শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৪৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭৬
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৭৪-৭৬। রাওহ ইব্‌ন আল-ফারাজ (রাহঃ) ..... আবুস সাহবা হতে বর্ণনা করেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলেন, আপনি কি জানেন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) এবং হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত তিন তালাককে এক তালাক গণ্য করা হত? আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, 'হ্যাঁ'।

আবু জাফর আহমাদ ইব্‌ন মুহাম্মাদ আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল ওলামায়ে কিরাম অভিমত পেশ করেন, কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করলে যদি সুন্নত ওয়াক্ত অর্থাৎ পবিত্র অবস্থায় সংগম বিহীন হয় তাহলে এটা এক তালাক হিসেবে গণ্য হবে। এ সম্পর্কে তারা উপরােক্ত হাদীসটিকে দলীল হিসেবে পেশ করেন এবং বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তার বান্দাদেরকে বিশেষ একটি সময়ে তালাক দিবার জন্যে হুকুম করেন, যদি তারা আল্লাহর হুকুমের বিপরীত করে তাহলে তাদের প্রদত্ত তালাক গণ্য করা হবে না। তারা আরাে বলেন, তােমরা কি লক্ষ্য কর না, কোন ব্যক্তি যদি অন্য ব্যক্তিকে নির্দেশ দেয় যে কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে যেন তার স্ত্রীকে তালাক দেয় কিন্তু সে তালাক দিল অন্য সময়ে অথবা কোন নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে তালাক দেয় কিন্তু সে তার স্ত্রীকে তালাক দিল শর্ত পালন ব্যতীত, তাহলে নির্দেশের বিপরীত করায় তা দেয়া তালাক গণ্য হবে না। তারা বলেন, আল্লাহ্ বান্দাদেরকে নির্দেশিত তালাকটি এরূপ, যখন তারা আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তালাক দিবে তখন তাদের তালাক গণ্য হবে। আর যখন তারা আল্লাহর নির্দেশের বিপরীত তালাক দিবে তখন তালাক গণ্য হবে না।

অধিকাংশ উলামা উপরােক্ত অভিমতের বিরােধিতা করেন এবং বলেন, আল্লাহর বান্দাদেরকে তালাক প্রদানের প্রদত্ত নির্দেশ পালন করা হয়েছে বলে তােমরাও তা উল্লেখ করেছ। আর তা হল মহিলাটি যখন সংগমবিহীন পবিত্র অবস্থায় থাকবে কিংবা গর্ভবতী হবে। যদি তারা তালাক দেয়ার ইচ্ছে করে তাহলে যেন তিন তালাক পৃথক পৃথকভাবে প্রদান করে এবং একত্রে যেন না করে। যখন তারা এ নির্দেশের ব্যতিক্রম করল এবং এমন সময়ে তালাক প্রদান করল, যে সময়ে তালাক দেয়া উচিত নয়। আর যতটি তালাক দেয়ার নির্দেশ ছিল তার থেকেও বেশী সংখ্যক প্রদান করল, তাই তারা যতগুলাে তালাক দিয়ে দেয় সবগুলােই গণ্য হবে এবং আল্লাহর হুকুম লংঘন করায় তারা গুনাহগার হবে। উপরে প্রতিপক্ষ যেই উকালতের কথা বলেছে, এ তালাক কিন্তু উকালতের মত নয়। কেননা উকিলগণ যখন তাদের মক্কেলের জন্য কাজ করে থাকে তখন তারা মক্কেলের স্থানে উপনীত হয়। তাই তাদেরকে যা হুকুম দেয়া হয় সেইরূপ যদি তারা করে তাহলে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে আর তাদেরকে যা বলা হয়েছে তার ব্যতিক্রম যদি তারা করে তাহলে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য করা হবে না, কিন্তু তালাকের ক্ষেত্রে বান্দারা নিজের জন্য কাজটি করে অন্যের জন্যে করে না এবং তাদের প্রতিপালকের জন্যেও করে না। আর কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে তারা অন্যের প্রতিনিধিও হয় না। যদি তারা প্রতিনিধি হত তাহলে তাদের দ্বারা নির্দেশিত কাজটি সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হত। সুতরাং তারা যা করেছে তা-ই গণ্য হবে, যদিও তাদেরকে একাজ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। এ রকম আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখতে পাই। আল্লাহ্ তার বান্দাদেরকে তা করতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু যখন তারা করে ফেলে তখন তা তাদের উপরে ওয়াজিব হয়ে যায়।

এগুলাের একটি উদাহরণ হল যিহার, যাকে খারাপ কথা ও মিথ্যা কথা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে; কিন্তু তা করার পর নিজ স্ত্রী স্বামীর কাছে হারাম হয়ে যায়, যতক্ষণ না সে আল্লাহর নির্দেশিত কাফফারা আদায় করে। যিহারকে আমরা মন্দ কথা ও মিথ্যা কথা বলে জানার পরও আমরা দেখতে পাই যে, যিহারের দ্বারা হুরমত প্রকাশ পায়। অনুরূপভাবে তালাকও একটি নিষিদ্ধ জিনিস, মন্দ ও মিথ্যে কথা। কিন্তু তার দ্বারা হুরমত ওয়াজিব হয়ে যায়। আমরা আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমার (রাযিঃ)-এর স্ত্রীকে তালাকের ক্ষেত্রে দেখেছি, উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলে তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে রাজায়াত করার হুকুম দিয়েছিলেন। এ হাদীসটি মুতাওয়াতির হাদীসের পর্যায়ভুক্ত বলে গণ্য। পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে। যদি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমার (রাযিঃ)-এর স্ত্রী ঋতু অবস্থায় থাকায় তালাক প্রদান করায় তালাক হিসেবে গণ্য না হত তাহলে রাজায়াত করার জন্য হুকুম দেয়া রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -এর পক্ষেও সমীচীন হত না।

রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ঋতু অবস্থায় প্রদত্ত তালাককে তালাক হিসেবে গণ্য করেছেন, অথচ ঐ সময় তালাক দেয়া হালাল নয়। অনুরূপভাবে যদি কেউ তার স্ত্রীকে তিন তালাক একত্রে দেয় তাহলে তিনটি তালাকই তালাক হিসেবে গণ্য হবে। যদিও সে তার নির্ধারিত ও নির্দেশিত কাজের বিপরীত করেছে। আর এ অনুচ্ছেদের এটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিও আমাদের জন্যে একটি অকাট্য প্রমাণ। ঐ হাদীসে রয়েছে। যখন উমার (রাযিঃ)-এর যামানা শুরু হয় তখন উমার (রাযিঃ) বলেন, হে জনগণ! পূর্বে তালাক সম্বন্ধে তােমাদের মধ্যে ধৈর্য ছিল। আর এখন যে ব্যক্তি তালাকের ক্ষেত্রে আল্লাহ্ প্রদত্ত ধৈর্যকে ত্বরা করছে তার ক্ষেত্রে আমরা এটাকে গণ্য করব।


ইব্‌ন আবু ইমরান (রাহঃ) ….. ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ অনুচ্ছেদের প্রথমে বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন। তবে তিনি আবুস সাহবার কথা উল্লেখ করেননি এবং ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে তিনি যে প্রশ্ন করেছেন তাও উল্লেখ করেননি।

তিনি শুধু আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর প্রতি উত্তরের ন্যায় বর্ণনা করেন ও এরপর হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কথা বর্ণনা করেন, যা এ হাদীসের পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত উমর (রাযিঃ) জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন। তাদের মধ্যে সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর যামানায় এ সম্পর্কে যেসব ঘটনা ঘটে গেছে তাও তারা জানেন। তারা কেউ হযরত উমর (রাযিঃ)-এর এ কাজকে খারাপ মনে করেননি এবং কোন প্রতিরােধকারীও প্রতিরােধ করেননি। তাহলে পূর্ববর্তী হুকুম রহিত হয়ে যাবার জন্যে এটা একটি বড় দলীল হিসেবে গণ্য। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সমস্ত সাহাবীর কাজ যেরূপ দলীল হিসেবে গণ্য তাদের কোন কথায় ঐক্যমত পােষণ করাও অকাট্য দলীল হিসেবে গণ্য। তাদের কোন একটি বর্ণনা যেমন সন্দেহ ও ত্রুটির বহু উর্ধে গ্রহণীয়, অনুরূপভাবে তাদের সিদ্ধান্তও সন্দেহ এবং ক্রটির উর্ধ্বে গ্রহণযােগ্য।
রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর যামানায় আমরা কিছু কিছু শব্দ পেয়েছি যেগুলাের অর্থ ও প্রয়ােগ পরবর্তী যামানায় পরিবর্তন হয়ে যায় ও সাহাবীদের যামানায় এগুলাে পূর্ববর্তী অর্থে আর ব্যবহৃত হয় নি। কেননা এগুলাের মধ্যে তারা এমন মর্মকথা পেয়েছেন, যা পূর্বে সুপ্ত ছিল। কাজেই পরবর্তীটা পূর্ববর্তীর জন্যে হবে নাসিখ বা রদকারী দলীল। এ ধরনের বস্তু যেমন ভাতাভােগী সেনাবাহিনীর তালিকা প্রণয়নের কার্য, ছেলেমেয়েদের মাতা দাসীকে বিক্রি নিষিদ্ধ করণ পূর্বে তারা বিক্রি হত, মদ্যপানের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সময় নির্ধারণের পূর্বে এরূপ সময় নির্ধারিত ছিল না। অতঃপর সাহাবায়ে কিরাম যখন অন্য রকম করেছেন এবং আমরা এ সম্বন্ধে অবহিত হয়েছি তখন আমাদের জন্যে সাহাবীদের কার্যকলাপের ব্যতিক্রম করা বৈধ হবে না। অনুরূপভাবে তিন তালাক একত্রে প্রদান করার পর আমরা তার কার্যকারিতা সাহাবীদের যুগে প্রত্যক্ষ করেছি, তাই এখনও একত্রে তিন তালাক দেয়া হলে এটাকে তিন তালাক গণ্য করতে হবে, এটার ব্যতিক্রম করা আমাদের জন্য বৈধ হবে না। যদিও আমরা জানি যে, পূর্বে এরূপ করা হত। অতঃপর এ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) ফাতওয়া দিতেন, যে ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক দেবে তা তিন তালাক হিসেবে গণ্য হবে এবং তার স্ত্রী তার জন্যে হারাম হয়ে যাবে।
بَابُ الرَّجُلِ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا مَعًا
4474 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ ثنا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ أَبَا الصَّهْبَاءِ قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: أَتَعْلَمُ أَنَّ الثَّلَاثَ كَانَتْ تُجْعَلُ وَاحِدَةً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَثَلَاثًا مِنْ إِمَارَةِ عُمَرَ؟ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «نَعَمْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا مَعًا , فَقَدْ وَقَعَتْ عَلَيْهَا وَاحِدَةٌ إِذَا كَانَتْ فِي وَقْتِ سُنَّةٍ , وَذَلِكَ أَنْ تَكُونَ طَاهِرًا فِي غَيْرِ جِمَاعٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالُوا: لَمَّا كَانَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّمَا أَمَرَ عِبَادَهُ أَنْ يُطَلِّقُوا لِوَقْتٍ عَلَى صِفَةٍ , فَطَلَّقُوا عَلَى غَيْرِ مَا أَمَرَهُمْ بِهِ , لَمْ يَقَعْ طَلَاقُهُمْ. وَقَالُوا: أَلَا تَرَوْنَ أَنَّ رَجُلًا لَوْ أَمَرَ رَجُلًا أَنْ يُطَلِّقَ امْرَأَتَهُ فِي وَقْتٍ عَلَى صِفَةٍ , فَطَلَّقَهَا فِي غَيْرِهِ , أَوْ أَمَرَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا عَلَى شَرِيطَةٍ , فَطَلَّقَهَا عَلَى غَيْرِ تِلْكَ الشَّرِيطَةِ , أَنَّ ذَلِكَ لَا يَقَعُ , إِذْ كَانَ قَدْ خَالَفَ مَا أَمَرَ بِهِ. قَالُوا: فَكَذَلِكَ الطَّلَاقُ الَّذِي أَمَرَ بِهِ الْعِبَادَ , فَإِذَا أَوْقَعُوهُ كَمَا أُمِرُوا بِهِ , وَقَعَ , وَإِذَا أَوْقَعُوهُ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ , لَمْ يَقَعْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ , فَقَالُوا: الَّذِي أَمَرَ بِهِ الْعِبَادَ مِنْ إِيقَاعِ الطَّلَاقِ , فَهُوَ كَمَا ذَكَرْتُمْ , إِذَا كَانَتِ الْمَرْأَةُ طَاهِرًا , مِنْ غَيْرِ جِمَاعٍ , أَوْ كَانَتْ حَامِلًا , وَأُمِرُوا بِتَفْرِيقِ الثَّلَاثِ إِذَا أَرَادُوا إِيقَاعَهُنَّ , وَلَا يُوقِعُونَهُنَّ مَعًا. فَإِذَا خَالَفُوا ذَلِكَ , فَطَلَّقُوا فِي الْوَقْتِ الَّذِي لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يُطَلِّقُوا فِيهِ , وَأَوْقَعُوا مِنَ الطَّلَاقِ أَكْثَرَ مِمَّا أُمِرُوا بِإِيقَاعِهِ , لَزِمَهُمْ مَا أَوْقَعُوا مِنْ ذَلِكَ , وَهُمْ آثِمُونَ فِي تَعَدِّيهِمْ مَا أَمَرَهُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ. وَلَيْسَ ذَلِكَ كَالْوَكَالَاتِ , لِأَنَّ الْوُكَلَاءَ إِنَّمَا يَفْعَلُونَ ذَلِكَ لِلْمُوَكِّلِينَ , فَيَحِلُّونَ فِي أَفْعَالِهِمْ تِلْكَ مَحَلَّهُمْ فَإِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ كَمَا أُمِرُوا لَزِمَ وَإِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ عَلَى غَيْرِ مَا أُمِرُوا بِهِ لَمْ يَلْزَمْ. وَالْعِبَادُ فِي طَلَاقِهِمْ إِنَّمَا يَفْعَلُونَهُ لِأَنْفُسِهِمْ لَا لِغَيْرِهِمْ , لَا لِرَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ , وَلَا يَحِلُّونَ فِي فِعْلِهِمْ ذَلِكَ مَحَلَّ غَيْرِهِمْ , فَيُرَادُ مِنْهُمْ فِي ذَلِكَ إِصَابَةُ مَا أَمَرَهُمْ بِهِ الَّذِينَ يَحِلُّونَ فِي فِعْلِهِمْ ذَلِكَ مَحَلَّهُ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَزِمَهُمْ مَا فَعَلُوا , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ مِمَّا قَدْ نُهُوا عَنْهُ , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ مِمَّا قَدْ نَهَى اللهُ تَعَالَى الْعِبَادَ عَنْ فِعْلِهَا , أَوْجَبَ عَلَيْهِمْ إِذَا فَعَلُوهَا أَحْكَامًا , مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ نَهَاهُمْ عَنِ الظِّهَارِ , وَوَصَفَهُ بِأَنَّهُ مُنْكَرٌ مِنَ الْقَوْلِ وَزُورٌ , وَلَمْ يَمْنَعْ مَا كَانَ كَذَلِكَ أَنْ تَحْرُمَ بِهِ الْمَرْأَةُ عَلَى زَوْجِهَا , حَتَّى يَفْعَلَ مَا أَمَرَهُ اللهُ تَعَالَى بِهِ مِنَ الْكَفَّارَةِ. فَلَمَّا [ص:56] رَأَيْنَا الظِّهَارَ قَوْلًا مُنْكَرًا وَزُورًا , وَقَدْ لَزِمَتْ بِهِ حُرْمَةٌ , كَانَ كَذَلِكَ الطَّلَاقُ الْمَنْهِيُّ عَنْهُ , هُوَ مُنْكَرٌ مِنَ الْقَوْلِ وَزُورٌ , وَالْحُرْمَةُ بِهِ وَاجِبَةٌ. وَقَدْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمَّا سَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ طَلَاقِ عَبْدِ اللهِ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ , أَمَرَهُ بِمُرَاجَعَتِهَا , وَتَوَاتَرَتْ عَنْهُ بِذَلِكَ الْآثَارُ , وَقَدْ ذَكَرْتُهَا فِي الْبَابِ الْأَوَّلِ وَلَا يَجُوزُ أَنْ يُؤْمَرَ بِالْمُرَاجَعَةِ , مَنْ لَمْ يَقَعْ طَلَاقُهُ. فَلَمَّا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَلْزَمَهُ الطَّلَاقَ فِي الْحَيْضِ , وَهُوَ وَقْتٌ لَا يَحِلُّ إِيقَاعُ الطَّلَاقِ فِيهِ , كَانَ كَذَلِكَ مَنْ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا , فَأَوْقَعَ كُلًّا فِي وَقْتِ الطَّلَاقِ لَزِمَهُ مِنْ ذَلِكَ مَا أَلْزَمَ نَفْسَهُ , وَإِنْ كَانَ قَدْ فَعَلَهُ عَلَى خِلَافِ مَا أُمِرَ بِهِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ. وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , مَا لَوِ اكْتَفَيْنَا بِهِ كَانَ حُجَّةً قَاطِعَةً , وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: فَلَمَّا كَانَ زَمَانُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ , قَدْ كَانَتْ لَكُمْ فِي الطَّلَاقِ أَنَاةٌ وَإِنَّهُ مَنْ تَعَجَّلَ أَنَاةَ اللهِ فِي الطَّلَاقِ أَلْزَمْنَاهُ إِيَّاهُ.

4475 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ , ثنا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ح

4476 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ الرَّمَادِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ , عَنْ مَعْمَرٍ , عَنْ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , مِثْلَ الْحَدِيثِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , غَيْرَ أَنَّهُمَا لَمْ يَذْكُرَا أَبَا الصَّهْبَاءِ وَلَا سُؤَالَهُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , وَإِنَّمَا ذَكَرَا مِثْلَ جَوَابِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا الَّذِي فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَذَكَرَا بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ كَلَامِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ قَبْلَ هَذَا الْحَدِيثِ. فَخَاطَبَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ بِذَلِكَ النَّاسَ جَمِيعًا , وَفِيهِمْ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ عَنْهُمْ , الَّذِينَ قَدْ عَلِمُوا مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَلِكَ , فِي ذَلِكَ , فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ , وَلَمْ يَدْفَعْهُ دَافِعٌ , فَكَانَ ذَلِكَ أَكْبَرَ الْحُجَّةِ فِي نَسْخِ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَلِكَ. لِأَنَّهُ لَمَّا كَانَ فِعْلُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمِيعًا فِعْلًا يَجِبُ بِهِ الْحُجَّةُ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا إِجْمَاعُهُمْ عَلَى الْقَوْلِ إِجْمَاعًا يَجِبُ بِهِ الْحُجَّةُ. وَكَمَا كَانَ إِجْمَاعُهُمْ عَلَى النَّقْلِ بَرِيئًا مِنَ الْوَهْمِ وَالزَّلَلِ , كَانَ كَذَلِكَ إِجْمَاعُهُمْ عَلَى الرَّأْيِ بَرِيئًا مِنَ الْوَهْمِ وَالزَّلَلِ. وَقَدْ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ قَدْ كَانَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَعَانِي , فَجَعَلَهَا أَصْحَابُهُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمْ مِنْ بَعْدِهِ , عَلَى خِلَافِ تِلْكَ الْمَعَانِي , لَمَّا رَأَوْا فِيهِ مِمَّا قَدْ خَفِيَ عَلَى مَنْ بَعْدَهُمْ , فَكَانَ ذَلِكَ حُجَّةً نَاسِخًا , لِمَا تَقَدَّمَهُ , مِنْ ذَلِكَ تَدْوِينُ الدَّوَاوِينِ وَالْمَنْعُ مِنْ بَيْعِ أُمَّهَاتِ الْأَوْلَادِ , وَقَدْ كُنَّ يُبَعْنَ قَبْلَ ذَلِكَ. [ص:57] وَالتَّوْقِيتُ فِي حَدِّ الْخَمْرِ , وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ تَوْقِيتٌ قَبْلَ ذَلِكَ فَلَمَّا كَانَ مَا عَمِلُوا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , وَوَقَفْنَا عَلَيْهِ , لَا يَجُوزُ لَنَا خِلَافُهُ إِلَى مَا قَدْ رَأَيْنَاهُ , مِمَّا قَدْ تَقَدَّمَ فِعْلُهُمْ لَهُ كَانَ كَذَلِكَ مَا وَقَفُونَا عَلَيْهِ مِنَ الطَّلَاقِ الثَّلَاثِ , الْمُوقَعِ مَعًا , أَنَّهُ يَلْزَمُ , لَا يَجُوزُ لَنَا خِلَافُهُ إِلَى غَيْرِهِ , مِمَّا قَدْ رُوِيَ أَنَّهُ كَانَ قَبْلَهُ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ. ثُمَّ هَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , قَدْ كَانَ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ يُفْتِي: مَنْ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا مَعًا , أَنَّ طَلَاقَهُ قَدْ لَزِمَهُ , وَحَرَّمَهَا عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৭৫
empty
৪৪৭৫।
4475 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৭৬
empty
৪৪৭৬।
4476 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৭৭
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৭৭। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. মালিক ইব্‌ন হারিস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করেন এবং বলেন, আমার চাচা তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে।” তিনি বললেন, “তােমার চাচা আল্লাহর নাফরমানী করেছে। আল্লাহ তা'আলা তাকে গুনাহগার করবেন, সে শয়তানের আনুগত্য করেছে। তাই আল্লাহ তার জন্যে বের হওয়ার স্থান সৃষ্টি করেননি।” অতঃপর আমি বললাম, আপনি ঐ ফাতওয়াদাতা ব্যক্তি সম্বন্ধে কি বলেন, যে মহিলাটিকে তার জন্যে হালাল মনে করে? তিনি তখন বলেন, যে আল্লাহকে ধোঁকা দেয়, আল্লাহ্ তাকে তার ধোঁকার শাস্তি প্রদান করেন।
4477 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ: إِنَّ عَمِّي طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا , فَقَالَ: «إِنَّ عَمَّكَ عَصَى اللهَ فَأَتَمَّهُ اللهُ وَأَطَاعَ الشَّيْطَانَ فَلَمْ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا» . فَقُلْتُ: كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ يُحِلُّهَا لَهُ؟ فَقَالَ «مَنْ يُخَادِعِ اللهَ يُخَادِعْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৭৮
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৭৮। ইউনুস (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইয়াস ইব্‌ন আল-বুকাইর (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি সংগমের পূর্বে তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে, অতঃপর সে তাকে বিয়ে করার মনস্থ করে। সে আমার কাছে ফাতওয়া তলব করার জন্যে আগমন করল। তখন আমি তার সাথে আবু হুরাইরা (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করলাম। আমি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে তার এ ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা দু'জনে বললেন, তােমাকে ছাড়া অন্য স্বামীকে বিয়ে করা ব্যতীত আমরা তার জন্যে অন্য কোন ব্যবস্থা দেখিনা। ঐ ব্যক্তিটি বলল, “আমিও তাকে মাত্র এক তালাক দিয়েছি” (অর্থাৎ একত্রে তিন তালাক দিয়েছি তাই এক তালাক হিসেবে গণ্য)। আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তােমার হাতে যে ক্ষমতা ছিল তা তুমি তােমার হাত থেকে ইতােমধ্যে অন্যত্র নিক্ষেপ করে দিয়েছ।” ।
4478 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ قَالَ: طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا , ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَنْكِحَهَا , فَجَاءَ يَسْتَفْتِي فَذَهَبْتُ مَعَهُ أَسْأَلُ لَهُ أَبَا هُرَيْرَةَ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَنْ ذَلِكَ. فَقَالَا: «لَا نَرَى أَنْ تَنْكِحَهَا , حَتَّى تَتَزَوَّجَ زَوْجًا غَيْرَكَ» . فَقَالَ: إِنَّمَا كَانَ طَلَاقِي إِيَّاهَا وَاحِدَةً. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: إِنَّكَ أَرْسَلَتْ مِنْ يَدِكَ , مَا كَانَ لَكَ مِنْ فَضْلٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৭৯
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৭৯। ইউনুস (রাহঃ) ….. মুয়াবিয়া ইবন আবু আইয়াশ আল-আনসারী থেকে বর্ণনা করেন। তিনি একদিন আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রাযিঃ) ও আসিম ইবন উমার (রাযিঃ)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন তাদের কাছে মুহাম্মাদ ইবন ইয়াস ইবন আল-বুকাইর (রাহঃ) আগমন করলেন এবং বললেনঃ একজন মরুবাসী সংগমের পূর্বে তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে। এখন আপনারা দু'জন এ সম্পর্কে কি বলেন? আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই । তুমি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও আবু হুরাইরা (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে, অতঃপর আমাদের কাছে আগমন করবে; এবং খবর দেবে যে, তারা কি বলেছেন।” মুহাম্মাদ ইবন ইয়াস ইবন আল-বুকাইর (রাহঃ) তাদের কাছে গমন করলেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) আবু হুরাইরা (রাযিঃ) কে বলেন, “আপনি ফাতওয়া দিন হে আবু হুরাইরা! আপনার কাছে একটি জটিল বিষয় এসেছে।” আবু হুরাইরা (রাযিঃ) বলেন, “এক তালাক স্ত্রীলােকটিকে তার স্বামী থেকে পৃথক করে দেয় আর তিন তালাক তাকে তার স্বামীর জন্যে হারাম করে দেয়; যতক্ষণ না সে অন্য স্বামীকে বিয়ে করে।”
4479 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ الْأَشَجِّ أَخْبَرَهُ , عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ الْأَنْصَارِيِّ , أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ , فَجَاءَهُمَا مُحَمَّدُ بْنُ إِيَاسِ بْنُ الْبُكَيْرِ فَقَالَ: إِنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا , فَمَاذَا تَرَيَانِ؟ فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ مَا لَنَا فِيهِ مِنْ قَوْلٍ , فَاذْهَبْ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ. فَاسْأَلْهُمَا ثُمَّ ائْتِنَا فَأَخْبِرْنَا. فَذَهَبَ فَسَأَلَهُمَا , فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: أَفْتِهِ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ , فَقَدْ جَاءَتْكَ مُعْضِلَةٌ - أَيْ مَسْأَلَةٌ صَعْبَةٌ مُشْكِلَةٌ - فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: «الْوَاحِدَةُ تُبِينُهَا , وَالثَّلَاثُ تُحَرِّمُهَا , حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮২
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৮০-৮২। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইবন ইয়াস ইব্‌ন আল-বুকাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ), আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-কে সংগম বিহীন তিন তালাক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াস ইবন আল-বুকাইর (রাহঃ) তার সাথে ছিলেন। তখন তারা সকলে বললেন, মহিলাটি তােমার জন্যে হারাম হয়ে গিয়েছে।
82- 4480 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ , أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ , وَأَبَا هُرَيْرَةَ , وَابْنَ عُمَرَ , عَنْ طَلَاقِ الْبِكْرِ ثَلَاثًا وَهُوَ مَعَهُ , فَكُلُّهُمْ قَالَ: «حُرِّمَتْ عَلَيْكَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮১
empty
৪৪৮১।
4481 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮২
empty
৪৪৮২।
4482 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮৪
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৮৩-৮৪। ইউনুস (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তারা দু'জনই সংগম বিহীন তিন তালাক প্রাপ্তা সম্পর্কে বলেন, “মহিলাটি তার স্বামীর জন্যে হারাম হয়ে যাবে যতক্ষণ না সে অন্য স্বামীকে বিয়ে করবে।”
84- 4483 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُمَا قَالَا فِي الرَّجُلِ يُطَلِّقُ الْبِكْرَ ثَلَاثًا: «لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৪
empty
৪৪৮৪।
4484 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮৬
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৮৫-৮৬। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. সায়ীদ ইবন জুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করল যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একশত বার তালাক দিয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তিন তালাকই স্ত্রীলােকটিকে তার স্বামীর জন্যে হারাম করে দেয়। আর বাকী ৯৭টির দায়ভার তার গর্দানে রয়ে গেল । কেননা সে আল্লাহর বিধানকে ঠাট্টা-তামাশার বস্তু করেছে।”


আলী ইব্‌ন শাইবা (রাহঃ) ….. ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
4485 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ أَنَّ رَجُلًا طَلَّقَ امْرَأَتَهُ مِائَةً. فَقَالَ: «ثَلَاثٌ تُحَرِّمُهَا عَلَيْهِ , وَسَبْعَةٌ وَتِسْعُونَ فِي رَقَبَتِهِ , إِنَّهُ اتَّخَذَ آيَاتِ اللهِ هُزُوًا»

4486 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৬
empty
৪৪৮৬।
4486 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৭
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৮৭। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. মুজাহিদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একশত বার তালাক দিয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তুমি তােমার প্রতিপালকের নাফরমানী করেছ। তােমার স্ত্রী তােমার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। তুমি আল্লাহকে ভয় করনি। যদি ভয় করতে তােমার জন্য আল্লাহ তা'আলা বের হওয়ার একটি পথ করে দিতেন। কেননা যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার পথ করে দেন। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ

অর্থাৎ হে নবী! তােমরা যখন তােমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছে করবে তাদেরকে তালাক দিবে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর অন্যান্য সাহাবী থেকে এ সম্পর্কে অনুরূপ বহু বর্ণনা বর্ণিত হয়েছেঃ
4487 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ , وَحُمَيْدٍ الْأَعْرَجِ , عَنْ مُجَاهِدٍ , أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: رَجُلٌ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ مِائَةً , فَقَالَ: " عَصَيْتَ رَبَّكَ وَبَانَتْ مِنْكَ امْرَأَتُكَ , لَمْ تَتَّقِ اللهَ فَيَجْعَلَ لَكَ مَخْرَجًا , مَنْ يَتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا , قَالَ اللهُ تَعَالَى: «يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ» . ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ عَنْهُمْ , مَا يُوَافِقُ ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৮
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৮৮। সালিহ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি সঙ্গমের পূর্ব নিজ স্ত্রীকে তিন তালাক দেয় তার সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত হল এই যে, তার স্ত্রী তার জন্যে হালাল হবেনা যতক্ষণ না সে অন্য স্বামীকে বিয়ে করবে।
4488 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , وَأَبُو عَوَانَةَ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ أَبِي وَائِلٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , أَنَّهُ قَالَ فِيمَنْ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا , قَالَ: «لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৮৯
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৮৯। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন মাউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তাকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সে তার স্ত্রীকে একশত বার তালাক দিয়েছিল। তিনি বলেন, “তিন তালাক তােমার স্ত্রীকে তােমার থেকে পৃথক করে দিবে। আর বাকি সবগুলাে হচ্ছে সীমালংঘন।”
4489 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ مِائَةً , قَالَ: «ثَلَاثٌ تُبِينُهَا مِنْكَ , وَسَائِرُهَا عُدْوَانٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৯০
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৯০। ইউনুস (রাহঃ) ..... আতা ইব্‌ন ইয়াসার (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করে অন্য এক ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে যে, সে তার স্ত্রীকে সঙ্গমের পূর্বে তিন তালাক প্রদান করে। আতা বলেন, আমি তাকে বললাম, সঙ্গম বিহীন তিন তালাক তাে এক তালাক হিসেবে গণ্য। আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, তুমি তাে কাহিনীকার (অর্থাৎ অজ্ঞ ব্যক্তি) হুকুম রহিত হয়ে গেছে। তুমি জেনে রেখােঃ এক তালাক মহিলাটিকে পৃথক করে দেয় আর তিন তালাক তাকে তার স্বামীর জন্যে হারাম করে দেয়, যতক্ষণ না সে অন্য স্বামীকে বিয়ে করবে।
4490 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ , عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ الْأَنْصَارِيِّ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , أَنَّهُ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , فَسَأَلَهُ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا , قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا. قَالَ عَطَاءٌ: فَقُلْتُ لَهُ , طَلَاقُ الْبِكْرِ وَاحِدَةٌ؟ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ: «إِنَّمَا أَنْتَ قَاصٌّ , الْوَاحِدَةُ تُبِينُهَا , وَالثَّلَاثُ تُحَرِّمُهَا حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৯১
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৯১। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “এক তালাক মহিলাটিকে পৃথক করে দেবে আর তিন তালাক তাকে স্বামীর কাছে হারাম করে দেবে।”
4491 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ , وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ , قَالَا: ثنا ابْنُ الْهَادِ , عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , قَالَ: «الْوَاحِدَةُ تُبِينُهَا , وَالثَّلَاثُ تُحَرِّمُهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৯২
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৯২। সালিহ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “স্ত্রীলােকটি তার স্বামীর জন্যে হালাল হবেনা যতক্ষণ না সে অন্য এক স্বামীকে বিয়ে করে।” তিনি আরাে বলেন, হযরত উমার (রাযিঃ)-এর কাছে যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক দিয়ে আগমন করত তিনি তার পিঠ ব্যথা করে দিতেন।
4492 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ: عَنْ شَقِيقٍ , عَنْ أَنَسٍ , قَالَ: «لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ» . قَالَ: وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِذَا أُتِيَ بِرَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا أَوْجَعَ ظَهْرَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৪
২. কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করে
৪৪৯৩-৯৪। ইউনুস (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাস্উদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সঙ্গমের পূর্বে যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে তাহলে স্ত্রীলােকটি তার জন্যে হালাল হবেনা, যতক্ষণ না সে অন্য স্বামীকে বিয়ে করবে।


ইউনুস (রাহঃ) ….. উমার (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন যে, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, বান্দাদেরকে হুকুম দেয়া হয়েছে তারা যেন কতগুলাে শর্ত মেনে মহিলাদেরকে বিয়ে করে। একটি শর্ত হল তাদেরকে মহিলাদের ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করার জন্যে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং যদি কেউ কোন মহিলাকে তার ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে তাহলে তার এ বিয়ে মহিলাটির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে না। মহিলাটির উপর পুরুষটির বিয়ের কোন বন্ধনই প্রতিফলিত হবেনা। এ তথ্যটির উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে এমন সময় তালাক প্রদান করে, যে সময় তালাক প্রদান করার জন্যে নিষেধ করা হয়েছে তাহলে তালাকটি গ্রহণযােগ্য নয়। আর তালাক যেন দেয়াই হয়নি অথচ তালাককে গণ্য করা হয়?

এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, এখানে যে বিবাহ বন্ধনের কথা বলা হয়েছে, এ ধরনের সকল রকমের বন্ধনেই বান্দাদেরকে হুকুম করা হয়েছে বিধায় সেই হুকুম মুতাবিক তাতে তারা প্রবেশ করে থাকে। তবে এগুলাে থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ ব্যতিরেকে বৈধ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা প্রত্যক্ষ করছি যে, বান্দাদেরকে সালাতে প্রবেশ করার হুকুম দেয়া হয়েছে। আর বান্দারাও তাকবীরে তাহরীমার মাধ্যমে সালাতে প্রবেশ করে থাকে। আবার তাদেরকে সালাত থেকে সালাম সহকারে বের হবার হুকুম দেয়া হয়েছে, তবে যে ব্যক্তি পবিত্রতা ও তাকবীর বিহীন সালাতে প্রবেশ করে সে প্রকৃত পক্ষে সালাতে প্রবেশকারী নয়। আর যে ব্যক্তি সালাতে খারাপ কথা বলবে কিংবা সালাতের মধ্যে এমন কার্য সম্পাদন করবে যা সালাতে সম্পাদন করার কথা নয়, যেমন পানাহার ও চলাফেরা করা ইত্যাদি, এগুলাের কারণে সে সালাত থেকে বের হয়ে যায় এবং সালাতে এসব কাজ করার কারণে সে গুনাহগারও হয়। অনুরূপভাবে বিয়েতে বান্দা প্রবেশ করে যেহেতু তাকে এ কাজ করার জন্যে হুকুম দেয়া হয়েছে। আবার কোন কোন সময় অন্য কারণেও হয়ে থাকে। এসব হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত ও বক্তব্য।
4493 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ , عَنْ شَقِيقٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ , قَالَ فِي الرَّجُلِ يُطَلِّقُ الْبِكْرَ ثَلَاثًا: «إِنَّهَا لَا تَحِلُّ لَهُ , حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ» .

4494 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ , قَالَ: حَدَّثَنِي شَقِيقٌ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , عَنْ عُمَرَ , مِثْلَهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: قَدْ رَأَيْنَا الْعِبَادَ أُمِرُوا أَنْ لَا يَنْكِحُوا النِّسَاءَ إِلَّا عَلَى شَرَائِطَ , مِنْهَا أَنَّهُمْ مُنِعُوا مِنْ نِكَاحِهِنَّ فِي عِدَّتِهِنَّ , فَكَانَ مَنْ نَكَحَ امْرَأَةً فِي عِدَّتِهَا , لَمْ يَثْبُتْ نِكَاحُهُ عَلَيْهَا , وَهُوَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يَعْقِدْ عَلَيْهَا نِكَاحًا , فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هُوَ إِذَا عَقَدَ عَلَيْهَا طَلَاقًا , فِي وَقْتٍ قَدْ نُهِيَ عَنْ إِيقَاعِ الطَّلَاقِ فِيهِ , أَنْ لَا يَقَعَ طَلَاقُهُ ذَلِكَ , وَأَنْ يَكُونَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يُوقِعْ طَلَاقًا. فَالْجَوَابُ فِي ذَلِكَ: أَنَّ مَا ذَكَرَ مِنْ عَقْدِ النِّكَاحِ كَذَلِكَ هُوَ , وَكَذَلِكَ الْعُقُودُ كُلُّهَا الَّتِي يَدْخُلُ الْعِبَادُ بِهَا فِي أَشْيَاءَ لَا يَدْخُلُونَ فِيهَا إِلَّا مِنْ حَيْثُ أُمِرُوا بِالدُّخُولِ فِيهَا. وَأَمَّا الْخُرُوجُ مِنْهَا , فَقَدْ يَجُوزُ بِغَيْرِ مَا أُمِرُوا بِالْخُرُوجِ بِهِ , مِنْ ذَلِكَ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الصَّلَوَاتِ قَدْ أُمِرَ الْعِبَادُ بِدُخُولِهَا , أَنْ لَا يَدْخُلُوهَا إِلَّا بِالتَّكْبِيرِ وَالْأَسْبَابِ الَّتِي يَدْخُلُونَ فِيهَا , وَأُمِرُوا أَنْ لَا يَخْرُجُوا مِنْهَا إِلَّا بِالتَّسْلِيمِ. فَكَانَ مَنْ دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ بِغَيْرِ طَهَارَةٍ وَبِغَيْرِ تَكْبِيرٍ , لَمْ يَكُنْ دَاخِلًا فِيهَا , وَكُلُّ مَنْ تَكَلَّمَ فِيهَا بِكَلَامٍ مَكْرُوهٍ أَوْ فَعَلَ فِيهَا شَيْئًا مِمَّا لَا يُفْعَلُ فِيهَا , مِنَ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ , وَالْمَشْيِ , وَمَا أَشْبَهَهُ , خَرَجَ بِهِ مِنَ الصَّلَاةِ , وَكَانَ مُسِيئًا فِيمَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِهِ. فَكَذَلِكَ الدُّخُولُ فِي النِّكَاحِ , لَا يَكُونُ إِلَّا مِنْ حَيْثُ أُمِرَ الْعِبَادُ بِالدُّخُولِ فِيهِ. وَالْخُرُوجُ مِنْهُ , قَدْ يَكُونُ بِمَا أُمِرُوا بِالْخُرُوجِ مِنْهُ وَبِغَيْرِ ذَلِكَ. فَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান