শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ২২১
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২১.আবু বাকরা (রাযিঃ) ……. সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (স) প্রত্যেক সালাতের জন্য উযু করতেন। কিন্তু মক্কা বিজয়ের দিন একই উযুতে একাধিক সালাত আদায় করেছিলেন।
كتاب الطهارة
بَابُ الْوُضُوءِ هَلْ يَجِبُ لِكُلِّ صَلَاةٍ أَمْ لَا؟
221 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ , عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَلَمَّا كَانَ الْفَتْحُ صَلَّى الصَّلَوَاتِ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২২
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২২.ইবন মারজূক (রাহঃ) ……. বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (স) মক্কা বিজয়ের দিন একই উজূতে পাঁচ (ওয়াক্তের) সালাত আদায় করেছিলেন এবং চামড়ার মোজায় মাসেহ করেছিলেন। উমার (রাযিঃ) তখন তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আজকে এমন একটি কাজ করলেন, যা পূর্বে কখনও করেননি। তিনি বললেন, হে উমার! ইচ্ছে করেই এমন করেছি।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
222 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، وَأَبُو حُذَيْفَةَ قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: " صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ , وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: صَنَعْتَ شَيْئًا يَا رَسُولَ اللهِ لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ. فَقَالَ: «عَمْدًا فَعَلْتُهُ يَا عُمَرُ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৩
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৩.ইবন মারজূক (রাহঃ) ……. বুরায়দা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (স) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করতেন।
একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেন যে, মুকীম তথা বাড়িতে অবস্থানকারী লোকদের উপরে প্রত্যেক সালাতের জন্য পৃথক উজূ করা ওয়াজিব। তাঁরা এ ব্যপারে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অধিকাংশ আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, উজূ শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে ওয়াজিব হয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নবী (স) থেকে নিম্নবর্ণিত রিওয়ায়াত তাঁদের মাজহাবের অনুকূলে রয়েছেঃ
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
223 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، قَالَ: ثنا عَلْقَمَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ كَانَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ» . فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْحَاضِرِينَ يَجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَتَوَضَّئُوا لِكُلِّ صَلَاةٍ، وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ أَكْثَرُ الْعُلَمَاءِ , فَقَالُوا: لَا يَجِبُ الْوُضُوءُ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ. وَكَانَ مِمَّا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ مَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৪
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৪.ইউনুস (রাহঃ) ……. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ (স) জনৈকা আনসারী মহিলার বাড়িতে গেলেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর সাহাবীগণও ছিলেন। তিনি তাঁদের সম্মুখে একটি ভুনা বকরী পেশ করলেন। তিনি আহার করলেন এবং আমরাও আহার করলাম। অতঃপর জুহুরের (ওয়াক্ত) হয়ে গেল। তিনি উজূ করলেন এবং সালাত আদায় করলেন। এরপর অবশিষ্ট খানার জন্য ফিরে গেলেন এবং তা খেলেন। এরপর আসরের ওয়াক্ত হলে তিনি (আসরের) সালাত আদায় করলেন; কিন্তু (নতুন) উজূ করেননি।
ইমাম আবু জা’ফর আবু তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি জুহুর এবং আসরের সালাত সেই একই উজূ দ্বারা আদায় করেছিলেন, যা তিনি জুহুরের জন্য করেছিলেন। আবার তাঁর প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করায়, যেমন ইবন বুয়ায়দা (রাযিঃ)-এর হাদীস ব্যক্ত হয়েছে, হতে পারে তা ছিল ফযিলত তথা অধিক ছওয়াবের প্রত্যাশায়, ওয়াজিব হওয়ার কারণে নয়। কেউ যদি বলে যে, এতে (নতুন উজূতে) কি কোন রুপ ফযিলত রয়েছে, যা প্রত্যাশা করা যায়? তাকে বলবে, হ্যাঁ।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
224 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَابْنُ جُرَيْجٍ , وَابْنُ سَمْعَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: «ذَهَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى امْرَأَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ، فَقَرَّبَتْ لَهُمْ شَاةً مَصْلِيَّةً فَأَكَلَ وَأَكَلْنَا، ثُمَّ حَانَتِ الظُّهْرُ، فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى فَضْلِ طَعَامِهِ فَأَكَلَ , ثُمَّ حَانَتِ الْعَصْرُ، فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ بِوُضُوئِهِ الَّذِي كَانَ فِي وَقْتِ الظُّهْرِ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ وُضُوءُهُ لِكُلِّ صَلَاةٍ عَلَى مَا رَوَى ابْنُ بُرَيْدَةَ , كَانَ ذَلِكَ عَلَى الْتِمَاسِ الْفَضْلِ لَا عَلَى الْوُجُوبِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَهَلْ فِي هَذَا مِنْ فَضْلٍ فَيُلْتَمَسُ؟ قِيلَ لَهُ نَعَمْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৫
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৫.ইউনুস (রাহঃ) …... আবু গুতায়ফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার আব্দুল্লাহ ইবন উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সঙ্গে জুহুরের সালাত আদায় করেছি। তারপর তিনি ঘরের মজলিসে চলে গেলেন। আমিও তাঁর সঙ্গে গেলাম। যখন আসরের আযান দেওয়া হল, তিনি উজূর জন্য পানি চাইলেন এবং উজূ করে বের হয়ে গেলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে বের হলাম। তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি মজলিসে ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। তারপর যখন মাগরিবের আযান দেওয়া হল, তিনি উজূর জন্য পানি চাইলেন এবং উজূ করলেন। আমি তাঁকে বললাম, হে আবু আব্দুর রহমান, এটা কি, প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ? তিনি বললেন, তুমি অবশ্যই আমার (আচরণ) থেকে বুঝে ফেলেছ, তবে এটা সুন্নত (মুয়াক্কাদা) নয়। আমার ফজর সালাতের উজূ সকল সালাতের জন্য যথেষ্ট, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি উজূ নষ্ট না করি। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ তাহারাত অবস্থায়ও যদি কেউ উজূ করে তবে আল্লাহ তাকে দশটি নেকী দিবেন। সুতরাং, হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র, আমি ওটার জন্য আগ্রহী। অতঃপর হতে পারে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম)-এর এই আমল, যা ইবন বুরায়দা (রাযিঃ) তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন, উক্ত ফজীলত লাভের উদ্দ্যেশ্যে ছিল; এই জন্য নয় যে, তা তাঁর উপর ওয়াজিব ছিল। আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) ও উল্লেখিত বিষয়বস্তুর সমর্থনে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেনঃ
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
225 - قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعَمَ، عَنْ أَبِي غُطَيْفٍ الْهُذَلِيِّ قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ الظُّهْرَ فَانْصَرَفَ فِي مَجْلِسٍ فِي دَارِهِ فَانْصَرَفْتُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا نُودِيَ بِالْعَصْرِ دَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ خَرَجَ وَخَرَجْتُ مَعَهُ فَصَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَجْلِسِهِ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا نُودِيَ بِالْمَغْرِبِ دَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ. فَقُلْتُ لَهُ: أَيُّ شَيْءٍ هَذَا يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ الْوُضُوءُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ؟ فَقَالَ: وَقَدْ فَطِنْتَ لِهَذَا مِنِّي؟ لَيْسَتْ بِسُنَّةٍ إِنْ كَانَ لَكَافٍ وُضُوئِي لِصَلَاةِ الصُّبْحِ صَلَوَاتِي كُلَّهَا مَا لَمْ أُحْدِثْ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَوَضَّأَ عَلَى طُهْرٍ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِذَلِكَ عَشْرَ حَسَنَاتٍ» فَفِي ذَلِكَ رَغِبْتُ يَا ابْنَ أَخِي. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا فَعَلَ مَا رَوَى عَنْهُ ابْنُ بُرَيْدَةَ لِإِصَابَةِ هَذَا الْفَضْلِ , لَا لِأَنَّ ذَلِكَ كَانَ وَاجِبًا عَلَيْهِ. وَقَدْ رَوَى أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَيْضًا مَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৬
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৬.ইবন মারজূক (রাহঃ) …… আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট পানি আনা হয়, তিনি তা থেকে উজূ করলেন। আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) কি প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি বললাম, আপনারা? তিনি বললেন, আমরা একই উজূতে একাধিক সালাত আদায় করতাম।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এই আনাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম)-এর সেই আমলের বিধান সম্পর্কে অবগত আছেন যা আমরা উল্লেখ করছি। আর তিনি তা প্রত্যেক সালাতের জন্য ফরয মনে করেননি। এটাও হতে পারে যে, তিনি এমনটি তখন করতেন, যখন তা ওয়াজিব ছিল; তারপর তা রহিত হয়ে যায়। আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি যে, এই বিষয়ে কোন হাদীস পাওয়া যায় কিনা, যা এই ব্যাখ্যার সমর্থন করে। (এ মর্মের হাদীস নিম্নরূপঃ)
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
226 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: " أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهُ، فَقُلْتُ لِأَنَسٍ: أَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قُلْتُ: فَأَنْتُمْ؟ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّي الصَّلَوَاتِ بِوُضُوءٍ ". فَهَذَا أَنَسٌ قَدْ عَلِمَ حُكْمَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَرَ ذَلِكَ فَرْضًا عَلَى غَيْرِهِ. وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ وَهُوَ وَاجِبٌ، ثُمَّ نُسِخَ , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , هَلْ نَجِدُ شَيْئًا مِنَ الْآثَارِ يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى
হাদীস নং: ২২৭
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৭.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ……… মুহাম্মাদ ইয়াহয়া (রাযিঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার কি ধারণা, আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) উজূ-বেউজূ সর্বাবস্থায় প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করতেন? তিনি বললেন, জায়দ ইবন খাত্তাব এর কন্যা আসমা (রাযিঃ) আমাকে বর্ণনা করেন যে, তাঁকে আব্দুল্লাহ ইবন হানজালা ইবন আবী আমের (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) উজূ-বেউজূ (সর্বাবস্থায়) প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করার নির্দেশ পেয়েছিলেন। যখন তাঁর উপর তা কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওাক করার নির্দেশ পান। ইবন উমার (রাযিঃ) নিজের শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করা পরিত্যাগ করতেন না।
সুতরাং, এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম)-কে প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারপর তা রহিত গিয়েছে। সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত উজূ নষ্ট না হবে (প্রথম) উজূ যথেষ্ট বিবেচিত হবে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, এই হাদীসে তো প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওয়াক ওয়াজিব কথা ব্যক্ত হয়েছে। তাহলে তোমরা কিভাবে তা ওয়াজিব মনে করনা? তোমরা এর কতক অংসের উপর আমল করছ। অথচ তোমরা তো (নীতিগতভাবে) পূর্ণ হাদীসের উপর আমল করে থাক।
তাকে উত্তরে বলা হবে, হতে পারে প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওয়াকের নির্দেশ উম্মত ব্যতীত নবী সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম-এর বৈসিষ্ট। আবার হতে পারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি ওবং উম্মত সমান। বস্তুত এই বিষয়ের বাস্তবতা পর্যন্ত পৌঁছা তখন পর্যন্ত স্মভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্যকরূপে অবহিত না হওয়া যাবে। আর আমরা এই বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি যে, এ সম্পর্কে কোন হাদীস পাই কিনা- যা আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করবে।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
227 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قُلْتُ لَهُ: أَرَأَيْتَ تَوَضُّؤَ ابْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلَاةٍ، طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ؟ عَمَّ ذَاكَ؟ قَالَ: حَدَّثَتْنِيهِ أَسْمَاءُ ابْنَةُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ حَدَّثَهَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا كَانَ أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ، فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَمَرَ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً عَلَى ذَلِكَ ; فَكَانَ لَا يَدَعُ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ، ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ الْوُضُوءَ يُجْزِئُ مَا لَمْ يَكُنِ الْحَدَثُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ إِيجَابُ السِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ ; فَكَيْفَ لَا تُوجِبُونَ ذَلِكَ وَلَا تَعْمَلُونَ بِكُلِّ الْحَدِيثِ، إِذَا كُنْتُمْ قَدْ عَمِلْتُمْ بِبَعْضِهِ؟ قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُصَّ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ دُونَ أُمَّتِهِ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونُوا هُمْ وَهُوَ فِي ذَلِكَ سَوَاءً، وَلَيْسَ يُوصَلُ إِلَى حَقِيقَةِ ذَلِكَ إِلَّا بِالتَّوْقِيفِ. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِيهِ شَيْئًا يَدُلُّنَا عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৮
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৮. আলী ইবন মা’বাদ (রাহঃ) …… আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে এই আশংকা যদি না হত তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে তাদের নির্দেশ দিতাম।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
228 - فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا أَبِي عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَسَارٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ»
হাদীস নং: ২২৯
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২২৯. আবু বাকরা (রাহঃ) …… আব্দুর রহমান ইবন আবী লায়লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) এর সাহাবীগণ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
229 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: ثنا أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩০
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩০. ইবন মারজূক (রাহঃ) …… ইবন উমার (রাযিঃ)-এর বারাতে নবী (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবন আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি গরীব পর্যায়ের। এটা আমি শুধু ইবন মারজূক (রাহঃ) থেকে উধ্রিত করেছি।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
230 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ خَلَفٍ الطُّفَاوِيُّ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ , مَا كَتَبْنَاهُ إِلَّا عَنِ ابْنِ مَرْزُوقٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩১
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩১. আলী ইবন মা’বাদ (রাহঃ) …… যায়দ ইবন খালিদ (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
231 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩২
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩২. আলী ইবন মা’বাদ (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আ’লাইহু ওয়াসাল্লাম) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
232 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ، قَالَ: ثنا أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ عَطَاءٍ، مَوْلَى أُمِّ صَبِيَّةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৩
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৩. ইউনুস (রাহঃ) ও ইবন আবী আকীল (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে এই আশংকা না থাকলে আমি প্রত্যেক সালাতের সাথে মিসওয়াক করতে তাদের নির্দেশ দিতাম।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
233 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، قَالَا: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلَاةٍ»
হাদীস নং: ২৩৪
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৪. ইবন মারজূক (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে এই আশংকা যদি না হত আমি প্রত্যেক উজূর সাথে মিসওয়াক করতে তাদের নির্দেশ দিতাম।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
234 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ وُضُوءٍ»
হাদীস নং: ২৩৫
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৫. ইউনুস (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী করিম (স) বলেনঃ আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করলে তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সাথে মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
235 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ»
হাদীস নং: ২৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৬-২৩৭. রবীউল মুআযজিন (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবন খুজায়মা (রাহঃ) ……… আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ (স) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
236 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ح ,
237 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
হাদীস নং: ২৩৮
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৮. হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ……. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে মারফূ’ হিসেবে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
বিশ্লেষণ
অতএব “আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে, এই আশংকা যদি না হত তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম” - রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এই উক্তি দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, তিনি তাদেরকে এর নির্দেশ দেননি এবং এটা (মিসওয়াক করা) তাদের উপর ওয়াজিব নয়। আর তা তেদের থেকে রহিত, বিশেষ করে এটাই প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূর বিকল্প। এতে প্রমাণিত হল যে, তাদের উপর প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ ওয়াজিব ছিল না এবং তাদেরকে এর নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই বিধান শুধুমাত্র নবী (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্য ছিল, সাহাবাগনের জন্য ছিল না। এই বিষয়ে তাঁর এবং সাহাবাগনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিধান ছিল। এটাই এই অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ ওয়াজিব হওয়ার বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত যুক্তির আলোকে উক্ত বিধানের বিশ্লেষণ হল নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উজূ হল অপবিত্র (হাদাস) থেকে তাহারাত বা পবিত্র অর্জন করা। আমরা দেখতে ইচ্ছা করেছি যে, হাদাসসমূহ থেকে তাহারাতের বিধান কিরুপ এবং কোন জিনিস তা ভঙ্গ করে দেয়? তো আমরা দেখি হাদাসের কারণে যে তাহারাত আবশ্যকীয় হয় তা দুইভাগে বিভক্ত। এর একটি হল গোসল, অপরটি উজূ। যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে বা জুনুবী হয়ে যায়, তার উপর গোসোল করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি পেশাপ বা পায়খানা করে তার উপর উজূ করা ওয়াজিব। যে ওয়াজিব গোসলের কথা আমরা উল্লেখ করেছি তা সময় অতিবাহিত হয়ায় ভঙ্গ হয় না, তা শুধু হাদাস দ্বারা ভঙ্গ হয়ে থাকে। যখন সাব্যস্ত হলে যে, স্ত্রী সহবাস এবং স্বপ্নদোষ থেকে তাহারাত অর্জন করার বিধান এরুপ তখন যুক্তির দাবি হচ্ছে, সমস্ত হাদীস থেকে তাহারাত অর্জন করা অনুরুপই হবে এবং গোসলের মতই সময় অতিবাহিত হয়ার কারণে তা ভঙ্গ হবে না।
দ্বিতীয় দলিলঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সমস্ত ফকীহদের এই বিষয়ে ঐক্যমত রইয়েছে যে, মুসাফির হাদাস (উজূ নষ্ট) না করলে সব কয়টি সালাত একই উজূ দ্বারা করতে পারে। পক্ষান্তরে তারা মুকীম (বাড়িতে অবস্থানকারী)-এর ব্যাপারে মতবিরোধ করেছেন। আমরা দেখি যে, স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ, পায়খানা, পেশাব- মুকীমের জন্য এসবই হাদাস আর এতে তার উপর তাহারাত ওয়াজিব হয়। মুসাফির থেকে তা সংঘটিত হলে তার বিধান অনুরুপ হবে এবং তার উপর সেই তাহারাত অর্জন করা ওয়াজিব হবে, যা মুকীম হওয়ার সময় তার উপর ওয়াজিব হয়। আমরা অন্য আরেকটি তাহারাত লক্ষ্য করেছি, যা সময় অতিবাহিত হওয়ার দ্বারা ভেঙ্গে যায়। তা হচ্ছে মোজার উপর মাসেহ করা। এতেও মুকীম এবং মুসাফিরের জন্য অভিন্ন বিধান। তাদের তাহারাত নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে ভেঙ্গে যায়। যদিও সফর ও মুকীম অবস্থার মেয়াদে পার্থক্য রয়েছে।
বস্তুত যখন পূর্বোল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, যে বস্তু মুকীমের তাহারাতকে ভেঙ্গে দেয় এর দ্বারা মুসাফিরের তাহারাতও ভেঙ্গে যায়। আর সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর মুসাফিরের তাহারাতও ভঙ্গ হয় না; সুতরাং যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার দ্বারা মুকীমের তাহারাতও ভঙ্গ হবে না, আর এটা ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরবর্তী এক দল (আলিম) উক্ত অভিমত পোষণ করেছেনঃ
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
238 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ. مِثْلَهُ فَثَبَتَ بِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ» أَنَّهُ لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِذَلِكَ وَأَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ عَلَيْهِمْ ; وَأَنَّ فِي ارْتِفَاعِ ذَلِكَ عَنْهُمْ، وَهُوَ الْمَجْعُولُ بَدَلًا مِنَ الْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ، دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِمْ وَلَا أُمِرُوا بِهِ وَأَنَّ الْمَأْمُورَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَهُمْ وَأَنَّ حُكْمَهُ كَانَ فِي ذَلِكَ غَيْرَ حُكْمِهِمْ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَقَدْ ثَبَتَ بِذَلِكَ ارْتِفَاعُ وُجُوبِ الْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ ; فَإِنَّا رَأَيْنَا الْوُضُوءَ طَهَارَةً مِنْ حَدَثٍ , فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي الطَّهَارَاتِ مِنَ الْأَحْدَاثِ كَيْفَ حُكْمُهَا؟ وَمَا الَّذِي يُنْقِضُهَا؟ فَوَجَدْنَا الطَّهَارَاتِ الَّتِي تُوجِبُهَا الْأَحْدَاثُ عَلَى ضَرْبَيْنِ: فَمِنْهَا الْغُسْلُ , وَمِنْهَا الْوُضُوءُ , فَكَانَ مَنْ جَامَعَ أَوْ أَجْنَبَ , وَجَبَ عَلَيْهِ الْغُسْلُ , وَكَانَ مِنْ بَالَ أَوْ تَغَوَّطَ , وَجَبَ عَلَيْهِ الْوُضُوءُ. فَكَانَ الْغُسْلُ الْوَاجِبُ بِمَا ذَكَرْنَا لَا يُنْقِضُهُ مُرُورُ الْأَوْقَاتِ وَلَا يُنْقِضُهُ إِلَّا الْأَحْدَاثُ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ الطَّهَارَةِ مِنَ الْجِمَاعِ وَالِاحْتِلَامِ كَمَا ذَكَرْنَا , كَانَ فِي النَّظَرِ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ حُكْمُ الطَّهَارَاتِ مِنْ سَائِرِ الْأَحْدَاثِ كَذَلِكَ وَأَنَّهُ لَا يَنْقُضُ ذَلِكَ مُرُورُ وَقْتٍ كَمَا لَا يَنْقُضُ الْغُسْلَ مُرُورُ وَقْتٍ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّا رَأَيْنَاهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْمُسَافِرَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ. وَإِنَّمَا اخْتَلَفُوا فِي الْحَاضِرِ فَوَجَدْنَا الْإِحْدَاثَ مِنَ الْجِمَاعِ وَالِاحْتِلَامِ وَالْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُلِّ مَا إِذَا كَانَ مِنَ الْحَاضِرِ كَانَ حَدَثًا يُوجِبُ بِهِ عَلَيْهِ طَهَارَةً , فَإِنَّهُ إِذَا كَانَ مِنَ الْمُسَافِرِ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنَ الطَّهَارَةِ مَا يَجِبُ عَلَيْهِ لَوْ كَانَ حَاضِرًا. وَرَأَيْنَا طَهَارَةً أُخْرَى يُنْقِضُهَا خُرُوجُ وَقْتٍ وَهِيَ الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ ; فَكَانَ الْحَاضِرُ وَالْمُسَافِرُ فِي ذَلِكَ سَوَاءً ; يَنْقُضُ طَهَارَتُهُمَا خُرُوجُ وَقْتٍ مَا ; وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْوَقْتُ فِي نَفْسِهِ مُخْتَلِفًا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ ; وَإِنَّمَا يَنْقُضُ طَهَارَةُ الْحَاضِرِ مِنْ ذَلِكَ يَنْقُضُ طَهَارَةُ الْمُسَافِرِ , وَكَانَ خُرُوجُ الْوَقْتِ عَنِ الْمُسَافِرِ لَا يَنْقُضُ طَهَارَةً , كَانَ خُرُوجُهُ عَنِ الْمُقِيمِ أَيْضًا كَذَلِكَ , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا بَيَّنَّا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ قَالَ: بِذَلِكَ جَمَاعَةٌ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৩৯
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৯. ইবন খুজায়মা (রাহঃ)........ আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার আবু মুসা আশ’আরি (রাযিঃ)-এর শিষ্যবৃন্দ উজূ করে জুহুরের সালাত আদায় করছেন। যখন আসরের ওয়াক্ত হল তাঁরা উজূ করার জন্য প্রস্তুত হলেন তখন আবু মুসা আশ’আরি (রাযিঃ) তাঁদেরকে বললেন, কী ব্যপার, তোমরা কি হাদাস (উজূ নষ্ট) করেছ? তাঁরা বললেন, না। তিনি বললেন, হাদাস ব্যতীত উজূ করা। কোন ব্যক্তি হাদাস ব্যতীত উজূ করলো, সে তো শীঘ্রই তার পিতা, ভাই, চাচা ও চাচাতো ভাইকে হত্যা করে ফেলতে পারে।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
239 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ أَصْحَابَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ تَوَضَّئُوا وَصَلُّوا الظُّهْرَ. فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ قَامُوا لِيَتَوَضَّئُوا فَقَالَ: لَهُمْ: مَا لَكُمْ؟ أَحْدَثْتُمْ؟ فَقَالُوا: لَا , فَقَالَ: «الْوُضُوءُ مِنْ غَيْرِ حَدَثٍ , لِيُوشِكَ أَنْ يَقْتُلَ الرَّجُلُ أَبَاهُ , وَأَخَاهُ , وَعَمَّهُ , وَابْنَ عَمِّهِ , وَهُوَ يَتَوَضَّأُ مِنْ غَيْرِ حَدَثٍ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪০
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৪০. আবু বাকরা (রাহঃ) …….. আমর ইবন আমের (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমরা উজূ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সব কটি সালাত একই উজূতে আদায় করতাম।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
240 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ: «كُنَّا نُصَلِّي الصَّلَوَاتِ كُلَّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ مَا لَمْ نُحْدِثْ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪১
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৪১. আবু বাকরা (রাহঃ) ……. ইকরামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, স’দ (রাযিঃ) যতক্ষণ পর্যন্ত উজূ নষ্ট না করতেন সব কটি সালাত একই উজূতে আদায় করতেন।
كتاب الطهارة
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
241 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَسْعُودُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عِكْرِمَةَ «أَنَّ سَعْدًا كَانَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ كُلَّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ»
tahqiq

তাহকীক: