শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৪৯৫
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৪৯৫। আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ কোন স্ত্রীলােককে তালাক দেয়ার পর তার জন্যে যে أقراء পালন করা ওয়াজিব হয় তার প্রকৃত অর্থ নিয়ে মতবিরােধ দেখা যায়। একদল আলিম বলেন, এটার অর্থ হল হায়য বা মহিলাদের ঋতুকাল এবং অন্য একদল বলেন, এটার অর্থ হল তুহুর বা পবিত্র কাল। যারা এটার অর্থ তুহুর বলছেন তাদের দলীল হলঃ আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ) যখন তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দেন হযরত উমার (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছিলেন, তাকে ‘রাজায়াত' করার নির্দেশ দাও। এরপর তাকে এভাবে রেখে দিতে বল, সে পবিত্র হবে, তারপর তাকে ইচ্ছে করলে তালাক দিবে। এটাই হল ইদ্দত, যার দিকে লক্ষ্য রেখে স্ত্রীলােকদেরকে তালাক দেয়ার জন্যে আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন। এই অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে এ দলীলটি সনদ সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা আরাে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে তুহুরের মধ্যে তালাক দিতে বলেছেন তাহলে এটাকেই তিনি ইদ্দত হিসেবে গণ্য করেছেন, অন্যটা নয়। তাকে হায়য অবস্থায় তালাক দিতে নিষেধ করেছেন। আর এটাকে ইদ্দত হিসেবেও গণ্য করেননি। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এখানে أقراء -এর অর্থ হচ্ছে أطهار বা তুহুর।
তাদের বিরুদ্ধে অন্যদের দলীল হল এই যে, এ হাদীসটি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। যেমন তারা বর্ণনা করেছেন। তবে তার থেকে অন্য একটি হাদীসও বর্ণনা করা হয়েছে যা এটার থেকে বেশী পরিপূর্ণ। আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) উমার (রাযিঃ)-কে বলেছেন, তিনি যেন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ)-কে রাজায়াত করার নির্দেশ দেন। অতঃপর সে তাকে অবসর দেবে যাতে সে পবিত্রতা অর্জন করে, পুনরায় ঋতুবতী হয় এবং পুনরায় পবিত্র হয়। অতঃপর সে তাকে ইচ্ছে করলে যেন তালাক দেয়। আর বললেন, এটাই ইদ্দত যার নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা দিয়েছেন যে, এটার দিকে লক্ষ্য রেখে তালাক দিতে হবে। এ হাদীসটিও সনদ সহকারে পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন তাকে যে হায়যে তালাক দেয়া হয়েছে তার পরের তহুরেও তালাক দিতে নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না সে পবিত্র হয় ও এটার পর আরাে একটি হায়য অতিক্রম করে। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,فتلك العدة التى امر الله ان تطلق لها ا لنساء দ্বারা যদি তুহুর বুঝানাে হয়ে থাকে তাহলে প্রথম হায়ত হতে পবিত্র হওয়ার পরই তালাক দেয়ার অনুমতি দেয়া হত এবং এর পরের একটি হায়যের অপেক্ষা করতে হত না। কেননা এটাতাে তহুর। সুতরাং তার জন্যে যখন এ তুহুরে তালাক দেয়া বৈধ নয়, বরং অন্য একটি তুহুর আসতে হবে এবং দুই তুহুরের মধ্যে একটি হায়যও অতিক্রান্ত হতে হবে।
এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, যে ইদ্দতটির নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা দিয়েছেন সেটার দিকে লক্ষ্য রেখে মহিলাদের তালাক দিতে হয় তা হচ্ছে এটা একটি সময় যখন মহিলাদেরকে তালাক দেয়া হয়, এটা এমন একটি ইদ্দত নয় যার জন্যে মহিলাদেরকে তালাক দেয়া হয় এবং তা পালন করাও মহিলাদের জন্যে ওয়াজিব হয়ে যায় । কেননা ইদ্দত বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। একটি ইদ্দত হল চার মাস দশদিন আর তা হল ঐ মহিলার জন্য যার স্বামী মারা যায়। আরেকটি হল তিন কুরূ'। আর তা হল ঐ মহিলার জন্য, যাকে তালাক দেয়া হয়েছে। আরেকটি হল সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত আর তা হল ঐ মহিলার জন্য যে গর্ভবতী। কাজেই দেখা যায় যে, ইদ্দত একটি নাম, যার বিভিন্ন অর্থ হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি পালনীয় বস্তুকে আলাদা করে ইদ্দতের নাম দেয়া হয়নি আর তা হতে হবে তিন কুরূ'। অনুরূপভাবে যে সময়ে তালাক দেয়া হয় সে সময়টিকে কুর' নাম দেয়ায় প্রমাণিত হয় না যে, এরূপ উপস্থাপিত তথ্যটি বিশুদ্ধ। এখানে যদি আমরা আরাে বিশদভাবে বর্ণনা রাখতে চাই তাহলে মুস্তাহাযার জন্যে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যা বলেছেন তা এখানে স্মরণ করতে হয়। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছিলেন دعي الصلوة أيام أقرائك অর্থাৎ তুমি হায়যের দিনগুলােতে সালাত হতে বিরত থাক। তাহলে আমরা এখানে বলতে পারি যে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) খােদ বলেছেন, اقراء এর অর্থ হায়য। আর এটা হবে উল্লেখিত সমর্থকদের জন্য একটি প্রমাণ। কিন্তু আমরা এখানে তা বলবনা, কেননা আরবগণ কোন কোন সময় হায়যকে কারা বলেন। আবার কোন কোন সময় তুহুরকেও কারা বলেন। পুনরায় কোন কোন সময় হায়য ও তুহুরকে একত্রিতভাবেও কারা বলেন।
এ সম্পর্কে মাহমুদ ইব্ন হাসসান আন-নাহবী (রাহঃ) ….. আবু আমর ইবনুল আলা হতে বর্ণনা করেন। এ বর্ণনাও অন্য একটি দলীল বলে প্রমাণিত হয়। তিনি বলেনঃ فتلك العدة التي أمر ال له عوجل أن تطلق لها النساء উমার (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আলসম্বােধন করে বলেনঃ এটা তার কাছে এ কথার জন্যে দলীল নয় যে,اقراء এর অর্থ اطهار কেননা,اقراء এর অর্থ হায়য বলে তার কাছ থেকে বর্ণিত হয়েছে। হযরত উমর (রাযিঃ)-এর এটা অভিমত হওয়ার পরও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন তাকে সম্বােধন করেছেন এতে পরবর্তীদের জন্যে একথার উপর দলীল হয়না যে, কারা’ এর অর্থ তুহুর। উমর (রাযিঃ)-এর এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসটি যথাস্থানে উল্লেখ করা হবে ইনশাআল্লাহ্।
যারা اقراء কে اطهار হিসেবে গণ্য করেন তাদের দলীলটি নিম্নরূপঃ
তাদের বিরুদ্ধে অন্যদের দলীল হল এই যে, এ হাদীসটি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। যেমন তারা বর্ণনা করেছেন। তবে তার থেকে অন্য একটি হাদীসও বর্ণনা করা হয়েছে যা এটার থেকে বেশী পরিপূর্ণ। আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) উমার (রাযিঃ)-কে বলেছেন, তিনি যেন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ)-কে রাজায়াত করার নির্দেশ দেন। অতঃপর সে তাকে অবসর দেবে যাতে সে পবিত্রতা অর্জন করে, পুনরায় ঋতুবতী হয় এবং পুনরায় পবিত্র হয়। অতঃপর সে তাকে ইচ্ছে করলে যেন তালাক দেয়। আর বললেন, এটাই ইদ্দত যার নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা দিয়েছেন যে, এটার দিকে লক্ষ্য রেখে তালাক দিতে হবে। এ হাদীসটিও সনদ সহকারে পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন তাকে যে হায়যে তালাক দেয়া হয়েছে তার পরের তহুরেও তালাক দিতে নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না সে পবিত্র হয় ও এটার পর আরাে একটি হায়য অতিক্রম করে। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,فتلك العدة التى امر الله ان تطلق لها ا لنساء দ্বারা যদি তুহুর বুঝানাে হয়ে থাকে তাহলে প্রথম হায়ত হতে পবিত্র হওয়ার পরই তালাক দেয়ার অনুমতি দেয়া হত এবং এর পরের একটি হায়যের অপেক্ষা করতে হত না। কেননা এটাতাে তহুর। সুতরাং তার জন্যে যখন এ তুহুরে তালাক দেয়া বৈধ নয়, বরং অন্য একটি তুহুর আসতে হবে এবং দুই তুহুরের মধ্যে একটি হায়যও অতিক্রান্ত হতে হবে।
এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, যে ইদ্দতটির নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা দিয়েছেন সেটার দিকে লক্ষ্য রেখে মহিলাদের তালাক দিতে হয় তা হচ্ছে এটা একটি সময় যখন মহিলাদেরকে তালাক দেয়া হয়, এটা এমন একটি ইদ্দত নয় যার জন্যে মহিলাদেরকে তালাক দেয়া হয় এবং তা পালন করাও মহিলাদের জন্যে ওয়াজিব হয়ে যায় । কেননা ইদ্দত বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। একটি ইদ্দত হল চার মাস দশদিন আর তা হল ঐ মহিলার জন্য যার স্বামী মারা যায়। আরেকটি হল তিন কুরূ'। আর তা হল ঐ মহিলার জন্য, যাকে তালাক দেয়া হয়েছে। আরেকটি হল সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত আর তা হল ঐ মহিলার জন্য যে গর্ভবতী। কাজেই দেখা যায় যে, ইদ্দত একটি নাম, যার বিভিন্ন অর্থ হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি পালনীয় বস্তুকে আলাদা করে ইদ্দতের নাম দেয়া হয়নি আর তা হতে হবে তিন কুরূ'। অনুরূপভাবে যে সময়ে তালাক দেয়া হয় সে সময়টিকে কুর' নাম দেয়ায় প্রমাণিত হয় না যে, এরূপ উপস্থাপিত তথ্যটি বিশুদ্ধ। এখানে যদি আমরা আরাে বিশদভাবে বর্ণনা রাখতে চাই তাহলে মুস্তাহাযার জন্যে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যা বলেছেন তা এখানে স্মরণ করতে হয়। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছিলেন دعي الصلوة أيام أقرائك অর্থাৎ তুমি হায়যের দিনগুলােতে সালাত হতে বিরত থাক। তাহলে আমরা এখানে বলতে পারি যে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) খােদ বলেছেন, اقراء এর অর্থ হায়য। আর এটা হবে উল্লেখিত সমর্থকদের জন্য একটি প্রমাণ। কিন্তু আমরা এখানে তা বলবনা, কেননা আরবগণ কোন কোন সময় হায়যকে কারা বলেন। আবার কোন কোন সময় তুহুরকেও কারা বলেন। পুনরায় কোন কোন সময় হায়য ও তুহুরকে একত্রিতভাবেও কারা বলেন।
এ সম্পর্কে মাহমুদ ইব্ন হাসসান আন-নাহবী (রাহঃ) ….. আবু আমর ইবনুল আলা হতে বর্ণনা করেন। এ বর্ণনাও অন্য একটি দলীল বলে প্রমাণিত হয়। তিনি বলেনঃ فتلك العدة التي أمر ال له عوجل أن تطلق لها النساء উমার (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আলসম্বােধন করে বলেনঃ এটা তার কাছে এ কথার জন্যে দলীল নয় যে,اقراء এর অর্থ اطهار কেননা,اقراء এর অর্থ হায়য বলে তার কাছ থেকে বর্ণিত হয়েছে। হযরত উমর (রাযিঃ)-এর এটা অভিমত হওয়ার পরও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন তাকে সম্বােধন করেছেন এতে পরবর্তীদের জন্যে একথার উপর দলীল হয়না যে, কারা’ এর অর্থ তুহুর। উমর (রাযিঃ)-এর এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসটি যথাস্থানে উল্লেখ করা হবে ইনশাআল্লাহ্।
যারা اقراء কে اطهار হিসেবে গণ্য করেন তাদের দলীলটি নিম্নরূপঃ
بَابُ الْأَقْرَاءِ
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي الْأَقْرَاءِ الَّتِي تَجِبُ عَلَى الْمَرْأَةِ إِذَا طُلِّقَتْ. فَقَالَ قَوْمٌ: هِيَ الْحَيْضُ , وَقَالَ آخَرُونَ: هِيَ الْأَطْهَارُ. فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا الْأَطْهَارُ , " قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ , حِينَ طَلَّقَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ:
«مُرْهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا , ثُمَّ يَتْرُكَهَا حَتَّى تَطْهُرَ , ثُمَّ لِيُطَلِّقْهَا إِنْ شَاءَ , فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ» . وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ
بِإِسْنَادِهِ فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ.
قَالُوا: فَلَمَّا أَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُطَلِّقَهَا فِي الطُّهْرِ , وَجَعَلَهُ الْعِدَّةَ دُونَهَا , وَنَهَاهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فِي الْحَيْضِ , وَأَخْرَجَهُ مِنْ أَنْ يَكُونَ عِدَّةً , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْأَقْرَاءَ هِيَ الْأَطْهَارُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِلْآخَرِينَ , أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , كَمَا ذَكَرُوا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مَا هُوَ أَتَمُّ مِنْ ذَلِكَ. فَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَمَرَ عُمَرَ أَنْ يَأْمُرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا ثُمَّ يُمْهِلَهَا , حَتَّى تَطْهُرَ , ثُمَّ تَحِيضَ , ثُمَّ تَطْهُرَ , ثُمَّ لِيُطَلِّقْهَا إِنْ شَاءَ , وَقَالَ: تِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ «. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ أَيْضًا بِإِسْنَادِهِ فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ. فَلَمَّا نَهَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ إِيقَاعِ الطَّلَاقِ فِي الطُّهْرِ الَّذِي بَعْدَ الْحَيْصَةِ , الَّتِي طَلَّقَ فِيهَا , حَتَّى يَكُونَ طُهْرٌ وَحَيْضَةٌ أُخْرَى بَعْدَهَا , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ كَانَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ» فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ الْأَطْهَارُ " إِذًا لَجَعَلَ لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا بَعْدَ طُهْرِهَا مِنْ هَذِهِ الْحَيْضَةِ , وَلَا يَنْتَظِرُ مَا بَعْدَهَا , لِأَنَّ ذَلِكَ طُهْرٌ. فَلَمَّا لَمْ يُبِحْ لَهُ الطَّلَاقَ فِي ذَلِكَ الطُّهْرِ حَتَّى يَكُونَ طُهْرًا آخَرَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ذَلِكَ الطُّهْرِ حَيْضَةٌ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ تِلْكَ الْعِدَّةَ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ , إِنَّمَا هِيَ وَقْتُ مَا تَطْلُقُ النِّسَاءُ , وَلَيْسَ لِأَنَّهَا عِدَّةٌ تَطْلُقُ لَهَا النِّسَاءُ يَجِبُ بِذَلِكَ أَنْ تَكُونَ هِيَ الْعِدَّةُ الَّتِي تَعْتَدُّ بِهَا النِّسَاءُ , لِأَنَّ الْعِدَّةَ مُخْتَلِفَةٌ. مِنْهَا: عِدَّةُ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا , أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ. وَمِنْهَا: عِدَّةُ الْمُطَلَّقَةِ ثَلَاثَةُ قُرُوءٍ. وَمِنْهَا: عِدَّةُ الْحَامِلِ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا , فَكَانَتِ الْعِدَّةُ اسْمًا وَاحِدًا , لِمَعَانٍ مُخْتَلِفَةٍ. وَلَمْ يَكُنْ كُلُّ مَا لَزِمَهُ اسْمُ عِدَّةٍ , وَجَبَ أَنْ يَكُونَ قُرْءًا. فَكَذَلِكَ لَمَّا لَزِمَ اسْمَ الْوَقْتِ الَّذِي تَطْلُقُ فِيهِ النِّسَاءُ اسْمُ عِدَّةٍ , لَمْ يَثْبُتْ لَهُ بِذَلِكَ اسْمُ الْقِرْءِ. فَهَذِهِ مُعَارَضَةٌ صَحِيحَةٌ , وَلَوْ أَرَدْنَا أَنْ نُكْثِرَ هَاهُنَا , فَنَحْتَجُّ بِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْتَحَاضَةِ: «دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ» , فَنَقُولُ: الْأَقْرَاءُ هِيَ: الْحَيْضُ عَلَى لِسَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكَانَ ذَلِكَ مَا قَدْ تَعَلَّقَ بِهِ بَعْضُ مَنْ تَقَدَّمَ وَلَكِنَّا لَا نَفْعَلُ ذَلِكَ , لِأَنَّ الْعَرَبَ قَدْ تُسَمِّي الْحَيْضَ قُرْءًا , وَتُسَمِّي الطُّهْرَ قُرْءًا , وَتَجْمَعُ الْحَيْضَ وَالطُّهْرَ , فَتُسَمِّيهِمَا قُرْءًا.
4495 - حَدَّثَنِي بِذَلِكَ مَحْمُودُ بْنُ حَسَّانَ النَّحْوِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ , عَنْ أَبِي زَيْدٍ , عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ , وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا حُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هُوَ الَّذِي خَاطَبَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ: «فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ» وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ - عِنْدَهُ - دَلِيلًا أَنَّ الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارُ , إِذْ قَدْ جَعَلَ الْأَقْرَاءَ الْحَيْضَ , فِيمَا رُوِيَ عَنْهُ.
فَإِذَا كَانَ هَذَا عِنْدَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , وَقَدْ خَاطَبَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ , لَا دَلِيلَ فِيهِ عَلَى أَنَّ الْقِرْءَ الطُّهْرُ , كَانَ مَنْ بَعْدَهُ فِيهِ أَيْضًا كَذَلِكَ , وَسَنَذْكُرُ مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا , فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَكَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ الَّذِينَ جَعَلُوا الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارَ أَيْضًا , مَا قَدْ
«مُرْهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا , ثُمَّ يَتْرُكَهَا حَتَّى تَطْهُرَ , ثُمَّ لِيُطَلِّقْهَا إِنْ شَاءَ , فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ» . وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ
بِإِسْنَادِهِ فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ.
قَالُوا: فَلَمَّا أَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُطَلِّقَهَا فِي الطُّهْرِ , وَجَعَلَهُ الْعِدَّةَ دُونَهَا , وَنَهَاهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فِي الْحَيْضِ , وَأَخْرَجَهُ مِنْ أَنْ يَكُونَ عِدَّةً , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْأَقْرَاءَ هِيَ الْأَطْهَارُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِلْآخَرِينَ , أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , كَمَا ذَكَرُوا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مَا هُوَ أَتَمُّ مِنْ ذَلِكَ. فَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَمَرَ عُمَرَ أَنْ يَأْمُرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا ثُمَّ يُمْهِلَهَا , حَتَّى تَطْهُرَ , ثُمَّ تَحِيضَ , ثُمَّ تَطْهُرَ , ثُمَّ لِيُطَلِّقْهَا إِنْ شَاءَ , وَقَالَ: تِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ «. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ أَيْضًا بِإِسْنَادِهِ فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ. فَلَمَّا نَهَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ إِيقَاعِ الطَّلَاقِ فِي الطُّهْرِ الَّذِي بَعْدَ الْحَيْصَةِ , الَّتِي طَلَّقَ فِيهَا , حَتَّى يَكُونَ طُهْرٌ وَحَيْضَةٌ أُخْرَى بَعْدَهَا , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ كَانَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ» فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ الْأَطْهَارُ " إِذًا لَجَعَلَ لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا بَعْدَ طُهْرِهَا مِنْ هَذِهِ الْحَيْضَةِ , وَلَا يَنْتَظِرُ مَا بَعْدَهَا , لِأَنَّ ذَلِكَ طُهْرٌ. فَلَمَّا لَمْ يُبِحْ لَهُ الطَّلَاقَ فِي ذَلِكَ الطُّهْرِ حَتَّى يَكُونَ طُهْرًا آخَرَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ذَلِكَ الطُّهْرِ حَيْضَةٌ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ تِلْكَ الْعِدَّةَ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ , إِنَّمَا هِيَ وَقْتُ مَا تَطْلُقُ النِّسَاءُ , وَلَيْسَ لِأَنَّهَا عِدَّةٌ تَطْلُقُ لَهَا النِّسَاءُ يَجِبُ بِذَلِكَ أَنْ تَكُونَ هِيَ الْعِدَّةُ الَّتِي تَعْتَدُّ بِهَا النِّسَاءُ , لِأَنَّ الْعِدَّةَ مُخْتَلِفَةٌ. مِنْهَا: عِدَّةُ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا , أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ. وَمِنْهَا: عِدَّةُ الْمُطَلَّقَةِ ثَلَاثَةُ قُرُوءٍ. وَمِنْهَا: عِدَّةُ الْحَامِلِ أَنْ تَضَعَ حَمْلَهَا , فَكَانَتِ الْعِدَّةُ اسْمًا وَاحِدًا , لِمَعَانٍ مُخْتَلِفَةٍ. وَلَمْ يَكُنْ كُلُّ مَا لَزِمَهُ اسْمُ عِدَّةٍ , وَجَبَ أَنْ يَكُونَ قُرْءًا. فَكَذَلِكَ لَمَّا لَزِمَ اسْمَ الْوَقْتِ الَّذِي تَطْلُقُ فِيهِ النِّسَاءُ اسْمُ عِدَّةٍ , لَمْ يَثْبُتْ لَهُ بِذَلِكَ اسْمُ الْقِرْءِ. فَهَذِهِ مُعَارَضَةٌ صَحِيحَةٌ , وَلَوْ أَرَدْنَا أَنْ نُكْثِرَ هَاهُنَا , فَنَحْتَجُّ بِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْتَحَاضَةِ: «دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ» , فَنَقُولُ: الْأَقْرَاءُ هِيَ: الْحَيْضُ عَلَى لِسَانِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكَانَ ذَلِكَ مَا قَدْ تَعَلَّقَ بِهِ بَعْضُ مَنْ تَقَدَّمَ وَلَكِنَّا لَا نَفْعَلُ ذَلِكَ , لِأَنَّ الْعَرَبَ قَدْ تُسَمِّي الْحَيْضَ قُرْءًا , وَتُسَمِّي الطُّهْرَ قُرْءًا , وَتَجْمَعُ الْحَيْضَ وَالطُّهْرَ , فَتُسَمِّيهِمَا قُرْءًا.
4495 - حَدَّثَنِي بِذَلِكَ مَحْمُودُ بْنُ حَسَّانَ النَّحْوِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامٍ , عَنْ أَبِي زَيْدٍ , عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ , وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا حُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هُوَ الَّذِي خَاطَبَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ: «فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ» وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ - عِنْدَهُ - دَلِيلًا أَنَّ الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارُ , إِذْ قَدْ جَعَلَ الْأَقْرَاءَ الْحَيْضَ , فِيمَا رُوِيَ عَنْهُ.
فَإِذَا كَانَ هَذَا عِنْدَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , وَقَدْ خَاطَبَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ , لَا دَلِيلَ فِيهِ عَلَى أَنَّ الْقِرْءَ الطُّهْرُ , كَانَ مَنْ بَعْدَهُ فِيهِ أَيْضًا كَذَلِكَ , وَسَنَذْكُرُ مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا , فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَكَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ الَّذِينَ جَعَلُوا الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارَ أَيْضًا , مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৭
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৪৯৬-৯৭। ইউনুস (রাহঃ) ….. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হাফসা বিনত আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বকর (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, যখন তিনি তৃতীয় হায়যের রক্ত প্রত্যক্ষ করেন। ইব্ন শিহাব বলেন, আমি এ ব্যাপারটি আমরার কাছে উল্লেখ করলাম, তখন তিনি বললেন, উরওয়া (রাযিঃ) সত্য বলেছেন, কিছু সংখ্যক লােক এ সম্পর্কে তার সাথে মতবিরােধ করেন এবং তারা বলেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ ثلاثة قروء অর্থাৎ তিন কুরু। আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) বলেন, তােমরা সত্য বলেছ, তবে তােমরা কি জান اقراء কি? اقراء হচ্ছে اطهار অর্থাৎ তুহুর।
ইউনুস (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন ..... মালিক (রাযিঃ) তাকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইব্ন শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমি আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেক ফকীহ-কে আমি আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর ন্যায় বলতে শুনেছি।
ইউনুস (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন ..... মালিক (রাযিঃ) তাকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইব্ন শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমি আবু বকর ইব্ন আব্দুর রহমান-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেক ফকীহ-কে আমি আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর ন্যায় বলতে শুনেছি।
4496 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا «نَقَلَتْ حَفْصَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , حِينَ دَخَلَتْ فِي الدَّمِ مِنَ الْحَيْضَةِ الثَّالِثَةِ» . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِعَمْرَةَ , فَقَالَتْ: صَدَقَ عُرْوَةُ , قَدْ جَادَلَهَا فِي ذَلِكَ أُنَاسٌ , وَقَالُوا: إِنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ: ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: «صَدَقْتُمْ , أَتَدْرُونَ مَا الْأَقْرَاءُ؟ إِنَّمَا الْأَقْرَاءُ الْأَطْهَارُ» .
4497 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , قَالَ: قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ: «مَا أَدْرَكْتُ أَحَدًا مِنْ فُقَهَائِنَا إِلَّا وَهُوَ يَقُولُ هَذَا» , يُرِيدُ الَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ
4497 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , قَالَ: قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ: «مَا أَدْرَكْتُ أَحَدًا مِنْ فُقَهَائِنَا إِلَّا وَهُوَ يَقُولُ هَذَا» , يُرِيدُ الَّذِي قَالَتْ عَائِشَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৯৭
empty
৪৪৯৭।
4497 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৯৮
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৪৯৮। ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে এবং তার স্ত্রী তৃতীয় হায়যের রক্ত প্রত্যক্ষ করে তখন স্ত্রীলােকটি পুরুষটি হতে এবং পুরুষটিও স্ত্রীলােকটি হতে পৃথক হয়ে যায়। স্ত্রীলােকটি পুরুষটির উত্তরাধিকারিণী হবে না এবং পুরুষটিও স্ত্রীলােকটির উত্তরাধিকারী হবেনা।
4498 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّهُ قَالَ: «إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ , فَدَخَلَتْ فِي الدَّمِ مِنَ الْحَيْضَةِ الثَّالِثَةِ , فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ , وَبَرِئَ مِنْهَا وَلَا تَرِثُهُ وَلَا يَرِثُهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০১
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৪৯৯-৪৫০১। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) ...... যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা যদি তৃতীয় হায়যের রক্ত প্রত্যক্ষ করে তখন মহিলাটি পুরুষটি হতে এবং পুরুষটিও মহিলাটি হতে পৃথক হয়ে যায় ।
ইউনুস (রাহঃ) ….. সুফিয়ান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইব্ন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) ফায়সালা করেন। এর পর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। ইব্ন শিহাব (রাহঃ) আরাে বলেন, এ সম্পর্কে আমাকে উরওয়া (রাযিঃ) আয়েশা (রাযিঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. সুফিয়ান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইব্ন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) ফায়সালা করেন। এর পর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। ইব্ন শিহাব (রাহঃ) আরাে বলেন, এ সম্পর্কে আমাকে উরওয়া (রাযিঃ) আয়েশা (রাযিঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেন।
4499 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْأَزْرَقُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ , قَالَ: «إِذَا طَعَنَتْ , أَيْ دَخَلَتِ الْمُطَلَّقَةُ فِي الْحَيْضَةِ الثَّالِثَةِ , فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ وَبَرِئَ مِنْهَا» .
4500 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4501 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: قَضَى زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَأَخْبَرَنِي بِذَلِكَ , عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ
4500 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4501 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: قَضَى زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَأَخْبَرَنِي بِذَلِكَ , عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০০
empty
৪৫০০।
4500 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০২
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০২। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. নাফি' (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা মুয়াবিয়া (রাযিঃ) একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ)-এর কাছে একটি পত্র লিখেন। পত্রের উত্তরে তিনি লিখেন, যখন তালাকপ্রাপ্তা মহিলাটি তৃতীয় হায়যের রক্ত প্রত্যক্ষ করবে তখন সে তার স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। নাফি আরাে বলেন ,ইব্ন উমার (রাযিঃ) ও অনুরূপ বলতেন।
তারা বলেন, এগুলাে হল এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবীদের বাণী, যেগুলাে আমাদের উল্লেখিত বিষয়টির প্রমাণ বহন করে।
তাদের বলা হল, এ ব্যাপারে যদি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সাহাবীগণ মতবিরােধ না করতেন তাহলে তােমরা যেরূপ বলেছ তা হত। কিন্তু যখন তারা এ ব্যাপারে মতভেদ করলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তােমরা যা বলছ তা বলেছেন, আবার কেউ কেউ তাদের মধ্যে তােমাদের বিপরীত বলেছেন। তাই তােমরা যা বলেছ তা দলীল হিসেবে প্রমাণিত হবেনা।
উপরােক্ত আসারে সাহাবার দলীলগুলাের বিপরীত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাদের থেকে যে সব রিওয়ায়াত দেখতে পাওয়া যায় এগুলাের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে اقراء এর অর্থ اطهار নয়।
তারা বলেন, এগুলাে হল এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবীদের বাণী, যেগুলাে আমাদের উল্লেখিত বিষয়টির প্রমাণ বহন করে।
তাদের বলা হল, এ ব্যাপারে যদি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সাহাবীগণ মতবিরােধ না করতেন তাহলে তােমরা যেরূপ বলেছ তা হত। কিন্তু যখন তারা এ ব্যাপারে মতভেদ করলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তােমরা যা বলছ তা বলেছেন, আবার কেউ কেউ তাদের মধ্যে তােমাদের বিপরীত বলেছেন। তাই তােমরা যা বলেছ তা দলীল হিসেবে প্রমাণিত হবেনা।
উপরােক্ত আসারে সাহাবার দলীলগুলাের বিপরীত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাদের থেকে যে সব রিওয়ায়াত দেখতে পাওয়া যায় এগুলাের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে اقراء এর অর্থ اطهار নয়।
4502 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ يَسْأَلُهُ , فَكَتَبَ: «إِنَّهَا إِذَا دَخَلَتْ فِي الْحَيْضَةِ الثَّالِثَةِ , فَقَدْ بَانَتْ مِنْهُ» . قَالَ نَافِعٌ: وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُهُ. قَالُوا: فَهَذِهِ أَقَاوِيلُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , فِي ذَلِكَ , تَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ. قِيلَ لَهُمْ: هَذَا لَوْ لَمْ يَخْتَلِفْ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , فَأَمَّا إِذَا اخْتَلَفُوا فِيهِ , فَقَالَ بَعْضُهُمْ مَا ذَكَرْتُمْ. وَقَالَ آخَرُونَ مِنْهُمْ بِخِلَافِ ذَلِكَ , لَمْ يَجِبْ بِمَا ذَكَرْتُمْ لَكُمْ حُجَّةٌ , فَمِمَّا رُوِيَ خِلَافُ مَا احْتَجُّوا بِهِ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ الْمَذْكُورَةِ عَمَّنْ رُوِيَتْ عَنْهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدَّالَّةِ عَلَى أَنَّ الْأَقْرَاءَ غَيْرُ الْأَطْهَارِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৩
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৩। ইউনুস (রাহঃ) ….. আলী ইব্ন আবু তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “মহিলাটির স্বামীই তার ব্যাপারে বেশী হকদার যতক্ষণ না সে তৃতীয় হায়যের গােসল সম্পন্ন করে।”
4503 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ , قَالَ: «زَوْجُهَا أَحَقُّ بِهَا مَا لَمْ تَغْتَسِلْ مِنَ الْحَيْضَةِ الثَّالِثَةِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৪
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৪। আলী ইব্ন শাইবা (রাহঃ) ..... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিল। সে দুইটি হায়য অতিবাহিত করল। যখন তৃতীয় হায়য দেখা দিল সে গােসলখানায় ঢুকল । এমন সময় তার স্বামী আসল এবং বলল, “আমি তােমার প্রতি রাজায়াত করেছি অর্থাৎ আমি তােমাকে পুনরায় ফেরত নিয়েছি।” একথাটি সে তিন বার বলল। অতঃপর দু'জনে মামলা নিয়ে হযরত উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হল। তখন হযরত উমার (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) ঐক্যমতে পৌঁছলেন যে, যতক্ষণ না মহিলাটির জন্যে সালাত আদায় করা হালাল হয় তার সম্পর্কে তার স্বামীই বেশী হকদার। হযরত উমার (রাযিঃ) মহিলাটিকে তার স্বামীর কাছে ফেরত পাঠালেন।
4504 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ سَعِيدٍ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , أَنَّ رَجُلًا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فَحَاضَتْ حَيْضَتَيْنِ , فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ وَدَخَلَتِ الْمُغْتَسَلَ , أَتَاهَا زَوْجُهَا فَقَالَ: قَدْ رَاجَعْتُكِ , ثَلَاثًا , فَارْتَفَعَا إِلَى عُمَرَ , فَأَجْمَعَ عُمَرُ , وَعَبْدُ اللهِ عَلَى أَنَّهُ أَحَقُّ بِهَا , مَا لَمْ تَحِلَّ لَهَا الصَّلَاةُ , فَرَدَّهَا عُمَرُ عَلَيْهِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৫
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৫। ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলতেন, যখন কোন ক্রীতদাস তার স্ত্রীকে দু'তালাক দেয় তখন সে তার স্বামীর জন্যে হারাম হয়ে যায় যতক্ষণ না সে অন্য এক স্বামীকে গ্রহণ করবে। স্ত্রীলােকটি স্বাধীন হােক কিংবা দাসী। স্বাধীন মহিলার ইদ্দত হল তিন হায়য আর দাসীর ইদ্দত হল দুই হায়য।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ ইনিই হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন উমার (রাযিঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত উমার (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ তবে একথার দ্বারা প্রমাণ হয় না যে, এখানে اقراء এর অর্থ اطهار কেননা এটার অর্থ হবে হায়য।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ ইনিই হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন উমার (রাযিঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত উমার (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ তবে একথার দ্বারা প্রমাণ হয় না যে, এখানে اقراء এর অর্থ اطهار কেননা এটার অর্থ হবে হায়য।
4505 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنْ نَافِعٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , كَانَ يَقُولُ: «إِذَا طَلَّقَ الْعَبْدُ امْرَأَتَهُ ثِنْتَيْنِ , فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْهِ , حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ , حُرَّةً كَانَتْ أَوْ أَمَةً , وَعِدَّةُ الْحُرَّةِ ثَلَاثُ حِيَضٍ , وَعِدَّةُ الْأَمَةِ حَيْضَتَانِ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَهُوَ الَّذِي رَوَى عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْلَهُ لِعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَطْلُقَ لَهَا النِّسَاءُ» لَمْ يَدُلَّهُ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارُ , إِذَا كَانَ قَدْ جَعَلَهَا الْحَيْضَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৬
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৬। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... মাকহুল (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, যখন তিনি মদীনায় আগমন করেন তখন তার কাছে সুলাইমান ইব্ন ইয়াসার (রাযিঃ) উল্লেখ করেন যে, যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) বলতেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেয় আর সে তৃতীয় হায়যের প্রথম রক্তের ফোটা অবলােকন করে তাহলে স্বীয় স্ত্রীর প্রতি স্বামীর রাজায়াত করার কোন অধিকার থাকেনা। তিনি বলেন, এ মাসআলা সম্বন্ধে আমি মদীনার লােকজনের কাছে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম। আমার কাছে সংবাদ পৌছল যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ), মুয়ায ইব্ন জাবাল (রাযিঃ) ও আবু দারদা (রাযিঃ) তৃতীয় হায়য থেকে গােসল করা পর্যন্ত স্ত্রীর প্রতি স্বামীর রাজায়াত করার অধিকার আছে বলে মনে করতেন।
4506 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ , عَنْ مَكْحُولٍ , أَنَّهُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ , فَذَكَرَ لَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ , أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ كَانَ يَقُولُ: «إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فَرَأَتْ أَوَّلَ قَطْرَةٍ مِنْ دَمٍ مِنْ حَيْضَتِهَا الثَّالِثَةِ , فَلَا رَجْعَةَ لَهُ عَلَيْهَا» . قَالَ: فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ بِالْمَدِينَةِ , فَبَلَغَنِي أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ , وَأَبَا الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , كَانُوا يَجْعَلُونَ لَهُ عَلَيْهَا الرَّجْعَةَ , حَتَّى تَغْتَسِلَ مِنَ الْحَيْضَةِ الثَّالِثَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৭
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৭। ইউনুস (রাহঃ) ….. কাবীসা ইব্ন যুওয়াইব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি যায়দ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন। তিনি বলতেন, তালাক হল পুরুষের আর ইদ্দত হল মহিলাদের। পুরুষটি যদি স্বাধীন হয় আর মহিলাটি হয় দাসী তাহলে এখানে তালাক হবে তিনটি এবং ইদ্দত হবে দুই হায়য। আর যদি পুরুষটি হয় দাস এবং স্ত্রী হয় স্বাধীনা তাহলে পুরুষটির তালাক হবে দুই তালাক আর মহিলাটির ইদ্দত পালন করতে হবে তিন হায়য।
সাহাবায়ে কিরামের মাঝে যখন এরূপ মতভেদ পাওয়া যায় তখন প্রমাণিত হয় যে, এ ব্যাপারে তাদের কারাে কথাই দলীল হিসেবে গ্রহণযােগ্য নয়। কেননা যখনই কোন ব্যক্তি সাহাবায়ে কিরামের কোন একজনের বাণীকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে নিল পরােক্ষভাবে এ সম্পর্কে সে অন্য এক সাহাবীর কথার বিরুদ্ধে তার এ বাণীকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করল। এসব কারণে দু'পক্ষের কারাে কথাই অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে গ্রহণ করা চলবে না।
যারা اقراء কে حيض হিসেবে গণ্য করেছেন, বিরােধী দলের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হল এ যে, اقراء এর অর্থ যদি اطهار নেয়া হয় মহিলাটির স্বামী যখন তাকে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয় এর এক ঘণ্টা পর সে অপবিত্র বা ঋতুবতী হয় তাহলে যে তুহুরে তালাক হয়েছে সেটিও একটি قرء হিসেবে গণ্য হবে এবং পরবর্তী অপরাপর দুইটি قرء -এর সাথে যােগ হবে তাহলে তার ইদ্দত হবে দুই قرء ও এক قرء -এর অংশ বিশেষ। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন ثلاثة قروء এখানে কিন্তু তিন قروء হয়নি।
اطهار-এর সমর্থকগণ যদি দলীল পেশ করে যে, আল্লাহ্ তা'আলা হজ্জের মাসগুলাে সম্বন্ধে বলেছেন । الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ কিন্তু হজ্জের মাসগুলাে পুরাপুরি তিন মাস হয়না বরং হয় ২ মাস ও এক মাসের অংশ বিশেষ। অনুরূপভাবে তিন اقراء -এর কথা বলে ২ قروء ও ১ قرء এর অংশ বিশেষ ধরে নেয়া হয়েছে। তখন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হবে এ যে, আল্লাহ্ তা'আলা اقراء -এর সম্বন্ধে বলেছেন ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ কিন্তু হজ্জের সম্বন্ধে ثلاثة اشهر বলেননি। যদি হজ্জের ব্যাপারে ثلاثة اشهر বলতেন আর কার্যত নেয়া হত ২ মাস ও ১ মাসের অংশ বিশেষ তাহলে আমাদের বিরােধী দল যা বলেছেন তা প্রমাণিত হত। সেখানে শুধু বলা হয়েছে اشهر কিন্তু ثلاثة اشهر বলা হয়নি। সুতরাং যেটাকে ثلاثة বলে সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে সেটাতে তিন পুরাপুরি হতে হবে। এ সংখ্যা থেকে কম হলে চলবেনা। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা সূরা তালাকের (৬৫ঃ ৪) আয়াতে বলেনঃ
وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ , وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ
অর্থাৎ তােমাদের যে সকল স্ত্রীর ঋতুবতী হবার আশা নেই তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনও রজস্বলা হয়নি তাদেরও। এখানে তিন দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে, কাজেই এ সংখ্যা থেকে কম হলে হবেনা ।
اطهار এর সমর্থকগণ যদি আবারও দলীল পেশ করেন যে ثلاثة সংখ্যার معدود হবে مذكر বলা হয়ে থাকে ثلاثة رجال আর যখন معدود হবে مؤنث তখন বলা হয় ثلاث نسوة আল্লাহ্ তা'আলা যখন বলেছেন ثلاثة قروء কাজেই এখানে معدود হবে مذكر আর اطهار হচ্ছে مذكر অতএব قروء এর দ্বারা حيض না হয়ে তুহুর হওয়াটাই সমীচীন। তাদের দলীলের জবাব হল যে, একটি বস্তুর যখন দু'টি নাম থাকে একটি مذكر ও অপরটি مؤنث যখন مذكر এর সাথে সংখ্যাটি আসে তখন তা হবে ثلاثة আর مؤنث এর সাথে সংখ্যাটি হয় ثلاث এজন্য বলা হয় هذا ثوب ও ثوب=هذه ملحفة এর যখন جمع নেয়া হয় তখন বলা হয় ثلاثة اثواب আর যখন ملحفة এর جمع নেয়া হয় তখন বলা হয় ثلاث ملحفات অনুরূপ বলা হয়ে থাকে একই বস্তুর জন্যে هذا منزلى এবং هذه دار সুতরাং কোন কোন সময় একই বস্তুর দুইটি পৃথক নাম হয়ে থাকে একটি مذكر ও অন্যটি مؤنث তাই যখন مذكر এর সাথে মিলিত হয় তখন جمع مذكر এর ন্যায় হবে এবং ة টি সংযুক্ত থাকবে আর যখন مؤنث এর সাথে মিলিত হয় তখন جمع مذكر এর ন্যায় হয় ও ة টি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
অনুরূপ حيضه ও قرء দুইটি اسم বা নাম, কিন্তু একই অর্থ আর তা হচ্ছে حيضه সুতরাং حيضه-এর সাথে মিলিত হলে ة বিলুপ্ত হয় তখন বলা হবে ثلاث حيض আর قرء এর সাথে মিলিত হলে ة বিলুপ্ত না হয়ে তা অবস্থান করবে এবং বলা হবে ثلاثة قروء আর এসব হচ্ছে এজন্য যে, একটি বস্তুর দুটো নাম বা اسم হচ্ছে কাজেই বিরােধী পক্ষের দলীল এখানে অকার্যকর বলে প্রমাণিত হল।
এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বস্তুটির প্রমাণার্থে যুক্তি হল এ যে, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, দাসীর ইদ্দত স্বাধীন মহিলার ইদ্দতের অর্ধেক গণ্য করা হয়েছে। তাই যে দাসী মহিলার হায়য হয়না তার ইদ্দতও স্বাধীনা মহিলার ইদ্দতের অর্ধেক করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে দেড় মাস। যদি দাসী মহিলার হায়য হয় তাহলে তার ইদ্দত হবে সকলের মতে দুই হায়য। আবার এটাকে বলা হয়েছে স্বাধীনা মহিলার ইদ্দতের অর্ধেক। এজন্যই হযরত উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবীদের সমীপে বলেছিলেন, যদি দাসী মহিলার ইদ্দতকে আমি এক হায়য ও এক হায়যের অর্ধেক হিসাব করতে পারতাম তাহলে করতাম। তাহলে দাসী মহিলার ইদ্দত যখন হায়য বলে নির্ধারিত হল তুহুর বলে নির্ধারিত হল না। এটা আবার স্বাধীনা মহিলার অর্ধেকও বটে। সুতরাং প্রমাণিত হল স্বাধীনা মহিলার ইদ্দত দাসী মহিলার ন্যায় হায়যই হবে, তুহুর নয়।
অতএব যারা قرء এর অর্থ حيض নিয়েছেন তাদের দাবী প্রমাণিত হল আর তাদের বিরােধীদলের দাবী প্রমাণিত হলনা। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
দাসী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে বর্ণিত রয়েছেঃ
সাহাবায়ে কিরামের মাঝে যখন এরূপ মতভেদ পাওয়া যায় তখন প্রমাণিত হয় যে, এ ব্যাপারে তাদের কারাে কথাই দলীল হিসেবে গ্রহণযােগ্য নয়। কেননা যখনই কোন ব্যক্তি সাহাবায়ে কিরামের কোন একজনের বাণীকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে নিল পরােক্ষভাবে এ সম্পর্কে সে অন্য এক সাহাবীর কথার বিরুদ্ধে তার এ বাণীকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করল। এসব কারণে দু'পক্ষের কারাে কথাই অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে গ্রহণ করা চলবে না।
যারা اقراء কে حيض হিসেবে গণ্য করেছেন, বিরােধী দলের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হল এ যে, اقراء এর অর্থ যদি اطهار নেয়া হয় মহিলাটির স্বামী যখন তাকে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয় এর এক ঘণ্টা পর সে অপবিত্র বা ঋতুবতী হয় তাহলে যে তুহুরে তালাক হয়েছে সেটিও একটি قرء হিসেবে গণ্য হবে এবং পরবর্তী অপরাপর দুইটি قرء -এর সাথে যােগ হবে তাহলে তার ইদ্দত হবে দুই قرء ও এক قرء -এর অংশ বিশেষ। অথচ আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন ثلاثة قروء এখানে কিন্তু তিন قروء হয়নি।
اطهار-এর সমর্থকগণ যদি দলীল পেশ করে যে, আল্লাহ্ তা'আলা হজ্জের মাসগুলাে সম্বন্ধে বলেছেন । الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ কিন্তু হজ্জের মাসগুলাে পুরাপুরি তিন মাস হয়না বরং হয় ২ মাস ও এক মাসের অংশ বিশেষ। অনুরূপভাবে তিন اقراء -এর কথা বলে ২ قروء ও ১ قرء এর অংশ বিশেষ ধরে নেয়া হয়েছে। তখন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হবে এ যে, আল্লাহ্ তা'আলা اقراء -এর সম্বন্ধে বলেছেন ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ কিন্তু হজ্জের সম্বন্ধে ثلاثة اشهر বলেননি। যদি হজ্জের ব্যাপারে ثلاثة اشهر বলতেন আর কার্যত নেয়া হত ২ মাস ও ১ মাসের অংশ বিশেষ তাহলে আমাদের বিরােধী দল যা বলেছেন তা প্রমাণিত হত। সেখানে শুধু বলা হয়েছে اشهر কিন্তু ثلاثة اشهر বলা হয়নি। সুতরাং যেটাকে ثلاثة বলে সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে সেটাতে তিন পুরাপুরি হতে হবে। এ সংখ্যা থেকে কম হলে চলবেনা। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা সূরা তালাকের (৬৫ঃ ৪) আয়াতে বলেনঃ
وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ , وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ
অর্থাৎ তােমাদের যে সকল স্ত্রীর ঋতুবতী হবার আশা নেই তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনও রজস্বলা হয়নি তাদেরও। এখানে তিন দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে, কাজেই এ সংখ্যা থেকে কম হলে হবেনা ।
اطهار এর সমর্থকগণ যদি আবারও দলীল পেশ করেন যে ثلاثة সংখ্যার معدود হবে مذكر বলা হয়ে থাকে ثلاثة رجال আর যখন معدود হবে مؤنث তখন বলা হয় ثلاث نسوة আল্লাহ্ তা'আলা যখন বলেছেন ثلاثة قروء কাজেই এখানে معدود হবে مذكر আর اطهار হচ্ছে مذكر অতএব قروء এর দ্বারা حيض না হয়ে তুহুর হওয়াটাই সমীচীন। তাদের দলীলের জবাব হল যে, একটি বস্তুর যখন দু'টি নাম থাকে একটি مذكر ও অপরটি مؤنث যখন مذكر এর সাথে সংখ্যাটি আসে তখন তা হবে ثلاثة আর مؤنث এর সাথে সংখ্যাটি হয় ثلاث এজন্য বলা হয় هذا ثوب ও ثوب=هذه ملحفة এর যখন جمع নেয়া হয় তখন বলা হয় ثلاثة اثواب আর যখন ملحفة এর جمع নেয়া হয় তখন বলা হয় ثلاث ملحفات অনুরূপ বলা হয়ে থাকে একই বস্তুর জন্যে هذا منزلى এবং هذه دار সুতরাং কোন কোন সময় একই বস্তুর দুইটি পৃথক নাম হয়ে থাকে একটি مذكر ও অন্যটি مؤنث তাই যখন مذكر এর সাথে মিলিত হয় তখন جمع مذكر এর ন্যায় হবে এবং ة টি সংযুক্ত থাকবে আর যখন مؤنث এর সাথে মিলিত হয় তখন جمع مذكر এর ন্যায় হয় ও ة টি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
অনুরূপ حيضه ও قرء দুইটি اسم বা নাম, কিন্তু একই অর্থ আর তা হচ্ছে حيضه সুতরাং حيضه-এর সাথে মিলিত হলে ة বিলুপ্ত হয় তখন বলা হবে ثلاث حيض আর قرء এর সাথে মিলিত হলে ة বিলুপ্ত না হয়ে তা অবস্থান করবে এবং বলা হবে ثلاثة قروء আর এসব হচ্ছে এজন্য যে, একটি বস্তুর দুটো নাম বা اسم হচ্ছে কাজেই বিরােধী পক্ষের দলীল এখানে অকার্যকর বলে প্রমাণিত হল।
এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বস্তুটির প্রমাণার্থে যুক্তি হল এ যে, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, দাসীর ইদ্দত স্বাধীন মহিলার ইদ্দতের অর্ধেক গণ্য করা হয়েছে। তাই যে দাসী মহিলার হায়য হয়না তার ইদ্দতও স্বাধীনা মহিলার ইদ্দতের অর্ধেক করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে দেড় মাস। যদি দাসী মহিলার হায়য হয় তাহলে তার ইদ্দত হবে সকলের মতে দুই হায়য। আবার এটাকে বলা হয়েছে স্বাধীনা মহিলার ইদ্দতের অর্ধেক। এজন্যই হযরত উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবীদের সমীপে বলেছিলেন, যদি দাসী মহিলার ইদ্দতকে আমি এক হায়য ও এক হায়যের অর্ধেক হিসাব করতে পারতাম তাহলে করতাম। তাহলে দাসী মহিলার ইদ্দত যখন হায়য বলে নির্ধারিত হল তুহুর বলে নির্ধারিত হল না। এটা আবার স্বাধীনা মহিলার অর্ধেকও বটে। সুতরাং প্রমাণিত হল স্বাধীনা মহিলার ইদ্দত দাসী মহিলার ন্যায় হায়যই হবে, তুহুর নয়।
অতএব যারা قرء এর অর্থ حيض নিয়েছেন তাদের দাবী প্রমাণিত হল আর তাদের বিরােধীদলের দাবী প্রমাণিত হলনা। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
দাসী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে বর্ণিত রয়েছেঃ
4507 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ , أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ , يَقُولُ: " الطَّلَاقُ إِلَى الرَّجُلِ , وَالْعِدَّةُ إِلَى الْمَرْأَةِ , إِنْ كَانَ الرَّجُلُ حُرًّا , وَكَانَتِ الْمَرْأَةُ أَمَةً , فَثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ , وَالْعِدَّةُ: عِدَّةُ الْأَمَةِ حَيْضَتَانِ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا , وَامْرَأَتُهُ حُرَّةً , طَلَّقَ طَلَاقَ الْعَبْدِ تَطْلِيقَتَيْنِ , وَاعْتَدَّتْ عِدَّةَ الْحُرَّةِ ثَلَاثَ حِيَضٍ ". فَلَمَّا جَاءَ هَذَا الِاخْتِلَافُ عَنْهُمْ , ثَبَتَ أَنَّهُ لَا يُحْتَجُّ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ أَحَدٍ مِنْهُمْ , لِأَنَّهُ مَتَى احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ بَعْضِهِمْ , احْتَجَّ مُخَالِفٌ عَلَيْهِ بِقَوْلٍ مِثْلِهِ , فَارْتَفَعَ ذَلِكَ كُلُّهُ أَنْ يَكُونَ فِيهِ حُجَّةٌ لِأَحَدِ الْفَرِيقَيْنِ عَلَى الْفَرِيقِ الْآخَرِ. وَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مَنْ جَعَلَ الْأَقْرَاءَ الْحَيْضَ عَلَى مُخَالِفِهِ أَنْ قَالَ: فَإِذَا كَانَتِ الْأَقْرَاءُ الْأَطْهَارَ , فَإِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ [ص:63] الْمَرْأَةَ وَهِيَ طَاهِرَةٌ , فَحَاضَتْ بَعْدَ ذَلِكَ بِسَاعَةٍ , فَحُسِبَ ذَلِكَ لَهَا قُرْءٌ مَعَ قُرْأَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , كَانَتْ عِدَّتُهَا قُرْأَيْنِ وَبَعْضَ قُرْءٍ , وَإِنَّمَا قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ} [البقرة: 228] , فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارُ فِي ذَلِكَ أَنْ قَالَ: فَقَدْ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ} [البقرة: 197] , فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى شَهْرَيْنِ وَبَعْضِ شَهْرٍ , فَكَذَلِكَ جَعَلْنَا الْأَقْرَاءَ الثَّلَاثَةَ عَلَى قُرْأَيْنِ وَبَعْضِ قُرْءٍ. فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ: أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ فِي الْأَقْرَاءِ: {ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ} [البقرة: 228] , وَلَمْ يَقُلْ فِي الْحَجِّ: ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ , وَإِنْ قَالَ فِي ذَلِكَ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ فَأَجْمَعُوا أَنَّ ذَلِكَ عَلَى شَهْرَيْنِ وَبَعْضِ شَهْرٍ , ثَبَتَ بِذَلِكَ مَا قَالَ الْمُخَالِفُ لَنَا , وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا قَالَ أَشْهُرٌ , وَلَمْ يَقُلْ ثَلَاثَةُ. فَأَمَّا مَا حَصَرَهُ بِالثَّلَاثَةِ , فَقَدْ حَصَرَهُ بِعَدَدٍ مَعْلُومٍ , فَلَا يَكُونُ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ الْعَدَدِ , كَمَا أَنَّهُ لَمَّا قَالَ: {وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ , وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ} [الطلاق: 4] , فَحَصَرَ ذَلِكَ بِالْعَدَدِ , فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ الْعَدَدِ , فَكَذَلِكَ لَمَّا حَصَرَ الْأَقْرَاءَ بِالْعَدَدِ , فَقَالَ: {ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ} [البقرة: 228] , فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ الْعَدَدِ. وَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْأَقْرَاءَ الْأَطْهَارُ أَيْضًا أَنْ قَالَ: لَمَّا كَانَتِ الْهَاءُ تَثْبُتُ فِي عَدَدِ الْمُذَكَّرِ فَيُقَالُ ثَلَاثَةُ رِجَالٍ وَتَنْتَفِي مِنْ عَدَدِ الْمُؤَنَّثِ , فَيُقَالُ ثَلَاثُ نِسْوَةٍ فَقَالَ اللهُ تَعَالَى: {ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ} [البقرة: 228] , فَأَثْبَتَ الْهَاءَ , ثَبَتَ أَنَّهُ أَرَادَ بِذَلِكَ مُذَكَّرًا , وَهُوَ الطُّهْرُ لَا الْحَيْضُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ: أَنَّ الشَّيْءَ إِذَا كَانَ لَهُ اسْمَانِ , أَحَدُهُمَا مُذَكَّرٌ وَالْآخَرُ مُؤَنَّثٌ , فَإِنْ جُمِعَ بِالْمُذَكَّرِ أُثْبِتَتِ الْهَاءُ , وَإِنْ جُمِعَ بِالْمُؤَنَّثِ أُسْقِطَتِ الْهَاءُ. مِنْ ذَلِكَ أَنَّكَ تَقُولُ هَذَا ثَوْبٌ , وَهَذِهِ مِلْحَفَةٌ فَإِنْ جَمَعْتُ بِالثَّوْبِ قُلْتُ ثَلَاثَةُ أَثْوَابٍ وَإِنْ جَمَعْتَ بِالْمِلْحَفَةِ قُلْتُ ثَلَاثُ مَلَاحِفَ وَكَذَلِكَ هَذِهِ دَارٌ , وَهَذَا مَنْزِلٌ لِشَيْءٍ وَاحِدٍ. فَكَانَ الشَّيْءُ قَدْ يَكُونُ وَاحِدًا يُسَمَّى بِاسْمَيْنِ مُخْتَلِفَيْنِ أَحَدُهُمَا مُذَكَّرٌ , وَالْآخَرُ مُؤَنَّثٌ فَإِذَا جُمِعَ بِالْمُذَكَّرِ , فَعَلَ فِيهِ كَمَا يَفْعَلُ فِي جَمْعِ الْمُذَكَّرِ فَأُثْبِتَتِ الْهَاءُ , وَإِنْ جُمِعَ بِالْمُؤَنَّثِ , فُعِلَ فِيهِ كَمَا يُفْعَلُ فِي جَمْعِ الْمُؤَنَّثِ , فَأُسْقِطَتِ الْهَاءُ. فَكَذَلِكَ الْحَيْضَةُ وَالْقُرْءُ , هُمَا اسْمَانِ بِمَعْنًى وَاحِدٍ , وَهُوَ الْحَيْضَةُ فَإِنْ جُمِعَ بِالْحَيْضَةِ , سَقَطَتِ الْهَاءُ , فَقِيلَ: ثَلَاثُ حِيَضٍ , وَإِنْ جُمِعَ بِالْقِرْءِ , ثَبَتَتِ الْهَاءُ فَقِيلَ «ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ» وَذَلِكَ كُلُّهُ , اسْمَانِ لِشَيْءٍ وَاحِدٍ , فَانْتَفَى بِذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِمَّا احْتَجَّ بِهِ الْمُخَالِفُ لَنَا. وَأَمَّا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَمَةَ جُعِلَ عَلَيْهَا فِي الْعِدَّةِ , نِصْفُ مَا جُعِلَ عَلَى الْحُرَّةِ , فَكَانَتِ الْأَمَةُ إِذَا كَانَتْ مِمَّنْ لَا تَحِيضُ , كَانَ عَلَيْهَا نِصْفُ عِدَّةِ الْحُرَّةِ إِذَا كَانَتْ مِمَّنْ لَا تَحِيضُ , وَذَلِكَ شَهْرٌ وَنِصْفٌ [ص:64] فَإِذَا كَانَتْ مِمَّنْ تَحِيضُ جُعِلَ عَلَيْهَا - بِاتِّفَاقِهِمْ - حَيْضَتَانِ , وَأُرِيدَ بِذَلِكَ نِصْفُ مَا عَلَى الْحُرَّةِ ; وَلِهَذَا قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ قَدِرْتُ أَنْ أَجْعَلَهَا حَيْضَةً وَنِصْفًا , لَفَعَلْتُ» . فَلَمَّا كَانَ مَا عَلَى هَذِهِ الْأَمَةِ هُوَ الْحَيْضَ لَا الْأَطْهَارَ , وَذَلِكَ نِصْفُ مَا عَلَى الْحُرَّةِ , ثَبَتَ أَنَّ مَا عَلَى الْحُرَّةِ أَيْضًا هُوَ مِنْ جِنْسِ مَا عَلَى الْأَمَةِ , وَهُوَ الْحَيْضُ لَا الْأَطْهَارُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ الَّذِينَ ذَهَبُوا فِي الْقِرْءِ إِلَى أَنَّهَا الْحَيْضُ , وَانْتَفَى قَوْلُ مُخَالِفِهِمْ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عِدَّةِ الْأَمَةِ مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৮
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৮। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন, “দাসী মহিলার ইদ্দত হবে দুই হায়য আর তাকে তালাকও দেয়া হবে দুটো। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর মহান বাণীটিও আমাদের উল্লেখিত অভিমতটিকে প্রমাণ করছে।
4508 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , عَنْ مُظَاهِرِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنِ الْقَاسِمِ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «تَعْتَدُّ الْأَمَةُ حَيْضَتَيْنِ , وَتَطْلُقُ تَطْلِيقَتَيْنِ» . فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০৯
৩. আকরা (হায়য কিংবা পবিত্রতা)
৪৫০৯। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ..... ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
শেষােক্ত হাদীসটিও আমাদের উল্লেখিত অভিমতটিকে প্রমাণিত করছে। আল্লাহর কাছে তাওফীক কাম্য।
শেষােক্ত হাদীসটিও আমাদের উল্লেখিত অভিমতটিকে প্রমাণিত করছে। আল্লাহর কাছে তাওফীক কাম্য।
4509 - وَقَدْ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا الصَّلْتُ بْنُ مَسْعُودٍ الْجَحْدَرِيُّ , عَنْ عُمَرَ بْنِ شَبِيبٍ الْمُسْلِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِيسَى , عَنْ عَطِيَّةَ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَبِاللهِ التَّوْفِيقُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান