শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫৯
তারাবীহ (কিয়ামে রামাযান) ঘরে পড়া উত্তম না ইমামের সাথে ?
২০৫৮-২০৫৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ শুধুমাত্র ফরয ছাড়া আমার এ মসজিদে পালাত আদায় অপেক্ষা ব্যক্তির ঘরে সালাত আদায় করা উত্তম।
রবী' আলজীয়ী (রাহঃ).... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ফরয ছাড়া তার ঘরের সালাত হলো উত্তম।
যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) ছাড়াও অন্যদের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে আরো কিছু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে, যেগুলো আমরা 'মসজিদে নফল সালাত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
অতএব এসব হাদীসের যথার্থ মর্ম আমাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়ে গেল। এবং এর স্বপক্ষে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরবর্তী (সাহাবী তাবিঈন) থেকে বিবরণ আছে, যার বিশুদ্ধতা আমরা বর্ণনা করেছি।
রবী' আলজীয়ী (রাহঃ).... যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ফরয ছাড়া তার ঘরের সালাত হলো উত্তম।
যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) ছাড়াও অন্যদের সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে আরো কিছু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে, যেগুলো আমরা 'মসজিদে নফল সালাত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
অতএব এসব হাদীসের যথার্থ মর্ম আমাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়ে গেল। এবং এর স্বপক্ষে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরবর্তী (সাহাবী তাবিঈন) থেকে বিবরণ আছে, যার বিশুদ্ধতা আমরা বর্ণনা করেছি।
2058 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوُحَاظِيُّ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَرَدَانُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي فُلَانٍ , وَهُوَ ابْنُ أَبِي النَّضْرِ , عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صَلَاةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِ فِي مَسْجِدِي هَذَا إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ»
2059 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، وَأَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَا: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَفْضَلَ صَلَاةِ الْمَرْءِ , صَلَاتُهُ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي بَابِ التَّطَوُّعِ فِي الْمَسَاجِدِ. فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , مَا ذَكَرْنَاهُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَمَّنْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ مَا صَحَّحْنَاهَا عَلَيْهِ
2059 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، وَأَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَا: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَفْضَلَ صَلَاةِ الْمَرْءِ , صَلَاتُهُ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي بَابِ التَّطَوُّعِ فِي الْمَسَاجِدِ. فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , مَا ذَكَرْنَاهُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَمَّنْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُوَافِقُ مَا صَحَّحْنَاهَا عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয ব্যতীত যে কোন নামাযই ঘরে পড়া উত্তম। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/২২) সহীহ সনদে হযরত আব্দুল্লাহ বিন সাআদ রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, আমার ঘর মাসজিদের কত নিকটে। এতদ্সত্ত্বেও আমার নিকট মাসজিদে নামায আদায় করার চেয়ে ঘরে নামায আদায় করা উত্তম। তবে ফরয নামায হলে ভিন্ন কথা। (ইবনে মাযা-১৩৭৮) শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
অবশ্য ফরযের পরের ছুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ না পড়ে বের হয়ে গেলে যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে, উক্ত নামায হয়তো আর পড়া হবে না তাহলে মাসজিদ থেকে ছুন্নাত পড়ে বের হবে।
অবশ্য ফরযের পরের ছুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ না পড়ে বের হয়ে গেলে যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে, উক্ত নামায হয়তো আর পড়া হবে না তাহলে মাসজিদ থেকে ছুন্নাত পড়ে বের হবে।


বর্ণনাকারী: