আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৯. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হুলিয়া মুবারক - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৭২৪
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৯. আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, আবু তালহা (আনাস ইবনে মালিকের মাতা-উম্মে সুলাইম-এর দ্বিতীয় স্বামী) উম্মে সুলাইমকে বলিলেন যে, আমি দেখিলাম, ক্ষুধার কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আওয়ায বাহির হইতেছে না। তোমার কাছে কিছু খাবার আছে কি? (ইহা শুনিয়া) উম্মে সুলাইম বলিল, হ্যাঁ আছে। অতঃপর যবের তৈরী কিছু রুটি সে বাহির করিল এবং একখানা কাপড়ে আবৃত করিয়া আমার (আনাসের) হাতে দিয়া দিল। অতঃপর আমার গায়ে একখানা কাপড় পরাইয়া আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে পাঠাইয়া দিল। আমি উহা লইয়া যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হইলাম, তখন তিনি মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। অনেক লোক তাহার কাছে বসা ছিল। আমি দাঁড়াইয়া রহিলাম। তিনি নিজেই জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাকে আবু তালহা পাঠাইয়াছে কি? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তিনি (আবার) জিজ্ঞাসা করিলেন, খাদ্য লইয়া পাঠাইয়াছে? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (উপস্থিত) সকলকে বলিলেন, তোমরা সকলেই উঠ। অতএব সকলেই উঠিল। আমি আগে আগে ছিলাম (আর উহারা আমার পিছনে পিছনে আসিতেছিলেন)।
আমি (আনাস) আবু তালহাকে গিয়া খবর দিলাম। আবু তালহা উম্মে সুলাইমকে বলিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মানুষজন সঙ্গে লইয়া আসিতেছেন। অথচ আমাদের কাছে এই পরিমাণ খাবার নাই যে, তাহদের সকলকে খাওয়াইতে পারি। উম্মে সুলাইম বলিলেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল খুব ভাল অবগত আছেন। আবু তালহা বাহির হইয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে সাক্ষাত করিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু তালহার সঙ্গে অগ্রসর হইলেন এবং তাহার গৃহে প্রবেশ করিলেন। চল, আল্লাহ্ বরকত দিবেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, হে উম্মে সুলাইম! তোমার কাছে যাহা কিছু আছে আমার কাছে নিয়া আস। উম্মে সুলাইম সেই রুটি লইয়া আসিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহাকে টুকরা টুকরা (খণ্ড খণ্ড) করার নির্দেশ দিলেন। উম্মে সুলাইম রুটির সেই খণ্ডগুলিতে এক কূপি ঘৃত ছিটাইয়া দিলেন তখন উহা মলীদা হইয়া গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহ যাহা চাহেন তাহা বলিলেন,* (পড়িলেন)। তৎপর ইরশাদ করিলেন, দশজনকে ডাক। অতএব দশজনকে ডাকা হইল। তাহারা সকলেই খাইয়া তৃপ্ত হইয়া চলিয়া গেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আর দশজনকে ডাকিতে বলিলেন। সেই দশজনও আসিয়া তৃপ্ত হইয়া খাইলেন এবং চলিয়া গেলেন। এইভাবে আরও দশজনকে ডাকিতে বলিলেন। তাহারাও তৃপ্ত হইয়া খাইলেন এবং চলিয়া গেলেন। এমন কি যতজন মানুষ সঙ্গে আসিয়াছিলেন সত্তর কিংবা আশিজন সকলেই তৃপ্ত হইয়া খাইলেন।**
আমি (আনাস) আবু তালহাকে গিয়া খবর দিলাম। আবু তালহা উম্মে সুলাইমকে বলিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মানুষজন সঙ্গে লইয়া আসিতেছেন। অথচ আমাদের কাছে এই পরিমাণ খাবার নাই যে, তাহদের সকলকে খাওয়াইতে পারি। উম্মে সুলাইম বলিলেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল খুব ভাল অবগত আছেন। আবু তালহা বাহির হইয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে সাক্ষাত করিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু তালহার সঙ্গে অগ্রসর হইলেন এবং তাহার গৃহে প্রবেশ করিলেন। চল, আল্লাহ্ বরকত দিবেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, হে উম্মে সুলাইম! তোমার কাছে যাহা কিছু আছে আমার কাছে নিয়া আস। উম্মে সুলাইম সেই রুটি লইয়া আসিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহাকে টুকরা টুকরা (খণ্ড খণ্ড) করার নির্দেশ দিলেন। উম্মে সুলাইম রুটির সেই খণ্ডগুলিতে এক কূপি ঘৃত ছিটাইয়া দিলেন তখন উহা মলীদা হইয়া গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহ যাহা চাহেন তাহা বলিলেন,* (পড়িলেন)। তৎপর ইরশাদ করিলেন, দশজনকে ডাক। অতএব দশজনকে ডাকা হইল। তাহারা সকলেই খাইয়া তৃপ্ত হইয়া চলিয়া গেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আর দশজনকে ডাকিতে বলিলেন। সেই দশজনও আসিয়া তৃপ্ত হইয়া খাইলেন এবং চলিয়া গেলেন। এইভাবে আরও দশজনকে ডাকিতে বলিলেন। তাহারাও তৃপ্ত হইয়া খাইলেন এবং চলিয়া গেলেন। এমন কি যতজন মানুষ সঙ্গে আসিয়াছিলেন সত্তর কিংবা আশিজন সকলেই তৃপ্ত হইয়া খাইলেন।**
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لِأُمِّ سُلَيْمٍ لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَعِيفًا أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ ثُمَّ أَخَذَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتْ الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ دَسَّتْهُ تَحْتَ يَدِي وَرَدَّتْنِي بِبَعْضِهِ ثُمَّ أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ قَالَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ لِلطَّعَامِ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ مَعَهُ قُومُوا قَالَ فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مِنْ الطَّعَامِ مَا نُطْعِمُهُمْ فَقَالَتْ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَانْطَلَقَ أَبُو طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو طَلْحَةَ مَعَهُ حَتَّى دَخَلَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلُمِّي يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا عِنْدَكِ فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفُتَّ وَعَصَرَتْ عَلَيْهِ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً لَهَا فَآدَمَتْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ بِالدُّخُولِ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ حَتَّى أَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالْقَوْمُ سَبْعُونَ رَجُلًا أَوْ ثَمَانُونَ رَجُلًا
হাদীস নং:১৭২৫
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২০. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন যে, দুইজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাবার চারিজনের জন্য যথেষ্ট।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ طَعَامُ الْاثْنَيْنِ كَافِي الثَّلَاثَةِ وَطَعَامُ الثَّلَاثَةِ كَافِي الْأَرْبَعَةِ
হাদীস নং:১৭২৬
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২১. জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আসলামী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন যে, (ঘরের) দরজা বন্ধ কর, মোশকের মুখ বন্ধ কর, বরতন ঢাকিয়া রাখ এবং চেরাগ নিভাইয়া দাও। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খোলে না, (মোশকের মুখে দেয়া) ছিপি খোলে না, ঢাকা বরতন উল্টায় না। স্মরণ রাখ, ইদুর লোকদের ঘরবাড়ি জ্বালাইয়া দেয়।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَغْلِقُوا الْبَابَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ وَأَكْفِئُوا الْإِنَاءَ أَوْ خَمِّرُوا الْإِنَاءَ وَأَطْفِئُوا الْمِصْبَاحَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَفْتَحُ غَلَقًا وَلَا يَحُلُّ وِكَاءً وَلَا يَكْشِفُ إِنَاءً وَإِنَّ الْفُوَيْسِقَةَ تُضْرِمُ عَلَى النَّاسِ بَيْتَهُمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭২৭
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২২. আবু শুরাইহ আল কা’বী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, যেই ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের উপর ঈমান আনয়ন করিয়াছে, সে যেন ভাল কথা বলে নতুবা নীরব থাকে। যেই ব্যক্তি আল্লাহর ও কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনয়ন করিয়াছে, সে যেন তাহার প্রতিবেশীর সহিত সদ্ব্যবহার করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনয়ন করিয়াছে, সে যেন তাহার মেহমানের সম্মান করে। একদিন এক রাত ভাল মতো মেহমানদারী করিবে এবং তিন দিন পর্যন্ত যাহা আছে উহা দ্বারা মেহমানদারী করিবে। ইহা অধিক সওয়াবের কাজ। আর মেহমানের জন্য ইহা শোভনীয় নহে যে, মেযবানকে (যাহার কাছে মেহমান হইয়াছে তাহাকে) কষ্ট দিয়া বেশী দিন তাহার কাছে অবস্থান করিবে।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ جَارَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ جَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَضِيَافَتُهُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ فَمَا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَهُ حَتَّى يُحْرِجَهُ
হাদীস নং:১৭২৮
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৩. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, এক ব্যক্তি পথ চলিতেছিল। সে খুব বেশী পিপাসা বোধ করিল। একটি কূপ দেখিল এবং উহাতে অবতরণ করিয়া পানি পান করিল। এরপর কূপ হইতে বাহিরে আসিয়া দেখিল যে, একটি কুকুর পিপাসায় কাতর হইয়া হ্যাঁপাইতেছে এবং কাদা লেহন করিতেছে। লোকটি (মনে মনে) বলিল, আমার মতো এই কুকুরটিও পিপাসায় কাতর হইয়াছে। অতঃপর লোকটি (পুনরায়) কূপে নামিয়া তাহার মোজায় পানি মুখে ভর্তি করিয়া লইয়া বাহির হইয়া আসিল।* অতঃপর লোকটি কুকুরটিকে পানি পান করাইল। (তাহার এই কাজে) আল্লাহ তাআলা তাহার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে মাফ করিয়া দিলেন। সাহাবীগণ আরয করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জানোয়ারকে (জীবজন্তুকে) পানি খাওয়াইলে আমাদের সওয়াব হইবে কি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, নিশ্চয়ই প্রাণী মাত্রকেই পানি পান করানোর মধ্যে সওয়াব হয়।**
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِطَرِيقٍ إِذْ اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ فَوَجَدَ بِئْرًا فَنَزَلَ فِيهَا فَشَرِبَ وَخَرَجَ فَإِذَا كَلْبٌ يَلْهَثُ يَأْكُلُ الثَّرَى مِنْ الْعَطَشِ فَقَالَ الرَّجُلُ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا الْكَلْبَ مِنْ الْعَطَشِ مِثْلُ الَّذِي بَلَغَ مِنِّي فَنَزَلَ الْبِئْرَ فَمَلَأَ خُفَّهُ ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ حَتَّى رَقِيَ فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّ لَنَا فِي الْبَهَائِمِ لَأَجْرًا فَقَالَ فِي كُلِّ ذِي كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
হাদীস নং:১৭২৯
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৪. জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সেনাবাহিনী সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় প্রেরণ করিলেন। আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ)-কে সেই বাহিনীর নেতা মনোনীত করিলেন। সেই বাহিনীতে তিন শত সৈনিক ছিল। আমিও (অর্থাৎ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ) সেই দলে শামিল ছিলাম। পথিমধ্যে (আমাদের) আহার্য ফুরাইয়া গেল। আবু উবায়দা (রাযিঃ) যেই পরিমাণ খাদ্য অবশিষ্ট আছে উহা একত্র করার আদেশ করিলেন। অতএব সব একত্র করা হইলে পর দেখা গেল যে, দুই বরতন খেজুর মাত্র আছে। আবু উবায়দা (রাযিঃ) আমাদেরকে প্রতিদিন অল্প অল্প দিতেন। শেষ পর্যন্ত জনপ্রতি (মাত্র) একটি করিয়া খেজুর পাওয়া যাইতে লাগিল। অতঃপর তাহাও নিঃশেষ হইয়া গেল। ওয়াহাব ইবনে কীসান (রাযিঃ) বলেন, আমি জাবির (রাযিঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, একটি করিয়া খেজুরে কি হয়? (কিছুই তো হয় না)। তিনি বলেন, সেইটাও যখন শেষ হইয়া গেল, এখন সেইটার কদর বুঝিতে পারিলাম। অতঃপর আমরা যখন সমুদ্র তীরে পৌছিলাম, তখন সেখানে পাহাড়সম এক বিরাট মৎস্য পাওয়া গেল। গোটা বাহিনী আঠার দিন পর্যন্ত সেই মৎস্য খাইল। অতঃপর আবু উবায়দা সেই মৎস্যের হাড় (কাঁটা) দাড় করাইবার নির্দেশ দিলেন। পাঁজরের দুইটি হাড় মুখোমুখি করিয়া দাড় করাইয়া রাখা হইল। উহার নীচে দিয়া উষ্ট্র চলিয়া গেল, উটের গায়ে হাড় লাগিল না।*
ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন, الظرب অর্থ পাহাড়।
ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন, الظرب অর্থ পাহাড়।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثًا قِبَلَ السَّاحِلِ فَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَهُمْ ثَلَاثُ مِائَةٍ قَالَ وَأَنَا فِيهِمْ قَالَ فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ فَنِيَ الزَّادُ فَأَمَرَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِأَزْوَادِ ذَلِكَ الْجَيْشِ فَجُمِعَ ذَلِكَ كُلُّهُ فَكَانَ مِزْوَدَيْ تَمْرٍ قَالَ فَكَانَ يُقَوِّتُنَاهُ كُلَّ يَوْمٍ قَلِيلًا قَلِيلًا حَتَّى فَنِيَ وَلَمْ تُصِبْنَا إِلَّا تَمْرَةٌ تَمْرَةٌ فَقُلْتُ وَمَا تُغْنِي تَمْرَةٌ فَقَالَ لَقَدْ وَجَدْنَا فَقْدَهَا حَيْثُ فَنِيَتْ قَالَ ثُمَّ انْتَهَيْنَا إِلَى الْبَحْرِ فَإِذَا حُوتٌ مِثْلُ الظَّرِبِ فَأَكَلَ مِنْهُ ذَلِكَ الْجَيْشُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً ثُمَّ أَمَرَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِضِلْعَيْنِ مِنْ أَضْلَاعِهِ فَنُصِبَا ثُمَّ أَمَرَ بِرَاحِلَةٍ فَرُحِلَتْ ثُمَّ مَرَّتْ تَحْتَهُمَا وَلَمْ تُصِبْهُمَا قَالَ مَالِك الظَّرِبُ الْجُبَيْلُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৩০
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৫. সা’দ ইবনে মা’আযের দাদী হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলয়হি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন, হে মুসলিম মহিলাগণ! তোমাদের কেহই যেন স্বীয় প্রতিবেশীকে তুচ্ছ না করে, যদিও সে ছাগলের পোড়া খুর পাঠায় না কেন।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ جَدَّتِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا نِسَاءَ الْمُؤْمِنَاتِ لَا تَحْقِرَنَّ إِحْدَاكُنَّ لِجَارَتِهَا وَلَوْ كُرَاعَ شَاةٍ مُحْرَقًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৩১
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৬. আব্দুল্লাহ ইবনে আবী বকর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন যে, ইহুদীগণকে আল্লাহ ধ্বংস করুন, তাহদের উপর চর্বি খাওয়া হারাম করিয়া দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু তাহারা উহা বিক্রয় করিয়া মূল্য খাইয়াছে।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ نُهُوا عَنْ أَكْلِ الشَّحْمِ فَبَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৩২
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৭. ঈসা ইবনে মরিয়ম আলাইহিস সালাম বলিতেনঃ হে বনী ইসরাঈল! তোমরা স্বচ্ছ পানি, শাকপাতা ও যবের রুটি খাও গমের (আটার) রুটি খাইও না। কেননা তোমরা উহার শোকর আদায় করিতে পরিবে না।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ كَانَ يَقُولُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَيْكُمْ بِالْمَاءِ الْقَرَاحِ وَالْبَقْلِ الْبَرِّيِّ وَخُبْزِ الشَّعِيرِ وَإِيَّاكُمْ وَخُبْزَ الْبُرِّ فَإِنَّكُمْ لَنْ تَقُومُوا بِشُكْرِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৩৩
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৮. মালিক (রাহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশ করিলেন। সেখানে তিনি আবু বকর সিদ্দীক এবং উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে উপস্থিত পাইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহদের কাছে মসজিদে আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহারা বলিলেন, ক্ষুধার তাড়নায় আসিয়াছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, আমাকেও ক্ষুধায় এখানে নিয়া আসিয়াছে। অতঃপর তাহারা [রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বকর ও উমর (রাযিঃ)] আবুল হাইশম ইবনে তাইহান আনসারী (রাযিঃ)-এর নিকট গেলেন। তিনি যবের রুটি তৈরী করার নির্দেশ দিলেন এবং নিজে একটি ছাগল জবাই করার জন্য উদ্যত হইলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, দুধের ছাগল জবাই করিও না। অতঃপর তিনি (আবুল হাইশম) আর একটি ছাগল জবাই করিলেন এবং মোশকে মিষ্ট পানি ভরিয়া (ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য) একটি খেজুর গাছে ঝুলাইয়া রাখিলেন । অতঃপর খাবার পরিবেশীত হইলে সকলে খাইলেন এবং সেই পানি পান করিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, ইহা সেই নিয়ামত। রোজ কিয়ামতে যাহার সম্বন্ধে তোমরা জিজ্ঞাসিত হইবে।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَوَجَدَ فِيهِ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ وَعُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَسَأَلَهُمَا فَقَالَا أَخْرَجَنَا الْجُوعُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَخْرَجَنِي الْجُوعُ فَذَهَبُوا إِلَى أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيِّهَانِ الْأَنْصَارِيِّ فَأَمَرَ لَهُمْ بِشَعِيرٍ عِنْدَهُ يُعْمَلُ وَقَامَ يَذْبَحُ لَهُمْ شَاةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَكِّبْ عَنْ ذَاتِ الدَّرِّ فَذَبَحَ لَهُمْ شَاةً وَاسْتَعْذَبَ لَهُمْ مَاءً فَعُلِّقَ فِي نَخْلَةٍ ثُمَّ أُتُوا بِذَلِكَ الطَّعَامِ فَأَكَلُوا مِنْهُ وَشَرِبُوا مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَتُسْأَلُنَّ عَنْ نَعِيمِ هَذَا الْيَوْمِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৩৪
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৯. ইয়াহইয়া ইবনে সায়ীদ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একদা রুটিতে ঘৃত মাখিয়া খাইতেছিলেন। এমন সময় জনৈক গ্রাম্য লোক আসিল। তিনি তাহাকেও ডাকিলেন। গ্রাম্য লোকটিও রুটি খাইতে লাগিল এবং রুটির সহিত ঘৃতের সেই ময়লাও খাইতে লগিল, যাহা ঘৃতের পাত্রে লাগিয়াছিল। উমর (রাযিঃ) তাহাকে বলিলেন, তুমি কোনদিন কিছু খাও নাই মনে হইতেছে! লোকটি বলিল, আল্লাহর কসম! আমি অনেক দিন ধরিয়া ঘৃত খাই নাই এবং ঘৃত দিয়া রুটি খাইতে কাহাকেও দেখিও নাই। অতঃপর উমর (রাযিঃ) বলিলেন, যতদিন পর্যন্ত জনসাধারণের আর্থিক অবস্থা পূর্বে যেমন ছিল তেমন না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমিও ঘৃত খাইব না।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَأْكُلُ خُبْزًا بِسَمْنٍ فَدَعَا رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ وَيَتَّبِعُ بِاللُّقْمَةِ وَضَرَ الصَّحْفَةِ فَقَالَ عُمَرُ كَأَنَّكَ مُقْفِرٌ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا أَكَلْتُ سَمْنًا وَلَا لُكْتُ أَكْلًا بِهِ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ عُمَرُ لَا آكُلُ السَّمْنَ حَتَّى يَحْيَا النَّاسُ مِنْ أَوَّلِ مَا يَحْيَوْنَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৩৫
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩০. আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) যখন আমীরুল মু’মিনীন ছিলেন, তখন তাহার সম্মুখে এক সা’ খেজুর রাখা হইত; আর তিনি উহা খাইতেন। এমন কি খারাপ ও শুকনা খেজুরও খাইতেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে যখন ফড়িং সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হইল (ইহা কি হালাল, না হারাম)। তিনি বলিলেন, আমি পছন্দ করি যে, যদি আমার কাছে এক থলি ফড়িং হইত তবে আমি উহা খাইতাম (অর্থাৎ ফড়িং খাওয়া হালাল এবং উহা বেশ ভাল খাদ্য)। (ইহা পঙ্গপাল, এক বিশেষ ধরনের ফড়িং।)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে যখন ফড়িং সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হইল (ইহা কি হালাল, না হারাম)। তিনি বলিলেন, আমি পছন্দ করি যে, যদি আমার কাছে এক থলি ফড়িং হইত তবে আমি উহা খাইতাম (অর্থাৎ ফড়িং খাওয়া হালাল এবং উহা বেশ ভাল খাদ্য)। (ইহা পঙ্গপাল, এক বিশেষ ধরনের ফড়িং।)
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يُطْرَحُ لَهُ صَاعٌ مِنْ تَمْرٍ فَيَأْكُلُهُ حَتَّى يَأْكُلَ حَشَفَهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ الْجَرَادِ فَقَالَ وَدِدْتُ أَنَّ عِنْدِي قَفْعَةً نَأْكُلُ مِنْهُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ الْجَرَادِ فَقَالَ وَدِدْتُ أَنَّ عِنْدِي قَفْعَةً نَأْكُلُ مِنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৩৬
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩১. হুমাইদ ইবনে মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর নিকট তাহার আকীকস্ত (জায়গার নাম) যমীনের খামারে বসিয়াছিলাম। এমন সময় তাহার নিকট কিছুসংখ্যক মদীনাবাসী সওয়ারীর উপর সওয়ার হইয়া আসিল এবং সেখানে নামিল। হুমাইদ বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমাকে বলিলেন, আমার আম্মার নিকট গিয়া আমার সালাম বল এবং আমাদেরকে কিছু খাওয়াইতে বল। হুমাইদ বলেন, (আমি তাহার আম্মার নিকট গিয়া উক্ত সংবাদ জানাইলাম)। তিনি তিনটি রুটি, কিছু যাইতুনের তেল এবং সামান্য লবণ পাত্রে রাখিয়া উহা আমার মাথার উপর রাখিলেন। উহা লইয়া আমি তাহদের (আবু হুরায়রা প্রমুখের) নিকট পৌছিলাম এবং তাঁহাদের সম্মুখে উহা রাখিলাম। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) উহা দেখিয়া আল্লাহু আকবার বলিলেন এবং বলিলেন, আল্লাহর শোকর, যিনি পেট ভরিয়া রুটি খাওয়াইয়াছেন। ইতিপূর্বে আমাদের অবস্থা এই ছিল যে, খেজুর পানি ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। উক্ত খাবার আগন্তুকদের জন্য যথেষ্ট হয় নাই। অতঃপর তাহারা চলিয়া গেল, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমাকে বলিলেন, ভাতিজা ছাগলগুলিকে ভালমতে যত্ন করিও, উহাদের নাক মুছিয়া দিও, উহাদের থাকার স্থানটা পরিষ্কার রাখিও এবং সেখানেই এক কোণে নামায পড়িও। কেননা উহা বেহেশতী জীব। সেই পাক জাতের কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ রহিয়াছে, অদূর ভবিষ্যতে জনসাধারণের উপর এমনই এক সময় আসিবে, যখন মারওয়ানের (আড়ম্বরপূর্ণ) ঘরের চেয়ে ছাগলের ছোট একটি পাল অধিক প্রিয় হইবে।*
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ خُثَيْمٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَأَتَاهُ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَلَى دَوَابٍّ فَنَزَلُوا عِنْدَهُ قَالَ حُمَيْدٌ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ اذْهَبْ إِلَى أُمِّي فَقُلْ إِنَّ ابْنَكِ يُقْرِئُكِ السَّلَامَ وَيَقُولُ أَطْعِمِينَا شَيْئًا قَالَ فَوَضَعَتْ ثَلَاثَةَ أَقْرَاصٍ فِي صَحْفَةٍ وَشَيْئًا مِنْ زَيْتٍ وَمِلْحٍ ثُمَّ وَضَعَتْهَا عَلَى رَأْسِي وَحَمَلْتُهَا إِلَيْهِمْ فَلَمَّا وَضَعْتُهَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ كَبَّرَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَشْبَعَنَا مِنْ الْخُبْزِ بَعْدَ أَنْ لَمْ يَكُنْ طَعَامُنَا إِلَّا الْأَسْوَدَيْنِ الْمَاءَ وَالتَّمْرَ فَلَمْ يُصِبْ الْقَوْمُ مِنْ الطَّعَامِ شَيْئًا فَلَمَّا انْصَرَفُوا قَالَ يَا ابْنَ أَخِي أَحْسِنْ إِلَى غَنَمِكَ وَامْسَحْ الرُّعَامَ عَنْهَا وَأَطِبْ مُرَاحَهَا وَصَلِّ فِي نَاحِيَتِهَا فَإِنَّهَا مِنْ دَوَابِّ الْجَنَّةِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ تَكُونُ الثُّلَّةُ مِنْ الْغَنَمِ أَحَبَّ إِلَى صَاحِبِهَا مِنْ دَارِ مَرْوَانَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৩৭
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩২. আবু নঈম ওয়াহব ইবনে কাইসান (রাহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি সাল্লামের নিকট খাবার আনয়ন করা হইল। তাহার সহিত তাহার পালক ছেলে উমর ইবনে আবী সালামাও ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁহাকে বলিলেন, বিসমিল্লাহ বলিয়া তোমার সামনের দিক হইতে খাও।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِطَعَامٍ وَمَعَهُ رَبِيبُهُ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِّ اللَّهَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ
হাদীস নং:১৭৩৮
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩৩. ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আমি কাসিম ইবনে মুহাম্মাদকে বলিতে শুনিয়াছি যে, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, আমার নিকট একটি ইয়াতীম বালক আছে। তাহার উট আছে। আমি উহার দুগ্ধ পান করিব কি? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, যদি তুমি তাহার হারাইয়া যাওয়া উট তালাশ কর এবং উটের অসুখে-বিসুখে ঔষধ সেবন করাও, উহার (খড়-কুড়া ও পানির) হাউজ লেপন কর এবং পানের সময় পানি দাও তবে তুমি উহার দুগ্ধ এইভাবে পান করিতে পার যে, উটের বাচ্চার যেন ক্ষতি না হয় কিংবা উটের বংশ দৃদ্ধির জন্য উহা ক্ষতিকর না হয়।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ لَهُ إِنَّ لِي يَتِيمًا وَلَهُ إِبِلٌ أَفَأَشْرَبُ مِنْ لَبَنِ إِبِلِهِ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنْ كُنْتَ تَبْغِي ضَالَّةَ إِبِلِهِ وَتَهْنَأُ جَرْبَاهَا وَتَلُطُّ حَوْضَهَا وَتَسْقِيهَا يَوْمَ وِرْدِهَا فَاشْرَبْ غَيْرَ مُضِرٍّ بِنَسْلٍ وَلَا نَاهِكٍ فِي الْحَلْبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৭৩৯
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩৪. উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)-এর কাছে যখন কোন খাবার কিংবা পানীয় বস্তু আসিত, এমন কি ঔষধও আসিত, তবে তিনি উহা খাইতেন এবং পান করিতেন আর বলিতেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি আমাদেরকে হিদায়ত করিয়াছেন, খাওয়াইয়াছেন, পান করাইয়াছেন এবং নিয়ামত দান করিয়াছেন। তিনি সর্বাপেক্ষা বড়। ইয়া পরওয়ারদিগার! তোমার নিয়ামত আমরা তখন পাইয়াছি, যখন আমরা পাপাচারে লিপ্ত ছিলাম। সেই নিয়ামতেই সকাল-সন্ধ্যা অতিবাহিত করিয়াছি। আমরা তোমার কাছে সেই নিয়ামত আমাদের জন্য পূর্ণ করিয়া দিতে এবং আমাদেরকে শোকর আদায় করার তৌফিক দানের প্রার্থনা করিতেছি। তোমার উত্তম (দানের) চাইতে আর কিছুই উত্তম নাই এবং তুমি ব্যতীত কেহই মাবূদ নাই। হে নেক বান্দাদের এবং সারা জাহানের প্রতিপালক! সমস্ত প্রশংসা (তুমি) আল্লাহর জন্যই, আল্লাহ ছাড়া আর কোনই মা’বুদ নাই। আল্লাহ যাহা চান তাহাই হয়, আল্লাহ ছাড়া আর কাহারও কোন ক্ষমতা নাই। হে পরওয়ারদিগার! আমাদের রুজি-রোজগারে বরকত দাও এবং আমাদেরকে দোযখের আযাব হইতে রক্ষা কর।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ لَا يُؤْتَى أَبَدًا بِطَعَامٍ وَلَا شَرَابٍ حَتَّى الدَّوَاءُ فَيَطْعَمَهُ أَوْ يَشْرَبَهُ إِلَّا قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَانَا وَأَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَنَعَّمَنَا اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ أَلْفَتْنَا نِعْمَتُكَ بِكُلِّ شَرٍّ فَأَصْبَحْنَا مِنْهَا وَأَمْسَيْنَا بِكُلِّ خَيْرٍ فَنَسْأَلُكَ تَمَامَهَا وَشُكْرَهَا لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ إِلَهَ الصَّالِحِينَ وَرَبَّ الْعَالَمِينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مَا شَاءَ اللَّهُ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيمَا رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৭৪০
১০. পানাহার সম্বন্ধীয় বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩৫. মালিক (রাহঃ)-এর কাছে কেহ জিজ্ঞাসা করিল, যদি কোন স্ত্রীলোক গায়রে মোহারাম পুরুষের সাথে (অর্থাৎ যাহার সহিত বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হওয়া শরীয়তসম্মত, তাহার সাথে) কিংবা স্বয়ং তাহার গোলামের সাথে খাবার খায়, তবে কি উহা জায়েয আছে? অতঃপর তিনি (ইমাম মালিক) উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ, যদি প্রচলিত প্রথানুযায়ী হয় এবং সেখানে অপরাপর মানুষও থাকে তবে কোন অসুবিধা নাই। মহিলা কখনও তাহার স্বামীর সাথে খায় এবং কখনও বা সেই সমস্ত লোকের সাথেও খায়, যাহাদেরকে তাহার স্বামী খাওয়ায়, আবার কখনও স্বীয় ভ্রাতার সহিত খায়। তবে স্ত্রীলোকের জন্য গায়রে মাহরামের সহিত নির্জনে থাকা মকরূহ (তাহরীমা)।
جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك هَلْ تَأْكُلُ الْمَرْأَةُ مَعَ غَيْرِ ذِي مَحْرَمٍ مِنْهَا أَوْ مَعَ غُلَامِهَا فَقَالَ مَالِك لَيْسَ بِذَلِكَ بَأْسٌ إِذَا كَانَ ذَلِكَ عَلَى وَجْهِ مَا يُعْرَفُ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَأْكُلَ مَعَهُ مِنْ الرِّجَالِ قَالَ وَقَدْ تَأْكُلُ الْمَرْأَةُ مَعَ زَوْجِهَا وَمَعَ غَيْرِهِ مِمَّنْ يُؤَاكِلُهُ أَوْ مَعَ أَخِيهَا عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ وَيُكْرَهُ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَخْلُوَ مَعَ الرَّجُلِ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا حُرْمَةٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: