শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯৮
২৩-রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৩৯৬-১৩৯৮। রবীউল মুয়াযযিন (রঃ).....আলী ইব্ন আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রূকু অবস্থায় এ দুআ পড়তেনঃ
”হে আল্লাহ, আমি তোমার জন্যই রূকু করেছি, তোমারই উপর ঈমান এনেছি, তোমারই আনুগত্য করি, তুমি আমার প্রতিপালক। আমার কান, আমার চোখ, আমার মগজ, আমার হাড় ও আমার মেরুদন্ড ও তোমার উদ্দেশ্যে অবনত হয়ে গিয়েছে । (আর এটা ) সেই আল্লাহর জন্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক।”
এবং তিনি সিজ্দায় বলতেনঃ
”হে আল্লাহ! আমি তোমারাই উদ্দেশ্যে সিজ্দা করেছি; তোমারাই আনুগত্য করি; তুমি আমার প্রতিপালক। আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার উদ্দেশ্যে সিজ্দা করছে, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, এর কান ও চোখ সৃষ্টি করেছেনঅ আল্লাহ তাআলা বরকতপূর্ণ সত্তা এবং সর্বোত্তম শ্রষ্টা।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আ'রাজ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
”হে আল্লাহ, আমি তোমার জন্যই রূকু করেছি, তোমারই উপর ঈমান এনেছি, তোমারই আনুগত্য করি, তুমি আমার প্রতিপালক। আমার কান, আমার চোখ, আমার মগজ, আমার হাড় ও আমার মেরুদন্ড ও তোমার উদ্দেশ্যে অবনত হয়ে গিয়েছে । (আর এটা ) সেই আল্লাহর জন্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক।”
এবং তিনি সিজ্দায় বলতেনঃ
”হে আল্লাহ! আমি তোমারাই উদ্দেশ্যে সিজ্দা করেছি; তোমারাই আনুগত্য করি; তুমি আমার প্রতিপালক। আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার উদ্দেশ্যে সিজ্দা করছে, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, এর কান ও চোখ সৃষ্টি করেছেনঅ আল্লাহ তাআলা বরকতপূর্ণ সত্তা এবং সর্বোত্তম শ্রষ্টা।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আ'রাজ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ مَا يَنْبَغِي أَنْ يُقَالَ: فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
1396 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ رَاكِعٌ: «اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ , وَلَكَ أَسْلَمْتُ , وَأَنْتَ رَبِّي , خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي وَعَصَبِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ» وَيَقُولُ فِي سُجُودِهِ: «اللهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ , وَلَكَ أَسْلَمْتُ , وَأَنْتَ رَبِّي , سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ»
1397 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ ح
1398 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالُوا: أنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمَاجِشُونِ، عَنِ الْمَاجِشُونِ، وَعَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ , عَنِ الْأَعْرَجِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1397 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ ح
1398 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالُوا: أنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمَاجِشُونِ، عَنِ الْمَاجِشُونِ، وَعَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ , عَنِ الْأَعْرَجِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৩৯৯
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৩৯৯। আবু উমাইয়া (রাহঃ).... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকু কালে বলতেন :
“হে আল্লাহ্! আমি তোমারই উদ্দেশ্যে রুকূ করেছি, তোমরাই প্রতি ঈমান এনেছি; তোমারই উদ্দেশ্যে আনুগত্য করি, তুমি আমার প্রতিপালক। আমার কান, চোখ, মগজ, হাড় ও যার দ্বারা আমার পা প্রতিষ্ঠিত আছে, সব তোমার উদ্দেশ্যে অবনত হয়ে গিয়েছে সে আল্লাহর জন্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক"।
“হে আল্লাহ্! আমি তোমারই উদ্দেশ্যে রুকূ করেছি, তোমরাই প্রতি ঈমান এনেছি; তোমারই উদ্দেশ্যে আনুগত্য করি, তুমি আমার প্রতিপালক। আমার কান, চোখ, মগজ, হাড় ও যার দ্বারা আমার পা প্রতিষ্ঠিত আছে, সব তোমার উদ্দেশ্যে অবনত হয়ে গিয়েছে সে আল্লাহর জন্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক"।
1399 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَكَعَ قَالَ: «اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ , وَبِكَ آمَنْتُ , وَلَكَ أَسْلَمْتُ , أَنْتَ رَبِّي , خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي , وَمَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ قَدَمِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪০০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০১
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪০০-১৪০১। আহমদ ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : আমাকে রুকূ বা সিজদাকালে কিরাআত করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। (আর নির্দেশ দেয়া আছে :) "রুকূতে তোমরা নিজ প্রতিপালকের মাহাত্ম্য বর্ণনা কর, আর সিজদার অত্যন্ত বেশী করে দু'আতে লিপ্ত হও। এটা তোমাদের জন্য কবুল হওয়ার বেশী উপযোগী"।
আহমদ ইবনুল হাসান কূফী (রাহঃ)... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ( দরজা থেকে) পর্দা উঠিয়ে দেখলেন, লোকেরা আবু বাকর (রাযিঃ)- এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে রয়েছে। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : আমাকে রুকূ বা সিজদাকালে কিরাআত করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। (আর নির্দেশ দেয়া আছে :) "রুকূতে তোমরা নিজ প্রতিপালকের মাহাত্ম্য বর্ণনা কর, আর সিজদার অত্যন্ত বেশী করে দু'আতে লিপ্ত হও। এটা তোমাদের জন্য কবুল হওয়ার বেশী উপযোগী"।
আহমদ ইবনুল হাসান কূফী (রাহঃ)... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ( দরজা থেকে) পর্দা উঠিয়ে দেখলেন, লোকেরা আবু বাকর (রাযিঃ)- এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে রয়েছে। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
1400 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ، قَالَ: أنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ وَأَنَا رَاكِعٌ أَوْ سَاجِدٌ. فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ , وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهَدُوا فِي الدُّعَاءِ فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ»
1401 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْكُوفِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «كَشَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السِّتَارَةَ , وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ» , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1401 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْكُوفِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «كَشَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السِّتَارَةَ , وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ» , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪০২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪০২-১৪০৫। আবু বাকরা (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকুতে এই বাক্যগুলো অধিক বলতেন : سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ , فَاغْفِرْ لِي إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ
“হে আল্লাহ্! আমি তোমারই প্রশংসার সঙ্গে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি; তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি তাওবা কবুলকারী।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ).... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
আলী ইবন শায়বা (রাহঃ).... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
“হে আল্লাহ্! আমি তোমারই প্রশংসার সঙ্গে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি; তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি তাওবা কবুলকারী।
ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ).... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
আলী ইবন শায়বা (রাহঃ).... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
1402 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ , فَاغْفِرْ لِي إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ»
1403 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، وَبِشْرُ بْنُ عُمَرَ، ح
1404 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالُوا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، فَذَكَرُوا بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1405 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْكَنَّاسِيُّ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1403 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، وَبِشْرُ بْنُ عُمَرَ، ح
1404 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالُوا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، فَذَكَرُوا بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1405 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْكَنَّاسِيُّ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৭
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪০৬-১৪০৭। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) রুকু ও সিজদায় এরূপ বলতেন : سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ
"ফিরিশতাগণ ও 'রূহুর কুদস’ (জিবরাঈল আ.)-এর প্রতিপালক পবিত্র ও মহিমান্বিত”।
ইবন মারযূক (রাহঃ).... কতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
"ফিরিশতাগণ ও 'রূহুর কুদস’ (জিবরাঈল আ.)-এর প্রতিপালক পবিত্র ও মহিমান্বিত”।
ইবন মারযূক (রাহঃ).... কতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
1406 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ: «سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ»
1407 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1407 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪১০
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪০৮-১৪১০। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক রাতে আমি নবী (ﷺ)কে খুঁজে পাইনি। (আমার বিছানায় পাইনি), ভাবলাম হয়ত তিনি তাঁর দাসীর কাছে চলে গেছেন। আমি তাঁকে হাত দ্বারা খুঁজলাম। তখন আমার হাত তাঁর পায়ের অগ্রভাগে গিয়ে পড়ল; তখন তিনি সিজ্দা করছিলেন আর বলছিলেন : اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ , وَأَعُوذُ بِعَفْوِكَ مِنْ عِقَابِكَ , وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
“হে আল্লাহ্! আমি তোমার অসন্তুষ্টি থেকে সন্তুষ্টির আশ্রয় চাচ্ছি; তোমার শাস্তি থেকে পানাহ , ক্ষমা ও অনুগ্রহের আশ্রয় চাচ্ছি; তোমার (ক্রোধ) থেকে তোমাররই আশ্রয়ে আসছি। আমি তোমার প্রশংসা করতে সক্ষম নই, তোমার সে শান, যা তুমি নিজেই বর্ণনা করেছ"।
ইউনুস ইবন আব্দিল আ'লা (রাহঃ)...... মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন হারিস আততায়মী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ).... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি : لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ বাক্য উল্লেখ করেন নি। অবশ্য তিনি এটা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন : أُثْنِي عَلَيْكَ لَا أَبْلُغُ كَمَا فِيكَ
"আমি তোমার প্রশংসা করছি কিন্তু তোমার পূর্ণতা পর্যন্ত পৌঁছতে পারি না”।
“হে আল্লাহ্! আমি তোমার অসন্তুষ্টি থেকে সন্তুষ্টির আশ্রয় চাচ্ছি; তোমার শাস্তি থেকে পানাহ , ক্ষমা ও অনুগ্রহের আশ্রয় চাচ্ছি; তোমার (ক্রোধ) থেকে তোমাররই আশ্রয়ে আসছি। আমি তোমার প্রশংসা করতে সক্ষম নই, তোমার সে শান, যা তুমি নিজেই বর্ণনা করেছ"।
ইউনুস ইবন আব্দিল আ'লা (রাহঃ)...... মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন হারিস আততায়মী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ).... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি : لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ বাক্য উল্লেখ করেন নি। অবশ্য তিনি এটা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন : أُثْنِي عَلَيْكَ لَا أَبْلُغُ كَمَا فِيكَ
"আমি তোমার প্রশংসা করছি কিন্তু তোমার পূর্ণতা পর্যন্ত পৌঁছতে পারি না”।
1408 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: فَقَدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ , فَظَنَنْتُ أَنَّهُ أَتَى جَارِيَتَهُ , فَالْتَمَسْتُهُ بِيَدِي فَوَقَعَتْ يَدِي عَلَى صُدُورِ قَدَمَيْهِ , وَهُوَ سَاجِدٌ يَقُولُ: «اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ , وَأَعُوذُ بِعَفْوِكَ مِنْ عِقَابِكَ , وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ»
1409 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، أَنَّ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1410 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُرْوَةَ، يَقُولُ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَذَكَرَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ «لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ وَزَادَ» أُثْنِي عَلَيْكَ لَا أَبْلُغُ كَمَا فِيكَ "
1409 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، أَنَّ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1410 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عُرْوَةَ، يَقُولُ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَذَكَرَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ «لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ وَزَادَ» أُثْنِي عَلَيْكَ لَا أَبْلُغُ كَمَا فِيكَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১১
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১১। ইউনুস (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিজদায় বলতেন: اللهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ , دِقَّهُ وَجُلَّهُ , أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ , وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ
“হে আল্লাহ্! আমার ছোট-বড়, প্রথম শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন সমস্ত ত্রুটি ক্ষমা করে দাও।"
“হে আল্লাহ্! আমার ছোট-বড়, প্রথম শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন সমস্ত ত্রুটি ক্ষমা করে দাও।"
1411 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ سُمَيٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي سُجُودِهِ: «اللهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ , دِقَّهُ وَجُلَّهُ , أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ , وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১২
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১২। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : সিজ্দা অবস্থায় বান্দা আল্লাহ্ তা'আলার সর্বাপেক্ষা অধিক নৈকট্য অর্জন করে। সুতরাং (সিজদায়) অধিক দু'আ কর।
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এ সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন যে, কোন ব্যক্তি তার রুকূ ও সিজদাতে পছন্দনীয় দু'আ করাতে কোনরূপ অসুবিধা নেই এবং তাঁদের মতে এ বিষয়ে কোন কিছু নির্দিষ্ট নেই। তাঁরা এ বিষয়ে এ সমস্ত উল্লিখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, তার জন্য রুকৃতে “সুবহানা রাব্বিআল আযীম"-এর অতিরিক্ত কিছু বলা সমীচীন নয়। তা যতবার ইচ্ছা পড়বে, কিন্তু তিনবারের চেয়ে যেন কম না হয়। এমনিভাবে সিজদাতে তার জন্য "সুবহানা রাব্বিআল আ'লা”-এর অতিরিক্ত কিছু বলা সমীচীন নয়। অবশ্য তা যতবার ইচ্ছা পড়তে পারে, কিন্তু তিনবারের কম না হয়।
তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : একদল আলিম এ সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন যে, কোন ব্যক্তি তার রুকূ ও সিজদাতে পছন্দনীয় দু'আ করাতে কোনরূপ অসুবিধা নেই এবং তাঁদের মতে এ বিষয়ে কোন কিছু নির্দিষ্ট নেই। তাঁরা এ বিষয়ে এ সমস্ত উল্লিখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, তার জন্য রুকৃতে “সুবহানা রাব্বিআল আযীম"-এর অতিরিক্ত কিছু বলা সমীচীন নয়। তা যতবার ইচ্ছা পড়বে, কিন্তু তিনবারের চেয়ে যেন কম না হয়। এমনিভাবে সিজদাতে তার জন্য "সুবহানা রাব্বিআল আ'লা”-এর অতিরিক্ত কিছু বলা সমীচীন নয়। অবশ্য তা যতবার ইচ্ছা পড়তে পারে, কিন্তু তিনবারের কম না হয়।
তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
1412 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ سُمَيٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ إِلَىاللهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَهُوَ سَاجِدٌ: فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ إِلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَدْعُوَ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ بِمَا أَحَبَّ , وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ عِنْدَهُمْ شَيْءٌ مُوَقَّتٌ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَزِيدَ فِي رُكُوعِهِ عَلَى «سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ» يُرَدِّدُهَا مَا أَحَبَّ , وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنْقُصَ فِي ذَلِكَ مِنْ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَزِيدَ فِي سُجُودِهِ عَلَى «سُبْحَانَ رَبِّي الْأَعْلَى» يُرَدِّدُهَا مَا أَحَبَّ , وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنْقُصَ ذَلِكَ مِنْ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪১৪
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১৩-১৪১৪। আব্দুর রহমান ইবনুল জারুদ (রাহঃ)..... উকবা ইবন আমের জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন কুরআনের আয়াত : فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ অবতীর্ণ হল, তখন নবী (ﷺ) বললেন, এটা তোমাদের রুকূতে অন্তর্ভুক্ত কর। আর যখন আয়াত : سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى অবতীর্ণ হল, তখন নবী (ﷺ) বললেন, এটা তোমাদের সিজদাতে অন্তর্ভুক্ত কর।
আহমদ ইবন আব্দির রহমান ইব্ন ওয়াহব (রাহঃ).... মুসা ইবন আয়্যূব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আহমদ ইবন আব্দির রহমান ইব্ন ওয়াহব (রাহঃ).... মুসা ইবন আয়্যূব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1413 - بِمَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ , قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ , قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ , عَنْ عَمِّهِ إِيَاسِ بْنِ عَامِرٍ الْغَافِقِيِّ , عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ {فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ} [الواقعة: 74] قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْعَلُوهَا فِي رُكُوعِكُمْ» وَلَمَّا نَزَلَتْ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى} [الأعلى: 1] قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْعَلُوهَا فِي سُجُودِكُمْ»
1414 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1414 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১৫
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১৫। সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (রাহঃ).... আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
ব্যাখ্যা
বস্তুত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের এটাও প্রমাণরূপে বিবেচিত যে, সম্ভবত যা কিছু প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তা এ দু’ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার, যা আমরা উকবা (রাযিঃ)-এর হাদীসে উল্লেখ করেছি।যখন এ দু’ আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন নবী তাঁদেরকে এ নির্দেশ প্রদান করেন। সুতরাং তাঁর নির্দেশ প্রদান, তাঁর পূর্ববর্তী আমলের জন্য 'নাসিখ' (রহিতকারী) সাব্যস্ত হবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটাও বর্ণিত আছে যে, তিনি নিজ রুকু ও সিজদায় সেই 'তাসবীহ' পড়তেন (আমল করতেন) যা তিনি উকবা (রাযিঃ)-এর হাদীসে নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যাখ্যা
বস্তুত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের এটাও প্রমাণরূপে বিবেচিত যে, সম্ভবত যা কিছু প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তা এ দু’ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেকার, যা আমরা উকবা (রাযিঃ)-এর হাদীসে উল্লেখ করেছি।যখন এ দু’ আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন নবী তাঁদেরকে এ নির্দেশ প্রদান করেন। সুতরাং তাঁর নির্দেশ প্রদান, তাঁর পূর্ববর্তী আমলের জন্য 'নাসিখ' (রহিতকারী) সাব্যস্ত হবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটাও বর্ণিত আছে যে, তিনি নিজ রুকু ও সিজদায় সেই 'তাসবীহ' পড়তেন (আমল করতেন) যা তিনি উকবা (রাযিঃ)-এর হাদীসে নির্দেশ দিয়েছেন।
1415 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ أَيْضًا فِي ذَلِكَ , أَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , إِنَّمَا كَانَ قَبْلَ نُزُولِ الْآيَتَيْنِ اللَّتَيْنِ ذَكَرْنَا فِي حَدِيثِ عُقْبَةَ. فَلَمَّا نَزَلَتَا أَمَرَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أَمَرَهُمْ بِهِ مِنْ ذَلِكَ , فَكَانَ أَمْرُهُ نَاسِخًا لِمَا تَقَدَّمَ مِنْ فِعْلِهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ مَا أَمَرَ بِهِ فِي حَدِيثِ عُقْبَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১৬
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১৬। ইবন মারযূক (রাহঃ) ...... হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক রাতে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছেন। তিনি তাঁর রুকূতে “সুবহানা রাব্বিআল আযীম" এবং সিজদাতে “সুবহানা রাব্বিআল আ'লা" পড়তেন।
1416 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، وَبِشْرُ بْنُ عُمَرَ قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ , فَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ» وَفِي سُجُودِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১৭
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১৭। ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান (রাহঃ).... হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজ রুকূতে “সুবহানা রাব্বিআল আযীম" তিনবার এবং সিজদাতে “সুবহান রাব্বিআল আ'লা" তিনবার পড়তেন।
ব্যাখ্যা
এটাও সেই কথার প্রমাণ বহন করছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, তিনি অবহিত করছেন যে, রুকূ ও সিজদাতে নির্দিষ্ট দু'আ পড়া বাঞ্ছনীয়। অপরাপর আলিমগণ বলেন, রুকূতে আল্লাহ্ তা'আলার ‘তা'যীম' মাহাত্ম্য-এর উপর কোন কিছুকে অতিরিক্ত করবে না এবং সিজদাতে দু'আ বেশী করে করবে। তাঁরা এ বিষয়ে আলী (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীস দুইটি দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা আমরা-অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি।
এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হল : তাঁরা নবী (ﷺ) এর বক্তব্য : “রুকূতে আল্লাহর মাহাত্ম্য' বর্ণনা কর” এটাকে প্রথমোক্ত হাদীসসমূহে বর্ণনাকৃত তাঁর আমলের জন্য 'নাসিখ' (রহিতকারী) সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং সম্ভাবনা থাকছে যে, তিনি রুকূতে মাহাত্ম্য বর্ণনা করার নির্দেশ তাঁর উপর فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে প্রদান করেছিলেন এবং তাঁদেরকে সিজদাতে পছন্দনীয় দু'আতে সাধ্যমত চেষ্টা করার নির্দেশ তার উপর سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে প্রদান করেছিলেন। যখন তাঁর উপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন তিনি তাঁদেরকে সিজদাতে শুধু সেই বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা উকবা (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং এর উপর তারা অতিরিক্ত করতেন না। সুতরাং এটা তাঁর পূর্ববর্তী হুকুমের জন্য 'নাসিখ' (রহিতকারী) হিসাবে বিবেচিত হবে। যেমনিভাবে فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ায় তাঁর নির্দেশে পূর্ববর্তী হুকুমকে রহিত করে দিয়েছে।
কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, সেই বিষয়টি (যা প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতে উল্লেখ রয়েছে) নবী (ﷺ) -এর ওফাত নিকটবর্তী কালের। কারণ, ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (দরজার) পর্দা উন্মুক্ত করেছেন, তখন লোকেরা (সাহাবীগণ) আবু বাকর (রাযিঃ)-এর পিছনে কাতারবন্দী ছিলেন।
তাঁকে উত্তরে বলা হবে : এই হাদীসে কি একথা ব্যক্ত হয়েছে যে, ওটা সেই সালাত ছিল, যার পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাত হয়ে গিয়েছে বা সেটা সেই অসুস্থতা ছিল, যাতে তিনি ইন্তিকাল করেছেন। হাদীসে এ সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ নেই। হতে পারে এটা সেই সালাত ছিল, যার পরে তিনি ওফাত পেয়েছেন বা তা অন্য কোন সালাত ছিল, যার পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। যদি এটা সেই সালাত হয়, যার পরে তিনি ওফাত পেয়েছেন, তাহলে সম্ভবত সেই সালাতের পরে তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে : سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى আয়াত তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি এটা পূর্ববর্তী সালাত হয়, তাহলে যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি তা পরবর্তী আয়াত দ্বারা (তানবীহ নির্দিষ্ট) হওয়া অধিকতর উপযোগী।
আর এটাই হল রিওয়ায়াতসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের দিক থেকে এ বিষয়ের বর্ণনা ও বিশ্লেষণ।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করছি, সালাতের কতগুলো স্থানে আল্লাহর যিকির রয়েছে। তা থেকে কিছু হল, সালাতে প্রবেশ করার জন্য তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলা। অনুরূপভাবে রুকু-সিজদা ও বসা থেকে উঠার জন্য তাকবীর বলা হয়। এটা তাকবীর ('আল্লাহ্ আকবার' বলা) তাকবীর হিসাবে বিবেচিত। লোকেরা এর উপর অবহিত হয়েছে এবং তা শিখে নিয়েছে। সুতরাং তাদের জন্য এটা ছেড়ে অন্য বাক্য গ্রহণ করা সমীচীন নয়। অনুরূপভাবে বৈঠকে যে লোকেরা 'তাশাহহুদ' পড়ে, তারা এ সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছে এবং তা শিখে নিয়েছে। তাদের জন্য এস্থলে অন্য যিকর গ্রহণ করার অনুমতি নেই। কারণ, কোন ব্যক্তি যদি 'আল্লাহু আকবার'-এর স্থলে 'আল্লাহু আযামু' বা 'আল্লাহু আজাল্লু' বলে তাহলে সে এ ব্যাপারে গোনাহগার প্রমাণিত হবে।
অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও সাহাবীগণ থেকে বর্ণিত 'তাশাহহুদ' ব্যতীত হাদীস বিরোধী অন্য শব্দমালা পড়ে, তাহলে সে এ বিষয়ে গোনাহগার বিবেচিত হবে। শেষ তাশাহহুদ থেকে অবসর হওয়ার পর তার জন্য পছন্দনীয় দু'আ পড়া জায়িয আছে। ইবন মাসউদ (রাযিঃ) কর্তৃক নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস মুতাবিক তাকে বলা হবে : “তারপর যা ইচ্ছা সে পড়বে।” সুতরাং প্রত্যেক যিকর-এর মধ্যে নির্দিষ্ট শব্দের অনুসরণ রয়েছে। এর থেকে নিজের পছন্দনীয় বাক্যের দিকে অতিক্রম করতে পারবে না, (শুধু এ বিষয়ে যা অবহিত হওয়া গিয়েছে, তা ব্যতীত)। যদিও তা তার সমর্থক হউক না কেন।
অতএব যখন এ বিষয়ে ঐকমত রয়েছে যে, রুকু ও সিজদাতে যিকর রয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে ঐকমত্য নেই যে, তার জন্য তাতে ইচ্ছাকৃত যে কোন যিকর জায়েজ কি-না। তাই যুক্তির দাবি হল রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদসহ অপরাপর যিকর-এর অনুরূপ হবে। ওটা নির্দিষ্ট বাক্য হবে । কারো জন্য যেমনিভাবে সালাতের অপরাপর যিকরসমূহের অন্য বাক্যের দিকে অতিক্রম করা জায়িয নেই, তেমনিভাবে এখানেও অন্য বাক্যের দিকে অতিক্রম করা জায়িয নেই। তার জন্য অন্য বাক্যের দিকে অতিক্রম করা একমাত্র সেখানেই জায়িয হবে যেখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুমতি প্রদান করেছেন।
এতে সেই সমস্ত আলিমের অভিমত সাব্যস্ত হলো, যারা তাতে নির্দিষ্ট যিকর নির্ধারণ করেছেন এবং যারা উকবা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন, যাতে রুকু ও সিজদার বাক্যগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিবরণ রয়েছে। আর এটাই হল, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, তাশাহহুদ'-এর পরে সালাত আদায়কারীর জন্য নিজের পছন্দনীয় বাক্য বলার অনুমতি কোথায় দেয়া হয়েছে ?
তাকে (উত্তরে) বলা হবে: ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীসে এর উল্লেখ রয়েছে :
ব্যাখ্যা
এটাও সেই কথার প্রমাণ বহন করছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, তিনি অবহিত করছেন যে, রুকূ ও সিজদাতে নির্দিষ্ট দু'আ পড়া বাঞ্ছনীয়। অপরাপর আলিমগণ বলেন, রুকূতে আল্লাহ্ তা'আলার ‘তা'যীম' মাহাত্ম্য-এর উপর কোন কিছুকে অতিরিক্ত করবে না এবং সিজদাতে দু'আ বেশী করে করবে। তাঁরা এ বিষয়ে আলী (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীস দুইটি দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা আমরা-অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি।
এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হল : তাঁরা নবী (ﷺ) এর বক্তব্য : “রুকূতে আল্লাহর মাহাত্ম্য' বর্ণনা কর” এটাকে প্রথমোক্ত হাদীসসমূহে বর্ণনাকৃত তাঁর আমলের জন্য 'নাসিখ' (রহিতকারী) সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং সম্ভাবনা থাকছে যে, তিনি রুকূতে মাহাত্ম্য বর্ণনা করার নির্দেশ তাঁর উপর فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে প্রদান করেছিলেন এবং তাঁদেরকে সিজদাতে পছন্দনীয় দু'আতে সাধ্যমত চেষ্টা করার নির্দেশ তার উপর سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে প্রদান করেছিলেন। যখন তাঁর উপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন তিনি তাঁদেরকে সিজদাতে শুধু সেই বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা উকবা (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং এর উপর তারা অতিরিক্ত করতেন না। সুতরাং এটা তাঁর পূর্ববর্তী হুকুমের জন্য 'নাসিখ' (রহিতকারী) হিসাবে বিবেচিত হবে। যেমনিভাবে فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ায় তাঁর নির্দেশে পূর্ববর্তী হুকুমকে রহিত করে দিয়েছে।
কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, সেই বিষয়টি (যা প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতে উল্লেখ রয়েছে) নবী (ﷺ) -এর ওফাত নিকটবর্তী কালের। কারণ, ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (দরজার) পর্দা উন্মুক্ত করেছেন, তখন লোকেরা (সাহাবীগণ) আবু বাকর (রাযিঃ)-এর পিছনে কাতারবন্দী ছিলেন।
তাঁকে উত্তরে বলা হবে : এই হাদীসে কি একথা ব্যক্ত হয়েছে যে, ওটা সেই সালাত ছিল, যার পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাত হয়ে গিয়েছে বা সেটা সেই অসুস্থতা ছিল, যাতে তিনি ইন্তিকাল করেছেন। হাদীসে এ সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ নেই। হতে পারে এটা সেই সালাত ছিল, যার পরে তিনি ওফাত পেয়েছেন বা তা অন্য কোন সালাত ছিল, যার পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। যদি এটা সেই সালাত হয়, যার পরে তিনি ওফাত পেয়েছেন, তাহলে সম্ভবত সেই সালাতের পরে তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে : سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى আয়াত তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি এটা পূর্ববর্তী সালাত হয়, তাহলে যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি তা পরবর্তী আয়াত দ্বারা (তানবীহ নির্দিষ্ট) হওয়া অধিকতর উপযোগী।
আর এটাই হল রিওয়ায়াতসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের দিক থেকে এ বিষয়ের বর্ণনা ও বিশ্লেষণ।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করছি, সালাতের কতগুলো স্থানে আল্লাহর যিকির রয়েছে। তা থেকে কিছু হল, সালাতে প্রবেশ করার জন্য তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলা। অনুরূপভাবে রুকু-সিজদা ও বসা থেকে উঠার জন্য তাকবীর বলা হয়। এটা তাকবীর ('আল্লাহ্ আকবার' বলা) তাকবীর হিসাবে বিবেচিত। লোকেরা এর উপর অবহিত হয়েছে এবং তা শিখে নিয়েছে। সুতরাং তাদের জন্য এটা ছেড়ে অন্য বাক্য গ্রহণ করা সমীচীন নয়। অনুরূপভাবে বৈঠকে যে লোকেরা 'তাশাহহুদ' পড়ে, তারা এ সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছে এবং তা শিখে নিয়েছে। তাদের জন্য এস্থলে অন্য যিকর গ্রহণ করার অনুমতি নেই। কারণ, কোন ব্যক্তি যদি 'আল্লাহু আকবার'-এর স্থলে 'আল্লাহু আযামু' বা 'আল্লাহু আজাল্লু' বলে তাহলে সে এ ব্যাপারে গোনাহগার প্রমাণিত হবে।
অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও সাহাবীগণ থেকে বর্ণিত 'তাশাহহুদ' ব্যতীত হাদীস বিরোধী অন্য শব্দমালা পড়ে, তাহলে সে এ বিষয়ে গোনাহগার বিবেচিত হবে। শেষ তাশাহহুদ থেকে অবসর হওয়ার পর তার জন্য পছন্দনীয় দু'আ পড়া জায়িয আছে। ইবন মাসউদ (রাযিঃ) কর্তৃক নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস মুতাবিক তাকে বলা হবে : “তারপর যা ইচ্ছা সে পড়বে।” সুতরাং প্রত্যেক যিকর-এর মধ্যে নির্দিষ্ট শব্দের অনুসরণ রয়েছে। এর থেকে নিজের পছন্দনীয় বাক্যের দিকে অতিক্রম করতে পারবে না, (শুধু এ বিষয়ে যা অবহিত হওয়া গিয়েছে, তা ব্যতীত)। যদিও তা তার সমর্থক হউক না কেন।
অতএব যখন এ বিষয়ে ঐকমত রয়েছে যে, রুকু ও সিজদাতে যিকর রয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে ঐকমত্য নেই যে, তার জন্য তাতে ইচ্ছাকৃত যে কোন যিকর জায়েজ কি-না। তাই যুক্তির দাবি হল রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদসহ অপরাপর যিকর-এর অনুরূপ হবে। ওটা নির্দিষ্ট বাক্য হবে । কারো জন্য যেমনিভাবে সালাতের অপরাপর যিকরসমূহের অন্য বাক্যের দিকে অতিক্রম করা জায়িয নেই, তেমনিভাবে এখানেও অন্য বাক্যের দিকে অতিক্রম করা জায়িয নেই। তার জন্য অন্য বাক্যের দিকে অতিক্রম করা একমাত্র সেখানেই জায়িয হবে যেখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুমতি প্রদান করেছেন।
এতে সেই সমস্ত আলিমের অভিমত সাব্যস্ত হলো, যারা তাতে নির্দিষ্ট যিকর নির্ধারণ করেছেন এবং যারা উকবা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন, যাতে রুকু ও সিজদার বাক্যগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিবরণ রয়েছে। আর এটাই হল, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, তাশাহহুদ'-এর পরে সালাত আদায়কারীর জন্য নিজের পছন্দনীয় বাক্য বলার অনুমতি কোথায় দেয়া হয়েছে ?
তাকে (উত্তরে) বলা হবে: ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীসে এর উল্লেখ রয়েছে :
1417 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا سُحَيْمٌ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: ثنا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ صِلَةَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّي الْعَظِيمِ» ثَلَاثًا وَفِي سُجُودِهِ: «سُبْحَانَ رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا» فَهَذَا أَيْضًا قَدْ دَلَّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ وُقُوفِهِ عَلَى دُعَاءٍ بِعَيْنِهِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ. وَقَالَ آخَرُونَ: أَمَّا الرُّكُوعُ , فَلَا يُزَادُ فِيهِ عَلَى تَعْظِيمِ الرَّبِّ عَزَّ وَجَلَّ , وَأَمَّا السُّجُودُ , فَيَجْتَهِدُ فِيهِ فِي الدُّعَاءِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثَيْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّهُمْ قَدْ جَعَلُوا قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ» نَاسِخًا لِمَا تَقَدَّمَ مِنْ أَفْعَالِهِ قَبْلَ ذَلِكَ فِي الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ. فَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهُمْ بِالتَّعْظِيمِ فِي الرُّكُوعِ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْهِ {فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ} [الواقعة: 74] وَيُجْهِدُهُمْ بِالدُّعَاءِ فِي السُّجُودِ بِمَا أَحَبُّوا قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَيْهِ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى} [الأعلى: 1] فَلَمَّا نَزَلَ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَمَرَهُمْ بِأَنْ يَنْتَهُوا إِلَيْهِ فِي سُجُودِهِمْ [ص:236] عَلَى مَا فِي حَدِيثِ عُقْبَةَ , وَلَا يَزِيدُونَ عَلَيْهِ فَصَارَ ذَلِكَ نَاسِخًا لِمَا قَدْ تَقَدَّمَ مِنْهُ قَبْلَ ذَلِكَ , كَمَا كَانَ الَّذِي أَمَرَهُمْ بِهِ فِي الرُّكُوعِ عِنْدَ نُزُولِ {فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ} [الواقعة: 74] نَاسِخًا لِمَا قَدْ كَانَ مِنْهُ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُرْبِ وَفَاتِهِ , لِأَنَّ فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَشَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السِّتَارَةَ وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ. قِيلَ لَهُ: فَهَلْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ تِلْكَ الصَّلَاةُ الَّتِي تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَقِبِهَا أَوْ أَنَّ تِلْكَ الْمِرْضَةَ , هِيَ مِرْضَتُهُ الَّتِي تُوُفِّيَ فِيهَا؟ لَيْسَ فِي الْحَدِيثِ مِنْ هَذَا شَيْءٌ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ هِيَ الصَّلَاةَ الَّتِي تُوُفِّيَ بِعَقِبِهَا وَيَجُوزُ أَنْ تَكُونَ صَلَاةً غَيْرَهَا قَدْ صَحَّ بَعْدَهَا. فَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ هِيَ الصَّلَاةَ الَّتِي تُوُفِّيَ بَعْدَهَا , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى} [الأعلى: 1] أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ قَبْلَ وَفَاتِهِ. وَإِنْ كَانَتْ تِلْكَ الصَّلَاةُ مُتَقَدِّمَةً لِذَلِكَ , فَهِيَ أَحْرَى أَنْ يَجُوزَ أَنْ يَكُونَ بَعْدَهَا مَا ذَكَرْنَا. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا مَوَاضِعَ فِي الصَّلَاةِ فِيهَا ذِكْرٌ. فَمِنْ ذَلِكَ التَّكْبِيرُ لِلدُّخُولِ فِي الصَّلَاةِ , وَمِنْ ذَلِكَ التَّكْبِيرُ لِلرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَالْقِيَامِ مِنَ الْقُعُودِ. فَكَانَ ذَلِكَ التَّكْبِيرُ تَكْبِيرًا قَدْ وُقِفَ الْعِبَادُ عَلَيْهِ وَعُلِّمُوهُ , وَلَمْ يُجْعَلْ لَهُمْ أَنْ يُجَاوِزُوهُ إِلَى غَيْرِهِ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا يَشْهَدُونَ بِهِ فِي الْقُعُودِ , فَقَدْ عُلِّمُوهُ , وَوُقِفُوا عَلَيْهِ , وَلَمْ يُجْعَلْ لَهُمْ أَنْ يَأْتُوا مَكَانَهُ بِذِكْرٍ غَيْرِهِ لِأَنَّ رَجُلًا لَوْ قَالَ: مَكَانَ قَوْلِهِ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَعْظَمُ أَوِ اللهُ أَجَلُّ كَانَ فِي ذَلِكَ مُسِيئًا. وَلَوْ تَشَهَّدَ رَجُلٌ بِلَفْظٍ يُخَالِفُ لَفْظَ التَّشَهُّدِ الَّذِي جَاءَتْ بِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ , كَانَ فِي ذَلِكَ مُسِيئًا , وَكَانَ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنَ التَّشَهُّدِ الْأَخِيرِ قَدْ أُبِيحَ لَهُ مِنَ الدُّعَاءِ مَا أَحَبَّ فَقِيلَ لَهُ فِيمَا رَوَى ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «ثُمَّ لِيَخْتَرْ مِنَ الدُّعَاءِ مَا أَحَبَّ» فَكَانَ قَدْ وُقِفَ فِي كُلِّ ذِكْرٍ عَلَى ذِكْرٍ بِعَيْنِهِ وَلَمْ يُجْعَلْ مُجَاوَزَتُهُ إِلَى مَا أَحَبَّ إِلَّا مَا قَدْ وُقِفَ عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ , وَإِنِ اسْتَوَى ذَلِكَ فِي الْمَعْنَى فَلَمَّا كَانَ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ قَدْ أُجْمِعَ عَلَى أَنَّ فِيهِمَا ذِكْرًا , وَلَمْ يُجْمَعْ عَلَى أَنَّهُ أُبِيحَ لَهُ فِيهِمَا كُلُّ الذِّكْرِ , كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الذِّكْرُ كَسَائِرِ الذِّكْرِ فِي صَلَاتِهِ , مِنْ تَكْبِيرِهِ وَتَشَهُّدِهِ , وَقَوْلِهِ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» وَقَوْلِ الْمَأْمُومِ «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» فَيَكُونُ ذَلِكَ قَوْلًا خَاصًّا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مُجَاوَزَتُهُ إِلَى غَيْرِهِ , كَمَا لَا يَنْبَغِي لَهُ فِي سَائِرِ الذِّكْرِ الَّذِي فِي الصَّلَاةِ وَلَا يَكُونُ لَهُ مُجَاوَزَتُهُ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ إِلَّا بِتَوْقِيفٍ مِنَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ذَلِكَ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ الَّذِينَ وَقَّتُوا فِي ذَلِكَ ذِكْرًا خَاصًّا وَهُمُ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى حَدِيثِ عُقْبَةَ , عَلَى مَا فُصِّلَ فِيهِ مِنَ الْقَوْلِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَأَيْنَ جُعِلَ لِلْمُصَلِّي أَنْ يَقُولَ بَعْدَ التَّشَهُّدِ مَا أَحَبَّ؟ . قِيلَ لَهُ فِي حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১৮
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১৮। আবু বাকরা (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে যখন সালাতে বসতাম তখন এ বাক্যগুলো বলতাম : السَّلَامُ عَلَى اللهِ , وَعَلَى عِبَادِهِ , السَّلَامُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ , السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ وَفُلَانٍ
"আল্লাহর প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক; তাঁর বান্দাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক; জিরাঈল (আ) ও মীকাঈল (আ)-এর প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক এবং অমুক ও অমুকের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক।”
এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন : আল্লাহ তা'আলা তো নিজেই সালাম তথা শান্তিদাতা। সুতরাং এরূপ বলবে না। বরং এরূপ বলবে : এরপর তিনি তাশাহহুদ-এর উল্লেখ করলেন। যেমনটি আমরা অন্য স্থানে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি। তারপর বলেছেন : “এরপর তোমাদের কোন ব্যক্তির জন্য 'সর্বোত্তম বাক্য' অথবা বলেছেন ‘পছন্দনীয় বাক্য' গ্রহণ করার ইখতিয়ার রয়েছে।”
"আল্লাহর প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক; তাঁর বান্দাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক; জিরাঈল (আ) ও মীকাঈল (আ)-এর প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক এবং অমুক ও অমুকের প্রতি শান্তি বর্ষিত হউক।”
এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন : আল্লাহ তা'আলা তো নিজেই সালাম তথা শান্তিদাতা। সুতরাং এরূপ বলবে না। বরং এরূপ বলবে : এরপর তিনি তাশাহহুদ-এর উল্লেখ করলেন। যেমনটি আমরা অন্য স্থানে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি। তারপর বলেছেন : “এরপর তোমাদের কোন ব্যক্তির জন্য 'সর্বোত্তম বাক্য' অথবা বলেছেন ‘পছন্দনীয় বাক্য' গ্রহণ করার ইখতিয়ার রয়েছে।”
1418 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ سُلَيْمَانَ , عَنْ شَقِيقٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: " كُنَّا نَقُولُ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَلَسْنَا فِي الصَّلَاةِ السَّلَامُ عَلَىاللهِ , وَعَلَى عِبَادِهِ , السَّلَامُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ , السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ وَفُلَانٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ , فَلَا تَقُولُوا هَكَذَا , وَلَكِنْ قُولُوا» فَذَكَرُوا التَّشَهُّدَ " عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «ثُمَّ لِيَخْتَرْ أَحَدُكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ أَطْيَبَ الْكَلَامِ أَوْ مَا أَحَبَّ مِنَ الْكَلَامِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২০
রূকু ও সিজ্দায় কি বলতে হয়?
১৪১৯-১৪২০। আবু বাকর (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা জানতাম না যে, প্রতি দু'রাকআতের মাঝে কি বলব। তবে আমরা আল্লাহ্ তা'আলার তাসবীহ, তাকবীর ও হামদ বর্ণনা করতাম। মুহাম্মাদ (ﷺ) কে 'ফাওয়াতিহুল কালিম' বা 'জাওয়ামিউল কালিম' বা ‘খাওয়াতিমুল কালিম' (সুদূর প্রসারী অর্থবোধক বাক্যাবলী) দান করা হয়েছে। তিনি বলেছেন : “যখন দু’রাকআতের পরে বসবে তখন বলবে, এরপর ‘তাশাহহুদ'কে উল্লেখ করেছেন। (আর বলেছেন) “তারপর যে দু'আ তোমাদের পছন্দনীয় তা গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর নিকট দু'আ করবে।"
রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তারপর যে বাক্য ইচ্ছা গ্রহণ করবে।
সুতরাং তার জন্য এখানে জায়িয সাব্যস্ত করা হয়েছে যে, যে দু'আ পছন্দনীয় হয় গ্রহণ করবে। পক্ষান্তরে এটা ব্যতীত অপরাপর যিকরমূহের বিষয় এর বিপরীত। যেমনিভাবে আমরা তাকবীরের বিষয়টি তার স্থানসমূহে, তাশাহহুদ তার স্থানে, ছানা তার স্থানে ও সালাম তার স্থানে (বলতে হয় বলে) উল্লেখ করেছি। অতএব এটা নির্দিষ্ট যিকর, যা অন্য যিকর দ্বারা পরিবর্তিত করা যাবে না। তাই যুক্তির দাবি হল যে, রুকূ ও সিজদাতেও অনুরূপভাবে নির্দিষ্ট যিকর হবে, যা অন্য যিকরের মাধ্যমে অতিক্রান্ত হবে না।
রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ).... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তারপর যে বাক্য ইচ্ছা গ্রহণ করবে।
সুতরাং তার জন্য এখানে জায়িয সাব্যস্ত করা হয়েছে যে, যে দু'আ পছন্দনীয় হয় গ্রহণ করবে। পক্ষান্তরে এটা ব্যতীত অপরাপর যিকরমূহের বিষয় এর বিপরীত। যেমনিভাবে আমরা তাকবীরের বিষয়টি তার স্থানসমূহে, তাশাহহুদ তার স্থানে, ছানা তার স্থানে ও সালাম তার স্থানে (বলতে হয় বলে) উল্লেখ করেছি। অতএব এটা নির্দিষ্ট যিকর, যা অন্য যিকর দ্বারা পরিবর্তিত করা যাবে না। তাই যুক্তির দাবি হল যে, রুকূ ও সিজদাতেও অনুরূপভাবে নির্দিষ্ট যিকর হবে, যা অন্য যিকরের মাধ্যমে অতিক্রান্ত হবে না।
1419 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: " كُنَّا لَا نَدْرِي مَا نَقُولُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ , غَيْرَ أَنَّا نُسَبِّحُ وَنُكَبِّرُ وَنَحْمَدُ رَبَّنَا , وَإِنَّ مُحَمَّدًا أُوتِيَ فَوَاتِحَ الْكَلِمِ وَجَوَامِعَهُ , أَوْ قَالَ: خَوَاتِمَهُ فَقَالَ: «إِذَا قَعَدْتُمْ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَقُولُوا» فَذَكَرَ التَّشَهُّدَ «ثُمَّ يَتَخَيَّرُ أَحَدُكُمْ مِنَ الدُّعَاءِ مَا أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ , فَيَدْعُو بِهِ رَبَّهُ»
1420 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «ثُمَّ لِيَتَخَيَّرْ مِنَ الْكَلَامِ بَعْدُ مَا شَاءَ» فَأُبِيحَ لَهُ هَاهُنَا أَنْ يَخْتَارَ مِنَ الدُّعَاءِ مَا أَحَبَّ , لِأَنَّ مَا سِوَاهُ مِنَ الصَّلَاةِ بِخِلَافِهِ. مِنْ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِنَ التَّكْبِيرِ فِي مَوَاضِعِهِ , وَمِنَ التَّشَهُّدِ فِي مَوْضِعِهِ , وَمِنَ الِاسْتِفْتَاحِ فِي مَوْضِعِهِ , وَمِنَ التَّسْلِيمِ فِي مَوْضِعِهِ , فَجُعِلَ ذَلِكَ ذِكْرًا خَاصًّا غَيْرَ مُتَعَدٍّ إِلَى غَيْرِهِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , الذِّكْرُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ , ذِكْرًا خَاصًّا , لَا يُتَعَدَّى إِلَى غَيْرِهِ
1420 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «ثُمَّ لِيَتَخَيَّرْ مِنَ الْكَلَامِ بَعْدُ مَا شَاءَ» فَأُبِيحَ لَهُ هَاهُنَا أَنْ يَخْتَارَ مِنَ الدُّعَاءِ مَا أَحَبَّ , لِأَنَّ مَا سِوَاهُ مِنَ الصَّلَاةِ بِخِلَافِهِ. مِنْ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِنَ التَّكْبِيرِ فِي مَوَاضِعِهِ , وَمِنَ التَّشَهُّدِ فِي مَوْضِعِهِ , وَمِنَ الِاسْتِفْتَاحِ فِي مَوْضِعِهِ , وَمِنَ التَّسْلِيمِ فِي مَوْضِعِهِ , فَجُعِلَ ذَلِكَ ذِكْرًا خَاصًّا غَيْرَ مُتَعَدٍّ إِلَى غَيْرِهِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , الذِّكْرُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ , ذِكْرًا خَاصًّا , لَا يُتَعَدَّى إِلَى غَيْرِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান