আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬১৫
১৬. যে সমস্ত কাজের দিয়াত হত্যাকারীর স্বীয় মাল হইতে দিতে হয়
হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) তদীয় পিতা উরওয়া ইবনে যুবায়র (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন। তিনি বলিতেন, ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার দিয়াত উত্তরাধিকারীদের উপর বর্তিবে না (হত্যাকারীর নিজের উপর বর্তিবে)। ভুলক্রমে হত্যার দিয়াত উত্তরাধিকারীদের উপর বর্তিবে।

ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলিয়াছেন, উত্তরাধিকারীদের উপর ইচ্ছাকৃত হত্যার বোঝা চাপানো যাইবে না, হ্যাঁ, যখন তাহারা স্বেচ্ছায় দিতে ইচ্ছা করে।

ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ)-ও এইরূপ বলিতেন।

মালিক (রাহঃ) বলেন, ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলতেন, সুন্নত ইহাই যে, যখন নিহত ব্যক্তির ওয়ারিস ইচ্ছাকৃত হত্যার কিসাস মাফ করিয়া দেয় এবং দিয়াত লইতে ইচ্ছা করে, তখন ঐ দিয়াত হত্যাকারীর মাল হইতে লওয়া হইবে। উত্তরাধিকারীদের উপর পড়িবে না, যদি তাহারা স্বেচ্ছায় দিতে রাযী হয়।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই বিধান রহিয়াছে যে, যদি দিয়াত এক তৃতীয়াংশ হয় বা তদুর্ধে হয়, তবে উত্তরাধিকারীদের হইতে লওয়া হইবে, আর যদি দিয়াত এক তৃতীয়াংশ হইতে কম হয়, তবে হত্যাকারীর মাল হইতে লওয়া হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, আমাদের নিকট এই বিধান সর্বসম্মত যে, ইচ্ছাকৃত হত্যার বা অন্য কোন ক্ষত করায় যাহাতে কিসাস অনিবার্য হয় যদি দিয়াত লইতে স্বীকার করিয়া লওয়া হয়, তবে উহা হত্যকারী বা ক্ষতকারীর উপরই বর্তিবে, ওয়ারিসদের উপর বর্তিবে না। যদি তাহার নিকট মাল থাকে, তাহা না হইলে তাহার উপর কিসাস থাকিয়া যাইবে। হ্যাঁ, যদি ওয়ারিসগণ স্বেচ্ছায় দিতে রাযী হয় তবে দিতে পারে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে ক্ষত করিয়া দেয়, তবে তাহার দিয়াত ওয়ারিসকে দিতে হইবে না। আমি কাহাকেও ইচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত ওয়ারিসদের দ্বারা দেওয়াইতে শুনি নাই। এইজন্যই আল্লাহ তাআলা ইচ্ছাকৃত হত্যার ব্যাপারে বলিয়াছেনঃ

فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَىْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ

ইহার তফসীর আমাদের মতে এই— আল্লাহ সর্বজ্ঞাত, যাহার ভাই কিছু ক্ষমা করিয়া দেয় (কিসাস না লয়) তবে নিয়ম মতো তাহার অনুসরণ করা উচিত। আর দিয়াত ভালভাবে আদায় করা উচিত (বোঝা গেল, হত্যাকারীর উচিত উত্তম দিয়াত আদায় করা)।

মালিক (রাহঃ) বলেন, যে বাচ্চা ও স্ত্রীলোকের নিকট যদি কোন মাল না থাকে, যদি সে এমন কোন অপরাধ করিয়া বসে যাহাতে এক-তৃতীয়াংশের কম দিয়াত ওয়াজিব হয়, তবে দিয়াত তাহদের মালের উপর হইবে এবং তাহদের উপর উহা ফরয থাকিয়া যাইবে। এমতাবস্থায় কোন ওয়ারিস বা পিতার উপর দিয়াত আসিবে না।

মালিক খে) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিধান এই যে, গোলামকে যখন হত্যা করা হয়, তখন হত্যার দিনে তাহার যে মূল্য তাহা দিতে হইবে। হত্যাকারীর ওয়ারিসদের উপর কিছুই হইবে না। হত্যাকারীর নিজস্ব মাল হইতে দিয়াত আদায় করিতে হইবে, যদিও ঐ দাসের মূল্য দিয়াত হইতে অধিক হয়।
باب مَا يُوجِبُ الْعَقْلَ عَلَى الرَّجُلِ فِي خَاصَّةِ مَالِهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَيْسَ عَلَى الْعَاقِلَةِ عَقْلٌ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ إِنَّمَا عَلَيْهِمْ عَقْلُ قَتْلِ الْخَطَإِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ مَضَتْ السُّنَّةُ أَنَّ الْعَاقِلَةَ لَا تَحْمِلُ شَيْئًا مِنْ دِيَةِ الْعَمْدِ إِلَّا أَنْ يَشَاءُوا ذَلِكَ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ مِثْلَ ذَلِكَ
قَالَ مَالِك إِنَّ ابْنَ شِهَابٍ قَالَ مَضَتْ السُّنَّةُ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ حِينَ يَعْفُو أَوْلِيَاءُ الْمَقْتُولِ أَنَّ الدِّيَةَ تَكُونُ عَلَى الْقَاتِلِ فِي مَالِهِ خَاصَّةً إِلَّا أَنْ تُعِينَهُ الْعَاقِلَةُ عَنْ طِيبِ نَفْسٍ مِنْهَا قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الدِّيَةَ لَا تَجِبُ عَلَى الْعَاقِلَةِ حَتَّى تَبْلُغَ الثُّلُثَ فَصَاعِدًا فَمَا بَلَغَ الثُّلُثَ فَهُوَ عَلَى الْعَاقِلَةِ وَمَا كَانَ دُونَ الثُّلُثِ فَهُوَ فِي مَالِ الْجَارِحِ خَاصَّةً قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ قُبِلَتْ مِنْهُ الدِّيَةُ فِي قَتْلِ الْعَمْدِ أَوْ فِي شَيْءٍ مِنْ الْجِرَاحِ الَّتِي فِيهَا الْقِصَاصُ أَنَّ عَقْلَ ذَلِكَ لَا يَكُونُ عَلَى الْعَاقِلَةِ إِلَّا أَنْ يَشَاءُوا وَإِنَّمَا عَقْلُ ذَلِكَ فِي مَالِ الْقَاتِلِ أَوْ الْجَارِحِ خَاصَّةً إِنْ وُجِدَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يُوجَدْ لَهُ مَالٌ كَانَ دَيْنًا عَلَيْهِ وَلَيْسَ عَلَى الْعَاقِلَةِ مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَشَاءُوا قَالَ مَالِك وَلَا تَعْقِلُ الْعَاقِلَةُ أَحَدًا أَصَابَ نَفْسَهُ عَمْدًا أَوْ خَطَأً بِشَيْءٍ وَعَلَى ذَلِكَ رَأْيُ أَهْلِ الْفِقْهِ عِنْدَنَا وَلَمْ أَسْمَعْ أَنَّ أَحَدًا ضَمَّنَ الْعَاقِلَةَ مِنْ دِيَةِ الْعَمْدِ شَيْئًا وَمِمَّا يُعْرَفُ بِهِ ذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ فَتَفْسِيرُ ذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنَّهُ مَنْ أُعْطِيَ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ مِنْ الْعَقْلِ فَلْيَتْبَعْهُ بِالْمَعْرُوفِ وَلْيُؤَدِّ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ قَالَ مَالِك فِي الصَّبِيِّ الَّذِي لَا مَالَ لَهُ وَالْمَرْأَةِ الَّتِي لَا مَالَ لَهَا إِذَا جَنَى أَحَدُهُمَا جِنَايَةً دُونَ الثُّلُثِ إِنَّهُ ضَامِنٌ عَلَى الصَّبِيِّ وَالْمَرْأَةِ فِي مَالِهِمَا خَاصَّةً إِنْ كَانَ لَهُمَا مَالٌ أُخِذَ مِنْهُ وَإِلَّا فَجِنَايَةُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا دَيْنٌ عَلَيْهِ لَيْسَ عَلَى الْعَاقِلَةِ مِنْهُ شَيْءٌ وَلَا يُؤْخَذُ أَبُو الصَّبِيِّ بِعَقْلِ جِنَايَةِ الصَّبِيِّ وَلَيْسَ ذَلِكَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا قُتِلَ كَانَتْ فِيهِ الْقِيمَةُ يَوْمَ يُقْتَلُ وَلَا تَحْمِلُ عَاقِلَةُ قَاتِلِهِ مِنْ قِيمَةِ الْعَبْدِ شَيْئًا قَلَّ أَوْ كَثُرَ وَإِنَّمَا ذَلِكَ عَلَى الَّذِي أَصَابَهُ فِي مَالِهِ خَاصَّةً بَالِغًا مَا بَلَغَ وَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ الْعَبْدِ الدِّيَةَ أَوْ أَكْثَرَ فَذَلِكَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ وَذَلِكَ لِأَنَّ الْعَبْدَ سِلْعَةٌ مِنْ السِّلَعِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান