আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬১৬
১৭. দিয়াত হইতে মীরাস দেওয়া এবং উহাতে কাঠিন্য করা
রেওয়ায়ত ৯. ইবনে শিহাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) মিনার দিন লোকদেরকে ডাকিয়া বলিলেনঃ দিয়াতের ব্যাপারে যাহার কিছু জানা আছে সে যেন আমাকে তাহা বলে। ইত্যবসরে যাহহাক ইবনে সুফিয়ান (রাযিঃ) দাঁড়াইয়া বলিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে লিখিয়াছেন যে, আমি যেন আশয়াম যবাবীর স্ত্রীকে তাহার দিয়াত হইতে মীরাস দেই। উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ তুমি আমার আসা পর্যন্ত তাঁবুতে অপেক্ষা কর। উমর (রাযিঃ) আসিলে যাহহাক উহাই বলিলেন। অতঃপর উমর (রাযিঃ) এই আদেশই জারি করিলেন। ইবনে শিহাব বলেন, আশয়াম ভুলে নিহত হইয়াছিল।
باب مَا جَاءَ فِي مِيرَاثِ الْعَقْلِ وَالتَّغْلِيظِ فِيهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ نَشَدَ النَّاسَ بِمِنًى مَنْ كَانَ عِنْدَهُ عِلْمٌ مِنْ الدِّيَةِ أَنْ يُخْبِرَنِي فَقَامَ الضَّحَّاكُ بْنُ سُفْيَانَ الْكِلَابِيُّ فَقَالَ كَتَبَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُوَرِّثَ امْرَأَةَ أَشْيَمَ الضِّبَابِيِّ مِنْ دِيَةِ زَوْجِهَا فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ادْخُلْ الْخِبَاءَ حَتَّى آتِيَكَ فَلَمَّا نَزَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَخْبَرَهُ الضَّحَّاكُ فَقَضَى بِذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَ قَتْلُ أَشْيَمَ خَطَأً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬১৭
১৭. দিয়াত হইতে মীরাস দেওয়া এবং উহাতে কাঠিন্য করা
রেওয়ায়ত ১০. আমর ইবনে শুআয়েব (রাহঃ) বনী মদলজের এক ব্যক্তি, যাহার নাম ছিল কাতাদা, নিজের ছেলেকে তলোয়ারে আঘাত করিল, যাহাতে ঐ ছেলের পায়ে আঘাত লাগিল। ক্ষতস্থান হইতে রক্ত বন্ধ না হইয়া ছেলেটি মারা গেল। সুরাকা ইবনে জাশাম উমর (রাযিঃ)-এর নিকট আসিয়া ঘটনা বর্ণনা করিল। উমর (রাযিঃ) তাহাকে বলিলেন, আমার কাদীদের কূপের নিকট আসা পর্যন্ত ১শত ২০টি উট যোগাড় করিয়া রাখ। যখন তিনি তথায় আসিলেন ঐ উটের ৩০ হক্কা, ২০টি জাযআ, ৪০টি গর্ভবতী উটনী লইলেন এবং বলিলেনঃ নিহত ব্যক্তির ভাই কোথায়? সে বলিল, আমি উপস্থিত আছি। তিনি বলিলেন, তুমি এই উট লইয়া যাও। হত্যাকারী মীরাস পায় না।*
সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, যদি কেহ হারাম মাসসমূহে কাহাকেও হত্যা করে তবে তাহার দিয়াতের ব্যাপারে কি কঠোরতা অবলম্বন করা হইবে? তিনি বলিলেন, না, বরং ঐ সকল মাস হারাম মাস হওয়ার দরুন দিয়াত বাড়াইয়া লওয়া হইবে। অতঃপর সাঈদের নিকট জিজ্ঞাসা করা হইল, যদি কেহ এই মাসে কাহাকেও ক্ষত করিয়া দেয়, তবু সেই হত্যার মতো উহার দিয়াতও বৃদ্ধি পাইবে? সাঈদ বললেনঃ হ্যাঁ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় বাড়াইয়া দেওয়ারও উহাই উদ্দেশ্য যেমন মদলজীর দিয়াত উমর (রাযিঃ) করিয়াছেন যখন সে তাহার ছেলেকে মারিয়াছিল।**
সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, যদি কেহ হারাম মাসসমূহে কাহাকেও হত্যা করে তবে তাহার দিয়াতের ব্যাপারে কি কঠোরতা অবলম্বন করা হইবে? তিনি বলিলেন, না, বরং ঐ সকল মাস হারাম মাস হওয়ার দরুন দিয়াত বাড়াইয়া লওয়া হইবে। অতঃপর সাঈদের নিকট জিজ্ঞাসা করা হইল, যদি কেহ এই মাসে কাহাকেও ক্ষত করিয়া দেয়, তবু সেই হত্যার মতো উহার দিয়াতও বৃদ্ধি পাইবে? সাঈদ বললেনঃ হ্যাঁ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় বাড়াইয়া দেওয়ারও উহাই উদ্দেশ্য যেমন মদলজীর দিয়াত উমর (রাযিঃ) করিয়াছেন যখন সে তাহার ছেলেকে মারিয়াছিল।**
باب مَا جَاءَ فِي مِيرَاثِ الْعَقْلِ وَالتَّغْلِيظِ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي مُدْلِجٍ يُقَالُ لَهُ قَتَادَةُ حَذَفَ ابْنَهُ بِالسَّيْفِ فَأَصَابَ سَاقَهُ فَنُزِيَ فِي جُرْحِهِ فَمَاتَ فَقَدِمَ سُرَاقَةُ بْنُ جُعْشُمٍ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْدُدْ عَلَى مَاءِ قُدَيْدٍ عِشْرِينَ وَمِائَةَ بَعِيرٍ حَتَّى أَقْدَمَ عَلَيْكَ فَلَمَّا قَدِمَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَخَذَ مِنْ تِلْكَ الْإِبِلِ ثَلَاثِينَ حِقَّةً وَثَلَاثِينَ جَذَعَةً وَأَرْبَعِينَ خَلِفَةً ثُمَّ قَالَ أَيْنَ أَخُو الْمَقْتُولِ قَالَ هَأَنَذَا قَالَ خُذْهَا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ لِقَاتِلٍ شَيْءٌ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلَا أَتُغَلَّظُ الدِّيَةُ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ فَقَالَا لَا وَلَكِنْ يُزَادُ فِيهَا لِلْحُرْمَةِ فَقِيلَ لِسَعِيدٍ هَلْ يُزَادُ فِي الْجِرَاحِ كَمَا يُزَادُ فِي النَّفْسِ فَقَالَ نَعَمْ قَالَ مَالِك أُرَاهُمَا أَرَادَا مِثْلَ الَّذِي صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عَقْلِ الْمُدْلِجِيِّ حِينَ أَصَابَ ابْنَهُ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلَا أَتُغَلَّظُ الدِّيَةُ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ فَقَالَا لَا وَلَكِنْ يُزَادُ فِيهَا لِلْحُرْمَةِ فَقِيلَ لِسَعِيدٍ هَلْ يُزَادُ فِي الْجِرَاحِ كَمَا يُزَادُ فِي النَّفْسِ فَقَالَ نَعَمْ قَالَ مَالِك أُرَاهُمَا أَرَادَا مِثْلَ الَّذِي صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عَقْلِ الْمُدْلِجِيِّ حِينَ أَصَابَ ابْنَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬১৮
১৭. দিয়াত হইতে মীরাস দেওয়া এবং উহাতে কাঠিন্য করা
রেওয়ায়ত ১১. উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, এক আনসার ব্যক্তি ছিলেন। তাহার নাম ছিল উহায়হা ইবনে জুলাহ। উহায়হার একজন চাচা ছিল। সে উহায়হা হইতে বয়সে ছোট ছিল। সে তাহার নানার বাড়িতে বাস করিত। উহায়হা তাহাকে ধরিয়া মারিয়া ফেলিল (হত্যা করিল)। তাহার মামারা বলিলঃ আমরা তাহাকে লালন-পালন করিয়াছি, যখন সে জওয়ান হইল তখন তাহার ভাতিজা আমাদের উপর বিজয়ী হইল এবং সে দিয়াত লইয়া ফেলিল। উরওয়া বলেনঃ এইজন্যই হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিস হয় না।*মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, ইচ্ছাকৃত হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিস হয় না। দিয়াত হউক বা অন্য কোন মাল হউক, এমন কি সে কোন ওয়ারিসকে বঞ্চিতও করিতে পারে। ভুলবশত হত্যায়ও হত্যাকারীর দিয়াতের ওয়ারিস হয় না। আমার মতে অন্যান্য মালের ওয়ারিস হয়।
باب مَا جَاءَ فِي مِيرَاثِ الْعَقْلِ وَالتَّغْلِيظِ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أُحَيْحَةُ بْنُ الْجُلَاحِ كَانَ لَهُ عَمٌّ صَغِيرٌ هُوَ أَصْغَرُ مِنْ أُحَيْحَةَ وَكَانَ عِنْدَ أَخْوَالِهِ فَأَخَذَهُ أُحَيْحَةُ فَقَتَلَهُ فَقَالَ أَخْوَالُهُ كُنَّا أَهْلَ ثُمِّهِ وَرُمِّهِ حَتَّى إِذَا اسْتَوَى عَلَى عُمَمِهِ غَلَبَنَا حَقُّ امْرِئٍ فِي عَمِّهِ قَالَ عُرْوَةُ فَلِذَلِكَ لَا يَرِثُ قَاتِلٌ مَنْ قَتَلَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ قَاتِلَ الْعَمْدِ لَا يَرِثُ مِنْ دِيَةِ مَنْ قَتَلَ شَيْئًا وَلَا مِنْ مَالِهِ وَلَا يَحْجُبُ أَحَدًا وَقَعَ لَهُ مِيرَاثٌ وَأَنَّ الَّذِي يَقْتُلُ خَطَأً لَا يَرِثُ مِنْ الدِّيَةِ شَيْئًا وَقَدْ اخْتُلِفَ فِي أَنْ يَرِثَ مِنْ مَالِهِ لِأَنَّهُ لَا يُتَّهَمُ عَلَى أَنَّهُ قَتَلَهُ لِيَرِثَهُ وَلِيَأْخُذَ مَالَهُ فَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَرِثَ مِنْ مَالِهِ وَلَا يَرِثُ مِنْ دِيَتِهِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ قَاتِلَ الْعَمْدِ لَا يَرِثُ مِنْ دِيَةِ مَنْ قَتَلَ شَيْئًا وَلَا مِنْ مَالِهِ وَلَا يَحْجُبُ أَحَدًا وَقَعَ لَهُ مِيرَاثٌ وَأَنَّ الَّذِي يَقْتُلُ خَطَأً لَا يَرِثُ مِنْ الدِّيَةِ شَيْئًا وَقَدْ اخْتُلِفَ فِي أَنْ يَرِثَ مِنْ مَالِهِ لِأَنَّهُ لَا يُتَّهَمُ عَلَى أَنَّهُ قَتَلَهُ لِيَرِثَهُ وَلِيَأْخُذَ مَالَهُ فَأَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَرِثَ مِنْ مَالِهِ وَلَا يَرِثُ مِنْ دِيَتِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: