শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৮৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৭৪
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৭৩-৭৪। ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনান (রাহঃ) ….. সালামা ইব্‌ন আল-মুহাব্বিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনা করল, তখন রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেন, যদি সে দাসীকে জোর করে থাকে তাহলে সে আযাদ এবং অনুরূপ একটি দাসী তার উপর (স্ত্রীর অনুকূলে) ওয়াজিব হবে। আর যদি দাসী তার এ কাজে আনুগত্য করে থাকে তাহলে দাসীটি তার হয়ে যাবে, আবার অন্য একটি দাসী তার উপর (স্ত্রীর অনুকূলে) ওয়াজিব হবে।


ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... সাল্লাম ইব্‌ন মিসকীন (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হাসান বসরী (রাহঃ) কে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম, যে তার স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনা করে। তিনি বলেন, আমার কাছে কাবীসা ইব্‌ন হুরাইস আল-আনসারী (রাযিঃ), সালামা ইব্‌ন আল-মুহাব্বিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং আরাে অতিরিক্ত বলেন যে, তার উপর কোন শাস্তি প্রয়ােগ করা হয়নি।

আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এরূপ মত প্রকাশ করেন এবং তারা বলেন, কেউ যদি স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনা করে তাহলে সালামা (রাযিঃ)-এর হাদীসে যা বর্ণিত হয়েছে তাহলে সেটাই হলাে তার হুকুম। তারা আরাে বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর পরে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। এ সম্পর্কে তারা উল্লেখ করেনঃ
بَابٌ: الرَّجُلُ يَزْنِي بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ.
4873 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ بَكَّارٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ جَوْنِ بْنِ قَتَادَةَ , عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ " أَنَّ رَجُلًا , زِنَا بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ , فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنْ كَانَ اسْتَكْرَهَهَا فَهِيَ حُرَّةٌ وَعَلَيْهَا مِثْلُهَا وَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْهُ فَعَلَيْهِ مِثْلُهَا "

4874 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامِ بْنِ مِسْكِينٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: سَأَلْتُ الْحَسَنَ عَنِ الرَّجُلِ يَقَعُ بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ. فَقَالَ: حَدَّثَنِي قَبِيصَةُ بْنُ حُرَيْثٍ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَزَادَ «وَلَمْ يُقِمْ عَلَيْهِ حَدًّا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , وَقَالُوا: هَذَا الْحُكْمُ فِيمَنْ زَنَى بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ سَلَمَةَ هَذَا. [ص:145] وَقَالُوا: قَدْ عَمِلَ بِذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭৪
empty
৪৮৭৪।
4874 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭৫
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৭৫। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. উকবা ইব্‌ন জাব্বান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর কাছে এসে বলে, আমি যিনা করেছি। তিনি বলেন, কেমন করে তুমি লিপ্ত হলে? সে বলল, আমি আমার স্ত্রীর দাসীর সাথে সঙ্গম করেছি। আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহু আকবার, তুমি যদি তাকে জোর করে থাক তাহলে তাকে আযাদ করাে। আর যদি সে এ ব্যাপারে তােমার অনুগত থাকে তুমি তাকে আযাদ করে দেবে এবং এরূপ একটি দাসী তােমার উপর ওয়াজিব হবে।
অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, সে বিবাহিত হলে তাকে রাজম করা হবে। আর অবিবাহিত হলে বেত্রাঘাত করা হবে। তাদের এ অভিমতের পক্ষে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে কতিপয় হাদীস দেখতে পাওয়া যায়।
4875 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا وَهْبٌ , عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ عَمِّهِ ابْنِ حَيَّانَ , أَنَّ رَجُلًا أَتَى عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ: إِنِّي زَنَيْتُ فَقَالَ: كَيْفَ صَنَعْتَ؟ قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِي. فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ: اللهُ أَكْبَرُ إِنْ كُنْتَ اسْتَكْرَهْتَهَا , فَأَعْتِقْهَا وَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْكَ , فَأَعْتِقْ وَعَلَيْكَ مِثْلُهَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ نَرَى عَلَيْهِ الرَّجْمَ إِنْ كَانَ مُحْصَنًا وَالْجَلْدَ إِنْ كَانَ غَيْرَ مُحْصَنٍ. وَكَانَ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ مِنَ الْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭৬
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৭৬। ফাহাদ (রাহঃ) ….. হাবীব ইব্‌ন সালিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে সঙ্গম করে। তখন তার স্ত্রী আন-নু'মান ইব্‌ন বাশীর (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করে ও তাকে সংবাদ দেয়। প্রথমেই তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমার কাছে একটি সুদৃঢ় ও সুনিশ্চিত হাদীস বিদ্যমান রয়েছে, এটা আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে সংগ্রহ করেছি। যদি তুমি তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়ে থাক তাহলে আমি তাকে একশ বেত্রাঘাত করব। আর যদি তুমি তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি না দিয়ে থাক তাহলে আমি তাকে রাজম করব।
4876 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: ثنا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ " أَنَّ رَجُلًا وَقَعَ بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ , فَأَتَتِ امْرَأَتُهُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ فَأَخْبَرَتْهُ. فَقَالَ: أَمَا إِنَّ عِنْدِي فِي ذَلِكَ خَبَرًا ثَابِتًا أَخَذْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كُنْتِ أَذِنْتِ لَهُ جَلَدْتُهُ مِائَةً , وَإِنْ كُنْتِ لَمْ تَأْذَنِي لَهُ رَجَمْتُهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭৭
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৭৭। আহমাদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) ..... হুমাম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কাতাদা (রাহঃ) কে জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল, যে তার স্ত্রীর দাসীর সাথে সে সঙ্গম করে। তখন তিনি বলেন, “হাবীব ইব্‌ন ইয়াসাফ (রাহঃ) আমাকে হাবীব ইব্‌ন সালিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। যখন মহিলাটি এ ঘটনা আন-নু'মান ইব্‌ন বাশীর (রাযিঃ)-এর কাছে উত্থাপন করেন তখন আন-নু'মান ইব্‌ন বাশীর (রাযিঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর রায় অনুযায়ী আমি এ ব্যাপারে রায় প্রদান করব। যদি মহিলাটি দাসীটিকে তার জন্যে অনুমতি দেয় তাহলে আমি তাকে একশটি বেত্রাঘাত করব আর যদি অনুমতি না দিয়ে থাকে তাহলে আমি রাজম এর হুকুম দেব।”

সুতরাং এ হাদীসের মধ্যে প্রথম হাদীসের বিপরীত দেখতে পাওয়া যায়। কেননা এখানে বলা হয়েছে যে, যদি মুনিব মাহিলা তাকে অনুমতি না দিয়ে থাকে তাহলে তাকে পাথর দ্বারা শাস্তি দেয়া হবে। হাদীসে আরাে বলা হয়েছে, যদি তুমি তাকে অনুমতি দিয়ে থাক তাহলে আমি তাকে একশ বেত্রাঘাত করব। এই একশ বেত্রাঘাত আমাদের মতে শাসনের জন্যে প্রয়ােগ করা হয়েছে যেন সন্দেহ সহকারে তার সঙ্গমের জন্যে তার থেকে শাস্তিকে প্রতিহত করা হয়েছে। আর যেটা তার জন্যে হালাল নয় সেটার শিকার হওয়ায় তাকে তিরস্কার করা হয়েছে। যদি কেউ বলেন যে, একশ বেত্রাঘাত দ্বারা কি তিরস্কার করা বৈধ? উত্তরে তাকে বলা যায় যে, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আমাদের উল্লেখিত হাদীসে একশ বেত্রাঘাত দ্বারা ঐ ব্যক্তিকে শাসন করেছিলেন, যে তার গােলামকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করেছিল। এ কিতাবের অবিবাহিত ব্যক্তির ব্যভিচারের শাস্তি নামক অনুচ্ছেদে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে। আন-নু'মান (রাযিঃ)-এর উল্লেখিত ঘটনাটি আমাদের মতে সালামা ইব্‌ন আল-মুহাব্বিক (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের হুকুমকে রহিত করে দিয়েছে। আর এটা এজন্য যে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে এরূপ ছিল যে, কর্মকান্ডের জন্যে সম্পদ সম্পৰ্কীয় শাস্তি ওয়াজিব হত এবং সম্পদ বিনষ্টের জন্য শারীরিক শাস্তি ওয়াজিব হত।

বনু হাশিমকে সাদাকা প্রদান অবৈধ, এ অনুচ্ছেদে যাকাত অস্বীকারকারীর ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর বাণী إِنَّا آخِذُوهَا مِنْهُ وَشَطْرَ مَالِهِ عُقُوبَةً لَهُ لِمَا قَدْ صَنَعَ অর্থাৎ আমি তার থেকে যাকাত আদায় করব এবং তার সম্পদের একাংশ তার যাকাত আদায় না করার মত কর্মকাণ্ডের শাস্তি স্বরূপ নিয়ে নেব।” এখানে নিম্ন বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযােগ্যঃ
4877 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: " سُئِلَ قَتَادَةُ عَنْ رَجُلٍ وَطِئَ جَارِيَةَ امْرَأَتِهِ، فَحَدَّثَنَا، عَنْ حَبِيبِ بْنِ يَسَافٍ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ , أَنَّهَا رُفِعَتْ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ فَقَالَ: لَأَقْضِيَنَّ فِيهَا بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَهُ جَلَدْتُهُ مِائَةً وَإِنْ لَمْ تَكُنْ أَحَلَّتْهَا لَهُ رَجَمْتُهُ «فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ خِلَافُ مَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ لِأَنَّ فِيهِ أَنَّهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ أَذِنَتْ لَهُ رُجِمَ. وَأَمَّا قَوْلُهُ» وَإِنْ كُنْتِ أَذِنْتِ لَهُ جَلَدْنَاهُ مِائَةً " فَتِلْكَ الْمِائَةُ - عِنْدَنَا - تَعْزِيرٌ كَأَنَّهُ دَرَأَ عَنْهُ الْحَدَّ بِوَطْئِهِ بِالشُّبْهَةِ وَعَزَّرَهُ بِرُكُوبِهِ مَا لَا يَحِلُّ لَهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: أَفَيَجُوزُ التَّعْزِيرُ بِمِائَةٍ؟ قِيلَ لَهُ: نَعَمْ قَدْ عَزَّرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِائَةٍ فِي حَدِيثٍ قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ فِي رَجُلٍ قَتَلَ عَبْدَهُ مُتَعَمِّدًا فِي «بَابِ حَدِّ الْبِكْرِ» فِي هَذَا الْكِتَابِ. فَهَذَا الَّذِي ذَكَرَ النُّعْمَانُ - عِنْدَنَا - نَاسِخٌ لِمَا رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ الْمُحَبِّقِ. وَذَلِكَ أَنَّ الْحُكْمَ كَانَ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ يُوجِبُ عُقُوبَاتٍ بِأَفْعَالٍ فِي أَمْوَالٍ وَيُوجِبُ عُقُوبَاتٍ فِي أَبْدَانٍ بِاسْتِهْلَاكِ أَمْوَالٍ. مِنْ ذَلِكَ مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي «بَابِ تَحْرِيمِ الصَّدَقَةِ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي مَانِعِ الزَّكَاةِ -» إِنَّا آخِذُوهَا مِنْهُ وَشَطْرَ مَالِهِ عُقُوبَةً لَهُ لِمَا قَدْ صَنَعَ ". [ص:146] وَمِنْ ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭৮
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৭৮। ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হারিয়ে যাওয়া উট সম্বন্ধে মন্তব্য করেন, তার জরিমানা তার সাথে। অর্থাৎ সে নিজেই তার জন্যে জামিন, এতে রাখালের উপর কোন জরিমানা নেই, তার জন্যে কোন জানােয়ারে খেয়ে নেয়ার ভয়ের কোন কারণ নেই।
4878 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ , عَنِ ابْنِ ثَوْرٍ , عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عِكْرِمَةَ أَحْسَبُهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي ضَالَّةِ الْإِبِلِ الْمَكْتُومَةِ غَرَامَتُهَا وَمِثْلُهَا مَعَهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭৯
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৭৯। ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর ইবনুল 'আস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মুযাইনা গােত্রের জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে আগমন করে এবং বলে, “হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ) পাহাড়ের কোলে বকরী থাকার বেষ্টনী সম্পর্কে আপনি কি বলেন?” তিনি বলেন, চতুষ্পদ জন্তুর চুরির মধ্যে কোন হস্ত কর্তন নেই, তবে যে সব জন্তুকে তার আশ্রয়স্থল আশ্রয় দেয়, এটার মূল্য যদি একটা ঢালের মূল্যের সমান হয় তাহলে এটা কেউ চুরি করলে তার হস্ত কর্তন করতে হবে। আর যার মূল্য একটি ঢালের মূল্যের সমান হয়না তার মধ্যে সমমূল্যের জরিমানা দিতে হয়। আর বেত্রাঘাতও শাস্তি হিসেবে গণ্য। সে আবার বলে, “হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)! যে ফল ঝুলে রয়েছে সেটা সম্পর্কে আপনি কি বলেন?” তিনি বললেন, “এটা কেউ চুরি করলে তার সমপরিমাণ জরিমানা আদায় করতে হয়। আবার তার জন্যে শাস্তি রয়েছে কিন্তু ঝুলে থাকা ফল চুরি করলে হাত কর্তন নেই, তবে যে খেজুর শুকনাে জায়গায় রাখা হয়েছে, সেখান থেকে যদি কেউ কোন ফল নিয়ে নেয় এবং তার মূল্য একটি ঢালের মূল্যের সমান হয় তাহলে এটাতে হস্ত কর্তন রয়েছে। কিন্তু যেটার মূল্য একটি ঢালের মূল্যের সমপরিমাণ নয়, তাতে রয়েছে সমমূল্যের জরিমানা এবং বেত্রাঘাতের শাস্তি।”

সুতরাং এসব হাদীসে যেসব শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলাে সমাজে চালু ছিল যতক্ষণ না সুদের নিষিদ্ধতা ঘােষণার মাধ্যমে এগুলাে রহিত হয়ে যায়। তাই পদ্ধতিটি পুনরায় নিজ অবস্থানে ফিরে আসে এবং যা কারাে থেকে নেয়া হয়েছে সেটাই ফেরত দেয়ার পদ্ধতি চালু হয়। আর এটাও সাব্যস্ত হয় যে, আর্থিক শাস্তি আবরু লুণ্ঠনের ক্ষেত্রে ওয়াজিব হয় না, যা মাল নয়। সুতরাং আমাদের মতে সালামা (রাযিঃ)-এর হাদীস ছিল প্রথম দিকের। তখন বিধান এই ছিলাে যে, স্ত্রীর দাসীর সাথে জোর করে যিনা করলে কর্মের শাস্ত্রিরূপে সে তাকে আযাদ করবে। আর তার স্ত্রীর জন্যে অনুরূপ দাসী জরিমানা দিবে। আর যদি দাসী এ ব্যাপারে রাযী থাকত তাহলে ব্যভিচারে লিপ্ত দাসী স্ত্রীর জন্যেই রয়ে যেত এবং তার পরিবর্তে একটি পবিত্র দাসী জরিমানা দেয়া যিনাকারীর জন্যে ওয়াজিব হতাে, দাসীটি তার রাযী থাকার কারণে আযাদ হতনা। কাজেই দাসীটি তার অনুগত থাকা এবং না থাকার মধ্যে পার্থক্য করা হত। অতঃপর এ পদ্ধতিটি রহিত হয়ে যায় এবং এসব কর্মকাণ্ড মূলের দিকে ফিরে আসে এবং চারিত্রিক সীমা লংঘনের জন্য সম্পদ দ্বারা জরিমানা আদায় করার নিয়ম-পদ্ধতি রহিত হয়ে যায়। আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি সমস্ত ব্যভিচারীর উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।

সুতরাং আমাদের উল্লেখিত আলােচনায় প্রমাণ হয় যে, আন-নু'মান (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের উপর আমল করা হয় এবং সালামা ইব্‌ন আল-মুহিব্বিক (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের হুকুম রহিত হয়ে যায়। তবে উলামায়ে কিরাম এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর কাজ ও তার মাযহাব যা উল্লেখ করেছেন সালামা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের ন্যায় রাসূল(ﷺ) অন্যান্য সাহাবীরাও এটার বিরােধিতা করেনঃ
4879 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , وَهِشَامٌ , عَنْ سَعِيدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ , " أَنَّ رَجُلًا , مِنْ مُزَيْنَةَ أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَرَى فِي حَرِيسَةِ الْجَبَلِ؟ . فَقَالَ: لَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْمَاشِيَةِ قَطْعٌ إِلَّا مَا أَوَاهُ الْمِرَاحُ فَبَلَغَ ثَمَنُهُ ثَمَنَ الْمِجَنِّ فَفِيهِ قَطْعُ الْيَدِ , وَمَا لَمْ يَبْلُغْ ثَمَنَ الْمِجَنِّ فَفِيهِ غَرَامَةُ مِثْلَيْهِ وَجَلَدَاتُ نَكَالٍ. قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَرَى فِي الثَّمَرِ الْمُعَلَّقِ قَالَ: هُوَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ , وَالنَّكَالُ وَلَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنَ الثَّمَرِ الْمُعَلَّقِ قَطْعٌ إِلَّا مَا أَوَاهُ الْجَرِينُ فَمَا أُخِذَ مِنَ الْجَرِينِ فَبَلَغَ ثَمَنُهُ ثَمَنَ الْمِجَنِّ فَفِيهِ الْقَطْعُ وَمَا لَمْ يَبْلُغْ ثَمَنَ الْمِجَنِّ , فَفِيهِ غَرَامَةُ مِثْلَيْهِ وَجَلَدَاتُ نَكَالٍ " فَكَانَتِ الْعُقُوبَاتُ جَارِيَةً فِيمَا ذُكِرَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ عَلَى مَا ذُكِرَ فِيهَا حَتَّى نُسِخَ ذَلِكَ بِتَحْرِيمِ الرِّبَا , فَعَادَ الْأَمْرُ إِلَى أَنْ لَا يُؤْخَذَ مِمَّنْ أَخَذَ شَيْئًا إِلَّا مِثْلُ مَا أَخَذَ وَإِنَّ الْعُقُوبَاتِ لَا تَجِبُ فِي الْأَمْوَالِ بِانْتِهَاكِ الْحُرُمَاتِ الَّتِي هِيَ غَيْرُ أَمْوَالٍ. فَحَدِيثُ سَلَمَةَ - عِنْدَنَا - كَانَ فِي الْوَقْتِ الْأَوَّلِ فَكَانَ الْحُكْمُ عَلَى مَنْ زَنَى بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ مُسْتَكْرِهًا لَهَا , عَلَيْهِ أَنْ تَعْتِقَ عُقُوبَةً لَهُ فِي فِعْلِهِ , وَيَغْرَمَ مِثْلَهَا لِامْرَأَتِهِ. وَإِنْ كَانَتْ طَاوَعَتْهُ أَلْزَمَهَا جَارِيَةً زَانِيَةً وَأَلْزَمَهُ مَكَانَهَا جَارِيَةً طَاهِرَةً وَلَمْ تَعْتِقْ هِيَ بِطَوَاعِيَتِهَا إِيَّاهُ. وَفَرَّقَ فِي ذَلِكَ , بَيْنَمَا إِذَا كَانَتْ مُطَاوِعَةً لَهُ , وَبَيْنَمَا إِذَا كَانَتْ مُسْتَكْرَهَةً ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ فَرُدَّتِ الْأُمُورُ إِلَى أَنْ لَا يُعَاقَبَ أَحَدٌ بِانْتِهَاكِ حُرْمَةٍ لَمْ يَأْخُذْ فِيهَا مَالًا بِأَنْ يَغْرَمَ مَالًا , وَوَجَبَتْ عَلَيْهِ الْعُقُوبَةُ الَّتِي أَوْجَبَ اللهُ عَلَى سَائِرِ الزُّنَاةِ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مَا رَوَى النُّعْمَانُ وَنُسِخَ مَا رَوَى سَلَمَةُ بْنُ الْمُحَبِّقِ. وَأَمَّا مَا ذَكَرُوا مِنْ فِعْلِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَمَذْهَبِهِ فِي ذَلِكَ إِلَى مِثْلِ مَا رَوَى سَلَمَةُ فَقَدْ خَالَفَهُ فِيهِ غَيْرُهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৮০
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৮০। সালিহ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আবু আব্দুর রহমান আস-সালামী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আলী ইব্‌ন আবু তালিব (রাযিঃ) বলতেন, যদি আমাদের কাছে এমন ব্যক্তিকে পেশ করা হয়, যে তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তখন আমি তাকে অবশ্যই রাজম করব।
4880 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ , قَالَ: كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَقُولُ لَا أُوتَى بِرَجُلٍ وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ إِلَّا رَجَمْتُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৮১
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৮১। ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. হামযা ইব্‌ন আমর আল-আসলামী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত উমার (রাযিঃ) তাকে সা'দ ইব্‌ন হুযাইমের গােত্র থেকে সাদাকা আদায় করার জন্যে প্রেরণ করেন। হামযা (রাযিঃ) তখন তাদের থেকে সাদাকা আদায় করার জন্য তার সংগৃহীত অন্যান্য সম্পদ সাথে নিয়ে তাদের কাছে আগমন করলেন। তখন তিনি দেখলেন সেখানে একটি লােক তার স্ত্রীকে বলছে, তুমি তােমার প্রভুর সম্পদ হতে সাদাকা আদায় কর। আর স্ত্রীলােকটি পুরুষটিকে বলছে, বরং তুমি তােমার ছেলের সম্পদ থেকে সাদাকা আদায় কর। হামযা (রাযিঃ) তখন এ দু'জন এবং এ দুজনের কথােপকথন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তাকে সংবাদ দেয়া হল যে, এ লােকটি এ মহিলার স্বামী । অতঃপর লােকটি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে সঙ্গম করে। ফলে দাসীটি একটি সন্তানের জন্ম দেয়। তখন মহিলাটি তাকে আযাদ করে দেয়। তারা বলে, দাসীর থেকে জন্ম নেয়া ছেলেটি এ সম্পদের মালিক। হামযা (রাযিঃ) বলেন, আমি তােমাকে অবশ্যই পাথর দ্বারা শাস্তি দেব। তখন তাকে বলা হল, আল্লাহ্ আপনাকে সংশােধন হবার তাওফীক দিন। তার এ ব্যাপারটি হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কাছে উত্থাপন করা হয়েছিল, তখন উমার (রাযিঃ) তাকে একশ বেত্রাঘাত করেছিলেন, রাজম করেননি। তখন হামযা (রাযিঃ) লােকটির একজন জামিনদার গ্রহণ করেন এবং হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করেন। হযরত উমার (রাযিঃ) কর্তৃক তাকে বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদান ও রাজম না করার কথা জিজ্ঞেস করলেন। হযরত উমার (রাযিঃ) তাদের সত্যায়ন করে বলেন, তার অজ্ঞতার কারণই তাকে রাজম থেকে রক্ষা করেছিল।

এ হামযা ইব্‌ন আমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবী ছিলেন। তিনি অভিমত পেশ করেছিলেন যে, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনায় লিপ্ত হয় তার শাস্তি হল রাজম। হযরত উমার (রাযিঃ) তার এ অভিমতের বিরােধিতা করেননি। হামযা (রাযিঃ)-এর অভিমতটি আলী (রাযিঃ) ও আন-নু'মান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত অভিমতের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতঃপর হামযা (রাযিঃ)-এর হাদীসে উল্লেখিত ঐ ব্যক্তিটিকে হযরত উমার (রাযিঃ) কর্তৃক সাহাবীদের সম্মুখে বেত্রাঘাত করার বিষয়টিও শাসন হিসেবে গণ্য। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে আন-নু'মান (রাযিঃ) কর্তৃক স্বীয় স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে বেত্রাঘাতের দ্বারাও শাসনই বুঝানাে হয়েছে। সুতরাং এ হিসেবে হামযা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে যা কিছু আছে, আন-নু'মান (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ। তবে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসূদ (রাযিঃ) প্রথম হুকুমটি সম্বন্ধে অবগত ছিলেন, যা সালামা ইব্‌ন আল-মুহাব্বিক (রাযিঃ) ও বর্ণনা করেছিলেন। তিনি আন-নুমান (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের হুকুমটি সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না। । হযরত ওমর (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ) ও হামযা ইব্‌ন আমর (রাযিঃ) রহিত হুকুমটি সম্বন্ধে অবগত ছিলেন ও এরূপ অভিমত পােষণ করতেন। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর রহিত হুকুমটি হযরত আলী (রাযিঃ) অপছন্দ করেনঃ
4881 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ عَنْ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بَعَثَهُ مُصَدِّقًا عَلَى سَعْدِ بْنِ هُذَيْمٍ. فَأَتَى حَمْزَةَ بِمَالٍ لِيُصَدِّقَهُ. فَإِذَا رَجُلٌ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ: أَدِّي صَدَقَةَ مَالِ مَوْلَاكَ وَإِذَا الْمَرْأَةُ تَقُولُ لَهُ: بَلْ أَنْتَ أَدِّ صَدَقَةَ مَالِ ابْنِكَ. فَسَأَلَ حَمْزَةُ عَنْ أَمْرِهِمَا وَقَوْلِهِمَا فَأُخْبِرَ أَنَّ ذَلِكَ الرَّجُلَ زَوْجُ تِلْكَ الْمَرْأَةِ , وَأَنَّهُ وَقَعَ عَلَى جَارِيَةٍ لَهَا فَوَلَدَتْ وَلَدًا فَأَعْتَقَتْهُ امْرَأَتُهُ. قَالُوا: فَهَذَا الْمَالُ لِابْنِهِ مِنْ جَارِيَتِهَا. فَقَالَ حَمْزَةُ: لَأَرْجُمَنَّكَ بِأَحْجَارِكَ. فَقِيلَ لَهُ: أَصْلَحَكَ اللهُ إِنَّ أَمْرَهُ قَدْ رُفِعَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَجَلَدَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِائَةً وَلَمْ يَرَ عَلَيْهِ الرَّجْمَ. فَأَخَذَ حَمْزَةُ بِالرَّجُلِ كَفِيلًا حَتَّى قَدِمَ عَلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَسَأَلَهُ عَمَّا ذَكَرَ مِنْ جَلْدِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ إِيَّاهُ وَلَمْ يَرَ عَلَيْهِ الرَّجْمَ. فَصَدَّقَهُمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ بِذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِمْ , وَقَالَ: إِنَّمَا دَرَأَ عَنْهُ الرَّجْمَ أَنَّهُ عَذَرَهُ بِالْجَاهِلِيَّةِ فَهَذَا حَمْزَةُ بْنُ عَمْرٍو صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَأَى أَنَّ عَلَى مَنْ زَنَى بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ الرَّجْمَ , وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ مَا كَانَ عُمَرُ رَأَى مِنْ ذَلِكَ حِينَ كَفَلَ الرَّجُلَ حَتَّى يَجِيءَ أَمْرُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي إِقَامَةِ الْحَدِّ عَلَيْهِ. فَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ أَيْضًا مَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَمَا رَوَاهُ النُّعْمَانُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ مَا فِي حَدِيثِ حَمْزَةَ أَيْضًا مِنْ جَلْدِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ذَلِكَ الرَّجُلَ مِائَةَ جَلْدَةٍ , تَعْزِيرٌ بِحَضْرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَدْ دَلَّ عَلَى مَا رَوَى النُّعْمَانُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جَلْدِ الزَّانِي بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ مِائَةً , أَنَّهُ أَرَادَ بِذَلِكَ , التَّعْزِيرَ أَيْضًا. فَقَدْ وَافَقَ كُلَّ مَا فِي حَدِيثِ حَمْزَةَ هَذَا مَا رَوَى النُّعْمَانُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَمَّا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَكَانَ عَلِمَ الْحُكْمَ الْأَوَّلَ الَّذِي رَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ الْمُحَبِّقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَلَمْ يَعْلَمْ مَا نَسَخَهُ مِمَّا رَوَاهُ النُّعْمَانُ وَعَلِمَ ذَلِكَ عُمَرُ وَعَلِيٌّ وَحَمْزَةُ بْنُ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ فَقَالُوا بِهِ. وَقَدْ أَنْكَرَ عَلَى عَلِيٍّ عَبْدُ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا قَضَاءَهُ , بِمَا قَدْ نُسِخَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৮২
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৮২। আহমাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইব্‌ন সীরীন (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর নিকট আগত লােকটি ও তার স্ত্রীর বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। আর লােকটি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে সঙ্গম করেছিল। আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ) তার জন্যে কোন শাস্তির বিধান প্রদান করেননি। তখন আলী (রাযিঃ) বলেন, যদি আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তিটিকে আমার কাছে নিয়ে আসত তাহলে আমি তার মাথা পাথর দ্বারা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিতাম।

সুতরাং পরে কি ঘটনা ঘটেছে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ) তা জানতেন না, এজন্যই আলী (রাযিঃ) সংবাদ দিলেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ) এমন হুকুমটি নিয়ে রয়েছেন যা ইতােমধ্যে রহিত হয়ে গিয়েছে। আর আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন না। এ সম্পর্কে আলকামা (রাহঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর বিরােধিতা করেন এবং তিনি এমন এক সাহাবীর অভিমত সমর্থন করেন, যিনি সাহাবাদের মধ্যে অধিক জ্ঞানী।
4882 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ , عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ , قَالَ: ذُكِرَ لِعَلِيٍّ شَأْنُ الرَّجُلِ الَّذِي أَتَى ابْنَ مَسْعُودٍ وَامْرَأَتِهِ قَدْ وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ فَلَمْ يَرَ عَلَيْهِ حَدًّا، [ص:148] فَقَالَ عَلِيٌّ: لَوْ أَتَانِي صَاحِبُ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ , لَرَضَخْتُ رَأْسَهُ بِالْحِجَارَةِ فَلَمْ يَدْرِ ابْنُ أُمِّ عَبْدٍ مَا حَدَثَ بَعْدَهُ فَلَمْ يَعْلَمِ ابْنُ مَسْعُودٍ بِذَلِكَ فَأُخْبِرَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ تَعَلَّقَ فِي ذَلِكَ بِأَمْرٍ قَدْ كَانَ ثُمَّ نُسِخَ بَعْدَهُ فَلَمْ يَعْلَمِ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِذَلِكَ. وَقَدْ خَالَفَ عَلْقَمَةُ فِي ذَلِكَ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْضًا وَمَالَ إِلَى قَوْلِ مَنْ خَالَفَهُ عَلَى أَنَّهُ أَعْلَمُ أَصْحَابِهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৮৩
৪. যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়
৪৮৮৩। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... আলকামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। একদিন আলকামা (রাহঃ) কে স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনাকারীর হুকুম জ্জিজ্ঞাসা করা হলাে, তখন তিনি বলেন, নিজের স্ত্রীর দাসী কিংবা ভবঘুরে কোন নারীর দাসীর সাথে সঙ্গম করুক, এটাতে আমি পার্থক্য মনে করিনা।

এ আলকামা (রাহঃ) ই আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর সবচেয়ে জ্ঞানী ও বুযুর্গ সাথীদের অন্যতম। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর নৈকট্য লাভ করা সত্ত্বেও তার সমর্থিত হুকুম প্রত্যাখ্যান করেন এবং অন্য সাহাবীর মতামত গ্রহণ করেন। আর আমাদের মতে এটা হয়েছে এ জন্য যে, আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ)-এর গৃহীত হুকুমটি রহিত হয়ে গিয়েছে। যে ব্যক্তি তার দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় আমরা তার শাস্তি অনুরূপ মনে করি। তবে যদি কোন প্রকার সন্দেহের দাবি করা হয়, যেমন বলা হয় যে, আমি তাকে আমার জন্যে হালাল মনে করেছি কিংবা তার স্ত্রী তাকে তার জন্যে অনুমতি দিয়েছে তাহলে তার থেকে শাস্তি রহিত হবে এবং শাসন করা হবে ও তার উপর মাহর ওয়াজিব হবে। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। |
4883 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , عَنْ شُعْبَةَ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ , أَتَى جَارِيَةَ امْرَأَتِهِ. فَقَالَ: مَا أُبَالِي إِيَّاهَا أَتَيْتُ أَوْ جَارِيَةَ امْرَأَةِ عَوْسَجَةَ فَهَذَا عَلْقَمَةُ رَحِمَهُ اللهُ وَهُوَ أَجَلُّ أَصْحَابِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَأَعْلَمُهُمْ قَدْ تَرَكَ قَوْلَ عَبْدِ اللهِ فِي ذَلِكَ مَعَ جَلَالَةِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ - عِنْدَهُ - وَصَارَ إِلَى غَيْرِهِ. وَذَلِكَ عِنْدَنَا - لِثُبُوتِ نَسْخِ مَا كَانَ ذَهَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللهِ فِي ذَلِكَ عِنْدَهُ , فَكَذَلِكَ نَقُولُ: مَنْ زَنَى بِجَارِيَةِ امْرَأَتِهِ حُدَّ إِلَّا أَنْ يَدَّعِيَ شُبْهَةً مِثْلَ أَنْ يَقُولَ ظَنَنْتُ أَنَّهَا تَحِلُّ لِي أَوْ تَكُونَ الْمَرْأَةُ أَحَلَّتْهَا لَهُ , فَيُدْرَأَ عَنْهُ الْحَدُّ وَيُعَزَّرَ وَيَجِبَ عَلَيْهِ الْعُقْرُ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান