শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৪৮
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৪৮। রাবী' ইবন সুলাইমান আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “আমার উম্মতের ভুল-ত্রুটি ও আমার উম্মতের দ্বারা যা কিছু জোরপূর্বক করানো হয়ে থাকে আল্লাহ্ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন।"
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম অভিমত পেশ করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তিকে তালাক, বিবাহ, শপথ, দাসমুক্তি কিংবা এরূপ কোন কাজের জন্যে বাধ্য করা হয় এবং জোরপূর্বক কাজটি করানো হয় তাহলে এগুলো সব বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উম্মতের জন্যে যা কিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন তার মধ্যে এগুলো অন্তর্ভুক্ত। আর তারা এ হাদীস দ্বারা নিজেদের পক্ষে দলীল পেশ করেছেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, জবরদস্তি অবস্থায় যে শপথ করানো হয় তা গণ্য করা হবে এবং বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক, দাসমুক্তি, বিবাহ ও তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর রাজায়াত ইত্যাদি চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর দলীল হিসেবে উপরোক্ত হাদীসটি উল্লেখ করেন এবং প্রথম পক্ষ হাদীসটির যেরূপ ব্যাখ্যা করেছেন তার থেকে ভিন্নরূপ ব্যাখ্যা ২য় পক্ষ করেছেন। তারা আরো বলেন, “এ হাদীসটি বিশেষ করে শিরকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা সম্প্রদায়টি ছিল নতুন মুসলমান এবং তারা কাফিরদের সাথে বসবাস করত। তাই মুশরিকরা যখন সুযোগ পেত তখন তাদেরকে জোরপূর্বক কুফরী স্বীকার করাত। তারা তখন মুখে মুখে স্বীকার করত। কাফিররা আম্মার ইবন ইয়াসার (রাযিঃ)-এর সাথে এরূপ আচরণ করত এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অন্যান্য সাহাবীদের সাথেও কাফিররা এরূপ ব্যবহার করত। অতঃপর তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনঃ

إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ

অর্থাৎ তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরীর জনে! বাধ্য করা হয়; কিন্তু তার চিত্ত থাকে ঈমানে অবিচলিত। (সূরা নাহলঃ ১১৬)। অনেক সময় তারা অসতকর্তা বশত ভুল করত। তারা তাদের এ অভ্যাস সম্পর্কে ইসলামের পূর্বে আলোচনা করেছিল, অনেক সময় তারা ভুল করত, এ নিয়েও তারা আলোচনা করত। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এটা থেকে ক্ষমা করে দিলেন, কেননা তারা এ সম্বন্ধে ছিল অপারগ ও উপায়হীন। এটার প্রতি তারা মোটেই উৎসুক ছিলনা। আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও এ ধরনের তাফসীর গ্রহণ করেছেন। আল-কাসানী (রাহঃ) তার পিতা থেকে এ সম্বন্ধে আমাদের কাছে বর্ণনা পেশ করেছেন। সুতরাং হাদীসটি এ অর্থও বুঝাতে পারে, আবার প্রথম পক্ষ যা বলেছেন তাও বুঝাতে পারে। যখন এরূপ দুই ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে তখন আমরা এমন একটি দলীলের প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে লাগলাম, যা তার অর্থ ও ব্যাখ্যা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট করে দেবে এবং আমাদেরকে যে কোন একটি অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝাতে সহায়তা করবে। আর আমরা বিনা দ্বিধায় এ অর্থ ও ব্যাখ্যাটিকে অবলম্বন করে নেবে। এ ব্যাপারে আমরা গবেষণার আশ্রয় নিলাম ও দেখতে পেলাম خطأ -এর অর্থ কোন ব্যক্তি কোন একটি কাজের ইচ্ছে করল ও তা করল কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কাজটি করার ইচ্ছে সে পোষণ করেনি এবং এটার দিকে উৎসুকও নয়। আর ★★ অর্থ হল কোন একটি কাজ করার কোন ব্যক্তি ইচ্ছে পোষণ করল এবং ইচ্ছার ভিত্তিতে সে কাজটি বাস্তবে রূপ দিল। তবে সে এমন লক্ষ্য বস্তুটি ভুলে গেল যেটা তাকে ঐ কাজ থেকে বিরত রাখত। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যখন কোন ব্যক্তি কাউকে নিজের স্ত্রী বলে ভুল করে এবং সে তার দিকে ইচ্ছে করে ও তাকে তালাক দেয়, তাহলে উলামায়ে কিরামের সকলে একমত যে, তার তালাকটি কার্যকর হবে। ভুলের জন্যে তারা তালাক-কে বাতিল মনে করেনা। আর তার এ ভুলটি মার্জনীয় ভুলেরও অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা মার্জনীয় ভুলের মধ্যে তালাক, শপথ ও গোলাম মুক্তির কিছুই অন্তর্ভুক্ত নয়। অনুরূপভাবে কোন কিছু করার জন্যে জোরপূর্বক বাধ্য করাও মার্জনীয় ভুলের অন্তর্ভুক্ত নয়। যারা তালাক, দাস মুক্তি ও শপথকে মার্জনীয় ভুলের মধ্যে গণ্য করেছেন এ আলোচনা দ্বারা তাদের ত্রুটি প্রমাণিত হয়।
প্রথমপক্ষতাদের মতামতের সপক্ষে নিম্নে বর্ণিত দলীলটি পেশ করেন, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত রয়েছেঃ
بَابُ طَلَاقِ الْمُكْرَهِ
4648 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: أَخْبَرَنَا الْأَوْزَاعِيُّ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَجَاوَزَ اللهُ لِي عَنْ أُمَّتِي , الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ , وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أُكْرِهَ عَلَى طَلَاقٍ , أَوْ نِكَاحٍ , أَوْ يَمِينٍ , أَوْ إِعْتَاقٍ , أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ حَتَّى فَعَلَهُ مُكْرَهًا , أَنَّ ذَلِكَ كُلَّهُ بَاطِلٌ , لِأَنَّهُ قَدْ دَخَلَ فِيمَا تَجَاوَزَ اللهُ فِيهِ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أُمَّتِهِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَلْزَمُهُ مَا حَلَفَ بِهِ فِي حَالِ الْإِكْرَاهِ , مِنْ يَمِينٍ , وَيَنْفُذُ عَلَيْهِ طَلَاقُهُ , وَعَتَاقُهُ , وَنِكَاحُهُ , وَمُرَاجَعَتُهُ لِزَوْجَتِهِ الْمُطَلَّقَةِ , إِنْ كَانَ رَاجَعَهَا. وَتَأَوَّلُوا فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَعْنًى غَيْرَ الْمَعْنَى الَّذِي تَأَوَّلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فَقَالُوا: إِنَّمَا ذَلِكَ فِي الشِّرْكِ خَاصَّةً , لِأَنَّ الْقَوْمَ كَانُوا حَدِيثِي عَهْدٍ بِكُفْرٍ , فِي دَارٍ كَانَتْ دَارَ كُفْرٍ , فَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا قَدَرُوا عَلَيْهِمْ , اسْتَكْرَهُوهُمْ عَلَى الْإِقْرَارِ بِالْكُفْرِ , فَيُقِرُّونَ بِذَلِكَ بِأَلْسِنَتِهِمْ , قَدْ فَعَلُوا ذَلِكَ بِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَبِغَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَرَضِيَ عَنْهُمْ , فَنَزَلَتْ فِيهِمْ {إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ} [النحل: 106] وَرُبَّمَا سَهْوًا , فَتَكَلَّمُوا بِمَا جَرَتْ عَلَيْهِ عَادَتُهُمْ قَبْلَ الْإِسْلَامِ , وَرُبَّمَا أَخْطَئُوا فَتَكَلَّمُوا بِذَلِكَ أَيْضًا , فَتَجَاوَزَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ عَنْ ذَلِكَ , لِأَنَّهُمْ غَيْرُ مُخْتَارِينَ لِذَلِكَ , وَلَا قَاصِدِينَ إِلَيْهِ. [ص:96] وَقَدْ ذَهَبَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ إِلَى هَذَا التَّفْسِيرِ أَيْضًا. حَدَّثَنَاهُ الْكَيْسَانِيُّ , عَنْ أَبِيهِ. فَالْحَدِيثُ يَحْتَمِلُ هَذَا الْمَعْنَى , وَيَحْتَمِلُ مَا قَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ , احْتَجْنَا إِلَى كَشْفِ مَعَانِيهِ , لِيَدُلَّنَا عَلَى أَحَدِ التَّأْوِيلَيْنِ، فَنَصْرِفُ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِلَيْهِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْخَطَأَ , هُوَ مَا أَرَادَ الرَّجُلُ غَيْرَهُ , فَفَعَلَهُ , لَا عَنْ قَصْدٍ مِنْهُ إِلَيْهِ , وَلَا إِرَادَةٍ مِنْهُ إِيَّاهُ , وَكَانَ السَّهْوُ مَا قَصَدَ إِلَيْهِ , فَفَعَلَهُ عَلَى الْقَصْدِ مِنْهُ إِلَيْهِ , عَلَى أَنَّهُ سَاهٍ عَنِ الْمَعْنَى الَّذِي يَمْنَعُهُ مِنْ ذَلِكَ الْفِعْلِ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا نَسِيَ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الْمَرْأَةُ لَهُ زَوْجَةً , فَقَصَدَ إِلَيْهَا , فَطَلَّقَهَا , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ طَلَاقَهُ عَامِلٌ وَلَمْ يُبْطِلُوا ذَلِكَ لِسَهْوِهِ , وَلَمْ يَدْخُلْ ذَلِكَ السَّهْوُ فِي السَّهْوِ الْمَعْفُوِّ عَنْهُ فَإِذَا كَانَ السَّهْوُ الْمَعْفُوُّ عَنْهُ , لَيْسَ فِيهِ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الطَّلَاقِ وَالْأَيْمَانِ , وَالْعَتَاقِ , كَانَ كَذَلِكَ الِاسْتِكْرَاهُ الْمَعْفُوُّ عَنْهُ , لَيْسَ فِيهِ أَيْضًا مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ فَثَبَتَ بِذَلِكَ , فَسَادُ قَوْلِ الَّذِينَ أَدْخَلُوا الطَّلَاقَ وَالْعَتَاقَ وَالْأَيْمَانَ فِي ذَلِكَ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَيْضًا لِقَوْلِهِمْ , بِمَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫০
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৪৯-৫০। ইউনুস (রাহঃ) ...... আলকামা ইবন ওয়াক্কাস আল-লাইসী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কে মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয়ই কর্মের ফলাফল বা শুদ্ধাশুদ্ধি নিয়তের উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে। নিশ্চয়ই ব্যক্তির জন্যে এটাই রয়ে যায় যা সে নিয়ত করে। অতঃপর যার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি হয়ে থাকে তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) এরই প্রতি হিসেবে গণ্য হবে। আর যার হিজরত পার্থিব সুখ-সম্পদের প্রতি হবে, যা সে পেতে চায় অথবা কোন নারীর প্রতি হবে, যাকে সে বিয়ে করতে চায়, এসব দিকে যদি সে হিজরত করে তার হিজরত তৎপ্রতিই গণ্য হবে।

ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. ইয়াহইয়া ইবন সায়ীদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
তারা আরো বলেন, “যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন । অর্থাৎ আমলের শুদ্ধাশুদ্ধি নিয়তের উপর নির্ভরশীল এতে প্রমাণিত হয় যে, তালাক, দাসমুক্তি ও অন্যান্য কাজ নিয়ত ব্যতীত কার্যকর হয়না। এ দলীলটি দ্বিতীয় পক্ষের জন্যও এ হিসেবে দলীল যে, তারা বলেন, “হাদীসের এ কথার দ্বারা বর্ণিত অর্থটি বুঝানো হয়নি, যা প্রথম পক্ষ ধারণা করেছেন, বরং এর দ্বারা ঐসব আমলকে বুঝানো হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায়। তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমলের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঐরূপ সওয়াব দেয়া হবে, যেরূপ সে নিয়ত করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যার হিজরত আল্লাহ্ ও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য হবে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্যই। আবার যার হিজরত পার্থিব সুখ-শান্তি অর্জন করার জন্যে কিংবা কোন নারীকে বিয়ে করার জন্য হয় তাহলে তার হিজরত তৎপ্রতিই গণ্য হবে।” এটা যেন একটি প্রশ্নের উত্তর। যেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছে মুহাজিরদের জন্যে হিজরতের মধ্যে কি রয়েছে? তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উত্তরে বলেন, নিশ্চয়ই আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। অতঃপর তিনি হাদীসের পরবর্তী কথাগুলো বলেছেন। এখানে তালাক, দাসমুক্তি, রাজায়াত ও শপথের ন্যায় কোন কাজে জবরদস্তির কথা উল্লেখ নেই। সুতরাং এ হাদীসটি দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে এবং প্রথম পক্ষের সপক্ষে দলীল হিসেবে গণ্য হতে পারেনা। দ্বিতীয় পক্ষ নিজেদের উল্লেখিত মতামতের সপক্ষে নিম্নবর্ণিত দলীলটিও পেশ করে থাকেনঃ
4649 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ , عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِي أَنَّهُ , سَمِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ , وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى , فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ , وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا , أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا , فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»

4650 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ» ثَبَتَ أَنَّ عَمَلًا لَا يَنْفُذُ مِنْ طَلَاقٍ , وَلَا عَتَاقٍ , وَلَا غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ مَعَهُ نِيَّةٌ فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْكَلَامَ لَمْ يُقْصَدْ بِهِ إِلَى الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرَهُ هَذَا الْمُخَالِفُ , وَإِنَّمَا قَصَدَ بِهِ إِلَى الْأَعْمَالِ الَّتِي يَجِبُ بِهَا الثَّوَابُ. أَلَا تَرَاهُ يَقُولُ «الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ , وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى» يُرِيدُ , مِنَ الثَّوَابِ ثُمَّ قَالَ: «فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ , فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ , وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا , فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ» فَذَلِكَ لَا يَكُونُ إِلَّا جَوَابًا لِسُؤَالٍ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَمَّا لِلْمُهَاجِرِ فِي عَمَلِهِ , أَيْ: فِي هِجْرَتِهِ فَقَالَ: «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ» حَتَّى أَتَى عَلَى الْكَلَامِ الَّذِي فِي الْحَدِيثِ وَلَيْسَ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِ الْإِكْرَاهِ عَلَى الطَّلَاقِ وَالْعَتَاقِ وَالرَّجْعَةِ وَالْأَيْمَانِ , فِي شَيْءٍ [ص:97] فَانْتَفَى هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ فِيهِ حُجَّةٌ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الَّتِي بَدَأْنَا بِذِكْرِهَا , عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الَّتِي ثَنَّيْنَا بِذِكْرِهَا وَكَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ لِقَوْلِهِمُ الَّذِي ذَكَرْنَا , مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৬৫০
empty
৪৬৫০।
4650 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫১
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৫১। ফাহাদ (রাহঃ) …… হুযাইফা ইবন আল-ইয়ামান হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “বদর যুদ্ধে আমার অংশ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যে বস্তুটি অন্তরায় হয়েছিল তা হলঃ আমি আমার পিতার সাথে বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে পড়লাম; কিন্তু কুরাইশের কাফিররা আমাদেরকে পাকড়াও করে ফেলল এবং জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি মুহাম্মাদ আল-আমীনের কাছে আগমন করছ? উত্তরে আমরা বললাম, আমরাতো শুধু মাত্র মদীনায় যাচ্ছি। তারা আমাদের থেকে ওয়াদা ও অঙ্গীকার নিল যে, আমরা যেন শুধু মাত্র মদীনায়ই আগমন করি এবং মুহাম্মাদ -এর সাথে মিলে যেন যুদ্ধ না করি। আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করলাম এবং তাঁকে এ সম্বন্ধে সংবাদ দিলাম। তিনি বললেন, “তোমরা এখান থেকে ফিরে যাও এবং তাদের সাথে সম্পাদিত ওয়াদা-অঙ্গীকার পূর্ণ কর। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্ তা'আলার কাছেই সাহায্যে প্রার্থনা করছি।”
4651 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أُسَامَةَ , عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ , قَالَ: ثنا أَبُو الطُّفَيْلِ , قَالَ: ثنا حُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ , قَالَ: مَا مَنَعَنِي أَنْ أَشْهَدَ بَدْرًا إِلَّا أَنِّي خَرَجْتُ أَنَا وَأَبِي , فَأَخَذَنَا كُفَّارُ قُرَيْشٍ , فَقَالُوا: إِنَّكُمْ تُرِيدُونَ مُحَمَّدًا فَقُلْنَا: مَا نُرِيدُ إِلَّا الْمَدِينَةَ فَأَخَذُوا مِنَّا عَهْدَ اللهِ وَمِيثَاقَهُ لَنَنْصَرِفَنَّ إِلَى الْمَدِينَةِ , وَلَا نُقَاتِلُ مَعَهُ , فَأَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْنَاهُ فَقَالَ: «انْصَرِفَا مِنَ الْوَفَاءِ , نَفِي - ضِدُّ الْغَدْرِ - لَهُمْ بِعُهُودِهِمْ , وَنَسْتَعِينُ اللهَ عَلَيْهِمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫২
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৫২। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ….. হুযাইফা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা হুসাইল এর সাথে মদীনার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলাম এবং আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করছিলাম। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
দ্বিতীয় পক্ষের আলিমগণ বলেন, কাফিরদের সাথে ওয়াদা অঙ্গীকার থাকায় এটাকে পূর্ণ করার জন্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের দুজনকে বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে অনুমতি দেননি। এতে প্রমাণিত হয় যে, সাধারণ আনুগত্যে কিংবা বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে শপথ করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। অনুরূপভাবে তালাক এবং দাসমুক্তির ক্ষেত্রে এ দুটি অবস্থার ক্ষেত্রে কোনই পার্থক্য নেই। কিছু সংখ্যক হাদীসে উল্লেখিত বিষয়াদির অর্থ সম্বন্ধে অবগত হওয়ার কারণে এ অবগতির মাধ্যমে যেসব হাদীসের বিষয়াদির অর্থ সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা নেই এগুলোকেও অবহিত অর্থের উপর গণ্য করা যতক্ষণ না এটা পারতপক্ষে প্রচলিত অর্থের বিপরীত না হয়, অতি উত্তম পদক্ষেপ। তাহলে হাদীসগুলোর মধ্যে আর বৈপরিত্য থাকবেনা। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসটি শিরক সম্পর্কে আর হুযাইফার হাদীসটি হচ্ছে তালাক, শপথ ও অনুরূপ বিষয়াদি সম্পর্কে।
চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হল নিম্নরূপঃ যাকে কোন কাজ করতে বাধ্য করা হয় তার কাজটি দুটি অবস্থার কোন একটি ব্যতীত হতে পারেনা। যাকে কাজটি করতে বাধ্য করা হয় সে যদি কাজটি সম্পাদন করে তাহলে সে এমন একটি ব্যক্তির পর্যায়ভুক্ত হয়, যেন সে কাজটিই করে নাই। সুতরাং তার উপর কোন দায়িত্ব বর্তাবে না কিংবা সে এমন একটির পর্যায়ভুক্ত যেন সে কাজটি করেছে। তাহলে তার উপর এমন দায়িত্ব কিংবা বস্তুটি বর্তাবে যা যাকে বাধ্য করানো হয়েছে তার উপর বর্তানোর কথা। আমরা এ ব্যাপারে আরো গবেষণার আশ্রয় নিলাম ও দেখতে পেলাম যে, উলামায়ে কিরাম এ মাসআলায় কোন মতভেদ করছেন না। মাসআলাটি হল কোন মহিলাকে যদি তার স্বামী জোরপূর্বক সঙ্গম করে আর সে রামাদান মাসের রোযাদার হয় কিংবা হজ্জযাত্রী হয় তাহলে তার হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে রোযাও বাতিল হয়ে যাবে। তারা এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার প্রতি কোন গুরুত্ব আরোপ করেননি। যদি করতেন তাহলে তারা সাধারণ আনুগত্য ও বাধ্যবাধকতার মধ্যে কোনরূপ পার্থক্য নির্দেশ করতেন। আর রমণীটিকে এমন ব্যক্তিরও অন্তর্ভুক্ত করেননি, যে কাজটি করেনি; বরং তাকে এমন ব্যক্তির পর্যায়ভুক্ত করেছেন, যে কাজটি করেছে এবং তার উপর হুকুম (ফলাফল) প্রতিফলিত হয়েছে, তবে এ ব্যাপারে তার থেকে বিশেষ করে পাপ ক্ষমা করা হয়েছে। অনুরূপভাবে যদি কাউকে কেউ কোন রমণীর সাথে সঙ্গম করতে বাধ্য করে এবং মহিলাকেও এ কাজে বাধ্য করা হয় তাহলে গবেষণায় বলে সঙ্গমকারীর উপর মাহরও আদায় ওয়াজিব হবে, বাধ্যকারীর উপরে নয়। আর সঙ্গমকারীও বাধ্যকারীর কাছে এ মাহর দাবি করতে পারবে না। কেননা বাধ্যকারী তো সঙ্গম করেনি। সঙ্গমের জন্যেই সঙ্গমকারীর উপর মাহর আদায় ওয়াজিব হয়। সুতরাং এ সঙ্গমের জন্যে যা ওয়াজিব হবে তা শুধু সঙ্গমকারীর উপরই ওয়াজিব হবে, অন্যের উপর নয়।
যখন এসব ক্ষেত্রে প্রমাণ হল যে, বাধ্যকৃত ব্যক্তির উপরই কর্তা হিসেবে দায়-দায়িত্ব বর্তায়, যেমন বর্তায় স্বেচ্ছাকর্মের ক্ষেত্রেও; ফলে বাধ্যকৃত ব্যক্তির উপর ঐ মালই ওয়াজিব করা হয়, যা স্বেচ্ছায় কর্মকারীর উপর ওয়াজিব করা হয়, তখন প্রমাণিত হল যে, বলপূর্বক তালাক প্রদানকারী এবং গোলাম আযাদকারী এবং রাজআতকারীর উপরও ‘কর্মসম্পাদক' হিসাবে দায় বর্তাবে, এবং তার কাজগুলো কার্যকর হবে।
যদি কেউ প্রশ্ন করেন, তাহলে তুমি বাধ্যকৃত ব্যক্তির বেচাকেনা ও ইজারাকে অনুমোদন করোনা কেন? উত্তরে তাকে বলা যায় যে, আমরা বেচাকেনা ও ইজারার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেছি যে, ক্রীত পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ হবার পর তা ফেরত দেয়া যায়, বেচাকেনায় দর্শনের ইখতিয়ার ও শর্তের ইখতিয়ার থাকতে পারে, কিন্তু নিকাহ, তালাক, রাজা'আত ও দাসমুক্তির ক্ষেত্রে এগুলো পাওয়া যায় না। শর্তাধীন ইখতিয়ার দর্শনহীন ত্রুটির জন্যে প্রত্যোবর্তনের ন্যায় কারণগুলোর মাধ্যমে যা ভঙ্গ হয়ে যায় বাধ্যবাধকতার দ্বারাও এটা ভঙ্গ হয়ে যায়। আর যা একবার প্রতিষ্ঠিত হবার পর কোন কারণে ভঙ্গ হয় না তা বাধ্যবাধকতা কিংবা অন্য কারণেও ভঙ্গ হয় না। এটাই ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। এ ব্যাপারে একটি হাদীসও আমরা খুঁজে পাই যেমনঃ
4652 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ , عَنِ الْوَلِيدِ , عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ , عَنْ حُذَيْفَةَ , قَالَ: خَرَجْتُ أَنَا وَأَبِي حُسَيْلٌ، وَنَحْنُ نُرِيدُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ. قَالُوا: فَلَمَّا مَنَعَهُمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حُضُورِ بَدْرٍ , لِاسْتِحْلَافِ الْمُشْرِكِينَ الْقَاهِرِينَ لَهُمَا , عَلَى مَا اسْتَحْلَفُوهُمَا عَلَيْهِ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْحَلِفَ عَلَى الطَّوَاعِيَةِ وَالْإِكْرَاهِ سَوَاءٌ , وَكَذَلِكَ الطَّلَاقُ وَالْعَتَاقُ وَهَذَا أَوْلَى مَا فُعِلَ فِي الْآثَارِ , إِذَا وُقِفَ عَلَى مَعَانِي بَعْضِهَا أَنْ يُحْمَلَ مَا بَقِيَ مِنْهَا عَلَى مَا لَا يُخَالِفُ ذَلِكَ الْمَعْنَى , مَتَى مَا قَدَرَ عَلَى ذَلِكَ , حَتَّى لَا تَضَادَّ فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي الشِّرْكِ , وَحَدِيثَ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الطَّلَاقِ وَالْأَيْمَانِ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ وَأَمَّا حُكْمُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّ فِعْلَ الرَّجُلِ مُكْرَهًا , لَا يَخْلُو مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ: إِمَّا أَنْ يَكُونَ الْمُكْرَهُ عَلَى ذَلِكَ الْفِعْلِ إِذَا فَعَلَهُ مُكْرَهًا , فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يَفْعَلْهُ , فَلَا يَجِبُ عَلَيْهِ شَيْءٌ أَوْ يَكُونَ فِي حُكْمِ مَنْ فَعَلَهُ , فَيَجِبُ عَلَيْهِ , مَا يَجِبُ عَلَيْهِ لَوْ فَعَلَهُ غَيْرَ مُسْتَكْرَهٍ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَرَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي الْمَرْأَةِ إِذَا أَكْرَهَهَا زَوْجُهَا وَهِيَ صَائِمَةٌ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ أَوْ حَاجَّةٌ , فَجَامَعَهَا , أَنَّ حَجَّهَا يَبْطُلُ , وَكَذَلِكَ صَوْمُهَا وَلَمْ يُرَاعُوا فِي ذَلِكَ الِاسْتِكْرَاهِ , فَيُفَرِّقُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطَّوَاعِيَةِ , وَلَا جُعِلَتِ الْمَرْأَةُ فِيهِ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يَفْعَلْ شَيْئًا , بَلْ قَدْ جُعِلَتْ فِي حُكْمِ مَنْ قَدْ فَعَلَ فِعْلًا يَجِبُ عَلَيْهِ الْحُكْمُ , وَرُفِعَ عَنْهَا الْإِثْمُ فِي ذَلِكَ خَاصَّةً وَكَذَلِكَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا أَكْرَهَ رَجُلًا عَلَى جِمَاعِ امْرَأَةٍ اضْطُرَّتْ إِلَى ذَلِكَ , كَانَ الْمَهْرُ , فِي النَّظَرِ , عَلَى الْمُجَامِعِ , لَا عَلَى الْمُكْرَهِ , وَلَا يَرْجِعُ بِهِ الْمُجَامِعُ عَلَى الْمُكْرَهِ , لِأَنَّ الْمُكْرَهَ لَمْ يُجَامِعْ , فَيَجِبُ عَلَيْهِ بِجِمَاعِهِ مَهْرٌ , وَمَا يَجِبُ فِي ذَلِكَ الْجِمَاعِ , فَهُوَ عَلَى الْمُجَامِعِ , لَا عَلَى غَيْرِهِ. فَلَمَّا ثَبَتَ فِي هَذِهِ الْأَشْيَاءِ أَنَّ الْمُكْرَهَ عَلَيْهَا مَحْكُومٌ عَلَيْهِ بِحُكْمِ الْفَاعِلِ كَذَلِكَ فِي الطَّوَاعِيَةِ , فَيُوجِبُونَ عَلَيْهِ فِيهَا مِنَ الْأَمْوَالِ , مَا يَجِبُ عَلَى الْفَاعِلِ لَهَا فِي الطَّوَاعِيَةِ , ثَبَتَ أَنَّهُ كَذَلِكَ الْمُطَلِّقُ وَالْمُعْتِقُ وَالْمُرَاجِعُ فِي الِاسْتِكْرَاهِ , يُحْكَمُ عَلَيْهِ بِحُكْمِ الْفَاعِلِ , فَيَلْزَمُ أَفْعَالَهُ كُلَّهَا. [ص:98] فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَلِمَ لَا أَجَزْتَ بَيْعَهُ وَإِجَارَتَهُ؟ قِيلَ لَهُ: إِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْبُيُوعَ وَالْإِجَارَاتِ , قَدْ تُرَدُّ بِالْعُيُوبِ وَبِخِيَارِ الرُّؤْيَةِ , وَبِخِيَارِ الشَّرْطِ , وَلَيْسَ النِّكَاحُ كَذَلِكَ , وَلَا الطَّلَاقُ وَلَا الْمُرَاجَعَةُ وَلَا الْعِتْقُ. فَمَا كَانَ قَدْ تُنْقَضُ بِالْخِيَارِ لِلشُّرُوطِ فِيهِ وَبِالْأَسْبَابِ الَّتِي فِي أَصْلِهِ مِنْ عَدَمِ الرُّؤْيَةِ وَالرَّدِّ بِالْعُيُوبِ , نُقِضَ بِالْإِكْرَاهِ , وَمَا لَا يَجِبُ نَقْضُهُ بِشَيْءٍ بَعْدَ ثُبُوتِهِ , لَمْ يُنْقَضْ بِإِكْرَاهٍ وَلَا بِغَيْرِهِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ، وَقَدْ رَأَيْنَا مِثْلَ هَذَا قَدْ جَاءَتْ بِهِ السُّنَّةُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫৫
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৫৩-৫৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… ইউসুফ ইবন মাহিক (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ “তিনটি বস্তু এমন রয়েছে যে, যার অর্থপূর্ণ বাক্যালাপও প্রকৃত বাক্যালাপ আর অর্থহীন বাক্যালাপও প্রকৃত বাক্যালাপ হিসেবে গণ্য। তা হচ্ছে নিকাহ, তালাক ও রাজা'আত।”

নসর ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আবু হুরাইরা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু হুরাইরা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন বলেছেন যে, তিনটি বস্তু রহস্য ও উপহাসচ্ছলে বললেও প্রকৃত বলে ধরে নেয়া হয় তখন নিকাহ কার্যকর হওয়ার পর বাতিল হওয়ার যোগ্য নয। অনুরূপভাবে তালাক ও রাজাআত কার্যকর হওয়ার পর বাতিল হওয়ার অযোগ্য। তবে বেচাকেনাকে এ অর্থে ব্যবহার করা যায় না, বরং তার বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই যদি কেউ কোন বস্তু ঠাট্টাচ্ছলে বিক্রি করে, এ বিক্রি বাতিল বলে গণ্য হবে। অনুরূপভাবে যদি কেউ কোন বস্তু ঠাট্টাচ্ছলে ইজারা প্রদান করে, এ ইজারা বাতিল বলে গণ্য হবে। আমাদের মতে এটা শুদ্ধ বলে গণ্য হবেনা। আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত। কেননা বেচাকেনা ও ইজারা এমন বস্তুর অন্তর্গত, যা উপরোক্ত কারণগুলো দ্বারা ভঙ্গ হয়ে যায়। সুতরাং অর্থহীন বাক্যালাপের দরুন এগুলো ভঙ্গ হয়ে যায়, যেমন অন্যান্য কারণে ভঙ্গ হয়ে যায়। কিন্তু অন্যান্য বস্তু যেমন তালাক, দাসমুক্তি ও রাজাআত, এগুলো কোন বস্তু দ্বারা বাতিল হয়ে যায় না। তাই অর্থহীন বাক্যালাপের দরুনও এগুলো বাতিলযোগ্য নয়। অনুরূপভাবে গবেষণায়ও দেখা যায় উপরোক্ত কারণগুলো দ্বারা যা ভঙ্গ হয়ে যায় তা কিন্তু বাধ্যবাধকতার দ্বারাও ভঙ্গ হয়ে যায় এবং উপরোক্ত কারণগুলো দ্বারা যা ভঙ্গ হয় না তা বাধ্যবাধকতার দ্বারাও ভঙ্গ হয় না। হযরত উমার ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) হতেও এরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়ঃ
4653 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْوُحَاظِيُّ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَرْدَكَ أَنَّهُ سَمِعَ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ يَقُولُ: أَخْبَرَنِي يُوسُفُ بْنُ مَاهَكَ أَنَّهُ , سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ , وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ , النِّكَاحُ , وَالطَّلَاقُ , وَالرَّجْعَةُ» .

4654 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , وَأَسَدٌ , قَالَا: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ أَرْدَكَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ , عَنِ ابْنِ مَاهَكَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.

4655 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي كَثِيرٍ الْأَنْصَارِيُّ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَرْدَكَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ , عَنِ ابْنِ مَاهَكَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٍّ» فَمَنَعَ النِّكَاحَ مِنَ الْبُطْلَانِ بَعْدَ وُقُوعِهِ , وَكَذَلِكَ الطَّلَاقُ وَالْمُرَاجَعَةُ وَلَمْ نَرَ الْبُيُوعَ حُمِلَتْ عَلَى ذَلِكَ الْمَعْنَى , بَلْ حُمِلَتْ عَلَى ضِدِّهِ , فَجُعِلَ مَنْ بَاعَ لَاعِبًا , كَانَ بَيْعُهُ بَاطِلًا , وَكَذَلِكَ مَنْ أَجَرَ لَاعِبًا , كَانَتْ إِجَارَتُهُ بَاطِلَةً. فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ - عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ - إِلَّا لِأَنَّ الْبُيُوعَ وَالْإِجَارَاتِ , مِمَّا يُنْقَضُ بِالْأَسْبَابِ الَّتِي ذَكَرْنَا , فَنُقِضَتْ بِالْهَزْلِ , كَمَا نُقِضَتْ بِذَلِكَ. وَكَانَتِ الْأَشْيَاءُ الْأُخَرُ مِنَ الطَّلَاقِ وَالْعَتَاقِ وَالرَّجْعَةِ , لَا يَبْطُلُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ , فَجُعِلَتْ غَيْرَ مَرْدُودٍ بِالْهَزْلِ. فَكَذَلِكَ أَيْضًا فِي النَّظَرِ , مَا كَانَ يُنْقَضُ بِالْأَسْبَابِ الَّتِي ذَكَرْنَا , نُقِضَ بِالْإِكْرَاهِ , وَمَا كَانَ لَا يُنْقَضُ بِتِلْكَ الْأَسْبَابِ , لَمْ يُنْقَضْ بِالْإِكْرَاهِ. [ص:99] وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫৬
৮. বাধ্যকৃত ব্যক্তির দেয়া তালাক
৪৬৫৬। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আবু সিনান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি উমার ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, মাদকাসক্ত ও যাকে বাধ্য করা হয়েছে তাদের তালাক বৈধ।
4656 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَلَّافُ , قَالَ: ثنا ابْنُ سَوَاءٍ , قَالَ: ثنا أَبُو سِنَانٍ , قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ: «طَلَاقُ السَّكْرَانِ وَالْمُكْرَهِ جَائِزٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান