আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪০. মুদাব্বার গোলামের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৩৯
২. মুদাব্বারকরণের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২. মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ একজন মুদাব্বার তাহার কর্তাকে বলিল, আমার আযাদী ত্বরান্বিত করুন। আমি (ইহার জন্য) আপনাকে কিস্তি কিস্তি করিয়া পঞ্চাশ দীনার আদায় করিব। তাহার কর্তা বলিল, হ্যাঁ, তুমি আযাদ এবং তোমার উপর পঞ্চাশ দীনার আদায় করা জরুরী হইল, প্রতি বৎসর দশ দীনার করিয়া (কিস্তি আদায় করিবে) ক্রীতদাস ইহাতে সম্মত হইল। অতঃপর ইহার দুই কিংবা তিন দিন পর কর্তার মৃত্যু হইল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সে আযাদ হইয়া গিয়াছে এবং ঐ পঞ্চাশ দীনার তাহার জিম্মায় ঋণ রহিয়াছে এবং তাহার সাক্ষ্যদান গ্রহণযোগ্য হইবে, তাহার ব্যক্তিমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হইল। সে উত্তরাধিকার লাভ করিবে এবং তাহার উপর শরীয়তের বিধান জারি হইবে। আর কর্তার মৃত্যুর কারণে তাহার জিন্মায় যে ঋণ রহিয়াছে উহার কিছুই কমান হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার জনৈক গোলামকে মুদাব্বির করিল। তারপর কর্তার মৃত্যু হইল। আর তাহার সম্পদও রহিয়াছে নিকট ও দূরে। কিন্তু কর্তার নিকট যে মাল আছে উহা মুদাব্বার আযাদ হইবার মতো যথেষ্ট নহে। তবে মুদাব্বারের আযাদী স্থগিত রাখা হইবে। তাহার সম্পদও আটক থাকিবে এবং ঐ সম্পদের খাজনা সঞ্চয় করা হইবে। আর ইহা চালু থাকিবে দূরবর্তী সম্পদ হস্তগত না হওয়া পর্যন্ত। (ইহার পর বিবেচনা করা হইবে) কর্তা যে মাল রাখিয়া গিয়াছে যদি উহার এক-তৃতীয়াংশের (মুদাব্বারের মূল্যের) অর্থ যোগাড় হয়, তবে সে তাহার সম্পদ ও সঞ্চিত খাজনাসহ আযাদ হইয়া যাইবে। আর যদি কর্তার রাখিয়া যাওয়া সম্পদে ইহার যোগাড় না হয় তবে কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ দ্বারা মুদাব্বার হইতে যতটুকু আযাদ হওয়া যায় ততটুকু তাহার আযাদ হইয়া যাইবে এবং তাহার সম্পদ ছাড়িয়া তাহারই হস্তে দেওয়া হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সে আযাদ হইয়া গিয়াছে এবং ঐ পঞ্চাশ দীনার তাহার জিম্মায় ঋণ রহিয়াছে এবং তাহার সাক্ষ্যদান গ্রহণযোগ্য হইবে, তাহার ব্যক্তিমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হইল। সে উত্তরাধিকার লাভ করিবে এবং তাহার উপর শরীয়তের বিধান জারি হইবে। আর কর্তার মৃত্যুর কারণে তাহার জিন্মায় যে ঋণ রহিয়াছে উহার কিছুই কমান হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার জনৈক গোলামকে মুদাব্বির করিল। তারপর কর্তার মৃত্যু হইল। আর তাহার সম্পদও রহিয়াছে নিকট ও দূরে। কিন্তু কর্তার নিকট যে মাল আছে উহা মুদাব্বার আযাদ হইবার মতো যথেষ্ট নহে। তবে মুদাব্বারের আযাদী স্থগিত রাখা হইবে। তাহার সম্পদও আটক থাকিবে এবং ঐ সম্পদের খাজনা সঞ্চয় করা হইবে। আর ইহা চালু থাকিবে দূরবর্তী সম্পদ হস্তগত না হওয়া পর্যন্ত। (ইহার পর বিবেচনা করা হইবে) কর্তা যে মাল রাখিয়া গিয়াছে যদি উহার এক-তৃতীয়াংশের (মুদাব্বারের মূল্যের) অর্থ যোগাড় হয়, তবে সে তাহার সম্পদ ও সঞ্চিত খাজনাসহ আযাদ হইয়া যাইবে। আর যদি কর্তার রাখিয়া যাওয়া সম্পদে ইহার যোগাড় না হয় তবে কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ দ্বারা মুদাব্বার হইতে যতটুকু আযাদ হওয়া যায় ততটুকু তাহার আযাদ হইয়া যাইবে এবং তাহার সম্পদ ছাড়িয়া তাহারই হস্তে দেওয়া হইবে।
باب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي التَّدْبِيرِ
قَالَ مَالِك فِي مُدَبَّرٍ قَالَ لِسَيِّدِهِ عَجِّلْ لِي الْعِتْقَ وَأُعْطِيكَ خَمْسِينَ مِنْهَا مُنَجَّمَةً عَلَيَّ فَقَالَ سَيِّدُهُ نَعَمْ أَنْتَ حُرٌّ وَعَلَيْكَ خَمْسُونَ دِينَارًا تُؤَدِّي إِلَيَّ كُلَّ عَامٍ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ فَرَضِيَ بِذَلِكَ الْعَبْدُ ثُمَّ هَلَكَ السَّيِّدُ بَعْدَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ قَالَ مَالِك يَثْبُتُ لَهُ الْعِتْقُ وَصَارَتْ الْخَمْسُونَ دِينَارًا دَيْنًا عَلَيْهِ وَجَازَتْ شَهَادَتُهُ وَثَبَتَتْ حُرْمَتُهُ وَمِيرَاثُهُ وَحُدُودُهُ وَلَا يَضَعُ عَنْهُ مَوْتُ سَيِّدِهِ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ الدَّيْنِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَبَّرَ عَبْدًا لَهُ فَمَاتَ السَّيِّدُ وَلَهُ مَالٌ حَاضِرٌ وَمَالٌ غَائِبٌ فَلَمْ يَكُنْ فِي مَالِهِ الْحَاضِرِ مَا يَخْرُجُ فِيهِ الْمُدَبَّرُ قَالَ يُوقَفُ الْمُدَبَّرُ بِمَالِهِ وَيُجْمَعُ خَرَاجُهُ حَتَّى يَتَبَيَّنَ مِنْ الْمَالِ الْغَائِبِ فَإِنْ كَانَ فِيمَا تَرَكَ سَيِّدُهُ مِمَّا يَحْمِلُهُ الثُّلُثُ عَتَقَ بِمَالِهِ وَبِمَا جُمِعَ مِنْ خَرَاجِهِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيمَا تَرَكَ سَيِّدُهُ مَا يَحْمِلُهُ عَتَقَ مِنْهُ قَدْرُ الثُّلُثِ وَتُرِكَ مَالُهُ فِي يَدَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: