শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৫৭
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৫৭। আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম বলেন, যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে তার নিজের থেকে হয়েছে বলে অস্বীকার করে তখন কাজী স্ত্রী ও স্বামীর মধ্যে গর্ভের সন্তান সম্পর্কে 'লি'আন' করাবেন। সন্তানটিকে তার মায়ের কাছে সমর্পণ করবেন এবং স্ত্রীকে স্বামী থেকে পৃথক ঘোষণা করে দিবেন। নিম্নবর্ণিত হাদীসটিকে তারা দলীল হিসেবে পেশ করেনঃ

আব্দা ইবন সুলাইমান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গর্ভের সন্তান সম্পর্কে 'লি'আন' করিয়েছেন।
আবু ইউসুফ (রাহঃ)ও এক বর্ণনায় উপরোক্ত অভিমত পেশ করেছেন, কিন্তু এটা তার সুপ্রসিদ্ধ অভিমত নয়। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে প্রথম পক্ষের বিরোধিতা করেন এবং তারা বলেন, গর্ভের সন্তান সম্পর্কে কোন প্রকার লি'আন নেই। কেননা এটা হামল বা গর্ভ নাও হতে পারে। নারীর মধ্যে যে চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় এবং তার দ্বারা সে গর্ভবতী বলে ধারণা করা হয়, প্রকৃত পক্ষে সে গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা নেই। এটা একটা শুধু ধারণা। কাজেই ধারণা অস্বীকৃতির ক্ষেত্রে লিআন সাব্যস্ত হয় না। প্রথম পক্ষের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হল এ যে, তারা যে হাদীসটি দলীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন তা একটি সংক্ষিপ্ত হাদীস। যিনি বর্ণনা করেছেন তিনি এটাকে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে ভুল করেছেন। প্রকৃত ঘটনা হল নিম্নরূপঃ
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লি'আন করিয়েছেন। আর ঘটনাক্রমে স্ত্রীটি ছিল গর্ভবর্তী। এটা আমাদের মতে অপবাদের জন্যই শপথ করানো, গর্ভস্থ সন্তানের অস্বীকৃতির জন্য শপথ করানো নয়। যিনি হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তিনি ধারণা করেছেন যে, এটা গর্ভস্থ সন্তান সম্পর্কে শপথ করানো। তাই তিনি হাদীসটি সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছেন, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি। প্রকৃত হাদীসটি নিম্নরূপঃ
بَابُ الرَّجُلِ يَنْفِي حَمْلَ امْرَأَتِهِ أَنْ يَكُونَ مِنْهُ
4657 - قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: ذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا نَفَى حَمْلَ امْرَأَتِهِ , أَنْ يَكُونَ مِنْهُ , لَاعَنَ الْقَاضِي بَيْنَهَا وَبَيْنَهُ بِذَلِكَ الْحَمْلِ , وَأَلْزَمَهُ أُمَّهُ , وَأَبَانَ الْمَرْأَةَ مِنْ زَوْجِهَا وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثٍ يُحَدِّثُهُ عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاعَنَ بِالْحَمْلِ» . وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ , قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ مَرَّةً , وَلَيْسَ هُوَ بِالْمَشْهُورِ مِنْ قَوْلِهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يُلَاعِنُ بِحَمْلٍ , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ لَا يَكُونَ حَمْلًا , لِأَنَّ مَا يَظْهَرُ مِنَ الْمَرْأَةِ مِمَّا يُتَوَهَّمُ بِهِ أَنَّهَا حَامِلٌ , لَيْسَ يُعْلَمُ بِهِ حَمْلٌ عَلَى حَقِيقَةٍ , إِنَّمَا هُوَ تَوَهُّمٌ , فَنَفْيُ الْمُتَوَهَّمِ لَا يُوجِبُ اللِّعَانَ , وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , أَنَّ الْحَدِيثَ الَّذِي احْتَجُّوا بِهِ عَلَيْهِمْ , حَدِيثٌ مُخْتَصَرٌ , اخْتَصَرَهُ الَّذِي رَوَاهُ فَغَلِطَ فِيهِ وَإِنَّمَا أَصْلُهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاعَنَ بَيْنَهُمَا وَهِيَ حَامِلٌ» , فَذَلِكَ - عِنْدَنَا - لِعَانٌ بِالْقَذْفِ , لَا لِعَانٌ بِنَفْيِ الْحَمْلِ , فَتَوَهَّمَ الَّذِي رَوَاهُ أَنَّ ذَلِكَ لِعَانٌ بِالْحَمْلِ , فَاخْتَصَرَ الْحَدِيثَ كَمَا ذَكَرْنَا وَأَصْلُ الْحَدِيثِ فِي ذَلِكَ , مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫৮
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৫৮। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমরা বিকাল বেলা মসজিদে অবস্থান করছিলাম, তখন এক ব্যক্তি বললেন, যদি আমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে দেখে আর সে তাকে হত্যা করে তখন আপনারা তাকে হত্যা করেন। আর যদি সে এটা নিয়ে বাইরে কথা বলে তাকে আপনারা বেত্রাঘাত করেন। আর যদি সে চুপচাপ থাকে তাহলে সে যেন ক্রোধ নিয়ে চেপে রইল। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে নিশ্চয়ই এ সমস্যাটি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করব। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে কোন এক ব্যক্তিকে দেখতে পায় তাহলে সে যদি তাকে হত্যা করে আপনারা তাকে হত্যা করেন। সে যদি এটা নিয়ে বাইরে কথা বলে তাহলে তাকে আপনারা বেত্রাঘাত করেন। আর যদি সে চুপচাপ থাকে তাহলে সে যেন ক্রোধ নিয়ে চুপচাপ রইল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে আল্লাহ্! আপনি সমস্যার সমাধান দিন। অতঃপর লি'আন (অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর আল্লাহর নামে অভিসম্পাত বিনিময়)-এর আয়াত নাযিল হয় আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, ঐ লোকটিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যে এ সমস্যার সন্মুখীন হয় ।
4658 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ سُلَيْمَانَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , قَالَ: " بَيْنَا نَحْنُ عَشِيَّةً فِي الْمَسْجِدِ إِذْ قَالَ رَجُلٌ: إِنْ أَحَدَنَا رَأَى مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا , فَإِنْ قَتَلَهُ قَتَلْتُمُوهُ , وَإِنْ هُوَ تَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ , وَإِنْ هُوَ سَكَتَ , سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ , لَأَسْأَلَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ , فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنْ أَحَدَنَا رَأَى مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا , فَإِنْ قَتَلَهُ قَتَلْتُمُوهُ , وَإِنْ هُوَ تَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ , وَإِنْ سَكَتَ , سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ , اللهُمَّ احْكُمْ , فَأُنْزِلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ , قَالَ عَبْدُ اللهِ: فَكَانَ ذَلِكَ الرَّجُلُ , أَوَّلُ مَنِ ابْتُلِيَ بِهِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৬০
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৫৯-৬০। ইয়াযীদ (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে অন্য এক সনদে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার 'রাতে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মসজিদে দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, আপনারা কি সমাধান দেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য এক ব্যক্তিকে দেখতে পায়? অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তিনি অতিরিক্ত আরো কিছু বলেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, ঐ লোকটি এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং সে ছিলো আনসারদের একজন সদস্য। সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে এসেছিল এবং তার স্ত্রীর প্রতি অভিশাপ উচ্চারণ করেছিল, যখন তার স্ত্রীও অভিশাপ ব্যক্ত করতে শুরু করল, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, “থাম, এখানে লা'নত শেষ।” যখন মহিলাটি চলে গেল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “এ মহিলাটি হয়ত কালো, কোকড়ানো চুল বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দিবে।" অতঃপর মহিলাটি কালো কোকড়ানো চুল বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দিল।

ইয়াযীদ (রাহঃ) ….. আল-আমা'শ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
সুতরাং এটাই হল লি'আন বা স্বামী-স্ত্রীর অভিশাপ প্রেরণ অনুচ্ছেদের মূল হাদীস। আর এটাই হল অপবাদ সম্পর্কে শপথ করানো। এটাই ছিল পুরুষটির পক্ষ থেকে তার স্ত্রীর জন্যে অপবাদ, যে ছিল অন্তঃসত্বা। এটা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য শপথ করানো নয়। এ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যরাও বর্ণনা পেশ করেন। যেমনঃ
4659 - - حَدَّثَنَا يَزِيدُ , قَالَ: ثنا حَكِيمُ بْنُ سَيْفٍ , قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ يُونُسَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , قَالَ: قَامَ رَجُلٌ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ , فَقَالَ: أَرَأَيْتُمْ إِنْ وَجَدَ رَجُلٌ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا؟ ". ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ: وَقَالَ عَبْدُ اللهِ: فَابْتُلِيَ بِهِ , وَكَانَ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَاعَنَ [ص:100] امْرَأَتَهُ , فَلَمَّا أَخَذَتِ امْرَأَتُهُ تَلْتَعِنُ , قَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَهْ " فَالْتَعَنَتْ , فَلَمَّا أَدْبَرَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَلَّهَا أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا» فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا ".

4660 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ , قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ بْنِ شَقِيقٍ , قَالَ: ثنا جَرِيرٌ , عَنِ الْأَعْمَشِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. فَهَذَا هُوَ أَصْلُ حَدِيثِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فِي اللِّعَانِ , وَهُوَ لِعَانٌ بِقَذْفٍ كَانَ مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ لِامْرَأَتِهِ وَهِيَ حَامِلٌ , لَا بِحَمْلِهَا. وَقَدْ رَوَاهُ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا غَيْرُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬০
empty
৪৬৬০।
4660 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৬৩
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৬১-৬৩। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) .....আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আল-আজালানী ও তার স্ত্রীর মধ্যে শপথ করান। আর তার স্ত্রী ছিল গর্ভবতী। তার স্বামী বলল, আল্লাহর শপথ! আমি আমাদের 'আফার'-এর পর তার সংস্পর্শে আসিনি। আফার হল খেজুর বৃক্ষ চাঁচার পর দু'মাস সেচ না দিয়ে তার পর সেচ দেয়া। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, হে আল্লাহ্! আপনি সমস্যাটির সুস্পষ্ট সমাধান করে দিন। সাহাবায়ে কিরাম ধারণা করেন যে, মহিলাটির স্বামীর ছিল দুই হাত ও দুই পায়ের নলী জোড়া লাগানো, তার ছিল ঈষৎ লাল রংয়ের চুল। যিনি মহিলাটিকে অপবাদ দিয়েছিলেন তার নাম ছিল ইবনুস সাহমা। বর্ণনাকারী বলেন, “মহিলাটি যখন সন্তান জন্ম দিল তখন সন্তানটি ছিল কালো। আর তার চুল ছিল ঘন ও খুব বেশী কোকড়ানো। তার দুই হাত ছিল স্থুল এবং পায়ের দুই নালী ছিল লম্বা ও মোটা”। আল-কাসিম বলেন, অতঃপর ইবন শাদ্দাদ ইবন আল-হাদ বলেনঃ হে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)! সে কি ঐ স্ত্রীলোক, যার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছিলেন, যদি আমি কাউকে প্রমাণ ব্যতীত পাথর ছুঁড়ে মারতাম তাহলে তাকেই মারতাম। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, না, তবে ঐ মহিলাটি ছিলো ইসলামের অবস্থায় প্রকাশ্য 'অনাচারকারিণী'।

ইবন মারযূক (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবন শাদ্দাদের প্রশ্ন হতে হাদীসের শেষ পর্যন্ত উল্লেখ করেননি।
4661 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: ثنا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاعَنَ بَيْنَ الْعَجْلَانِيِّ وَامْرَأَتِهِ وَكَانَتْ حُبْلَى. فَقَالَ زَوْجُهَا: وَاللهِ مَا قَرُبْتُهَا مُنْذُ عَفَرْنَا , وَالْعَفْرُ: أَنْ يُسْقَى النَّخْلُ بَعْدَ أَنْ تُتْرَكَ مِنَ السَّقْيِ بَعْدَ الْإِبَارِ بِشَهْرَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللهُمَّ بَيِّنْ» فَزَعَمُوا أَنَّ زَوْجَ الْمَرْأَةِ كَانَ حَمْشَ الذِّرَاعَيْنِ وَالسَّاقَيْنِ , أَصْهَبَ الشَّعَرَةِ , وَكَانَ الَّذِي رُمِيَتْ بِهِ ابْنُ السَّحْمَاءِ قَالَ: فَجَاءَتْ بِغُلَامٍ أَسْوَدَ جَعْدٍ , قَطَطٍ , عَبْلِ الذِّرَاعَيْنِ , خَدْلِ السَّاقَيْنِ. قَالَ الْقَاسِمُ: فَقَالَ ابْنُ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ , يَا أَبَا عَبَّاسٍ , أَهِيَ الْمَرْأَةُ الَّتِي قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ كُنْتُ رَاجِمًا بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ لَرَجَمْتُهَا؟» فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَا: وَلَكِنْ تِلْكَ امْرَأَةٌ كَانَتْ قَدْ أَعْلَنَتْ فِي الْإِسْلَامِ ".

4662 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ , قَالَ: ثنا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنِ الْقَاسِمِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , نَحْوَهُ.

4663 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي , أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادٍ , إِلَى آخِرِ هَذَا الْحَدِيثِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬২
empty
৪৬৬২।
4662 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৩
empty
৪৬৬৩।
4663 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৪
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৬৪। আবু বাকরা (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে আগমন করেন এবং বলেন, যখন আমরা খেজুর বাগানে সেচ দিয়েছিলাম তখন থেকে আমার পরিবারের সাথে আমার সংস্পর্শ নেই। অতঃপর আমি আমার স্ত্রীর সাথে অন্য এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম। বর্ণনাকারী বলেন, তার স্বামীর চোখ ছিল কোটরাগত। সে ছিল স্থূল ও ঝুলে থাকা কেশ বিশিষ্ট। আর যার সাথে তার স্ত্রীকে অপবাদ দেয়া হয়েছিল সে ছিল কোকড়ানো ও ঘনচুল বিশিষ্ট। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন বলেন, “হে আল্লাহ্! ঘটনাটি সুস্পষ্ট করে দিন।” অতঃপর তিনি তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে 'লি'আন' করান। পরে মহিলাটি ঐ ব্যক্তির সদৃশ সন্তানের জন্ম দেয়, যার সাথে তাকে অপবাদ দেয়া হয়েছিল।
4664 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , عَنِ الْقَاسِمِ [ص:101] بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ " أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا لِي عَهْدٌ بِأَهْلِي مُنْذُ عَفَرْنَا النَّخْلَ , فَوَجَدْتُ مَعَ امْرَأَتِي رَجُلًا. وَزَوْجُهَا نِضْوٌ حَمْشٌ , سَبِطُ الشَّعْرِ , وَالَّذِي رُمِيَتْ بِهِ إِلَى السَّوَادِ جَعْدٌ قَطَطٌ شَدِيدُ الْجُعُودَةِ أَوْ حَسَنُهُ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللهُمَّ بَيِّنْ» ثُمَّ لَاعَنَ بَيْنَهُمَا , فَجَاءَتْ بِهِ يُشْبِهُ الَّذِي رُمِيَتْ بِهِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৫
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৬৫। ফাহাদ (রাহঃ) …… আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হিলাল ইবন উমাইয়া (রাযিঃ) শুরাইক ইবন সাহমাকে তার স্ত্রীর সাথে অপবাদ দেন। ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সামনে উত্থাপন করা হয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তুমি চারটি সাক্ষী হাযির কর, নচেৎ তোমার পিঠে পড়বে বেত্রাঘাত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ নিশ্চয়ই জানেন যে, আমি সত্যবাদী। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলতে লাগলেন, চারজন সাক্ষী হাযির কর। নচেৎ তোমার পিঠে পড়বে বেত্রাঘাত। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আল্লাহ্ নিশ্চয়ই জানেন, আমি সত্যবাদী। তিনি কয়েক বার এরূপ বললেন। তিনি আরো বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা যেন আপনার কাছে এমন বস্তু নাযিল করেন, যার দ্বারা আমার পিঠ বেত্রাঘাত থেকে বেঁচে যায়। অতঃপর লি'আনের আয়াতটি নাযিল হলঃ

وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُن لَّهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ أَرْبَعُ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ ۙ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ

অর্থাৎ যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষীও নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চার বার শপথ করে বলবে, সে অবশ্যই সত্যবাদী (সূরা নূরঃ ৬)
বর্ণনাকারী বলেন, হিলাল (রাযিঃ) কে ডাকা হল, তিনি চারবার সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি অবশ্যই সত্যবাদী এবং পঞ্চম বারে বলেন, “তিনি মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লা'নত।” বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রমণীটিকে ডাকা হল। তিনি চার বার আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দিলেন যে, তার স্বামী মিথ্যাবাদী। পঞ্চম বারের পালা যখন আসল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তাকে থামাও, কেননা সে তার উপর ওয়াজিব করে ফেলবে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন সে ইতস্তত করতে লাগল, এমনকি আমরা সন্দেহ করতে লাগলাম, হয়ত সে অচিরেই স্বীকার করে ফেলবে। অতঃপর সে বলতে লাগল, আমি আমার সম্প্রদায়কে সর্বকালের জন্য কলঙ্কিত করতে পারিনা, অতঃপর সে তার শপথ সম্পূর্ণ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তোমরা লক্ষ্য কর, মহিলাটি যদি ফর্সা, ঝুলে থাকা কেশ বিশিষ্ট, গভীর ফাটল ওয়ালা চোখ বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে এটা হিলাল ইবন উমাইয়া (রাযিঃ)-এর সন্তান। আর মহিলাটি যদি সুরমা ব্যবহৃত চোখের ন্যায় চোখ ওয়ালা, কোকড়া চুল বিশিষ্ট ও স্থুল পায়ের নলী বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে এটা শুরাইক ইবন সাহমার সন্তান। বর্ণনাকারী বলেন, মহিলাটি সুরমা ব্যবহৃত চোখ বিশিষ্ট, কোকড়া চুল বিশিষ্ট ও স্থুল দুই পায়ের নলী বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যদি আল্লাহর কিতাবের সিদ্ধান্ত না থাকত তাহলে তার ও আমার মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে যেত। বর্ণনাকারী বলেন, হাদীসে উল্লেখিত قضي العينين এর অর্থ হল গভীর ফাটল ওয়ালা চোখ বিশিষ্ট, ভাসা ভাসা চোখ নয় ।
4665 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , عَنْ مَخْلَدِ بْنِ حُسَيْنٍ , عَنْ هِشَامٍ , عَنِ ابْنِ سِيرِينَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ " أَنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ شَرِيكَ ابْنَ سَحْمَاءَ بِامْرَأَتِهِ , فَرُفِعَ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ: «ائْتِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ , وَإِلَّا فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ» . فَقَالَ: وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ اللهَ يَعْلَمُ إِنِّي لَصَادِقٌ , قَالَ: فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ: «أَرْبَعَةٌ وَإِلَّا فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ» قَالَ: وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ اللهَ يَعْلَمُ إِنِّي لَصَادِقٌ , يَقُولُ ذَلِكَ مِرَارًا وَلَيُنْزِلَنَّ اللهُ عَلَيْكَ مَا يُبَرِّئُ بِهِ ظَهْرِي مِنَ الْجَلْدِ , فَنَزَلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ {وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ} [النور: 6] قَالَ: فَدُعِيَ هِلَالٌ فَشَهِدَ {أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ. وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ} قَالَ: ثُمَّ دُعِيَتِ الْمَرْأَةُ فَشَهِدَتْ {أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ} [النور: 8] , فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْخَامِسَةِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قِفُوهَا فَإِنَّهَا مُوجِبَةٌ» قَالَ فَتَكَأْكَأَتْ حَتَّى مَا شَكَكْنَا أَنْ سَتُقِرُّ , ثُمَّ قَالَتْ: لَا أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ , فَمَضَتْ عَلَى الْيَمِينِ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْظُرُوا , فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَبْيَضَ سَبِطًا قَضِيءَ الْعَيْنَيْنِ , فَهُوَ لِهِلَالِ بْنِ أُمَيَّةَ , وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ جَعْدًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ , فَهُوَ لِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ» . [ص:102] قَالَ: فَجَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ , جَعْدًا , حَمْشَ السَّاقَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا مَا سَبَقَ مِنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالَى , كَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ» . قَالَ: الْقَضِيءُ الْعَيْنَيْنِ: طَوِيلُ شَعْرِ الْعَيْنَيْنِ , لَيْسَ بِمَفْتُوحِ الْعَيْنَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৬
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৬৬। আবু বাকরা (রাহঃ) …… আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হিলাল ইবন উমাইয়া (রাযিঃ) তার স্ত্রীকে শুরাইক ইবন সাহমা এর সাথে অপবাদ দেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা মহিলাটির প্রতি লক্ষ্য রেখো, যদি সে ফর্সা, ঝুলে থাকা কেশ বিশিষ্ট, গভীর ফাটল ওয়ালা দু'চোখ বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে বুঝতে হবে এ সন্তানটি হিলাল ইবন উমাইয়া (রাযিঃ)-এর। আর সে যদি সুরমা ব্যবহৃত চোখ বিশিষ্ট ও দুই পায়ের স্থূল নলী বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে বুঝতে হবে এটা শুরাইক ইবন সাহমা এর সন্তান। অতঃপর সে সুরমা ব্যবহৃত চোখ বিশিষ্ট, কোকড়া চুল ও দুই পায়ের স্থুল নলী বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয়।
4666 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , " أَنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ امْرَأَتَهُ بِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْظِرُوهَا , فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَبْيَضَ سَبِطًا قَضِيءَ الْعَيْنَيْنِ فَهُوَ لِهِلَالِ بْنِ أُمَيَّةَ , وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ جَعْدًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ , فَهُوَ لِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ» فَجَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ جَعْدًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৬৮
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৬৭-৬৮। রাবী' আল-জীযী (রাহঃ) …… সহল ইবন সা'দ আস-সায়িদী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উয়াইমির (রাযিঃ) 'আসিম ইবন 'আদী (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করেন এবং বলেন, আপনি এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে কি মনে করেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য এক ব্যক্তিকে দেখতে পায় ও তাকে হত্যা করে, আপনারা কি তার জন্যে হত্যাকারীকে হত্যা করবেন? হে আসিম, আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করুন। হযরত আসিম (রাযিঃ) তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ মাসআলাটি খারাপ মনে করেন ও এটাকে দোষণীয় মনে করেন। তখন উয়াইমির (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি নিশ্চিয়ই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে গমন করব। উয়াইমির (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে গমন করেন এবং তাকে এ মাসআলাটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের মাঝে কুরআন নাযিল করেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের স্বামী স্ত্রীকে ডাকলেন, তারা এগিয়ে আসল এবং একে অন্যের উপর অভিশাপ ব্যক্ত করল। অতঃপর লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি যদি তাকে রাখি এবং তার উপরে মিথ্যা আরোপ করি, এটা কেমন হয়? তাই তাকে আমা থেকে পৃথক করে দিন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে তার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার জন্যে নির্দেশ প্রদান করলেন না। অতঃপর অভিশাপ উচ্চারণকারীদের মধ্যে পৃথক হয়ে যাওয়ার নীতি প্রবর্তিত হল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য রেখো, যদি মহিলাটি লাল ও টিকটিকির ন্যায় ছোট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে আমি ধারণা করি যে, পুরুষটি তার স্ত্রীর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে। আর যদি মহিলাটি কালো, ডাগর ডাগর চোখ বিশিষ্ট ও চওড়া পাছা বিশিষ্ট সন্তান জন্ম দেয় তাহলে আমি ধারণা করি যে, পুরুষটি তার স্ত্রীর উপর সত্য অভিযোগ আরোপ করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, মহিলাটি অপছন্দনীয় সন্তান জন্ম দিয়েছিল।
আমাদের উল্লেখিত আলোচনায় এটা প্রমাণিত হল যে, যারা গর্ভস্থিত সন্তান সম্পর্কে লি'আন প্রমাণ করতে চায় তাদের জন্যে এখানে কোন দলীল নেই।
যদি কেউ বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বাণী, “যদি মহিলাটি এরূপ সন্তান জন্ম দেয় তাহলে এটা হবে তার স্বামীর জন্যে, আর যদি ঐরূপ জন্ম দেয় তাহলে সন্তানটি হবে অমুকের জন্যে” একথা প্রমাণ করে যে, অপবাদ ও লি'আনের দ্বারা গর্ভস্থিত সন্তানটি লক্ষ্যবস্তু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের উত্তর হল, লিআন যদি গর্ভস্থিত সন্তান নিয়েই সংঘটিত হত তাহলে সন্তানটিকে স্বামীর বলে গণ্য করা হত না, তার সাথে মিল থাকুক আর না-ই থাকুক। আমরা কি লক্ষ্য করি না যে, যদি স্ত্রীকে অপবাদ দেয়ার পূর্বে সে সন্তান প্রসব করে আর স্বামী তখন সন্তানটিকে অস্বীকার করে তাহলে সন্তানটি তার সাথে অধিক সামঞ্জস্য থাকা সত্ত্বেও স্বামী-স্ত্রীর দুই জনকে শপথ করানো হবে, তারা দুজন পৃথক হয়ে যাবে, সন্তানটিকে তার মা পাবে এবং লা'নতকারীর সাথে সামঞ্জস্য হওয়া সত্ত্বেও সে সন্তানের অধিকারী হবেনা। সামঞ্জস্য যখন বংশধারা প্রমাণ করেনা এবং অসামঞ্জস্যতাও বংশধারা অস্বীকার করেনা, আর আমাদের উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন যে, মহিলাটি যদি এরূপ সন্তান জন্ম দেয় তাহলে সন্তানটি হবে লি'আনকারীর জন্যে, এটা একথা প্রমাণ করে যে, লি আন বংশধারাকে অস্বীকার করেনা। কেননা যদি লি'আন অস্বীকার করত তাহলে এ কথা বলা হতো না যে, অমুকের সাথে সামঞ্জস্য হওয়া এ কথার উপর দলীল যে, সে তার থেকে এসেছে এবং অমুকের সাথে সামঞ্জস্য না হওয়া এ কথার উপর দলীল যে, সে অন্যের থেকে এসেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক মরুবাসীর প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছিলেন তা এখানে উল্লেখ করা হলঃ
4667 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ ح

4668 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَا: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ , " أَنَّ عُوَيْمِرًا جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ: أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَقَتَلَهُ , أَتَقْتُلُونَهُ بِهِ؟ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَجَاءَ عَاصِمٌ , فَسَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْأَلَةَ وَعَابَهَا , فَقَالَ عُوَيْمِرٌ: وَاللهِ لَآتِيَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ: قَدْ أَنْزَلَ اللهُ فِيكُمْ قُرْآنًا , فَدَعَاهُمَا , فَتَقَدَّمَا , فَتَلَاعَنَا , ثُمَّ قَالَ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا , فَفَارَقَهَا وَمَا أَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِفِرَاقِهَا , فَجَرَتِ السُّنَّةُ فِي الْمُتَلَاعِنَيْنِ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْظُرُوا , فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَحْمَرَ قَصِيرًا , مِثْلَ وَحَرَةٌ فَلَا أُرَاهُ إِلَّا وَقَدْ كَذَبَ عَلَيْهَا , وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَشْحَمَ أَعْيَنَ ذَا أَلْيَتَيْنِ , فَلَا أَحْسَبُهُ إِلَّا وَقَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا» قَالَ: فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى الْأَمْرِ الْمَكْرُوهِ ". فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , أَنْ لَا حُجَّةَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ لِمَنْ يُوجِبُ اللِّعَانَ بِالْحَمْلِ , فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ فِي قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنْ جَاءَتْ بِهِ كَذَا فَهُوَ لِزَوْجِهَا , وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ كَذَا فَهُوَ لِفُلَانٍ» دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْحَمْلَ هُوَ الْمَقْصُودُ إِلَيْهِ بِالْقَذْفِ وَاللِّعَانِ , فَجَوَابُنَا لَهُ فِي ذَلِكَ , أَنَّ اللِّعَانَ لَوْ كَانَ بِالْحَمْلِ , إِذًا لَكَانَ مُنْتَفِيًا مِنَ الزَّوْجِ , غَيْرَ لَاحِقٍ بِهِ , أَشْبَهَهُ أَوْ لَمْ يُشْبِهْهُ. أَلَا تَرَى أَنَّهَا لَوْ كَانَتْ وَضَعَتْهُ قَبْلَ أَنْ يَقْذِفَهَا , فَنُفِيَ وَلَدُهَا , وَكَانَ أَشْبَهَ النَّاسِ بِهِ , أَنَّهُ يُلَاعَنُ بَيْنَهُمَا وَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا , وَيَلْزَمُ الْوَلَدُ أُمَّهُ , وَلَا يَلْحَقُ بِالْمُلَاعِنِ لِشَبَهِهِ بِهِ؟ فَلَمَّا كَانَ الشَّبَهُ لَا يَجِبُ بِهِ ثُبُوتُ نَسَبٍ , وَلَا يَجِبُ بِعَدَمِهِ انْتِفَاءُ نَسَبٍ , وَكَانَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي ذَكَرْنَا [ص:103] أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِنْ جَاءَتْ بِهِ كَذَا , فَهُوَ لِلَّذِي لَاعَنَهَا» دَلَّ ذَلِكَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنِ اللِّعَانُ نَافِيًا لَهُ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ نَافِيًا لَهُ , إِذًا لَمَا كَانَ شَبَهُهُ بِهِ دَلِيلًا عَلَى أَنَّهُ مِنْهُ , وَلَا بُعْدُ شَبَهِهِ إِيَّاهُ , دَلِيلًا عَلَى أَنَّهُ مِنْ غَيْرِهِ , وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْأَعْرَابِيِّ الَّذِي سَأَلَهُ , فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ غُلَامًا أَسْوَدَ: مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৮
empty
৪৬৬৮।
4668 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৭০
৯. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে
৪৬৬৯-৭০। ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক মরুবাসী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করেন এবং বলেন, আমার স্ত্রী একটি কালো সন্তান জন্ম দিয়েছে এবং আমি এটাকে অস্বীকার করছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেন, তোমার কি উট আছে? তিনি বললেন, 'হ্যাঁ' রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এগুলোর রং কি রকম? তিনি বললেন, লাল, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এগুলোর মধ্যে কি সবুজ রংয়ের কোন উট আছে? তিনি বললেন, 'হ্যাঁ, এগুলোর মধ্যে কিছু সবুজ রংয়েরও আছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এ সবুজ রংয়ের উটগুলো কোথা থেকে এসেছে বলে তুমি মনে কর? মরুবাসী লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! এটা একটি বংশধারা। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, সম্ভবত এটাও একটি বংশধারা ।

ইউনুস (রাহঃ) অন্য এক সনদে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
সামঞ্জস্যের অভাবের দরুন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সন্তানের অস্বীকৃতির ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেননি। কেননা সামঞ্জস্যতা কোন ব্যাপারে দলীল নয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শপথকারিণীর সন্তানকে তার স্বামীর সন্তান বলে গণ্য করেছেন, যদি মহিলাটি স্বামীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সন্তান প্রসব করে। এ বিষয়টি একথার উপর দলীল যে, লি'আন সন্তানকে তার থেকে হরণ করেনি। সুতরাং আমাদের উল্লেখিত তথ্যের দ্বারা যারা গর্ভস্থ সন্তানের সাথে লি'আনকে সম্পৃক্ত করেন তাদের দলীলের ত্রুটি প্রমাণিত হয়।

এখানে অন্য একটি দলীলও পাওয়া যায় যে, সহল ইবন সা'দ (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তোমরা রমণীটির প্রতি লক্ষ্য রেখো, যদি সে এরূপ সন্তান জন্ম দেয় তাহলে আমি ধারণা করি স্বামী তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছে, আর যদি সে ঐরূপ সন্তান জন্ম দেয় তাহলে আমি ধারণা করি স্বামী তার উপর সত্য আরোপ করেছে। সুতরাং এ কথাটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এসেছিল ধারণার ভিত্তিতে। এখানে কোন নিশ্চয়তা নেই। এটাতে এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, গর্ভস্থ সন্তান সম্পর্কে প্রকৃতপক্ষে তার থেকে কোন প্রকার হুকুম জারী করা হয়নি। তাই গর্ভস্থ সন্তান সম্পর্কে যারা লি'আনের কথা বলছেন, তাদের অভিমতের ত্রুটিও প্রমাণিত হল। যারা গর্ভস্থ সন্তান সম্পর্কে লি'আনের বিরোধিতা করেন এ অনুচ্ছেদের প্রথমে তাদের দলীল বর্ণনা করা হয়েছে। আর এটা হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত এবং ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর প্রসিদ্ধ অভিমত।
4669 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ " أَنَّ أَعْرَابِيًّا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ غُلَامًا أَسْوَدَ , وَإِنَى أَنْكَرْتُهُ. فَقَالَ لَهُ: «هَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «مَا أَلْوَانُهَا؟» . قَالَ: حُمْرٌ , قَالَ: «هَلْ فِيهَا مِنْ أَوْرَقَ؟» قَالَ: إِنَّ فِيهَا لَوُرْقًا. قَالَ: «فَأَنَّى تَرَى ذَلِكَ جَاءَهَا؟» قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , عِرْقٌ نَزَعَهَا. قَالَ: «فَلَعَلَّ هَذَا عِرْقٌ نَزَعَهُ» .

4670 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ , وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , وَسُفْيَانُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ. فَلَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُرَخِّصْ لَهُ فِي نَفْيِهِ لِبُعْدِ شَبَهِهِ مِنْهُ , وَكَانَ الشَّبَهُ , غَيْرَ دَلِيلٍ عَلَى شَيْءٍ , ثَبَتَ أَنَّ جَعْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَدَ الْمُلَاعَنَةِ مِنْ زَوْجِهَا , إِنْ جَاءَتْ بِهِ عَلَى شَبَهِهِ , دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ اللِّعَانَ , لَمْ يَكُنْ نَفَاهُ مِنْهُ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , فَسَادُ مَا احْتَجَّ بِهِ الَّذِينَ يَرَوْنَ اللِّعَانَ بِالْحَمْلِ وَفِي ذَلِكَ حُجَّةٌ أُخْرَى , وَهِيَ أَنَّ فِي حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «أَنْظِرُوهَا , فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ كَذَا , فَلَا أَرَاهُ إِلَّا وَقَدْ كَذَبَ عَلَيْهَا , وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ كَذَا , فَلَا أَرَاهُ إِلَّا وَقَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا» فَكَانَ ذَلِكَ الْقَوْلُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الظَّنِّ , لَا عَلَى الْيَقِينِ , وَذَلِكَ مِمَّا قَدْ دَلَّ أَيْضًا أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مِنْهُ جَرَى فِي الْحَمْلِ حُكْمٌ أَصْلًا. فَثَبَتَ فَسَادُ قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى اللِّعَانِ بِالْحَمْلِ وَإِنَّمَا احْتَجَجْنَا بِهِ لِمَنْ ذَهَبَ إِلَى خِلَافِهِ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مِمَّنْ أَبَى اللِّعَانَ بِالْحَمْلِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَمُحَمَّدٍ , وَقَوْلُ أَبِي يُوسُفَ الْمَشْهُورُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭০
empty
৪৬৭০।
4670 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান