আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৪. কাসামা (নিহতের ব্যাপারে বিশেষ হলফ করা) - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬২৭
১. প্রথমে ওয়ারিসদের কসম লওয়া হয়
রেওয়ায়ত ১. সাহল ইবনে আবী হাসমা (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার বংশের কয়েকজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তাহাকে সংবাদ দিয়াছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সহল ও মুহায়্যিসা তাহদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে খায়বরে চলিয়া গিয়াছেন। তথায় মুহায়্যিসার নিকট এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, কেহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করিয়া কূপে ফেলিয়া দিয়াছে। ইহা শুনিয়া মুহায়্যিসা খায়বরের ইহুদীদের নিকট যাইয়া বলিল, আল্লাহর কসম! তোমরাই তাহাকে হত্যা করিয়াছ। ইহুদীরা বলিল, আল্লাহর কসম, আমরা তাহাকে হত্যা করি নাই। অতঃপর মুহায়্যিসা নিজের গোত্রের নিকট আসিয়া সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিল। পরিশেষে মুহায়্যিসা তাহার বড় ভাই হুয়ায়্যিসা ও আব্দুর রহমান ইবনে সহলকে (নিহত ব্যক্তির ভাই) সঙ্গে লইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হইল। মুহায়্যিসা যেহেতু খায়বর গিয়াছিল, তাই সে প্রথম কথা বলিতে ইচ্ছা করিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ বড়-র প্রতি লক্ষ্য কর (বড় ভাইকে কথা বলিতে দাও)। তাই প্রথমে হুয়ায়্যিসা সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিয়া শুনাইল। শুনিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ ইহুদীরা হয় দিয়াত দিবে, না হয় যুদ্ধ করিবে। অতঃপর তিনি এ ব্যাপারে ইহুদীগণকে লিখিলেন, তাহাদের হইতে উত্তর আসিল : আল্লাহর কসম, আমরা হত্যা করি নাই। অতঃপর সকলে ঐ তিন ব্যক্তিকে বলিলঃ তোমরা কসম করিয়া বল যে, ইহুদীরা হত্যা করিয়াছে। তাহা হইলে তোমরা দিয়াতের মালিক হইয়া যাইবে। তাহারা বলিলঃ আমরা তো কসম খাইতে পারি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আচ্ছা, যদি ইহুদী কসম করে যে, তাহারা মারে নাই? তাহারা বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ তাহারা মুসলমান নয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের পক্ষ হইতে দিয়াত আদায় করিলেন। সহল বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আমার নিকট আমার বাড়িতে একশত উট পাঠাইলেন। উহাদের মধ্য হইতে একটি লাল উষ্ট্ৰী আমাকে লাথি মারিয়াছিল (আজও আমার উহা স্মরণ আছে)।
باب تَبْدِئَةِ أَهْلِ الدَّمِ فِي الْقَسَامَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ رِجَالٌ مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمْ فَأُتِيَ مُحَيِّصَةُ فَأُخْبِرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي فَقِيرِ بِئْرٍ أَوْ عَيْنٍ فَأَتَى يَهُودَ فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللَّهِ قَتَلْتُمُوهُ فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ فَأَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ لَهُمْ ذَلِكَ ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ لِيَتَكَلَّمَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبِّرْ كَبِّرْ يُرِيدُ السِّنَّ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ فَقَالُوا لَا قَالَ أَفَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ قَالُوا لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمْ الدَّارَ قَالَ سَهْلٌ لَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ قَالَ مَالِك الْفَقِيرُ هُوَ الْبِئْرُ
হাদীস নং:১৬২৮
১. প্রথমে ওয়ারিসদের কসম লওয়া হয়
রেওয়ায়ত ২. বুশাইর ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে সহল আনসারী ও মুহায়্যিসা খায়বর গিয়াছিল, তথায় যাইয়া তাহারা জিনজের কাজে ব্যস্ত হইয়া একে অপর হইতে পৃথক হইয়া গেল। আব্দুল্লাহকে কেহ হত্যা করিল। মুহায়্যিসা তাহার ভাই হুয়ায়্যিসা আব্দুর রহমানকে লইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে উপস্থিত হইল এবং আব্দুর রহমান স্বীয় ভ্রাতার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট কথা বলিতে চাহিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যে বড় তাহার প্রতি লক্ষ্য কর। অতঃপর আব্দুল্লাহর ঘটনা মুহায়্যিসা ও হুয়ায়্যিসা বর্ণনা করিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ যদি তোমরা পঞ্চাশবার কসম খাইতে পার তবে তোমরা দিয়াত প্রাপ্ত হইবে। তাহারা বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তো তখন তথায় ছিলাম না, আমরা দেখিও নাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ তাহা হইলে ইহুদীরা পঞ্চাশ কসম করিয়া নির্দোষ হইয়া যাইবে। তাহারা বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, তাহারা তো কাফির! তাহদের কসম কি করিয়া গ্রহণ করা যাইবে? বুশাইর বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের পক্ষ হইতে দিয়াত আদায় করিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বস্বীকৃত বিষয়, এ ব্যাপারে অনেক আলিমের নিকটও শ্রবণ করিয়াছে এবং পূর্ব যুগের আর পরবর্তী যুগের ইমামগণও ইহাতে একমত হইয়াছেন যে, কসম লওয়ার ব্যাপারে প্রথমত বাদীপক্ষের নিকট হইতেই কসম লইতে হইবে। বাদিগণই প্রথমত কসম করিবে (যদি তাহারা কসম না করে তবে বিবাদী হইতে কসম লইতে হইবে। যদি তাহারা কসম করে, তবে তাহারা নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে)।
নিম্নোক্ত দুইটি কারণের যে কোন একটির জন্যই কসম লওয়া অনিবার্য হয়। প্রথমত মৃত্যুর পূর্বে নিহত ব্যক্তি নিজেই বলিবে, যদি তাহার পক্ষে বলা সম্ভব হয় : আমাকে অমুক ব্যক্তি হত্যা করিয়াছে, ইহা তখনই যখন কোন সাক্ষী না থাকে। দ্বিতীয়ত, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যখন কাহারও উপর হত্যার সন্দেহ করে (অথচ কোন সাক্ষী পাওয়া না যায়)। আমাদের নিকট এই দুইটি কারণেই কসম লওয়া অনিবার্য হয়। এতদ্ব্যতীত অন্য কোন কারণে কসম লওয়া অনিবার্য হয় না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই সুন্নত সর্বসম্মত এবং ইহার উপর সর্বসাধারণের আমলও রহিয়াছে যে, প্রথমে বাদী পক্ষ হইতেই কসম লইতে হইবে। সেই হত্যা ইচ্ছাকৃত হত্যাই হউক অথবা অনিচ্ছাকৃত হত্যাই হউক।
মালিক (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনী হারিসের কোন আত্মীয় খায়বরে মারা যাওয়ার পর প্রথমত বনী হারিসকেই কসম করিতে বলিয়াছিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি বাদীপক্ষ কসম করে, তবে তাহারা যাহাদের ব্যাপারে কসম করিয়াছে তাহাদিগকে হত্যা করিতে পারবে। কিন্তু এমতাবস্থায় প্রথমে বাদী পক্ষ হইতে পঞ্চাশ কসম লওয়া হইবে। যদি তাহারা পঞ্চাশজন হয় তবে প্রত্যেকে একটি কসম করিবে। আর যাদি তাহারা সংখ্যায় পঞ্চাশ জনের কম হয় অথবা তাহাদের কেহ কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে তাহাদের হইতে দুই দুইবার অথবা তিন তিনবার কসম লইয়া পঞ্চাশ পূর্ণ করিতে হইবে। কিন্তু যখন নিহত ব্যক্তির এমন ওয়ারিসগণ যাহাদের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার অধিকার আছে, তাহাদের একজনও যদি কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তবে এই একজনের কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশের ফলে কিসাস আর অনিবার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যাহাদের ক্ষমা করিবার অধিকার নাই এমন ব্যক্তিদের কেহ কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেও অবশিষ্ট ব্যক্তিদের হইতে কসম লওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যাহাদের ক্ষমা করিবার অধিকার রহিয়াছে এমন ওয়ারিসদের একজনও যদি কসম করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে অবশিষ্ট ব্যক্তিদের হইতে আর কসম লওয়া হইবে না, বরং এমতাবস্থায় বিবাদীগণ হইতে কসম লইতে হইবে, বিবাদীদের পঞ্চাশজন পঞ্চাশ কসম করিবে। যদি তাহাদের সংখ্যা পঞ্চাশজন হইতে কম হয়, তবে দুই দুইবার, তিন তিন বার করিয়া হইলেও পঞ্চাশ পূর্ণ করিতে হইবে। যদি বিবাদী মাত্র একজন হয়, তবে এই একজন হইতেই পঞ্চাশ কসম লইতে হইবে। যদি এই এক ব্যক্তি পঞ্চাশ কসম করিয়া ফেলে, তবে সে নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, হত্যার বেলায় পঞ্চাশ কসম লওয়া হইয়া থাকে আর অন্যান্য দাবি আদায়ের জন্য শুধু এক কসমই লওয়া হয়। কেননা মানুষ কাহাকেও কাহারও সম্মুখে হত্যা করে না। যদি অন্যান্য দাবির মতো হত্যার বেলায়ও মাত্র একটি কসমই লওয়া হইত তাহা হইলে অনেক হত্যাই বৃথা যাইত এবং মানুষ হত্যার উৎসাহ পাইত। কিন্তু হত্যার কসমের বেলায় প্রথমত বাদী পক্ষ হইতেই কসম লওয়ার প্রথা নির্ধারিত হইয়াছে যেন মানুষ হত্যা করিতে সাহস না করে এবং এই ভাবিয়া ভীত থাকে যে, এ ব্যাপারে তো নিহত ব্যক্তির কথাই ধর্তব্য।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন একটি পূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর হত্যার অভিযোগ আনা হয় যাহাতে অনেক লোক রহিয়াছে, আর নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ তাহাদের নিকট হইতে কসম লইতে ইচ্ছা করে, তাহা হইলে ঐ সমস্ত লোকের প্রত্যেক ব্যক্তি পঞ্চাশটি করিয়া কসম করিবে। সকলে মিলিয়া পঞ্চাশটি কসম করিলে চলিবে না। এ ব্যাপারে আমি ইহাই উত্তম শ্রবণ করিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেন, নিহত ব্যক্তির আসাবা যাহারা এই হত্যার হকদার তাহাদেরকেই কসম দেওয়া থাকে আর তাহাদের কসম করার পরই কিসাস লওয়া হয়।
(ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে কসমের দ্বারা কিসাস সাব্যস্ত হয় না, শুধু দিয়াত (রক্তপণ) সাব্যস্ত হইয়া থাকে)।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বস্বীকৃত বিষয়, এ ব্যাপারে অনেক আলিমের নিকটও শ্রবণ করিয়াছে এবং পূর্ব যুগের আর পরবর্তী যুগের ইমামগণও ইহাতে একমত হইয়াছেন যে, কসম লওয়ার ব্যাপারে প্রথমত বাদীপক্ষের নিকট হইতেই কসম লইতে হইবে। বাদিগণই প্রথমত কসম করিবে (যদি তাহারা কসম না করে তবে বিবাদী হইতে কসম লইতে হইবে। যদি তাহারা কসম করে, তবে তাহারা নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে)।
নিম্নোক্ত দুইটি কারণের যে কোন একটির জন্যই কসম লওয়া অনিবার্য হয়। প্রথমত মৃত্যুর পূর্বে নিহত ব্যক্তি নিজেই বলিবে, যদি তাহার পক্ষে বলা সম্ভব হয় : আমাকে অমুক ব্যক্তি হত্যা করিয়াছে, ইহা তখনই যখন কোন সাক্ষী না থাকে। দ্বিতীয়ত, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যখন কাহারও উপর হত্যার সন্দেহ করে (অথচ কোন সাক্ষী পাওয়া না যায়)। আমাদের নিকট এই দুইটি কারণেই কসম লওয়া অনিবার্য হয়। এতদ্ব্যতীত অন্য কোন কারণে কসম লওয়া অনিবার্য হয় না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই সুন্নত সর্বসম্মত এবং ইহার উপর সর্বসাধারণের আমলও রহিয়াছে যে, প্রথমে বাদী পক্ষ হইতেই কসম লইতে হইবে। সেই হত্যা ইচ্ছাকৃত হত্যাই হউক অথবা অনিচ্ছাকৃত হত্যাই হউক।
মালিক (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনী হারিসের কোন আত্মীয় খায়বরে মারা যাওয়ার পর প্রথমত বনী হারিসকেই কসম করিতে বলিয়াছিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি বাদীপক্ষ কসম করে, তবে তাহারা যাহাদের ব্যাপারে কসম করিয়াছে তাহাদিগকে হত্যা করিতে পারবে। কিন্তু এমতাবস্থায় প্রথমে বাদী পক্ষ হইতে পঞ্চাশ কসম লওয়া হইবে। যদি তাহারা পঞ্চাশজন হয় তবে প্রত্যেকে একটি কসম করিবে। আর যাদি তাহারা সংখ্যায় পঞ্চাশ জনের কম হয় অথবা তাহাদের কেহ কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তবে তাহাদের হইতে দুই দুইবার অথবা তিন তিনবার কসম লইয়া পঞ্চাশ পূর্ণ করিতে হইবে। কিন্তু যখন নিহত ব্যক্তির এমন ওয়ারিসগণ যাহাদের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার অধিকার আছে, তাহাদের একজনও যদি কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তবে এই একজনের কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশের ফলে কিসাস আর অনিবার্য হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ যাহাদের ক্ষমা করিবার অধিকার নাই এমন ব্যক্তিদের কেহ কসম করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেও অবশিষ্ট ব্যক্তিদের হইতে কসম লওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যাহাদের ক্ষমা করিবার অধিকার রহিয়াছে এমন ওয়ারিসদের একজনও যদি কসম করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে অবশিষ্ট ব্যক্তিদের হইতে আর কসম লওয়া হইবে না, বরং এমতাবস্থায় বিবাদীগণ হইতে কসম লইতে হইবে, বিবাদীদের পঞ্চাশজন পঞ্চাশ কসম করিবে। যদি তাহাদের সংখ্যা পঞ্চাশজন হইতে কম হয়, তবে দুই দুইবার, তিন তিন বার করিয়া হইলেও পঞ্চাশ পূর্ণ করিতে হইবে। যদি বিবাদী মাত্র একজন হয়, তবে এই একজন হইতেই পঞ্চাশ কসম লইতে হইবে। যদি এই এক ব্যক্তি পঞ্চাশ কসম করিয়া ফেলে, তবে সে নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, হত্যার বেলায় পঞ্চাশ কসম লওয়া হইয়া থাকে আর অন্যান্য দাবি আদায়ের জন্য শুধু এক কসমই লওয়া হয়। কেননা মানুষ কাহাকেও কাহারও সম্মুখে হত্যা করে না। যদি অন্যান্য দাবির মতো হত্যার বেলায়ও মাত্র একটি কসমই লওয়া হইত তাহা হইলে অনেক হত্যাই বৃথা যাইত এবং মানুষ হত্যার উৎসাহ পাইত। কিন্তু হত্যার কসমের বেলায় প্রথমত বাদী পক্ষ হইতেই কসম লওয়ার প্রথা নির্ধারিত হইয়াছে যেন মানুষ হত্যা করিতে সাহস না করে এবং এই ভাবিয়া ভীত থাকে যে, এ ব্যাপারে তো নিহত ব্যক্তির কথাই ধর্তব্য।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন একটি পূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর হত্যার অভিযোগ আনা হয় যাহাতে অনেক লোক রহিয়াছে, আর নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ তাহাদের নিকট হইতে কসম লইতে ইচ্ছা করে, তাহা হইলে ঐ সমস্ত লোকের প্রত্যেক ব্যক্তি পঞ্চাশটি করিয়া কসম করিবে। সকলে মিলিয়া পঞ্চাশটি কসম করিলে চলিবে না। এ ব্যাপারে আমি ইহাই উত্তম শ্রবণ করিয়াছি।
মালিক (রাহঃ) বলেন, নিহত ব্যক্তির আসাবা যাহারা এই হত্যার হকদার তাহাদেরকেই কসম দেওয়া থাকে আর তাহাদের কসম করার পরই কিসাস লওয়া হয়।
(ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে কসমের দ্বারা কিসাস সাব্যস্ত হয় না, শুধু দিয়াত (রক্তপণ) সাব্যস্ত হইয়া থাকে)।
باب تَبْدِئَةِ أَهْلِ الدَّمِ فِي الْقَسَامَةِ
قَالَ يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيَّ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي حَوَائِجِهِمَا فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ فَقَدِمَ مُحَيِّصَةُ فَأَتَى هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ لِمَكَانِهِ مِنْ أَخِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبِّرْ كَبِّرْ فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ فَذَكَرَا شَأْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ أَوْ قَاتِلِكُمْ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَحْضُرْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَزَعَمَ بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَاهُ مِنْ عِنْدِهِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي سَمِعْتُ مِمَّنْ أَرْضَى فِي الْقَسَامَةِ وَالَّذِي اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْأَئِمَّةُ فِي الْقَدِيمِ وَالْحَدِيثِ أَنْ يَبْدَأَ بِالْأَيْمَانِ الْمُدَّعُونَ فِي الْقَسَامَةِ فَيَحْلِفُونَ وَأَنَّ الْقَسَامَةَ لَا تَجِبُ إِلَّا بِأَحَدِ أَمْرَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقُولَ الْمَقْتُولُ دَمِي عِنْدَ فُلَانٍ أَوْ يَأْتِيَ وُلَاةُ الدَّمِ بِلَوْثٍ مِنْ بَيِّنَةٍ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ قَاطِعَةً عَلَى الَّذِي يُدَّعَى عَلَيْهِ الدَّمُ فَهَذَا يُوجِبُ الْقَسَامَةَ لِلْمُدَّعِينَ الدَّمَ عَلَى مَنْ ادَّعَوْهُ عَلَيْهِ وَلَا تَجِبُ الْقَسَامَةُ عِنْدَنَا إِلَّا بِأَحَدِ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ قَالَ مَالِك وَتِلْكَ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا وَالَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ عَمَلُ النَّاسِ أَنَّ الْمُبَدَّئِينَ بِالْقَسَامَةِ أَهْلُ الدَّمِ وَالَّذِينَ يَدَّعُونَهُ فِي الْعَمْدِ وَالْخَطَإِ قَالَ مَالِك وَقَدْ بَدَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَارِثِيِّينَ فِي قَتْلِ صَاحِبِهِمْ الَّذِي قُتِلَ بِخَيْبَرَ قَالَ مَالِك فَإِنْ حَلَفَ الْمُدَّعُونَ اسْتَحَقُّوا دَمَ صَاحِبِهِمْ وَقَتَلُوا مَنْ حَلَفُوا عَلَيْهِ وَلَا يُقْتَلُ فِي الْقَسَامَةِ إِلَّا وَاحِدٌ لَا يُقْتَلُ فِيهَا اثْنَانِ يَحْلِفُ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ خَمْسُونَ رَجُلًا خَمْسِينَ يَمِينًا فَإِنْ قَلَّ عَدَدُهُمْ أَوْ نَكَلَ بَعْضُهُمْ رُدَّتْ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمْ إِلَّا أَنْ يَنْكُلَ أَحَدٌ مِنْ وُلَاةِ الْمَقْتُولِ وُلَاةِ الدَّمِ الَّذِينَ يَجُوزُ لَهُمْ الْعَفْوُ عَنْهُ فَإِنْ نَكَلَ أَحَدٌ مِنْ أُولَئِكَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى الدَّمِ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِنْهُمْ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا تُرَدُّ الْأَيْمَانُ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِمَّنْ لَا يَجُوزُ لَهُ عَفْوٌ فَإِنْ نَكَلَ أَحَدٌ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ الَّذِينَ يَجُوزُ لَهُمْ الْعَفْوُ عَنْ الدَّمِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَإِنَّ الْأَيْمَانَ لَا تُرَدُّ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَنْ الْأَيْمَانِ وَلَكِنْ الْأَيْمَانُ إِذَا كَانَ ذَلِكَ تُرَدُّ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ فَيَحْلِفُ مِنْهُمْ خَمْسُونَ رَجُلًا خَمْسِينَ يَمِينًا فَإِنْ لَمْ يَبْلُغُوا خَمْسِينَ رَجُلًا رُدَّتْ الْأَيْمَانُ عَلَى مَنْ حَلَفَ مِنْهُمْ فَإِنْ لَمْ يُوجَدْ أَحَدٌ يَحْلِفُ إِلَّا الَّذِي ادُّعِيَ عَلَيْهِ حَلَفَ هُوَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَبَرِئَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ الْقَسَامَةِ فِي الدَّمِ وَالْأَيْمَانِ فِي الْحُقُوقِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا دَايَنَ الرَّجُلَ اسْتَثْبَتَ عَلَيْهِ فِي حَقِّهِ وَأَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَرَادَ قَتْلَ الرَّجُلِ لَمْ يَقْتُلْهُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ النَّاسِ وَإِنَّمَا يَلْتَمِسُ الْخَلْوَةَ قَالَ فَلَوْ لَمْ تَكُنِ الْقَسَامَةُ إِلَّا فِيمَا تَثْبُتُ فِيهِ الْبَيِّنَةُ وَلَوْ عُمِلَ فِيهَا كَمَا يُعْمَلُ فِي الْحُقُوقِ هَلَكَتْ الدِّمَاءُ وَاجْتَرَأَ النَّاسُ عَلَيْهَا إِذَا عَرَفُوا الْقَضَاءَ فِيهَا وَلَكِنْ إِنَّمَا جُعِلَتْ الْقَسَامَةُ إِلَى وُلَاةِ الْمَقْتُولِ يُبَدَّءُونَ بِهَا فِيهَا لِيَكُفَّ النَّاسُ عَنْ الدَّمِ وَلِيَحْذَرَ الْقَاتِلُ أَنْ يُؤْخَذَ فِي مِثْلِ ذَلِكَ بِقَوْلِ الْمَقْتُولِ قَالَ يَحْيَى وَقَدْ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يَكُونُ لَهُمْ الْعَدَدُ يُتَّهَمُونَ بِالدَّمِ فَيَرُدُّ وُلَاةُ الْمَقْتُولِ الْأَيْمَانَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ نَفَرٌ لَهُمْ عَدَدٌ أَنَّهُ يَحْلِفُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ عَنْ نَفْسِهِ خَمْسِينَ يَمِينًا وَلَا تُقْطَعُ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمْ بِقَدْرِ عَدَدِهِمْ وَلَا يَبْرَءُونَ دُونَ أَنْ يَحْلِفَ كُلُّ إِنْسَانٍ عَنْ نَفْسِهِ خَمْسِينَ يَمِينًا قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ قَالَ وَالْقَسَامَةُ تَصِيرُ إِلَى عَصَبَةِ الْمَقْتُولِ وَهُمْ وُلَاةُ الدَّمِ الَّذِينَ يَقْسِمُونَ عَلَيْهِ وَالَّذِينَ يُقْتَلُ بِقَسَامَتِهِمْ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا وَالَّذِي سَمِعْتُ مِمَّنْ أَرْضَى فِي الْقَسَامَةِ وَالَّذِي اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْأَئِمَّةُ فِي الْقَدِيمِ وَالْحَدِيثِ أَنْ يَبْدَأَ بِالْأَيْمَانِ الْمُدَّعُونَ فِي الْقَسَامَةِ فَيَحْلِفُونَ وَأَنَّ الْقَسَامَةَ لَا تَجِبُ إِلَّا بِأَحَدِ أَمْرَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقُولَ الْمَقْتُولُ دَمِي عِنْدَ فُلَانٍ أَوْ يَأْتِيَ وُلَاةُ الدَّمِ بِلَوْثٍ مِنْ بَيِّنَةٍ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ قَاطِعَةً عَلَى الَّذِي يُدَّعَى عَلَيْهِ الدَّمُ فَهَذَا يُوجِبُ الْقَسَامَةَ لِلْمُدَّعِينَ الدَّمَ عَلَى مَنْ ادَّعَوْهُ عَلَيْهِ وَلَا تَجِبُ الْقَسَامَةُ عِنْدَنَا إِلَّا بِأَحَدِ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ قَالَ مَالِك وَتِلْكَ السُّنَّةُ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا عِنْدَنَا وَالَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ عَمَلُ النَّاسِ أَنَّ الْمُبَدَّئِينَ بِالْقَسَامَةِ أَهْلُ الدَّمِ وَالَّذِينَ يَدَّعُونَهُ فِي الْعَمْدِ وَالْخَطَإِ قَالَ مَالِك وَقَدْ بَدَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَارِثِيِّينَ فِي قَتْلِ صَاحِبِهِمْ الَّذِي قُتِلَ بِخَيْبَرَ قَالَ مَالِك فَإِنْ حَلَفَ الْمُدَّعُونَ اسْتَحَقُّوا دَمَ صَاحِبِهِمْ وَقَتَلُوا مَنْ حَلَفُوا عَلَيْهِ وَلَا يُقْتَلُ فِي الْقَسَامَةِ إِلَّا وَاحِدٌ لَا يُقْتَلُ فِيهَا اثْنَانِ يَحْلِفُ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ خَمْسُونَ رَجُلًا خَمْسِينَ يَمِينًا فَإِنْ قَلَّ عَدَدُهُمْ أَوْ نَكَلَ بَعْضُهُمْ رُدَّتْ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمْ إِلَّا أَنْ يَنْكُلَ أَحَدٌ مِنْ وُلَاةِ الْمَقْتُولِ وُلَاةِ الدَّمِ الَّذِينَ يَجُوزُ لَهُمْ الْعَفْوُ عَنْهُ فَإِنْ نَكَلَ أَحَدٌ مِنْ أُولَئِكَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى الدَّمِ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِنْهُمْ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا تُرَدُّ الْأَيْمَانُ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِمَّنْ لَا يَجُوزُ لَهُ عَفْوٌ فَإِنْ نَكَلَ أَحَدٌ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ الَّذِينَ يَجُوزُ لَهُمْ الْعَفْوُ عَنْ الدَّمِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَإِنَّ الْأَيْمَانَ لَا تُرَدُّ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ إِذَا نَكَلَ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَنْ الْأَيْمَانِ وَلَكِنْ الْأَيْمَانُ إِذَا كَانَ ذَلِكَ تُرَدُّ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ فَيَحْلِفُ مِنْهُمْ خَمْسُونَ رَجُلًا خَمْسِينَ يَمِينًا فَإِنْ لَمْ يَبْلُغُوا خَمْسِينَ رَجُلًا رُدَّتْ الْأَيْمَانُ عَلَى مَنْ حَلَفَ مِنْهُمْ فَإِنْ لَمْ يُوجَدْ أَحَدٌ يَحْلِفُ إِلَّا الَّذِي ادُّعِيَ عَلَيْهِ حَلَفَ هُوَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَبَرِئَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ الْقَسَامَةِ فِي الدَّمِ وَالْأَيْمَانِ فِي الْحُقُوقِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا دَايَنَ الرَّجُلَ اسْتَثْبَتَ عَلَيْهِ فِي حَقِّهِ وَأَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَرَادَ قَتْلَ الرَّجُلِ لَمْ يَقْتُلْهُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ النَّاسِ وَإِنَّمَا يَلْتَمِسُ الْخَلْوَةَ قَالَ فَلَوْ لَمْ تَكُنِ الْقَسَامَةُ إِلَّا فِيمَا تَثْبُتُ فِيهِ الْبَيِّنَةُ وَلَوْ عُمِلَ فِيهَا كَمَا يُعْمَلُ فِي الْحُقُوقِ هَلَكَتْ الدِّمَاءُ وَاجْتَرَأَ النَّاسُ عَلَيْهَا إِذَا عَرَفُوا الْقَضَاءَ فِيهَا وَلَكِنْ إِنَّمَا جُعِلَتْ الْقَسَامَةُ إِلَى وُلَاةِ الْمَقْتُولِ يُبَدَّءُونَ بِهَا فِيهَا لِيَكُفَّ النَّاسُ عَنْ الدَّمِ وَلِيَحْذَرَ الْقَاتِلُ أَنْ يُؤْخَذَ فِي مِثْلِ ذَلِكَ بِقَوْلِ الْمَقْتُولِ قَالَ يَحْيَى وَقَدْ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يَكُونُ لَهُمْ الْعَدَدُ يُتَّهَمُونَ بِالدَّمِ فَيَرُدُّ وُلَاةُ الْمَقْتُولِ الْأَيْمَانَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ نَفَرٌ لَهُمْ عَدَدٌ أَنَّهُ يَحْلِفُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ عَنْ نَفْسِهِ خَمْسِينَ يَمِينًا وَلَا تُقْطَعُ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمْ بِقَدْرِ عَدَدِهِمْ وَلَا يَبْرَءُونَ دُونَ أَنْ يَحْلِفَ كُلُّ إِنْسَانٍ عَنْ نَفْسِهِ خَمْسِينَ يَمِينًا قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ قَالَ وَالْقَسَامَةُ تَصِيرُ إِلَى عَصَبَةِ الْمَقْتُولِ وَهُمْ وُلَاةُ الدَّمِ الَّذِينَ يَقْسِمُونَ عَلَيْهِ وَالَّذِينَ يُقْتَلُ بِقَسَامَتِهِمْ