আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪০. মুদাব্বার গোলামের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৩৮
১. মুদাব্বার-এর সন্তানদের ব্যাপারে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ১. মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, আমাদের নিকট সেই ব্যক্তি সম্পর্কে মাসআলা এই, যে ব্যক্তি তাহার ক্রীতদাসীকে ″মুদাব্বারা″ (مدبرة) করিয়াছে এবং কর্তা কর্তৃক উহাকে মুদাব্বারা করার পর সে সন্তান জন্মাইয়াছে। অতঃপর সে (কর্তা) উহাকে মুদাব্বারা করিয়াছে তাহার পূর্বে ক্রীতদাসীর মৃত্যু হইয়াছে, তবে উহার সন্তানদের ব্যাপারে উহার মতোই হইবে, অর্থাৎ যেই শর্ত উহার (মুদাব্বারা ক্রীতদাসীর) জন্য ছিল সেই শর্ত ইহাদের (সন্তানদের) জন্যও প্রযোজ্য হইবে। এবং ইহাদের মাতার মৃত্যুর কারণে ইহাদের কোন ক্ষতি হইবে না, অতঃপর যে মুদাব্বার (কর্তা) করিয়াছে তাহার মৃত্যু হইলে তবে তাহার এক-তৃতীয়াংশ (সম্পত্তিতে) সংকুলান হইলে ইহারা আযাদ হইয়া যাইবে।*
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রত্যেক জননীর আওলাদ শর্ত ইত্যাদির ব্যাপারে উহাদের মাতার সমতুল্য হইবে। জননী যদি আযাদী লাভ করে এবং আযাদী লাভের পর সন্তান জন্মায়, তবে উহার সন্তানরা আযাদ (গণ্য) হইবে। আর জননী যদি মুদাববারা অথবা মুকাতাবা হয় কিংবা কয়েক বৎসরের খেদমতের শর্তে আযাদী প্রাপ্তা হয় অথবা উহার অংশবিশেষ আযাদ করা হয়, অথবা তাহাকে বন্ধক দেওয়া হইয়াছে এমন হয় অথবা সে উম্মে-ওয়ালাদ হয়, তবে উহাদের প্রত্যেকের সন্তান মাতার মতো মর্যাদা লাভ করিবে। মাতা আযাদ হইলে ইহারাও আযাদ (গণ্য) হইবে। মাতা ক্রীতদাসী হইলে ইহারাও ক্রীতদাস হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাসীকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুদাব্বারা’ করা হইয়াছে, তাহার সন্তান তাহারই মতো (গণ্য করা) হইবে। ইহা যেন এইরূপ — যেমন কোন ব্যক্তি আপন ক্রীতদাসীকে আযাদ করিয়াছে সে তখন অন্তঃসত্ত্বা, কর্তা উহার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর রাখে না। মালিক (রাহঃ) বলেন, এই ব্যাপারে সুন্নত (রীতি) এই উহার সন্তান উহাকে অনুসরণ করিবে এবং উহার আযাদী লাভে সেও আযাদী লাভ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তদ্রূপ যদি কোন ব্যক্তি অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীকে খরিদ করে, তবে ক্রীতদাসী এবং উহার গর্ভে যাহা রহিয়াছে, তাহা ক্রেতারই হইবে। ক্রেতা উহার শর্ত করুক কিংবা না করুক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বিক্রেতার পক্ষে ক্রীতদাসীর গর্ভের সন্তানকে (বিক্রয় হইতে) বাদ রাখা হালাল নহে ইহা প্রতারণা বটে। কারণ, সে ক্রীতদাসীর মূল্য হইতে মূল্য কমাইবার উদ্দেশ্যে ইহা করিতে চাহে, অথচ সে নিজেও জানে না এই সন্তান সে লাভ করিবে কি, না? ইহা এইরূপ যেমন কেহ মাতার গর্ভস্থ সন্তান বিক্রয় করিল, ইহা তাহার জন্য হালাল নহে; কারণ ইহা প্রতারণা।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই মুকাতাব অথবা মুদাব্বারা : তাহাদের একজন একটি ক্রীতদাসী খরিদ করিয়াছে। অতঃপর উহার সহিত সঙ্গম করিয়াছে, ফলে দাসীটি অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং সন্তান জন্মায়।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় এই ক্রীতদাসীর গর্ভের সন্তান তাহার মতোই হইবে [অর্থাৎ উহার মতো মর্যাদা লাভ করিবে]। সে আযাদ হইলে সন্তানেরাও আযাদ হইবে। আর সে ক্রীতদাসী হইলে সন্তানেরাও ক্রীতদাস হইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন, সে আযাদ হইলে তাহার “উম্মে-ওয়ালাদ” তাহারই সম্পদ হইবে। তাহার আযাদীর পর উহাকে তাহার নিকট সোপর্দ করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ প্রত্যেক জননীর আওলাদ শর্ত ইত্যাদির ব্যাপারে উহাদের মাতার সমতুল্য হইবে। জননী যদি আযাদী লাভ করে এবং আযাদী লাভের পর সন্তান জন্মায়, তবে উহার সন্তানরা আযাদ (গণ্য) হইবে। আর জননী যদি মুদাববারা অথবা মুকাতাবা হয় কিংবা কয়েক বৎসরের খেদমতের শর্তে আযাদী প্রাপ্তা হয় অথবা উহার অংশবিশেষ আযাদ করা হয়, অথবা তাহাকে বন্ধক দেওয়া হইয়াছে এমন হয় অথবা সে উম্মে-ওয়ালাদ হয়, তবে উহাদের প্রত্যেকের সন্তান মাতার মতো মর্যাদা লাভ করিবে। মাতা আযাদ হইলে ইহারাও আযাদ (গণ্য) হইবে। মাতা ক্রীতদাসী হইলে ইহারাও ক্রীতদাস হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাসীকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুদাব্বারা’ করা হইয়াছে, তাহার সন্তান তাহারই মতো (গণ্য করা) হইবে। ইহা যেন এইরূপ — যেমন কোন ব্যক্তি আপন ক্রীতদাসীকে আযাদ করিয়াছে সে তখন অন্তঃসত্ত্বা, কর্তা উহার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর রাখে না। মালিক (রাহঃ) বলেন, এই ব্যাপারে সুন্নত (রীতি) এই উহার সন্তান উহাকে অনুসরণ করিবে এবং উহার আযাদী লাভে সেও আযাদী লাভ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তদ্রূপ যদি কোন ব্যক্তি অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীকে খরিদ করে, তবে ক্রীতদাসী এবং উহার গর্ভে যাহা রহিয়াছে, তাহা ক্রেতারই হইবে। ক্রেতা উহার শর্ত করুক কিংবা না করুক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ বিক্রেতার পক্ষে ক্রীতদাসীর গর্ভের সন্তানকে (বিক্রয় হইতে) বাদ রাখা হালাল নহে ইহা প্রতারণা বটে। কারণ, সে ক্রীতদাসীর মূল্য হইতে মূল্য কমাইবার উদ্দেশ্যে ইহা করিতে চাহে, অথচ সে নিজেও জানে না এই সন্তান সে লাভ করিবে কি, না? ইহা এইরূপ যেমন কেহ মাতার গর্ভস্থ সন্তান বিক্রয় করিল, ইহা তাহার জন্য হালাল নহে; কারণ ইহা প্রতারণা।মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যেই মুকাতাব অথবা মুদাব্বারা : তাহাদের একজন একটি ক্রীতদাসী খরিদ করিয়াছে। অতঃপর উহার সহিত সঙ্গম করিয়াছে, ফলে দাসীটি অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং সন্তান জন্মায়।
মালিক (রাহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় এই ক্রীতদাসীর গর্ভের সন্তান তাহার মতোই হইবে [অর্থাৎ উহার মতো মর্যাদা লাভ করিবে]। সে আযাদ হইলে সন্তানেরাও আযাদ হইবে। আর সে ক্রীতদাসী হইলে সন্তানেরাও ক্রীতদাস হইবে। মালিক (রাহঃ) বলেন, সে আযাদ হইলে তাহার “উম্মে-ওয়ালাদ” তাহারই সম্পদ হইবে। তাহার আযাদীর পর উহাকে তাহার নিকট সোপর্দ করা হইবে।
باب الْقَضَاءِ فِي الْمُدَبَّرِ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ قَالَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ دَبَّرَ جَارِيَةً لَهُ فَوَلَدَتْ أَوْلَادًا بَعْدَ تَدْبِيرِهِ إِيَّاهَا ثُمَّ مَاتَتْ الْجَارِيَةُ قَبْلَ الَّذِي دَبَّرَهَا إِنَّ وَلَدَهَا بِمَنْزِلَتِهَا قَدْ ثَبَتَ لَهُمْ مِنْ الشَّرْطِ مِثْلُ الَّذِي ثَبَتَ لَهَا وَلَا يَضُرُّهُمْ هَلَاكُ أُمِّهِمْ فَإِذَا مَاتَ الَّذِي كَانَ دَبَّرَهَا فَقَدْ عَتَقُوا إِنْ وَسِعَهُمْ الثُّلُثُ وَقَالَ مَالِك كُلُّ ذَاتِ رَحِمٍ فَوَلَدُهَا بِمَنْزِلَتِهَا إِنْ كَانَتْ حُرَّةً فَوَلَدَتْ بَعْدَ عِتْقِهَا فَوَلَدُهَا أَحْرَارٌ وَإِنْ كَانَتْ مُدَبَّرَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُعْتَقَةً إِلَى سِنِينَ أَوْ مُخْدَمَةً أَوْ بَعْضَهَا حُرًّا أَوْ مَرْهُونَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ فَوَلَدُ كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ عَلَى مِثَالِ حَالِ أُمِّهِ يَعْتِقُونَ بِعِتْقِهَا وَيَرِقُّونَ بِرِقِّهَا قَالَ مَالِك فِي مُدَبَّرَةٍ دُبِّرَتْ وَهِيَ حَامِلٌ وَلَمْ يَعْلَمْ سَيِّدُهَا بِحَمْلِهَا إِنَّ وَلَدَهَا بِمَنْزِلَتِهَا وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ رَجُلٍ أَعْتَقَ جَارِيَةً لَهُ وَهِيَ حَامِلٌ وَلَمْ يَعْلَمْ بِحَمْلِهَا قَالَ مَالِك فَالسُّنَّةُ فِيهَا أَنَّ وَلَدَهَا يَتْبَعُهَا وَيَعْتِقُ بِعِتْقِهَا قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ جَارِيَةً وَهِيَ حَامِلٌ فَالْوَلِيدَةُ وَمَا فِي بَطْنِهَا لِمَنْ ابْتَاعَهَا اشْتَرَطَ ذَلِكَ الْمُبْتَاعُ أَوْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ قَالَ مَالِك وَلَا يَحِلُّ لِلْبَائِعِ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مَا فِي بَطْنِهَا لِأَنَّ ذَلِكَ غَرَرٌ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا وَلَا يَدْرِي أَيَصِلُ ذَلِكَ إِلَيْهِ أَمْ لَا وَإِنَّمَا ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ مَا لَوْ بَاعَ جَنِينًا فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَذَلِكَ لَا يَحِلُّ لَهُ لِأَنَّهُ غَرَرٌ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ أَوْ مُدَبَّرٍ ابْتَاعَ أَحَدُهُمَا جَارِيَةً فَوَطِئَهَا فَحَمَلَتْ مِنْهُ وَوَلَدَتْ قَالَ وَلَدُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ جَارِيَتِهِ بِمَنْزِلَتِهِ يَعْتِقُونَ بِعِتْقِهِ وَيَرِقُّونَ بِرِقِّهِ قَالَ مَالِك فَإِذَا أُعْتِقَ هُوَ فَإِنَّمَا أُمُّ وَلَدِهِ مَالٌ مِنْ مَالِهِ يُسَلَّمُ إِلَيْهِ إِذَا أُعْتِقَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: