আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৪৪. কাসামা (নিহতের ব্যাপারে বিশেষ হলফ করা) - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬২৯
২. নিহত ব্যক্তির কোন কোন ওয়ারিস হইতে কসম লওয়া হইবে
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই যে, হত্যার কসমে স্ত্রীলোকদের নিকট হইতে কসম লওয়া হইবে না। যদি নিহত ব্যক্তির ওয়ারিস শুধু স্ত্রীলোকই হয়, তবে ইচ্ছাকৃত হত্যায় না তাহাদের কসম করার অধিকার থাকে, না ক্ষমা করার।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হইল, তাহার উত্তরাধিকারী ওয়ারিসগণ বলিলঃ আমরা কসম করিয়া কিসাস লইব। তবে তাহাদের জন্য ইহা বৈধ হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় যদি নারিগণ ক্ষমা করিতে ইচ্ছা করে তবে তাহাদের এই ইচ্ছা করা বৃথা। মালিক (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে আসাবা ও ওয়ারিসগণ স্ত্রীগণ অপেক্ষা অগ্রগণ্য। কেননা তাহারা অধিকারী হিসাবে নিহত ব্যক্তির অধিক নিকটবর্তী আর তাহারা কসম করিয়াছে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি আসাবা বা ওয়ারিসগণ কসম করার পর নিজেরাই ক্ষমা করিয়া দেয় আর নারিগণ ক্ষমা না করে, তবে নারিগণের কিসাস লওয়ার অধিকার থাকিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইচ্ছাকৃত হত্যায় অন্তত দুইজন বাদী হইতে কসম লইতেই হইবে। তাহাদের হইতে পঞ্চাশ কসম লইয়া কিসাসের আদেশ দেওয়া হইবে।

যরকানী বলেনঃ কিসাস যেরূপ দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ব্যতীত সাব্যস্ত হয় না, তদ্রূপ কসমের বেলায়ও দুই অথবা তদুর্ধ বাদী যতক্ষণ পর্যন্ত পঞ্চাশ কসম না করিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিসাসের আদেশ দেওয়া হইবে না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কয়েকজন লোক সম্মিলিতভাবে এক ব্যক্তিকে এইভাবে হত্যা করে যে, ঐ ব্যক্তি সকলের আঘাতে তৎক্ষণাৎ মৃত্যুবরণ করে, তাহা হইলে কিসাসে সকলকেই হত্যা করা হইবে। যদি কয়েকদিন পর মারা যায়, তবে কসম লইতে হইবে। আর কসমের দারুন তাহাদের মধ্য হইতে শুধু এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হইবে। কেননা কসমের দ্বারা সর্বদা এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে তো হত্যা করা হইবে, অবশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রত্যেককে একশত বেত্ৰাঘাত করা হইবে।
باب مَنْ تَجُوزُ قَسَامَتُهُ فِي الْعَمْدِ مِنْ وُلَاةِ الدَّمِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا يَحْلِفُ فِي الْقَسَامَةِ فِي الْعَمْدِ أَحَدٌ مِنْ النِّسَاءِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لِلْمَقْتُولِ وُلَاةٌ إِلَّا النِّسَاءُ فَلَيْسَ لِلنِّسَاءِ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ قَسَامَةٌ وَلَا عَفْوٌ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُقْتَلُ عَمْدًا أَنَّهُ إِذَا قَامَ عَصَبَةُ الْمَقْتُولِ أَوْ مَوَالِيهِ فَقَالُوا نَحْنُ نَحْلِفُ وَنَسْتَحِقُّ دَمَ صَاحِبِنَا فَذَلِكَ لَهُمْ قَالَ مَالِك فَإِنْ أَرَادَ النِّسَاءُ أَنْ يَعْفُونَ عَنْهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُنَّ الْعَصَبَةُ وَالْمَوَالِي أَوْلَى بِذَلِكَ مِنْهُنَّ لِأَنَّهُمْ هُمْ الَّذِينَ اسْتَحَقُّوا الدَّمَ وَحَلَفُوا عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَإِنْ عَفَتْ الْعَصَبَةُ أَوْ الْمَوَالِي بَعْدَ أَنْ يَسْتَحِقُّوا الدَّمَ وَأَبَى النِّسَاءُ وَقُلْنَ لَا نَدَعُ دَمَ صَاحِبِنَا فَهُنَّ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِذَلِكَ لِأَنَّ مَنْ أَخَذَ الْقَوَدَ أَحَقُّ مِمَّنْ تَرَكَهُ مِنْ النِّسَاءِ وَالْعَصَبَةِ إِذَا ثَبَتَ الدَّمُ وَوَجَبَ الْقَتْلُ قَالَ مَالِك لَا يُقْسِمُ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ مِنْ الْمُدَّعِينَ إِلَّا اثْنَانِ فَصَاعِدًا فَتُرَدُّ الْأَيْمَانُ عَلَيْهِمَا حَتَّى يَحْلِفَا خَمْسِينَ يَمِينًا ثُمَّ قَدْ اسْتَحَقَّا الدَّمَ وَذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك وَإِذَا ضَرَبَ النَّفَرُ الرَّجُلَ حَتَّى يَمُوتَ تَحْتَ أَيْدِيهِمْ قُتِلُوا بِهِ جَمِيعًا فَإِنْ هُوَ مَاتَ بَعْدَ ضَرْبِهِمْ كَانَتْ الْقَسَامَةُ وَإِذَا كَانَتْ الْقَسَامَةُ لَمْ تَكُنْ إِلَّا عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ وَلَمْ يُقْتَلْ غَيْرُهُ وَلَمْ نَعْلَمْ قَسَامَةً كَانَتْ قَطُّ إِلَّا عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান