শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৫৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০১
৬. দাসী যদি স্বাধীন হয়ে যায় আর তার স্বামী স্বাধীন তাহলে আযাদপ্রাপ্তা মহিলার বিয়ে ভঙ্গের ব্যাপারে কোন ইখতিয়ার থাকবে কিনা?
৪৫৯৯-০১। আবু বিশর আর-রাকী (রাহঃ) ….. আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, দাসী বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন স্বাধীন। যখন বারীরা (রাযিঃ) আযাদ হয়ে যান রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে ইখতিয়ার প্রদান করেন, তখন বারীরা (রাহঃ) তার নিজকে গ্রহণ করেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ হাদীসটির পক্ষ অবলম্বন করেন। তাই তারা মুক্তিপ্রাপ্তা মহিলাকে ইখতিয়ার দিয়ে থাকেন, তার স্বামী স্বাধীন হােক কিংবা গােলাম। অন্য একদল আলিম তাদের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, যদি তার স্বামী গােলাম হয় তাহলে তার জন্য ইখতিয়ার আছে, আর যদি স্বাধীন হয় তাহলে তার জন্য কোন ইখতিয়ার নেই। তারা আরাে বলেন যে, বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন গােলাম। আর এ সম্পর্কে তারা দুটো হাদীস উল্লেখ করেন, যা নিম্নরূপঃ
আহমাদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাবীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন গােলাম। যদি সে স্বাধীন হত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দিতেন না। আহমাদ (রাহঃ) অন্য এক সনদে আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন বারীরা (রাযিঃ) কে আযাদ করা হয় তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার প্রদান করেন। আর তার স্বামী ছিলেন। গােলাম।
উপরােক্ত উলামায়ে কিরাম বলেনঃ ইনিই হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) যিনি খবর দিচ্ছেন যে, বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন গােলাম । আর এটা হল পূর্বে বর্ণিত আয়েশা সিদ্দীকার বর্ণনার বিপরীত। অতঃপর আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) আবার বলেন, যদি সে স্বাধীন হত তাহলে বারীরা (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইখতিয়ার প্রদান করতেন না। এ উলামায়ে কিরামকে বলা যায় যে, এটা কেমন কথা? তবে এটা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর কথাও হতে পারে, আবার এটা উরওয়া (রাযিঃ)-এর কথাও হতে পারে। এ অভিমতের প্রবক্তাগণ বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী গােলাম ছিলেন উক্তিটির পক্ষে নিম্ন বর্ণিত দলীল পেশ করেনঃ
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ হাদীসটির পক্ষ অবলম্বন করেন। তাই তারা মুক্তিপ্রাপ্তা মহিলাকে ইখতিয়ার দিয়ে থাকেন, তার স্বামী স্বাধীন হােক কিংবা গােলাম। অন্য একদল আলিম তাদের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, যদি তার স্বামী গােলাম হয় তাহলে তার জন্য ইখতিয়ার আছে, আর যদি স্বাধীন হয় তাহলে তার জন্য কোন ইখতিয়ার নেই। তারা আরাে বলেন যে, বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন গােলাম। আর এ সম্পর্কে তারা দুটো হাদীস উল্লেখ করেন, যা নিম্নরূপঃ
আহমাদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাবীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন গােলাম। যদি সে স্বাধীন হত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দিতেন না। আহমাদ (রাহঃ) অন্য এক সনদে আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন বারীরা (রাযিঃ) কে আযাদ করা হয় তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার প্রদান করেন। আর তার স্বামী ছিলেন। গােলাম।
উপরােক্ত উলামায়ে কিরাম বলেনঃ ইনিই হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) যিনি খবর দিচ্ছেন যে, বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী ছিলেন গােলাম । আর এটা হল পূর্বে বর্ণিত আয়েশা সিদ্দীকার বর্ণনার বিপরীত। অতঃপর আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) আবার বলেন, যদি সে স্বাধীন হত তাহলে বারীরা (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইখতিয়ার প্রদান করতেন না। এ উলামায়ে কিরামকে বলা যায় যে, এটা কেমন কথা? তবে এটা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর কথাও হতে পারে, আবার এটা উরওয়া (রাযিঃ)-এর কথাও হতে পারে। এ অভিমতের প্রবক্তাগণ বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী গােলাম ছিলেন উক্তিটির পক্ষে নিম্ন বর্ণিত দলীল পেশ করেনঃ
بَابُ الْأَمَةِ تَعْتِقُ وَزَوْجُهَا حُرٌّ , هَلْ لَهَا خِيَارٌ أَمْ لَا؟
4599 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ حُرًّا , فَلَمَّا أُعْتِقَتْ , خَيَّرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَجَعَلُوا لِلْمُعْتَقَةِ الْخِيَارَ , حُرًّا كَانَ زَوْجُهَا أَوْ عَبْدًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ وَقَالُوا: إِنْ كَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا , فَلَهَا الْخِيَارُ , وَإِنْ كَانَ حُرًّا , فَلَا خِيَارَ لَهَا. وَقَالُوا: إِنَّمَا كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ عَبْدًا. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا
4600 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ , قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ عَبْدًا , وَلَوْ كَانَ حُرًّا , لَمْ يُخَيِّرْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
4601 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدِ , وَابْنُ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ الْأَعْمَشُ: عَنْ عَائِشَةَ , «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أُعْتِقَتْ بَرِيرَةُ خَيَّرَهَا , وَكَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا» . قَالُوا: فَهَذِهِ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا تُخْبِرُ أَنَّ زَوْجَ بَرِيرَةَ كَانَ عَبْدًا , فَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَيْتُمُوهُ عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْهَا. ثُمَّ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا: لَوْ كَانَ حُرًّا لَمْ يُخَيِّرْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قِيلَ لَهُمْ: أَمَّا هَذَا الْحَرْفُ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِنْ كَلَامِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِنْ كَلَامِ عُرْوَةَ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , فِي تَثْبِيتِ مَا رَوَوْهُ فِي زَوْجِ بَرِيرَةَ أَنَّهُ كَانَ عَبْدًا بِمَا
4600 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ , قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ عَبْدًا , وَلَوْ كَانَ حُرًّا , لَمْ يُخَيِّرْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
4601 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدِ , وَابْنُ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ الْأَعْمَشُ: عَنْ عَائِشَةَ , «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أُعْتِقَتْ بَرِيرَةُ خَيَّرَهَا , وَكَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا» . قَالُوا: فَهَذِهِ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا تُخْبِرُ أَنَّ زَوْجَ بَرِيرَةَ كَانَ عَبْدًا , فَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَيْتُمُوهُ عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْهَا. ثُمَّ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا: لَوْ كَانَ حُرًّا لَمْ يُخَيِّرْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قِيلَ لَهُمْ: أَمَّا هَذَا الْحَرْفُ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِنْ كَلَامِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِنْ كَلَامِ عُرْوَةَ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , فِي تَثْبِيتِ مَا رَوَوْهُ فِي زَوْجِ بَرِيرَةَ أَنَّهُ كَانَ عَبْدًا بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬০০
empty
৪৬০০।
4600 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬০২
৬. দাসী যদি স্বাধীন হয়ে যায় আর তার স্বামী স্বাধীন তাহলে আযাদপ্রাপ্তা মহিলার বিয়ে ভঙ্গের ব্যাপারে কোন ইখতিয়ার থাকবে কিনা?
৪৬০২। আলী ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী হাবশী গােলাম ছিলেন। আর তাঁর নাম ছিল মুগীস। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ)-কে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন এবং বারীরা (রাযিঃ) কে ইদ্দত পালন করার আদেশ দিয়েছিলেন।”
4602 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا عَفَّانَ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: ثنا قَتَادَةُ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ زَوْجَ بَرِيرَةَ كَانَ عَبْدًا أَسْوَدَ , يُسَمَّى مُغِيثًا , فَخَيَّرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬০৩
৬. দাসী যদি স্বাধীন হয়ে যায় আর তার স্বামী স্বাধীন তাহলে আযাদপ্রাপ্তা মহিলার বিয়ে ভঙ্গের ব্যাপারে কোন ইখতিয়ার থাকবে কিনা?
৪৬০৩। সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “যখন বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দেয়া হল তখন তার স্বামীকে আমরা দেখেছি মদীনার গলিতে বারীরা (রাযিঃ)-এর পিছনে পিছনে হাটছিল এবং চোখের পানি তার দাড়ি বেয়ে পড়ছিল। তার পক্ষ হয়ে হযরত আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাথে কথা বললেন, যেন তাকে বারীরা (রাযিঃ)-এর কাছে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করেন। তাই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ)-কে বললেন, “তােমার স্বামী এবং সন্তানের পিতা (তাকে বরণ করে নাও)” বারীরা (রাযিঃ) বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি আমাকে হুকুম করছেন?’ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, “না, আমি সুপারিশ করছি।” বারীরা (রাযিঃ) বললেন, যদি আপনি আমার কাছে তার সম্বন্ধে সুপারিশ পেশ করেন তাহলে তার প্রতি আমার কোন প্রয়ােজন নেই। এভাবে তিনি তাঁর নিজেকে পছন্দ করে নিলেন। তাঁর স্বামীর নাম ছিল মুগীস। বনু মাখযূম গােত্রের মুগীরা বংশের গােলাম ছিলেন।
উলামায়ে কিরাম বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, কেননা তার স্বামী ছিলেন গােলাম। আর এ হাদীসটি প্রথমােক্ত অভিমত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে গণ্য। একটি হাদীস অপরটির বিপরীত বর্ণিত হয়েছে। এরূপ হাদীস যদি দেখতে পাওয়া যায় তাহলে এগুলােকে এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যেন এদের মধ্যে বৈপরিজ না থাকে। এগুলােকে বিপরীত ও পরস্পর বিরােধী হিসেবে গণ্য করা যাবে না। আর এ দু’হাদীসের বর্ণনাকারীগণ আমাদের মতে সত্য ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, এমনকি তাদের মধ্যে কোন প্রকার সন্দেহ পােষণ করারও অবকাশ নেই। আমাদের উল্লেখিত তত্ত্বটি প্রমাণিত করার পর আমরা বলতে পারি যে, তার সম্বন্ধে একবার বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন গােলাম, আবার বলা হয়েছে তিনি ছিলেন স্বাধীন। তাই বলা যায় তিনি এক অবস্থায় ছিলেন গােলাম আবার অন্য অবস্থায় ছিলেন স্বাধীন। তাতে আরাে প্রমাণিত হয় যে, একটি অবস্থা অন্য একটি অবস্থার পরে দেখা দিয়েছে, আর দাসত্বের পরই আসে স্বাধীনতা, স্বাধীনতার পরে দাসত্ব সাধারণত আসেনা। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা দাসত্বের অবস্থাকে অগ্রগামী এবং স্বাধীনতার অবস্থাকে পশ্চাতগামী মনে করতে পারি। তাই প্রমাণিত হল, যে সময় বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছিল সে সময় তার স্বামী ছিলেন স্বাধীন, যদিও তিনি এর পূর্বে গােলাম ছিলেন। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদীসসমূহে বর্ণনা পাওয়া যায়। আমাদের কাছে যতগুলাে বর্ণনা এসেছে এগুলাে যদি এ কথার উপর ঐক্যমত পােষণ করত যে, তিনি গােলাম ছিলেন তাহলে স্বাধীন হলে যা কিছু নিষেধ ছিল তা নিষেধ হতনা। আর হুকুমও অন্য রকম হত। কেননা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণিত নেই যে, তিনি বলেছেন إنما خيرتها لان زوجها عبد অর্থাৎ আমি বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দিয়েছি, কেননা তার স্বামী ছিল গােলাম ! যদি এরকম হত তাহলে বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী স্বাধীন হলে বারীরা (রাযিঃ)-এর জন্যে ইখতিয়ার দেয়া হতনা। কিন্তু এ ধরনের কিছু বক্তব্য আসেনি। শুধু এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন এবং তার স্বামী ছিল গােলাম। আমরা এটা নিয়ে গবেষণা করলাম যে, স্বাধীন এবং গােলামের হুকুমের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা? এরপর আরাে গবেষণা করলাম, তখন দেখতে পেলাম যে, দাসী তার দাসত্বকালে তার প্রভুর উপর নির্ভরশীল। তিনি তাকে স্বাধীন ব্যক্তির সাথে কিংবা গােলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হতে অনুমতি দেবেন। আমরা এটাও লক্ষ্য করলাম যে, তার মুক্তির পর প্রভুর কোন অধিকার নেই যে, দাসীর বিবাহ বন্ধনকে স্বাধীন কিংবা গােলামের সাথে নবায়ন করতে পারে। আসলে গােলাম ও স্বাধীন স্বামীদের ক্ষেত্রে প্রভুর অধিকার থাকুক বা না থাকুক তাতে কিছু আসে যায় না। এজন্যই আমরা লক্ষ্য করছি যে, গােলামের সাথে প্রভু কর্তৃক দাসীকে বিয়ে দেয়ার পর যদি তাকে আযাদ করে দেয়া হয় তাহলে নিকাহ্ বাতিল করার ব্যাপারে তার ইখতিয়ার অর্জিত হয়। অনুরূপভাবে স্বাধীনের সাথে বিয়ে দেয়ার পর যদি তাকে আযাদ করে দেয়া হয় তাহলে বর্ণিত কারণ অনুসরণে সে তার নিকাহ্ বাতিল করার অধিকার অর্জন করে। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। এ সম্পর্কেও হাদীস পাওয়া যায়, যা নিম্নে বর্ণনা হলঃ
উলামায়ে কিরাম বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন, কেননা তার স্বামী ছিলেন গােলাম। আর এ হাদীসটি প্রথমােক্ত অভিমত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে গণ্য। একটি হাদীস অপরটির বিপরীত বর্ণিত হয়েছে। এরূপ হাদীস যদি দেখতে পাওয়া যায় তাহলে এগুলােকে এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যেন এদের মধ্যে বৈপরিজ না থাকে। এগুলােকে বিপরীত ও পরস্পর বিরােধী হিসেবে গণ্য করা যাবে না। আর এ দু’হাদীসের বর্ণনাকারীগণ আমাদের মতে সত্য ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, এমনকি তাদের মধ্যে কোন প্রকার সন্দেহ পােষণ করারও অবকাশ নেই। আমাদের উল্লেখিত তত্ত্বটি প্রমাণিত করার পর আমরা বলতে পারি যে, তার সম্বন্ধে একবার বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন গােলাম, আবার বলা হয়েছে তিনি ছিলেন স্বাধীন। তাই বলা যায় তিনি এক অবস্থায় ছিলেন গােলাম আবার অন্য অবস্থায় ছিলেন স্বাধীন। তাতে আরাে প্রমাণিত হয় যে, একটি অবস্থা অন্য একটি অবস্থার পরে দেখা দিয়েছে, আর দাসত্বের পরই আসে স্বাধীনতা, স্বাধীনতার পরে দাসত্ব সাধারণত আসেনা। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা দাসত্বের অবস্থাকে অগ্রগামী এবং স্বাধীনতার অবস্থাকে পশ্চাতগামী মনে করতে পারি। তাই প্রমাণিত হল, যে সময় বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছিল সে সময় তার স্বামী ছিলেন স্বাধীন, যদিও তিনি এর পূর্বে গােলাম ছিলেন। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদীসসমূহে বর্ণনা পাওয়া যায়। আমাদের কাছে যতগুলাে বর্ণনা এসেছে এগুলাে যদি এ কথার উপর ঐক্যমত পােষণ করত যে, তিনি গােলাম ছিলেন তাহলে স্বাধীন হলে যা কিছু নিষেধ ছিল তা নিষেধ হতনা। আর হুকুমও অন্য রকম হত। কেননা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণিত নেই যে, তিনি বলেছেন إنما خيرتها لان زوجها عبد অর্থাৎ আমি বারীরা (রাযিঃ) কে ইখতিয়ার দিয়েছি, কেননা তার স্বামী ছিল গােলাম ! যদি এরকম হত তাহলে বারীরা (রাযিঃ)-এর স্বামী স্বাধীন হলে বারীরা (রাযিঃ)-এর জন্যে ইখতিয়ার দেয়া হতনা। কিন্তু এ ধরনের কিছু বক্তব্য আসেনি। শুধু এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন এবং তার স্বামী ছিল গােলাম। আমরা এটা নিয়ে গবেষণা করলাম যে, স্বাধীন এবং গােলামের হুকুমের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা? এরপর আরাে গবেষণা করলাম, তখন দেখতে পেলাম যে, দাসী তার দাসত্বকালে তার প্রভুর উপর নির্ভরশীল। তিনি তাকে স্বাধীন ব্যক্তির সাথে কিংবা গােলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হতে অনুমতি দেবেন। আমরা এটাও লক্ষ্য করলাম যে, তার মুক্তির পর প্রভুর কোন অধিকার নেই যে, দাসীর বিবাহ বন্ধনকে স্বাধীন কিংবা গােলামের সাথে নবায়ন করতে পারে। আসলে গােলাম ও স্বাধীন স্বামীদের ক্ষেত্রে প্রভুর অধিকার থাকুক বা না থাকুক তাতে কিছু আসে যায় না। এজন্যই আমরা লক্ষ্য করছি যে, গােলামের সাথে প্রভু কর্তৃক দাসীকে বিয়ে দেয়ার পর যদি তাকে আযাদ করে দেয়া হয় তাহলে নিকাহ্ বাতিল করার ব্যাপারে তার ইখতিয়ার অর্জিত হয়। অনুরূপভাবে স্বাধীনের সাথে বিয়ে দেয়ার পর যদি তাকে আযাদ করে দেয়া হয় তাহলে বর্ণিত কারণ অনুসরণে সে তার নিকাহ্ বাতিল করার অধিকার অর্জন করে। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। এ সম্পর্কেও হাদীস পাওয়া যায়, যা নিম্নে বর্ণনা হলঃ
4603 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ , عَنْ عِكْرِمَةَ , " عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: لَمَّا خُيِّرَتْ بَرِيرَةُ رَأَيْنَا زَوْجَهَا يَتْبَعُهَا فِي سِكَكِ الْمَدِينَةِ وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ عَلَى لِحْيَتِهِ. [ص:83] فَكَلَّمَ لَهُ الْعَبَّاسُ , النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنْ يَطْلُبَ إِلَيْهَا , فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " زَوْجُكِ وَأَبُو وَلَدِكِ؟ فَقَالَتْ: أَتَأْمُرُنِي بِهِ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا أَنَا شَافِعٌ» قَالَتْ: إِنْ كُنْتَ شَافِعًا , فَلَا حَاجَةَ لِي فِيهِ , وَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا , وَكَانَ يُقَالُ لَهُ مُغِيثٌ , وَكَانَ عَبْدًا لِآلِ الْمُغِيرَةِ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ " قَالُوا: فَإِنَّمَا خَيَّرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِنْ أَجْلِ أَنَّ زَوْجَهَا كَانَ عَبْدًا. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ أَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا - إِذَا جَاءَتِ الْآثَارُ هَكَذَا , فَوَجَدْنَا السَّبِيلَ إِلَى أَنْ نَحْمِلَهَا عَلَى غَيْرِ طَرِيقِ التَّضَادِّ - أَنْ نَحْمِلَهَا عَلَى ذَلِكَ , وَلَا نَحْمِلُهَا عَلَى التَّضَادِّ وَالتَّكَاذُبِ , وَيَكُونُ حَالُ رُوَاتِهَا - عِنْدَنَا - عَلَى الصِّدْقِ وَالْعَدَالَةِ فِيمَا رَوَوْا , حَتَّى لَا نَجِدَ بُدًّا مِنْ أَنْ نَحْمِلَهَا عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ - وَكَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ قَدْ قِيلَ فِيهِ: إِنَّهُ كَانَ عَبْدًا , وَقِيلَ فِيهِ: إِنَّهُ كَانَ حُرًّا - جَعَلْنَاهُ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ عَبْدًا فِي حَالٍ , حُرًّا فِي حَالٍ أُخْرَى. فَثَبَتَ بِذَلِكَ تَأَخُّرُ إِحْدَى الْحَالَتَيْنِ عَنِ الْأُخْرَى فَكَانَ الرِّقُّ , قَدْ يَكُونُ بَعْدَهُ الْحُرِّيَّةُ , وَالْحُرِّيَّةُ لَا يَكُونُ بَعْدَهَا رِقٌّ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , جَعَلْنَا حَالَ الْعُبُودِيَّةِ مُتَقَدِّمَةً , وَحَالَ الْحُرِّيَّةِ مُتَأَخِّرَةً. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ حُرًّا فِي وَقْتِ مَا خُيِّرَتْ بَرِيرَةُ , عَبْدًا قَبْلَ ذَلِكَ , هَكَذَا تَصْحِيحُ الْآثَارِ فِي هَذَا الْبَابِ وَلَوِ اتَّفَقَتِ الرِّوَايَاتُ كُلُّهَا - عِنْدَنَا - عَلَى أَنَّهُ كَانَ عَبْدًا , لَمَا كَانَ فِي ذَلِكَ مَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ إِذَا كَانَ حُرًّا , زَالَ حُكْمُهُ عَنْ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَمْ يَجِئْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ «إِنَّمَا خَيَّرْتُهَا لِأَنَّ زَوْجَهَا عَبْدٌ» وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَانْتَفَى أَنْ يَكُونَ لَهَا خِيَارٌ إِذَا كَانَ زَوْجُهَا حُرًّا. فَلَمَّا لَمْ يَجِئْ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ , وَجَاءَ عَنْهُ أَنَّهُ خَيَّرَهَا , وَكَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا - نَظَرْنَا - هَلْ يَفْتَرِقُ فِي ذَلِكَ حُكْمُ الْحُرِّ وَحُكْمُ الْعَبْدِ؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْأَمَةَ فِي حَالِ رِقِّهَا لِمَوْلَاهَا , أَنْ يَعْقِدَ النِّكَاحَ عَلَيْهَا لِلْحُرِّ وَالْعَبْدِ , وَرَأَيْنَاهَا بَعْدَمَا تَعْتِقُ , لَيْسَ لَهُ أَنْ يَسْتَأْنِفَ عَلَيْهَا عَقْدَ نِكَاحٍ لِحُرٍّ وَلَا لِعَبْدٍ , فَاسْتَوَى حُكْمُ مَا إِلَى الْمَوْلَى فِي الْعَبِيدِ وَالْأَحْرَارِ وَمَا لَيْسَ إِلَيْهِ فِي الْعَبِيدِ وَالْأَحْرَارِ فِي ذَلِكَ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَرَأَيْنَاهَا إِذْ أُعْتِقَتْ بَعْدَ عَقْدِ مَوْلَاهَا نِكَاحَ الْعَبْدِ عَلَيْهَا يَكُونُ لَهَا الْخِيَارُ فِي حِلِّ النِّكَاحِ عَلَيْهَا , كَانَ كَذَلِكَ فِي الْحُرِّ , إِذَا أُعْتِقَتْ يَكُونُ لَهَا حِلُّ نِكَاحِهِ عَنْهَا , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا بَيَّنَّا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. [ص:84] وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০৫
৬. দাসী যদি স্বাধীন হয়ে যায় আর তার স্বামী স্বাধীন তাহলে আযাদপ্রাপ্তা মহিলার বিয়ে ভঙ্গের ব্যাপারে কোন ইখতিয়ার থাকবে কিনা?
৪৬০৪-০৫। ইউনুস (রাহঃ) ….. তাউস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, দাসী যখন মুক্ত হয়ে যায় তখন তার ইখতিয়ার অর্জিত হয়, যদিও তার বিয়ে কুরাইশ বংশের কারাে সাথে হয়ে থাকে।
৪২৫৯. ইবরাহীম (রাহঃ) ….. তাউস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আযাদকৃত দাসীর জন্যে গােলামের সাথে কিংবা স্বাধীনের সাথে বিয়ে হােক, নিকাহ বাতিল করার ইখতিয়ার অর্জিত হয়। তিনি আরাে বলেন, আল হাসান ইব্ন মুসলিম অনুরূপ আমাকে সংবাদ দিয়েছেন।
৪২৫৯. ইবরাহীম (রাহঃ) ….. তাউস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আযাদকৃত দাসীর জন্যে গােলামের সাথে কিংবা স্বাধীনের সাথে বিয়ে হােক, নিকাহ বাতিল করার ইখতিয়ার অর্জিত হয়। তিনি আরাে বলেন, আল হাসান ইব্ন মুসলিম অনুরূপ আমাকে সংবাদ দিয়েছেন।
4604 - عَنْ طَاوُسٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " لِلْأَمَةِ الْخِيَارُ إِذَا أُعْتِقَتْ , وَإِنْ كَانَتْ تَحْتَ قُرَشِيٍّ
4605 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ: «لَهَا الْخِيَارُ , يَعْنِي فِي الْعَبْدِ وَالْحُرِّ» . قَالَ: وَأَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ مِثْلَ ذَلِكَ
4605 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ: «لَهَا الْخِيَارُ , يَعْنِي فِي الْعَبْدِ وَالْحُرِّ» . قَالَ: وَأَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ مِثْلَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬০৫
empty
৪৬০৫।
4605 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান