আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪০. মুদাব্বার গোলামের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৪০
৩. তদবীর সম্পর্কে ওসীয়্যত
রেওয়ায়ত ৩. ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, সর্বপ্রকার আযাদী প্রদান সম্বন্ধে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, যে ব্যক্তি গোলামকে ওসীয়্যত দ্বারা আযাদ করিয়ছে, সেই ওসীয়্যত সুস্থাবস্থায় কিংবা পীড়িতাবস্থায় করিয়া থাকুক, যদি সেই ওসীয়াত মুদাব্বার করার ওসুয়্যত না হয় তবে সে যখন ইচ্ছা উহাকে রদ করিতে পারে এবং যখন ইচ্ছা উহাকে পরিবর্তন করিতে পারে। আর যদি মুদাব্বার করিয়া থাকে, তবে উহা রদ করার ইখতিয়ার থাকিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ক্রীতদাসীকে আযাদ করার ওসীয়াত করা হইয়াছে কিন্তু মুদাব্বারা করা হয় নাই, সেই দাসী যে সন্তান জন্মাইবে, ক্রীতদাসী যখন আযাদ হইবে উহারা (সন্তানগণ) তাহার সহিত আযাদ হইবে না। কারণ তাহার কর্তা ইচ্ছা করিলে ওসীয়্যত পরিবর্তন করিতে পারে, আর যখন ইচ্ছা উহাকে রদও করিয়া দিতে পারে। আর দাসী (এখন পর্যন্ত) আযাদও হয় নাই। (সন্তানেরা কিরূপে আযাদ হইবে?) ইহা এইরূপ যেমন কোন লোক নিজের এক দাসীকে বলিল, এই দাসী যদি আমার মৃত্যু পর্যন্ত আমার নিকট থাকে তবে সে আযাদ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অতঃপর সে যদি মৃত্যু পর্যন্ত উহার নিকট থাকে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে, আর কর্তা যদি ইচ্ছা করে তবে মৃত্যুর পূর্বে দাসী এবং উহার সন্তানকে বিক্রয় করিতে পারবে। কারণ দাসীর জন্য যাহা করা হইয়াছে সন্তান উহার কোন কিছুরই অন্তর্ভুক্ত নহে। ফলে, (দাসীকে) আযাদী দাসের ওসীয়্যত এবং উহাকে মুদাব্বারা করা এই দুইটি ভিন্ন ব্যাপার। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য ও নীতিমালা ইতিপূর্বে বর্ণিত হইয়াছে। মালিক (রাহঃ) বলেন, ওসীয়াত যদি তদবীরের মতো হইত তবে কোন ওসীয়াতকারী ওসীয়্যত পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখিত না এবং আযাদী প্রদানের ওসীয়্যত যাহা উল্লিখিত হইয়াছে উহাতেও পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকিত না। (অথচ মাসআলা এইরূপ নহে বরং ওসীয়াত পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকে) ইহা এইরূপ যেমন - কোন কারণে কাহারও মাল আটক রাখা হইয়াছে, অথচ উহা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সুস্থাবস্থায় তাহার সকল ক্রীতদাসীকে মুদাব্বার করিয়াছে, (অন্যদিকে) তাহার নিকট ঐ সব ক্রীতদাস ব্যতীত অন্য কোন সম্পদ নাই, সে যদি কতককে কতকের পূর্বে মুদাব্বার করিয়া থাকে, তবে সর্বপ্রথম যাহাকে মুদাব্বার করা হইয়াছে উহা হইতে আযাদী আরম্ভ করা হইবে। তারপর তাহার এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ যতজনের আযাদীর জন্য পর্যাপ্ত ততজন আযাদী পাইবে। শর্ত এই, যাহাকে বা যাহাদিগকে প্রথমে মুদাব্বার করা হইয়াছে সে বা তাহারা প্রথমে আযাদী পাইবে।
আর যদি সকলকে কর্তার পীড়িতাবস্থায় মুদাব্বার করিয়াছে এবং বলিয়াছে যদি এই রোগে আমার মৃত্যু হয়, তবে অমুক আযাদ, অমুক আযাদ, এই উক্তিতে সকলকে মুদাব্বার করিয়াছে তবে তাহার সম্পর্কে এক-তৃতীয়াংশে উহারা সকলে শরীক হইবে, কেহ কাহারও আগে আযাদ হইবে না। ইহা (মুদাব্বার হিসাবে আযাদ করিবে) ওসীয়্যত বটে, উহাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ নির্ধারিত হইবে যাহা হিসসা অনুযায়ী উহাদের মধ্যে ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে। অতঃপর উহাদের মধ্য হইতে এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে, যেই পর্যন্ত ঐ সম্পদ পর্যাপ্ত হয়। উহাদের মধ্যে কাহাকেও পূর্বে আযাদ করা হইবে না। ইহা হইল যদি সকলকে পীড়িতাবস্থায় মুদাব্বার করিয়া থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে মুদাব্বার করিয়াছে, অতঃপর তাহার মৃত্যু হইয়াছে। আর এই মুদাব্বার গোলাম ব্যতীত অন্য কোন মাল তাহার নাই, কিন্তু গোলামের নিকট সম্পদ রহিয়াছে। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুদাব্বারের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে এবং তাহার মাল তাহার অধিকারে রাখা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মুদাব্বারের সহিত তাহার কর্তা কিতাবাত করিয়াছে, অতঃপর কর্তার মৃত্যু হইয়াছে এবং সে এই ক্রীতদাস ছাড়া অন্য কোন মাল রাখিয়া যায় নাই। মালিক (রাহঃ) বলেন-গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে এবং কিতাবাতের অর্থের এক-তৃতীয়াংশ উহা হইতে মাফ করা হইবে, (অবশিষ্ট) দুই-তৃতীয়াংশ উহার জিম্মায় থাকিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি রোগশয্যায় আপন ক্রীতদাসের অর্ধেক অথবা পূর্ণ আযাদ করিয়াছে। সে ইতিপূর্বে তাহার অন্য এক ক্রীতদাসকে মুদাব্বার করিয়াছিল। মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, রোগশয্যায় যাহাকে আযাদ করিয়াছে, উহার পূর্বে মুদাব্বারকে আযাদ করা হইবে। ইহা এইজন্য যে, মুদাব্বার করার পর কোন ব্যক্তির পক্ষে উহাকে রদ করার ইখতিয়ার থাকে না এবং উহাকে কোন কারণে পিছাইয়াও দেওয়া যায় না, যদ্দরুন উহা বাতিল হইয়া যায়। অতঃপর মুদাব্বার আযাদ হইয়া গেলে এক-তৃতীয়াংশ হইতে যাহা অবশিষ্ট থাকে উহা যাহার অর্ধেক আযাদ করা হইয়াছে উহার জন্য ব্যয় করা হইবে, যেন এক-তৃতীয়াংশ দ্বারা উহার পূর্ণ আযাদীর ব্যবস্থা করিতে পারে। আর যদি এক-তৃতীয়াংশ পূর্ণ আযাদী লাভের জন্য পর্যাপ্ত না হয় তবে প্রথম মুদাব্বারের আযাদী পর (দ্বিতীয় ক্রীতদাস হইতে) এক-তৃতীয়াংশের অবশিষ্ট দ্বারা যতটুকু কুলায় ততটুকু আযাদ হইয়া যাইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ক্রীতদাসীকে আযাদ করার ওসীয়াত করা হইয়াছে কিন্তু মুদাব্বারা করা হয় নাই, সেই দাসী যে সন্তান জন্মাইবে, ক্রীতদাসী যখন আযাদ হইবে উহারা (সন্তানগণ) তাহার সহিত আযাদ হইবে না। কারণ তাহার কর্তা ইচ্ছা করিলে ওসীয়্যত পরিবর্তন করিতে পারে, আর যখন ইচ্ছা উহাকে রদও করিয়া দিতে পারে। আর দাসী (এখন পর্যন্ত) আযাদও হয় নাই। (সন্তানেরা কিরূপে আযাদ হইবে?) ইহা এইরূপ যেমন কোন লোক নিজের এক দাসীকে বলিল, এই দাসী যদি আমার মৃত্যু পর্যন্ত আমার নিকট থাকে তবে সে আযাদ।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ অতঃপর সে যদি মৃত্যু পর্যন্ত উহার নিকট থাকে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে, আর কর্তা যদি ইচ্ছা করে তবে মৃত্যুর পূর্বে দাসী এবং উহার সন্তানকে বিক্রয় করিতে পারবে। কারণ দাসীর জন্য যাহা করা হইয়াছে সন্তান উহার কোন কিছুরই অন্তর্ভুক্ত নহে। ফলে, (দাসীকে) আযাদী দাসের ওসীয়্যত এবং উহাকে মুদাব্বারা করা এই দুইটি ভিন্ন ব্যাপার। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য ও নীতিমালা ইতিপূর্বে বর্ণিত হইয়াছে। মালিক (রাহঃ) বলেন, ওসীয়াত যদি তদবীরের মতো হইত তবে কোন ওসীয়াতকারী ওসীয়্যত পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখিত না এবং আযাদী প্রদানের ওসীয়্যত যাহা উল্লিখিত হইয়াছে উহাতেও পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকিত না। (অথচ মাসআলা এইরূপ নহে বরং ওসীয়াত পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকে) ইহা এইরূপ যেমন - কোন কারণে কাহারও মাল আটক রাখা হইয়াছে, অথচ উহা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় না।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সুস্থাবস্থায় তাহার সকল ক্রীতদাসীকে মুদাব্বার করিয়াছে, (অন্যদিকে) তাহার নিকট ঐ সব ক্রীতদাস ব্যতীত অন্য কোন সম্পদ নাই, সে যদি কতককে কতকের পূর্বে মুদাব্বার করিয়া থাকে, তবে সর্বপ্রথম যাহাকে মুদাব্বার করা হইয়াছে উহা হইতে আযাদী আরম্ভ করা হইবে। তারপর তাহার এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ যতজনের আযাদীর জন্য পর্যাপ্ত ততজন আযাদী পাইবে। শর্ত এই, যাহাকে বা যাহাদিগকে প্রথমে মুদাব্বার করা হইয়াছে সে বা তাহারা প্রথমে আযাদী পাইবে।
আর যদি সকলকে কর্তার পীড়িতাবস্থায় মুদাব্বার করিয়াছে এবং বলিয়াছে যদি এই রোগে আমার মৃত্যু হয়, তবে অমুক আযাদ, অমুক আযাদ, এই উক্তিতে সকলকে মুদাব্বার করিয়াছে তবে তাহার সম্পর্কে এক-তৃতীয়াংশে উহারা সকলে শরীক হইবে, কেহ কাহারও আগে আযাদ হইবে না। ইহা (মুদাব্বার হিসাবে আযাদ করিবে) ওসীয়্যত বটে, উহাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ নির্ধারিত হইবে যাহা হিসসা অনুযায়ী উহাদের মধ্যে ভাগ করিয়া দেওয়া হইবে। অতঃপর উহাদের মধ্য হইতে এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে, যেই পর্যন্ত ঐ সম্পদ পর্যাপ্ত হয়। উহাদের মধ্যে কাহাকেও পূর্বে আযাদ করা হইবে না। ইহা হইল যদি সকলকে পীড়িতাবস্থায় মুদাব্বার করিয়া থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে মুদাব্বার করিয়াছে, অতঃপর তাহার মৃত্যু হইয়াছে। আর এই মুদাব্বার গোলাম ব্যতীত অন্য কোন মাল তাহার নাই, কিন্তু গোলামের নিকট সম্পদ রহিয়াছে। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ মুদাব্বারের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে এবং তাহার মাল তাহার অধিকারে রাখা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মুদাব্বারের সহিত তাহার কর্তা কিতাবাত করিয়াছে, অতঃপর কর্তার মৃত্যু হইয়াছে এবং সে এই ক্রীতদাস ছাড়া অন্য কোন মাল রাখিয়া যায় নাই। মালিক (রাহঃ) বলেন-গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে এবং কিতাবাতের অর্থের এক-তৃতীয়াংশ উহা হইতে মাফ করা হইবে, (অবশিষ্ট) দুই-তৃতীয়াংশ উহার জিম্মায় থাকিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি রোগশয্যায় আপন ক্রীতদাসের অর্ধেক অথবা পূর্ণ আযাদ করিয়াছে। সে ইতিপূর্বে তাহার অন্য এক ক্রীতদাসকে মুদাব্বার করিয়াছিল। মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেন, রোগশয্যায় যাহাকে আযাদ করিয়াছে, উহার পূর্বে মুদাব্বারকে আযাদ করা হইবে। ইহা এইজন্য যে, মুদাব্বার করার পর কোন ব্যক্তির পক্ষে উহাকে রদ করার ইখতিয়ার থাকে না এবং উহাকে কোন কারণে পিছাইয়াও দেওয়া যায় না, যদ্দরুন উহা বাতিল হইয়া যায়। অতঃপর মুদাব্বার আযাদ হইয়া গেলে এক-তৃতীয়াংশ হইতে যাহা অবশিষ্ট থাকে উহা যাহার অর্ধেক আযাদ করা হইয়াছে উহার জন্য ব্যয় করা হইবে, যেন এক-তৃতীয়াংশ দ্বারা উহার পূর্ণ আযাদীর ব্যবস্থা করিতে পারে। আর যদি এক-তৃতীয়াংশ পূর্ণ আযাদী লাভের জন্য পর্যাপ্ত না হয় তবে প্রথম মুদাব্বারের আযাদী পর (দ্বিতীয় ক্রীতদাস হইতে) এক-তৃতীয়াংশের অবশিষ্ট দ্বারা যতটুকু কুলায় ততটুকু আযাদ হইয়া যাইবে।
باب الْوَصِيَّةِ فِي التَّدْبِيرِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ كُلَّ عَتَاقَةٍ أَعْتَقَهَا رَجُلٌ فِي وَصِيَّةٍ أَوْصَى بِهَا فِي صِحَّةٍ أَوْ مَرَضٍ أَنَّهُ يَرُدُّهَا مَتَى شَاءَ وَيُغَيِّرُهَا مَتَى شَاءَ مَا لَمْ يَكُنْ تَدْبِيرًا فَإِذَا دَبَّرَ فَلَا سَبِيلَ لَهُ إِلَى رَدِّ مَا دَبَّرَ قَالَ مَالِك وَكُلُّ وَلَدٍ وَلَدَتْهُ أَمَةٌ أَوْصَى بِعِتْقِهَا وَلَمْ تُدَبَّرْ فَإِنَّ وَلَدَهَا لَا يَعْتِقُونَ مَعَهَا إِذَا عَتَقَتْ وَذَلِكَ أَنَّ سَيِّدَهَا يُغَيِّرُ وَصِيَّتَهُ إِنْ شَاءَ وَيَرُدُّهَا مَتَى شَاءَ وَلَمْ يَثْبُتْ لَهَا عَتَاقَةٌ وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ رَجُلٍ قَالَ لِجَارِيَتِهِ إِنْ بَقِيَتْ عِنْدِي فُلَانَةُ حَتَّى أَمُوتَ فَهِيَ حُرَّةٌ قَالَ مَالِك فَإِنْ أَدْرَكَتْ ذَلِكَ كَانَ لَهَا ذَلِكَ وَإِنْ شَاءَ قَبْلَ ذَلِكَ بَاعَهَا وَوَلَدَهَا لِأَنَّهُ لَمْ يُدْخِلْ وَلَدَهَا فِي شَيْءٍ مِمَّا جَعَلَ لَهَا قَالَ وَالْوَصِيَّةُ فِي الْعَتَاقَةِ مُخَالِفَةٌ لِلتَّدْبِيرِ فَرَقَ بَيْنَ ذَلِكَ مَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ قَالَ وَلَوْ كَانَتْ الْوَصِيَّةُ بِمَنْزِلَةِ التَّدْبِيرِ كَانَ كُلُّ مُوصٍ لَا يَقْدِرُ عَلَى تَغْيِيرِ وَصِيَّتِهِ وَمَا ذُكِرَ فِيهَا مِنْ الْعَتَاقَةِ وَكَانَ قَدْ حَبَسَ عَلَيْهِ مِنْ مَالِهِ مَا لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَبَّرَ رَقِيقًا لَهُ جَمِيعًا فِي صِحَّتِهِ وَلَيْسَ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ إِنْ كَانَ دَبَّرَ بَعْضَهُمْ قَبْلَ بَعْضٍ بُدِئَ بِالْأَوَّلِ فَالْأَوَّلِ حَتَّى يَبْلُغَ الثُّلُثَ وَإِنْ كَانَ دَبَّرَهُمْ جَمِيعًا فِي مَرَضِهِ فَقَالَ فُلَانٌ حُرٌّ وَفُلَانٌ حُرٌّ وَفُلَانٌ حُرٌّ فِي كَلَامٍ وَاحِدٍ إِنْ حَدَثَ بِي فِي مَرَضِي هَذَا حَدَثُ مَوْتٍ أَوْ دَبَّرَهُمْ جَمِيعًا فِي كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ تَحَاصَّوْا فِي الثُّلُثِ وَلَمْ يُبَدَّأْ أَحَدٌ مِنْهُمْ قَبْلَ صَاحِبِهِ وَإِنَّمَا هِيَ وَصِيَّةٌ وَإِنَّمَا لَهُمْ الثُّلُثُ يُقْسَمُ بَيْنَهُمْ بِالْحِصَصِ ثُمَّ يَعْتِقُ مِنْهُمْ الثُّلُثُ بَالِغًا مَا بَلَغَ قَالَ وَلَا يُبَدَّأُ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِذَا كَانَ ذَلِكَ كُلُّهُ فِي مَرَضِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَبَّرَ غُلَامًا لَهُ فَهَلَكَ السَّيِّدُ وَلَا مَالَ لَهُ إِلَّا الْعَبْدُ الْمُدَبَّرُ وَلِلْعَبْدِ مَالٌ قَالَ يُعْتَقُ ثُلُثُ الْمُدَبَّرِ وَيُوقَفُ مَالُهُ بِيَدَيْهِ قَالَ مَالِك فِي مُدَبَّرٍ كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ فَمَاتَ السَّيِّدُ وَلَمْ يَتْرُكْ مَالًا غَيْرَهُ قَالَ مَالِك يُعْتَقُ مِنْهُ ثُلُثُهُ وَيُوضَعُ عَنْهُ ثُلُثُ كِتَابَتِهِ وَيَكُونُ عَلَيْهِ ثُلُثَاهَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَعْتَقَ نِصْفَ عَبْدٍ لَهُ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَ نِصْفِهِ أَوْ بَتَّ عِتْقَهُ كُلَّهُ وَقَدْ كَانَ دَبَّرَ عَبْدًا لَهُ آخَرَ قَبْلَ ذَلِكَ قَالَ يُبَدَّأُ بِالْمُدَبَّرِ قَبْلَ الَّذِي أَعْتَقَهُ وَهُوَ مَرِيضٌ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ لِلرَّجُلِ أَنْ يَرُدَّ مَا دَبَّرَ وَلَا أَنْ يَتَعَقَّبَهُ بِأَمْرٍ يَرُدُّهُ بِهِ فَإِذَا عَتَقَ الْمُدَبَّرُ فَلْيَكُنْ مَا بَقِيَ مِنْ الثُّلُثِ فِي الَّذِي أَعْتَقَ شَطْرَهُ حَتَّى يَسْتَتِمَّ عِتْقُهُ كُلُّهُ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ فَإِنْ لَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ فَضْلَ الثُّلُثِ عَتَقَ مِنْهُ مَا بَلَغَ فَضْلَ الثُّلُثِ بَعْدَ عِتْقِ الْمُدَبَّرِ الْأَوَّلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: