আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬১৯
১৮. দিয়াতের বিভিন্ন বিধান
রেওয়ায়ত ১২. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন পশুর যখম করার বদলা নাই। কূপে পড়িয়া মৃত্যুবরণ করার বদলা নাই। খনিতে পড়িয়া মৃত্যুবরণ করিলে বদলা নাই আর মাটির নীচে প্রোথিত মালের পঞ্চমাংশ রহিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, جبار (জবার) শব্দের ব্যাখ্যা হইল যে, উহাতে দিয়াত নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন পশুকে সম্মুখ দিক হইতে টানিয়া নেয় বা পিছন দিক হইতে জাঁকাইয়া লইয়া যায় বা উহার উপর আরোহণ অবস্থায় থাকে, সেই জন্তু কাহাকেও যখম করিলে ঐ ব্যক্তিকে উহার দিয়াত দিতে হইবে। উক্ত জন্তু নিজেই কাহাকেও লাথি মারে বা শিং দিয়া আঘাত করে তবে ঐ জন্তুর মালিকের উপর ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না। যে ব্যক্তি ঘোড়া দৌড়াইয়া যাইবার কালে কাহাকেও পদদলিত করে তাহাকে দিয়াত দিতে হইবে। উমর (রাযিঃ) উহার দিয়াত দেওয়াইয়াছিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যখন ঘোড়া দৌড়ানেওয়ালার দিয়াত দিতে হইল, তখন সম্মুখ ও পিছনের দিক হইতে হাকাইয়া লইয়া গেলে তো তাহাকে দিয়াত দিতে হইবেই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি কেহ রাস্তায় কূপ খনন করিল বা পশু বাঁধিয়া রাখিল বা কেহ এমন কাজ করিল যাহা রাস্তায় করা অন্যায় মনে করা হয়। আর উহার কারণে কাহারও কোন কষ্ট হইল তবে এই ব্যক্তি দায়ী হইবে, এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দিয়াত সে নিজের মাল হইতে দিবে। আর উহা হইতে বেশী হইলে আকিলাদের সম্পদ হইতে দেওয়াইতে হইবে। কিন্তু যদি এমন কোন কাজ করে যাহা সাধারণত অন্যায় মনে করা হয় না, তবে তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না, যেমন বৃষ্টির জন্য গর্ত করিল বা পশু হইতে নামিয়া পশুটিকে রাস্তায় দাঁড় করাইয়া রাখিল।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি কূপে অবতরণ করিল, পরে আর এক ব্যক্তি অবতরণ করিল, অতঃপর নীচের ব্যক্তি উপরের ব্যক্তিকে টানিল। ইহাতে উভয়ে পড়িয়া মারা গেল। এখন যে টানিয়াছিল তাহার ওয়ারিসদের উপর দিয়াত দেওয়া অনিবার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ বাচ্চাকে কূপে নামায় কিংবা গাছে উঠায় এবং ইহাতে বাচ্চাটি মারা পড়ে তবে তাহাকে দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিধান এই যে, দিয়াতদাতা স্ত্রীলোক এবং বাচ্চা হইবে না। আর বালেগ ব্যক্তি হইতে দিয়াত উশুল করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, মুক্ত দাসের দিয়াত তাহার ওয়ারিসদের উপর বর্তিবে যদিও সে সরকারী দফতরে বেতনভোগী হউক না কেন, যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)-এর সময়ে ছিল। কেননা দফতর উমর (রাযিঃ)-এর আবিষ্কার। অতএব প্রত্যেকের দিয়াত তাহাদের প্রভু এবং সম্প্রদায় আদায় করিবে। কেননা ইহাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিও তাহারাই পাইয়া থাকে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, দাসের পরিত্যক্ত মাল তাহার প্রভুই পাইবে, যে তাহাকে মুক্ত করিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কাহারও পশু কাহারও কোনরূপ অনিষ্ট সাধন করিল, তবে এই অনিষ্ট সাধনের দ্বারা ঐ বস্তুর মূল্যে যে স্বল্পতা আসিবে তাহা তাহাক আদায় করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কিসাসে অভিযুক্ত হয়, পরে সে আবার কোন এমন কাজ করিয়া বসে যাহাতে তাহার উপর নির্দিষ্ট শাস্তি ওয়াজিব হয়, তবে তাহার জন্য মৃত্যুই যথেষ্ট আর শাস্তি ভোগ করিতে হইবে না। তবে অপবাদের শাস্তি তাহাকে ভোগ করিতে হইবে। অতঃপর হত্যা করা হইবে। যদি সে কাহাকেও ক্ষত করিয়া দেয় তবে ক্ষতের কিসাস লওয়া আবশ্যকীয় নহে, হত্যা করাই যথেষ্ট।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত এই যে, যদি কোন মৃতদেহ কোন গ্রামে পাওয়া যায় অথবা কাহারও দরজায় পাওয়া যায়, তবে ইহা অত্যাবশ্যকীয় নহে যে, ঐ লাশের আশেপাশের লোককে গ্রেফতার করিতে হইবে। কেননা প্রায়ই এরূপ হইয়া থাকে, লোক কাহাকেও মারিয়া অন্যের দরজায় রাখিয়া যায় যেন সে গ্রেফতার হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কয়েকজন লোক পরস্পর ঝগড়া লড়াই করিল। পরে যখন ঝগড়া থামিয়া গেল তখন তাহাদের মধ্যে একজনকে মৃত অথবা আহত অবস্থায় পাওয়া গেল। কিন্তু গোলমালের দরুন কে মারিয়াছে বা ক্ষত করিয়াছে তাহা জানা গেল না। তবে দ্বিতীয় পক্ষের লোকের উপর উহার দিয়াত ওয়াজিব হইবে। যদি এমন হয় যে, ঐ ব্যক্তি কোন পক্ষের লোক নহে, তবে উভয় পক্ষের উপর দিয়াত ওয়াজিব হইবে।*
মালিক (রাহঃ) বলেন, جبار (জবার) শব্দের ব্যাখ্যা হইল যে, উহাতে দিয়াত নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন পশুকে সম্মুখ দিক হইতে টানিয়া নেয় বা পিছন দিক হইতে জাঁকাইয়া লইয়া যায় বা উহার উপর আরোহণ অবস্থায় থাকে, সেই জন্তু কাহাকেও যখম করিলে ঐ ব্যক্তিকে উহার দিয়াত দিতে হইবে। উক্ত জন্তু নিজেই কাহাকেও লাথি মারে বা শিং দিয়া আঘাত করে তবে ঐ জন্তুর মালিকের উপর ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না। যে ব্যক্তি ঘোড়া দৌড়াইয়া যাইবার কালে কাহাকেও পদদলিত করে তাহাকে দিয়াত দিতে হইবে। উমর (রাযিঃ) উহার দিয়াত দেওয়াইয়াছিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যখন ঘোড়া দৌড়ানেওয়ালার দিয়াত দিতে হইল, তখন সম্মুখ ও পিছনের দিক হইতে হাকাইয়া লইয়া গেলে তো তাহাকে দিয়াত দিতে হইবেই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি কেহ রাস্তায় কূপ খনন করিল বা পশু বাঁধিয়া রাখিল বা কেহ এমন কাজ করিল যাহা রাস্তায় করা অন্যায় মনে করা হয়। আর উহার কারণে কাহারও কোন কষ্ট হইল তবে এই ব্যক্তি দায়ী হইবে, এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দিয়াত সে নিজের মাল হইতে দিবে। আর উহা হইতে বেশী হইলে আকিলাদের সম্পদ হইতে দেওয়াইতে হইবে। কিন্তু যদি এমন কোন কাজ করে যাহা সাধারণত অন্যায় মনে করা হয় না, তবে তাহাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না, যেমন বৃষ্টির জন্য গর্ত করিল বা পশু হইতে নামিয়া পশুটিকে রাস্তায় দাঁড় করাইয়া রাখিল।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি কূপে অবতরণ করিল, পরে আর এক ব্যক্তি অবতরণ করিল, অতঃপর নীচের ব্যক্তি উপরের ব্যক্তিকে টানিল। ইহাতে উভয়ে পড়িয়া মারা গেল। এখন যে টানিয়াছিল তাহার ওয়ারিসদের উপর দিয়াত দেওয়া অনিবার্য হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ বাচ্চাকে কূপে নামায় কিংবা গাছে উঠায় এবং ইহাতে বাচ্চাটি মারা পড়ে তবে তাহাকে দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিধান এই যে, দিয়াতদাতা স্ত্রীলোক এবং বাচ্চা হইবে না। আর বালেগ ব্যক্তি হইতে দিয়াত উশুল করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, মুক্ত দাসের দিয়াত তাহার ওয়ারিসদের উপর বর্তিবে যদিও সে সরকারী দফতরে বেতনভোগী হউক না কেন, যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)-এর সময়ে ছিল। কেননা দফতর উমর (রাযিঃ)-এর আবিষ্কার। অতএব প্রত্যেকের দিয়াত তাহাদের প্রভু এবং সম্প্রদায় আদায় করিবে। কেননা ইহাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিও তাহারাই পাইয়া থাকে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, দাসের পরিত্যক্ত মাল তাহার প্রভুই পাইবে, যে তাহাকে মুক্ত করিয়াছে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কাহারও পশু কাহারও কোনরূপ অনিষ্ট সাধন করিল, তবে এই অনিষ্ট সাধনের দ্বারা ঐ বস্তুর মূল্যে যে স্বল্পতা আসিবে তাহা তাহাক আদায় করিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কিসাসে অভিযুক্ত হয়, পরে সে আবার কোন এমন কাজ করিয়া বসে যাহাতে তাহার উপর নির্দিষ্ট শাস্তি ওয়াজিব হয়, তবে তাহার জন্য মৃত্যুই যথেষ্ট আর শাস্তি ভোগ করিতে হইবে না। তবে অপবাদের শাস্তি তাহাকে ভোগ করিতে হইবে। অতঃপর হত্যা করা হইবে। যদি সে কাহাকেও ক্ষত করিয়া দেয় তবে ক্ষতের কিসাস লওয়া আবশ্যকীয় নহে, হত্যা করাই যথেষ্ট।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত এই যে, যদি কোন মৃতদেহ কোন গ্রামে পাওয়া যায় অথবা কাহারও দরজায় পাওয়া যায়, তবে ইহা অত্যাবশ্যকীয় নহে যে, ঐ লাশের আশেপাশের লোককে গ্রেফতার করিতে হইবে। কেননা প্রায়ই এরূপ হইয়া থাকে, লোক কাহাকেও মারিয়া অন্যের দরজায় রাখিয়া যায় যেন সে গ্রেফতার হয়।
মালিক (রাহঃ) বলেন, কয়েকজন লোক পরস্পর ঝগড়া লড়াই করিল। পরে যখন ঝগড়া থামিয়া গেল তখন তাহাদের মধ্যে একজনকে মৃত অথবা আহত অবস্থায় পাওয়া গেল। কিন্তু গোলমালের দরুন কে মারিয়াছে বা ক্ষত করিয়াছে তাহা জানা গেল না। তবে দ্বিতীয় পক্ষের লোকের উপর উহার দিয়াত ওয়াজিব হইবে। যদি এমন হয় যে, ঐ ব্যক্তি কোন পক্ষের লোক নহে, তবে উভয় পক্ষের উপর দিয়াত ওয়াজিব হইবে।*
باب جَامِعِ الْعَقْلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ جَرْحُ الْعَجْمَاءِ جُبَارٌ وَالْبِئْرُ جُبَارٌ وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ وَفِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ الْجُبَارِ أَنَّهُ لَا دِيَةَ فِيهِ
وَقَالَ مَالِك الْقَائِدُ وَالسَّائِقُ وَالرَّاكِبُ كُلُّهُمْ ضَامِنُونَ لِمَا أَصَابَتْ الدَّابَّةُ إِلَّا أَنْ تَرْمَحَ الدَّابَّةُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُفْعَلَ بِهَا شَيْءٌ تَرْمَحُ لَهُ وَقَدْ قَضَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي الَّذِي أَجْرَى فَرَسَهُ بِالْعَقْلِ قَالَ مَالِك فَالْقَائِدُ وَالرَّاكِبُ وَالسَّائِقُ أَحْرَى أَنْ يَغْرَمُوا مِنْ الَّذِي أَجْرَى فَرَسَهُ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الَّذِي يَحْفِرُ الْبِئْرَ عَلَى الطَّرِيقِ أَوْ يَرْبِطُ الدَّابَّةَ أَوْ يَصْنَعُ أَشْبَاهَ هَذَا عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ مَا صَنَعَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَصْنَعَهُ عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ فَهُوَ ضَامِنٌ لِمَا أُصِيبَ فِي ذَلِكَ مِنْ جَرْحٍ أَوْ غَيْرِهِ فَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ عَقْلُهُ دُونَ ثُلُثِ الدِّيَةِ فَهُوَ فِي مَالِهِ خَاصَّةً وَمَا بَلَغَ الثُّلُثَ فَصَاعِدًا فَهُوَ عَلَى الْعَاقِلَةِ وَمَا صَنَعَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَصْنَعَهُ عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ فَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ فِيهِ وَلَا غُرْمَ وَمِنْ ذَلِكَ الْبِئْرُ يَحْفِرُهَا الرَّجُلُ لِلْمَطَرِ وَالدَّابَّةُ يَنْزِلُ عَنْهَا الرَّجُلُ لِلْحَاجَةِ فَيَقِفُهَا عَلَى الطَّرِيقِ فَلَيْسَ عَلَى أَحَدٍ فِي هَذَا غُرْمٌ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَنْزِلُ فِي الْبِئْرِ فَيُدْرِكُهُ رَجُلٌ آخَرُ فِي أَثَرِهِ فَيَجْبِذُ الْأَسْفَلُ الْأَعْلَى فَيَخِرَّانِ فِي الْبِئْرِ فَيَهْلِكَانِ جَمِيعًا أَنَّ عَلَى عَاقِلَةِ الَّذِي جَبَذَهُ الدِّيَةَ قَالَ مَالِك فِي الصَّبِيِّ يَأْمُرُهُ الرَّجُلُ يَنْزِلُ فِي الْبِئْرِ أَوْ يَرْقَى فِي النَّخْلَةِ فَيَهْلِكُ فِي ذَلِكَ أَنَّ الَّذِي أَمَرَهُ ضَامِنٌ لِمَا أَصَابَهُ مِنْ هَلَاكٍ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ عَقْلٌ يَجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَعْقِلُوهُ مَعَ الْعَاقِلَةِ فِيمَا تَعْقِلُهُ الْعَاقِلَةُ مِنْ الدِّيَاتِ وَإِنَّمَا يَجِبُ الْعَقْلُ عَلَى مَنْ بَلَغَ الْحُلُمَ مِنْ الرِّجَالِ وَقَالَ مَالِك فِي عَقْلِ الْمَوَالِي تُلْزَمُهُ الْعَاقِلَةُ إِنْ شَاءُوا وَإِنْ أَبَوْا كَانُوا أَهْلَ دِيوَانٍ أَوْ مُقْطَعِينَ وَقَدْ تَعَاقَلَ النَّاسُ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي زَمَانِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ دِيوَانٌ وَإِنَّمَا كَانَ الدِّيوَانُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَعْقِلَ عَنْهُ غَيْرُ قَوْمِهِ وَمَوَالِيهِ لِأَنَّ الْوَلَاءَ لَا يَنْتَقِلُ وَلِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ قَالَ مَالِك وَالْوَلَاءُ نَسَبٌ ثَابِتٌ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا أُصِيبَ مِنْ الْبَهَائِمِ أَنَّ عَلَى مَنْ أَصَابَ مِنْهَا شَيْئًا قَدْرَ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَكُونُ عَلَيْهِ الْقَتْلُ فَيُصِيبُ حَدًّا مِنْ الْحُدُودِ أَنَّهُ لَا يُؤْخَذُ بِهِ وَذَلِكَ أَنَّ الْقَتْلَ يَأْتِي عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ إِلَّا الْفِرْيَةَ فَإِنَّهَا تَثْبُتُ عَلَى مَنْ قِيلَتْ لَهُ يُقَالُ لَهُ مَا لَكَ لَمْ تَجْلِدْ مَنْ افْتَرَى عَلَيْكَ فَأَرَى أَنْ يُجْلَدَ الْمَقْتُولُ الْحَدَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُقْتَلَ ثُمَّ يُقْتَلَ وَلَا أَرَى أَنْ يُقَادَ مِنْهُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْجِرَاحِ إِلَّا الْقَتْلَ لِأَنَّ الْقَتْلَ يَأْتِي عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ وَقَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْقَتِيلَ إِذَا وُجِدَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ قَوْمٍ فِي قَرْيَةٍ أَوْ غَيْرِهَا لَمْ يُؤْخَذْ بِهِ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ دَارًا وَلَا مَكَانًا وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يُقْتَلُ الْقَتِيلُ ثُمَّ يُلْقَى عَلَى بَابِ قَوْمٍ لِيُلَطَّخُوا بِهِ فَلَيْسَ يُؤَاخَذُ أَحَدٌ بِمِثْلِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي جَمَاعَةٍ مِنْ النَّاسِ اقْتَتَلُوا فَانْكَشَفُوا وَبَيْنَهُمْ قَتِيلٌ أَوْ جَرِيحٌ لَا يُدْرَى مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ بِهِ إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَلَيْهِ الْعَقْلَ وَأَنَّ عَقْلَهُ عَلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ نَازَعُوهُ وَإِنْ كَانَ الْجَرِيحُ أَوْ الْقَتِيلُ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيقَيْنِ فَعَقْلُهُ عَلَى الْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا
وَقَالَ مَالِك الْقَائِدُ وَالسَّائِقُ وَالرَّاكِبُ كُلُّهُمْ ضَامِنُونَ لِمَا أَصَابَتْ الدَّابَّةُ إِلَّا أَنْ تَرْمَحَ الدَّابَّةُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُفْعَلَ بِهَا شَيْءٌ تَرْمَحُ لَهُ وَقَدْ قَضَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي الَّذِي أَجْرَى فَرَسَهُ بِالْعَقْلِ قَالَ مَالِك فَالْقَائِدُ وَالرَّاكِبُ وَالسَّائِقُ أَحْرَى أَنْ يَغْرَمُوا مِنْ الَّذِي أَجْرَى فَرَسَهُ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الَّذِي يَحْفِرُ الْبِئْرَ عَلَى الطَّرِيقِ أَوْ يَرْبِطُ الدَّابَّةَ أَوْ يَصْنَعُ أَشْبَاهَ هَذَا عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ مَا صَنَعَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَصْنَعَهُ عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ فَهُوَ ضَامِنٌ لِمَا أُصِيبَ فِي ذَلِكَ مِنْ جَرْحٍ أَوْ غَيْرِهِ فَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ عَقْلُهُ دُونَ ثُلُثِ الدِّيَةِ فَهُوَ فِي مَالِهِ خَاصَّةً وَمَا بَلَغَ الثُّلُثَ فَصَاعِدًا فَهُوَ عَلَى الْعَاقِلَةِ وَمَا صَنَعَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَصْنَعَهُ عَلَى طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ فَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ فِيهِ وَلَا غُرْمَ وَمِنْ ذَلِكَ الْبِئْرُ يَحْفِرُهَا الرَّجُلُ لِلْمَطَرِ وَالدَّابَّةُ يَنْزِلُ عَنْهَا الرَّجُلُ لِلْحَاجَةِ فَيَقِفُهَا عَلَى الطَّرِيقِ فَلَيْسَ عَلَى أَحَدٍ فِي هَذَا غُرْمٌ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَنْزِلُ فِي الْبِئْرِ فَيُدْرِكُهُ رَجُلٌ آخَرُ فِي أَثَرِهِ فَيَجْبِذُ الْأَسْفَلُ الْأَعْلَى فَيَخِرَّانِ فِي الْبِئْرِ فَيَهْلِكَانِ جَمِيعًا أَنَّ عَلَى عَاقِلَةِ الَّذِي جَبَذَهُ الدِّيَةَ قَالَ مَالِك فِي الصَّبِيِّ يَأْمُرُهُ الرَّجُلُ يَنْزِلُ فِي الْبِئْرِ أَوْ يَرْقَى فِي النَّخْلَةِ فَيَهْلِكُ فِي ذَلِكَ أَنَّ الَّذِي أَمَرَهُ ضَامِنٌ لِمَا أَصَابَهُ مِنْ هَلَاكٍ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ عَقْلٌ يَجِبُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَعْقِلُوهُ مَعَ الْعَاقِلَةِ فِيمَا تَعْقِلُهُ الْعَاقِلَةُ مِنْ الدِّيَاتِ وَإِنَّمَا يَجِبُ الْعَقْلُ عَلَى مَنْ بَلَغَ الْحُلُمَ مِنْ الرِّجَالِ وَقَالَ مَالِك فِي عَقْلِ الْمَوَالِي تُلْزَمُهُ الْعَاقِلَةُ إِنْ شَاءُوا وَإِنْ أَبَوْا كَانُوا أَهْلَ دِيوَانٍ أَوْ مُقْطَعِينَ وَقَدْ تَعَاقَلَ النَّاسُ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي زَمَانِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ دِيوَانٌ وَإِنَّمَا كَانَ الدِّيوَانُ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَعْقِلَ عَنْهُ غَيْرُ قَوْمِهِ وَمَوَالِيهِ لِأَنَّ الْوَلَاءَ لَا يَنْتَقِلُ وَلِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ قَالَ مَالِك وَالْوَلَاءُ نَسَبٌ ثَابِتٌ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَا أُصِيبَ مِنْ الْبَهَائِمِ أَنَّ عَلَى مَنْ أَصَابَ مِنْهَا شَيْئًا قَدْرَ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَكُونُ عَلَيْهِ الْقَتْلُ فَيُصِيبُ حَدًّا مِنْ الْحُدُودِ أَنَّهُ لَا يُؤْخَذُ بِهِ وَذَلِكَ أَنَّ الْقَتْلَ يَأْتِي عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ إِلَّا الْفِرْيَةَ فَإِنَّهَا تَثْبُتُ عَلَى مَنْ قِيلَتْ لَهُ يُقَالُ لَهُ مَا لَكَ لَمْ تَجْلِدْ مَنْ افْتَرَى عَلَيْكَ فَأَرَى أَنْ يُجْلَدَ الْمَقْتُولُ الْحَدَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُقْتَلَ ثُمَّ يُقْتَلَ وَلَا أَرَى أَنْ يُقَادَ مِنْهُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْجِرَاحِ إِلَّا الْقَتْلَ لِأَنَّ الْقَتْلَ يَأْتِي عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ وَقَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْقَتِيلَ إِذَا وُجِدَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ قَوْمٍ فِي قَرْيَةٍ أَوْ غَيْرِهَا لَمْ يُؤْخَذْ بِهِ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ دَارًا وَلَا مَكَانًا وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يُقْتَلُ الْقَتِيلُ ثُمَّ يُلْقَى عَلَى بَابِ قَوْمٍ لِيُلَطَّخُوا بِهِ فَلَيْسَ يُؤَاخَذُ أَحَدٌ بِمِثْلِ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي جَمَاعَةٍ مِنْ النَّاسِ اقْتَتَلُوا فَانْكَشَفُوا وَبَيْنَهُمْ قَتِيلٌ أَوْ جَرِيحٌ لَا يُدْرَى مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ بِهِ إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَلَيْهِ الْعَقْلَ وَأَنَّ عَقْلَهُ عَلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ نَازَعُوهُ وَإِنْ كَانَ الْجَرِيحُ أَوْ الْقَتِيلُ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيقَيْنِ فَعَقْلُهُ عَلَى الْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান