকে মনােনিবেশ করল এবং আমাকে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে এমনভাবে ঝাপটে ধরল যে, এতে আমি মৃত্যুর ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম। এরপর তার মৃত্যু এসে গেল, তখন সে আমাকে ছেড়ে দিল। আমি উমার ইব্‌ন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম এবং লোকদের অবস্থা কি জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, যেমন আল্লাহর হুকুম। অতঃপর লােকেরা ফিরে এলাে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে আর এ বিষয়ে যদি তার প্রমাণ থাকে তবে তার (হত্যাকারীর) জন্য হবে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান। বললেন, আমি দাঁড়ালাম এবং বললাম, আমার সাক্ষ্য কে দিবে? এরপর বসে গেলাম, এর পর দ্বিতীয় বার বললাম তৃতীয় বারও সেই কথাটি বললাম। আমি এর পর দাঁড়িয়ে গেলাম, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, হে আবু কাতাদা! কি ব্যাপার, আমি পুরাে ঘটনা তাকে বিবৃত করলাম। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি সত্য বলেছেন এবং ঐ নিহত ব্যক্তির মাল-সামান আমার কাছে রয়েছে। তাকে আমার পক্ষ থেকে রাজি করিয়ে দিন ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আবু বকর ছিদ্দিক (রাযিঃ) বললেন, না আল্লাহর কসম! তিনি তা করবেননা যে, আল্লাহর এক সিংহ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে লড়েছেন আর তাঁর মাল-সামান তােমাকে প্রদান করবেন। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, সে সত্য বলেছে, তুমি তাকে এগুলাে দিয়ে দাও। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বলেন, অনন্তর সে ঐ মাল-সামান আমাকে দিয়ে দিল। আমি লৌহবর্ম বিক্রয় করে তা দ্বারা বানূ সালমা (গােত্রে খেজুরের) একটি বাগান খরীদ করেছি এবং এটি আমার ইসলামে অর্জিত সর্বপ্রথম সম্পদ।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) .....আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি এক পৌত্তলিককে হত্যা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার মাল-সামান ও লৌহবর্ম নাফল হিসাবে দান করেছেন। অনন্তর তিনি সেটি (লৌহবর্ম) পাঁচ উকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে বিক্রয় করে দিয়েছেন। (এক উকিয়া দেড় আউন্স সমপরিমাণ)
5200 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ , عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ , مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: " خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَنِينٍ , فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ , قَالَ: فَرَأَيْتُ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ , قَدْ عَلَا رَجُلًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ , فَاسْتَدَرْتُ لَهُ , حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ , فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ ضَرْبَةً حَتَّى قَطَعَتْ حَبْلَ الدِّرْعِ , فَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً حَتَّى وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ , ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ , فَأَرْسَلَنِي , فَلَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَقُلْتُ: مَا بَالُ النَّاسِ؟ فَقَالَ: أَمْرُ اللهِ , ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ , فَلَهُ سَلَبُهُ قَالَ فَقُمْتُ فَقُلْتُ: مَنْ يَشْهَدُ لِي؟ ثُمَّ جَلَسْتُ , ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّانِيَةَ , ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّالِثَةَ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَالُكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ؟ فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: صَدَقَ يَا رَسُولَ اللهِ , وَسَلَبُ ذَلِكَ الْقَتِيلِ عِنْدِي , فَأَرْضِهِ مِنِّي يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لَا هَاءَ اللهُ , إِذَا لَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللهِ , يُقَاتِلُ عَنِ اللهِ وَعَنْ رَسُولِهِ , فَيُعْطِيكَ سَلَبَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَدَقَ , فَأُعْطِهِ إِيَّاهُ فَقَالَ أَبُو قَتَادَةَ فَأَعْطَانِيهِ , فَبِعْتُ الدِّرْعَ , فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلَمَةَ فَإِنَّهُ لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الْإِسْلَامِ " [ص:227]

5201 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , قَالَ: ثنا الْمُبَارَكُ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ , عَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّهُ قَتَلَ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ , فَنَفَّلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلَبَهُ وَدِرْعَهُ , فَبَاعَهُ بِخَمْسِ أَوَاقٍ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০১
empty
৫২০১।
5201 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০২
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০২। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইব্‌ন মারযুক (রাহঃ) ....আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গায্ওয়া হুনায়নের প্রাক্কালে বলেছেন, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তার জন্য হবে তার অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান। সেদিন আবু তালহা (রাযিঃ) বিশ জন (কাফির) কে হত্যা করেছেন এবং তাদের (সকলের) মাল-সামান নিয়েছেন।
5202 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو دَاوُدَ , عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ , عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ , عَنْ أَنَسٍ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ حُنَيْنٍ: «مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ» فَقَتَلَ أَبُو طَلْحَهُ يَوْمَئِذٍ عِشْرِينَ رَجُلًا , فَأَخَذَ أَسْلَابَهُمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৩
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০৩। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ).... সালমা ইব্‌ন আকওয়া' (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছি। আমি তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি। অতঃপর তার উট হাকিয়ে নিয়ে এসেছি, যার উপর এর হাওদাসহ অপরাপর সামানপত্র ছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত হয়, তাঁর সঙ্গে লোকেরা (সাহাবাগণ) ছিল। তিনি বললেন, ওই ব্যক্তিকে কে হত্যা করেছে, সকলে বলল, ইব্‌ন আকওয়া' (রাযিঃ)। তিনি বললেন, তার সমস্ত মাল-সামান তার (হত্যাকারীর) জন্য।
5203 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ الْأَكْوَعِ , قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَوَازِنَ , فَقَتَلْتُ رَجُلًا مِنْهُمْ , ثُمَّ جِئْتُ بِجَمَلِهِ أَقُودُهُ , عَلَيْهِ رَحْلُهُ وَسِلَاحُهُ , فَاسْتَقْبَلَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَالنَّاسُ مَعَهُ , فَقَالَ: " مَنْ قَتَلَ الرَّجُلَ؟ فَقَالُوا: ابْنُ الْأَكْوَعِ , فَقَالَ لَهُ سَلَبُهُ أَجْمَعُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৪
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০৪। ফাহাদ (রাহঃ).... ইব্‌ন সালমা ইব্‌ন আকওয়া' (রাহঃ) তৎ পিতা [(সালমা ইব্‌ন আকওয়া' রা)] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একষ্ণার এক সফরে ছিলেন, তখন তাঁর নিকট মুশরিকদের এক গুপ্তচর এল্ডলা এবং সাহাবাদের কাছে বসে আলোচনা করতে লাগল। অতঃপর সে কেটে পড়ল। নবী (ﷺ) বললেন, তাকে খুঁজে হত্যা করো। সালমা ইব্‌ন আকওয়া (রাযিঃ) বলেন, আমি সর্বপ্রথম তার কাছে পৌঁছলাম এবং তাকে হত্যা করে তার মাল-সামান হস্তগত করলাম। পরে তিনি (ﷺ) ওই মাল-সামানগুলো আমাকে 'নাফল' হিসাবে দিলেন।

পর্যালোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, কোন ব্যক্তি ‘দারুল হারবে' (শত্রু) কাউকে হত্যা করলে তার অস্ত্র-শস্ত্র ও মাল-সামান তার (হত্যাকারীর) জন্য হবে। তারা এ বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর 'আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন, যতক্ষণ না ইমাম এটা বলবেন যে, 'যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তার মাল-সামান তার (হত্যাকারীর) জন্য হবে' ততক্ষণ পর্যন্ত মাল-সামান হত্যাকারীর জন্য হবে না। যদি তিনি উৎসাহ দানের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে লোকদেরকে জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করার নিমিত্ত এই বাক্যগুলো বলে থাকেন তবে সে জন্যই হবে, যেমন তিনি বলেছেন। আর যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু না বলেন, তবে তা গনীমত হিসাবে সাব্যস্ত হবে এবং এর বিধান হবে গনীমতের বিধানুরূপ।

প্রথমোক্ত মতপোষণকারীগণ যে সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করেছেন এর জবাবে তাঁদের দলীল হলো যে, খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রাযিঃ) ও আওফ ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ)-এর উক্তি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ‘সালাব' বা নিহত শত্রুর মাল-সামানের ফয়সালা হত্যাকারীর জন্য প্রদান করেছেন। এর উদ্দেশ্য সেটাও হতে পারে যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেক নিহত ব্যক্তির মাল-সামান হত্যাকারী লাভ করবে, আবার দ্বিতীয় প্রকার রিওয়ায়াতগুলোতে উল্লেখিত বিষয়টিও উদ্দেশ্য হতে পারে। নিহত ব্যক্তির মাল-সামান যে হত্যাকারীকে দেয়া আবশ্যক নয়, এর সপক্ষে প্রমাণ বহনকারী কিছু রিওয়ায়াত নিম্নরূপ :
5204 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَيْسٍ , عَنِ ابْنِ الْأَكْوَعِ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَيْنٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ , وَهُوَ فِي سَفَرٍ , فَجَلَسَ يَتَحَدَّثُ عِنْدَ أَصْحَابِهِ ثُمَّ انْسَلَّ , فَقَالَ نَبِيُّ اللهِ: «اطْلُبُوهُ فَاقْتُلُوهُ فَسَبَقَتْهُمْ إِلَيْهِ فَقَتَلْتَهُ وَأَخَذْتَ سَلَبَهُ , فَنَفَّلَنِي إِيَّاهُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ كُلَّ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فِي دَارِ الْحَرْبِ , فَلَهُ سَلَبُهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا لَا يَكُونُ السَّلَبُ لِلْقَاتِلِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْإِمَامُ قَالَ «مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ» فَإِنْ كَانَ قَالَ ذَلِكَ , لِيُحَرِّضَ النَّاسَ عَلَى الْقِتَالِ , فِي وَقْتٍ يَحْتَاجُ فِيهِ إِلَى تَحْرِيضِهِمْ عَلَى ذَلِكَ , فَهُوَ كَمَا قَالَ , وَإِنْ لَمْ يَقُلْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا , فَمَنْ قَتَلَ قَتِيلًا , فَسَلَبُهُ غَنِيمَةٌ , وَحُكْمُهُ حُكْمُ الْغَنَائِمِ وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِيمَا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِمْ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى مِنَ الْآثَارِ الَّتِي رَوَيْنَاهَا , أَنَّ قَوْلَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ , وَعَوْفِ بْنِ مَالِكٍ «قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ , لِقَوْلٍ كَانَ تَقَدَّمَ مِنْهُ قَبْلَ ذَلِكَ , جَعَلَ بِهِ سَلَبَ كُلِّ مَقْتُولٍ لِمَنْ قَتَلَهُ , وَكَذَلِكَ مَا ذُكِرَ فِيهِ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّلَبَ لِلْقَاتِلِ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ لِهَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ السَّلَبَ لَا يَجِبُ لِلْقَاتِلِ , مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৫
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০৫। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)..... আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি অল্প বয়স্ক দুই বালকের মাঝে (যুদ্ধের কাতারে) দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি আকাঙ্ক্ষা করছিলাম যে, তাদের স্থানে কোন ভালো যোদ্ধার মাঝে যদি হতাম। দু'জনের একজন আমাকে ইশারা করে জিজ্ঞাসা করল, চাচা, আপনি কি আবু জাহলকে চিনেন? আমি বললাম, ভাতিজা! তার সাথে তোমার কি প্রয়োজন? সে বলল, আমাকে বলা হয়েছে, যে, সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে গালি-গালাজ করে। আল্লাহর কসম! যার নিয়ন্ত্রণে আমার প্রাণ রয়েছে যদি আমি তাকে দেখি তবে আমার শরীর তার শরীর থেকে পৃথক হবে না যতক্ষণ না আমাদের থেকে যে তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করতে চায় মৃত্যুবরণ করে। [আব্দুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রাযিঃ) বলেন] আমি তার কথায় বিস্মিত হলাম। অতঃপর দ্বিতীয় জন আমাকে ইশারা করে অনুরূপ কথা বলল। একটু পরেই আমি আবু জাহলকে দেখলাম, সে লোকদের মাঝে টহল দিচ্ছে। আমি বললাম : তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ! তোমাদের বাঞ্ছিত যার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসা করছিলে, এই সেই ব্যক্তি। তারা দু'জন দ্রুতবেগে তার দিকে অগ্রসর হলো এবং তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করলো। অতঃপর তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে হাযির হয়ে তাঁকে ঘটনা জানালো। তিনি বললেন, তোমাদের কে তাকে হত্যা করেছে? তাদের প্রত্যেকেই বলল, আমি তাকে হত্যা করেছি। তিনি বললেন, তোমরা কি তোমাদের তরবারি ছাফ করে ফেলেছ? তারা বলল, না। রাবী বলেন, তিনি তাদের উভয়ের তরবারি দেখে বললেন, তোমরা দু'জনেই তাকে হত্যা করেছ এবং তিনি তার অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান মু'আয ইবন আমর ইব্‌ন 'জামু'হ (রাযিঃ) কে দিলেন । আর এই দু'জনের (নাম) ছিল মু'আয ইবন আমর 'জামু'হ (রাযিঃ) ও মু'আয ইবন আফরা (রাযিঃ)।

তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ দু'জন (বালক)-কে বলেছেন, তোমরা দু'জনেই তাকে হত্যা করেছ। অতঃপর তাদের একজনের জন্য মাল-সামানের ফয়সালা প্রদান করেছেন, অপর জনের জন্য করেন নাই। এতে প্রমাণিত হয় যে, যদি হত্যাকারীকে হত্যা করার কারণে মাল-সামন দেয়া ওয়াজিব হত তবে ওই দু'জনের জন্য তার (নিহত ব্যক্তির) মাল-সামান ওয়াজিব হত এবং নবী (ﷺ) তাদের একজন থেকে তা নিয়ে অন্যজনকে প্রদান করতেন না।

তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, ইমাম যদি ঘোষণা দেন যে, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তবে নিহত ব্যক্তির মাল-সামান তার জন্য হবে। অতঃপর যদি দু'ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে তবে তার মাল-সামান দু'জনেই অর্ধেক অর্ধেক করে লাভ করবে এবং ইমাম একজনকে বঞ্চিত করে সমস্ত মাল-সমান অপরজনকে প্রদান করতে পারবে না। কেননা এতে তাদের প্রত্যেকের অভিন্ন অধিকার রয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা (দু'জন) ইমাম অপেক্ষা অধিক হক সংরক্ষণ করে।

যখন নবী (ﷺ) -এর এই অধিকার ছিলো যে, আবু জাহলের মাল-সামান তার একজন হত্যাকারীকে প্রদান করবেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, এতে তার ঐ দু’জন অপেক্ষা অধিক ইখতিয়ার ছিল। কেননা তিনি ঐ দিন (বদরের) এই ঘোষণা প্রদান করেন নাই যে, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করবে তার মাল-সামান সে লাভ করবে।
5205 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ الزُّبَيْرِيُّ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ مَاجِشُونِ , قَالَ: حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ إِنِّي لَقَائِمٌ يَوْمَ بَدْرٍ بَيْنَ غُلَامَيْنِ حَدِيثَةٌ أَسْنَانُهُمَا , تَمَنَّيْتُ لَوْ أَنِّي بَيْنَ أَضْلُعٍ مِنْهُمَا فَغَمَزَنِي أَحَدُهُمَا , فَقَالَ: يَا عَمُّ , أَتَعْرِفُ أَبَا جَهْلٍ؟ فَقُلْتُ: مَا حَاجَتُكَ إِلَيْهِ يَا ابْنَ أَخِي؟ قَالَ: أُخْبِرَتْ أَنَّهُ يَسُبُّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ رَأَيْتَهُ , لَا يُفَارِقُ سَوَادِي سَوَادُهُ , حَتَّى يَمُوتَ الْأَعْجَلُ مِنَّا , فَعَجِبْتُ لِذَلِكَ , فَغَمَزَنِي الْآخَرُ فَقَالَ: مِثْلَهَا [ص:228] فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ نَظَرْتُ إِلَى أَبِي جَهْلٍ يَتَرَجَّلُ فِي النَّاسِ , فَقُلْتُ: أَلَا تَرَيَانِ هَذَا صَاحِبُكُمُ الَّذِي تَسْأَلَانِ عَنْهُ , فَابْتَدَرَاهُ , فَضَرَبَاهُ بِسَيْفَيْهِمَا حَتَّى قَتَلَاهُ ثُمَّ أَتَيَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَاهُ , فَقَالَ أَيُّكُمَا قَتَلَهُ؟ فَقَالَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا , أَنَا قَتَلْتَهُ , قَالَ أَمَسَحْتُمَا سَيْفَيْكُمَا؟ قَالَا: لَا , قَالَ: فَنَظَرَ فِي السَّيْفَيْنِ , فَقَالَ كِلَاكُمَا قَتَلَهُ وَقَضَى بِسَلَبِهِ لِمُعَاذِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ وَالرَّجُلَانِ , مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ , وَالْآخَرُ مُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ لَهُمَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ «أَنْتُمَا قَتَلْتُمَاهُ؟» ثُمَّ قَضَى بِالسَّلَبِ لِأَحَدِهِمَا دُونَ الْآخَرِ , فَفِي هَذَا دَلِيلٌ أَنَّ السَّلَبَ لَوْ كَانَ وَاجِبًا لِلْقَاتِلِ بِقَتْلِهِ إِيَّاهُ , لَكَانَ قَدْ وَجَبَ سَلَبُهُ لَهُمَا , وَلَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَزِعُهُ مِنْ أَحَدِهِمَا فَيَدْفَعَهُ إِلَى الْآخَرِ أَلَا تَرَى أَنَّ الْإِمَامَ لَوْ قَالَ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ «فَقَتَلَ رَجُلَانِ قَتِيلًا , أَنَّ سَلَبَهُ لَهُمَا نِصْفَيْنِ , وَأَنَّهُ لَيْسَ لِلْإِمَامِ أَنْ يَحْرِمَهُ أَحَدَهُمَا , وَيَدْفَعَهُ إِلَى الْآخَرِ , لِأَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لَهُ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ , مِثْلُ مَا لِصَاحِبِهِ , وَهُمَا أَوْلَى بِهِ مِنَ الْإِمَامِ , فَلَمَّا كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَلَبِ أَبِي جَهْلٍ أَنْ يَجْعَلَهُ لِأَحَدِ قَاتِلَيْهِ دُونَ الْآخَرِ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ أَوْلَى بِهِ مِنْهُمَا , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ قَالَ يَوْمَئِذٍ» مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا , فَلَهُ سَلَبُهُ " وَقَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৬
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০৬। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বদর অভিযানে বের হলেন এবং শত্রুর সঙ্গে তার মোকাবিলা হলো। যখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে পরাজিত করলেন তখন মুসলমানদের একটি দল তাদেরকে হত্যা করার জন্য তাদের পিছনে ধাবিত হলো, আরেকটি দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর চতুষ্পার্শ্বে (তাঁর হিফাযতের জন্য বেষ্টন করে) ছিল। অন্য আরেকটি দল কাফির সৈন্যদের কাবুতে রাখতে এবং গনীমতের সম্পদ অর্জনে ব্যস্ত ছিল। যখন আল্লাহ্ তা'আলা শত্রু সৈন্যদের পরাস্ত করে দিলেন এবং তাদের পিছনে অনুসরণকারী দল ফিরে এলো তখন তারা বলল, 'নাফল' তথা গনীমতের মাল আমাদের জন্য হবে। কেননা আমরা শত্রু খুঁজেছি এবং আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের দ্বারা তাদেরকে বিদূরিত করে পরাস্ত করে দেন। যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর হিফাযত করছিল তারা বলল, তোমরা আমাদের চেয়ে বেশী অধিকার রাখনা, বরং তা আমাদের জন্য। কেননা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে হিফাযত করছিলাম, যাতে কোনভাবেই শত্রু ধোঁকা দিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করতে সক্ষম না হয় এবং যারা শত্রু সৈন্যকে কাবু করেছে আর গনীমতের মাল অর্জন করেছে তারা বলল, আল্লাহর কসম! তোমরা আমাদের অপেক্ষা অধিক হকদার নও। আমরা তা একত্রিত করেছি এবং নিয়ন্ত্রণ করেছি। অনন্তর আল্লাহ্ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করলেন : يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ إِلَى قَوْلِهِ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
অর্থাৎ : লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে, বল, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্ এবং রাসূলের...... যদি তোমার মু'মিন হও পর্যন্ত। (সূরা : ৮ আয়াত : ১)
অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা (গনীমতের মাল) তাদের মাঝে বরাবরভাবে বণ্টন করেছেন ।

তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ বিষয়ে হত্যাকারীদেরকে অন্যদের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেন নাই। এতে প্রমাণিত হলো যে, নিহতের মাল-সামান হত্যাকারীর জন্য শুধু হত্যার কারণে ওয়াজিব নয়। তবে হ্যাঁ, যদি ইমাম মুসলমানদের কল্যাণের নিমিত্ত তাদেরকে তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে মাল-সম্পদ দেন তাহলে তা দিতে পারেন।
5206 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ أَبِي سَلَّامٍ , عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ: " خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَدْرٍ , فَلَقِيَ الْعَدُوَّ , فَلَمَّا هَزَمَهُمُ اللهُ تَعَالَى , اتَّبَعَتْهُمْ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقْتُلُونَهُمْ , وَأَحْدَقَتْ طَائِفَةٌ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَاسْتَوْلَتْ طَائِفَةٌ بِالْعَسْكَرِ وَالنُّهَبِ فَلَمَّا نَفَى اللهُ الْعَدُوَّ , وَرَجَعَ الَّذِينَ طَلَبُوهُمْ , قَالُوا: لَنَا النَّفَلُ , نَحْنُ طَلَبْنَا الْعَدُوَّ , وَبِنَا نَفَاهُمُ اللهُ وَهَزَمَهُمْ , وَقَالَ الَّذِينَ أَحْدَقُوا بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا أَنْتُمْ بِأَحَقَّ مِنَّا , بَلْ هُوَ لَنَا , نَحْنُ أَحْدَقْنَا بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَا يَنَالُ مِنْهُ الْعَدُوُّ غُرَّةً وَقَالَ الَّذِينَ اسْتَوْلَوْا عَلَى الْعَسْكَرِ وَالنُّهَبِ: وَاللهِ مَا أَنْتُمْ بِأَحَقَّ بِهِ مِنَّا , نَحْنُ حَوَيْنَاهُ وَاسْتَوْلَيْنَاهُ , فَأَنْزَلَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ} [الأنفال: 1] إِلَى قَوْلِهِ {إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [البقرة: 91] فَقَسَمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ عَنْ فَوَاقٍ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يُفَضِّلْ فِي ذَلِكَ , الَّذِينَ تَوَلَّوْا الْقَتْلَ , عَلَى الْآخَرِينَ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ سَلَبَ الْمَقْتُولِ , لَا يَجِبُ لِلْقَاتِلِ بِقَتْلِهِ صَاحِبَهُ , إِلَّا بِجَعْلِ الْإِمَامِ إِيَّاهُ لَهُ , عَلَى مَا فِيهِ صَلَاحُ الْمُسْلِمِينَ مِنَ التَّحْرِيضِ عَلَى قِتَالِ عَدُوِّهِمْ [ص:229] وَقَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫২০৮
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০৭-০৮। ফাহাদ (রাহঃ).... বুলকাইনের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম, তখন তিনি ‘ওয়াদিউল কুরা’তে অবস্থান করছিলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! গনীমত কার জন্য? তিনি বললেন, এক অংশ আল্লাহ্ তা'আলার জন্য এবং (অবশিষ্ট) চার অংশ ওই সমস্ত (মুজাহিদ) দের জন্য। আমি বললাম, গনীমতের সম্পদে কি কারো জন্য অন্যের অপেক্ষা অধিক অধিকার আছে? তিনি বললেন, না, এমন কি যদি তোমাদের কেউ নিহতের পার্শ্বদেশ বা শরীর থেকে বিদীর্ণ তীর বের করে আনে তবুও সে তার অন্য ভাই অপেক্ষা অধিক হকদার নয়।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ).... বুলকাইনের জনৈক ব্যক্তি সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গনীমতের এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ্ তা'আলার জন্য এবং অবশিষ্ট চার অংশ তাঁর সাহাবাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। আর তাতে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন : যদি তোমাদের থেকে কেউ (কাফিরের) পার্শ্বদেশে তীর নিক্ষেপ করে তা সে টেনে বের করে তাহলে সে তার ভাই অপেক্ষা অধিক হকদার হবেনা।

এতে প্রতীয়মান হয় যে, মানুষ যুদ্ধে যা কিছু লাভ করে এবং যা কিছু অন্যে লাভ করে, যে যুদ্ধের প্রাক্কালে উপস্থিত ছিলো, তারা এ দু'জন এই সব সম্পদে অভিন্নরূপে অংশীদার।

যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করে যে, তোমরা যা কিছু আবু জাহলের মাল-সামান সম্পর্কে উল্লেখ করেছ এবং যা কিছু তোমরা উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ)-এর হাদীসে উল্লেখ করেছে তা ছিলো বদর যুদ্ধের ঘটনা। আর এটা হত্যাকারীদের জন্য (নিহত ব্যক্তির) মাল-সামান নির্ধারিত হওয়ার পূর্বেকার ব্যাপার। অতঃপর হুনায়ন যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)(নিহত ব্যক্তির) মাল-সামান হত্যাকারীদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। তিনি বলেছেন : যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তার অস্ত্র-শস্ত্র ও মাল-সামান ওর (হত্যাকারীর) জন্য হবে। সুতরাং এটা এর পূর্ববর্তী বিধানকে রহিত করে দিয়েছে।

তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি তা পূর্ববর্তী বিধান রহিত হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করেনা, কেননা হুনায়ন যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্ -এর বক্তব্যের মর্ম এটাও হতে পারে যে, যে ব্যক্তি ঐ যুদ্ধে (হুনায়ন) কাউকে হত্যা করবে, অন্য যুদ্ধে নয়। যেমন তিনি মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে বলেছেন : “যে ব্যক্তি হাতিয়ার ফেলে দিবে সে নিরাপদ” এর দ্বারা অন্য কোন যুদ্ধে হাতিয়ার ফেলে দেয়া উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং যখন এটা প্রমাণিত হলো যে, হুনায়ন যুদ্ধের পূর্বে নিহত ব্যক্তির মাল-সামান হত্যাকারীর জন্য ওয়াজিব হত না। অতঃপর হুনায়ন যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এই বক্তব্য সম্মুখে এসেছে। এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই হুকুম পূর্ববর্তী হুকুমের জন্য রহিতকারী। আবার এটাও হতে পারে যে, এটা তার জন্য রহিতকারী হবে না, যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিতরূপে অবহিত হব, ওটাকে রহিতকারী সাব্যস্ত করব না। ঐ অভিমত তার পূর্ববর্তী বিধানের জন্য নাসিখ বা রহিতকারী না হওয়ার উপর (নিম্নোক্ত) এই রিওয়ায়াতটিও প্রমাণ বহন করে :
5207 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ بُدَيْلُ بْنُ مَيْسَرَةَ الْعُقَيْلِيُّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بُلْقِينَ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ بِوَادِي الْقُرَى فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ لِمَنِ الْمَغْنَمُ؟ قَالَ لِلَّهِ سَهْمٌ , وَلِهَؤُلَاءِ أَرْبَعَةُ أَسْهُمٍ فَقُلْتُ: فَهَلْ أَحَدٌ أَحَقُّ بِشَيْءٍ مِنَ الْمَغْنَمِ مِنْ أَحَدٍ؟ قَالَ: " لَا , حَتَّى السَّهْمَ يَأْخُذُهُ أَحَدُكُمْ مِنْ جَنْبِهِ , فَلَيْسَ هُوَ بِأَحَقَّ بِهِ مِنْ أَخِيهِ

5208 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ بُلْقِينَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ الْغَنِيمَةَ , خُمُسًا مِنْهَا لِلَّهِ تَعَالَى , وَأَرْبَعَةُ أَخْمَاسٍ لِأَصْحَابِهِ وَبَيَّنَ فِي ذَلِكَ فَقَالَ «حَتَّى لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ رُمِيَ بِسَهْمٍ فِي جَنْبِهِ فَنَزَعَهُ , لَمْ يَكُنْ أَحَقَّ بِهِ مِنْ أَخِيهِ» فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ كُلَّ مَا تَوَلَّاهُ الرَّجُلُ فِي الْقِتَالِ , وَكُلَّ مَا تَوَلَّى غَيْرُهُ مِمَّنْ هُوَ حَاضِرٌ الْقِتَالَ , أَنَّهُمَا فِيهِ سَوَاءٌ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّ الَّذِي ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ سَلَبِ أَبِي جَهْلٍ , وَمِمَّا ذَكَرْتُمُوهُ فِي حَدِيثِ عُبَادَةَ , إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ فِي يَوْمِ بَدْرٍ , قَبْلَ أَنْ يُجْعَلَ الْأَسْلَابُ لِلْقَاتِلِينَ , ثُمَّ جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ الْأَسْلَابَ لِلْقَاتِلِينَ , فَقَالَ «مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ» فَنَسَخَ ذَلِكَ , مَا تَقَدَّمَهُ , قِيلَ لَهُ: مَا دَلَّ مَا ذَكَرْتُ عَلَى نَسْخِ شَيْءٍ مِمَّا تَقَدَّمَهُ , لِأَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ الَّذِي كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ , قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ: مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فِي تِلْكَ الْحَرْبِ لَا غَيْرُ ذَلِكَ , كَمَا قَالَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ «مَنْ أَلْقَى سِلَاحَهُ فَهُوَ آمِنٌ» فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى كُلِّ مَنْ أَلْقَى سِلَاحَهُ , فِي غَيْرِ تِلْكَ الْحَرْبِ وَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ مَا كَانَ قَبْلَ حُنَيْنٍ , أَنَّ الْأَسْلَابَ لَا تَجِبُ لِلْقَاتِلِينَ , ثُمَّ حَدَثَ فِي يَوْمِ حُنَيْنٍ هَذَا الْقَوْلُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ نَاسِخًا لَمَا تَقَدَّمَ , وَاحْتَمَلَ أَنْ لَا يَكُونَ نَاسِخًا لَهُ , لَمْ نَجْعَلْهُ نَاسِخًا لَهُ , حَتَّى نَعْلَمَ ذَلِكَ يَقِينًا وَمِمَّا قَدْ دَلَّ أَيْضًا , عَلَى أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ لَيْسَ بِنَاسِخٍ لَمَا كَانَ قَبْلَهُ مِنَ الْحَكَمِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৮
empty
৫২০৮।
5208 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২০৯
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২০৯। ইউনুস (রাহঃ).... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ)-এর ভাই বারা ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) যারারার হাকেমের সঙ্গে লড়াই করেছেন। তিনি তাকে বর্শা নিক্ষেপ করে ঘোড়ার গদির পিছনের বা সম্মুখের অংশ ভেঙ্গে গিয়ে ওই ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং তা তাকে হত্যা করে ফেলে। তার সালাব তথা মাল-সামানের মূল্য নির্ধারণ করেছে ত্রিশ হাজার। আমরা যখন ফজরের সালাত আদায় করেছি তখন আমাদের নিকট উমার (রাযিঃ) এলেন এবং আবু তালহা (রাযিঃ)-কে বললেন যে, আমরা (নিহত ব্যক্তির) মাল-সামানের খুমুস বা পঞ্চমাংশ নেই না এবং বারা (রাযিঃ) যে মাল-সামান লাভ করেছেন তা প্রচুর সম্পদ। আমরা এর শুধু পঞ্চমাংশ নিব। রাবী বলেন, আমরা ওই মালের মূল্য নির্ধারণ করেছি ত্রিশ হাজার। অনন্তর আমরা ছয় হাজার উমার (রাযিঃ)-কে প্রদান করেছি। আর এই উমার (রাযিঃ)-ই বলেন যে, আমরা (নিহতের) মাল-সামান থেকে খুমুস তথা পঞ্চমাংশ নিই না। অতঃপর বারা (রাযিঃ)-এর মাল-সামানের পঞ্চমাংশ নিয়েছেন।

এতে প্রতীয়মান হয় যে, তারা পঞ্চমাংশ নিতেন না; কিন্তু তাঁরা নিতে পারতেন। অধিকন্তু ঐ মাল-সামান সৈন্যবাহিনীকে ছেড়ে শুধু হত্যাকারীদেরকে প্রদান করা ওয়াজিব নয়। আর (এটাও হতে পারে যে,) উমার (রাযিঃ) হুনায়ন যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন যখন তিনি বলেছেন : যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তার অস্ত্র-শস্ত্র ও মাল-সামান ওই হত্যাকারীর জন্য হবে। তাঁর (উমার রা) মতে এই বক্তব্য শুধু ওই যুদ্ধের সাথে খাস চিলো না।

আবু তালহা (রাযিঃ)ও হুনায়নযুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি যাদেরকে হত্যা করেছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের মাল-সামান তাঁর জন্য ফয়সালা প্রদাণ করেছেন। আর তাঁর মতে এটা আবশ্যক ছিল না। পক্ষান্তরে উমার (রাযিঃ) মারযুবানের মাল-সামানে যে ফয়সালা প্রদান করেছেন তা এর পরিপন্থী। আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) ও হুনায়ন যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে এবং বারা (রাযিঃ)-এর ঘটনার দিন উমার (রাযিঃ)-এর নিকটে উপস্থিত ছিলেন। আর তাঁর মতেও উমার (রাযিঃ)-এর এই অভিমত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওই বক্তব্যের পরিপন্থী ছিলো। সুতরাং এরা হলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবা, যাঁরা তাঁর হুনায়ন যুদ্ধের প্রাক্কালীন বক্তব্য : “যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তার জন্য হবে তার মাল-সামান" কে বদর যুদ্ধের প্রাক্কালীন পূর্ববর্তী বিধানের জন্য রহিতকারী সাব্যস্ত করেন নাই ।
5209 - أَنَّ يُونُسَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ أَيُّوبَ , عَنِ ابْنِ سِيرِينَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ الْبَرَاءَ بْنَ مَالِكٍ , أَخَا أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , بَارَزَ مَرْزُبَانَ الضَّرَارَةَ، فَطَعَنَهُ طَعْنَةً , فَكَسَرَ الْقَرَبُوسَ وَخَلَصْتُ إِلَيْهِ فَقَتَلَهُ فَقَوَّمَ سَلَبَهُ ثَلَاثِينَ أَلْفًا , فَلَمَّا صَلَّيْنَا الصُّبْحَ غَدَا عَلَيْنَا عُمَرُ , فَقَالَ لِأَبِي طَلْحَةَ: إِنَّا كُنَّا لَا نُخَمِّسُ الْأَسْلَابَ , وَإِنَّ سَلَبَ الْبَرَاءِ قَدْ بَلَغَ مَالًا: وَلَا أَرَانَا إِلَّا خَامِسِيهِ , فَقَوَّمْنَاهُ ثَلَاثِينَ أَلْفًا , فَدَفَعْنَا إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ سِتَّةَ آلَافٍ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ يَقُولُ: إِنَّا كُنَّا لَا نُخَمِّسُ الْأَسْلَابَ , ثُمَّ خَمَّسَ سَلَبَ الْبَرَاءِ , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يُخَمِّسُونَ , وَلَهُمْ أَنْ يُخَمِّسُوا , وَأَنَّ الْأَسْلَابَ لَا يَجِبُ لِلْمُقَاتِلِينَ دُونَ أَهْلِ الْعَسْكَرِ , [ص:230] وَقَدْ حَضَرَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , مَا كَانَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ «مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ» فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَهُ عَلَى كُلِّ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فِي تِلْكَ الْحَرْبِ خَاصَّةً وَقَدْ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ حَضَرَ ذَلِكَ أَيْضًا بِحُنَيْنٍ , وَقَضَى لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَسْلَابِ الْقَتْلَى الَّذِينَ قَتَلَهُمْ فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَهُ مُوجِبًا , بِخِلَافِ مَا أَرَادَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي سَلَبِ الْمَرْزُبَانِ وَقَدْ كَانَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ حَاضِرًا ذَلِكَ أَيْضًا , مِنْ رَسُولِ اللهِ بِحُنَيْنٍ , وَمِنْ عُمَرَ فِي يَوْمِ الْبَرَاءِ فَكَانَ ذَلِكَ , عِنْدَهُ , عَلَى مَا رَأَى عُمَرُ , عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ فَهَؤُلَاءِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , لَمْ يَجْعَلُوا قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ «مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ» عَلَى النَّسْخِ لِلْحُكْمِ الْمُتَقَدِّمِ لِذَلِكَ , فِي يَوْمِ بَدْرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২১০
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২১০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আব্দুর রহমান ইব্‌ন সাবিত ইবন ছাওবান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাঁর পিতা (সাবিত র) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি মাকহুল (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, নিহতের মাল-সামান থেকে পঞ্চমাংশ কি বের হবে? তিনি বললেন, আমাকে আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, বারা ইবন মালিক (রাযিঃ) পারসিক এক বড় বীরের সঙ্গে লড়লেন এবং তাকে হত্যা করলেন এবং বারা (রাযিঃ) তার অস্ত্র-শস্ত্র ও মাল-সামান নিয়ে নিলেন। অতঃপর এ বিষয়ে উমার (রাযিঃ)-কে লিখলেন। উমার (রাযিঃ) আমীরকে লিখলেন যে, তুমি এর পঞ্চমাংশ নিয়ে নাও এবং অবশিষ্ট (অংশ) তাকে প্রদান কর। অনন্তর আমীর এর পঞ্চমাংশ হস্তগত করলেন।

দেখুন, মাকহুলের মত ব্যক্তিও নিহত ব্যক্তির মাল-সামানের বিষয়ে সেই মতামতই গ্রহণ করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
5210 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَأَلَ مَكْحُولًا: أَيُخَمَّسُ السَّلَبُ؟ , فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ الْبَرَاءَ بْنَ مَالِكٍ , بَارَزَ رَجُلًا مِنْ عُظَمَاءِ فَارِسٍ , فَقَتَلَهُ فَأَخَذَ الْبَرَاءُ سَلَبَهُ فَكَتَبَ فِيهِ إِلَى عُمَرَ , فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى الْأَمِيرِ " أَنِ اقْبِضْ إِلَيْكَ خُمُسَهُ , وَادْفَعْ إِلَيْهِ مَا بَقِيَ , فَقَبَضَ الْأَمِيرُ خُمُسَهُ فَهَذَا مَكْحُولٌ , قَدْ ذَهَبَ أَيْضًا فِي الْأَسْلَابِ إِلَى مَا ذَكَرْنَا وَقَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২১১
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২১১। ইউনুস (রাহঃ)..... কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জনৈক ব্যক্তিকে শুনেছি, সে ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে গনীমত (এর সম্পদ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, অশ্ব গনীমতের মালের অন্তর্ভুক্ত। সে পুন একই প্রশ্ন করল এবং ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সেই জবাবই দিলেন। অতঃপর উক্ত ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন শরীফে যে আনফাল বা গনীমতের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন সেটি কি ? কাসিম (রাহঃ) বলেন, সে তাঁকে অবিরত প্রশ্ন করেই যাচ্ছিল, এমন কি তিনি তাকে (মজলিস থেকে) বের করে দেয়ার উপক্রম করলেন।
5211 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا يَسْأَلُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْأَنْفَالِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: الْفَرَسُ مِنَ النَّفْلِ , ثُمَّ عَادَ لِمَسْأَلَتِهِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ذَلِكَ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ الرَّجُلُ: الْأَنْفَالُ الَّتِي قَالَ اللهُ فِي كِتَابِهِ مَا هِيَ؟ قَالَ الْقَاسِمُ: فَلَمْ يَزَلْ يُحَالُهُ حَتَّى كَادَ يُحْرِجُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২১২
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২১২। ইবন মারযূক (রাহঃ).... কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) কে গনীমতের সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, নিহত ব্যক্তির মাল-সামান ও অশ্ব গনীমতের অন্তর্ভুক্ত।
5212 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ , أَنَّ رَجُلًا , سَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْأَنْفَالِ , فَقَالَ: «السَّلَبُ وَالْفَرَسُ مِنَ الْأَنْفَالِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২১৩
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২১৩। ইউনুস (রাহঃ) ও রাবী আল-মুয়াযযিন (রাহঃ).... কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) সূত্রে ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার তাঁর কাছে বসা ছিলাম। এমন সময় এক ইরাকী লোক এসে তাঁকে নিহত ব্যক্তির মাল-সমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, উক্ত মাল-সামান গনীমতের সম্পদের অন্তর্ভুক্ত এবং গনীমতের সম্পদে পঞ্চমাংশ (নির্ধারিত)।

বস্তুত ইনি হলেন ইবন আব্বাস (রাযিঃ), তিনি নিহত ব্যক্তির মাল-সামানে পঞ্চমাংশ সাব্যস্ত করে ওটাকে গনীমতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অথচ তিনি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্পর্কে অবিহত রয়েছেন, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি যে, তিনি যুবাইর (রাযিঃ) কর্তৃক নিহত বক্তির মাল-সামান তাঁকেই প্রদান করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর গাযওয়ায়ে বদরের পূর্ববর্তী আমল ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট রহিত নয়। আর তিনি যুবাইর (রাযিঃ) কর্তৃক নিহত ব্যক্তির মাল-সামান তাঁকে প্রদান করাটা তাঁর সেই বক্তব্যের কারণে হয়েছে, যা পূর্বে তাঁরই সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অথবা অন্য কোন কারণে প্রদান করেছেন। আর এটাই হলো হাদীসসমূহের মর্মাবলীর বিশুদ্ধকরণের দিক দিয়ে এই অনুচ্ছেদের বর্ণনা ।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল ও বিশ্লেষণ : বস্তুত যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ হলো নিম্নরূপ : আমরা লক্ষ্য করছি যে, যদি ইমাম কোন ছোট বাহিনী প্রেরণ করে অথচ তিনি দারুল হারবে অবস্থান করছেন । ইমাম এবং অবশিষ্ট সৈন্য বাহিনী ঐ ছোট বাহিনীর সঙ্গে যায়নি, বরং পিছনে রয়ে গিয়েছে। অতঃপর ঐ ছোটবাহিনী গনীমতের মাল নিয়ে এলো। তাহলে এই গনীমত তাদের এবং অবশিষ্ট সমস্ত সৈন্যবাহিনীর মাঝে বণ্টন হবে। যদিও তারা তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে শরীক ছিলোনা এবং এই ছোট বাহিনী অবশিষ্ট সমস্ত সৈন্য বাহিনীর তুলনায় গনীমতের অধিক হকদার হবে না। যদিও যুদ্ধ তারাই করেছে এবং তাদের কারণেই গনীমত অর্জিত হয়েছে। পক্ষান্তরে যদি ইমাম ঐ ছোট বাহিনী প্রেরণের প্রাক্কালে গনীমতের পঞ্চমাংশ তাদের জন্য নির্ধারণ করে দেন তবে তারা তাই লাভ করবে যা ইমাম তাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। আর অবশিষ্ট সম্পদ তাদের এবং অবশিষ্ট সৈন্যবাহিনীর মাঝে বণ্টন হবে। সুতরাং এই বাহিনী অবশিষ্ট সৈন্যবাহিনী অপেক্ষা পৃথক শুধু এতটুকু সম্পদের অধিকারী হবে যা ইমাম তাদের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন।

অতএব এর উপরের যুক্তির দাবি হলো যে, দারুল হারবে যত সংখ্যক সৈন্যবাহিনী রয়েছে তাদের কেউই ঐ মাল-সামানের হকদার হবেনা, যা সে নিহতদের মাল-সামান ইত্যাদি থেকে অর্জন করেছ। বরং সে অবশিষ্ট সৈন্যবাহিনীর ন্যায় হকদার হবে। তবে হ্যাঁ, যদি ইমাম তার জন্য তা থেকে কিছু নির্ধারণ করে দেয়, তবে তা সে ইমাম কর্তৃক নির্ধারণের কারণে লাভ করবে, অন্য কারণ নয়। এই অনুচ্ছেদ যৌক্তিক বিশ্লেষণ এটাই । আর ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতও এটাই।
5213 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , وَرَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَا: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ , قَالَ: أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَهُ , فَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَسَأَلَهُ عَنِ السَّلَبِ , فَقَالَ " السَّلَبُ مِنَ النَّفْلِ , وَفِي النَّفْلِ الْخُمُسُ فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا قَدْ جَعَلَ فِي السَّلَبِ الْخُمُسَ , وَجَعَلَهُ مِنَ الْأَنْفَالِ , وَقَدْ كَانَ عَلِمَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مِنْ تَسْلِيمِهِ إِلَى الزُّبَيْرِ سَلَبَ الْقَتِيلِ الَّذِي كَانَ قَتَلَهُ , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا تَقَدَّمَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ , لَمْ يَكُنْ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَنْسُوخًا , وَأَنْ مَا قَضَى بِهِ مِنْ سَلَبِ الْقَتِيلِ الَّذِي قَتَلَهُ الزُّبَيْرُ , إِنَّمَا كَانَ لِقَوْلٍ كَانَ قَدْ تَقَدَّمَ مِنْهُ , أَوْ لِمَعْنًى غَيْرِ ذَلِكَ [ص:231] فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ , وَأَمَّا وَجْهُ النَّظَرِ فِي ذَلِكَ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْإِمَامَ لَوْ بَعَثَ سَرِيَّةً , وَهُوَ فِي دَارِ الْحَرْبِ , وَتَخَلَّفَ هُوَ وَسَائِرُ الْعَسْكَرِ عَنِ الْمُضِيِّ مَعَهَا , فَغَنِمَتْ تِلْكَ السَّرِيَّةُ غَنِيمَةً , كَانَتْ تِلْكَ الْغَنِيمَةُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ سَائِرِ أَهْلِ الْعَسْكَرِ , وَإِنْ لَمْ يَكُونُوا تَوَلَّوْا مَعَهُمْ قِتَالًا , وَلَا تَكُونُ هَذِهِ السَّرِيَّةُ أَوْلَى بِمَا غَنِمَتْ , مِنْ سَائِرِ أَهْلِ الْعَسْكَرِ , وَإِنْ كَانَتْ قَاتَلَتْ حَتَّى كَانَ عَنْ قِتَالِهَا مَا غَنِمَتْ وَلَوْ كَانَ الْإِمَامُ نَفَّلَ تِلْكَ السَّرِيَّةَ , لَمَّا بَعَثَهَا , الْخُمُسَ مِمَّا غَنِمَتْ , كَانَ ذَلِكَ لَهَا عَلَى مَا نَفَّلَهَا إِيَّاهُ الْإِمَامُ , وَكَانَ مَا بَقِيَ مِمَّا غَنِمَتْ بَيْنَهَا وَبَيْنَ سَائِرِ أَهْلِ الْعَسْكَرِ فَكَانَتِ السَّرِيَّةُ الْمَبْعُوثَةُ لَا تَسْتَحِقُّ مِمَّا غَنِمَتْ دُونَ سَائِرِ أَهْلِ الْعَسْكَرِ إِلَّا مَا خَصَّهَا بِهِ الْإِمَامُ دُونَهُمْ فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ كُلُّ مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْعَسْكَرِ فِي دَارِ الْحَرْبِ , لَا يَسْتَحِقُّ أَحَدٌ مِنْهُمْ شَيْئًا مِمَّا تَوَلَّى أَخْذَهُ مِنْ أَسْلَابِ الْقَتْلَى وَغَيْرِهَا , إِلَّا كَمَا يَسْتَحِقُّ مِنْهُ سَائِرُ أَهْلِ الْعَسْكَرِ , إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْإِمَامُ نَفَّلَهُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا , فَيَكُونُ ذَلِكَ لَهُ بِتَنْفِيلِ الْإِمَامِ لَا بِغَيْرِ ذَلِكَ فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ أَيْضًا , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ , وَقَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫২১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫২১৫
৬. যে ব্যক্তি দারুল হারবে (অমুসলিম এলাকায় শত্রু) কাউকে হত্যা করবে তাহলে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান সে পাবে কিনা?
৫২১৪-১৫। মুহাম্মাদ ইব্‌ন আব্দুর রহমান হারবী (রাহঃ).... আওফ ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, গাযওয়া মওতার প্রাক্কালে এক সিপাহী তাদের সঙ্গী হয়েছিলো এবং এক রোমান যোদ্ধা মুসলমানদের উপরে আক্রমণ করছিলো এবং তাদের অনুসরণ করছিলো। ওই সিপাহী ঐ রোমান যোদ্ধার সঙ্গে কোমলতা প্রদর্শন করল এবং তার অপেক্ষায় সে এক প্রস্তর খণ্ডের নীচে বসে গেল। যখন সে সেখান দিয়ে অতিক্রম করল তখন সে তার অশ্বের পা কেটে দিল এবং রোমান ব্যক্তি চিৎপটাং হয়ে পড়ে গেল। সিপাহী তার উপর তরবারি উঁচু করল এবং তাকে হত্যা করল। অতঃপর সে তার অশ্ব, তরবারি, গদি, লাগাম, কোমরবন্ধনী ও হাতিয়ার নিয়ে খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রাযিঃ)-এর নিকট এল, আর এই সমস্ত আসবাবপত্র স্বর্ণ ও মুক্তা খচিত ছিলো। খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ (রাযিঃ) তার থেকে কিছু সম্পদ গ্রহণ করলেন এবং অবশিষ্ট তাকে গনীমতরূপে দিয়ে দিলেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে খালিদ (রাযিঃ)! এটা কি? আপনি কি অবহিত নন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হত্যাকারীকে নিহতের সমস্ত মাল-সামান প্রদান করেছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি অবহিত আছি। কিন্তু আমি এটাকে অত্যন্ত বেশী মাল মনে করছি। তিনি বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি তোমার কথাটি রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) এর কাছে অবশ্যই পেশ করব। আওফ (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলাম তখন আমি তাঁকে তাঁর বিষয়টি সম্পর্কে সংবাদ দিলাম। তিনি খালিদ (রাযিঃ)-কে ডেকে নির্দেশ দিলেন, সিপাহীর অবশিষ্ট মাল-সামানও তাকে প্রদান কর। অনন্তর খালিদ (রাযিঃ) তার মাল-সামান প্রদানের নিমিত্ত ফিরে চললেন। আমি বললাম, হে খালিদ (রাযিঃ)! তোমার কি অভিমত? আমি কি তোমার সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করিনি? এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাগান্বিত হয়ে গেলেন এবং বললেন, হে খালিদ! তাকে দিবেনা এবং আমার দিকে ফিরে বললেন, তোমরা কি আমার (নিযুক্ত) আমীরদেরকে পরিত্যাগ করবে। তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট বস্তু এবং তাদের জন্য হবে ময়লা-আবর্জনা তথা খারাপ বস্তু।

তুমি কি লক্ষ্য করছ না যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খালিদ (রাযিঃ)-কে প্রথমে আদেশ করলেন দিয়ে দেয়ার জন্য তারপর আবার কোন কারণে আদেশ করলেন না দেয়ার জন্য। এতে প্রমাণিত হয় যে, ঐ মাল-সামান হত্যার কারণে সিপাহীর জন্য ওয়াজিব হয় নাই। কেননা যদি তা হত্যার কারণে ওয়াজিব হত তাহলে অন্য কোন ব্যক্তির কথার কারণে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা নিষেধ করতেন না। কিন্তু তিনি খালিদ (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তিনি তাকে মাল-সামান দিয়ে দেন। বস্তুত তাঁর (মাল-সামান) প্রদান করার অধিকার ছিলো এবং পরে তাকে দিতে নিষেধ করে দিয়েছেন। তাই তাঁর নিষেধ করারও অধিকার ছিলো। যেমন বারা ইবন মালিক (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে আবু তালহা (রাযিঃ)-এর উদ্দেশ্যে উমার ইব্‌ন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর বক্তব্য। আমরা তা এই অনুচ্ছেদে ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, তিনি বলেছেন: আমরা নিহতের মাল-সামানে পঞ্চমাংশ নেই না। কিন্তু বারা (রাযিঃ)-এর অর্জিত মাল-সামান বিশাল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো, আমরা এর পঞ্চমাংশ গ্রহণ করব। অনন্তর তিনি এর খুমুস (পঞ্চমাংশ) নিয়েছেন। উমার (রাযিঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা নিহতের মাল-সামান থেকে পঞ্চামাংশ নিতেন না; কিন্তু তাদের এর পঞ্চমাংশ নেয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের এর পঞ্চামাংশ না নেয়াটা ওই অধিকার বা ইখতিয়ারের কারণে ছিলো, এই জন্য নয় যে, তা (মাল-সামান) হত্যাকারীদের জন্য ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে। যেমন তাদের জন্য গনীমত থেকে হিস্যা ওয়াজিব হয়ে যায়। অনুরূপভাবে খালিদ (রাযিঃ)-কে প্রথম দেয়ার আদেশ এবং পরে না দেয়ার আদেশ করার কারণ এই ছিলো। দুটোরই অধিকার তিনি রাখতেন। আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে এ বিষয়ের বিশুদ্ধ দলীল পাওয়া যাচ্ছে যে, এই কারণে বা এই দিক দিয়ে হত্যাকারীদের জন্য মাল-সামান ওয়াজিব হয় না।
5214 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْهَرَوِيُّ , قَالَ ثنا دُحَيْمٌ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا صَفْوَانُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَوْفٍ قَالَ الْوَلِيدُ:
وَ
5215 - حَدَّثَنِي ثَوْرٌ , عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ , عَنْ جُبَيْرٍ , " عَنْ عَوْفٍ وَهُوَ ابْنُ مَالِكٍ , أَنَّ مَدَدِيًّا رَافَقَهُمْ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ , وَأَنَّ رُومِيًّا كَانَ يَشُدُّ عَلَى الْمُسْلِمِينَ وَيُغْرِي بِهِمْ , فَتَلَطَّفَ لَهُ ذَلِكَ الْمَدَدِيُّ , فَقَعَدَ لَهُ تَحْتَ صَخْرَةٍ فَلَمَّا مَرَّ بِهِ , عَرْقَبَ فَرَسَهُ , وَخَرَّ الرُّومِيُّ لِقَفَاهُ , فَعَلَاهُ بِالسَّيْفِ فَقَتَلَهُ , فَأَقْبَلَ بِفَرَسِهِ , وَسَيْفِهِ , وَسَرْجِهِ , وَلِجَامِهِ , وَمِنْطَقَتِهِ , وَسِلَاحِهِ , كُلُّ ذَلِكَ مُذَهَّبٌ بِالذَّهَبِ وَالْجَوْهَرِ , إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ , فَأَخَذَ مِنْهُ خَالِدٌ طَائِفَةً , وَنَفَّلَهُ بَقِيَّتَهُ , فَقُلْتُ: يَا خَالِدُ , مَا هَذَا؟ أَمَا تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَّلَ الْقَاتِلَ السَّلَبَ كُلَّهُ , قَالَ بَلَى , وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ فَقُلْتُ: إِنِّي وَاللهِ لِأُعَرِّفَنَّكَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَوْفٌ: فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْتُهُ خَبَرَهُ , فَدَعَاهُ وَأَمَرَهُ أَنْ يَدْفَعَ إِلَى الْمَدَدِيِّ بَقِيَّةَ سَلَبِهِ , فَوَلَّى خَالِدٌ لِيَدْفَعَ سَلَبَهُ , فَقُلْتُ: كَيْفَ رَأَيْتَ يَا خَالِدُ؟ أَوَلَمْ أَفِ لَكَ بِمَا وَعَدْتُكَ؟ فَغَضِبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ يَا خَالِدُ , لَا تُعْطِهِ فَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ , «هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُو أُمَرَائِي؟ لَكُمْ صَفْوَةُ أَمْرِهِمْ , وَعَلَيْهِمْ كَدَرُهُ» أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ أَمَرَ خَالِدًا بِدَفْعِ بَقِيَّةِ السَّلَبِ إِلَى الْمَدَدِيِّ فَلَمَّا تَكَلَّمَ عَوْفٌ بِمَا تَكَلَّمَ بِهِ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدًا أَنْ لَا يَدْفَعَهُ إِلَيْهِ , [ص:232] فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ السَّلَبَ لَمْ يَكُنْ وَاجِبًا لِلْمَدَدِيِّ , بِقَتْلِهِ الَّذِي كَانَ ذَلِكَ السَّلَبُ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ وَاجِبًا لَهُ بِذَلِكَ إِذًا , لَمَا مَنَعَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَلَامٍ كَانَ مِنْ غَيْرِهِ , وَلَكِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ خَالِدًا بِدَفْعِهِ إِلَيْهِ , وَلَهُ دَفْعُهُ إِلَيْهِ , وَأَمَرَهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِمَنْعِهِ مِنْهُ , وَلَهُ مَنْعُهُ مِنْهُ , كَقَوْلِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ لِأَبِي طَلْحَةَ , فِي حَدِيثِ , الْبَرَاءِ بْنِ مَالِكٍ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ: إِنَّا كُنَّا لَا نُخَمِّسُ الْأَسْلَابَ , وَإِنَّ سَلَبَ الْبَرَاءِ قَدْ بَلَغَ مَالًا عَظِيمًا , وَلَا أَرَانَا إِلَّا خَامِسِيهِ , قَالَ: فَخَمَّسَهُ , فَأَخْبَرَ عُمَرُ أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يُخَمِّسُونَ الْأَسْلَابَ , وَلَهُمْ أَنْ يُخَمِّسُوهَا , وَأَنَّ تَرْكَهُمْ تَخْمِيسُهَا , إِنَّمَا كَانَ بِتَرْكِهِمْ ذَلِكَ لَا لِأَنَّ الْأَسْلَابَ قَدْ وَجَبَتْ لِلْقَاتِلِينَ , كَمَا تَجِبُ لَهُمْ سُهْمَانُهُمْ مِنَ الْغَنِيمَةِ , فَكَذَلِكَ مَا فَعَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ , مِنْ أَمْرِهِ خَالِدًا بِمَا أَمَرَهُ بِهِ , وَمِنْ نَهْيِهِ إِيَّاهُ بَعْدَ ذَلِكَ عَمَّا نَهَاهُ عَنْهُ , إِنَّمَا أَمَرَهُ بِمَا لَهُ أَنْ يَأْمُرَ بِهِ , وَنَهَاهُ عَمَّا لَهُ أَنْ يَنْهَاهُ عَنْهُ وَفِيمَا ذَكَرْنَا دَلِيلٌ صَحِيحٌ أَنَّ السَّلَبَ لَا يَجِبُ لِلْقَاتِلِينَ مِنْ هَذِهِ الْجِهَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান