শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৮৬১
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৬১। আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এক দল আলিমের মতে যদি কোন ব্যক্তি একবার ব্যভিচার সম্পর্কে স্বীকার করে তাহলে তার উপর ব্যভিচারের শাস্তি প্রয়ােগ করা হবে। এ সম্পর্কে তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। এ বাণীটি আমরা এ কিতাবে বর্ণনা করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন, হে উনাইস! তুমি এ মহিলাটির কাছে গমন করবে, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করবে। তারা বলেন, এ হাদীসের বাণীটি একথার দলীল যে, ব্যভিচার সম্পর্কে একবার স্বীকারােক্তি করলে শাস্তি প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে। অন্য এক দল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করেন এবং তারা বলেন, ব্যভিচারের শান্তি ব্যভিচারীর স্বীকৃতির দরুন প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে চার বার নিজের বিরুদ্ধে স্বীকৃতি প্রদান না করে। তারা আরাে বলেন, উনাইসের হাদীসে তােমাদের উল্লেখিত বিশেষণগুলাে পাওয়া যায় না। কেননা এরূপও সম্ভাবনা আছে যে, উনাইস (রাযিঃ) স্বীকারােক্তিকারী ব্যভিচারীর শান্তি প্রয়ােগ করার জন্য যেরূপ স্বীকারােক্তি দরকার তা তিনি জেনেছেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে মায়িয (রাযিঃ) ও অন্যান্যদের সম্পর্কে অবগত করান এবং এ অবগতির পর তিনি উনাইস (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেছেন। আর উনাইস (রাযিঃ) ও ঐরূপ স্বীকারােক্তির কথা জানতেন, যার মাধ্যমে শাস্তি প্রয়োগ ওয়াজিব হয়। উপরােল্লেখিত হাদীস ব্যতীত অন্যান্য হাদীসও এসেছে, সেগুলােতে ব্যভিচারীর ন্যায় অপরাধের স্বীকারোক্তি স্বীকারােক্তিকারীর উপর শাস্তি প্রয়ােগকে ওয়াজিব করে।

ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ..... আবু বকর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস (রাযিঃ) কে চার বার স্বীকারােক্তি পুনরাবৃত্তির হুকুম করেছেন।
بَابٌ: الِاعْتِرَافُ بِالزِّنَا الَّذِي يَجِبُ بِهِ الْحَدُّ مَا هُوَ؟
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: ذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَقَرَّ بِالزِّنَا مَرَّةً وَاحِدَةً أُقِيمَ عَلَيْهِ حَدُّ الزِّنَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا قَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْكِتَابِ مِنْ قَوْلِهِ لِأُنَيْسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «اغْدُ يَا أُنَيْسُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا , فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» قَالُوا: فَفِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الِاعْتِرَافَ بِالزِّنَا مَرَّةً وَاحِدَةً يُوجِبُ الْحَدَّ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يَجِبُ حَدُّ الزِّنَا عَلَى الْمُعْتَرِفِ بِالزِّنَا , حَتَّى يُقِرَّ بِهِ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. وَقَالُوا: لَيْسَ فِيمَا ذَكَرْتُمْ مِنْ حَدِيثِ أُنَيْسٍ دَلِيلٌ عَلَى مَا قَدْ وَصَفْتُمْ , وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُنَيْسٌ قَدْ كَانَ عَلِمَ الِاعْتِرَافَ الَّذِي يُوجِبُ حَدَّ الزِّنَا عَلَى الْمُعْتَرَفِ بِهِ - مَا هُوَ - بِمَا أَعْلَمَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَاعِزٍ وَغَيْرِهِ , فَخَاطَبَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْخِطَابِ بَعْدَ عِلْمِهِ أَنَّهُ قَدْ عَلِمَ الِاعْتِرَافَ الَّذِي يُوجِبُ الْحَدَّ مَا هُوَ؟ . وَقَدْ جَاءَ غَيْرُ هَذَا الْأَثَرِ مِنَ الْآثَارِ مَا قَدْ بَيَّنَ الِاعْتِرَافَ بِالزِّنَا الَّذِي يُوجِبُ الْحَدَّ عَلَى الْمُعْتَرِفِ مَا هُوَ؟ . فَمِنْ ذَلِكَ مَا قَدْ

4861 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ عَنْ جَابِرٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ مَاعِزًا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬৩
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৬২-৬৩। আহমাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) ….. আবু যর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সঙ্গী ছিলাম। তাঁর কাছে জনৈক ব্যক্তি আগমন করে ও ব্যভিচারের কথা স্বীকার করে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে চারবার পুনরাবৃত্তি করতে বলেন। অতঃপর আরােহী থেকে তিনি অবতরণ করেন এবং আমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন। আমরা তার জন্য একটি গর্ত খনন করলাম, যা খুব বেশী বড় নয়। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সম্পর্কে আবার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে রাজম করা হল। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সফর করতে লাগলেন। আমরাও তার সাথে সফর করছিলাম। এরপর একটি জায়গায় আমরা অবতরণ করলাম, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, হে আবু যর! তুমি কি তােমাদের সাথীর দিকে লক্ষ্য করেছ? তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।


আলী ইব্‌ন শাইবা (রাহঃ) ….. আল-হাজ্জাজ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
4862 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الطَّائِفِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمِقْدَامِ عَنِ ابْنِ شَدَّادٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ , فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَأَقَرَّ عِنْدَهُ بِالزِّنَا , فَرَدَّهُ أَرْبَعًا ثُمَّ نَزَلَ فَأَمَرَنَا فَحَفَرْنَا لَهُ حُفْرَةً , لَيْسَتْ بِالطَّوِيلَةِ , فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ. فَارْتَحَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَئِيبًا حَزِينًا , فَسِرْنَا حَتَّى نَزَلْنَا مَنْزِلًا فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَبَا ذَرٍّ أَلَمْ تَرَ إِلَى صَاحِبِكُمْ غُفِرَ لَهُ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ "

4863 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ الزِّبْرِقَانُ , وَأَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنِ الْحَجَّاجِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬৩
empty
৪৮৬৩।
4863 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬৫
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৬৪-৬৫। ইবরাহীম ইব্‌ন মুহাম্মাদ আস-সাইরাফী (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) মায়িয (রাযিঃ) কে লক্ষ্য করে বলেন, তােমার সম্বন্ধে আমার কাছে যা পৌঁছেছে তা কি সত্য? মায়িয (রাযিঃ) বলেন, আপনার কাছে কি খবর পৌঁছেছে? রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, আমার কাছে এ সংবাদ পৌঁছেছে যে, তুমি অমুকের দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছ। এর পর সে তার নিজের বিরুদ্ধে চার বার স্বীকৃতি প্রদান করে। তখন তার সম্বন্ধে নির্দেশ জারী করা হয় এবং তাকে পাথর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়।

ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু আওয়ানা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
4864 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِمَاعِزٍ أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ؟ قَالَ: وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي؟ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّكَ أَتَيْتَ جَارِيَةَ آلِ فُلَانٍ فَأَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ , فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ".

4865 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬৫
empty
৪৮৬৫।
4865 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬৬
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৬৬। ইউনুস (রাহঃ) ….. জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আসলাম গােত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে আগমন করে। তিনি ছিলেন মসজিদের ভিতর। তখন সে তাঁকে আহ্বান করে ও বলে যে, সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, তখন লােকটি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যে দিকে মুখ ফিরিয়েছিলেন সে দিকে আগমন করল এবং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-কে সংবাদ দিল যে, সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। চার বার সে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করল। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে ডাকলেন এবং বললেন, তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছ? লােকটি বলল, ‘না’ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, তুমি কি বিয়ে করেছ? লােকটি বলল, 'হ্যাঁ’, তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে ইদগাহে ‘রাজম’ করার আদেশ দেন। যখন তার গায়ে পাথর লাগল তখন সে দ্রুত পালিয়ে গেল। তাকে হাররায় ধরে আনা হল এবং পাথর মেরে হত্যা করা হল।
4866 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيِّ , " أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ , فَنَادَاهُ فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ زَنَى فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَتَنَحَّى لِشِقِّهِ الَّذِي أَعْرَضَ قِبَلَهُ , فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ زَنَى , وَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. فَدَعَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هَلْ بِكَ جُنُونٌ؟ قَالَ: لَا قَالَ فَهَلْ أُحْصِنْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرْجَمَ بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ جَمَزَ حَتَّى أُدْرِكَ بِالْحَرَّةِ فَقُتِلَ بِهَا رَجْمًا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৬৮
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৬৭-৬৮। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. জাবির ইব্‌ন সামুরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে একজন বেঁটে মাংসালাে ও ঘন চুলবিশিষ্ট ব্যক্তি আগমন করল এবং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সামনে ব্যভিচারে লিপ্ত হবার বিষয়ে স্বীকৃতি দান করল। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কিন্তু সে অন্য দিক দিয়েও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর চেহারার সামনে উপস্থিত হয়। আবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) মুখ ফিরিয়ে নেন। সেও সেদিকে গমন করে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সামনে এসে স্বীকৃতি দান করে। বর্ণনাকারী বলেন, এরূপ সে দুই বার কিংবা তিন বার করেছে, তা সুনিশ্চিতভাবে আমার জানা নেই। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সম্বন্ধে হুকুম জারী করেন এবং তাকে রাজম করা হয়। বর্ণনাকারী আরাে বলেন, “আমি সায়ীদ ইব্‌ন জুবাইর (রাযিঃ)-এর কাছে ঘটনাটি উল্লেখ করলাম, তখন তিনি বললেন, চার বার তার স্বীকৃতিকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল।


ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. শু'বা হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ
করেন; তবে তিনি বলেন, দুইবার তার স্বীকৃতিকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল।
জনৈক ব্যক্তি বলেন, এ হাদীসে স্বীকৃতির পর চার বার থেকে কম স্বীকৃতিতে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল। আবার বলা হয়েছে, এ হাদীসে ত্রুটি বিদ্যমান রয়েছে। আর তা হলঃ
4867 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: " أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ أَشْعَرُ قَصِيرٌ ذُو عَضَلَاتٍ فَأَقَرَّ لَهُ بِالزِّنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَأَتَاهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ الْآخَرِ , فَأَعْرَضَ عَنْهُ قَالَ: لَا أَدْرِي مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ " قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ: رَدَّهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. [ص:143]

4868 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: رُدَّهُ مَرَّتَيْنِ. فَقَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا أَنَّهُ حَدٌّ بَعْدَ إِقْرَارِهِ أَقَلَّ مِنْ أَرْبَعِ مَرَّاتٍ. قِيلَ لَهُ: فِي هَذَا الْحَدِيثِ عِلَّةٌ , وَذَلِكَ أَنَّ رَبِيعًا الْمُؤَذِّنَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬৯
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৬৯ । রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ মায়িয ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কাছে আগমন করেন এবং ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া সম্পর্কে দুইবার স্বীকৃতি প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেন, “তােমরা তাকে নিয়ে যাও এবং তার থেকে পুনরাবৃত্তি করাও।” এরপর তিনি দুইবার স্বীকৃতি প্রদান করেন। তাতে তিনি মােট চারবার স্বীকৃতি প্রদান করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, “তাকে তােমরা নিয়ে যাও এবং রাজম কর।”

এ হাদীসে দেখা যায় যে, প্রথমত তিনি দুই বার স্বীকৃতি প্রদান করেন। অতঃপর তারা নিয়ে গেলেন এবং তাকে পুনরাবৃত্তি করান। পরে তিনি আরাে দুইবার স্বীকারােক্তি করেন।

হযরত জাবির ইব্‌ন সামুরা (রাযিঃ) হয়ত শেষ দুইটি স্বীকারােক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রথম দুইটিতে উপস্থিত ছিলেননা। অন্য দিকে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) সবগুলাে স্বীকারােক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন। আর এভাবে তিনি চার বার স্বীকারােক্তির কথা বলেছেন। এ হাদীসের সাথে সামঞ্জস্য পাওয়া যায়।
4869 - حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ فَاعْتَرَفَ مَرَّتَيْنِ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ ثُمَّ رُدُّوهُ فَاعْتَرَفَ مَرَّتَيْنِ حَتَّى اعْتَرَفَ أَرْبَعًا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ أَقَرَّ مَرَّتَيْنِ , ثُمَّ ذَهَبُوا بِهِ ثُمَّ رَدُّوهُ فَأَقَرَّ مَرَّتَيْنِ. فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَضَرَ الْمَرَّتَيْنِ الْآخِرَتَيْنِ وَلَمْ يَحْضُرْ مَا كَانَ مِنْهُ قَبْلَ ذَلِكَ , وَحَضَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا الْإِقْرَارَ كُلَّهُ وَكَذَلِكَ مَنْ وَافَقَهُ عَلَى أَنَّهُ كَانَ أَرْبَعًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭০
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৭০। হুসাইন ইব্‌ন নসর (রাহঃ) ….. হযরত আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন মায়িয ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) ব্যভিচারে লিপ্ত হন। অতঃপর তিনি হাযযাল (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করেন এবং তার সামনে স্বীকার করেন যে, তিনি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছেন। হাযযাল (রাযিঃ) তখন তাকে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কাছে গমন কর এবং তােমার সম্বন্ধে কুরআন নাযিল হওয়ার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-কে এ সম্পর্কে সংবাদ প্রদান কর। তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কাছে গমন করেন এবং বলেন, আমি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, কিন্তু তিনি চার বার এরূপ স্বীকার করেন। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সম্বন্ধে হুকুম জারী করেন, ফলে তাকে রজম করা হয়।
4870 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ , قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هَضَّاضٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , " أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ , زَنَى فَأَتَى هُزَالًا فَأَقَرَّ لَهُ أَنَّهُ زَنَى فَقَالَ لَهُ هُزَالٌ: إِيتِ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبِرْهُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ فِيكَ قُرْآنٌ. فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي زَنَيْتُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ أَرْبَعًا , فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭১
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৭১। ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “একদিন বনু আসলামের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে আগমন করে। আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ছিলেন মসজিদে। তখন সে তাঁকে আহ্বান করল এবং বলল যে, সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যে দিকে মুখ ফিরিয়ে ছিলেন সে সেদিকে গিয়ে তার সম্মুখীন হল ও বলল যে, সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে, আর সে নিজের বিরুদ্ধে চার বার সাক্ষ্য দিল । রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তখন তাকে ডাকলেন এবং বলেন, তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছে? সে বলল, ‘না’ রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, ‘হ্যাঁ’ তখন রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাকে ইদগাহে রজম করার আদেশ জারী করলেন।
4871 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ , وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ , قَالَ: " أَتَى رَجُلٌ مِنْ أَسْلَمَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَنَادَاهُ , فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ زَنَى , فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَنَحَّى لِشِقِّهِ الَّذِي أَعْرَضَ قِبَلَهُ فَأَخْبَرَهُ بِأَنَّهُ زَنَى وَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. فَدَعَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هَلْ بِكَ جُنُونٌ؟ قَالَ: لَا , قَالَ فَهَلْ أُحْصِنْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرْجَمَ بِالْمُصَلَّى "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭২
৩. ব্যভিচারীর স্বীকৃতি যার দ্বারা শান্তি প্রয়ােগ ওয়াজিব হয়।
৪৮৭২। ফাহাদ ইব্‌ন সুলাইমান (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন বুরাইদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা বুরাইদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি আগমন করলেন, তাঁর নাম হল মায়িয ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ)। তিনি বলেন, “হে আল্লাহর নবী (ﷺ)! আমি ব্যভিচারের শিকার হয়েছি এবং আমি চাই আপনি আমাকে পবিত্র করুন।” রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে বললেন, “তুমি ফেরত যাও।” পরের দিন তিনি আবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কাছে আগমন করলেন এবং তাঁর কাছে ব্যভিচারের স্বীকারােক্তি করলেন। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে বললেন, “তুমি ফেরত যাও।” এরপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার সম্প্রদায়ের কাছে কোন ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন। সে তাদেরকে তাঁর সম্বন্ধে প্রশ্ন করে এবং বলে “তােমরা মায়িয ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) সম্বন্ধে কি বল? তাঁর মধ্যে কি তােমরা কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ! কিংবা তার বােধ ও বুদ্ধির কোন অসুবিধা দেখাে? তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)! আমরা তার মধ্যে কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছিনা এবং আমরা তার বােধ ও বুদ্ধিরও কোন অসুবিধা দেখিনা। এরপর মায়িয (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে তৃতীয় বারের জন্যে আগমন করলেন এবং ব্যভিচারের শিকার হওয়া সম্বন্ধে স্বীকারােক্তি করলেন ও তাকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ) ! আমাকে পবিত্র করুন। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এক ব্যক্তিকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি আবার প্রেরণ করেন। সে তাদেরকে মায়িয (রাযিঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তারা তাকে প্রতিউত্তর দেয় যেমন তারা প্রথম বার প্রতিউত্তর দিয়েছিলাে যে, আমরা তার মধ্যে কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছিনা এবং তার বােধ ও বুদ্ধিতে কোন অসুবিধা দেখিনা। এরপর তিনি চতুর্থবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কাছে ফেরত আসেন এবং তার কাছে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁর সম্পর্কে হুকুম জারী করেন। তার জন্যে একটি গর্ত খনন করা হল এবং তাকে এটার মধ্যে বুক পর্যন্ত পুঁতে রাখা হল। এরপর লােকজনকে তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করতে বলা হল। হযরত বুরাইদা (রাযিঃ) বলেন, আমরা রাসূলের সাহাবীদের মধ্যে আলােচনা করছিলাম যে, যদি মায়িয ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) তৃতীয় স্বীকৃতি দানের পর নিজের ঘরে বসে পড়তেন তাহলে তাকে রাসূলুল্লাহর তলব করতেন না। চতুৰ্থবারেই তাকে পাথর দ্বারা শাস্তি দেয়ার কথা ঘােষণা দেয়া হয়েছিল।

যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে একবার, দুইবার কিংবা তিন বার স্বীকার করার পরও রজম করার হুকুম দেন নাই, এটা দ্বারা এ কথা বুঝা যায় যে, শাস্তি প্রদানের বিষয়টি এ স্বীকৃতির দ্বারা ওয়াজিব হয়না, বরং চতুর্থবারে স্বীকার করার কারণেই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) রজম করার ঘােষণা দিয়েছিলেন। তাতে প্রমাণিত হয় যে, ব্যভিচারের যে স্বীকারােক্তি স্বীকারােক্তি কারীর উপর ‘হদ্দ’ ওয়াজিব করে তা হলাে ব্যভিচার সম্পর্কে চারবার স্বীকারােক্তি করা। যে ব্যক্তি এরূপ স্বীকৃতি দান করবে তার প্রতি শাস্তি প্রয়ােগ করা হবে। আর যে ব্যক্তি তার থেকে কম স্বীকৃতি দান করবে তার প্রতি শাস্তি প্রয়ােগ করা হবেনা। এ ধরনের অর্থ হযরত বুরাইদা (রাযিঃ) থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি এবং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর অন্যান্য সাহাবীগণও এরূপ বলতেন। আমরাও ফাহাদ (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসে তা বর্ণনা করেছি। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। হযরত আলী (রাযিঃ) ও শারাহা এর ক্ষেত্রে এরূপ আমল করেছেন এবং তাকে চারবার পুনরাবৃত্তি করতে বলেছেন।
4872 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ الْغَنَوِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ وَإِنَى أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي فَقَالَ لَهُ ارْجِعْ. فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَاهُ أَيْضًا فَاعْتَرَفَ عِنْدَهُ بِالزِّنَا فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْجِعْ ثُمَّ أَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قَوْمِهِ فَسَأَلَهُمْ عَنْهُ فَقَالَ مَا تَقُولُونَ فِي مَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ؟ هَلْ تَرَوْنَ بِهِ بَأْسًا , أَوْ تُنْكِرُونَ مِنْ عَقْلِهِ شَيْئًا؟ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ مَا نَرَى بِهِ بَأْسًا وَمَا نُنْكِرُ مِنْ عَقْلِهِ شَيْئًا. [ص:144] ثُمَّ عَادَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّالِثَةَ فَاعْتَرَفَ أَيْضًا عِنْدَهُ بِالزِّنَا فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , طَهِّرْنِي. فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قَوْمِهِ فَسَأَلَهُمْ عَنْهُ فَقَالُوا لَهُ كَمَا قَالُوا فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى: مَا نَرَى بِهِ بَأْسًا وَمَا نُنْكِرُ مِنْ عَقْلِهِ شَيْئًا. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّابِعَةَ فَاعْتَرَفَ عِنْدَهُ بِالزِّنَا , فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحُفِرَتْ لَهُ حُفْرَةٌ , فَجُعِلَ فِيهَا إِلَى صَدْرِهِ ثُمَّ أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَرْجُمُوهُ " قَالَ بُرَيْدَةُ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ بَيْنَنَا - أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ لَوْ جَلَسَ فِي رَحْلِهِ بَعْدَ اعْتِرَافِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَمْ يَطْلُبْهُ , وَإِنَّمَا رَجَمَهُ عِنْدَ الرَّابِعَةِ فَلَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَرْجُمْهُ بِإِقْرَارِهِ مَرَّةً وَلَا مَرَّتَيْنِ , وَلَا ثَلَاثًا دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْحَدَّ لَمْ يَكُنْ وَجَبَ عَلَيْهِ بِذَلِكَ الْإِقْرَارِ ثُمَّ رَجَمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِقْرَارِهِ فِي الْمَرَّةِ الرَّابِعَةِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْإِقْرَارَ بِالزِّنَا الَّذِي يُوجِبُ الْحَدَّ عَلَى الْمُقِرِّ هُوَ إِقْرَارُهُ بِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. فَمَنْ أَقَرَّ كَذَلِكَ حُدَّ , وَمَنْ أَقَرَّ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ لَمْ يُحَدَّ. وَقَدْ ذَكَرَ هَذَا الْمَعْنَى مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ بُرَيْدَةَ , مِمَّا كَانَ يَقُولُهُ هُوَ , وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِوَاهُ فِي ذَلِكَ مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَا فِي حَدِيثِ فَهْدٍ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُهَاجِرِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ وَقَدْ عَمِلَ بِذَلِكَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ فِي شُرَاحَةَ , فَرَدَّهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান