শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৮৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৮৫
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৮৪-৮৫। ফাহাদ (রাহঃ) ….. বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি আমার মামার সাথে সাক্ষাত করলাম, তার সাথে ছিল একটি ঝাণ্ডা । আমি তাকে বললাম, আপনি কোথায় আগমন করছেন। তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আমাকে এমন এক ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করেছেন, যে তার পিতার মৃত্যুর পর পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে, যাতে আমি তার গর্দান মেরে দেই কিংবা বলেছেন, তাকে হত্যা করি ।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আল-বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমার মামা আবু বুরদা ইব্ন নাইয়ার আল-আসলামী (রাযিঃ) আমার নিকট দিয়ে প্রত্যাগমন করছিলেন। আর তার সাথে ছিল একটি ঝাণ্ডা। এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন। তবে তিনি বলেন, হাদীসে উল্লেখ রয়েছে “যেন আমি তার মাথা নিয়ে আসি।”
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আল-বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমার মামা আবু বুরদা ইব্ন নাইয়ার আল-আসলামী (রাযিঃ) আমার নিকট দিয়ে প্রত্যাগমন করছিলেন। আর তার সাথে ছিল একটি ঝাণ্ডা। এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন। তবে তিনি বলেন, হাদীসে উল্লেখ রয়েছে “যেন আমি তার মাথা নিয়ে আসি।”
بَابٌ: مَنْ تَزَوَّجَ امْرَأَةَ أَبِيهِ أَوْ ذَاتَ مَحْرَمٍ مِنْهُ فَدَخَلَ بِهَا.
4884 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ , عَنِ السُّدِّيِّ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ , " عَنِ الْبَرَاءِ , قَالَ: لَقِيتُ خَالِي، وَمَعَهُ الرَّايَةُ. فَقُلْتُ: أَيْنَ تَذْهَبُ؟ فَقَالَ: أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةَ أَبِيهِ مِنْ بَعْدِهِ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ أَوْ أَقْتُلَهُ ".
4885 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , هُوَ ابْنُ مُنَازِلٍ وَأَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ قَالَا: ثنا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ , عَنْ أَشْعَثَ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ , عَنِ الْبَرَاءِ , قَالَ: مَرَّ بِي خَالِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ الْأَسْلَمِيُّ مَعَهُ اللِّوَاءُ فَذَكَرَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ آتِيهِ بِرَأْسِهِ
4885 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ , هُوَ ابْنُ مُنَازِلٍ وَأَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ قَالَا: ثنا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ , عَنْ أَشْعَثَ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ , عَنِ الْبَرَاءِ , قَالَ: مَرَّ بِي خَالِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ الْأَسْلَمِيُّ مَعَهُ اللِّوَاءُ فَذَكَرَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ آتِيهِ بِرَأْسِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৮৫
empty
৪৮৮৫।
4885 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৮৭
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৮৬-৮৭। মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ….. আল-বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, একদিন আল-হারিস ইব্ন আমর (রাযিঃ) আমার নিকট দিয়ে গমন করছিলেন। তার সাথে ছিল একটি ঝাণ্ডা, যা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার জন্যে বেঁধে দিয়ে ছিলেন। তখন আমি বললাম, আপনাকে তিনি কোথায় প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, এমন এক ব্যক্তির কাছে, যে তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে, যাতে আমি তার গর্দান মেরে দেই।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আশয়াস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আশয়াস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
4886 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ قَالَ: هُشَيْمٌ حَدَّثَنَاهُ قَالَ أَخْبَرَنَا الْأَشْعَثُ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ , " عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ , قَالَ: مَرَّ بِي الْحَارِثُ بْنُ عَمْرٍو , وَمَعَهُ لِوَاءٌ قَدْ عَقَدَهُ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: إِلَى أَيِّ شَيْءٍ بَعَثَكَ؟ قَالَ: إِلَى رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةَ أَبِيهِ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ " [ص:149]
4887 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يُوسُفُ هُوَ ابْنُ مُنَازِلٍ قَالَ: ثنا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ أَشْعَثَ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4887 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يُوسُفُ هُوَ ابْنُ مُنَازِلٍ قَالَ: ثنا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ أَشْعَثَ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৮৭
empty
৪৮৮৭।
4887 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৮৯
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৮৮-৮৯। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আল-বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমার একটি উট হারিয়ে যায়, তখন আমি তার তালাশে ঘরের বাইরে বের হলাম। দেখলাম, উটটি আমার দিকে আসছে। কূয়ার কাছের লােকেরা যখন উটটিকে দেখল তখন তারা আমার কাছে আশ্রয় নিল এবং তাঁবুগুলাে থেকে একটি তাঁবুতে গমন করল। আর ভিতর থেকে এক ব্যক্তিকে তারা বের করল এবং তার গর্দান মেরে দিল। তারা বলতে লাগল, এ লােকটি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার কাছে লােক প্রেরণ করেছেন, যে তাকে হত্যা করেছে।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের মতে যদি কেউ তার মাহরাম কোন নারীকে বিয়ে করে এবং নারীটি যে তার জন্যে হারাম সে তা জানে, এরপর সে তার সাথে সঙ্গম করে তাহলে তার হুকুম হল একজন ব্যভিচারীর ন্যায় এবং তার উপর ব্যভিচারীর শাস্তি প্রয়ােগ করা হবে। তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে কিংবা রাজম করতে হবে। তারা উপরােক্ত হাদীসগুলােকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। উপরােক্ত আলিমের দলের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) অন্তর্ভুক্ত। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন। তারা বলেন, এটাতে ব্যভিচারের শাস্তি ওয়াজিব হয়না, তবে এখানে ওয়াজিব হয় তিরস্কার ও কঠোর শাস্তি। এ দলের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) এবং সুফিয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) অন্তর্ভুক্ত।
সুলাইমান ইব্ন শুয়াইব (রাহঃ) ….. আবু হানীফা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের মতে যদি কেউ তার মাহরাম কোন নারীকে বিয়ে করে এবং নারীটি যে তার জন্যে হারাম সে তা জানে, এরপর সে তার সাথে সঙ্গম করে তাহলে তার হুকুম হল একজন ব্যভিচারীর ন্যায় এবং তার উপর ব্যভিচারীর শাস্তি প্রয়ােগ করা হবে। তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে কিংবা রাজম করতে হবে। তারা উপরােক্ত হাদীসগুলােকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। উপরােক্ত আলিমের দলের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) অন্তর্ভুক্ত। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন। তারা বলেন, এটাতে ব্যভিচারের শাস্তি ওয়াজিব হয়না, তবে এখানে ওয়াজিব হয় তিরস্কার ও কঠোর শাস্তি। এ দলের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) এবং সুফিয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) অন্তর্ভুক্ত।
সুলাইমান ইব্ন শুয়াইব (রাহঃ) ….. আবু হানীফা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন।
4888 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ مُطَّرِفٍ , عَنْ أَبِي الْجَهْمِ , " عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ , قَالَ: ضَلَّتْ إِبِلٌ لِي فَخَرَجْتُ فِي طَلَبِهَا فَإِذَا الْخَيْلُ قَدْ أَقْبَلَتْ فَلَمَّا رَأَى أَهْلُ الْمَاءِ الْخَيْلَ انْضَمُّوا إِلَيَّ وَجَاءُوا إِلَى خِبَاءٍ مِنْ تِلْكَ الْأَخْبِيَةِ فَاسْتَخْرَجُوا مِنْهَا رَجُلًا فَضَرَبُوا عُنُقَهُ قَالُوا: هَذَا رَجُلٌ أَعْرَسَ بِامْرَأَةِ أَبِيهِ , فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَتَلَهُ ". قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى مَنْ تَزَوَّجَ ذَاتَ مَحْرَمٍ مِنْهُ وَهُوَ عَالِمٌ بِحُرْمَتِهَا عَلَيْهِ , فَدَخَلَ بِهَا أَنَّ حُكْمَهُ حُكْمُ الزَّانِي , وَأَنَّهُ يُقَامُ عَلَيْهِ حَدُّ الزِّنَا الرَّجْمُ أَوِ الْجَلْدُ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَّا اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجِبُ فِي هَذَا حَدُّ الزِّنَا , وَلَكِنْ يَجِبُ فِيهِ التَّعْزِيرُ وَالْعُقُوبَةُ الْبَلِيغَةُ. وَمِمَّنْ قَالَ بِذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ رَحِمَهُمَا اللهُ.
4889 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِي يُوسُفَ , عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ , بِذَلِكَ
4889 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِي يُوسُفَ , عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ , بِذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৮৯
empty
৪৮৮৯।
4889 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৯০
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৯০। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু নু'আইম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি সুফিয়ান (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি। তিনি এক ব্যক্তি সম্বন্ধে বলেন, যে তার মাহরাম নারীকে বিয়ে করেছে ও তার সাথে সঙ্গম করেছে, তিনি বলেন, তার উপর কোন শাস্তি নেই।
এ দু'জনের বিপক্ষে যারা দলীল পেশ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে এদের দলীল এই যে, উল্লেখিত হাদীসগুলােতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হত্যার হুকুম দিয়েছেন। আর এগুলাের মধ্যে রাজম কিংবা কোন প্রকার শাস্তি দেয়ার উল্লেখ নেই। উলামায়ে কিরাম সকলেই একমত যে, যে ব্যক্তি এ কাজটি করবে তার উপর হত্যা ওয়াজিব হয়না, বরং একদল আলিমের মতে যদি ব্যভিচারী বিবাহিতা হয় তাহলে তার উপর রাজম ওয়াজিব হয়। যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এ অপরাধীকে রাজম না করে তাকে হত্যার হুকুম দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হয় যে, হত্যা ব্যভিচারীর শাস্তি নয়, এটা হচ্ছে তার বিপরীত অন্য কোন কাজের জন্যে। আর তা হচ্ছে এ বিবাহকারী এরূপ যা কিছু করছে তা করেছে হারামকে হালাল জেনে। যেমন তারা অন্ধকার যুগে এরূপ করত। এ অপরাধী এ কাজ করায় মুরতাদ হয়ে যায় আর এজন্যই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সাথে এমন ব্যবহার করার নির্দেশ দেন, যেরূপ মুরতাদের সাথে করা হয়। অনুরূপভাবে এ বিয়েকারীর সাথে এরূপ ব্যবহার করার জন্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ) বলতেন, কেননা এ বিয়েকারী হারাম কাজটিকে হালাল জেনে করেছে। তাই তাকে হত্যা করা হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ) এ অপরাধী সম্বন্ধে যা বলছেন, এ হাদীসে এর বিপরীত কোন কিছু না থাকায় এখানে তাদের বিরুদ্ধে কোন দলীল নেই। কেননা ব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের বিরােধিতা করা সমীচীন নয়। এ হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আবু বুরদা (রাযিঃ)-এর জন্যে ঝাণ্ডা বেঁধেছেন। আর ঝাণ্ডা বাঁধা হয় এমন ব্যক্তির জন্যে, যাকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার হুকুম দেয়া হয়। ব্যভিচারের শাস্তি প্রয়ােগের জন্য প্রেরিত ব্যক্তির জন্যে, ঝাণ্ডা বাঁধা হয়না। এ হাদীসে আরাে উল্লেখ রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে এক ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করেন, যে তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। আর এখানে উল্লেখ নেই যে, সে তার সাথে সঙ্গম করেছে। বিয়ে করার জন্যে যখন বিবাহকারীকে হত্যার ন্যায় মহা শাস্তি প্রদান করার জন্যে বলা হয়েছে এতে বুঝা যায় যে, শুধু বিবাহ বন্ধনের দ্বারাই এ শাস্তিটি ওয়াজিব হয়েছে, সঙ্গমের জন্য নয়। আর এটা তার জন্যে হুকুম দেয়া হয়েছে, কেননা সে হয়েছিল মুরতাদ, হারামকে হালাল গণ্যকারী।
যদি কেউ বলে যে, আমাদের মতে সে বিয়ে করেছিল এবং তার সাথে সঙ্গমও করেছিল। উত্তরে বলা যায় যে, তােমাদের প্রতিপক্ষের মতে সে বিয়ে করেছিল এবং হারামকে হালাল মনে করেছিল।
আবার যদি কেউ বলে, হারামকে হালাল মনে করার কথা হাদীসে উল্লেখ নেই। উত্তরে বলা যায় যে, সঙ্গমের কথাও হাদীসে উল্লেখ নেই। হাদীসে উল্লেখ ব্যতীত সঙ্গম করাকে যদি হাদীস ধরে নেয়া বৈধ হতে পারে তাহলে হাদীসে উল্লেখ ব্যতীত হারামকে হালাল মনে করার বিষয়টি তােমার প্রতিপক্ষও হাদীসে বৈধ হিসেবে ধরে নিতে পারবে। পূর্ববর্তী হাদীসগুলােতে উল্লেখিত তথ্য থেকে অতিরিক্ত কিছু তথ্যও বর্ণিত রয়েছে, যেমনঃ
এ দু'জনের বিপক্ষে যারা দলীল পেশ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে এদের দলীল এই যে, উল্লেখিত হাদীসগুলােতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হত্যার হুকুম দিয়েছেন। আর এগুলাের মধ্যে রাজম কিংবা কোন প্রকার শাস্তি দেয়ার উল্লেখ নেই। উলামায়ে কিরাম সকলেই একমত যে, যে ব্যক্তি এ কাজটি করবে তার উপর হত্যা ওয়াজিব হয়না, বরং একদল আলিমের মতে যদি ব্যভিচারী বিবাহিতা হয় তাহলে তার উপর রাজম ওয়াজিব হয়। যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এ অপরাধীকে রাজম না করে তাকে হত্যার হুকুম দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হয় যে, হত্যা ব্যভিচারীর শাস্তি নয়, এটা হচ্ছে তার বিপরীত অন্য কোন কাজের জন্যে। আর তা হচ্ছে এ বিবাহকারী এরূপ যা কিছু করছে তা করেছে হারামকে হালাল জেনে। যেমন তারা অন্ধকার যুগে এরূপ করত। এ অপরাধী এ কাজ করায় মুরতাদ হয়ে যায় আর এজন্যই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সাথে এমন ব্যবহার করার নির্দেশ দেন, যেরূপ মুরতাদের সাথে করা হয়। অনুরূপভাবে এ বিয়েকারীর সাথে এরূপ ব্যবহার করার জন্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ) বলতেন, কেননা এ বিয়েকারী হারাম কাজটিকে হালাল জেনে করেছে। তাই তাকে হত্যা করা হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ) এ অপরাধী সম্বন্ধে যা বলছেন, এ হাদীসে এর বিপরীত কোন কিছু না থাকায় এখানে তাদের বিরুদ্ধে কোন দলীল নেই। কেননা ব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের বিরােধিতা করা সমীচীন নয়। এ হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আবু বুরদা (রাযিঃ)-এর জন্যে ঝাণ্ডা বেঁধেছেন। আর ঝাণ্ডা বাঁধা হয় এমন ব্যক্তির জন্যে, যাকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার হুকুম দেয়া হয়। ব্যভিচারের শাস্তি প্রয়ােগের জন্য প্রেরিত ব্যক্তির জন্যে, ঝাণ্ডা বাঁধা হয়না। এ হাদীসে আরাে উল্লেখ রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে এক ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করেন, যে তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। আর এখানে উল্লেখ নেই যে, সে তার সাথে সঙ্গম করেছে। বিয়ে করার জন্যে যখন বিবাহকারীকে হত্যার ন্যায় মহা শাস্তি প্রদান করার জন্যে বলা হয়েছে এতে বুঝা যায় যে, শুধু বিবাহ বন্ধনের দ্বারাই এ শাস্তিটি ওয়াজিব হয়েছে, সঙ্গমের জন্য নয়। আর এটা তার জন্যে হুকুম দেয়া হয়েছে, কেননা সে হয়েছিল মুরতাদ, হারামকে হালাল গণ্যকারী।
যদি কেউ বলে যে, আমাদের মতে সে বিয়ে করেছিল এবং তার সাথে সঙ্গমও করেছিল। উত্তরে বলা যায় যে, তােমাদের প্রতিপক্ষের মতে সে বিয়ে করেছিল এবং হারামকে হালাল মনে করেছিল।
আবার যদি কেউ বলে, হারামকে হালাল মনে করার কথা হাদীসে উল্লেখ নেই। উত্তরে বলা যায় যে, সঙ্গমের কথাও হাদীসে উল্লেখ নেই। হাদীসে উল্লেখ ব্যতীত সঙ্গম করাকে যদি হাদীস ধরে নেয়া বৈধ হতে পারে তাহলে হাদীসে উল্লেখ ব্যতীত হারামকে হালাল মনে করার বিষয়টি তােমার প্রতিপক্ষও হাদীসে বৈধ হিসেবে ধরে নিতে পারবে। পূর্ববর্তী হাদীসগুলােতে উল্লেখিত তথ্য থেকে অতিরিক্ত কিছু তথ্যও বর্ণিত রয়েছে, যেমনঃ
4890 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ يَقُولُ فِي رَجُلٍ تَزَوَّجَ ذَاتَ مَحْرَمٍ مِنْهُ فَدَخَلَ بِهَا قَالَ: لَا حَدَّ عَلَيْهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَى الَّذِينَ احْتَجُّوا عَلَيْهِمَا بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ فِي تِلْكَ الْآثَارِ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَتْلِ وَلَيْسَ فِيهَا ذِكْرُ الرَّجْمِ , وَلَا ذِكْرُ إِقَامَةِ الْحَدِّ. وَقَدْ أَجْمَعُوا جَمِيعًا أَنَّ فَاعِلَ ذَلِكَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ قَتْلٌ إِنَّمَا يَجِبُ عَلَيْهِ - فِي قَوْلِ مَنْ يُوجِبُ عَلَيْهِ الْحَدَّ - عَلَيْهِ الرَّجْمُ إِنْ كَانَ مُحْصَنًا. فَلَمَّا لَمْ يَأْمُرِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّسُولَ بِالرَّجْمِ , وَإِنَّمَا أَمَرَهُ بِالْقَتْلِ ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ ذَلِكَ الْقَتْلَ لَيْسَ بِحَدٍّ لِلزِّنَا , وَلَكِنَّهُ لِمَعْنًى خِلَافَ ذَلِكَ. وَهُوَ أَنَّ ذَلِكَ الْمُتَزَوِّجَ , فَعَلَ مَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى الِاسْتِحْلَالِ كَمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَصَارَ بِذَلِكَ مُرْتَدًّا , فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُفْعَلَ بِهِ مَا يُفْعَلُ بِالْمُرْتَدِّ. وَهَكَذَا كَانَ أَبُو حَنِيفَةَ وَسُفْيَانُ رَحِمَهُمَا اللهُ , يَقُولَانِ فِي هَذَا الْمُتَزَوِّجِ إِذَا كَانَ أَتَى فِي ذَلِكَ عَلَى الِاسْتِحْلَالِ أَنَّهُ يُقْتَلُ. فَإِذَا كَانَ لَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا يَنْفِي مَا يَقُولُ أَبُو حَنِيفَةَ وَسُفْيَانُ , لَمْ يَكُنْ فِيهِ حُجَّةٌ عَلَيْهِمَا لِأَنَّ مُخَالِفَهُمَا لَيْسَ بِالتَّأْوِيلِ أَوْلَى مِنْهُمَا. [ص:150] وَفِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَدَ لِأَبِي بُرْدَةَ الرَّايَةَ» وَلَمْ تَكُنِ الرَّايَاتُ تُعْقَدُ إِلَّا لِمَنْ أَمَرَ بِالْمُحَارَبَةِ , وَالْمَبْعُوثُ عَلَى إِقَامَةِ حَدِّ الزِّنَا , غَيْرُ مَأْمُورٍ بِالْمُحَارَبَةِ. وَفِي الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّهُ بَعَثَهُ إِلَى رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةَ أَبِيهِ وَلَيْسَ فِيهِ أَنَّهُ دَخَلَ بِهَا. فَإِذَا كَانَتْ هَذِهِ الْعُقُوبَةُ وَهِيَ الْقَتْلُ مَقْصُودًا بِهَا إِلَى الْمُتَزَوِّجِ لِتَزَوُّجِهِ دَلَّ ذَلِكَ أَنَّهَا عُقُوبَةٌ وَجَبَتْ بِنَفْسِ الْعَقْدِ لَا بِالدُّخُولِ وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِلَّا وَالْعَاقِدُ مُسْتَحِلٌّ لِذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَهُوَ عِنْدَنَا عَلَى أَنَّهُ تَزَوَّجَ وَدَخَلَ بِهَا. قِيلَ لَهُ: وَهُوَ عِنْدَ مُخَالِفِكَ عَلَى أَنَّهُ تَزَوَّجَ وَاسْتَحَلَّ. فَإِنْ قَالَ: لَيْسَ لِلِاسْتِحْلَالِ ذِكْرٌ فِي الْحَدِيثِ. قِيلَ لَهُ: وَلَا لِلدُّخُولِ ذِكْرٌ فِي الْحَدِيثِ فَإِنْ جَازَ أَنْ تَحْمِلَ مَعْنَى الْحَدِيثِ عَلَى دُخُولٍ غَيْرِ مَذْكُورٍ فِي الْحَدِيثِ جَازَ لِخَصْمِكَ أَنْ يَحْمِلَهُ عَلَى اسْتِحْلَالٍ غَيْرِ مَذْكُورٍ فِي الْحَدِيثِ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ حَرْفٌ زَائِدٌ عَلَى مَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৯১
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৯১। হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ….. আল-বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি আমার মামার সাথে সাক্ষাৎ করি, তার সাথে ছিল একটি ঝাণ্ডা। তিনি তাকে বললেন, আপনি কোথায় যান? তিনি বললেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এমন এক ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করেছেন, যে তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে, আমি যেন তাকে হত্যা করি ও তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করি।
আল-বারা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য সাহাবী হতেও এরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়ঃ
আল-বারা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য সাহাবী হতেও এরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়ঃ
4891 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ , عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ , " عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْبَرَاءِ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: لَقِيَ خَالَهُ وَمَعَهُ رَايَةٌ فَقُلْتُ لَهُ: إِلَى أَيْنَ تَذْهَبُ؟ فَقَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَجُلٍ نَكَحَ امْرَأَةَ أَبِيهِ أَنْ أَقْتُلَهُ وَآخُذَ مَالَهُ " وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ غَيْرِ الْبَرَاءِ مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৯২
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৯২। মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ইব্ন দাউদ (রাহঃ), ফাহাদ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন আল-ওয়ার্দ (রাহঃ) ….. মুয়াবিয়া ইব্ন কুররা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুয়াবিয়া (রাহঃ)-এর দাদাকে এমন একজন লােকের কাছে প্রেরণ করেন, যে তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে, তিনি যেন তার গর্দান মেরে দেন এবং তার সম্পদের এক পঞ্চমাংশ বাজেয়াপ্ত করেন।
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন এ দুই হাদীসের মধ্যে বিবাহকারীর সম্পদ ও সম্পদের ১/৫ অংশ বাজেয়াপ্ত করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে বুঝা যায় যে, বিবাহকারী বিবাহের মাধ্যমে যুদ্ধবাজ মুরতাদে পরিণত হয়েছে। তাই তার মুরতাদ হওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব হয়ে পড়েছে। আর তার সম্পদ হবে যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবস্থানকারী যােদ্ধাদের সম্পদের ন্যায়। কেননা যে মুরতাদ যুদ্ধ করে নাই, সকলে একমত যে, তার সম্পদের ১/৫ অংশ নয়, বরং তার সমুদয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়ে থাকে। একদল আলিম যথা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), তার সাথীগণ ও তাদের মতামত অবলম্বনকারী ব্যক্তিগণ বলেন যে, তার সম্পদ হবে তার মুসলিম ওয়ারিশগণের প্রাপ্য। আর তাদের বিরােধীরা বলেন, তার সমুদয় সম্পদ গনীমতের মাল হিসেবে গণ্য হবে। তার সম্পদের এক পঞ্চমাংশ বাজেয়াপ্ত করলে চলবেনা। কেননা এ ব্যাপারে কোন সওয়ার ও সওয়ারীকে কাজে নিযুক্ত করা হয়নি। আর আমাদের উল্লেখিত এ বিবাহকারীর সম্পদ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কর্তৃক এক পঞ্চমাংশ বাজেয়াপ্ত করায় এটা বুঝা যায় যে, উক্ত বিবাহকারী থেকে ধর্ম বিচ্যুতি ও যুদ্ধবাজী উভয়টাই পাওয়া গেছে। তাই আমাদের উল্লেখিত তথ্যের মাধ্যমে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ)-এর বিরুদ্ধে এ হাদীসটি দলীল হিসেবে প্রযােজ্য হয়না।
যদি কেউ বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, এ বিয়েটি এমন একটি বিয়ে, যার স্থায়িত্ব নেই। সুতরাং যে বিয়ের স্থায়িত্ব নেই, সেটা যেন এমন যে, বিয়েটিই অনুষ্ঠিত হয়নি। কাজেই তার সঙ্গমটি যেন বিয়ে না হওয়ার অবস্থায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। জবাবে বলা যায় যে, যদি এরূপই হয়ে থাকে তাহলে তােমার প্রশ্নে যে তুমি বিয়ের কথা উল্লেখ করেছ, তাতে তােমার জন্যে উচিত ছিল বলাঃ যদি কোন ব্যক্তি তার মাহরামের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। যদি তুমি এরূপ বলতে তাহলে আমরা জবাবে বলতাম, তার উপর শাস্তি প্রয়ােগ করতে হবে। আর তুমি যখন বিয়ে শব্দটি উচ্চারণ করেছ, আর এটাকে তুমি বিয়ে বলে আখ্যায়িত করেছ এটা যদিও সুদৃঢ় বিয়ে না হয়ে থাকে, সংগমকারীর উপর বৈধ কিংবা অবৈধ বিয়ের জন্যে কোন শাস্তি আরােপ করা যাবেনা। আমরা আরাে লক্ষ্য করেছি যে, হযরত উমার (রাযিঃ) ইদ্দতের মধ্যে অস্থায়ী বিয়ে সম্পাদনকারীর ক্ষেত্রে যে হুকুম জারী করেছেন তাতে তােমার মাযহাবের বিরুদ্ধাচরণই ব্যক্ত হয়। আর এটা হল নিম্নরূপঃ
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন এ দুই হাদীসের মধ্যে বিবাহকারীর সম্পদ ও সম্পদের ১/৫ অংশ বাজেয়াপ্ত করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে বুঝা যায় যে, বিবাহকারী বিবাহের মাধ্যমে যুদ্ধবাজ মুরতাদে পরিণত হয়েছে। তাই তার মুরতাদ হওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব হয়ে পড়েছে। আর তার সম্পদ হবে যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবস্থানকারী যােদ্ধাদের সম্পদের ন্যায়। কেননা যে মুরতাদ যুদ্ধ করে নাই, সকলে একমত যে, তার সম্পদের ১/৫ অংশ নয়, বরং তার সমুদয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়ে থাকে। একদল আলিম যথা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), তার সাথীগণ ও তাদের মতামত অবলম্বনকারী ব্যক্তিগণ বলেন যে, তার সম্পদ হবে তার মুসলিম ওয়ারিশগণের প্রাপ্য। আর তাদের বিরােধীরা বলেন, তার সমুদয় সম্পদ গনীমতের মাল হিসেবে গণ্য হবে। তার সম্পদের এক পঞ্চমাংশ বাজেয়াপ্ত করলে চলবেনা। কেননা এ ব্যাপারে কোন সওয়ার ও সওয়ারীকে কাজে নিযুক্ত করা হয়নি। আর আমাদের উল্লেখিত এ বিবাহকারীর সম্পদ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কর্তৃক এক পঞ্চমাংশ বাজেয়াপ্ত করায় এটা বুঝা যায় যে, উক্ত বিবাহকারী থেকে ধর্ম বিচ্যুতি ও যুদ্ধবাজী উভয়টাই পাওয়া গেছে। তাই আমাদের উল্লেখিত তথ্যের মাধ্যমে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ)-এর বিরুদ্ধে এ হাদীসটি দলীল হিসেবে প্রযােজ্য হয়না।
যদি কেউ বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, এ বিয়েটি এমন একটি বিয়ে, যার স্থায়িত্ব নেই। সুতরাং যে বিয়ের স্থায়িত্ব নেই, সেটা যেন এমন যে, বিয়েটিই অনুষ্ঠিত হয়নি। কাজেই তার সঙ্গমটি যেন বিয়ে না হওয়ার অবস্থায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। জবাবে বলা যায় যে, যদি এরূপই হয়ে থাকে তাহলে তােমার প্রশ্নে যে তুমি বিয়ের কথা উল্লেখ করেছ, তাতে তােমার জন্যে উচিত ছিল বলাঃ যদি কোন ব্যক্তি তার মাহরামের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। যদি তুমি এরূপ বলতে তাহলে আমরা জবাবে বলতাম, তার উপর শাস্তি প্রয়ােগ করতে হবে। আর তুমি যখন বিয়ে শব্দটি উচ্চারণ করেছ, আর এটাকে তুমি বিয়ে বলে আখ্যায়িত করেছ এটা যদিও সুদৃঢ় বিয়ে না হয়ে থাকে, সংগমকারীর উপর বৈধ কিংবা অবৈধ বিয়ের জন্যে কোন শাস্তি আরােপ করা যাবেনা। আমরা আরাে লক্ষ্য করেছি যে, হযরত উমার (রাযিঃ) ইদ্দতের মধ্যে অস্থায়ী বিয়ে সম্পাদনকারীর ক্ষেত্রে যে হুকুম জারী করেছেন তাতে তােমার মাযহাবের বিরুদ্ধাচরণই ব্যক্ত হয়। আর এটা হল নিম্নরূপঃ
4892 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ , وَفَهْدٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَرْدِ قَالُوا: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُنَازِلٍ الْكُوفِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي كَرِيمَةَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ جَدَّهُ مُعَاوِيَةَ إِلَى رَجُلٍ عَرَّسَ بِامْرَأَةِ أَبِيهِ أَنْ يَضْرِبَ عُنُقَهُ وَيُخَمِّسَ مَالَهُ» فَلَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ بِأَخْذِ مَالِ الْمُتَزَوِّجِ وَتَخْمِيسِهِ دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْمُتَزَوِّجَ كَانَ بِتَزَوُّجِهِ مُرْتَدًّا مُحَارِبًا فَوَجَبَ أَنْ يُقْتَلَ لِرِدَّتِهِ , وَكَانَ مَالُهُ كَمَالِ الْحَرْبِيِّينَ لِأَنَّ الْمُرْتَدَّ الَّذِي لَمْ يُحَارِبْ كُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ فِي أَخْذِ مَالِهِ , عَلَى خِلَافِ التَّخْمِيسِ. فَقَالَ قَوْمٌ وَهُمْ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَصْحَابُهُ رَحِمَهُمُ اللهُ وَمَنْ قَالَ بِقَوْلِهِمْ مَالُهُ لِوَرَثَتِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَقَالَ مُخَالِفُوهُمْ: مَالُهُ كُلٌّ فَيْءٌ وَلَا تَخْمِيسَ فِيهِ لِأَنَّهُ لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ. فَفِي تَخْمِيسِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَالَ الْمُتَزَوِّجِ - الَّذِي ذَكَرْنَا - دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَتْ مِنْهُ الرِّدَّةُ وَالْمُحَارَبَةُ جَمِيعًا. فَانْتَفَى بِمَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ عَلَى أَبِي حَنِيفَةَ وَسُفْيَانَ رَحِمَهُمَا اللهُ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ حُجَّةٌ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رَأَيْنَا ذَلِكَ النِّكَاحَ نِكَاحًا لَا يَثْبُتُ فَكَانَ يَنْبَغِي إِذَا لَمْ يَثْبُتْ أَنْ يَكُونَ فِي حُكْمِ مَا لَمْ يَنْعَقِدْ فَيَكُونُ الْوَاطِئُ عَلَيْهِ كَالْوَاطِئِ لَا عَلَى نِكَاحٍ فَيُحَدُّ. [ص:151] قِيلَ لَهُ: إِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَلِمَ كَانَ سُؤَالُكَ إِيَّانَا مَا ذَكَرْتُ ذِكْرَ التَّزْوِيجِ كَانَ يَنْبَغِي أَنْ تَقُولَ رَجُلٌ زَنَى بِذَاتِ مَحْرَمٍ مِنْهُ. فَإِنْ قُلْتُ ذَلِكَ كَانَ جَوَابُنَا لَكَ أَنْ نَقُولَ: عَلَيْهِ الْحَدُّ وَإِنْ أَطْلَقْتُ اسْمَ التَّزَوُّجِ , وَسَمَّيْتُ ذَلِكَ النِّكَاحَ نِكَاحًا وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ثَابِتًا فَلَا حَدَّ عَلَى وَاطِئٍ عَلَى نِكَاحٍ جَائِزٍ وَلَا فَاسِدٍ. وَقَدْ رَأَيْنَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَضَى فِي الْمُتَزَوِّجِ فِي الْعِدَّةِ الَّتِي لَا يَثْبُتُ فِيهَا نِكَاحُ الْوَاطِئِ عَلَى ذَلِكَ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ مَذْهَبِكَ. وَذَلِكَ أَنَّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৮৪
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৯৩-৯৪। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাযিঃ) ও সুলাইমান ইব্ন ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, “তুলাইহা (রাযিঃ) তার ইদ্দতের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হন”, তখন তাকে হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর কাছে আনয়ন করা হল। তিনি তাকে বেত্রাঘাত করেন এবং তার স্বামীকে বেত্রাঘাত করেন। এরপর দুইজনকে পৃথক করে দেন। আর বলেন, কোন মহিলা যদি তার ইদ্দতের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হয় তাহলে তাকে এবং তার বিবাহিত স্বামীকে পৃথক করে দিতে হবে। অতঃপর সে তার প্রথম বিবাহের বাকি ইদ্দত পালন করবে। এরপর দ্বিতীয় বিবাহের ইদ্দত পালন করতে হবে, যদি দ্বিতীয় স্বামী তার সাথে সঙ্গম করে থাকে। আর সে কোন দিনও মহিলাটিকে বিয়ে করতে পারবেনা। আবার দ্বিতীয় স্বামী যদি তার সাথে সঙ্গম না করে থাকে তাহলে মহিলাটি শুধুমাত্র প্রথম বিয়ের ইদ্দত পালন করবে এবং দ্বিতীয় স্বামী অন্যান্য বিয়ের প্রস্তাবকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইব্ন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইব্ন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
4893 - إِبْرَاهِيمَ بْنَ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ قَالَ: ثنا مَالِكٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ طُلَيْحَةَ نَكَحَتْ فِي عِدَّتِهَا فَأُتِيَ بِهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَضَرَبَهَا ضَرَبَاتٍ بِالْمِخْفَقَةِ وَضَرَبَ زَوْجَهَا وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا وَقَالَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ فِي عِدَّتِهَا فُرِّقَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ زَوْجِهَا الَّذِي نَكَحَتْ ثُمَّ اعْتَدَّتْ بَقِيَّةَ عِدَّتِهَا مِنَ الْأَوَّلِ , ثُمَّ اعْتَدَّتْ مِنَ الْآخَرِ وَإِنْ كَانَ دَخَلَ بِهَا الْآخَرُ ثُمَّ لَمْ يَنْكِحْهَا أَبَدًا , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ دَخَلَ بِهَا اعْتَدَّتْ مِنَ الْأَوَّلِ وَكَانَ الْآخَرُ خَاطِبًا مِنَ الْخُطَّابِ
4884 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4884 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৯৪
empty
৪৮৯৪।
4894 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৯৫
৫. যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করে কিংবা তার কোন মুহরিম নারীকে বিয়ে করে ও তার সাথে সঙ্গম করে
৪৮৯৫। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি একটি মহিলাকে তার ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে। তখন বিষয়টি হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কাছে উত্থাপন করা হয়। হযরত উমার (রাযিঃ) তাকে নির্ধারিত শাস্তি থেকে কম বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদান করেন ও তার মাহর নির্ধারণ করে দেন। আর এ দুজনকে পৃথক করে দেন এবং বলেন, এ দুজন যেন আর কখনও একত্রিত না হয়।” বর্ণনাকারী বলেন, “আলী (রাযিঃ) বলেছেন, যদি তারা দুজন তাওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশােধন করে নেয় তাহলে আমি এ দুজনকে বিয়ের প্রস্তাবকারীদের মধ্যে গণ্য করব।”
তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, উমার (রাযিঃ) মহিলাটিকে এবং ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে সম্পাদনকারী পুরুষটিকে বেত্রাঘাত করেছেন। আর তারা যে হারাম কাজটি করেছে সে সম্বন্ধে তারা অজ্ঞ ছিল। এ অবস্থায় হযরত উমার (রাযিঃ) তাদেরকে বেত্রাঘাত করেছেন এটা সম্ভব নয়। কেননা তিনি ছিলেন আল্লাহ্ তা'আলা সম্বন্ধে মহাজ্ঞানী। তাই তিনি দলীল ব্যতীত কাউকে শাস্তি প্রদান করবেন তা হতে পারেনা। যখন তিনি তাদেরকে বেত্রাঘাত করেছেন, এতে বুঝা যায় যে, এ কাজটি করার পূর্বে এটি হারাম হওয়ার দলীলটি তাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছিল। অতঃপর হযরত উমার (রাযিঃ) তাদের দু'জনের উপর (শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি) প্রয়ােগ করেননি। তাঁর কাছে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবীগণ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে তারা তার আনুগত্য করেছেন, তার বিরুদ্ধাচরণ করেননি। সুতরাং এটা একটি বিশুদ্ধ দলীল যে, বিবাহ বন্ধনের ফলে যদিও এটা সুদৃঢ় নয়, কতিপয় হুকুম তার জন্যে পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়, যেমন সঙ্গমের পর মাহর ওয়াজিব হয়, ইদ্দত পালন করতে হয়, বংশ প্রমাণিত হয়। এ ধরনের অনেক কিছু, যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি। সুতরাং এ ক্ষেত্রে হদ ওয়াজিব হওয়া অসম্ভব, কেননা হদ ওয়াজিব হয় ব্যভিচার দ্বারা আর ব্যভিচার বংশ, মাহর, ইদ্দত ইত্যাদি কোনটাই প্রমাণ করেনা।
যদি কেউ বলেন, “তুমি যে মাহরামের সাথে বিয়ের ভিত্তিতে সঙ্গমের কথা উল্লেখ করেছ এটা যদি ব্যভিচার হয়ে থাকে তাহলে এটা হবে ব্যভিচার হতেও বেশী খারাপ। সুতরাং ব্যভিচারের কারণে যে শাস্তি ওয়াজিব হয় তার ক্ষেত্রেও সেরূপ শাস্তি ওয়াজিব হওয়া উচিত।” উত্তরে তাকে বলা যায়, একথা বলে তুমি মাহরামের সঙ্গমকে ব্যভিচারী থেকে পৃথক করে নিলে এবং বললে যে, এটা ব্যভিচারী থেকেও বেশী খারাপ। তবে ব্যভিচারী কিংবা ব্যভিচার থেকে বৃহত্তর নিষিদ্ধ বস্তুগুলাের ব্যাপারে সীমালংঘনে এরূপ শাস্তি হয়না, যেরূপ ব্যভিচারের ক্ষেত্রে হয়। কেননা শাস্তির ব্যাপারটি তাওকীফী (নাছ ভিত্তিক) হিসেবে গণ্য, কীয়াসী (কিয়াস ভিত্তিক) নয়। তােমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ্ তা'আলা মুরদার রক্ত ও শূকর মাংস হারাম করেছেন, যেমন মদ হারাম করেছেন। আর মদপানকারীর উপর হদ (শান্তি) নির্ধারণ করেছেন, কিন্তু শূকর মাংস ভক্ষণকারী কিংবা মুরদার ভক্ষণকারীর ক্ষেত্রে অনুরূপ শাস্তি নির্ধারণ করেননি; যদিও এটা যেরূপ হারাম
সেটাও সেরূপ হারাম। অনুরূপভাবে সতী নারীর প্রতি অপবাদ আরােপের শাস্তি আশিটি বেত্রাঘাত, অপবাদ আরােপকারীর সাক্ষ্য অগ্রাহ্য এবং তার প্রতি فسق নামটি অবিচ্ছিন্ন করা ইত্যাদি ঐ ব্যক্তির সাথে জড়িত করা হয়নি ,যে কোন ব্যক্তিকে কুফরীর অপবাদ দিয়েছে অথচ কুফরী আসলে একটি জঘন্য অপরাধ এবং অপবাদ থেকেও জঘন্যতর। সুতরাং শাস্তি কতিপয় বস্তুর ব্যাপারে প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার এগুলাের ন্যায় কতগুলাের ব্যাপারে প্রণয়ন করা হয়নি, এমনকি এগুলাে থেকে বড় ও খারাপ বস্তুর ব্যাপারেও শাস্তি প্রণয়ন করা হয়নি। অনুরূপভাবে ব্যভিচারীর জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা যেরূপ শাস্তি ওয়াজিব করেছেন ব্যভিচার থেকে বেশী জঘন্য অপরাধের জন্যে সেরূপ শাস্তি ওয়াজিব করেননি। এ অনুচ্ছেদের মধ্যে এটাই চিন্তা ও গবেষণার ফল যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ)-এর অভিমত।
তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, উমার (রাযিঃ) মহিলাটিকে এবং ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে সম্পাদনকারী পুরুষটিকে বেত্রাঘাত করেছেন। আর তারা যে হারাম কাজটি করেছে সে সম্বন্ধে তারা অজ্ঞ ছিল। এ অবস্থায় হযরত উমার (রাযিঃ) তাদেরকে বেত্রাঘাত করেছেন এটা সম্ভব নয়। কেননা তিনি ছিলেন আল্লাহ্ তা'আলা সম্বন্ধে মহাজ্ঞানী। তাই তিনি দলীল ব্যতীত কাউকে শাস্তি প্রদান করবেন তা হতে পারেনা। যখন তিনি তাদেরকে বেত্রাঘাত করেছেন, এতে বুঝা যায় যে, এ কাজটি করার পূর্বে এটি হারাম হওয়ার দলীলটি তাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছিল। অতঃপর হযরত উমার (রাযিঃ) তাদের দু'জনের উপর (শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি) প্রয়ােগ করেননি। তাঁর কাছে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবীগণ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে তারা তার আনুগত্য করেছেন, তার বিরুদ্ধাচরণ করেননি। সুতরাং এটা একটি বিশুদ্ধ দলীল যে, বিবাহ বন্ধনের ফলে যদিও এটা সুদৃঢ় নয়, কতিপয় হুকুম তার জন্যে পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়, যেমন সঙ্গমের পর মাহর ওয়াজিব হয়, ইদ্দত পালন করতে হয়, বংশ প্রমাণিত হয়। এ ধরনের অনেক কিছু, যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি। সুতরাং এ ক্ষেত্রে হদ ওয়াজিব হওয়া অসম্ভব, কেননা হদ ওয়াজিব হয় ব্যভিচার দ্বারা আর ব্যভিচার বংশ, মাহর, ইদ্দত ইত্যাদি কোনটাই প্রমাণ করেনা।
যদি কেউ বলেন, “তুমি যে মাহরামের সাথে বিয়ের ভিত্তিতে সঙ্গমের কথা উল্লেখ করেছ এটা যদি ব্যভিচার হয়ে থাকে তাহলে এটা হবে ব্যভিচার হতেও বেশী খারাপ। সুতরাং ব্যভিচারের কারণে যে শাস্তি ওয়াজিব হয় তার ক্ষেত্রেও সেরূপ শাস্তি ওয়াজিব হওয়া উচিত।” উত্তরে তাকে বলা যায়, একথা বলে তুমি মাহরামের সঙ্গমকে ব্যভিচারী থেকে পৃথক করে নিলে এবং বললে যে, এটা ব্যভিচারী থেকেও বেশী খারাপ। তবে ব্যভিচারী কিংবা ব্যভিচার থেকে বৃহত্তর নিষিদ্ধ বস্তুগুলাের ব্যাপারে সীমালংঘনে এরূপ শাস্তি হয়না, যেরূপ ব্যভিচারের ক্ষেত্রে হয়। কেননা শাস্তির ব্যাপারটি তাওকীফী (নাছ ভিত্তিক) হিসেবে গণ্য, কীয়াসী (কিয়াস ভিত্তিক) নয়। তােমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ্ তা'আলা মুরদার রক্ত ও শূকর মাংস হারাম করেছেন, যেমন মদ হারাম করেছেন। আর মদপানকারীর উপর হদ (শান্তি) নির্ধারণ করেছেন, কিন্তু শূকর মাংস ভক্ষণকারী কিংবা মুরদার ভক্ষণকারীর ক্ষেত্রে অনুরূপ শাস্তি নির্ধারণ করেননি; যদিও এটা যেরূপ হারাম
সেটাও সেরূপ হারাম। অনুরূপভাবে সতী নারীর প্রতি অপবাদ আরােপের শাস্তি আশিটি বেত্রাঘাত, অপবাদ আরােপকারীর সাক্ষ্য অগ্রাহ্য এবং তার প্রতি فسق নামটি অবিচ্ছিন্ন করা ইত্যাদি ঐ ব্যক্তির সাথে জড়িত করা হয়নি ,যে কোন ব্যক্তিকে কুফরীর অপবাদ দিয়েছে অথচ কুফরী আসলে একটি জঘন্য অপরাধ এবং অপবাদ থেকেও জঘন্যতর। সুতরাং শাস্তি কতিপয় বস্তুর ব্যাপারে প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার এগুলাের ন্যায় কতগুলাের ব্যাপারে প্রণয়ন করা হয়নি, এমনকি এগুলাে থেকে বড় ও খারাপ বস্তুর ব্যাপারেও শাস্তি প্রণয়ন করা হয়নি। অনুরূপভাবে ব্যভিচারীর জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা যেরূপ শাস্তি ওয়াজিব করেছেন ব্যভিচার থেকে বেশী জঘন্য অপরাধের জন্যে সেরূপ শাস্তি ওয়াজিব করেননি। এ অনুচ্ছেদের মধ্যে এটাই চিন্তা ও গবেষণার ফল যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও সুফিয়ান (রাহঃ)-এর অভিমত।
4895 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ أَبِي عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , أَنَّ رَجُلًا , تَزَوَّجَ امْرَأَةً فِي عِدَّتِهَا , فَرُفِعَ إِلَى عُمَرَ فَضَرَبَهَا دُونَ الْحَدِّ وَجَعَلَ لَهَا الصَّدَاقَ وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا وَقَالَ لَا يَجْتَمِعَانِ أَبَدًا. قَالَ: وَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنْ تَابَا وَأَصْلَحَا جَعَلْتُهُمَا مَعَ الْخُطَّابِ. أَفَلَا تَرَى أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ ضَرَبَ الْمَرْأَةَ وَالزَّوْجَ الْمُتَزَوِّجَ فِي الْعِدَّةِ بِالْمِخْفَقَةِ فَاسْتَحَالَ أَنْ يَضْرِبَهُمَا وَهُمَا جَاهِلَانِ بِتَحْرِيمِ مَا فَعَلَا لِأَنَّهُ كَانَ أَعْرَفَ بِاللهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ أَنْ يُعَاقِبَ مَنْ لَمْ تَقُمْ عَلَيْهِ الْحُجَّةُ. فَلَمَّا ضَرَبَهُمَا دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْحُجَّةَ قَدْ كَانَتْ قَامَتْ عَلَيْهِمَا بِالتَّحْرِيمِ قَبْلَ أَنْ يَفْعَلَا ثُمَّ هُوَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يُقِمْ عَلَيْهِمَا الْحَدَّ وَقَدْ حَضَرَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَابَعُوهُ عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يُخَالِفُوهُ فِيهِ. فَهَذَا دَلِيلٌ صَحِيحٌ أَنَّ عَقْدَ النِّكَاحِ إِذَا كَانَ وَإِنْ كَانَ لَا يَثْبُتُ , وَجَبَ لَهُ حُكْمُ النِّكَاحِ فِي وُجُوبِ الْمَهْرِ بِالدُّخُولِ الَّذِي يَكُونُ بَعْدَهُ وَفِي الْعِدَّةِ مِنْهُ وَفِي ثُبُوتِ النَّسَبِ وَمَا كَانَ يُوجِبُ مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ فَيَسْتَحِيلُ أَنْ يَجِبَ فِيهِ حَدٌّ لِأَنَّ الَّذِي يُوجِبُ الْحَدَّ هُوَ الزِّنَا , وَالزِّنَا لَا يُوجِبُ ثُبُوتَ نَسَبٍ وَلَا مَهْرٍ وَلَا عِدَّةٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّ هَذَا الَّذِي ذَكَرْتُ مِنْ وَطْءِ ذَاتِ الْمَحْرَمِ مِنْهُ عَلَى النِّكَاحِ الَّذِي وَصَفْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ زِنًا فَهُوَ أَغْلَظُ مِنَ الزِّنَا فَأَحْرَى أَنْ يَجِبَ فِيهِ مَا يَجِبُ فِي الزِّنَا. [ص:152] قِيلَ لَهُ: قَدْ أَخْرَجْتَهُ بِقَوْلِكَ هَذَا مِنْ أَنْ يَكُونَ زِنًا وَزَعَمْتُ أَنَّهُ أَغْلَظُ مِنَ الزِّنَا وَلَيْسَ مَا كَانَ مِثْلَ الزِّنَا أَوْ مَا كَانَ أَعْظَمَ مِنَ الزِّنَا مِنَ الْأَشْيَاءِ الْمُحَرَّمَةِ يَجِبُ فِي انْتِهَاكِهَا مِنَ الْعُقُوبَاتِ مَا يَجِبُ فِي الزِّنَا لِأَنَّ الْعُقُوبَاتِ إِنَّمَا تُؤْخَذُ مِنْ جِهَةِ التَّوْقِيفِ لَا مِنْ جِهَةِ الْقِيَاسِ. أَلَا تَرَى أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ حَرَّمَ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ كَمَا حَرَّمَ الْخَمْرَ , وَقَدْ جَعَلَ عَلَى شَارِبِ الْخَمْرِ حَدًّا لَمْ يُجْعَلْ مِثْلُهُ عَلَى أَكْلِ لَحْمِ الْخِنْزِيرِ , وَلَا عَلَى أَكْلِ لَحْمِ الْمَيْتَةِ وَإِنْ كَانَ تَحْرِيمُ مَا أَتَى بِهِ كَتَحْرِيمِ مَا أَتَى ذَلِكَ. وَكَذَلِكَ قَذْفُ الْمُحْصَنَةِ جَعَلَ اللهُ فِيهِ جَلْدَ ثَمَانِينَ وَسُقُوطَ شَهَادَةِ الْقَاذِفِ وَإِلْزَامَ اسْمِ الْفِسْقِ. وَلَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ فِيمَنْ رَمَى رَجُلًا بِالْكُفْرِ , وَالْكُفْرُ فِي نَفْسِهِ أَعْظَمُ وَأَغْلَظُ مِنَ الْقَذْفِ. فَكَانَتِ الْعُقُوبَاتُ قَدْ جُعِلَتْ فِي أَشْيَاءَ خَاصَّةٍ , وَلَمْ يُجْعَلْ فِي أَمْثَالِهَا وَلَا فِي أَشْيَاءَ هِيَ أَعْظَمُ مِنْهَا وَأَغْلَظُ. فَكَذَلِكَ مَا جَعَلَ اللهُ تَعَالَى مِنَ الْحَدِّ فِي الزِّنَا لَا يَجِبُ بِهِ أَنْ يَكُونَ وَاجِبًا فِيمَا هُوَ أَغْلَظُ مِنَ الزِّنَا. فَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَا فِي هَذَا الْبَابِ هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَسُفْيَانَ رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান