শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪২৮
১৫. অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪২৮. আবু বকরা (রা.) ...... উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তাঁর এবং মারওয়ান-এর মাঝে লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ (আবশ্যিক হওয়া না হওয়া) -এর বিষয়ে আলোচনা হয়। মারওয়ান বললেন, আমাকে বুসরা বিনতে সাফওয়ান (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করার নির্দেশ দিতে শুনেছেন। উরওয়া (র.) তাঁর (বুসরা রা.) হাদীসের ব্যাপারে মাথা উঠালেন না (গুরুত্ব দিলেন না) এতে মারওয়ান, তাঁর নিকট জনৈক সিপাহীকে পাঠালেন। সে ফিরে এসে তাঁকে বললেন যে, তিনি বলেছেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করার নির্দেশ দিতে শুনেছি। ”একদল আলিম (উল্লিখিত) হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করাকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন এতে উযূর বিধান নেই (ওয়াজিব হবে না)। তাঁরা এ বিষয়ে প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দলীল দিতে গিয়ে বলেছেনঃ তোমাদের রিওয়ায়াতকৃত এই হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, উরওয়া (র.) বুসরা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের প্রতি মাথা উঠিয়ে তাকান নি (প্রমাণের উপযোগী মনে করেন নি), যদি এটা এজন্য যে, উরওয়া (র.) এর নিকট বুসরা (রা.) সেই সমস্ত রাবীদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের হাদীস গ্রহণ করা হয় না। সুতরাং উরওয়া (র.) অপেক্ষা কম মর্যাদাশালী রাবী কর্তৃক বুসরা (রাহঃ) কে দুর্বল (রাবী) সাব্যস্ত করার দাবি হচ্ছে যে, তাঁর বর্ণিত রিওয়ায়াত রহিত বিবেচিত হবে। এ ব্যাপারে অপরাপর (সাহাবী)গণও তাঁর (উরওয়া র.) অনুসরণ করেছেন :
بَابُ مَسِّ الْفَرْجِ هَلْ يَجِبُ فِيهِ الْوُضُوءُ أَمْ لَا؟
428 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ , قَالَ: أنا مَعْمَرٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , أَنَّهُ تَذَاكَرَ هُوَ وَمَرْوَانُ , الْوُضُوءُ مِنْ مَسِّ الْفَرْجِ , فَقَالَ مَرْوَانُ: حَدَّثَتْنِي بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ " أَنَّهَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُ بِالْوُضُوءِ مِنْ مَسِّ الْفَرْجِ فَكَانَ عُرْوَةَ لَمْ يَرْفَعْ بِحَدِيثِهَا رَأْسًا. فَأَرْسَلَ مَرْوَانُ إِلَيْهَا شُرْطِيًّا , فَرَجَعَ فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُ بِالْوُضُوءِ مِنْ مَسِّ الْفَرْجِ " فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْأَثَرِ , وَأَوْجَبُوا الْوُضُوءَ مِنْ مَسِّ الْفَرْجِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا وُضُوءَ فِيهِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , فَقَالُوا: فِي حَدِيثِكُمْ هَذَا أَنَّ عُرْوَةَ لَمْ يَرْفَعْ بِحَدِيثِ بُسْرَةَ رَأْسًا. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ , لِأَنَّهَا عِنْدَهُ فِي حَالِ مَنْ لَا يُؤْخَذُ ذَلِكَ عَنْهَا , فَفِي تَضْعِيفِ مَنْ هُوَ أَقَلُّ مِنْ عُرْوَةَ بُسْرَةَ , مَا يَسْقُطُ بِهِ حَدِيثُهَا , وَقَدْ تَابَعَهُ عَلَى ذَلِكَ غَيْرُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৯
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪২৯. ইউনুস ( র ) ..... রবীআ '(র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যদি আমার হাত রক্ত কিংবা হায়যের রক্তে রেখে দেই তাহলে এতে আমার উযূ বিনষ্ট হবে না। তাহলে লজ্জাস্থান স্পর্শ করা হালকা না রক্ত কিংবা হায়যের রক্ত? রাবী বলেন, রবীআ' (র.) তাদের বলতেন তোমাদের জন্য আক্ষেপ! কেউ কি এরূপ হাদীস গ্রহণ করেন? আমি বুসরা (রা.)-এর হাদীস সম্পর্কে অবহিত রয়েছি, আল্লাহ্ কসম! যদি বুসরা (রা.) এই জুতা সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করে তাহলে তার এই সাক্ষ্যকে গ্রহণ করব না। যেহেতু দ্বীনের ভিত্তি হচ্ছে সালাত, আর সালাতের ভিত্তি হচ্ছে তাহারাত (উযূ)। বুসরা (রা.) ব্যতীত কি সাহাবাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি ছিলেন না, যিনি এই দ্বীনকে কায়েম রাখবেন?
ইব্ন যায়দ (রাহঃ) বলেনঃ এরই উপর আমাদের মাশাইখ তথা মনীষীদেরকে পেয়েছি, তাঁদের কেউ লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূকে আবশ্যিক মনে করতেন না। উরওয়া (র.) তা এ জন্য গ্রহণ করেননি, যেহেতু মারওয়ান তাঁর নিকট এরূপ মর্যাদাবান ব্যক্তি ছিলেন না, যার থেকে এরূপ হাদীস গ্রহণ করা আবশ্যিক হয়। আর সিপাহী কর্তৃক মারওয়ানকে বুসরা (র.)-এর সংবাদ দেয়া নিজে তাঁর থেকে শোনা অপেক্ষা নিম্নতর। সুতরাং যখন উরওয়া (র.) এর নিকট মারওয়ানের নিজের খবরই অগ্রহণযোগ্য, তখন সিপাহী কর্তৃক বুসরা (রা.) থেকে সংবাদ পরিবেশন অগ্রহণযোগ্য হওয়ার অধিকতর উপযোগী। উপরন্তু এই হাদীসটি ইমাম যুহরী (র.) উরওয়া (র.) থেকে নিজে শুনেন নি। তিনি এতে ‘তাদলীস’ (তথা প্রকৃত শায়খের নাম উল্লেখ না করে উপরস্থ শায়খের নামে হাদীস বর্ণনা করা, যাতে মনে হয় যে, তিনি নিজেই উপরস্থ শায়খ থেকে তা শুনেছেন অথচ তাঁর নিকট থেকে তিনি শুনেন নি) করেছেন। তা এভাবেঃ
ইব্ন যায়দ (রাহঃ) বলেনঃ এরই উপর আমাদের মাশাইখ তথা মনীষীদেরকে পেয়েছি, তাঁদের কেউ লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূকে আবশ্যিক মনে করতেন না। উরওয়া (র.) তা এ জন্য গ্রহণ করেননি, যেহেতু মারওয়ান তাঁর নিকট এরূপ মর্যাদাবান ব্যক্তি ছিলেন না, যার থেকে এরূপ হাদীস গ্রহণ করা আবশ্যিক হয়। আর সিপাহী কর্তৃক মারওয়ানকে বুসরা (র.)-এর সংবাদ দেয়া নিজে তাঁর থেকে শোনা অপেক্ষা নিম্নতর। সুতরাং যখন উরওয়া (র.) এর নিকট মারওয়ানের নিজের খবরই অগ্রহণযোগ্য, তখন সিপাহী কর্তৃক বুসরা (রা.) থেকে সংবাদ পরিবেশন অগ্রহণযোগ্য হওয়ার অধিকতর উপযোগী। উপরন্তু এই হাদীসটি ইমাম যুহরী (র.) উরওয়া (র.) থেকে নিজে শুনেন নি। তিনি এতে ‘তাদলীস’ (তথা প্রকৃত শায়খের নাম উল্লেখ না করে উপরস্থ শায়খের নামে হাদীস বর্ণনা করা, যাতে মনে হয় যে, তিনি নিজেই উপরস্থ শায়খ থেকে তা শুনেছেন অথচ তাঁর নিকট থেকে তিনি শুনেন নি) করেছেন। তা এভাবেঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
429 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي زَيْدٌ، عَنْ رَبِيعَةَ، أَنَّهُ قَالَ: «لَوْ وَضَعْتُ يَدِي فِي دَمٍ أَوْ حَيْضَةٍ مَا نُقِضَ وُضُوئِي، فَمَسُّ الذَّكَرِ أَيْسَرُ أَمِ الدَّمِ أَمِ الْحَيْضَةِ؟» قَالَ: وَكَانَ رَبِيعَةُ يَقُولُ لَهُمْ: وَيْحَكُمْ , مِثْلُ هَذَا يَأْخُذُ بِهِ أَحَدٌ , وَنَعْمَلُ بِحَدِيثِ بُسْرَةَ؟ وَاللهِ لَوْ أَنَّ بُسْرَةَ شَهِدَتْ عَلَى هَذِهِ النَّعْلِ , لَمَا أَجَزْتُ شَهَادَتَهَا , إِنَّمَا قِوَامُ الدِّينِ الصَّلَاةُ , وَإِنَّمَا قِوَامُ الصَّلَاةِ , الطَّهُورُ , فَلَمْ يَكُنْ فِي صَحَابَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ يُقِيمُ هَذَا الدِّينَ إِلَّا بُسْرَةُ؟ قَالَ ابْنُ زَيْدٍ: عَلَى هَذَا أَدْرَكْنَا مَشْيَخَتَنَا , مَا مِنْهُمْ وَاحِدٌ يَرَى فِي مَسِّ الذَّكَرِ وُضُوءًا وَإِنْ كَانَ إِنَّمَا تَرَكَ أَنْ يَرْفَعَ بِذَلِكَ رَأْسًا لِأَنَّ مَرْوَانَ، عِنْدَهُ، لَيْسَ فِي حَالِ مَنْ يَجِبُ الْقَبُولُ عَنْ مِثْلِهِ فَإِنَّ خَبَرَ شَرْطَيْ مَرْوَانَ عَنْ بُسْرَةَ دُونَ خَبَرِهِ هُوَ عَنْهَا. فَإِنْ كَانَ مَرْوَانُ خَبَرُهُ فِي نَفْسِهِ، عِنْدَ عُرْوَةَ، غَيْرُ مَقْبُولٍ , فَخَبَرُ شُرْطِيِّهِ إِيَّاهُ عَنْهَا كَذَلِكَ أَحْرَى أَنْ لَا يَكُونَ مَقْبُولًا , وَهَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا لَمْ يَسْمَعْهُ الزُّهْرِيُّ مِنْ عُرْوَةَ , إِنَّمَا دَلَّسَ بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩০. ইউনুস (র.) শুআইব ইব্ন লায়স তাঁর পিতা লায়স (র.) ইব্নে শিহাব (র.) .... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর ইব্ন মুহাম্মাদ (র.) উরওয়া ইব্ন যুবাইর (র.) ...... মারওয়ান ইব্ন হাকাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করা আবশ্যিক। মারওয়ান বলেনঃ আমাকে বুসরা বিনতে সফওয়ান (রা.) এ সংবাদ দিয়েছেন। তিনি বুসরা (রা.) এর নিকট লোক পাঠালে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার যে সমস্ত কারণে উযূ করা হয় তা উল্লেখ করেছেন। তারপর লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কথাও উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (র.) বলেনঃ
এই রিওয়ায়াতটি ইমাম যুহূরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.) থেকে, তিনি উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেছেন। এতে এর মর্যাদা লাঘব হয়েছে। যেহেতু উরওয়া (র.) থেকে আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.)-এর রিওয়ায়াত, উরওয়া (র.) থেকে যুহূরী (র.)-এর রিওয়ায়াতের সমতুল্য নয় এবং আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.) হাদীস বিষয়ে হাদীস বিশারদদের নিকট মযবূত ও নির্ভরযোগ্য রাবী নন। ইয়াহইয়া ইব্ন উসমান (র.) ..... ইব্ন উয়ায়না (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন আমরা কাউকে অমুক অমুক ব্যক্তিদের থেকে, যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকরও অন্তর্ভুক্ত কোন একজনের নিকট হাদীস লিখতে দেখতাম তখন আমরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতাম। যেহেতু তারা হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখতেন না। আর তোমরা তো (প্রথমোক্ত মত পোষণকারী) এরূপ লোকদেরকেও দুর্বল সাব্যস্ত করছ, যাদের বিরুদ্ধে ইব্ন উয়ায়না (র.)-এর সমালোচনার চাইতে অপেক্ষাকৃত হালকা অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অপরাপর আলিমগণ বলেনঃ বস্তুত এ হাদীসে যুহরী (র.) এবং উরওয়া (র.) ......... এর মাঝখানে আবু বাকর ইব্ন মুহাম্মাদ (র.) বিদ্যমান রয়েছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (র.) বলেনঃ
এই রিওয়ায়াতটি ইমাম যুহূরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.) থেকে, তিনি উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেছেন। এতে এর মর্যাদা লাঘব হয়েছে। যেহেতু উরওয়া (র.) থেকে আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.)-এর রিওয়ায়াত, উরওয়া (র.) থেকে যুহূরী (র.)-এর রিওয়ায়াতের সমতুল্য নয় এবং আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.) হাদীস বিষয়ে হাদীস বিশারদদের নিকট মযবূত ও নির্ভরযোগ্য রাবী নন। ইয়াহইয়া ইব্ন উসমান (র.) ..... ইব্ন উয়ায়না (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন আমরা কাউকে অমুক অমুক ব্যক্তিদের থেকে, যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকরও অন্তর্ভুক্ত কোন একজনের নিকট হাদীস লিখতে দেখতাম তখন আমরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতাম। যেহেতু তারা হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখতেন না। আর তোমরা তো (প্রথমোক্ত মত পোষণকারী) এরূপ লোকদেরকেও দুর্বল সাব্যস্ত করছ, যাদের বিরুদ্ধে ইব্ন উয়ায়না (র.)-এর সমালোচনার চাইতে অপেক্ষাকৃত হালকা অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অপরাপর আলিমগণ বলেনঃ বস্তুত এ হাদীসে যুহরী (র.) এবং উরওয়া (র.) ......... এর মাঝখানে আবু বাকর ইব্ন মুহাম্মাদ (র.) বিদ্যমান রয়েছেন।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
430 - وَذَلِكَ أَنَّ يُونُسَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ , قَالَ: " الْوُضُوءُ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ قَالَ مَرْوَانُ: أَخْبَرَتْنِيهِ بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ , فَأَرْسَلَ إِلَى بُسْرَةَ فَقَالَتْ: ذَكَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يُتَوَضَّأُ مِنْهُ فَذَكَرَ مَسَّ الذَّكَرِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَصَارَ هَذَا الْأَثَرُ إِنَّمَا هُوَ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عُرْوَةَ. فَقَدْ حَطَّ بِذَلِكَ دَرَجَةً لِأَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ لَيْسَ حَدِيثُهُ عَنْ عُرْوَةَ , كَحَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ , وَلَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عِنْدَهُمْ، فِي حَدِيثِهِ بِالْمُتْقِنِ
431 - لَقَدْ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَالَ: ثنا ابْنُ وَزِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: «كُنَّا إِذَا رَأَيْنَا الرَّجُلَ يَكْتُبُ الْحَدِيثَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْ نَفَرٍ سَمَّاهُمْ , مِنْهُمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , سَخِرْنَا مِنْهُ , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْرِفُونَ الْحَدِيثَ» وَأَنْتُمْ فَقَدْ تُضَعِّفُونَ مَا هُوَ مِثْلُ هَذَا بِأَقَلَّ مِنْ كَلَامِ مِثْلِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّ الَّذِي بَيْنَ الزُّهْرِيِّ وَبَيْنَ عُرْوَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدٍ
431 - لَقَدْ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَالَ: ثنا ابْنُ وَزِيرٍ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: «كُنَّا إِذَا رَأَيْنَا الرَّجُلَ يَكْتُبُ الْحَدِيثَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْ نَفَرٍ سَمَّاهُمْ , مِنْهُمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , سَخِرْنَا مِنْهُ , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْرِفُونَ الْحَدِيثَ» وَأَنْتُمْ فَقَدْ تُضَعِّفُونَ مَا هُوَ مِثْلُ هَذَا بِأَقَلَّ مِنْ كَلَامِ مِثْلِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّ الَّذِي بَيْنَ الزُّهْرِيِّ وَبَيْنَ عُرْوَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩২
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩২. সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (র.) ..... বুসরা বিনতে সফওয়ান (র.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (ﷺ)কে বলতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযূ করবে। যদি তারা বলেন, হিশাম ইব্ন উরওয়া (র.) ও তার পিতা উরওয়া (র.) থেকে এই হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। এই (রাবী) হিশাম সেই সমস্ত রাবীদের অন্তর্ভূক্ত নন, যাদের রিওয়ায়াত সম্পর্কে কোন বিতর্ক রয়েছে। তারপর তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
432 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُرْوَةُ، عَنْ بُسْرَةَ بِنْتِ صَفْوَانَ، أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَتَوَضَّأُ الرَّجُلُ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ» فَإِنْ قَالُوا: فَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا , هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ , وَهِشَامٌ , فَلَيْسَ مِمَّنْ يُتَكَلَّمُ فِي رِوَايَتِهِ بِشَيْءٍ. ثُمَّ ذَكَرُوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩৩. ইব্ন আবী ইমরান (র.) ...... হিশাম ইব্ন উরওয়া (র.)-এর পিতা উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, লজ্জাস্থান স্পর্শ করার বিষয়ে মারওয়ান আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বললাম, এতে উযূ নেই। মারওয়ান বললেন, এতে উযূ (আবশ্যিক) আছে। তারপর পূর্বোল্লিখিত হুসাইন ইব্ন মাহদী (র.)-এর সূত্রে আবু বাকরা (র.)-এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
৪৩৪. মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (র.) ..... হিশাম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি এতে বলেছেন যে, উরওয়া (র.) তা অস্বীকার করেছেন।
৪৩৫. হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ..... হিশাম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
৪৩৪. মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (র.) ..... হিশাম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি এতে বলেছেন যে, উরওয়া (র.) তা অস্বীকার করেছেন।
৪৩৫. হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ..... হিশাম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
433 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " سَأَلَنِي مَرْوَانُ عَنْ مَسِّ الذَّكَرِ , فَقُلْتُ: لَا وُضُوءَ فِيهِ. فَقَالَ مَرْوَانُ: فِيهِ الْوُضُوءُ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ الَّذِي فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مَهْدِيٍّ "
434 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عُرْوَةُ
435 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
434 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عُرْوَةُ
435 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩৬. ইউনুস (র.) .... বুসরা (রা.) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তাহলে উযূ করা ব্যতীত যেন কখনও সালাত আদায় না করে।
৪৩৭. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... বুসরা (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
উত্তরে তাকে বলা হবে:
হিশাম ইব্ন উরওয়া (র.) ও এই হাদীসটি তাঁর পিতা উরওয়া (র.) থেকে শুনেননি। বরং তিনিও আবু বাকর (ইব্ন মুহাম্মাদ র.) থেকে নিয়েছেন। তারপর তিনি তাঁর পিতা থেকে 'তাদলীসের' সাথে রিওয়ায়াত করেছেন, আবু বকরের পরিবর্তে (পিতার নাম উল্লেখ করেছেন)।
৪৩৮. সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (র.) ...... আবু বাকর ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন হায্ম (র.) উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি মারওয়ানের সঙ্গে বসা ছিলেন। তারপর তিনি হাদীসটি ইব্ন আবী ইমরান (র.) ও ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। সুতরাং এই হাদীসটিও আবু বাকর (রাহঃ)-এর সাথে সম্পৃক্ত। যদি তাঁরা বলেন যে, এই হাদীসটি উরওয়া (র.) থেকে যুহরী (র.) ও হিশাম (র.) ব্যতীত অন্যরাও রিওয়ায়াত করেছেন। এই বিষয়ে তারা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেন?
৪৩৭. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... বুসরা (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
উত্তরে তাকে বলা হবে:
হিশাম ইব্ন উরওয়া (র.) ও এই হাদীসটি তাঁর পিতা উরওয়া (র.) থেকে শুনেননি। বরং তিনিও আবু বাকর (ইব্ন মুহাম্মাদ র.) থেকে নিয়েছেন। তারপর তিনি তাঁর পিতা থেকে 'তাদলীসের' সাথে রিওয়ায়াত করেছেন, আবু বকরের পরিবর্তে (পিতার নাম উল্লেখ করেছেন)।
৪৩৮. সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (র.) ...... আবু বাকর ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন হায্ম (র.) উরওয়া (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি মারওয়ানের সঙ্গে বসা ছিলেন। তারপর তিনি হাদীসটি ইব্ন আবী ইমরান (র.) ও ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। সুতরাং এই হাদীসটিও আবু বাকর (রাহঃ)-এর সাথে সম্পৃক্ত। যদি তাঁরা বলেন যে, এই হাদীসটি উরওয়া (র.) থেকে যুহরী (র.) ও হিশাম (র.) ব্যতীত অন্যরাও রিওয়ায়াত করেছেন। এই বিষয়ে তারা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেন?
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
436 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُمَحِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بُسْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا مَسَّ أَحَدُكُمْ ذَكَرَهُ , فَلَا يُصَلِّيَنَّ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»
437 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَرْوَانَ، عَنْ بُسْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُ: إِنَّ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ أَيْضًا , لَمْ يَسْمَعْ هَذَا مِنْ أَبِيهِ , وَإِنَّمَا أَخَذَهُ مِنْ أَبِي بَكْرٍ , فَدَلَّسَ بِهِ عَنْ أَبِيهِ
438 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ مَرْوَانَ , ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ عَلَى مَا ذَكَرَهُ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , وَابْنُ خُزَيْمَةَ , فَرَجَعَ الْحَدِيثُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَيْضًا. فَإِنْ قَالُوا: فَقَدْ رَوَاهُ عَنْ عُرْوَةَ أَيْضًا غَيْرُ الزُّهْرِيِّ , وَغَيْرُ هِشَامٍ , فَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
437 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَرْوَانَ، عَنْ بُسْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُ: إِنَّ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ أَيْضًا , لَمْ يَسْمَعْ هَذَا مِنْ أَبِيهِ , وَإِنَّمَا أَخَذَهُ مِنْ أَبِي بَكْرٍ , فَدَلَّسَ بِهِ عَنْ أَبِيهِ
438 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا مَعَ مَرْوَانَ , ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ عَلَى مَا ذَكَرَهُ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , وَابْنُ خُزَيْمَةَ , فَرَجَعَ الْحَدِيثُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَيْضًا. فَإِنْ قَالُوا: فَقَدْ رَوَاهُ عَنْ عُرْوَةَ أَيْضًا غَيْرُ الزُّهْرِيِّ , وَغَيْرُ هِشَامٍ , فَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৩৯. মুহাম্মাদ ইব্ন হাজ্জাজ (র.) ও রবীউল মুয়াযযিন (র.) ...... আবুল আসওয়াদ (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উরওয়া (র.) কে বুসরা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করতে শুনেছেন।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে:
তোমরা এ বিষয়ে ইব্ন লাহীয়া (রাহঃ) দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ, অথচ প্রতিপক্ষ তোমাদের বিরুদ্ধে তাঁর বর্ণিত প্রমাণ পেশ করলে তোমরা তা গ্রহণযোগ্য মনে কর না? এতে আমার উদ্দেশ্য আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.) ও ইব্ন লাহীয়া (র.) এবং অন্যদের প্রতি দোষারোপ করা নয়; বরং প্রতিপক্ষের যুলুমকে (প্রকাশ) করা মাত্র। সুতরাং যুহরী (র.) এবং উরওয়া (র.) এর মধ্যবর্তী রাবীর কারণে যুহরী (র.)-এর রিওয়ায়াতের দুর্বলতা সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এবং যুহরী (র.) ও হিশাম (র.)-এর রিওয়ায়াতের দুর্বলতা প্রমাণিত হয়েছে উরওয়া (র.) ও বুসরা (রা.)-এর মধ্যবর্তী রাবীর কারণে। এ কারণেই উরওয়া (র.) তা গ্রহণ করেননি এবং তার দিকে মনোনিবেশ করেননি। অথচ হাদীস এর চাইতে কমের কারণেও রহিত হয়ে যায়। আর যদি তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪০. আবু বাকরা (র.) ..... ইয়াহ্ইয়া ইব্ন আবী কাসীর (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জনৈক ব্যক্তিকে মসজিদে নববীতে এই হাদীসটি বর্ণনা করতে শুনেছেন। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের যালিম হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তোমরা এরূপ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ কর। তারা যদি এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে?
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে:
তোমরা এ বিষয়ে ইব্ন লাহীয়া (রাহঃ) দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ, অথচ প্রতিপক্ষ তোমাদের বিরুদ্ধে তাঁর বর্ণিত প্রমাণ পেশ করলে তোমরা তা গ্রহণযোগ্য মনে কর না? এতে আমার উদ্দেশ্য আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী বাকর (র.) ও ইব্ন লাহীয়া (র.) এবং অন্যদের প্রতি দোষারোপ করা নয়; বরং প্রতিপক্ষের যুলুমকে (প্রকাশ) করা মাত্র। সুতরাং যুহরী (র.) এবং উরওয়া (র.) এর মধ্যবর্তী রাবীর কারণে যুহরী (র.)-এর রিওয়ায়াতের দুর্বলতা সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এবং যুহরী (র.) ও হিশাম (র.)-এর রিওয়ায়াতের দুর্বলতা প্রমাণিত হয়েছে উরওয়া (র.) ও বুসরা (রা.)-এর মধ্যবর্তী রাবীর কারণে। এ কারণেই উরওয়া (র.) তা গ্রহণ করেননি এবং তার দিকে মনোনিবেশ করেননি। অথচ হাদীস এর চাইতে কমের কারণেও রহিত হয়ে যায়। আর যদি তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪০. আবু বাকরা (র.) ..... ইয়াহ্ইয়া ইব্ন আবী কাসীর (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জনৈক ব্যক্তিকে মসজিদে নববীতে এই হাদীসটি বর্ণনা করতে শুনেছেন। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের যালিম হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তোমরা এরূপ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ কর। তারা যদি এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে?
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
439 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ وَرَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَا: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ , أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ يَذْكُرُ عَنْ بُسْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُمْ: كَيْفَ تَحْتَجُّونَ فِي هَذَا بِابْنِ لَهِيعَةَ , وَأَنْتُمْ لَا تَجْعَلُونَهُ حُجَّةً لِخَصْمِكُمْ , فِيمَا يَحْتَجُّ بِهِ عَلَيْكُمْ؟ وَلَمْ أُرِدْ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ الطَّعْنِ عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , وَلَا عَلَى ابْنِ لَهِيعَةَ , وَلَا عَلَى غَيْرِهِمَا وَلَكِنِّي أَرَدْتُ بَيَانَ ظُلْمِ الْخَصْمِ. فَثَبَتَ وَهَاءُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ , بِالَّذِي دَخَلَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عُرْوَةَ , وَوَهَاءُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ أَيْضًا , وَهِشَامٍ بِالَّذِي بَيْنَ عُرْوَةَ , وَبُسْرَةَ , لِأَنَّ عُرْوَةَ لَمْ يَقْبَلْ ذَلِكَ , وَلَمْ يَرْفَعْ بِهِ رَأْسًا , وَقَدْ سَقَطَ الْحَدِيثُ بِأَقَلَّ مِنْ هَذَا. وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
440 - بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يُحَدِّثُ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: كَفَى بِكُمْ ظُلْمًا أَنْ تَحْتَجُّوا بِمِثْلِ هَذَا. وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
440 - بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلًا يُحَدِّثُ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: كَفَى بِكُمْ ظُلْمًا أَنْ تَحْتَجُّوا بِمِثْلِ هَذَا. وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৪১. আলী ইব্ন মা'বাদ (র.) ..... যায়দ ইব্ন খালিদ (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করবে, তার জন্য উযূ করা আবশ্যক।"
৪৪২. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... ইব্ন ইসহাক (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। উত্তরে তাকে বলা হবে তুমি তো মুহাম্মাদ ইব্ন ইসহাক (র.)-কে কোন ব্যাপারেই প্রমাণ সাব্যস্ত কর না। না সেই সময়, যখন কেউ তাঁর সঙ্গে মতবিরোধ করে, যেমনটি এই হাদীসে ঘটেছে এবং না সেই সময়, যখন তিনি একাকী বর্ণনা করেন। উপরন্তু এই হাদীসটি 'মুনকার' এবং সম্ভাবনা আছে যে, এটা ভুল। যেহেতু যখন মারওয়ান উরওয়া (রাহঃ) কে লজ্জাস্থান স্পর্শ করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছেন তখন তিনি নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করে উত্তর দিয়েছেন যে, এতে উযূ (আবশ্যিক) নয়। যখন মারওয়ান তাঁকে বুসরা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করলেন তখন তাকে উরওয়া (র.) বললেনঃ আমি এই হাদীসটি শুনিনি। আর এটা যায়দ ইব্ন খালিদের ইন্তিকালের অনেক দিন পরের ঘটনা। যদি যায়দ ইব্ন খালিদ (র.) নবী (ﷺ) থেকে এই হাদীসটি উরওয়া (র.)-এর নিকট বর্ণনা করতেন তাহলে তিনি (উরওয়া) বুসরা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করতেন না।
৪৪২. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... ইব্ন ইসহাক (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। উত্তরে তাকে বলা হবে তুমি তো মুহাম্মাদ ইব্ন ইসহাক (র.)-কে কোন ব্যাপারেই প্রমাণ সাব্যস্ত কর না। না সেই সময়, যখন কেউ তাঁর সঙ্গে মতবিরোধ করে, যেমনটি এই হাদীসে ঘটেছে এবং না সেই সময়, যখন তিনি একাকী বর্ণনা করেন। উপরন্তু এই হাদীসটি 'মুনকার' এবং সম্ভাবনা আছে যে, এটা ভুল। যেহেতু যখন মারওয়ান উরওয়া (রাহঃ) কে লজ্জাস্থান স্পর্শ করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছেন তখন তিনি নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করে উত্তর দিয়েছেন যে, এতে উযূ (আবশ্যিক) নয়। যখন মারওয়ান তাঁকে বুসরা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করলেন তখন তাকে উরওয়া (র.) বললেনঃ আমি এই হাদীসটি শুনিনি। আর এটা যায়দ ইব্ন খালিদের ইন্তিকালের অনেক দিন পরের ঘটনা। যদি যায়দ ইব্ন খালিদ (র.) নবী (ﷺ) থেকে এই হাদীসটি উরওয়া (র.)-এর নিকট বর্ণনা করতেন তাহলে তিনি (উরওয়া) বুসরা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করতেন না।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
441 - بِمَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ , قَالَ: ثنا أُبَيٌّ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ»
442 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَيَّاشٌ الرَّقَّامُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُ أَنْتَ لَا تَجْعَلُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ حُجَّةً فِي شَيْءٍ , إِذَا خَالَفَهُ فِيهِ مِثْلُ مَنْ خَالَفَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَلَا إِذَا انْفَرَدَ. وَنَفْسُ هَذَا الْحَدِيثِ مُنْكَرٌ وَأَخْلِقْ بِهِ أَنْ يَكُونَ غَلَطًا , لِأَنَّ عُرْوَةَ حِينَ سَأَلَهُ مَرْوَانُ , عَنْ مَسِّ الْفَرْجِ , فَأَجَابَهُ مِنْ رَأْيِهِ أَنْ لَا وُضُوءَ فِيهِ. فَلَمَّا قَالَ لَهُ مَرْوَانُ , عَنْ بُسْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ: , قَالَ لَهُ عُرْوَةُ: مَا سَمِعْتُ بِهِ وَهَذَا بَعْدَ مَوْتِ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ بِكَمْ مَا شَاءَ اللهُ فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يُنْكِرَ عُرْوَةُ عَلَى بُسْرَةَ , مَا قَدْ حَدَّثَهُ إِيَّاهُ , زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ
442 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَيَّاشٌ الرَّقَّامُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُ أَنْتَ لَا تَجْعَلُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ حُجَّةً فِي شَيْءٍ , إِذَا خَالَفَهُ فِيهِ مِثْلُ مَنْ خَالَفَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَلَا إِذَا انْفَرَدَ. وَنَفْسُ هَذَا الْحَدِيثِ مُنْكَرٌ وَأَخْلِقْ بِهِ أَنْ يَكُونَ غَلَطًا , لِأَنَّ عُرْوَةَ حِينَ سَأَلَهُ مَرْوَانُ , عَنْ مَسِّ الْفَرْجِ , فَأَجَابَهُ مِنْ رَأْيِهِ أَنْ لَا وُضُوءَ فِيهِ. فَلَمَّا قَالَ لَهُ مَرْوَانُ , عَنْ بُسْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ: , قَالَ لَهُ عُرْوَةُ: مَا سَمِعْتُ بِهِ وَهَذَا بَعْدَ مَوْتِ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ بِكَمْ مَا شَاءَ اللهُ فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يُنْكِرَ عُرْوَةُ عَلَى بُسْرَةَ , مَا قَدْ حَدَّثَهُ إِيَّاهُ , زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৪৩. রবীউল জীযী (র.) ...... আয়েশা (রা.)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
যদি এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪৪. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... ইবরাহীম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে:
তোমরা নিজেদের প্রতিপক্ষকে তোমাদের বিরুদ্ধে ইব্ন শুরাইহ্ এর মত রাবীদের দ্বারা প্রমাণ পেশ করার অনুমতি দাও না, তাহলে তোমরা স্বয়ং কেন তার দ্বারা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ কর? উপরন্তু এই হাদীসটিও 'মুনকার'। যেহেতু যখন মারওয়ান উরওয়া (র.)-কে এ বিষয়ে বুসরা'র রিওয়ায়াতটি সম্পর্কে সংবাদ দিলেন, তখন উরওয়া (রাহঃ) সে সম্পর্কে ইতিপূর্বে অবগত ছিলেন না, না আয়েশা ( রা ) থেকে, না অন্যদের থেকে।
যদি এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪৪. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... ইবরাহীম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে:
তোমরা নিজেদের প্রতিপক্ষকে তোমাদের বিরুদ্ধে ইব্ন শুরাইহ্ এর মত রাবীদের দ্বারা প্রমাণ পেশ করার অনুমতি দাও না, তাহলে তোমরা স্বয়ং কেন তার দ্বারা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ কর? উপরন্তু এই হাদীসটিও 'মুনকার'। যেহেতু যখন মারওয়ান উরওয়া (র.)-কে এ বিষয়ে বুসরা'র রিওয়ায়াতটি সম্পর্কে সংবাদ দিলেন, তখন উরওয়া (রাহঃ) সে সম্পর্কে ইতিপূর্বে অবগত ছিলেন না, না আয়েশা ( রা ) থেকে, না অন্যদের থেকে।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
فَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ
443 - بِمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ الْأَشْهَلِيُّ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَيْحٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ.
444 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْفَرْوِيُّ إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. قِيلَ لَهُمْ: أَنْتُمْ لَا تُسْرِعُونَ خَصْمَكُمْ أَنْ يَحْتَجَّ عَلَيْكُمْ بِمِثْلِ عُمَرَ بْنِ شُرَيْحٍ , فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِهِ أَنْتُمْ عَلَيْهِ؟ . ثُمَّ ذَلِكَ أَيْضًا، فِي نَفْسِهِ، مُنْكَرٌ لِأَنَّ عُرْوَةَ , لَمَّا أَخْبَرَهُ مَرْوَانُ عَنْ بُسْرَةَ بِمَا أَخْبَرَهُ بِهِ مِنْ ذَلِكَ , لَمْ يَكُنْ عَرَفَهُ قَبْلَ ذَلِكَ , لَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَلَا عَنْ غَيْرِهَا.
443 - بِمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ الْأَشْهَلِيُّ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَيْحٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ.
444 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْفَرْوِيُّ إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. قِيلَ لَهُمْ: أَنْتُمْ لَا تُسْرِعُونَ خَصْمَكُمْ أَنْ يَحْتَجَّ عَلَيْكُمْ بِمِثْلِ عُمَرَ بْنِ شُرَيْحٍ , فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِهِ أَنْتُمْ عَلَيْهِ؟ . ثُمَّ ذَلِكَ أَيْضًا، فِي نَفْسِهِ، مُنْكَرٌ لِأَنَّ عُرْوَةَ , لَمَّا أَخْبَرَهُ مَرْوَانُ عَنْ بُسْرَةَ بِمَا أَخْبَرَهُ بِهِ مِنْ ذَلِكَ , لَمْ يَكُنْ عَرَفَهُ قَبْلَ ذَلِكَ , لَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَلَا عَنْ غَيْرِهَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৫
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
যদি তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪৫. ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (র.) ..... ইব্ন উমার (রা.)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
তাদেরকে বলা হবেঃ
এই সাদাকা ইব্ন আব্দুল্লাহ্ স্বয়ং তোমাদের নিকট দুর্বল (রাবী)। তোমরা তার রিওয়ায়াতকে কিভাবে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ কর? এবং হিশাম ইব্ন যায়দ সেই সমস্ত আলিমদের অন্তর্ভূক্ত নয়, যাদের রিওয়ায়াত দ্বারা এরূপ পরিচয় প্রমাণিত হয়।
৪৪৫. ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (র.) ..... ইব্ন উমার (রা.)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
তাদেরকে বলা হবেঃ
এই সাদাকা ইব্ন আব্দুল্লাহ্ স্বয়ং তোমাদের নিকট দুর্বল (রাবী)। তোমরা তার রিওয়ায়াতকে কিভাবে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ কর? এবং হিশাম ইব্ন যায়দ সেই সমস্ত আলিমদের অন্তর্ভূক্ত নয়, যাদের রিওয়ায়াত দ্বারা এরূপ পরিচয় প্রমাণিত হয়।
فَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
445 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا دُحَيْمُ بْنُ الْيَتِيمِ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ صَدَقَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: صَدَقَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ هَذَا، عِنْدَكُمْ ضَعِيفٌ , فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِهِ؟ وَهِشَامُ بْنُ زَيْدٍ , فَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ الَّذِينَ يَثْبُتُ بِرِوَايَتِهِمْ مِثْلُ هَذَا.
445 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا دُحَيْمُ بْنُ الْيَتِيمِ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ صَدَقَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. قِيلَ لَهُمْ: صَدَقَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ هَذَا، عِنْدَكُمْ ضَعِيفٌ , فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِهِ؟ وَهِشَامُ بْنُ زَيْدٍ , فَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ الَّذِينَ يَثْبُتُ بِرِوَايَتِهِمْ مِثْلُ هَذَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৬
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
যদি তারা এ বিষয়ে প্রমাণ পেশ করে (এবং নিম্নোক্ত হাদীস পেশ করে)।
৪৪৬. ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (র.) ...... সালিম (র.)-এর পিতা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লজ্জাস্থান স্পর্শ করবে সে যেন অবশ্যই উযূ করে নেয়।
তাদেরকে বলা হবেঃ
তোমরা এই আলা (ইব্ন সুলায়মান) দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ? অথচ তিনি তোমাদের নিকটও দুর্বল রাবী?
৪৪৬. ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (র.) ...... সালিম (র.)-এর পিতা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লজ্জাস্থান স্পর্শ করবে সে যেন অবশ্যই উযূ করে নেয়।
তাদেরকে বলা হবেঃ
তোমরা এই আলা (ইব্ন সুলায়মান) দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ? অথচ তিনি তোমাদের নিকটও দুর্বল রাবী?
وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
446 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: ثنا الْعَلَاءُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» قِيلَ لَهُمْ: كَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِالْعَلَاءِ هَذَا , وَهُوَ عِنْدَكُمْ ضَعِيفٌ؟
446 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: ثنا الْعَلَاءُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» قِيلَ لَهُمْ: كَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِالْعَلَاءِ هَذَا , وَهُوَ عِنْدَكُمْ ضَعِيفٌ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৭
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
তারা যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪৭. ইউনুস (র.) ..... আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ হাত লজ্জাস্থান পর্যন্ত পৌছায় এবং উভয়ের মাঝে কোনরূপ আড়াল না থাকে সে যেন অবশ্যই উযূ করে নেয়। তাদেরকে বলা হবে তোমাদের নিকট এই ইয়াযীদ 'মুনকারুল হাদীস'। তার কোন হাদীসই সঠিক হয় না। তোমরা তার দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ? যদি তারা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
৪৪৭. ইউনুস (র.) ..... আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ হাত লজ্জাস্থান পর্যন্ত পৌছায় এবং উভয়ের মাঝে কোনরূপ আড়াল না থাকে সে যেন অবশ্যই উযূ করে নেয়। তাদেরকে বলা হবে তোমাদের নিকট এই ইয়াযীদ 'মুনকারুল হাদীস'। তার কোন হাদীসই সঠিক হয় না। তোমরা তার দ্বারা কিভাবে প্রমাণ পেশ করছ? যদি তারা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا
447 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ , عَنِ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ: «مَنْ أَفْضَى بِيَدِهِ إِلَى ذَكَرِهِ؟ لَيْسَ بَيْنَهُمَا سِتْرٌ وَلَا حِجَابٌ , فَلْيَتَوَضَّأْ» قِيلَ لَهُمْ: يَزِيدُ هَذَا عِنْدَكُمْ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ , لَا يَسْتَوِي حَدِيثُهُ شَيْئًا فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِهِ؟ . وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
447 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ , عَنِ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ: «مَنْ أَفْضَى بِيَدِهِ إِلَى ذَكَرِهِ؟ لَيْسَ بَيْنَهُمَا سِتْرٌ وَلَا حِجَابٌ , فَلْيَتَوَضَّأْ» قِيلَ لَهُمْ: يَزِيدُ هَذَا عِنْدَكُمْ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ , لَا يَسْتَوِي حَدِيثُهُ شَيْئًا فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِهِ؟ . وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৪৮. ইয়াযীদ (র.) ...... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি নবী (ﷺ) থেকে ইউনুস (র.) ...... মাআন (র.)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবেঃ
হাদীসের হাফিযগণের মধ্যে যারাই এই হাদীস ইব্ন আবী যি'ব (র.) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, তাঁরা এটাকে 'মুনকাতি' ও 'মাউকুফ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তা থেকে কিছু বর্ণনা নিম্নরূপঃ
৪৪৯. আবু বাকরা (র.) ...... মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমান (র.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যাঃ
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের হাফিযগণ এ হাদীসটিকে মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমানের উপর 'মাউকুফ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এবং তাঁরা এতে ইব্ন নাফি' (র.)-এর বিরোধিতা করেছেন। অথচ ইব্ন নাফি' (র.) তোমাদের নিকট এ বিষয়ে প্রমাণ স্বরূপ। পক্ষান্তরে (মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমান) তাদের বিরুদ্ধে প্রামাণ্য নয়। অতএব তোমরা এ বিষয়ে কিভাবে 'মুনকাতি' হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করছ, অথচ তোমরা 'মুনকাতি' হাদীসকে প্রামাণ্য বলে স্বীকার কর না? যদি তারা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করতে প্রয়াস পায়ঃ
উত্তরে তাদেরকে বলা হবেঃ
হাদীসের হাফিযগণের মধ্যে যারাই এই হাদীস ইব্ন আবী যি'ব (র.) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, তাঁরা এটাকে 'মুনকাতি' ও 'মাউকুফ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তা থেকে কিছু বর্ণনা নিম্নরূপঃ
৪৪৯. আবু বাকরা (র.) ...... মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমান (র.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যাঃ
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসের হাফিযগণ এ হাদীসটিকে মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমানের উপর 'মাউকুফ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এবং তাঁরা এতে ইব্ন নাফি' (র.)-এর বিরোধিতা করেছেন। অথচ ইব্ন নাফি' (র.) তোমাদের নিকট এ বিষয়ে প্রমাণ স্বরূপ। পক্ষান্তরে (মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমান) তাদের বিরুদ্ধে প্রামাণ্য নয়। অতএব তোমরা এ বিষয়ে কিভাবে 'মুনকাতি' হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করছ, অথচ তোমরা 'মুনকাতি' হাদীসকে প্রামাণ্য বলে স্বীকার কর না? যদি তারা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করতে প্রয়াস পায়ঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
448 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ قَالَ: ثنا دُحَيْمٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ عَنْ مَعْنٍ. قِيلَ لَهُمْ: هَذَا الْحَدِيثُ كُلُّ مَنْ رَوَاهُ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ مِنَ الْحُفَّاظِ , يَقْطَعُهُ وَيُوقِفُهُ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
449 - فَمِنْ ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنْ عُقْبَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. فَهَؤُلَاءِ الْحُفَّاظُ , يُوقِفُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَيُخَالِفُونَ فِيهِ ابْنَ نَافِعٍ , وَهُوَ عِنْدَكُمْ حُجَّةٌ عَلَيْهِ وَلَيْسَ هُوَ بِحُجَّةٍ عَلَيْهِمْ. فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِحَدِيثٍ مُنْقَطِعٍ فِي هَذَا , وَأَنْتُمْ لَا تُثْبِتُونَ الْمُنْقَطِعَ؟ وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
449 - فَمِنْ ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنْ عُقْبَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. فَهَؤُلَاءِ الْحُفَّاظُ , يُوقِفُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَيُخَالِفُونَ فِيهِ ابْنَ نَافِعٍ , وَهُوَ عِنْدَكُمْ حُجَّةٌ عَلَيْهِ وَلَيْسَ هُوَ بِحُجَّةٍ عَلَيْهِمْ. فَكَيْفَ تَحْتَجُّونَ بِحَدِيثٍ مُنْقَطِعٍ فِي هَذَا , وَأَنْتُمْ لَا تُثْبِتُونَ الْمُنْقَطِعَ؟ وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫২
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৫০. সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (র.), ইউনুস, (র.) ও রবীউল জীযী (র.) ....... উম্মুল মু'মিনীন উম্মু হাবীবা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করে সে যেন অবশ্যই উযূ করে।”
৪৫১-৪৫২. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... হাইছাম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। উত্তরে তাদেরকে বলা হবেঃ এ হাদীসটিও 'মুনকাতি'। যেহেতু মাকহূল (র.) আম্বাসা ইবন আবী সুফইয়ান (র.) থেকে কিছু শুনেননি। ইব্ন আবী দাউদ (র.) বর্ণনা করেন যে, আমি আবু মুস্হির (র.)-কে বিষয়টি বলতে শুনেছি এবং তোমরা এরূপ বিষয়ে আবু মুসহিরের বিষয়ে আবু মুসহিরের বক্তব্য দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাক। তাঁরা যদি নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত সমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
৪৫১-৪৫২. ইব্ন আবী দাউদ (র.) ..... হাইছাম (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। উত্তরে তাদেরকে বলা হবেঃ এ হাদীসটিও 'মুনকাতি'। যেহেতু মাকহূল (র.) আম্বাসা ইবন আবী সুফইয়ান (র.) থেকে কিছু শুনেননি। ইব্ন আবী দাউদ (র.) বর্ণনা করেন যে, আমি আবু মুস্হির (র.)-কে বিষয়টি বলতে শুনেছি এবং তোমরা এরূপ বিষয়ে আবু মুসহিরের বিষয়ে আবু মুসহিরের বক্তব্য দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাক। তাঁরা যদি নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত সমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
450 - بِمَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَيُونُسُ وَرَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالُوا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ حُمَيْدٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي الْعَلَاءُ بْنُ الْحَارِثِ , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ , عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ»
451 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مُسْهِرٍ، عَنِ الْهَيْثَمِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُمْ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْقَطِعٌ أَيْضًا , لِأَنَّ مَكْحُولًا , لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ شَيْئًا.
452 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا مُسْهِرٍ، يَقُولُ ذَلِكَ , وَأَنْتُمْ تَحْتَجُّونَ فِي مِثْلِ هَذَا بِقَوْلِ أَبِي مُسْهِرٍ , وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
451 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مُسْهِرٍ، عَنِ الْهَيْثَمِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُمْ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْقَطِعٌ أَيْضًا , لِأَنَّ مَكْحُولًا , لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ شَيْئًا.
452 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا مُسْهِرٍ، يَقُولُ ذَلِكَ , وَأَنْتُمْ تَحْتَجُّونَ فِي مِثْلِ هَذَا بِقَوْلِ أَبِي مُسْهِرٍ , وَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৩
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৫৩. ইউনুস (র.) ...... আমর ইব্ন শু'আইব স্বীয় পিতা - পিতামহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, বুসরা (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করে বলেন যে, মহিলা তার হাত নাড়াচাড়া করে এবং তা তার লজ্জাস্থান স্পর্শ করে (এর বিধান কি?)। তিনি বললেনঃ হে বুসরা! উযূ করে নিবে।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
453 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا مَعْنُ بْنُ عِيسَى , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُؤَمَّلِ الْمَخْزُومِيِّ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ:: أَنَّ بُسْرَةَ سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: " الْمَرْأَةُ تَضْرِبُ بِيَدِهَا فَتُصِيبَ فَرْجَهَا؟ قَالَ: «تَتَوَضَّأُ , يَا بُسْرَةُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৫৪
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৫৪. ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ) ..... আমর ইব্ন শু'আইব তার পিতা - পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন পুরুষ নিজ লজ্জা স্থান স্পর্শ করলে সে উযূ করবে এবং কোন নারী নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে সেও উযূ করবে।
তাদেরকে বলা হবেঃ
তোমাদের ধারণা অনুযায়ী, আমর ইব্ন শু'আইব (র.) তাঁর পিতা থেকে কিছু শুনেননি। তিনি তাঁর সহীফা থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তোমাদের উক্তি মতে এটা 'মুনকাতি'। আর তোমাদের নিকট মুনকাতি প্রামাণ্য নয়। সুতরাং এই সমস্ত রিওয়ায়াত অগ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হল, যা দিয়ে সে সমস্ত আলিমগণ প্রমাণ পেশ করেন, যারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করাকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ থেকে এর পরিপন্থীও বর্ণিত আছে তা থেকে কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
তাদেরকে বলা হবেঃ
তোমাদের ধারণা অনুযায়ী, আমর ইব্ন শু'আইব (র.) তাঁর পিতা থেকে কিছু শুনেননি। তিনি তাঁর সহীফা থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তোমাদের উক্তি মতে এটা 'মুনকাতি'। আর তোমাদের নিকট মুনকাতি প্রামাণ্য নয়। সুতরাং এই সমস্ত রিওয়ায়াত অগ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হল, যা দিয়ে সে সমস্ত আলিমগণ প্রমাণ পেশ করেন, যারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ করাকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেন। বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ থেকে এর পরিপন্থীও বর্ণিত আছে তা থেকে কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
454 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْخَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ الْفَوْزِيُّ , قَالَ: ثنا بَقِيَّةُ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ , وَأَيُّمَا امْرَأَةٍ مَسَّتْ فَرْجَهَا فَلْتَتَوَضَّأْ» قِيلَ لَهُمْ: أَنْتُمْ تَزْعُمُونَ أَنَّ عَمْرَو بْنَ شُعَيْبٍ , لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ شَيْئًا , وَإِنَّمَا حَدِيثُهُ عَنْهُ , عَنْ صَحِيفَةٍ , فَهَذَا، عَلَى قَوْلِكُمْ، مُنْقَطِعٌ , وَالْمُنْقَطِعُ فَلَا يَجِبُ بِهِ عِنْدَكُمْ حُجَّةٌ. فَقَدْ ثَبَتَ فَسَادُ هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا , الَّتِي يَحْتَجُّ بِهَا مَنْ يَذْهَبُ إِلَى إِيجَابِ الْوُضُوءِ مِنْ مَسِّ الْفَرْجِ. وَقَدْ رُوِيَتْ آثَارٌ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخَالِفُ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৫৫. ইউনুস (র.) ...... কায়স ইবন তালাক (র.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি একবার নবী (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করেন, লজ্জাস্থান স্পর্শ করার কারণে উযূ (ওয়াজিব) হয়? তিনি বললেন, না।
৪৫৬. আবু বাকরা (র.) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন জাবির (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
৪৫৭-৪৫৮. মুহাম্মাদ ইব্ন আব্বাস লু'লুঈ (র.) ও আবু বিশর রকী (র.) ...... কায়স ইব্ন তালাক তাঁর পিতা (রা.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
৪৫৯. হুসাইন ইব্ন নসর (র.) ...... কায়স ইব্ন তালাক তার পিতা (রা.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
৪৬০. আবু উমাইয়া (র.) ..... কায়স (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর পিতা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
৪৫৬. আবু বাকরা (র.) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন জাবির (র.) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
৪৫৭-৪৫৮. মুহাম্মাদ ইব্ন আব্বাস লু'লুঈ (র.) ও আবু বিশর রকী (র.) ...... কায়স ইব্ন তালাক তাঁর পিতা (রা.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
৪৫৯. হুসাইন ইব্ন নসর (র.) ...... কায়স ইব্ন তালাক তার পিতা (রা.) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
৪৬০. আবু উমাইয়া (র.) ..... কায়স (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর পিতা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন ।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
455 - فَمِنْهَا مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَابِرٍ , عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ , عَنْ أَبِيهِ: أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفِي مَسِّ الذَّكَرِ وُضُوءٌ؟ قَالَ: «لَا»
456 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ.
457 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ اللُّؤْلُؤِيُّ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بنُ عُتْبَةَ ح.
458 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ , عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ , عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ.
459 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بَدْرٍ السُّحَيْمِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
460 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، وَخَلَفُ بْنُ الْوَلِيدِ , وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , وَسَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ قَيْسٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
456 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ.
457 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ اللُّؤْلُؤِيُّ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بنُ عُتْبَةَ ح.
458 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ , عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ , عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ.
459 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بَدْرٍ السُّحَيْمِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
460 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، وَخَلَفُ بْنُ الْوَلِيدِ , وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , وَسَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ قَيْسٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৬১-৪৬২. মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (র.) ....... কায়স ইব্ন তালাক্ তাঁর পিতা (রা.) নবী থেকে বর্ণনা করেন। জনৈক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর নবী (ﷺ)! উযূ করার পর কোন ব্যক্তি নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? তিনি বললেনঃ এতো (লজ্জাস্থান) তোমার শরীরের একটি অংশ বই নয়।
পর্যালোচনাঃ
বস্তুত এটা মুলাযিম (রাবীর) সহীহ (বিশুদ্ধ) ও সঠিক সনদসম্বলিত হাদীস। না এর সনদে কোন গোলমাল (ইযতিরাব) আছে, না এর মূল পাঠে (মতনে)। এটা আমাদের মতে সেই সমস্ত সনদগত ‘ইযতিরাব’ সম্বলিত রিওয়ায়াত সমূহ অপেক্ষা অধিক উত্তম, যা আমরা প্রথমে বর্ণনা করেছি।
(৪৬২)আমাকে ইব্ন আবী ইমরান (র.) বর্ণনা করেছেন ....... আব্বাস ইব্ন আব্দুল আযীম আম্বরী ...... আলী ইব্ল মাদিনী (র.) বলেনঃ মুলাযিম (র.)-এর এই হাদীস বুসরা (রাযিঃ)-এর হাদীস অপেক্ষা উত্তম। যদি বিষয়টি সনদ এবং এর দৃঢ়তার দিক দিয়ে লক্ষ্য করা হয় তাহলে মুলাযিম (রাবীর) এ হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে সর্বোত্তম। ইমাম তাহাবী (র.)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ যদি বিষয়টি যুক্তির নিরিখে যাচাই করা হয় তাহলে আমরা লক্ষ্য করছি যে, লজ্জাস্থানকে কোন ব্যক্তি যদি হাতের পিঠ বা বাহু দিয়ে স্পর্শ করে এতে তার উপর উযূ করা ওয়াজিব না হওয়ার ব্যাপারে ফকীহ আলিমদের কোন মতবিরোধ নেই। তাই যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, হাতের তালু দিয়ে তা স্পর্শ করলে অনুরূপভাবে উযূ করা ওয়াজিব হবে না। অথচ উরুও সতরের অন্তর্ভূক্ত। অতএব যখন সতর বিশিষ্ট অঙ্গের সাথে এর স্পর্শের কারণে তার উপর উযূকে ওয়াজিব করে না, তাহলে সতর নয় এরূপ অঙ্গের সাথে এর স্পর্শকরণে তার উপরে উযূ ওয়জিব না হওয়াটা অধিক যুক্তিসঙ্গত। যারা এর দ্বারা উযূ ওয়াজিব হওয়ার মত গ্রহণ করেছেন তারা বলেছেনঃ সাহাবীগণ হাতের তালু দ্বারা তা স্পর্শ করার দ্বারা উযূকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
পর্যালোচনাঃ
বস্তুত এটা মুলাযিম (রাবীর) সহীহ (বিশুদ্ধ) ও সঠিক সনদসম্বলিত হাদীস। না এর সনদে কোন গোলমাল (ইযতিরাব) আছে, না এর মূল পাঠে (মতনে)। এটা আমাদের মতে সেই সমস্ত সনদগত ‘ইযতিরাব’ সম্বলিত রিওয়ায়াত সমূহ অপেক্ষা অধিক উত্তম, যা আমরা প্রথমে বর্ণনা করেছি।
(৪৬২)আমাকে ইব্ন আবী ইমরান (র.) বর্ণনা করেছেন ....... আব্বাস ইব্ন আব্দুল আযীম আম্বরী ...... আলী ইব্ল মাদিনী (র.) বলেনঃ মুলাযিম (র.)-এর এই হাদীস বুসরা (রাযিঃ)-এর হাদীস অপেক্ষা উত্তম। যদি বিষয়টি সনদ এবং এর দৃঢ়তার দিক দিয়ে লক্ষ্য করা হয় তাহলে মুলাযিম (রাবীর) এ হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে সর্বোত্তম। ইমাম তাহাবী (র.)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ যদি বিষয়টি যুক্তির নিরিখে যাচাই করা হয় তাহলে আমরা লক্ষ্য করছি যে, লজ্জাস্থানকে কোন ব্যক্তি যদি হাতের পিঠ বা বাহু দিয়ে স্পর্শ করে এতে তার উপর উযূ করা ওয়াজিব না হওয়ার ব্যাপারে ফকীহ আলিমদের কোন মতবিরোধ নেই। তাই যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, হাতের তালু দিয়ে তা স্পর্শ করলে অনুরূপভাবে উযূ করা ওয়াজিব হবে না। অথচ উরুও সতরের অন্তর্ভূক্ত। অতএব যখন সতর বিশিষ্ট অঙ্গের সাথে এর স্পর্শের কারণে তার উপর উযূকে ওয়াজিব করে না, তাহলে সতর নয় এরূপ অঙ্গের সাথে এর স্পর্শকরণে তার উপরে উযূ ওয়জিব না হওয়াটা অধিক যুক্তিসঙ্গত। যারা এর দ্বারা উযূ ওয়াজিব হওয়ার মত গ্রহণ করেছেন তারা বলেছেনঃ সাহাবীগণ হাতের তালু দ্বারা তা স্পর্শ করার দ্বারা উযূকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
461 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا مُلَازِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللهِ , مَا تَرَى فِي مَسِّ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ , بَعْدَمَا تَوَضَّأَ؟ . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ هُوَ إِلَّا بَضْعَةٌ مِنْكَ؟ أَوْ مُضْغَةٌ مِنْكَ» فَهَذَا حَدِيثُ مُلَازِمٍ , صَحِيحٌ مُسْتَقِيمُ الْإِسْنَادِ , غَيْرُ مُضْطَرِبٍ فِي إِسْنَادِهِ , وَلَا فِي مَتْنِهِ , فَهُوَ أَوْلَى عِنْدَنَا مِمَّا رَوَيْنَاهُ , أَوَّلًا مِنَ الْآثَارِ الْمُضْطَرِبَةِ فِي أَسَانِيدِهَا ,
462 - وَلَقَدْ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: سَمِعْتُ عَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ يَقُولُ: حَدِيثُ مُلَازِمٍ هَذَا , أَحْسَنُ مِنْ حَدِيثِ بُسْرَةَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا الْبَابُ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ الْإِسْنَادِ وَاسْتِقَامَتِهِ , فَحَدِيثُ مُلَازِمٍ هَذَا , أَحْسَنُ إِسْنَادًا. وَإِنْ كَانَ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ , أَنَّ مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ بِظَهْرِ كَفِّهِ , أَوْ بِذِرَاعَيْهِ , لَمْ يَجِبْ فِي ذَلِكَ وُضُوءٌ. فَالنَّظَرُ أَنْ يَكُونَ مَسُّهُ إِيَّاهُ بِبَطْنِ كَفِّهِ كَذَلِكَ. وَقَدْ رَأَيْنَاهُ لَوْ مَسَّهُ بِفَخِذِهِ , لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ بِذَلِكَ وُضُوءٌ , وَالْفَخِذُ عَوْرَةٌ. فَإِذَا كَانَتْ مُمَاسَّتُهُ إِيَّاهُ بِالْعَوْرَةِ , لَا تُوجِبُ عَلَيْهِ وُضُوءًا فَمُمَاسَّتُهُ إِيَّاهُ بِغَيْرِ الْعَوْرَةِ أَحْرَى أَنْ لَا تُوجِبَ عَلَيْهِ وُضُوءًا. فَقَالَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى إِيجَابِ الْوُضُوءِ مِنْهُ: فَقَدْ أَوْجَبَ الْوُضُوءَ فِي مُمَاسَّتِهِ بِالْكَفِّ , أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
462 - وَلَقَدْ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: سَمِعْتُ عَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ يَقُولُ: حَدِيثُ مُلَازِمٍ هَذَا , أَحْسَنُ مِنْ حَدِيثِ بُسْرَةَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا الْبَابُ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ الْإِسْنَادِ وَاسْتِقَامَتِهِ , فَحَدِيثُ مُلَازِمٍ هَذَا , أَحْسَنُ إِسْنَادًا. وَإِنْ كَانَ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ , أَنَّ مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ بِظَهْرِ كَفِّهِ , أَوْ بِذِرَاعَيْهِ , لَمْ يَجِبْ فِي ذَلِكَ وُضُوءٌ. فَالنَّظَرُ أَنْ يَكُونَ مَسُّهُ إِيَّاهُ بِبَطْنِ كَفِّهِ كَذَلِكَ. وَقَدْ رَأَيْنَاهُ لَوْ مَسَّهُ بِفَخِذِهِ , لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ بِذَلِكَ وُضُوءٌ , وَالْفَخِذُ عَوْرَةٌ. فَإِذَا كَانَتْ مُمَاسَّتُهُ إِيَّاهُ بِالْعَوْرَةِ , لَا تُوجِبُ عَلَيْهِ وُضُوءًا فَمُمَاسَّتُهُ إِيَّاهُ بِغَيْرِ الْعَوْرَةِ أَحْرَى أَنْ لَا تُوجِبَ عَلَيْهِ وُضُوءًا. فَقَالَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى إِيجَابِ الْوُضُوءِ مِنْهُ: فَقَدْ أَوْجَبَ الْوُضُوءَ فِي مُمَاسَّتِهِ بِالْكَفِّ , أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৩
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৬৩. আবু বাকরা (র.) ..... মুস'আব ইব্ন সা'দ ইব্ন আবী ওয়াক্কাস (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি আমার পিতার জন্য কুরআন শরীফ ধারণ করছিলাম। এরই মধ্যে আমি আমার লজ্জাস্থানকে স্পর্শ করেছি, এতে তিনি আমাকে উযু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
463 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ قَالَ: أَنْبَأَنِي الْحَكَمُ , قَالَ: سَمِعْتُ مُصْعَبَ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ: «كُنْتُ أُمْسِكُ الْمُصْحَفَ عَلَى أَبِي فَمَسَسْتُ فَرْجِي , فَأَمَرَنِي أَنْ أَتَوَضَّأَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৬৪
অনুচ্ছেদঃ লজ্জাস্থান স্পর্শের কারণে উযূ ওয়াজিব হয় কি না?
৪৬৪. সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (রাহঃ) ..... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইব্ন উমার (রা.) ও ইব্ন আব্বাস (রা.) এমন ব্যক্তির ব্যাপারে যে নিজ লজ্জাস্থান স্পর্শ করেছে, বলতেন, সে উযূ করবে। শু'বা (র.) বলেনঃ আমি কাতাদা (র.) কে বললাম, এটা কার থেকে বর্ণিত? তিনি বললেন, আতা ইব্ন আবী রিবাহ (র.) থেকে।
باب مس الفرج هل يجب فيه الوضوء أم لا؟
464 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: " كَانَ ابْنُ عُمَرَ , وَابْنُ عَبَّاسٍ , يَقُولَانِ فِي الرَّجُلِ يَمَسُّ ذَكَرَهُ؟ قَالَا: يَتَوَضَّأُ. قَالَ شُعْبَةُ: فَقُلْتُ لِقَتَادَةَ: عَمَّنْ هَذَا؟ فَقَالَ: عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ "