শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২০৫৬
৪৮. তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৫৬। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে আমি রামাযানের সিয়াম পালন করেছি। তিনি রামাযান মাসের সাত দিন বাকি থাকা পর্যন্ত আমাদের নিয়ে কিয়াম করেননি। অবশেষে শেষের দিক থেকে সপ্তম রাতে তিনি বেরিয়ে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এমন কি রাতের এক তৃতীয়াংশ এতে অতিবাহিত হয়ে গেল। এরপর আর ষষ্ঠ রাতে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন না। পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। অর্ধেক রাত অতিবাহিত হয়ে গেল। আমরা তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের রাতের অবশিষ্ট অংশও যদি নফল আদায় করে অতিবাহিত করে দিতেন। তিনি বললেনঃ কোন সম্প্রদায় যখন ইমামের সালাত শেষ করা পর্যন্ত তাঁর সাথে সালাত আদায় করে তাদের জন্য সারারাত কিয়াম এর সালাত আদায়ের সাওয়াব লেখা হয়। তারপর তিনি (শেষের দিক থেকে) চতুর্থ রাতে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন না। তৃতীয় রাতে তিনি তাঁর পরিবার পরিজন নিয়ে বেরিয়ে এসে আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সালাত আদায় করলেন যে, আমরা 'ফালাহ' ছুটে যাওয়ার আশংকা বোধ করলাম। রাবী বলেন, আমি আবু যার (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, 'ফালাহ' কি? উত্তরে তিনি বললেন, সাহরী। আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, রামাযান মাসে গৃহ অপেক্ষা ইমামের সাথে কিয়াম (তারাবীহ) করা উত্তম। এ প্রসঙ্গে তাঁর রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর এ উক্তি দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন, যে ব্যক্তি ইমামের (সালাম) শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সাথে কিয়াম করবে তার জন্য তা অবশিষ্ট রাতের ইবাদত হিসাবে লেখা হবে।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ বরং ইমামের সাথে সালাত আদায় করা অপেক্ষা ঘরে পড়াই শ্রেয়। তাঁদের স্বপক্ষে প্রমাণ হলো, যেমনিভাবে পূর্বোক্ত মতের অনুসারীগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এ উক্তি দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, “ইমামের সালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে তাঁর সাথে কিয়াম করবে (সালাত পড়বে) তার জন্য তা অবশিষ্ট রাতের ইবাদত হিসাবে লেখা হবে"। এমনিভাবে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ হাদীসও বর্ণিত হয়েছে, ফরয ব্যতীত ব্যক্তির অন্য সালাত (নফল) মসজিদ অপেক্ষা ঘরে আদায় করা উত্তম। এটা তখনকার কথা, যখন সাহাবীণণকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযানের এক রাতে কিয়াম করলেন। তারপর সাহাবীগণ ইচ্ছা প্রকাশ করলেন যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদেরকে নিয়ে কিয়াম করেন (সালাত পড়েন)।
এই পরিস্থিতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের লক্ষ্য করে উপরোক্ত কথা বললেন। এতে তিনি তাঁদের একথা জানিয়ে দিলেন যে, ঘরের মধ্যে তাঁদের একাকী সালাত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে তাঁর মসজিদে পড়া অপেক্ষা শ্রেয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছাড়া অন্য কারো সাথে তাঁর মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে পড়ার চাইতে ঘরে তাদের সেই পালাত শ্রেষ্ঠত্বের অধিক হকদার। সুতরাং উপরোক্ত দুটি হাদীসের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা এ বিষয়টিকে অবশ্যই প্রমাণ করবে যে, আবু যার (রাযিঃ)-এর হাদীসের সঠিক অর্থ হলো ইমামের সাথে কিয়াম করা তার জন্য অবশিষ্ট রাতের ইবাদত বলে লিখা হবে। আর যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) এর হাদীসের মর্ম হলো যে, পরে আদায়কৃত সালাত মসজিদের সালাত অপেক্ষা উত্তম। এভাবে দুটি হাদীসের মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ থাকে না।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ বরং ইমামের সাথে সালাত আদায় করা অপেক্ষা ঘরে পড়াই শ্রেয়। তাঁদের স্বপক্ষে প্রমাণ হলো, যেমনিভাবে পূর্বোক্ত মতের অনুসারীগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এ উক্তি দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, “ইমামের সালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে তাঁর সাথে কিয়াম করবে (সালাত পড়বে) তার জন্য তা অবশিষ্ট রাতের ইবাদত হিসাবে লেখা হবে"। এমনিভাবে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ হাদীসও বর্ণিত হয়েছে, ফরয ব্যতীত ব্যক্তির অন্য সালাত (নফল) মসজিদ অপেক্ষা ঘরে আদায় করা উত্তম। এটা তখনকার কথা, যখন সাহাবীণণকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযানের এক রাতে কিয়াম করলেন। তারপর সাহাবীগণ ইচ্ছা প্রকাশ করলেন যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদেরকে নিয়ে কিয়াম করেন (সালাত পড়েন)।
এই পরিস্থিতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের লক্ষ্য করে উপরোক্ত কথা বললেন। এতে তিনি তাঁদের একথা জানিয়ে দিলেন যে, ঘরের মধ্যে তাঁদের একাকী সালাত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে তাঁর মসজিদে পড়া অপেক্ষা শ্রেয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছাড়া অন্য কারো সাথে তাঁর মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে পড়ার চাইতে ঘরে তাদের সেই পালাত শ্রেষ্ঠত্বের অধিক হকদার। সুতরাং উপরোক্ত দুটি হাদীসের বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা এ বিষয়টিকে অবশ্যই প্রমাণ করবে যে, আবু যার (রাযিঃ)-এর হাদীসের সঠিক অর্থ হলো ইমামের সাথে কিয়াম করা তার জন্য অবশিষ্ট রাতের ইবাদত বলে লিখা হবে। আর যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) এর হাদীসের মর্ম হলো যে, পরে আদায়কৃত সালাত মসজিদের সালাত অপেক্ষা উত্তম। এভাবে দুটি হাদীসের মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ থাকে না।
بَابُ الْقِيَامِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ هَلْ هُوَ فِي الْمَنَازِلِ أَفْضَلُ أَمْ مَعَ الْإِمَامِ؟
2056 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا دَاوُدُ وَهُوَ ابْنُ أَبِي هِنْدٍ , عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ عَنْ أَبِي ذَرٍّ , قَالَ: صُمْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَضَانَ , وَلَمْ يَقُمْ بِنَا , حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ. فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ السَّابِعَةُ خَرَجَ فَصَلَّى بِنَا , حَتَّى مَضَى ثُلُثُ اللَّيْلِ , ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا السَّادِسَةَ , حَتَّى خَرَجَ لَيْلَةَ الْخَامِسَةِ , فَصَلَّى بِنَا حَتَّى مَضَى شَطْرُ اللَّيْلِ. فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ , لَوْ نَفَّلْتنَا؟ فَقَالَ: «إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا صَلَّوْا مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ , كُتِبَ لَهُمْ قِيَامُ تِلْكَ اللَّيْلَةِ» ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا الرَّابِعَةَ حَتَّى إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ الثَّالِثَةِ , خَرَجَ وَخَرَجَ بِأَهْلِهِ , فَصَلَّى بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلَاحُ , قُلْتُ: وَمَا الْفَلَاحُ. قَالَ: «السُّحُورُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْقِيَامَ مَعَ الْإِمَامِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ , أَفْضَلُ مِنْهُ فِي الْمَنَازِلِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ , كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ بَقِيَّةِ لَيْلَتِهِ» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ صَلَاتُهُ فِي بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِ مَعَ الْإِمَامِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ مَا احْتَجُّوا بِهِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ بَقِيَّةِ لَيْلَتِهِ» كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَلَكِنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا أَنَّهُ قَالَ: «خَيْرُ صَلَاةِ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ , إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ» , فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ. وَذَلِكَ لَمَّا كَانَ قَامَ بِهِمْ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ فَأَرَادُوا أَنْ يَقُومَ بِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ , فَقَالَ لَهُمْ هَذَا الْقَوْلَ. فَأَعْلَمَهُمْ بِهِ أَنَّ صَلَاتَهُمْ فِي مَنَازِلِهِمْ وُحْدَانًا أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِمْ مَعَهُ فِي مَسْجِدِهِ , فَصَلَاتُهُمْ تِلْكَ فِي مَنَازِلِهِمْ أَحْرَى أَنْ يَكُونَ أَفْضَلَ مِنَ الصَّلَاةِ مَعَ غَيْرِهِ فِي غَيْرِ مَسْجِدِهِ. فَتَصْحِيحُ هَذَيْنِ الْأَثَرَيْنِ , يُوجِبُ أَنَّ حَدِيثَ أَبِي ذَرٍّ هُوَ عَلَى أَنْ يُكْتَبَ لَهُ بِالْقِيَامِ مَعَ الْإِمَامِ , قُنُوتُ بَقِيَّةِ لَيْلَتِهِ. وَحَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ , يُوجِبُ أَنَّ مَا فَعَلَ فِي بَيْتِهِ هُوَ أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ , حَتَّى لَا يَتَضَادَّ هَذَانِ الْأَثَرَانِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৫৭
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৫৭। মারযূক (রাহঃ) এবং আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) …… যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার চাটাই দিয়ে মসজিদে হুজরা তৈরী করেছিলেন, কয়েকরাত তিনি সেখানে সালাত আদায় করলেন। ফলে সেখানে অনেক লোকজনের সমাবেশ ঘটল। তারপর সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ) তাঁর কোন সাড়াশব্দ পেলেন না। তাঁরা মনে করলেন, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। ফলে কেউ কেউ তখন গলা খাঁকার আদায় করলেন। ফলে সেখানে অনেক লোকজনের সমাবেশ ঘটল। তারপর সাহাবায়ে কিরাম (রাযিঃ) তাঁর কোন সাড়াশব্দ পেলেন না। তাঁরা মনে করলেন, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। ফলে কেউ কেউ তখন গলা খাঁকার দিতে লাগলেন, যাতে তিনি বেরিয়ে আসেন। পরে তিনি বললেন, অদ্য রাত থেকে দেখছি তোমরা এরূপ কাজ করছ; ফলে আমি আশংকা করছি কিয়ামুল লায়ল তথা রাতের সালাত (তারাবীহ) তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হয় কিনা। আর যদি তোমাদের উপর তা ফরয করে দেয়া হয় তাহলে তোমরা তা করতে পারবেনা। অতএব হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের ঘরে সালাত পড়। কারণ শুধু মাত্র ফরয ছাড়া ব্যক্তির ঘরে সালাতই উত্তম।
2057 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَا: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَرَ حُجْرَةً فِي الْمَسْجِدِ مِنْ حَصِيرٍ , فَصَلَّى فِيهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَالِيَ , حَتَّى اجْتَمَعَ إِلَيْهِ نَاسٌ ثُمَّ فَقَدُوا صَوْتَهُ , فَظَنُّوا أَنَّهُ قَدْ نَامَ , فَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَنَحْنَحُ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ , فَقَالَ: «مَا زَالَ بِكُمُ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ صَنِيعِكُمْ مُنْذُ اللَّيْلَةِ , حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيْكُمْ قِيَامُ اللَّيْلِ , وَلَوْ كُتِبَ عَلَيْكُمْ , مَا قُمْتُمْ بِهِ , فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ , فَإِنَّ أَفْضَلَ صَلَاةِ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ , إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ»
হাদীস নং:২০৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫৯
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৫৮-২০৫৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ শুধুমাত্র ফরয ছাড়া আমার এ মসজিদে পালাত আদায় অপেক্ষা ব্যক্তির ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম।
রবী' আলজীয়ী (রাহঃ).... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ফরয ছাড়া তার ঘরের সালাত হলো উত্তম।
যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) ছাড়াও অন্যদের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে আরো কিছু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে, যেগুলো আমরা 'মসজিদে নফল সালাত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
অতএব এসব হাদীসের যথার্থ মর্ম আমাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়ে গেল। এবং এর স্বপক্ষে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরবর্তী (সাহাবী তাবিঈন) থেকে বিবরণ আছে, যার বিশুদ্ধতা আমরা বর্ণনা করেছি।
রবী' আলজীয়ী (রাহঃ).... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ফরয ছাড়া তার ঘরের সালাত হলো উত্তম।
যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) ছাড়াও অন্যদের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে আরো কিছু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে, যেগুলো আমরা 'মসজিদে নফল সালাত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
অতএব এসব হাদীসের যথার্থ মর্ম আমাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়ে গেল। এবং এর স্বপক্ষে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরবর্তী (সাহাবী তাবিঈন) থেকে বিবরণ আছে, যার বিশুদ্ধতা আমরা বর্ণনা করেছি।
2058 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوُحَاظِيُّ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَرَدَانُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي فُلَانٍ , وَهُوَ ابْنُ أَبِي النَّضْرِ , عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صَلَاةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِ فِي مَسْجِدِي هَذَا إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ»
2059 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، وَأَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَا: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَفْضَلَ صَلَاةِ الْمَرْءِ , صَلَاتُهُ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي بَابِ التَّطَوُّعِ فِي الْمَسَاجِدِ. فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , مَا ذَكَرْنَاهُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَمَّنْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ مَا صَحَّحْنَاهَا عَلَيْهِ
2059 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، وَأَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَا: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَفْضَلَ صَلَاةِ الْمَرْءِ , صَلَاتُهُ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي بَابِ التَّطَوُّعِ فِي الْمَسَاجِدِ. فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , مَا ذَكَرْنَاهُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَمَّنْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ مَا صَحَّحْنَاهَا عَلَيْهِ
হাদীস নং:২০৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬১
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬০-২০৬১। ফাহাদ (রাহঃ) .....ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রামাযান মাসে ইমামের পিছনে সালাত (তারাবীহ) পড়তেন না।
আবু বাকরা (রাহঃ)..... মুজাহিদ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি ইবন উমর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি কি রামাযান (মাসে) ইমামের পিছনে সালাত আদায় করব? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পড়তে পার? সে বলল হ্যাঁ, পারি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি তোমার ঘরে সালাত আদায় কর।
আবু বাকরা (রাহঃ)..... মুজাহিদ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি ইবন উমর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি কি রামাযান (মাসে) ইমামের পিছনে সালাত আদায় করব? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পড়তে পার? সে বলল হ্যাঁ, পারি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি তোমার ঘরে সালাত আদায় কর।
2060 - فَمِنْ ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ كَانَ لَا يُصَلِّي خَلْفَ الْإِمَامِ فِي رَمَضَانَ»
2061 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أُصَلِّي خَلْفَ الْإِمَامِ فِي رَمَضَانَ؟ فَقَالَ: «أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ» قَالَ: نَعَمْ , قَالَ: «صَلِّ فِي بَيْتِكَ»
2061 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أُصَلِّي خَلْفَ الْإِمَامِ فِي رَمَضَانَ؟ فَقَالَ: «أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ» قَالَ: نَعَمْ , قَالَ: «صَلِّ فِي بَيْتِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬২
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬২। ফাহাদ (রাহঃ) ...... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যদি দুটি সূরা ব্যতীত আর কিছু আমার মুখস্থ (হিফয) না থাকে তাহলে আমি এ দুটো সূরারই পুনরাবৃত্তি করব। এটাই আমার নিকট রামাযান মাসে ইমামের পিছনে তারাবীহ পড়া অপেক্ষা প্রিয়।
2062 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، وَمُغِيرَةَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعِي إِلَّا سُورَتَانِ لَرَدَّدْتُهُمَا , أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي رَمَضَانَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৪
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬৩-২০৬৪। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ)..... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রামাযান মাসে তাহাজ্জুদ আদায়কারীগণ মসজিদের এক কোণে সালাত পড়তেন আর ইমাম লোকজন নিয়ে সালাত পড়তেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ......... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, লোকজন রামাযান মাসে সালাত পড়ত, কেউ তাদের ইমামতি করতেন। আর কিছু সংখ্যক লোক একাকী মসজিদে সালাত আদায় করত। শু’বা (রাহঃ) বলেছেন, ইসহাক ইবন সুয়াইদ (রাহঃ)-কে আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ইমাম আমাদের এখানে ইমামতি করতেন। আমাদের একটি কাতার ছিল, তার নাম ছিলো কারীদের কাতার। আমরা একাকী সালাত আদায় করতাম। আর ইমামের ইমামতিতে লোকজন সালাত পড়ত।
আবু বাকরা (রাহঃ) ......... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, লোকজন রামাযান মাসে সালাত পড়ত, কেউ তাদের ইমামতি করতেন। আর কিছু সংখ্যক লোক একাকী মসজিদে সালাত আদায় করত। শু’বা (রাহঃ) বলেছেন, ইসহাক ইবন সুয়াইদ (রাহঃ)-কে আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ইমাম আমাদের এখানে ইমামতি করতেন। আমাদের একটি কাতার ছিল, তার নাম ছিলো কারীদের কাতার। আমরা একাকী সালাত আদায় করতাম। আর ইমামের ইমামতিতে লোকজন সালাত পড়ত।
2063 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «كَانَ الْمُتَهَجِّدُونَ يُصَلُّونَ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ , وَالْإِمَامُ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي رَمَضَانَ»
2064 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «كَانُوا يُصَلُّونَ فِي رَمَضَانَ , فَيَؤُمُّهُمُ الرَّجُلُ , وَبَعْضُ الْقَوْمِ يُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ وَحْدَهُ» قَالَ شُعْبَةُ: سَأَلْتُ إِسْحَاقَ بْنَ سُوَيْدٍ عَنْ هَذَا , فَقَالَ: كَانَ الْإِمَامُ هَاهُنَا يَؤُمُّنَا , وَكَانَ لَنَا صَفٌّ يُقَالُ لَهُ: صَفُّ الْقُرَّاءِ , فَنُصَلِّي وُحْدَانًا وَالْإِمَامُ يُصَلِّي بِالنَّاسِ
2064 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «كَانُوا يُصَلُّونَ فِي رَمَضَانَ , فَيَؤُمُّهُمُ الرَّجُلُ , وَبَعْضُ الْقَوْمِ يُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ وَحْدَهُ» قَالَ شُعْبَةُ: سَأَلْتُ إِسْحَاقَ بْنَ سُوَيْدٍ عَنْ هَذَا , فَقَالَ: كَانَ الْإِمَامُ هَاهُنَا يَؤُمُّنَا , وَكَانَ لَنَا صَفٌّ يُقَالُ لَهُ: صَفُّ الْقُرَّاءِ , فَنُصَلِّي وُحْدَانًا وَالْإِمَامُ يُصَلِّي بِالنَّاسِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৬
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬৫-২০৬৬। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইবরাহীম (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার নিকট যদি কেবল মাত্র একটি সূরাই (স্মরণ) থাকে তাহলে অবশ্যই আমি সেটাই বারবার পড়তাম, রামযান মাসে ইমামের পিছনে (তারাবীহ) সালাতে দাঁড়ানো অপেক্ষা এটাই আমার নিকট অধিক প্রিয় ।
ইউনুস (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) …… উরওয়া (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রামাযানে লোকজনের সাথে মসজিদে সালাত আদায় করতেন। তারপর বাড়ির দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন। ফলে (তারাবীহতে) লোকজনের সাথে দাঁড়াতেন না।
ইউনুস (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) …… উরওয়া (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি রামাযানে লোকজনের সাথে মসজিদে সালাত আদায় করতেন। তারপর বাড়ির দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন। ফলে (তারাবীহতে) লোকজনের সাথে দাঁড়াতেন না।
2065 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «لَوْ لَمْ يَكُنْ مَعِي إِلَّا سُورَةٌ وَاحِدَةٌ , لَكُنْتُ أَنْ أُرَدِّدَهَا , أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي رَمَضَانَ»
2066 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَفَهْدٌ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ «أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّاسِ فِي رَمَضَانَ , ثُمَّ يَنْصَرِفُ إِلَى مَنْزِلِهِ , فَلَا يَقُومُ مَعَ النَّاسِ»
2066 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَفَهْدٌ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ «أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّاسِ فِي رَمَضَانَ , ثُمَّ يَنْصَرِفُ إِلَى مَنْزِلِهِ , فَلَا يَقُومُ مَعَ النَّاسِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬৭
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬৭। আবু বাকরা (রাহঃ) …… সাঈদ জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রামাযানে ইমাম মসজিদে (জামাতে) সালাত আদায়রত অবস্থায় তিনি একাকী মসজিদে সালাত আদায় করতেন।
2067 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، قَالَ: لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ أَبِي بِشْرٍ، «أَنَّ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، كَانَ يُصَلِّي فِي رَمَضَانَ فِي الْمَسْجِدِ وَحْدَهُ , وَالْإِمَامُ يُصَلِّي بِهِمْ فِيهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬৮
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬৮। ইউনুস (রাহঃ) …… উবায়দুল্লাহ ইবন উমর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কাসিম (রাহঃ), সালিম (রাহঃ) ও নাফি' (রাহঃ)-কে আমি দেখেছি রামাযানে মসজিদে থেকে প্রত্যাবর্তন করছেন, লোকজনের সাথে (তারাবীহতে) দাঁড়াচ্ছেন না।
2068 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا أَنَسٌ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , قَالَ: «رَأَيْتُ الْقَاسِمَ , وَسَالِمًا , وَنَافِعًا يَنْصَرِفُونَ مِنَ الْمَسْجِدِ فِي رَمَضَانَ , وَلَا يَقُومُونَ مَعَ النَّاسِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৬৯
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৬৯। ইবন মারযূক (রাহঃ) ...... আশআস ইবন সুলাইম (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইবন যুবাইর (রাযিঃ)-এর আমলে আমি (একবার) রামাযান মাসে মক্কায় এলাম। (দেখলাম) ইমাম লোকজন নিয়ে মসজিদে সালাত আদায় করছেন; আরেক দল মসজিদে আলাদা সালাত আদায় করছে।
অতএব সাহাবী-তাবিঈগণ থেকে যেসব রিওয়ায়াত পেশ করলাম এগুলো সব প্রমাণ করে রামাযান মাসে ইমামের সাথে সালাত আদায় (তারাবীহ) অপেক্ষা একাকী আদায় করাই উত্তম মনে করতেন। আর এটাই সঠিক।
অতএব সাহাবী-তাবিঈগণ থেকে যেসব রিওয়ায়াত পেশ করলাম এগুলো সব প্রমাণ করে রামাযান মাসে ইমামের সাথে সালাত আদায় (তারাবীহ) অপেক্ষা একাকী আদায় করাই উত্তম মনে করতেন। আর এটাই সঠিক।
2069 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ: «أَتَيْتُ مَكَّةَ , وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ , فِي زَمَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ , فَكَانَ الْإِمَامُ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي الْمَسْجِدِ , وَقَوْمٌ يُصَلُّونَ عَلَى حِدَةٍ فِي الْمَسْجِدِ» فَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ رَوَيْنَا عَنْهُمْ مَا رَوَيْنَا مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ , كُلُّهُمْ يُفَضِّلُ صَلَاتَهُ وَحْدَهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ , عَلَى صَلَاتِهِ مَعَ الْإِمَامِ , وَذَلِكَ هُوَ الصَّوَابُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান