শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৮৫০
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫০। উনুস (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দেন। অতঃপর তাকে সংবাদ দেয়া হয় যে, সে বিবাহিত, তখন তাকে রাজম করার নির্দেশ দেন। তাই তাকে রাজম করা হয়।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এরূপ অভিমত প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিবাহিত ব্যভিচারীর এরূপই শান্তি। যখন সে ব্যভিচারীতে লিপ্ত হবে তখন তাকে বেত্রাঘাত ও প্রস্তর দ্বারা উভয় প্রকারের শাস্তি দিতে হবে। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, স্বয়ং প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করতে হবে, বেত্রাঘাত নয়। তারা আরাে বলেন, এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সংবাদ পেলেন যে, লােকটি বিবাহিত তখন তাকে রাজম করার আদেশ দেন। কেননা বেত্রাঘাত তার শাস্তি নয়, তার শাস্তি হল রাজম। আবার এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, বেত্রাঘাতসহ রাজম করাই তার শাস্তি। প্রথম প্রতিপক্ষ তাদের অভিমতের পক্ষে নিম্নবর্ণিত দলীল পেশ করেনঃ
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এরূপ অভিমত প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিবাহিত ব্যভিচারীর এরূপই শান্তি। যখন সে ব্যভিচারীতে লিপ্ত হবে তখন তাকে বেত্রাঘাত ও প্রস্তর দ্বারা উভয় প্রকারের শাস্তি দিতে হবে। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, স্বয়ং প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করতে হবে, বেত্রাঘাত নয়। তারা আরাে বলেন, এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সংবাদ পেলেন যে, লােকটি বিবাহিত তখন তাকে রাজম করার আদেশ দেন। কেননা বেত্রাঘাত তার শাস্তি নয়, তার শাস্তি হল রাজম। আবার এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, বেত্রাঘাতসহ রাজম করাই তার শাস্তি। প্রথম প্রতিপক্ষ তাদের অভিমতের পক্ষে নিম্নবর্ণিত দলীল পেশ করেনঃ
بَابٌ حَدُّ الزَّانِي الْمُحْصَنِ مَا هُوَ؟
4850 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَجُلًا زَنَى فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجُلِدَ ثُمَّ أَخْبَرَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ أَحْصَنَ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذَا قَوْمٌ , فَقَالُوا: هَكَذَا حَدُّ الْمُحْصَنِ إِذَا زَنَى , الْجَلْدُ وَالرَّجْمُ جَمِيعًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ حَدُّهُ الرَّجْمُ , دُونَ الْجَلْدِ. وَقَالُوا: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا رَجَمَهُ لَمَّا أُخْبِرَ أَنَّهُ مُحْصَنٌ لِأَنَّ الْجَلْدَ الَّذِي كَانَ جَلَدَهُ إِيَّاهُ , لَيْسَ مِنْ حَدِّهِ فِي شَيْءٍ لِأَنَّ حَدَّهُ كَانَ الرَّجْمَ دُونَ الْجَلْدِ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَجَمَهُ لِأَنَّ ذَلِكَ الرَّجْمَ هُوَ حَدُّهُ مَعَ الْجَلْدِ وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَيْضًا لِقَوْلِهِمْ بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫১
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫১। ইউনুস (রাহঃ) ..... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধিবিধান গ্রহণ কর। আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে বিধান প্রদান করেছেন। অবিবাহিত অবিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে ও নির্বাসন দিতে হবে। আর বিবাহিত বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে ও রাজম করতে হবে।
4851 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ يُجْلَدُ وَيُنْفَى وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ يُجْلَدُ وَيُرْجَمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫২
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫২। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “আমার থেকে তােমরা বিধিবিধান গ্রহণ কর। আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে বিধি বিধান প্রদান করেছেন। অবিবাহিত অবিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের নির্বাসনে প্রেরণ করতে হবে। আর বিবাহিত বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তাকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে এবং প্রস্তর দ্বারা শাস্তি দিতে হবে।”
তারা বলেন, এটাই আমাদের অভিমত। বিবাহিতকে বেত্রাঘাত করতে হবে। এরপর তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করতে হবে, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় প্রতিপক্ষের পক্ষে বিরাজমান দলীলটিও আমরা উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস আল-আসলামী (রাযিঃ) কে মহিলাটির কাছে পরদিন আগমন করার জন্যে আদেশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে যেন প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, কিন্তু তাকে বেত্রাঘাত করতে বলেননি। এ অনুচ্ছেদের প্রথমে হাদীসটি সনদ সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। ঐ হাদীসে একথাও উল্লেখ রয়েছে যে, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করেছিলেন তিনি বলেছিলেন, আমি কতিপয় জ্ঞানী লােককে জিজ্ঞেস করেছি, তারা আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, এ মহিলাটিকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি দিতে হবে। সে কিন্তু প্রস্তরের সাথে বেত্রাঘাতের কথা উল্লেখ করেনি, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার কথা প্রত্যাখ্যান করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, ব্যভিচারীর জন্যে যা কিছু শাস্তি রয়েছে তা হলাে প্রস্তরের শান্তি, বেত্রাঘাত নয়। এ সম্পর্কে মায়িয (রাযিঃ)-এর ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত রয়েছে, যা এ তথ্যটি সুদৃঢ় করেছে।
তারা বলেন, এটাই আমাদের অভিমত। বিবাহিতকে বেত্রাঘাত করতে হবে। এরপর তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করতে হবে, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন। এদের বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় প্রতিপক্ষের পক্ষে বিরাজমান দলীলটিও আমরা উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস আল-আসলামী (রাযিঃ) কে মহিলাটির কাছে পরদিন আগমন করার জন্যে আদেশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে যেন প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, কিন্তু তাকে বেত্রাঘাত করতে বলেননি। এ অনুচ্ছেদের প্রথমে হাদীসটি সনদ সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। ঐ হাদীসে একথাও উল্লেখ রয়েছে যে, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করেছিলেন তিনি বলেছিলেন, আমি কতিপয় জ্ঞানী লােককে জিজ্ঞেস করেছি, তারা আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, এ মহিলাটিকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি দিতে হবে। সে কিন্তু প্রস্তরের সাথে বেত্রাঘাতের কথা উল্লেখ করেনি, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার কথা প্রত্যাখ্যান করেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, ব্যভিচারীর জন্যে যা কিছু শাস্তি রয়েছে তা হলাে প্রস্তরের শান্তি, বেত্রাঘাত নয়। এ সম্পর্কে মায়িয (রাযিঃ)-এর ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত রয়েছে, যা এ তথ্যটি সুদৃঢ় করেছে।
4852 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ أَخْبَرَنَا مَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ , عَنِ الْحَسَنِ , قَالَ: ثنا حِطَّانُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيُّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ , وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ» [ص:139] قَالُوا: فَبِهَذَا نَقُولُ نَرَى أَنْ يُجْلَدَ الْمُحْصَنُ , ثُمَّ يُرْجَمَ بَعْدَ ذَلِكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِهِ أُنَيْسًا الْأَسْلَمِيَّ بِرَجْمِ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَهُ أَنْ يَغْدُوَ عَلَيْهَا فَيَرْجُمَهَا إِنِ اعْتَرَفَتْ، وَلَمْ يَأْمُرْهُ أَنْ يَجْلِدَهَا. وَقَدْ ذَكَرْتَ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي الْبَابِ الْأَوَّلِ وَفِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّ الَّذِي " قَامَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: إِنِّي سَأَلْتُ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ , وَلَمْ يَذْكُرْ مَعَهُ الْجَلْدَ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ". فَدَلَّ هَذَا أَنَّ جَمِيعَ مَا كَانَ عَلَيْهَا مِنَ الْجَلْدِ فِي الزِّنَا الَّذِي كَانَ مِنْهَا هُوَ الرَّجْمُ دُونَ الْجَلْدِ. وَقَدْ شَدَّ ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا فَعَلَ بِمَاعِزٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৩
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৩। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... জাবির ইন সামরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ মায়িয (রাযিঃ) কে ‘রাজম’ করার আদেশ দেন। সেখানে তিনি বেত্রাঘাতের কথা বলেননি।
আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম তাতে প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি হলাে প্রস্তর দ্বারা শান্তি প্রদান করা, বেত্রাঘাত নয়।
যদি কেউ বলেন, যেখানে বেত্রাঘাত ও প্রস্তর উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, তা শুধুমাত্র প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা থেকে উত্তম নয় কেন? উত্তরে প্রশ্নকারীকে বলা যায় প্রস্তরের শাস্তির সাথে বেত্রাঘাতের শাস্তি রহিত হয়ে যাওয়ার দলীলটি বিদ্যমান থাকায় উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রযােগ করা উত্তম নয়। কেননা ব্যভিচারী বিবাহিত ও অবিবাহিতের মধ্যে শান্তির ক্ষেত্রে পার্থক্য করার পূর্বে ব্যভিচারীর যে মূল শাস্তি প্রয়ােগ করা হয়েছিল তা আল্লাহু তা'আলা তার কিতাবে বর্ণনা করেনঃ وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
অর্থাৎ তােমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে তােমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী তলব করবে। যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করেন। (সূরা নিসা : ১৫) এটা ছিল ব্যভিচারিণীর শাস্তি, তাকে মৃত্যু পর্যন্ত গৃহে, অবরুদ্ধ করে রাখা কিংবা আল্লাহু তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করবেন। অতঃপর তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلً অর্থাৎ আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর, আল্লাহ তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন “এর মাধ্যমে রহিত হয়ে যায়। অতএব উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে সেই ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা'আলা এ ব্যবস্থার কথাই আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এর মাধ্যমে বলেছেন। আর এ ব্যবস্থার কথাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীতে বর্ণিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিবাহিতের মধ্যে বেত্রাঘাত ও প্রস্তরের শাস্তি নির্ধারণ করেন। আর অবিবাহিতের ক্ষেত্রে বেত্রাঘাত ও নির্বাসনের শাস্তি নির্ধারিত করেন। আমরা এটা জানতে পারলাম যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পর এ বাণীটি রাসূলুল্লাহু (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়। আর আমরা এটাও জানতে পারলাম যে, প্রস্তরের মাধ্যমে ব্যভিচারীর শাস্তি নির্ধারিত হবার পূর্বে সে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়নি, কেননা আল্লাহর কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ব্যভিচারীর শাস্তি ছিল গৃহে অবরুদ্ধ থাকা। আর আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এবং উবাদাহ ইবনুস সামিতের হাদীসের মধ্যখানে অন্য কোন হুকুম ছিলনা। তাই আমরা জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি ছিল এ আয়াতটি অবতীর্ণ হবার পর। আর মায়িয (রাযিঃ)-এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার বিবাহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, কেননা বিবাহিত ও অবিবাহিতের শান্তির মধ্যে পার্থক্য বিরাজ করছে।
আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিবাহিত ও অবিবাহিতের শাস্তির মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করেছেন। অবিবাহিতের জন্য একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। অন্য দিকে বিবাহিতের জন্যে প্রস্তরের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান। আমরা আরাে জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটির পরে হচ্ছে যায়দ (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়িদ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী বর্ণিত হাদীস। তাই মায়িয (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের জন্যে ناسخ বা হুকুম রহিতকারী হিসেবে গণ্য । কেননা রাসূলুল্লাহ -এর যে হুকুমাটি পরে হয় তা পূর্বেকার হুকুমের জন্যে হয় ناسخ বা হুকুম রহিতকারী। সুতরাং আমরা যে হাদীসটি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, আর মায়িয (রাযিঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছি এগুলাে উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীস হতে উত্তম । উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি বিশুদ্ধ গবেষণা হতে বিচ্ছিন্ন। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সীমালংঘনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বসম্মত শাস্তি হল একক। যেমন আমরা লক্ষ্য করেছি, চোরের জন্য শাস্তি হল হস্ত কর্তন আর অন্য কিছু নয়। অপবাদ প্রদানকারীর জন্যে শান্তি হল বেত্রাঘাত আর অন্য কিছু নয়। কাজেই গবেষণা বলে যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তির ক্ষেত্রেও একটিও হবে, অন্যটি নয়। কাজেই রাজম-এর বিষয়টিই হবে সর্বসম্মত। আর বেত্রাঘাতের বিষয়টি সর্বসম্মত না হওয়ায় তা হবে বর্জিত। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, এটার হুকুম কেমন করে রহিত হতে পারে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পর হযরত আলী (রাযিঃ) স্বয়ং আমল করেছেন। এরপর নীচের হাদীসটি বর্ণনা করেনঃ
আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম তাতে প্রমাণিত হয় যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি হলাে প্রস্তর দ্বারা শান্তি প্রদান করা, বেত্রাঘাত নয়।
যদি কেউ বলেন, যেখানে বেত্রাঘাত ও প্রস্তর উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রদান করা হয়, তা শুধুমাত্র প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করা থেকে উত্তম নয় কেন? উত্তরে প্রশ্নকারীকে বলা যায় প্রস্তরের শাস্তির সাথে বেত্রাঘাতের শাস্তি রহিত হয়ে যাওয়ার দলীলটি বিদ্যমান থাকায় উভয়টার দ্বারা শাস্তি প্রযােগ করা উত্তম নয়। কেননা ব্যভিচারী বিবাহিত ও অবিবাহিতের মধ্যে শান্তির ক্ষেত্রে পার্থক্য করার পূর্বে ব্যভিচারীর যে মূল শাস্তি প্রয়ােগ করা হয়েছিল তা আল্লাহু তা'আলা তার কিতাবে বর্ণনা করেনঃ وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
অর্থাৎ তােমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে তােমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী তলব করবে। যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করেন। (সূরা নিসা : ১৫) এটা ছিল ব্যভিচারিণীর শাস্তি, তাকে মৃত্যু পর্যন্ত গৃহে, অবরুদ্ধ করে রাখা কিংবা আল্লাহু তাদের জন্যে কোন ব্যবস্থা করবেন। অতঃপর তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلً অর্থাৎ আমার থেকে তােমরা শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর, আল্লাহ তাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন “এর মাধ্যমে রহিত হয়ে যায়। অতএব উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে সেই ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা'আলা এ ব্যবস্থার কথাই আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এর মাধ্যমে বলেছেন। আর এ ব্যবস্থার কথাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীতে বর্ণিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিবাহিতের মধ্যে বেত্রাঘাত ও প্রস্তরের শাস্তি নির্ধারণ করেন। আর অবিবাহিতের ক্ষেত্রে বেত্রাঘাত ও নির্বাসনের শাস্তি নির্ধারিত করেন। আমরা এটা জানতে পারলাম যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পর এ বাণীটি রাসূলুল্লাহু (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়। আর আমরা এটাও জানতে পারলাম যে, প্রস্তরের মাধ্যমে ব্যভিচারীর শাস্তি নির্ধারিত হবার পূর্বে সে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়নি, কেননা আল্লাহর কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী ব্যভিচারীর শাস্তি ছিল গৃহে অবরুদ্ধ থাকা। আর আল্লাহর বাণী أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا এবং উবাদাহ ইবনুস সামিতের হাদীসের মধ্যখানে অন্য কোন হুকুম ছিলনা। তাই আমরা জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি ছিল এ আয়াতটি অবতীর্ণ হবার পর। আর মায়িয (রাযিঃ)-এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার বিবাহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, কেননা বিবাহিত ও অবিবাহিতের শান্তির মধ্যে পার্থক্য বিরাজ করছে।
আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিবাহিত ও অবিবাহিতের শাস্তির মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করেছেন। অবিবাহিতের জন্য একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। অন্য দিকে বিবাহিতের জন্যে প্রস্তরের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান। আমরা আরাে জানতে পারলাম যে, উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটির পরে হচ্ছে যায়দ (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়িদ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী বর্ণিত হাদীস। তাই মায়িয (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস উবাদা (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের জন্যে ناسخ বা হুকুম রহিতকারী হিসেবে গণ্য । কেননা রাসূলুল্লাহ -এর যে হুকুমাটি পরে হয় তা পূর্বেকার হুকুমের জন্যে হয় ناسخ বা হুকুম রহিতকারী। সুতরাং আমরা যে হাদীসটি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইব্ন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, আর মায়িয (রাযিঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছি এগুলাে উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীস হতে উত্তম । উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি বিশুদ্ধ গবেষণা হতে বিচ্ছিন্ন। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সীমালংঘনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বসম্মত শাস্তি হল একক। যেমন আমরা লক্ষ্য করেছি, চোরের জন্য শাস্তি হল হস্ত কর্তন আর অন্য কিছু নয়। অপবাদ প্রদানকারীর জন্যে শান্তি হল বেত্রাঘাত আর অন্য কিছু নয়। কাজেই গবেষণা বলে যে, বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তির ক্ষেত্রেও একটিও হবে, অন্যটি নয়। কাজেই রাজম-এর বিষয়টিই হবে সর্বসম্মত। আর বেত্রাঘাতের বিষয়টি সর্বসম্মত না হওয়ায় তা হবে বর্জিত। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, এটার হুকুম কেমন করে রহিত হতে পারে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পর হযরত আলী (রাযিঃ) স্বয়ং আমল করেছেন। এরপর নীচের হাদীসটি বর্ণনা করেনঃ
4853 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ , «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ مَاعِزًا , وَلَمْ يَذْكُرْ جَلْدًا» فَفِيمَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ مَا يَدُلُّ أَنَّ حَدَّ الْمُحْصَنِ هُوَ الرَّجْمُ دُونَ الْجَلْدِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَلِمَ لَا كَانَ مَا فِيهِ الرَّجْمُ وَالْجَلْدُ أَوْلَى مِمَّا فِيهِ الرَّجْمُ خَاصَّةً؟ قِيلَ لَهُ: لِدَلَالَةٍ دَلَّتْ عَلَى نَسْخِ الْجَلْدِ مَعَ الرَّجْمِ , وَهِيَ أَنَّا رَأَيْنَا أَصْلَ مَا كَانَ عَلَى الزَّانِي قَبْلَ أَنْ نُفَرِّقَ بَيْنَ حُكْمِهِ إِذَا كَانَ مُحْصَنًا , وَبَيْنَ حُكْمِهِ إِذَا كَانَ غَيْرَ مُحْصَنٍ مَا وَصَفَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ بِقَوْلِهِ «وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» فَكَانَ هَذَا هُوَ حَدَّ الزَّانِيَةِ , أَنْ تُمْسَكَ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى تَمُوتَ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا. ثُمَّ نُسِخَ بِقَوْلِهِ «خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» فَذَكَرَ مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي حَدِيثِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَكَانَ ذَلِكَ هُوَ السَّبِيلَ الَّذِي قَالَ اللهُ تَعَالَى { «أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» } [النساء: 15] فَجَعَلَ اللهُ ذَلِكَ السَّبِيلَ , عَلَى مَا قَدْ بَيَّنَهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَرَضَ فِي ذَلِكَ الْجَلْدَ وَالرَّجْمَ عَلَى الثَّيِّبِ وَالْجَلْدَ وَالنَّفْيَ عَلَى غَيْرِ الثَّيِّبِ. فَعَلِمْنَا أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ قَدْ كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ وَأَنَّهُ لَمْ يَتَقَدَّمْ نُزُولَ الْآيَةِ وُجُوبُ الرَّجْمِ عَلَى الزَّانِي لِأَنَّ حَدَّهُ كَانَ عَلَى مَا وَصَفَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ مِنَ الْحَبْسِ فِي الْبُيُوتِ. وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَ قَوْلِهِ «أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا» وَبَيْنَ حَدِيثِ عُبَادَةَ حُكْمٌ آخَرُ فَعَلِمْنَا أَنَّ حَدِيثَ عُبَادَةَ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ وَأَنَّ حَدِيثَ مَاعِزٍ الَّذِي سَأَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ عَنْ إِحْصَانِهِ , لِتَفْرِقَتِهِ بَيْنَ حَدِّ الْمُحْصَنِ وَغَيْرِ الْمُحْصَنِ وَحَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ فَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ بَيْنَ حُكْمِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ «فَجَعَلَ عَلَى الْبِكْرِ جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ وَعَلَى الثَّيِّبِ الرَّجْمَ» - مُتَأَخِّرٌ عَنْهُ. فَكَانَ ذَلِكَ نَاسِخًا لَهُ لِأَنَّ مَا تَأَخَّرَ مِنْ حُكْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْسَخُ مَا تَقَدَّمَ مِنْهُ. [ص:140] فَلِهَذَا كَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَحَدِيثِ مَاعِزٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , أَوْلَى مِنْ حَدِيثِ عُبَادَةَ مَعَ مَا قَدْ شَذَّ مِنَ النَّظَرِ الصَّحِيحِ. وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْعُقُوبَاتِ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهَا فِي انْتِهَاكِ الْحُرُمَاتِ كُلِّهَا إِنَّمَا هِيَ شَيْءٌ وَاحِدٌ. مِنْ ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا أَنَّ السَّارِقَ عَلَيْهِ الْقَطْعُ لَا غَيْرُ وَالْقَاذِفَ عَلَيْهِ الْجَلْدُ لَا غَيْرُ. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الزَّانِي الْمُحْصَنُ , عَلَيْهِ شَيْءٌ وَاحِدٌ لَا غَيْرُ فَيَكُونُ عَلَيْهِ الرَّجْمُ الَّذِي قَدِ اتُّفِقَ أَنَّهُ عَلَيْهِ , وَيَنْتَفِي عَنْهُ الْجَلْدُ الَّذِي لَمْ يَتَّفِقْ أَنَّهُ عَلَيْهِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مَنْسُوخًا وَقَدْ عَمِلَ بِهِ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَذَكَرَ مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৫৫
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৪-৫৫। আলী ইবন শাইবা (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্ন আবু লাইলা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন “হামাদান থেকে একটি মহিলা হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করেন। তার নাম ছিল শারাহ। তিনি বলেন, আমি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি”। হযরত আলী (রাযিঃ) তাকে উপেক্ষা করলেন। অতঃপর তিনি তার নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য প্রদান করেন। তখন হযরত আলী (রাযিঃ) তার সম্বন্ধে হুকুম দেন ও তাকে বেত্রাঘাত করা হয়। অতঃপর আলী (রাযিঃ) আবার হুকুম দেন ও তাকে রাজম করা হয়।
রাওহ, ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) .... আবুল আহওয়াস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
রাওহ, ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) .... আবুল আহওয়াস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
4854 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ هَمْدَانَ يُقَالُ لَهَا شُرَاحَةُ إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَتْ إِنِّي زَنَيْتُ , فَرَدَّهَا حَتَّى شَهِدَتْ عَلَى نَفْسِهَا أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَأَمَرَ بِهَا فَجُلِدَتْ , ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ.
4855 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4855 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৫
empty
৪৮৫৫।
4855 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৬
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৬। আব্দুর রহমান ইবন আমর আদ-দামেস্কী (রাহঃ) ..... আর-রাদ-রাদ ইবন আসয়াদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আলী (রাযিঃ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম, তিনি শারাহাকে বেত্রাঘাত করেন। অতঃপর তিনি তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করেন।
4856 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلَالٍ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ بِشْرٍ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنِ الرَّضْرَاضِ بْنِ أَسْعَدَ , قَالَ: شَهِدْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ جَلَدَ شُرَاحَةَ ثُمَّ رَجَمَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৭
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৭। মুহাম্মাদ ইবন হুমাইদ (রাহঃ) ..... আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তাঁর কাছে শারাহা আগমন করেন এবং তার কাছে ব্যভিচার স্বীকার করেন। আলী (রাযিঃ) তাকে বলেন, সম্ভবত তুমি তােমার নিজের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছ? তিনি বলেন, আমি স্বেচ্ছায় এসেছি, আমাকে কেউ বাধ্য করেনি। বর্ণনাকারী বলেন, আলী (রাযিঃ) তার থেকে শান্তি বিলম্ব করতে লাগলেন, যতক্ষণ না তিনি প্রসব করেন ও তার সন্তান দুধ ছেড়ে দেয়। অতঃপর তিনি তাকে তার স্বীকারােক্তির ভিত্তিতে বেত্রাঘাত করেন। অতঃপর তাকে নরম ভূমিতে কাধ পর্যন্ত দাফন করা হয় ও তার উপর পাথর নিক্ষেপ করেন। আর তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি পাথর নিক্ষেপ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, তােমরা পাথর নিক্ষেপ কর। এরপর তিনি আরাে বলেন, “আমি তাকে আল্লাহ তা'আলার কিতাবানুযায়ী বেত্রাঘাত করেছি এবং মুহাম্মাদ -এর সুন্নত অনুযায়ী তাকে প্রস্তর মেরেছি।”
4857 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، عَنْ مُسْلِمٍ الْأَعْوَرِ، عَنْ حَبَّةَ الْعَرَنِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَتْهُ شُرَاحَةُ فَأَقَرَّتْ عِنْدَهُ أَنَّهَا زَنَتْ فَقَالَ لَهَا عَلِيٌّ: فَلَعَلَّكِ غُصِبَتْ نَفْسُكِ قَالَتْ: أَتَيْتُ طَائِعَةً غَيْرَ مُكْرَهَةٍ قَالَ: فَأَخَّرَهَا حَتَّى وَلَدَتْ وَفَطَمَتْ وَلَدَهَا , ثُمَّ جَلَدَهَا الْحَدَّ بِإِقْرَارِهَا ثُمَّ دَفَنَهَا فِي الرَّحْبَةِ أَيِ الْفَضَاءِ الْوَاسِعِ إِلَى مَنْكِبِهَا ثُمَّ رَمَاهَا هُوَ أَوَّلَ النَّاسِ ثُمَّ قَالَ ارْمُوا ثُمَّ قَالَ جَلَدْتُهَا بِكِتَابِ اللهِ تَعَالَى وَرَجَمْتُهَا بِسُنَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৮
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৮। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ..... আশ-শাবী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আলী (রাযিঃ) শাৱাহা-কে বৃহস্পতিবার বেত্রাঘাত করেছেন এবং শুক্রবার প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করেছেন। আর তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কিতাবানুযায়ী তাকে বেত্রাঘাত করেছি এবং রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সুন্নত অনুযায়ী প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করেছি।”
প্রশ্নকারীকে উত্তরে বলা যায় যে, যদিও হযরত আলী (রাযিঃ) থেকে এরূপ বর্ণনা করা হয়েছে, যেমন আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। কিন্তু আলী (রাযিঃ) ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের মধ্যে হতে অন্য এক সাহাবী থেকে যা আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করা হয়েছিল, তার বিপরীত বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলাের মধ্য হতে নীচের দুটো বর্ণনা উল্লেখযােগ্যঃ
প্রশ্নকারীকে উত্তরে বলা যায় যে, যদিও হযরত আলী (রাযিঃ) থেকে এরূপ বর্ণনা করা হয়েছে, যেমন আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। কিন্তু আলী (রাযিঃ) ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের মধ্যে হতে অন্য এক সাহাবী থেকে যা আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করা হয়েছিল, তার বিপরীত বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলাের মধ্য হতে নীচের দুটো বর্ণনা উল্লেখযােগ্যঃ
4858 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سَلَمَةَ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , قَالَ: جَلَدَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ شُرَاحَةَ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَرَجَمَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَقَالَ جَلَدْتُهَا بِكِتَابِ اللهِ تَعَالَى وَرَجَمْتُهَا بِسُنَّةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ لَهُ: إِنَّ هَذَا وَإِنْ كَانَ قَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَمَا ذَكَرْنَا , فَإِنَّ غَيْرَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَوَى عَنْهُ فِي ذَلِكَ خِلَافَ مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَمِنْ ذَلِكَ مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৫৯
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৫৯। ইউনুস (রাহঃ) .... আবু ওয়াকিদ আল-লাইলী আল-আশজায়ী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা একদিন হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি সিরিয়ার আল-জাবিয়ায় আগমন করেন। এমন সময় তার কাছে এক ব্যক্তি আগমন করল এবং বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন। আমার স্ত্রী আমার গােলামের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। সে ত এখানেই আছে এবং তা স্বীকার করছে। উমার (রাযিঃ) আমাকে কয়েকজন লােক সহকারে তার কাছে প্রেরণ করলেন, যাতে এ ব্যাপারে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি। অতঃপর আমি তার কাছে আসলাম ও দেখলাম যে, সে একজন কমবয়সী নারী। তখন আমি মনে মনে বললাম, হে আল্লাহ! আপনি আজ আপনার মর্জি মুতাবিক তার মুখ খুলে দিন। অতঃপর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম এবং তার স্বামী যা বলছে, সে সম্বন্ধে তাকে সংবাদ দিলাম। তখন সে বলল, তিনি সত্য বলেছেন, এরপর আমরা তথ্যটি উমার (রাযিঃ)-এর কাছে পৌঁছালাম। তখন তিনি তাকে প্রস্তর মেরে শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিলেন।
4859 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ ثُمَّ الْأَشْجَعِيُّ أَخْبَرَهُ - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ عُمَرَ [ص:141] مُقْدَمَهُ الشَّامَ بِالْجَابِيَةِ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , إِنَّ امْرَأَتِي زَنَتْ بِغُلَامِي فَهِيَ هَذِهِ تَعْتَرِفُ بِذَلِكَ , فَأَرْسَلَنِي فِي رَهْطٍ إِلَيْهَا نَسْأَلُهَا عَنْ ذَلِكَ فَجِئْتُهَا فَإِذَا هِيَ جَارِيَةٌ حَدِيثَةُ السِّنِّ. فَقُلْتُ: اللهُمَّ أَفْرِجْ فَاهَا الْيَوْمَ عَمَّا شِئْتَ , فَسَأَلْتُهَا وَأَخْبَرْتُهَا بِالَّذِي قَالَ زَوْجُهَا , فَقَالَتْ: صَدَقَ , فَبَلَّغْنَا ذَلِكَ عُمَرَ فَأَمَرَ بِرَجْمِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮৬০
২. বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কি?
৪৮৬০। ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রাযিঃ) ..... অন্য এক সনদে আবু ওয়াকিদ আল-লাইসী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উমার (রাযিঃ)-এর কাছে এক ব্যক্তি আগমন করে। তিনি তখন ছিলেন সিরিয়ায়। উমার (রাযিঃ)-এর কাছে লােকটি উল্লেখ করল যে, সে তার স্ত্রীর সাথে অন্য একটি পুরুষকে পেয়েছে। তখন উমার (রাযিঃ) আবু ওয়াকিদ আল-লাইসী (রাযিঃ) কে লােকটির স্ত্রীর কাছে পাঠান, তিনি যেন এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি মহিলাটির কাছে গেলেন এবং অন্যান্য মহিলাগণও তার পাশে ছিলেন। হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কাছে তার স্বামী যা বলেছিল তিনি তার কাছে তা উল্লেখ করেন, আর তাকে এ সংবাদও দেয়া হল যে, পুরুষটির কোন কথা গ্রহণ করা হবেনা। এ ধরনের বাক্য দ্বারা তিনি তাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন যাতে সে তার কথা উঠিয়ে নেয়; কিন্তু মহিলাটি তার স্বীকারােক্তি উঠিয়ে নিতে রাযী হলনা; বরং সে তার স্বীকারােক্তির উপর অটল থাকলাে। তখন উমার (রাযিঃ) তাকে 'রাজম'-এর নির্দেশ প্রদান করেন, আর তাকে পাথর মারা হল।
সুতরাং দেখা গেল যে, উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের উপস্থিতিতে মহিলাটিকে প্রস্তর মেরে শাস্তি দেয়ার পূর্বে বেত্রাঘাত করেননি। আর এটা ছিল প্রস্তর নিক্ষেপের পূর্বে শারাহাকে আলী (রাযিঃ) কর্তৃক বেত্রাঘাত করার বিপরীত। আবার এটাই আমাদের কাছে দুইটি কাজের উত্তম কাজ, এ অনুচ্ছেদে আমরা বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।
সুতরাং দেখা গেল যে, উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের উপস্থিতিতে মহিলাটিকে প্রস্তর মেরে শাস্তি দেয়ার পূর্বে বেত্রাঘাত করেননি। আর এটা ছিল প্রস্তর নিক্ষেপের পূর্বে শারাহাকে আলী (রাযিঃ) কর্তৃক বেত্রাঘাত করার বিপরীত। আবার এটাই আমাদের কাছে দুইটি কাজের উত্তম কাজ, এ অনুচ্ছেদে আমরা বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।
4860 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ , أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , أَتَاهُ رَجُلٌ وَهُوَ بِالشَّامِّ فَذَكَرَ لَهُ أَنَّهُ وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا , فَبَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ إِلَى امْرَأَتِهِ لِيَسْأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ , فَأَتَاهَا وَعِنْدَهَا نِسْوَةٌ حَوْلَهَا فَذَكَرَ لَهَا الَّذِي قَالَهُ زَوْجُهَا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ , وَأَخْبَرَهَا أَنَّهَا لَا تُؤْخَذُ بِقَوْلِهِ , وَجَعَلَ يُلَقِّنُهَا أَشْبَاهَ ذَلِكَ لِتَنْتَزِعَ فَأَبَتْ أَنْ تَنْتَزِعَ وَثَبَتَتْ عَلَى الِاعْتِرَافِ فَأَمَرَ بِهَا عُمَرُ , فَرُجِمَتْ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَجْلِدْهَا قَبْلَ رَجْمِهِ إِيَّاهَا. فَهَذَا خِلَافٌ لِمَا فَعَلَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِشُرَاحَةَ , مِنْ جَلْدِهِ إِيَّاهَا قَبْلَ رَجْمِهَا فَهَذَا أَوْلَى الْفِعْلَيْنِ عِنْدَنَا لِمَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي هَذَا الْبَابِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান